নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি যে লিখব কিছুই বুঝতে পারছি না!মাঝে মাঝেই এমন হয় মাথা আর আমার কাজ করে না! সবকিছুই যেন কেমন মত আটকে যায়!অবশ্য নতুন করে আটকানোর কিছু যদিও নেই!আমি তো ইতোমধ্যে আটকিয়েই আছি! সেই যে কতদিন আগে সে চলে গেল!তারপর থেকে তো আটকিয়েই আছি..........

একজন বুদ্ধিমান পাগল

একজন বুদ্ধিমান আমি! তবে পাগলামি করি অতিরিক্ত! তাহলে আমাকে কি বলা উচিৎ আমি জানি না!

একজন বুদ্ধিমান পাগল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প : অন্ধকার ছাদে কিছুক্ষণ

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:২৮



রাতের খাওয়া-দাওয়া করে কোকের বোতল আর মোবাইলটা হাতে নিয়ে ছাদে গেলাম।

নতুন এলাকা,নতুন পরিবেশ।ভালই লাগছে!

ছাদে এসে বাইরে নিচে তাকিয়ে দেখি এলাকায় কারেন্ট নেই!

বাড়ির মধ্যে আইপিএস চলছিল!

অনেকক্ষণ আগে কারেন্ট চলে যাওয়া টের পেয়েছিলাম কিন্তু এখনও যে আসেনি এটা তো টের পাইনি!!

যাইহোক আমি ছাদের ওই পাশটাই গিয়ে রেলিঙের কাছে ছোট একটা টুল জাতীয় কিছু দেখে ওটার ওপর বসলাম।

কোকের অর্ধেকটা এতোক্ষণে শেষ!

বোতলটা এইবার পাশে রেখে মোবাইলটা অন করলাম। সন্ধ্যার দিকে চার্জ ফুরিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর চার্জে দিয়ে আর অন করা হয়নি!

.

ফেসবুকের নোটিফিকেশন চেক করে ঢুকে গেলাম ব্লগে.......

ব্লগে গিয়ে কিছু লিখতে ইচ্ছা করছিল না। বার বার লেখা শুরু করে দু লাইন লিখে আবার মুছে দিচ্ছিলাম!

তাই পড়া শুরু করে দিলাম!

নিজের গল্প গুলোই রিভাইজ দিচ্ছিলাম। ২ টা গল্প একটু করে এডিট করলাম।

তারপর আবার প্রথম পাতায় এসে পড়া শুরু করলাম!
.
খুব মনোযোগ দিয়ে শায়মা আপুর একটা লেখা পড়ছিলাম।
হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার হাত থেকে মোবাইলটা পড়ে গেল!
মনে হল একটা হার্টবিট যেন মিস হলো! তারপরই হার্টবিটের গতি বেড়ে গেল!
পিছনে তাকিয়ে দেখি সাদা সালোয়ারকামিজ পরা একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে! মেয়েটার চেহারা অন্ধকারে বোঝা যাচ্ছেনা!

তারমানে এটাই আমার এতকিছুর কারণ!
এই ফাজিল মেয়েটাই কথাটা বলেছে!!
.
আমি কঠিন চেহারা করে মেয়েটার দিকে তাকাতেই মেয়েটা আবার বলল
-কি ব্যাপার? কথা কেন বলছেন না? কিছু একটা জিজ্ঞেস করছি আপনাকে!! আপনি ব্লগার??

