নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটু..

একটু.. › বিস্তারিত পোস্টঃ

কনসার্ট কি শ্লীলতাহানির হাতিয়ার? কি হচ্ছে দেশে,না সাংবাদিকরা ,মন্ত্রীদের চেয়েবেশী মিথ্যাবদী?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:১৫











শ্লীলতাহানি অতীতেও ছিল বর্তমানেও আছে, দিনদিন এর প্রকোপ মহামারী আকারে বাড়ছে। খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে শ্লীলতাহানি ঘটছে দেশের সবচেয়ে নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে, ঘটছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে বাঁধনের শ্লীলতাহানি মিডিয়ায় যে তুমুল ঝড় তুলেছিল তার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ ধরণের অপকর্ম চীরতরে বিলুপ্ত হওয়াটাই সচেতন মানুষের আকাঙ্খা ছিল, কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারীদের সম্ভ্রম লুটের মহোৎসব বেড়েই চলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে প্রভাতফেরী থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসিমউদ্দিন হল শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুর রহমান জীবনের অনুসারীরা সবার সামনেই ওড়না টানে, অভিবাবকসহ ছাত্রীকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সেই আবদুর রহমান জীবনের সংগঠন ‘মুক্তবাণ সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ’ আয়োজিত নববর্ষ কনসার্টে আবারো নারীরা লাঞ্ছিত হলো, কমপক্ষে ১৫ টি মেয়েকে পুলিশ উদ্ধার করে বাড়ীতে পৌছে দেয়। শিক্ষার্থীসহ অন্য প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কনসার্ট চলাকালে পুরো এলাকার হাজার হাজার মানুষের ভিড়ের মধ্যে মেয়েরা এসে পড়লে বখাটেরা তাদের লাঞ্ছিত করে।



এর আগে গত ৩০ জানুয়ারী রাতে আনন্দমোহন কলেজের শতবর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে একদল তরুণ পুলিশ-র‌্যাব, রাজনৈতিক নেতা ও কলেজের শিক্ষকদের সামনেই পাঁচশতাধিক নারীর শ্লীলতাহানি করে। প্রত্যক্ষদর্শী এক উদ্ধারকর্মী যুবকের ভাষ্যমতে তিনি নিজেই সজ্ঞাহীন ৪০ থেকে ৫০ জন নারীকে উদ্ধার করতে দেখেছেন। অবস্থা দেখে মনে হয় নারীদের শ্লীলতাহানির হাতিয়ার হিসেবেই হয়তো ঘটা করে রাতবিরাতে কনসার্টের আয়োজন করা হয়।



সমাজে একদল মানুষ থাকে সুযোগ সন্ধানী। এরা কখনো অন্ধকারে ঘাপটি মেরে থাকে, কখনো বা জনসমুদ্রের মাঝে লুকিয়ে থাকে, সব সময়েই এদের উদ্দেশ্য নারীদের কৌমার্য হরণ। বৈশাখী উৎসব, মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী মেলা, বিভিন্ন কনসার্ট, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, বিয়ে বাড়ী সব খানেই নারীদেহ ছুঁয়ে দিতে এদের বিচরণ। যেখানেই ভীরবাট্টা, সেখানেই চলে আসে এরা, কখনো একাকী, কখনো বা সদলবলে। এদের বিচরণ পাবলিক পরীক্ষার গেটে শিক্ষার্থীদের ভীরে, এদের বিচরণ পাবলিক পরিবহণে, মোট কথা যেখানেই ভিড় আছে, আছে হুড়োহুড়ি, ধাক্কাধাক্কি, সেখানেই এরা নিঃশব্দে ঢুকে পরে। সকাল বেলা কিংবা গভীর রাতে যখন বাসগুলো ভরে ওঠে গার্মেন্টের নারী কর্মীদের ভীরে, এরা ঠিকই ঠেলে ঠুলে জায়গা করে নেয় তাদের মাঝে, চলে সুযোগের ব্যবহার, চলে হাতাহাতি।



