নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রচলিত বর্বর ইসলামী আইন এবং অপরিপক্ক গাধার মূলা ইসলামী অর্থনীতি-২

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৮

প্রথম পর্ব

ছোটবেলা থেকে কিছু কিছু চরিত্র আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিলো। গ্যাব্রিয়েলের অরলিয়েনো বুয়েন্দিয়া, সমরেশের অনিমেষ অথবা ব্রিটিশ আন্দোলের অমর সুভাস। মন চাইতো এরকম একটা কিছু করা দরকার এই সমাজটাকে বদলাবার জন্য। ছোটখাটো পরিবর্তন বা পজিটিভ জিনিসগুলো দেখে মনে হতো একদিন, হয়তো একদিন পরিবর্তন আসবে। সমাজে বিরাজ করবে সকলের সাম্যাবস্হা। প্রধানমন্ত্রি যদি চুরি করে পুলিশ তাকে ঘাড়ে ধরে জেলে ভরবে, অনাহারী মুখে উঠবে আহার।

অথচ এখন দেখি ঢাকার রাস্তায় হামার, মাসল কার, ল্যাম্বরগিনি, ফেরারী রেসিং কার আরেকদিকে দেখি পার্কের আধারে মাত্র ১০ টাকায় কোনো কিশোরী তার শরীর প্রতিদিন ১০ বার, ১৫ বার বিক্রি করছে অথবা ছোট ছোট শিশুরা ময়লার ভাগাড়ে খুজছে খাবার। আর ওদিকে দেশকে ঠিক করে দেবার স্বপ্ন নিয়ে ব্যাবসা করছে রাজনীতিবিদ, ধর্মব্যাবসায়ী স হ কিছু কুমীর কখনো পুরোনো যুগের বাতিল কম্যুনিজমের নামে অথবা প্রচলিত বর্বর ইসলামের নামে অথবা তথাকথিত গায়ের জোরে বানানো জাতীয় নেতার নামে।

অথচ ইউরোপ আমেরিকা সহ বহুদেশ যাদের অনেকের তেল বা গ্যাসের কোনো খনি বা মজুদ নেই সেসব দেশে এমন সিস্টেম গড়ে তুলেছে যে বিশাল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক যদি দামী স্পোর্টস কার কিনতে পারে তাহলে তার কোম্পানীর সামান্য কেরানীও একটা ভিলা বাড়ী অথবা বিএমডব্লু কিনতে পারে। অথবা বার্গার কিং এর সামান্য একটা ওয়েটার স্বপ্ন দেখতে পারে সামার হাউজ টা হবে বাল্টিক সাগরের কোনো ন্যুড বীচের পাশে অথবা রাইন নদীর ধারে। আমাদের শৈশবের লালিত স্বপ্নের দেশের মডেলটি যেন এসব দেশেই করে দেখিয়েছে যেখানে ওদের ধর্ম বা কোনো তথাকথিত নেতার দেখানো বড় বড় আদর্শের ফাকা বুলি অথবা স্বৈরততন্ত্রের আশ্রয় নিতে হয়নি, নিতে হয়েছে বিজ্ঞানের, শুধুই বিজ্ঞানের।

ইসলাম শান্তির ধর্ম হলেও মডারেট হবার কোনো স্হান নেই। যারা মডারেট ইসলামের কথা বলে তারা অনেক ফাক ফোকর খুজে এটা বলেন। কিন্তু আপনি যদি হাদিস কোরানের কথাগুলো খুব ভালো ভাবে পড়েন তাহলে বলতে দ্বীধা নেই আশপাশের অন্যান্য ধর্ম থেকে ইসলাম ভালো কিছু অপশন দিলেও আধুনিক যুগে মানুষ যখন ধর্মের খোলস খুলে বেরিয়ে নিজস্ব ধ্যান ধারনাকে কাজে লাগিয়ে জীবন যাপন করছে সেখানে ইসলাম অনেকাংশে অপাংক্তেয় হয়ে যাচ্ছে।

আর তাই দেখেন প্রকান্ড ধার্মিক মুসলিম যারা তাদের মধ্যে নিজস্ব গুনা গুন খুবই প্রকট:

