![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার চোখে তো সকলই শোভন/সকলই নবীন,সকলই বিমল/ সুনীল আকাশ,শ্যামল কানন/বিশদ জোছনা,কুসুম কোমল/সকলই আমার মত
‘’সে একটি সমাজের ভেতরে বাস করে করবে এবং সমাজের দৃষ্টিভংগীকে সে গ্রহণ করবে। আমাদের সমাজধর্মে রমণীদের আঘাত করাটা দূষণীয় নয়, সে আঘাত শারীরিক অথবা মানসিক যাই হোক না কেন। আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি, রমণী সবচেয়ে বেশি আঘাত পায় যখন তাকে অবিশ্বাস করা হয়; এবং আমাদের সমাজধর্ম এই যে, রমণীই বিনা প্রমাণে অপরাধী ও বিশ্বাসঘাতিনী বলে সাব্যস্তকৃত। অতএব, মা হিসেবে আপনার কর্তব্য হবে এই প্রতিজ্ঞা করা যে, যদি কোনদিন মামুদ উজ্জ্যাল কোন যুবতীকে, অর্থাৎ তার প্রনয়িনী অথবা পত্নীকে অবিশ্বাস করে, আপনি পুত্রের পক্ষ অবলম্বন করবেন না, যা কিনা আমাদের রমণীদের স্বভাব, বরং আপনি কন্যার পক্ষ গ্রহণ করবেন ও পুত্রকে প্রমাণ উপস্থিত করতে বলবেন।‘’ (সৈয়দ শামসুল হক -আয়না বিবির পালা)
পত্র পত্রিকাতে প্রায়ই খবর আসে, যৌতুকের লোভে শ্বাশুরি বা ননদের হাতে খুন হয়েছে ঘরের বউ। খবরগুলো দেখে অনেকেই মন্তব্য করেন, মেয়েদের শত্রু মেয়েরাই। কিন্তু আসলেই কি মেয়েরা মেয়েদের শত্রু? যে শাশুরি বা ননদ যৌতুকের লোভে অত্যাচারী হয়ে উঠছেন, তিনি কি আসলে পুরুষতন্ত্রেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন না? এ ঘটনাগুলোর নেপথ্যে কি এক (বা একাধিক) পুরুষই ইন্ধন যোগান নি? যুগ যুগ ধরে চলে আসা পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের ধারাবাহিকতাই কি নয় এই ঘটনাগুলো?
নারীরা নিজেরাই চায় না মানুষের মত বেঁচে থাকার অধিকার। তার নিজের কোন অর্জন নেই। পুরুষ তাকে যতটুকু দিয়েছে, ঐটুকু পেয়েই সে মহাখুশি। তাকে কে বোঝাবে, এর চেয়েও বেশি পাবার অধিকার সে রাখে? সে যে নানা ভাবে বঞ্চিত সেই কথা মনে করিয়ে দিলে সে ক্ষেপে উঠে। বঞ্চিত, নির্যাতিত নারীদের কথা প্রকাশের মাধ্যমে পুরুষতন্ত্রের দূর্বলতাগুলো বেড়িয়ে এলে যেন নারীরাই অখুশি হন বেশি। সামগ্রিকভাবে তারা ভাবতে শেখেন নি, বা তাদের সেভাবে ভাবতে শেখানো হয় নি। সব কিছু ব্যক্তিগত পর্যায়ে ভেবে বসেন তারা। নির্যাতিত নারীদের কথা শুনে তারা বলে বসেন, কই, আমার বেলায় তো এমন হয় না, আমার স্বামী তো এমন নন, ইত্যাদি ইত্যাদি। নিজে তিনবেলা ভরপেট খেতে পেলে অনাহারীদের দুঃখ কষ্টের কথা কি সবার সামনে তুলে ধরা যাবে না? নিজে নির্যাতিত না হলে অন্য নির্যাতিত বা অধিকার বঞ্চিত মানুষের কষ্টের কথা কি একজন সচেতন মানুষ হিসেবে সমাজে বলা যাবে না? যদি বা কোন সচেতন ব্যক্তি তা প্রকাশ করেন, তখন তারা ছিদ্রান্বেষী হয়ে উঠেন নারীর খুঁত খুঁজে বের করার জন্য। অথবা উদাহরণ টেনে আনেন কোন অসৎ নারীদের। অসৎ হবার জন্য কাউকে আলাদাভাবে নারী বা পুরুষ হতে হয় না। আর এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে দোষ না করেও যে নারীকে অপরাধের শাস্তি