অতীতেও এমনটি ছিল, তবে এ সম্পর্কে অভিভাবকদের ছিল সতর্ক দৃষ্টি। এ কারণে যেখানে ভিড় বেশী সেখানে মেয়েদের ভিড়তে দিতে নারাজ ছিলেন আগের যুগের মা-বাবারা। প্রায়শঃই দেখা যায় বিয়ে বাড়ীতে বর কনের বাসর যাপনের আগেই বেয়াই বেয়াইনদের বেআইনী ক্রিয়াকর্মে বিয়ে বাড়ী অশুচি হয়ে ওঠে। এ কারণে আগেকার দিনে বিয়ে বাড়ীতে মেয়েরা থাকতো অভিভাবকদের কড়া নজরে। মেলা-উৎসবে মেয়েদের যাওয়া রীতিমতো নিষিদ্ধ ছিল। সে কারনেই আগেকার দিনে নারীদের শ্লীলতাহানির সংবাদ খুবই কম শোনা যেত।



কিন্তু ইদানিং দিন বদলেছে, নারীদেরকে তাদের স্বাধীনতার কথা বলে টেনে আনা হয়েছে পুরুষের মিছিলে। অথচ যে পুরুষেরা তাদেরকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়ে পুরুষের প্রতিদ্বন্দী করে তুলেছে সেসব পুরুষেরা নারীকে নিছক যৌনসামগ্রী ছাড়া অন্যকিছুই কি ভাবে? একবার ভেবে দেখা উচিত। নারীরা যদি অন্তঃপুরে অভিভাবকদের নজরদারিতে থাকে তবে বিয়ের আগে কোন পুরুষের পক্ষেই সহজে নারীদের শিকার করা সম্ভব হয় না, তাই নারী শিকারী পুরুষেরা নারীদেরকে অন্যায়ভাবে, অনৈতিকভাবে ভোগের জন্যই মূলত রাস্তায় নামিয়ে আনে। নারী স্বাধীনতার নামে নারীদের শুধুমাত্র ব্যবসায়ে পন্যের খদ্দের ধরার টোপ হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে। ইদানিং যত বিজ্ঞাপন দেখা যায় তাতে পণ্যের গুণগাণের চেয়ে নারীদের বিশেষ কোন অঙ্গের প্রদর্শনীই বেশী গুরুত্ব পায়। সবকিছুই নারীরা দেখেন, নারীদেরকে যে সুন্দর সুন্দর কথার আড়ালে পুরুষরা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করছে হয়তো নারীরা ঠিকই বুঝেন, তবু্ও তারা জেনেশুনে বিষপান করতেই পছন্দ করেন কিনা আমার বোধগম্য নয়।



আমরা যারা এ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি তাদের সবারই উচিত এ সময় থেকে শিক্ষা নেয়া। এ সময়ের পুরুষদের নৈতিকতাবিরোধী অশ্লীল কর্মকান্ডের প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী আমরা সবাই। আমাদের সবার উচিত আমাদের এ সময় এবং আমাদের বাপ-দাদাদের সময়ের মাঝে নির্মোহ বিচার-বিশ্লেষণ করা। আমরা যারা বাবা হয়েছি, হয়েছেন যারা সন্তানের মা, সবার উচিত উদারতা, স্বাধীনতা আর সমানঅধিকারের নামে গো ধরে বসে না থেকে সুন্দর একটা সমাজ গঠনে নারীদেরকে তাদের যোগ্য মর্যাদা দেয়া। শিশুদের আমরা সবচেয়ে বেশী ভালোবাসি, তবুও তাদেরকে এমন স্বাধীনতা দেয়া পছন্দ করি না যার ফলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে গনগনে চুলোর আগুনে গিয়ে পরে, ঠিক তেমনি এমন স্বাধীনতাও আমাদের ছেলে মেয়েদের দেয়া উচিত নয় যাতে তারা মানুষরূপী হায়েনাদের শিকারে পরিণত হয়। আর যদি সন্তানদেরকে পূর্ণ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে দিতে চাই তবে অবশ্যই এসব হায়েনাদের গলে শরীয়াহ আইনের শেকল পড়াতে হবে, প্রকাশ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোন হায়েনার পক্ষেই দন্ত নখর বের করে হামলে পড়ার সাহস কখনো না হয়।



মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৩৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অত্যন্ত সময়োপযোগী লিখা। বাহবা না দিয়ে পারছিনা। তবে আমি মনে করি, আজ যা কিছু হচ্ছে এর জন্য আমরা অভিভাবকরাই বেশী দায়ী। তাদের অসচেতনতা, অজ্ঞানতার ফসল এই ঘুঁনে ধরা সমাজ। সম অধিকারের আন্দোলনে নেমে অনেক মেয়েই হারিয়ে যাচ্ছে অন্ধকার জগতে, কিন্তু তারাও ভুলে যায়, স্বাধীনতা পাওয়া মানেই, নিজের সীমাবদ্ধতাকে ভুলে যাওয়া নয়। যে অভিভাবক রাত করে তার মেয়েকে কনসার্টে যেতে দেয় তাদের ধিক্কার জানাই। দয়া করে, কোন কারণের দোহাই দেবেননা, ওগুলো রেখে দিন আপনার সন্তানের (মেয়ে) জীবনের অপ্রত্যাশিত কোন দুর্ঘটনার জন্য। তথাকথিত আধুনিকতাকে আমি কখনোই মানতে পারিনি, আজও পারিনা। সেখানে আমি কেবল ধ্বংসই দেখেছি। মাফ করবেন, কিন্তু আমি মনে করি আমরা বাঙালী জাতি, আজও স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারিনি। কারো ভালো মানুষীকে ভন্ডামী আর নষ্টামীকে "ব্যাপার না" বলতে আমার দ্বিধা হয়। লিখার জন্য ধন্যবাদ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৫০

একটু.. বলেছেন: - আমরা জ্ঞান অর্জন করতে থাকি।

আমাদের বাবা-মারা ডিশের লাইন ঘরে এনে দেশী গার্লের বিদেশী দেহ দেখিয়ে ছেলেদের সুড়সুড়ি দিচ্ছে। আমাদের লাক্স বিউটি শোতে বিন্দু আর মমরা শাড়ী বাঁকা করে পড়ে এসে আমাদের মনে ঢেউ তুলছে, কার কোমর কত বাঁকা সে হিসাব করে তাদের এসএমএস পাঠাতে বলছে। আমাদের বেরাদর ফারুকি ফাঁকা আপ্যার্টমেন্ট আর নৌকাতে লীলাখেলা করবার আইডিয়া আমাদের মাথায় ঢোকাচ্ছে। আমাদের বিজ্ঞাপন দেখে বোঝাই যায়না কী বিক্রি হবে গ্রামীন ফোনের সিম না একটা গ্রাম্য নারী? আড়ং এর দুধ না নারীর? আমাদের নগর বাউল গান বেঁধে জানায় একা চুমকি পথে নামলে তার পিছু নেয়াই রীতি।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৩৭

নন্দনপুরী বলেছেন:
প্রকাশ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোন হায়েনার পক্ষেই দন্ত নখর বের করে হামলে পড়ার সাহস কখনো না হয়।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৫২