১) প্রচন্ড রকমের হিপোক্রেট এবং মেয়েলোভী হয়। তাদের ফেসবুকে গেলে দেখবেন মেয়েদের যৌনতানির্ভর পেজে অনেক লাইক, ফ্রেন্ড লিস্টে অনেক মেয়ে যার অধিকাংশ ফেক আইডি।
২) এরা পর্ন ইনসে্ট লাভার এবং অনেক মাদ্রাসার পোলাপন সমকামী হয়ে যায়। অনেক হুজুর গেলমানের স্বপ্নে বিভোর হয়ে নিয়মিত মাদ্রাসায় অবৈধ যৌনচর্চা করে। যার প্রমান চট্টগ্রাম, হাট হাজারী, কক্সবাজার, সিলেট স হ বিভিন্ন জায়গার মাদ্রাসাগুলোতে।
৩) এদের মুখ এতটাই খারাপ যে মাঝে মাঝে ভাবতে দ্বীধা হয় এদের শৈশবে এরা কি জ্ঞান পেয়েছে।
৪) জেনে শুনেই হোক বা নিজের নির্বুদ্ধিতায় হোক এরা হাদিস কোরানের ব্যাখ্যা নিজের মতো দেয় এবং যখন কোনো কোটেশন দেয় তার আংশিক বর্ননা করে নিজের পক্ষে নেয়। আগে পরের হাদিস বা কোরানের আয়াতকে এরা অব হেলা করে। এমনকি নিজেদের স্বার্থে এরা আধুনিক শিক্ষা এবং বিজ্ঞানকে নিজেদের প্রতিপক্ষ করে কিন্তু নিজের ছেলেকে ঠিকই স্কুলে পাঠায় অথবা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় নিজের মেয়ে বা স্ত্রীকে মাদ্রাসা এবং হোমোপ্যাথী বা পানি পড়ার দ্বারস্হ হয়।

যাই হোক এগুলো কেন হচ্ছে কি হচ্ছে সেটা এই পোস্টের বিষয় না, বিষয় হলো ইসলামী অর্থনীতি।

অনেকেই ইসলামী অর্থনীতি নিয়ে দিবাস্বপ্নে বিভোর থাকেন কিন্তু তাদেরকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় কোরানে যাকাতের ব্যাপারে কি বলা আছে তাহলে সে আন্দাজে কথা বলবে। কোরানে যাকাতের ব্যাপারে শুধু আদায় করতে বলা আছে কিন্তু যাকাতের পরিমান কি হবে কিভাবে আদায় করবে সেটা বলা নাই। এর জন্য হাদিসের সাক্ষ্য নেয়া হয়। যাই কোরান বুঝতে হলে হাদিস দরকার এটা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই।

সুদ হীন অর্থনীতি ইসলামের একটা অবদান এবং এটা একটা বিকল্প ব্যাবস্হা যেটা দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হলো এই সুদবিহীন অর্থনীতিকে বর্তমান ডাইনামিক অর্থনীতিতে খাপ খাওয়ানোর জন্য কতটুকু উপযোগী করা হয়েছে সেটা নিয়ে কি কেউ ভেবে দেখেছে? এখনও ইসলামী অর্থনীতি এৎাই অপরিপক্ক যে ইরানের মতো খনিজ সম্পদ নির্ভর দেশ যদি জাতীসংঘের কোনো সাংশন নাও থাকতো তাহলেও অর্থনীতি একসময় ডুবে যেতো। এবং সেই ডুবন্ত অর্থনীতিকে বাচাতে তাদেরকে কালোবাজারী করতে হতোই।

আসুন ইসলামী অর্থিনীতি কেন ক্ষতিকর সেটা নিয়ে কথা বলি। আগেই বলে রাখি সুদবিহীন অর্থনীতি একটা অসাধারন কনসেপ্ট যার কোনো তুলনা হয় না কিন্তু সমস্যা হলো বর্তমান অর্থনীতি এতটাই ডাইনামিক যে ইসলামিক অর্থনীতিকে এইসময়ের উপযোগী করতে ব্যার্থ হয়েছে কাঠামোল্লারা।

প্রশ্ন নম্বর ১: বর্তমান ইসলামী অর্থনীতিতে আসলেই কি সুদ নেই?

১) ইসলামে সুদের কোনো স্হান নেই। কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপারগুলো আপনাদের কনসিডারেশনে ছেড়ে দিলাম এবং ইহা অবশ্যই উল্লেখ্য এসব টার্ম কোরান হাদিসে নেই আমাদের তথাকথিত শিক্ষিতভাবধারী অশিক্ষিত আলেমরাই এটা তৈরী করেছে।

