![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকারি চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের একটি ফ্লোর দখল করে ২৬ জন ছাত্র অবৈধভাবে থাকছেন। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এই কলেজে অধ্যয়নরত সাড়ে তিন শ ছাত্রী। ছাত্রী হোস্টেলে ছাত্রদের থাকা এবং সীমাহীন অব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনেও তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। হোস্টেলের ছাত্রীরা আরো অভিযোগ করেছেন, হোস্টেলটি রাতের বেলায় একেবারেই অরক্ষিত থাকে। এ সময় দায়িত্বশীল কাউকেই হোস্টেলে পাওয়া যায় না। জানা যায়, নার্সিং কলেজে অধ্যক্ষসহ ১৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। কলেজের বিএসসি কোর্সে পাঁচটি ব্যাচে মোট ৩৭২ জন অধ্যয়ন করছেন, এর মধ্যে ৩০ জন ছেলে। এ ছাড়া দুটি ব্যাচে ধাত্রীবিদ্যা কোর্সে ৩৮ জন ছাত্রী পড়াশোনা করছেন। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন শ ছাত্রী হোস্টেলে থাকেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজ স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তানসির আহমেদ বলেন, ‘তিন বছর ধরে আবেদন করার পরও ছাত্রদের হোস্টেলের ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কারণে আমরা কয়েকজন বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত ভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থান নিই। বিকল্প ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আমরা এখানেই থাকব।’
তানসির ছাড়া আর যাঁরা ছাত্রী হোস্টেলে থাকছেন তাঁরা হলেন আলী রেজা, আবদুল খালেক, নুরুল ইসলাম, আবদুস সালাম, রাজিবুল হাসান, হাসিমুর ইসলাম, শফিউল আজম, মাহমুদুল ইসলাম, ওমর ফারুক, আমান উল্লাহ, রিয়াদ আলম, কামরুল ইসলাম, মাসুম রাব্বানী, অনুপ সিকদার, তামজীদ মোল্লা, খালিদ হাসান, আবদুর রাজ্জাক, মোর্শেদুল আলম, ইউসুফ, মিজানু রহমান, নুরুদ্দিন, আবদুল ওয়াদুদ, আসিফুজ্জামান খান, সাইফুল ইসলাম ও সোহেল রানা। তাঁরা সবাই নার্সিং কলেজের তৃতীয় থেকে সপ্তম ব্যাচের ছাত্র।
জানা গেছে, হোস্টেলে ওঠার পর ২৩ জুন কলেজ অধ্যক্ষের কাছে বৈধভাবে থাকতে চেয়ে এই ২৬ জন একটি আবেদন করেন; যদিও অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম সেই আবেদন গ্রহণ করেননি।
হোস্টেলের হাউসকিপার আক্তার উন নাহার চৌধুরী বলেন, ‘কলেজের চারতলাবিশিষ্ট পুরনো একাডেমিক ও ছাত্রী হোস্টেলের পরিত্যক্ত ভবনে দুই সপ্তাহ ধরে ছাত্ররা থাকছেন। ভবনটিতে এক বছর আগেও ক্লাস হয়েছিল। হোস্টেলের অন্য তিনটি ভবনে ছাত্রীরা থাকছেন। তবে এখনো ছাত্রীদের নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা হয়নি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রী জানান, হোস্টেলে ছাত্ররা থাকা শুরু করার পর থেকে তাঁদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। রাতে একজন গার্ড (প্রহরী) ছাড়া হোস্টেলে কেউই থাকেন না। অথচ হাউসকিপার ও হোম সিস্টারের সার্বক্ষণিক থাকার কথা। এই দুই পদে দুজন দায়িত্বে থাকলেও তাঁরা রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত আসেন না। কোয়ার্টার বরাদ্দ না থাকায় হাউসকিপার ও হোম সিস্টার পরিবার নিয়ে বাইরে থাকেন বলে অধ্যক্ষ জানান। ফলে রাতের ছাত্রী হোস্টেল অরক্ষিত থাকে।
ছাত্ররা জোরপূর্বক ছাত্রী হোস্টেলে থাকছে এ কথা স্বীকার করে চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিএসসিতে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে। ছাত্রদের জন্য কোনো হোস্টেল নেই। ছাত্ররা বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। গত ২০ জুন নগরীতে জলাবদ্ধতার সময় ছাত্রী হোস্টেলের পরিত্যক্ত একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় কয়েকজন ছাত্র থাকা শুরু করে। পানি কমার পর তারা চলে যাবে বললেও দুই সপ্তাহ ধরে তারা সেখান থেকে সরছে না। গত ২৫ জুন নোটিশও দিয়েছি। বিষয়টি স্থানীয় পাঁচলাইশ থানার ওসি, চমেক হাসপাতালের পরিচালক, সেবা পরিদপ্তরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।’
উৎসঃ কালের কণ্ঠ
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৬
জহিরুল লাইভ বলেছেন: কি বাজে অবস্থা , আমরা এই অবস্থার তীব্র নিন্দা জানাই। আশু সমাধান চাই।