পেতে হয়, অপবাদ নিয়ে চলতে হয়, সে কথা তাদেরকে কে বোঝাবে? অবশ্য পুরুষদের মনোরঞ্জন করেই যারা আত্নতৃপ্তি পেয়ে থাকেন, তাদের কাছ থেকে এর বেশি আর কী আশা করা যায়? তারা তো নিজেদের নিজেকে দূর্বল ভাবার আর পুরুষের জন্য চিন্তাশক্তিবিহীন শরীর সর্বস্ব দাসী তৈরি হবার শিক্ষা ছাড়া আর কোন শিক্ষা পান নি। তাই তারা মানুষও হয়ে উঠেন নি। হুমায়ূন আজাদের ভাষায় তারা হলেন ‘’পুরুষতন্ত্রে দীক্ষিত নারী’’।
নারীর শত্রু কখনোই নারী নয়। নারীর স্বাতন্ত্রকে খর্ব করার জন্য দায়ী পুরষতন্ত্র। এই পুরুষতন্ত্রের নির্যাতনের শিকার কেবল নারীই নয়, অনেক পুরুষও। যারা বঞ্চিত ও নির্যাতিত নারীদের সমর্থন, শক্তি ও সাহস দিয়ে থাকেন, তাদেরকেও সইতে হয় পুরুষতন্ত্রের নোংরা আঘাত। আর এই পুরুষতন্ত্রের চেয়েও ভয়ংকর হলো ‘’পুরুষতন্ত্রে দীক্ষিত নারী’’। এরা মানবতার শত্রু।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১১
এইযেদুনিয়া বলেছেন: হুম।
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৬
ফারিয়া বলেছেন: সহমত প্রচন্ডভাবে!!!
মানসিকভাবে এমনটা দেখে আসতে আসতে ছোটবেলা থেকে এমন মানসিকতা তৈরি হয়। একটা খুব ছোট এক্সাম্পল দেই, ছোটবেলা থেকেই ভাইয়াদের সবকিছুতে বেশি আদর পেতে দেখে অনেক সময় ছোট বোনদের মনে ধারনা
হয়ে যায় এটাই নিয়ম। এমনটা যখন অন্য পরিবারে না দেখে, বৈষম্যটা অনুপস্থিত থাকলেই তখন মেয়েগুলো অবাক হয়!
১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩০
এইযেদুনিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
নারী আর পুরুষ এই দুই রকম ভাবাটা যদ্দিন না শেষ হচ্ছে, কোন সাম্য আসবেনা। সম অধিকার আসবেনা।।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৭
এইযেদুনিয়া বলেছেন: সম অধিকার নয়, বল মানুষের অধিকার। মানবাধিকার
৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:১৯
বহুব্রীহি বলেছেন: বাংলাদেশে, উপমহাদেশে ও মধ্যপ্রাচ্যে এই শ্রেনীর নারী পাবেন। পোস্টের সাথে অমতের কিছু পেলাম না। নারীরা নিজেরাই যখন পর্দার নামে নারীদের ইজ্জত হাওয়া হয়ে যাচ্ছে এই ধুয়া তুলেন তখন মেজাজ খিচড়ে যায় বৈকি।
পোস্টে লাইক দিলাম।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৯
এইযেদুনিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৫
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: সমাজ তার নিজের প্রয়োজনেই নারী শিশুর মগজ ধোলাই করে বড় করে থাকে।দূর্বল দূর্বলের শত্রু হবে তা স্বাভাবিক।সমাজে নারীরা দূর্বল তাই তারা নিজেরাই নিজেদের ভেতরে হিংসাহিংসিতে লিপ্ত।
একজন বাঙ্গালী নারী শিশুবয়স থেকেই যেভাবে মেন্টালী ডিস্টার্বড হয়ে বড় হয় পরবর্তীতে পরিণত বয়সে বড় হয়ে তা আর সামাল দিয়ে স্বাভাবিক চিন্তাধারা করা সম্ভব হয়না।বরং সে যে সমাজ ও পুরুষের প্রয়োজনে উদ্ভট মাথাখারাপ ব্যাপারসেপারের উপর আস্হা এনেছে তাই তার কাছে স্বাভাবিক ও সঠিক।