সুদ নিষিদ্ধ বলে ইসলামে লাভ ক্ষতির হিসাব দুই পক্ষই ভাগাভাগি করার নিয়ম আছে। এটাই মূল ভিত্তি ধরা যায়। মুদরাবা অনুসারে যে ইনভেস্টর সে ধরেন আপনাকে লোন দিলো এই বলে যে আপনি লাভ করলে এর একটা অংশ আপনি পাবেন। কিন্তু আপনি যদি লস করেন তাহলে ইনভেস্টর হারাবে তার টাকা আর যে ঋণ গ্রহিতা সে হারাবে তার সময় আর শ্রম। এটাকে বলা যায় সীমিত অংশীদারিত্ব। মুশরাকা অনুসারে ব্যাবসায়ে সকল অংশীদার লাভ বা ক্ষতির অংশীদারীত্বে ব্যাবসা করবেন। কিন্তু যেখানে অংশীদারিত্বের ব্যাপারটা আসে না যেমন ব্যাংকিং সিস্টেম, রাস্ট্রায়াত্ত ক্ষুদ্র ঋণ ইত্যাদি সেখানে একটা মার্জিনাল ব্যাপার ধরা হয়। এই কাজটা করা হয় মুরাবাহা আর ইজারার মাধ্যমে। (মালয়েশিয়াতে এটা বাই বিথামান আজিল নামে পরিচিত যেখানে মুরাবাহার মতো ইনস্টলম্যান্টের কোনো সিস্টেম নাই, একবারে টাকা নিয়া খেল খতম করে। ব্যাংক কোনো রিস্কে যায় না। যদি জমি বাধে ভাইঙ্গা নিয়া যায় তখন ব্যাংক আসে আরেক কাহিনী করতে।)
মুরাবাহা হলো ব্যাংক ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে পুরো প্রতিষ্ঠান বা সম্পত্তি কিনে নেয় এবং ওর যখন বাজারে দাম ওঠে তখন চড়া দামে বিক্রি করা হয় ক্লায়েন্টের কাছে এবং হিসাব ক্লিয়ার করা হয়। ক্লায়েন্ট সেটা ইনস্টলমেন্টে কিনে নেয়।
ইজারা হলো সম্পত্তিটা ব্যাংকের সম্পত্তি। তো ব্যাংক আগে থেকেই লাভের হিসাব করে সে হিসাবে নির্দিষ্ট সময়ে কারো কাছে ভাড়া দেয়া হয়। ঐ নির্দিষ্ট সময় পর এটা ঐ ক্লায়েন্টের কাছে হস্তান্তর হতেও পারে নাও পারে।

কিন্তু এখানে সমস্যা আছে:

ক) মুরাবাহা সিস্টেমটা আবারও পড়েন। ব্যাংক কিন্তু সুদ নিচ্ছে না, কিন্তু ব্যাংকের ক্ষতিও হচ্ছে না। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আছে বলেই সর্বদা সবকিছুর দাম বাড়ছে এবং চাহিদার বিপরীতে ক্রেতার কেনার সক্ষমতা আছে। কিন্তু সম্পদের বিপরীতে চাহিদা বিপুল হওয়াতে একটা রিস্ক ফ্যাক্টর থেকে যায় এবং অনেক কারনেই অনেক ব্যাবসা লস হয়।

তার মানে ব্যাংক এখানে কখনোই লস করবে না। উপরন্ত ঋণ গ্রহিতা যদি লস খায় তাহলে ব্যংক এখানে সম্পত্তির মালিক হয়ে যায়। প্রকারান্তরে বর্তমানে যে সুদী ব্যাবস্হা যেখানে আপনি সুদ দিতে না পারলে আপনার চক্রবৃদ্ধি হারে তা বেড়ে যাবে এবং আপনি ওটাও না দিতে পারলে একসময় ব্যাংক ক্রোক করে তা নিলামে উঠিয়ে সে টাকা নিয়ে নেবে। দেখেনতো জিনিসটার মৌলিক কোনো পার্থক্য আছে কিনা?

এর ফলে দুটো সমস্যা উদ্ভূত হয়। যদি কোনো একটা দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বা অর্থকরী কোনো বিশাল মজুদ না থাকে তাহলে সে দেশে শুধু টাকার বিনিময়ে ব্যাংকগুলো মানুষের নন প্রোডাক্টিভ কাজের জন্য সবকিছুর মালিক হয়ে যাবে। যদি ব্যাংকগুলো সরকারী হয় তাহলে সরকার সবকিছুর মালিক, সেক্ষেত্রে সমস্যা দেখা যাবে যদি সরকারের হাতেও পয়সা বেশী না থাকে (কারন সরকার তো সুদ খায় না) তখন সরকারের হাতে যে পয়সা থাকে সেটার আর দাম থাকে না। তার আভ্যন্তরীন মুদ্রা সংকট সামাল দিতে তাকে টাকা ছাপাতে হবে। যদি বৈদেশিক মুদ্রা সেক্ষত্রে তেমন না আসে তখন একটা অর্থনৈতিক বিপর্যয় হবে এবং মানুষের হাতে টাকা থাকা সত্বেও ন্যুনতম প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো জন গনের হাতের নাগালে চলে যাবে (ইরানে এরকম অবস্হা চলছে)।