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: ঢাকা শহরে অনেক কনসার্ট হয়েছে যেখানে সবাই ভালভাবে কনসার্ট উপভোগ করেছে। আমার মনে হয়, দোষ কনসার্টের না, দোষ কিছু সুযোগ সন্ধানী নিচুমনের মানুষের- এরা সবসময় সুযোগের সন্ধানে থাকে। ভীড়ের মাঝে মেয়েদের গায়ে হাত দেয়। যেমন, মার্কেটের ভীড়ে, বাস বা ট্যাম্পুতে ভীড়ের মাঝে এজাতীয় ঘটনা বেশী ঘটে। কিন্তু তীব্র আকার ধারণ করতে পারে না। এককভাবে কনসার্টের উপর দোষ দেয়া বোকামী। বরং সবাই মিলে এজাতীয় সুযোগ সন্ধানী মানুষদের সম্মিলিত ভাবে প্রতিরোধ করি।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৫৮

কাঠুরিয়া. বলেছেন: ইফতেখার ভূইয়া
আনন্দ করার অধিকার শুধুমাত্র পুরুষের-ই যদি হয়ে থাকে, তাহলে এসব অনুষ্ঠানে ঘোষনা দিয়ে দেন "শুধু মাত্র পুরুষের জন্য" ।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:০৯

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: হা দুর আকাশের নীল তারা আপনার সাথে আমি সহমত। খালি কনসার্টের দোষ দিলে হবে না। মার্কেটেও আমি দেখি একদল ছেলে গায়ে হাত দেয়ার জন্য ই মার্কেটে আসে। বাসেও থাকে, স্কুল কলেজের সামনে থাকে। সব যায়গায় তো আর যাওয়া বন্ধ করা যাবে না। আমি মার্কেটে দেখেছি ছোট দশ বছরের ছেলে সে একটা মেয়েকে টোকা মেরে চলে যাচ্ছে। মেয়েটা চিন্তাই করতে পারেনি কোনো ছোট ছেলে এই কাজ করেছে। সে এদিক ওদিক খুজতে থাকলো কে এমন কোরলো। আমি গিয়ে ঐ পিচ্চি কে চটাস করে এক থাপ্পড় মারলাম। কি আর করব?? এত ছোট বয়স থেকেই এরা এগুলা শিক্ষা পেয়ে যাচ্ছে। কি করবে এরা? ঐ পিচ্চি ছেলে দেখলাম কোনো এক দোকানের কাস্টমার ডাকার কাজ করে। ঐ দোকানের লোক জন ও দেখি তামাশা দেখে হাসছে। আমি গিয়ে ঐ দোকানের লোক জনকে বললাম এগুলা কি?? ওরা হাসতে থাকলো।পিচ্চিটাও বীরের মত হাসতে শুরু করল। যেন জয়ী সেই হয়েছে। তামাশা আরো জমতে থাকলো। কি করা যায় এই অবস্থায়?? সব কিছু কি এই নষ্টদের অধিকারে চলে যাবে??

১১ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৪৪

একটু.. বলেছেন: এদের বধদয় হওয়া দরকার
+

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:১৫

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: Click This Link
বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডের সাথে জেতার পর এটা আমি লিখেছিলাম। পারলে পড়ে দেখবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৫২

একটু.. বলেছেন: আমাদের আইনে ব্যভিচারের শাস্তি নেই বরং ব্যভিচারে বাধা দিলে তার শাস্তি আছে! যে রাষ্ট্র বিয়ে করে শরীরের জ্বালা মেটালে জেলে পুরবে সেই রাষ্ট্র বিয়ে না করে একই কাজ করলে চোখ বন্ধ করে থাকবে!

এবার দ্বিতীয় আসামী – সমাজ। ধরা যাক একটা ছেলের বয়স একুশ বছর, সে কি বিয়ে করতে পারবে? তার বাবা-মা বলবে পড়াশোনা শেষ কর। তারপর চাকরি কর, তারপর চাকরি করে কিছু টাকা জমাও – তারপর? হ্যা, এবার বিয়ে করলেও করতে পারো। স্কুল-কলেজ আর ইউনিভার্সিটির সতের বছরের (সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হলে বিশ) পড়াশোনা শেষ করে অন্তত পাঁচ বছর চাকরি করার পর একটা ছেলের বয়স হয় ত্রিশ। ঝরণা যেমন বসে থাকেনা তেমন যৌবনও বসে থাকেনি। একটু ডিস্কো টাইপের হলে আসল নারীদেহের স্বাদ পাওয়া হয়ে যায় এর মধ্যেই। অল্প কয়টা পয়সা দিলে গার্মেন্টসের মেসে থাকতে দেয় দু’ঘন্টা। আর তপ্ত যৌবন নিয়ে আমার ব্যাকুল বান্ধবীরা তো আছেই।