আমার খানিকটা রাগ হলো।আমি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে পায়ের কাছ থেকে মোবাইলটা তুললাম!
তারপর মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখি আমার দিকে উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!
আমি আস্তে করে বললাম
-সেটা আপনার না জানলেও চলবে!
এইবার মেয়েটা একেবারে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো!
আমি রেলিং থেকে একটু খানি দূরে বসেছিলাম। আর সে এসে রেলিঙের সাথে হেলান দিয়ে আমার দিকে মুখ করে খানিকটা রাগি গলায় বলল
-দেখুন বেশি ভাব নিবেন না!
-আরে আজব!ভাব কোথায় নিলাম! আপনি খুব ভাল মতই দেখতে পাচ্ছিলেন আমি ব্লগার! তাহলে জিজ্ঞেস কেন করলেন??
- হুম..... তা ঠিক। কিন্তু......
এইবার ওঁ কথাটা শেষ করল না!
আমিও আর কিছু বললাম না! চুপচাপ ফোনের দিকে মনোযোগ দিলাম!
কয়েক মুহূর্ত পরেই মেয়েটা খানিক জোরেই বলে উঠল
-কি ব্যাপার? সমস্যা কি আপনার??
আমি স্বাভাবিক ভাবেই বললাম
-হুম..... সমস্যা তো আমার অনেকই আছে। কিন্তু আপনি ঠিক কোনটার কথা বলছেন বলুন তো!!
-আমি কথা টা শেষ না করে অর্ধেক বলেই থেমে গেলাম আর আপনি আমাকে বাকিটা পরে জিজ্ঞেস করলেন না কেন??
- আপনার সাথে কথা বলার কোন ইচ্ছা নেই আমার।
- আপনি তো মহা ফাজিল!
- হুম ঠিকই ধরেছেন!
-আবার! আবার আপনি ভাব নিচ্ছেন??
- আরে এতে ভাব নেওয়ার কি হল?? আর আপনি বারবার ভাব নেওয়ার কথাই বা কেন বলছেন??
-এই ব্লগার দের খালি বেশি ভাবই হয়!
- দেখুন আপনি প্লিজ চুপ থাকুন। আর এতো রাতে আপনি ছাদে কি করেন?? আর আমাকেই বা এসে এইভাবে ডিস্টার্ব করছেন কেন??
-পারবোনা! আমি রোজই এই সময় ছাদে আসি! ডিস্টার্ব হলে আপনি চলে যেতে পারেন!
আমি আর কিছু না বলেই উঠে দাড়ালাম! পিছন ঘুরে হাটা শুরু করতে যাব ঠিক সেই মুহূর্তে মেয়েটা বলল
-আপনার কোক!
আমি এদিকে ঘুরেই বললাম
-ওটা আপনার জন্য!
এইবার মেয়েটা আবার বলল
-আমি আপনার দেওয়া কোক কেন নেব??
এবার আমি আবার ঘুরে আসলাম। একদম মেয়েটার সামনে দাঁড়িয়ে বললাম
-ইচ্ছে হলে নিয়েন।নাহলে নাই!
আবার ঘুরে চলে আসলাম..... এইবার ঠিক যখন আমি ছাদের গেটে ঢুকব তখনি মেয়েটা বলল
-হাসিব....!
আমি একবারে দাঁড়িয়ে গেলাম! মনের মধ্যে অনেক গুলো প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে লাগল!
তার মধ্যেই একটা প্রশ্ন করে বসলাম
-আপনি আমার নাম কি করে জানলেন??
-শিহাবের কাছ থেকে!
-আপনি শিহাবের কে হন??
-আমি শিহাবের বড় বোন। ক্লাস নাইনে পড়ি। আর শিহাব সেভেনে!
-জানি!
এটা বলেই আমি আবার ঘুরে আসলাম!
তারপর আমি আবার বললাম
-আপনার নাম কি?
-নিশি
-কোন ডিপার্টমেন্টে পড়েন?
-সায়েন্স। আপনিও তাইনা??
-হুম। এটাও শিহাব বলছে?
-হ্যা।আসলে আপনারা যখন খেলছিলেন তখন আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছিলাম! প্রতিদিনই দেখি। আপনার ভাইয়াও খেলে! শিহাবও খেলে।সাথে পাশের ফ্লাটের ছেলে দুটোও খেলে!
কিন্তু আপনাকে আজ এখানে প্রথম দেখলাম তাই শিহাব যখন উপরে এসেছিল খেলার মাঝে, তখন আমি ওঁকে আপনার কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম। কিন্তু ওঁ বলল কিছু জানে না। তাই ওঁকে তখনই আপনার সাথে কথা বলতে বলেছিলাম!
-ও....
-আপনি অনেক ভাল ক্রিকেট খেলেন!
-আপনাকে কি এখন আমার ধন্যাবাদ দেওয়া উচিৎ?
-কেন??
-এইযে আপনি আমার প্রশংসা করলেন!
- ওহ্... না না ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নেই!
এটা বলেই নিশি একটু খানি যেন হাসল।
অন্ধকারে সেটা দেখা না গেলেও আমি ঠিক ঠিক বুঝতে পারলাম!
তারপর আস্তে করে বললাম
-ধন্যবাদ!
নিশি এবার কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল
-আপনার ফোন টা দিন তো!
-কেন?আমার ফোন নিয়ে আপনি কি করবেন??
-টকিং টমের সাথে প্যাঁচাল পাড়বো! বেশি কথা না বলে দিন তো!
তারপর নিশি মোবাইল টা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কি যেন টিপাটিপি করল। তারপর আমায় ফোন টা ফেরত দিতে দিতে বলল
-আমি আপনার থেকে ১ বছরের জুনিয়র তাই আপনি আমাকে 'তুমি' করে বলবেন!
-আমি কাল সকালেই চলে যাব।আর হয়ত কথাই হবে না!
নিশি শুধু বলল
-সেটা আপনার না ভাবলেও চলবে। কথা তো আবার হবেই। আপনি আমাকে 'তুমি' করে বলবেন!
মনে থাকে যেন। আর আমি এখন আসি। আর হয়ত দেখা হবেনা!
আমি ওঁর কথা ঠিক বুঝলাম না! না বুঝেই বললাম
-ঠিকাছে। আমি আবার ঠিক ৫ মাস পর এখানে আসব,ইনশাআল্লাহ।
এবারে নিশি আর কিছু না বলে একটু খানি নিচের দিকে ঝুকে কোকের বোতলটা তুলে আস্তে আস্তে হেঁটে গেটের কাছে গিয়ে ঘুরে দাঁড়াল। শুধু আস্তে করে বলল
-আসি
- আমিও আর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে নিচে চলে আসলাম!
এসে আবার মোবাইল টা নিয়ে নিশির ওই কথা টির মানে বুঝতে পারলাম!
দেখি ফোনবুকে একটা নতুন নাম্বার এড হয়েছে আর ফেসবুকের ফ্রেন্ড লিস্টেও উন্নতি........

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৪৮

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৫৯

একজন বুদ্ধিমান পাগল বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: দারুন।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

একজন বুদ্ধিমান পাগল বলেছেন: থেংকু!

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৩৫

শায়মা বলেছেন:


পাগলভাইয়া যাক আমার পোস্ট পড়তে গিয়ে একটা নিশি পেলে। হা হা
তোমার কি কোক অনেক পছন্দ? তাই বলে নিশি তোমার খাওয়া কোক খাবে মরে গেলেও বিশ্বাস করি না। মনে হচ্ছে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেবে। :P

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

একজন বুদ্ধিমান পাগল বলেছেন: হুম!
কোক আসলেই আমার পছন্দের!
সে যা করে করবে! কোক ফেলে দিলেও দিতে পারে তবে আমার মনে হয় বোতল টা সে রেখেই দেবে!

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩০

রাজু বলেছেন: ও ইয়া, নাইচ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

একজন বুদ্ধিমান পাগল বলেছেন: ও ইয়া.......! ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.