নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইকরাম এর দুনিয়া

আমার ব্লগঃ http://genesisblogs.com/

মোঃ ইকরাম

নেশা, পেশা সব আইটি কেন্দ্রিক

মোঃ ইকরাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্রুত ইনকামের চিন্তা বাদ, দক্ষ হওয়াকে ইনজয় করুন

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

দ্রুত ইনকাম চিন্তা ক্যারিয়ারকে দ্রুত ধ্বংস করে দেয়:
যখন ১ম শ্রেনীতে পড়ি, তখনই যারা ইনকাম সোর্স চিন্তা করে, তারা ৩য় শ্রেনীতে কিংবা ৫ম শ্রেনীতে পড়া অবস্থাতেই ইনকাম সোর্সে চলে যায়। হয়তো কোন গাড়ির হেলপার, কিংবা কোন হোটেলে কিংবা রাস্তাতে কাগজ কুড়িয়ে ইনকাম করে। তারা খুব দ্রুত ইনকাম জগতে ঢুকলেও তাদের জীবনটা স্বচ্ছল হয়না। কারণ তারা ইনকামটাতে দ্রুত ঢুকতে চেয়েছে। আর অন্যদিকে দক্ষ হওয়ার জন্য যারা ২৫বছর অপেক্ষা করেছেন আর ২৫বছর পড়াশোনা শেষ করে দক্ষ হয়ে তারপর ইনকামের চিন্তাটা মাথাতে আনেন, তারা অনেক স্বচ্ছল জীবনযাপন করছেন। যারা আরেকটু ধৈয্য নিয়ে দক্ষ হওয়ার সময়টাকে আরেকটু বড় করেন তারা আরো সহজ এবং স্বচ্ছল জীবন অতিবাহিত করেন।
একইভাবে যখন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন, তাদেরও উচিত দক্ষ হতে একটু সময় বেশি দেওয়া। এবং ইনকামের চিন্তাটা আরো অনেক পরে আনা। তাহলে তারা সফল এবং ফ্রিল্যান্সিং করে স্বচ্ছল হতে পারবেন।
কিন্তু যদি শিখার আগেই ইনকামটা কবে হবে, সেটা নিয়ে চিন্তা শুরু করে দেন, তখন সেই টোকাইদের মত অস্বচ্ছল জীবনযাপন করতে হতে পারে। দক্ষ হওয়ার জন্য আগে সময় দিন, ইনকামের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। তাহলে আপনি হবেন সফল ফ্রিল্যান্সার। তখন আপনাকে দিয়েই ইনকাম সম্ভব হবে।
সেরকম কমিটমেন্ট করিয়েই ১০০নারীকে ট্রেনিং শুরু করিয়েছি। দক্ষ করাবো। যতদিন দক্ষ বানাবো, ততদিন ইনকামের চিন্তাও আনতে পারবেনা। যখন ইনকামের চিন্তা মাথাতে আনতে হবে, তখন আমি তাদেরকে ইনকামে পথ বাতলে দিবো।

১০০ নারীকে ফ্রি প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে এক্সপেরিমেন্ট এবং তার ফলাফল:

এ মেয়েদেরকে যখন ট্রেনিং করাচ্ছি, তখন ইনকামের নেশাকে বন্ধ করে দিতে পেরেছি দেখে আউটপুট অনেক ভাল পেয়েছি। আমি যা চেয়েছি, একদম সেটিই ঘটতেছে এখন পযন্ত। রিয়েলি, খুবই এক্সাইটেড। এটা নিয়ে বিশাল আর্টিকেল লিখার ইচ্ছা আছে। কিন্তু এ মুহুর্তে ব্যস্ততার জন্য সেটি করতে পারছিনা। তবে কিছুটা লিখার লোভ সামলাতে পারছিনা, দেখে এ পোস্টটির জন্ম দিচ্ছি।
এ পোস্টটির উদ্দেশ্য যাতে মানুষ সচেতন হয়, কিভাবে শিখাতে গেলে ভাল আউটপুট পাওয়া যাবে, স্টুডেন্টদের জন্যই ভালো হবে, সেটির একটি রিসার্চ রেজাল্ট দেখাবো। রিসার্চগুলো এমেয়েদেরকে ট্রেনিং দিতে গিয়ে করেছি।
♦ দক্ষ লোক তৈরি করতে চাইলে যা করতে হয়, কিন্তু করতে পারিনা সেগুলো নিচে লিখছি:

- টাকা ইনকাম করানোর চাপ থাকবেনা, তখন দক্ষ করানোতে মনোযোগ দেওয়া যায় ভালো ভাবে। ছেলেদের মধ্যে টাকা ইনকামের নেশাটা খুব বেশি। সেজন্য শুধু মেয়েদেরকে নিয়েই ট্রেনিংটা শুরু করেছি। এবং শর্ত দিয়ে দিয়েছিলাম, টাকার নেশানা, দক্ষ হওয়ার টার্গেট নিয়ে যাতে ট্রেনিংটাতে জয়েন করে।
- মানুষকে খুব বেশি ফ্লেক্সিবিলিটি দিলে তার ভিতরের সুপ্ত প্রতিভা বের করে নিয়ে আসা সম্ভব হয়না। মানুষকে খুব চাপে ফেললেই, তার ভিতরের সেরাটা বের হয়ে আছে। নারীদের এখানের ট্রেনিংয়েও চাপের মধ্যেই রাখা হয়েছে। যেমন ১ম প্রজেক্টেই যারা কাজ জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদেরকে সাথে সাথেই গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ৭০জনকে গ্রুপ থেকে বের করেছি। পেইড কোর্স করানোর সময় এরকম শাস্তির ব্যবস্থা করা যায়না দেখে, ভয় কাজ করেনা কারও মধ্যেই। এখানের মেয়েগুলো ভয়েই কাজ জমা দিচ্ছে।
- প্রতিযোগীতা সৃষ্টি করতে পেরেছি গ্রুপটির মধ্যে। যার কারনে সেরা কাজ তাদের ভিতর থেকে বের হচ্ছে। পেইড কোর্সে সবার মধ্যেই কাজ করে টাকা দিয়েছি, এবার তাদের কথামত শিখাতে হবে। আমার যে অভিজ্ঞতা আছে, কিভাবে কারও ভিতর হতে কাজ বের করতে হয়, সেটি প্রয়োগ করতে গেলে বাইরে গিয়ে অনেক সময় ফেসবুকেই আমাকে নিয়ে বিশাল প্রচারণা শুরু হয়ে যায়। সেই ভয়ে তাদের ইচ্ছামত করেই ট্রেনিং দিতে হয়, যেটার কারনে বেশির ভাগ সময়ই এ প্রতিযোগীতাটা তৈরি করতে ব্যর্থ হই।
- এই মেয়েদেরকে ট্রেনিং দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনটাই আমি হাতে ধরে শিখাচ্ছিনা। কোন কাজেরই ডিটেইলস ইন্সট্রাকশন দিচ্ছিনা। খুবই সামান্য ইন্সট্রাকশন দিয়েই তাদেরকে বলে দিচ্ছি, উমুক বিশাল কাজ করতে হবে। তারা কোন কাজ করতে ব্যর্থ হয়ে আমাকে নক দিলেও আমি সেটার সমাধান দেইনা। বলে দেই, নিজেই চেষ্টা করেন। এটা করার কারণ, সব সমাধান সহজে পেয়ে গেলে, তারা ব্রেইনটাকে কাজে লাগাবেনা। ব্রেইনটাকে যত বেশি কাজে লাগাবেন, ততবেশি ব্রেইন খুলে। তাই হাতে ধরে কিছু শিখাচ্ছিনা। এরপরও যখন ৩টা অ্যাসাইনমেন্ট তারা সম্পন্ন করতে পেরেছে, তখন ব্রেইনটাতো খুলেছেই, সেই সাথে তাদের নিজেদের মধ্যে কনফিডেন্ট তৈরি হয়েছে যে তাদের দ্বারা সব কিছু করা সম্ভব। এ কনফিডেন্ট বড় হওয়ার জন্য খুব বেশি দরকার। পেইড কোর্সে এ আচরণ, কল্পনাও করতে পারবেননা। সেজন্য তাদের ব্রেইন নিয়ে খেলা করা যায়না। সেটা হলে ফেসবুকে আমাকে নিয়ে বিশাল স্ট্যাটাস হবে, আবার অনেকে সুযোগ পেয়ে গালাগালি করে কমেন্টের বন্যা বসানো শুরু করবে। আমি মেয়েদের ভিতরে কনফিডেন্ট তৈরি করতে পেরেছি, কাজকে ইনজয় করানো শিখিয়ে ফেলেছি, তাদের ব্রেইনকে কাজে লাগানো শিখাতে পেরেছি। এখন পযন্ত আমি সার্থক। বাকিটা সময় বলে দিবে। ট্রেনিংতো মাত্র শুরু। যে যে পদ্ধতি এ মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছি, সেগুলো পেইড স্টুডেন্টদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার সুযোগ পাইনা। আবার কাছের মানুষদেরকে শিখানোর সুযোগ দিলে, তাদের ক্ষেত্রেও এগুলো প্রয়োগের সুযোগ পাইনা।

ফেসবুকে আমি: https://www.facebook.com/ekram07/

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

ছদ্দবেশি লৌকিক বলেছেন: মেয়েদের চাইতে ছেলেদের টাকা কামানোর চিন্তাটা একটু বেশি,,, সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.