হাবলা বা অপেক্ষাকৃত সৎ টাইপের ছেলেগুলোর ভরসা এক্স মার্কা ছবি আর লক্ষ লক্ষ পর্নসাইট। মনে মনে কবিতা আওড়ায় – ‘থাকিতে হস্ত কেন হওয়া নারীর দারস্থ?’ বাবা-মা বেশ জানেন ছেলে বাথরুমে গিয়ে কী করে, দরজা লাগিয়ে কম্পিউটারে কী দেখে। তবু উট পাখির মত বালিতে চোখ গুঁজে থেকে বলেন – ‘এ বয়সের দোষ’। আচ্ছা বয়সের দোষে ছেলেটা যদি ভার্চুয়াল জগতের কাজগুলো আসল জগতে করতে চায় তাহলে সবার এত আপত্তি কেন?

আমাদের কালের কন্ঠ পত্রিকা আধাপাতা জুড়ে জোলি-বিপাশার ছবি ছেপে যৌনাবেদনের স্ট্যান্ডার্ড ঠিক করে দিচ্ছে। আমাদের প্রথম আলো বিতর্ক উৎসবের নামে অনেক কটা মেয়েকে আমার বয়’স স্কুলে এনে ঢোকাচ্ছে আমাদের চেনা-পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য, সন্ধ্যায় একটা ব্যান্ড শোও আয়োজন করে দিচ্ছে একটু কাছাকাছি হবার জন্য। আমাদের ব্র্যাক ভার্সিটি টার্কের নামে ছেলে-মেয়েদের পাশের বিল্ডিং-এ রাখছে, প্রমের নামে ছেলে-মেয়ে একসাথে নাচতে বাধ্য করছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষক হুআজাদ বইয়ে প্রশ্ন করেন একটা মেয়েকে ঘরে আনলে কী হয়? কনডম আছে, পিল আছে; পেট না বাঁধলেই হল। খারাপ কাজ কর, কিন্তু সমাজ যেন না জানে। আমাদের মুক্তমনা সোশ্যাল ডারউনিস্টরা তত্ত্ব শেখায় ধর্ষণে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়ে। এটা তাই মনুষ্য জাতের টিকে থাকার পক্ষে সহায়ক!

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:১৬

বেনামে ব্লগাই বলেছেন: মেয়েদের আরো সাবধান হওয়া উচিত. তারচেয়ে বেশি দরকার অভিভাবকদের সচেতন হওয়া. বখাটেরা এমন অশোভন আচরন করবেই এদের কখনই নির্মূল করতে পারবেন না । এখন যার ক্ষতি হয় তাকেই সাবধান হতে হবে. আপনার কাছে একটা দামি কিছু থাকলে তা আপনাকে হেফাজত করতে হবে. এর জন্য যে রকম প্রটেকশন দরকার তা নিতে হবে. আপনি যদি এটা উন্মুক্ত কোন স্থানে রেখে দেন আর কেউ তা চুরি করলে চোর কে দোষ দেন তাহলে দোষ দিতে পারবেন কিন্তু আপনার মূল্যবান জিনিসটা রক্ষা করতে পারবেন না. তাই সবার আগে দরকার সচেতনতা এবং অনুধাবন. কান্ডজ্ঞানহীনের মত অন্ধঅনুকরণ করে শরীর দেখনো কে যদি আধুনিকতার মাপ কাঠি ধরে নেয় তাহলে দিন দিন অবস্থা আরো খারাপের দিকেই যাবে. অধুনিকতার নামে বর্তমান মেয়েরা যা করছে তা কাম্য নয়.

