![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেসবুকে এত মানুষের ভিড়ে কিভাবে নিজেকে সবার মাঝে পরিচিত করবেন কিংবা আলাদাভাবে চেনাবেন? অর্থাৎ নিজেকে কিভাবে জনপ্রিয় করবেন, সেটি আসুন শিখে নিই।
১) অন্য কেউ কমেন্ট ফেসবুকে পোস্ট করলে, সেই পোস্টে যদি কোন ভুল পেয়ে থাকেন, হতে পারে সেটা বানান ভুলের মত ছোট কোন ভুল, সুযোগটা মিস করবেননা। সাথে সাথে ভুল ধরিয়ে দিয়ে কমেন্ট করুন। একটু বাজে ভাষা ব্যবহার করে যদি কমেন্ট করতে পারেন, তাহলে বিশাল পন্ডিত হিসেবে সবাই আপনাকে সম্মান করবে।
- না ভাই, আমি এভাবে পরিচিত হইনি। কখনও কারও পোস্টের ভুল হয়েছে বলে কমেন্ট করিনি। কারন বিশ্বাস করি, একজন ভুল করতে করতেই শিখবে। তাকে কমেন্ট করে লজ্জা দিলে হয়ত, সে আর কখনও কিছু পোস্ট করবেনা। তবে তার পোস্টের বিপরীতে আমার আরও কিছু পয়েন্ট যুক্ত করার থাকলে সেটি যুক্ত করে কমেন্ট করেছি।
২) কারও কোন দোষ খুজে বের করতে পারলে সেটি নিয়ে একটি বিশাল স্ট্যাটাস দিয়ে লিখে পোস্ট করে ফেলুন। একটু জনপ্রিয় ব্যক্তি হলে ফলাফল দ্রুত পাবেন অর্থাৎ দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেন।
- না ভাই, এখন পযন্ত আমার রেকর্ড নাই, কারও বিরুদ্ধে কোন স্ট্যাটাস দিয়েছি। কারন, আমি বিশ্বাস করি, মানুষ একটা দোষ করা মানেই সে খারাপ সে কথা বলা যাবেনা। কারও খারাপ দিক দেখার চাইতে তার ভালো দিকটাকেই খোজার চেষ্টা করি।
৩) কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা সরকারের কাযকলাপের সমালোচনা করে পোস্ট করে ফেলুন। আপনাকে অনেক বড় জ্ঞানী এবং অনেক বেশি সমাজ সচেতন মনে করে মানুষ আপনার কাছে আরও অনেক অভিযোগ জানাতে ইনবক্সে মেসেজ করবে। তখন নিজেকে গ্রাম্য সালিশের মোডল মনে হবে।
- না ভাই, এ ধরনের কাজ আমি কিংবা আমার নিয়ন্ত্রিত ফেসবুক কোন গ্রুপে আজ পযন্ত পোস্ট করিনি। সেটা করে আজকের এ পযায়ে আসিনি। বরং যারা করেছে, তারা আজকে হারিয়ে গেছে। কোন প্রতিষ্ঠানের কিংবা সরকারের কোন কাযকলাপের সমালোচনা করবো কিভাবে, সমালোচনা করার মত নিজেকে জ্ঞানী কিংবা কোন যোগ্যতাইতো আমার হয়নি, বলে মনে করি।
৪) পরিচিত কিংবা জনপ্রিয় কোন ব্যক্তির কোন রিসেন্ট কোন কথাকে ব্যঙ্গ করে ট্রল বানিয়ে ফেলুন, খুব দ্রুত আপনার সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে।
- না ভাই, এ কাজটিও করিনি। হুমম, মাঝে মাঝে ২-১ বার করে ফেলেছি, আবার পরে সেগুলো ডিলিট করে দিয়েছি। বুঝতে পেরেছি, অন্যের কোন কিছু নিয়ে ব্যঙ্গ করে পোস্ট করার মধ্যে বাহাদুরি না, এটা পুরোপুরি বস্তিুর কালচার ছাড়া আর কিছুইনা।
আমাদের এ অভ্যাসগুলো ইসলামে পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এগুলোর কারনে আজকে ফেসবুকে ক্রিয়েটিভ চর্চার চাইতে হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে। সবার মধ্যেই অন্যের ব্যপারে হিংসা। হিংসা করে নিজেকে যোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে নেমে পড়ুন। দেখিয়ে দিন অন্যকে আপনি কি জিনিস। সেজন্য ভ্যালু ক্রিয়েট করুন। উপরের পদ্ধতিতে সাময়িক ভ্যালু ক্রিয়েট হবে ঠিকই। কিন্তু শুধু শুধু সময় নষ্ট। কিছুদিন পর মানুষ আপনাকে ছুড়ে ফেলে দিবে। যদি মনে করেন কিভাবে ভ্যালু ক্রিয়েট করতে হবে, সেটি শিখতে চান, তাহলে কমেন্টে বলুন, আমি ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে লিখবো, কিভাবে আমি আমার ভ্যালু ক্রিয়েট করে আজকের অবস্থানে এসেছি।
*********এ কথাগুলো আমাদের বর্তমান ফেসবুকের সবার মধ্যে ব্যাধি। সুতরাং শেয়ার করে সবাইকে সচেতন করুন, যাতে কারও মধ্যে এ ভাইরাসটি থাকলে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে।***************
©somewhere in net ltd.