নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে।

ইবিএস খাইরুল

ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে। রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার সুযোগ না হলেও সামাজিক সংগঠন করার সুযোগ হয়েছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ বন্ধু সমাজ(ইবিএস) নামে সমাজ উন্নয়নকামী সংগঠনের চীফ কোঅরডিনেটর হিসেবে আমাদের গ্রামকে আদর্শগ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছি। চাকুরী করছি একটি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি কথা বলি। চার ভাই চার বোনের মধ্যে ৩য় এবং বড় ছেলে।

ইবিএস খাইরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মে দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা বাণী

০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

---------------------#শুভেচ্ছা_বাণী-------------------
আসসালামু আলাইকুম। আজ পহেলা মে। মহান মে দিবস। দেশে বিদেশে কর্মরত সকল শ্রমজীবী যেখান থেকেই নিজের জীবনবাজী রেখে নিজের জীবিকার জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য সর্বোপরি বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য কর্মে নিয়োজিত আছেন সবাইকে স্বশ্রদ্ধ সালাম।
১৮৮৬ সালে ১লা মে অনধিক ১০ ঘন্টা শ্রমঘন্টা নির্ধারণের জন্য আমেরিকা শিকাগো শহরে বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের হে মার্কেটের নিকট গেলে সৈনিকরা বাঁধা দিলে সংঘর্ষেরূপ নেয়। বহু শ্রমিক হতাহত হয়...
১৮৮৮ সালে ১লা মে কর্মঘন্টা ৮ ঘন্টা নির্ধারণের দাবীতে সেন্ট লুইস শ্রমিক সম্নেলনে "মে দিবস" পালনের ঘোষণা দেয়। ১৮৮৯ সালের প্যারিস সম্মেলনে শ্রমিক শ্রেণীর জন্য দেশে দেশে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি না পেলেও ১৮৯০ সালে ইউরোপে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে ও ১ লা মে কে "মে দিবস" হিসেবে পালন করে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সংগঠিত শ্রমিক সংগঠনের চাপে, রুশ বিপ্লবের প্রভাবে সরকারীভাবে ছুটি ঘোষণা শুরু হয়। এভাবেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ক্রমে আদায় হতে থাকে।
আমাদের প্রিয় শান্তির ধর্ম ইসলাম শ্রমজীবী মানুষদের সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দিয়েছেন। প্রায় দেড় হাজার বছর আগেই রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও। ’ (ইবনে মাজাহ। )
আমাদের দেশেও খুব গুরুত্ব সহকারে মহান মে দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশী শ্রমিক রয়েছে পোশাক শিল্পে। যাদের কল্যাণে দেশ আজ উন্নয়শীল থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। পোশাক শিল্পের মালিক শ্রেণীও নিজেদের স্বপ্ন ও ঝুঁকি নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে তিলে তিলে কারখানা গড়ে তুলেছেন। তাই উভয় শ্রেণীর গুরুত্ব অত্যন্ত উঁচুমানের। উভয় শ্রেণীর মধ্যে যে সৌহার্দ্য পূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান রয়েছে তা অব্যাহত থাকবে এবং আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নে সবার চেয়ে বেশী ভূমিকা রাখতে চাই। আমিও একজন পোশাক তৈরী কারখানার শ্রমিক।
আজ মহান মে দিবসে সকল শ্রমিক ভাই-বোনদের ও শ্রম মালিকগণকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ও সকলের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।

মোঃ খাইরুল ইসলাম
সহকারী ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন)
জায়েন্ট গ্রুপ(গাজীপুর)।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.