আর ঐসব হায়নাদের যথোপযুক্ত শাস্তি না হওয়া, রাজনৈতিক প্রটেকশন এইসব ঘটনার জন্য অনেকাংশে দায়ী.

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫

এখনই সময় বলেছেন: আওয়ামীলিগের রাজনীতি আর নারী লম্পট্যা এক সাথে গাথা।

৭১ সালেই উনারা কলকাতার পার্কষ্ট্রীটে বহু নারী নিয়ে লাম্পট্য করে ক্ষ্যতিমান হয়েছেন।
এই সব কথা ফাস হবার ভয়েই জহির রাহয়ানের মত মানুষকে দুনিয়া থাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪৮

রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: @বেনামে ব্লগাই মার্কেটে বা ইভেন কনসার্টে আমি ভদ্র পোষাক পরা বেশির ভাগকেই দেখেছি। ধানমন্ডির রবিন্দ্র সরোবরে নববর্ষের কনসার্টে গত বছর শত শত মেয়ে এসেছিল। বেশির ভাগই শাড়ি পরা। আমি সেখানে ও দেখতে পাচ্ছিলাম কিছু বখাটে ছেলে হাটা চলার সময় ভিবিন্নভাবে ধাক্কা দিচ্ছে, কাছে গিয়ে গায়ের সাথে লেগে বসার চেষ্টা করছে বা দারানোর চেষ্টা করছে। আপনি ই বলুন েখন ঐ মেয়েগুলা কি করবে?? এই মেয়েগুলা কি আধুনিকতার নামে শরীর দেখাচ্ছিলো?? আপনার সলিউশন কি?? মেয়েরা তাহলে বৈশাখি উতসবে যাবে না??

১১ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৪৯

একটু.. বলেছেন: যে ভদ্রলোকটা টকশো আর পত্রিকায় বিবৃতি দেয় ইভ টিজিং এর বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার তার ভন্ডামির মুখোশে আমি থুতু দেই। আমি থুতু দেই সেই সমাজপতির নষ্টামিতে যে একটা বেকার ছেলের একটা কাজের ব্যবস্থা করেনা যাতে সে একটা বিয়ে করতে পারে; কিন্তু তাকে বখাটে ছেলের তকমা লাগিয়ে জমি আর রাজপথ দখলের কাজে লাগায়। আমি থুতু দেই এই সমাজের মুখে যা আমার পুরুষত্ব প্রাপ্তির পরের পনের বছরের পুরোটা সময় ধরে এডাম টিজিং করে আজ আমাকে ইভ টিজার বানিয়েছে।

আইন করে, ‘জনমত’ গঠন করে ইভ টিজিং বন্ধ করা যায়নি, যাবেওনা। সেক্যুলার না মানুষকে মুসলিম হতে শেখাতে হবে। এত কষ্ট করে আইন না বানিয়ে আল্লাহ যে আইন দিয়েছেন তা মেনে নিতে হবে। ইভ টিজিং কেন বাংলাদেশ সব পৃথিবীর সব দেশের সব মানুষের সব সমস্যার একটাই ম্যাজিক বুলেট আছে – ইসলাম। আমার মেয়েকে ইভ টিজিং এর হাত থেকে বাঁচাতে চাইলে হিজাব পরাই, মুসলিমাহ বানাই। সমাজকে রক্ষা করতে চাইলে আমার ছেলেকে চোখ নামিয়ে চলতে শেখাই, মুসলিম হতে শেখাই, তাড়াতাড়ি বিয়ে দেই।

ইসলামের বাঁধন দিয়ে মানুষের ভিতরের পশুটাকে বেঁধে না রাখলে আমাদের সমাজ ঐ অজগরের মত মরে যাবে। নিশ্চিত যাবে। অবধারিত যাবে।

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:৫৭

বেনামে ব্লগাই বলেছেন: @আলবার্ট_আইনস্টাইন এবং রূপকথার রাজকন্যা: যারা শালীন থাকে তাদের কথা বলিনি. শালীন পোশাক পড়ার পরও এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে. এসব ঘটনা অবশ্যই দুক্ষজনক.

তবে এটা তো স্বীকার করবেন নাকি যে অশালীন হলেই এইসব অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাব্যতা বেশি থাকে.

@আলবার্ট_আইনস্টাইন : যার পকেটে টাকা আছে তার কি সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার নাই???? আপনি পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে গভীররাতে অন্ধকার রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরলে কিছুটা দোষ কি আপনার উপর একদমই যায়না???

টাকা গেল যখন আপনারই যাবে তখন একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে দোষ কি???

হ্যা এটা ঠিক সাবধানতা অবলম্বন করার পরও এরকম ঘটনা ঘটতে পারে কিন্তু তার সম্ভাব্যতা অসাবধান অবস্থার থেকে অনেক কম থাকে.

ধন্যবাদ.

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:২৮

১১স্টার বলেছেন: ঘুনে ধরা সমাজ।

মালয়েশিয়াতে বড় বড় অনুষ্ঠানে দেখেছি মধ্য রাতে প্রেমিকযুগল অথবা বান্ধবীদের সাথে ভিষন পরিচ্ছন্ন আনন্দ করছে কিন্তু অপ্রীতিকর কোন ঘটনা চোখে পড়ে নাই।

তাই বলছিলাম যে সব মনমানষিকতার ব্যাপার।

১১ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৫৩

একটু.. বলেছেন: ছোটবেলায় “না-মানুষী বিশ্বকোষ” নামে একটা বই আমার খুব প্রিয় ছিল – প্রাণী জগতের মজার মজার সব তথ্য আর ছবিতে ঠাসা। সে বইয়ের একটা ছবি আমার এখনো চোখে ভাসে – এক অজগর একটা বিশাল বন বরাহকে মুখে ঢুকিয়ে দিয়েছে, আস্ত। সাপ যাই খায় সেটার মাথা আগে গিলে, তারপর শরীরের আর বাকি অংশ। এখন অজগরটা গেলার সময় বুঝতে পারেনি শুকরটা এত বড়। কিছুটা গেলার পর সে এখন আর বাকি অংশটা গিলতেও পারছেনা, বেরও করতে পারছেনা – এসব ক্ষেত্রে বেশিভাগ সময় অজগরটা মারা যায়। যদি অনেক কষ্টে-সৃষ্টে সে শিকারটা গিলে ফেলতেও পারে তবুও অজগরটা খুবই অসহায় হয়ে যায়। মানুষ তাকে পিটিয়ে মারে বা অন্যান্য বড় পশু তাকে আঁচড়ে-কামড়ে শেষ করে ফেলে – সে গলায় খাবার নিয়ে অসহায় ভাবে দেখে, রা-টি কাড়তে পারেনা।

১২| ২৮ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:৩০

জারনো বলেছেন:
চলার পথ বড় বন্ধুর। কাটা ফুটতেই পারে। সাবধানতার মার নেই। নিজে সতেচন হোন, কর্দমক্ততা, উচ্ছিষ্ট, ময়লা আবর্জনা বাচিয়ে চলুন। পথের উপর দোষ চাপিয়ে সব সময় নিজেকে রক্ষা করা যায়না। পৃথিবীতে মানুষ যেমন আছে তেমনি আছে অমানুষ, তাই নৈতিকতা ও অনৈতিকতার সবস্থান অস্বীকার করার উপায় নাই। সাবধানতার মার নেই। সচেতন হোন নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করুন। সবার কাছ থেকে নৈতিকতা, মানবতা আশা করা বাতুলতা। বাস্তবতায় আসুন, সুস্থ্য থাকুন, সুন্দরে বাঁচুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.