ধরে নিলাম সরকার জাকাত ব্যাবস্হার মাধ্যমে ব্যাপারটাকে সামাল দিলো। কিন্তু জাকাত ব্যাপারটা হলো ননপ্রোডাক্টিভ। এটা এজন্য যে পশ্চিমা বিশ্বে ত্রান তহবিলের একটা বড় অংশ প্রোডাক্টিভ কাজে (যেমন পৌরসভা একটা প্রজেক্ট তৈরী করলো কাবিখা, খাবিখার মতো ইত্যাদি) ব্যাব হার করলো। কিন্তু ইসলামী শাসন দ্বারা পরিচালিত দেশে এটা সম্ভব না কারন এখানে সবকিছুর বিকেন্দ্রিকরন অসম্ভব। প্রশাসনের মধ্যেও মোল্লা গোষ্টির প্রশাসনিক ক্ষমতা আমলাতান্ত্রিক জটিলটা বাড়ায় বৈ কমায় না।

এসব সমস্যা প্রতিহত করার জন্য শুকুক নামের একটা সিস্টেম চালু করা হয় কিন্তু দুঃখের বিষয় এই শুকুকের প্রয়োগ কেবল মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই প্রচলিত যেগুলো ক্ষমতার আশেপাশে থাকা আত্মিয় স্বজনরাই সুবিধা ভোগ করছে এবং এর সাথে শরীয়ার অন্যান্য আইনের দ্বন্ধ লআছে ৮৫% ক্ষেত্রে (মাহোম্মদ টাকি উসমান, ডেপুটি চ্যায়ারম্যান ওআইসির ইসলামিক ফিকহ কাউন্সিল )

তার মানে দেখা যাচ্ছে যে ব্যাংকের মার্জিনাল হিসাবের মাধ্যমে পুরো ব্যাপারটার ফয়সালা আগেই করে নিচ্ছে মুরাবাহা আর ইজারার মাধ্যমে এখানে মূলত ব্যাংক কোনো ক্ষতির অংশীদারীত্বে যাচ্ছে না। এটা মূলট এক প্রকারের সুদ নেয়াই যেটার নামকরন একটু অন্যভাবেই করা হয়েছে।যদিও কিছু প্রখ্যাত ঘুষখোর আলেম এই সূদী ব্যাপারটাকে হালাল করার জন্য এভাবে হালকা ভাবে একটা নিয়ম করেছে যে এই সিস্টেমটা যেন কোনোভাবেই সুদ খাওয়ার অস্ত্র হিসেবে না নেয়া হয়।

সমস্যা হলো আপনে তো লাভই রাখতেছেন, জমি নদীতে ভাইঙ্গা গেলে আপনের খবর নাই বা সেই কাহিনীতেও যাইবেন না, তো আপনে এইটারে সুদ কইবেন না তো কি কইবেন?

এখন এটা নিয়ে যখন প্রচুর ঝড় ওঠে তখন আরেকটা টেকনিক রাখা হইছে সেটা অবনমিত মুশরাকা।এটার মূল কাহিনী হলো ক্লায়েন্ট আর ব্যাংক একটা সম্পত্তি কিনলো অর্ধেক অর্ধেক টাকা দিয়ে। তারপর ব্যংককে সে কিছু কিছু টাকা দিয়ে একটা সময় পুরো টাকাটা দেয়া হয়ে যাবে তখন পুরো জমির মালিক ঐ ক্লায়েন্ট। শুনতে ভালা লাগলেও কাহিনী হইলেও আপনের যে রেন্টাল ফি ঐটা ব্যাংক হিসাবই করবে তা আসল সাথে লাভের টাকা হিসাব করেই। এর সবচেয়ে বড় উদাহরন হইলো ২০০৮ সাল থেকে দুবাই ইসলামিক ব্যাংক এই ভাড়া হিসাব করে Emirates Interbank Offered Rate (EIBOR) এর ইন্টারেস্ট হিসাব করেই। তাইলে তো দেখা যাইতেছে এই সুদের কাহিনী আগে থেকেই বিল্ট ইন মাদারবোর্ডের সাউন্ড কার্ড এজিপি কার্ডের মতো সাটাই দিছে।

এখন আপনি বলতে পারেন আমি মিছা কইতেছি কারন ব্যাংকও লস খায়। এইখানে কথা হইলো শুকুক চালু করার পর ব্যাংক লস তো দূর কি বাত, খালি এগো সম্পত্তির পরিমান বাড়তেছে এমনকি অনেক মুসলিম দেশের অর্থনীতি এখন খারাপ গেলেও সেদেশের ব্যংকগুলো কিন্তু ফুলে ফেপে টই টম্বুর। তার একটা ছবি আপনাদের দিলাম নীচে।

উপরের ছবিতে দেখেন কিভাবে ব্যাংকগুলো মহীশোলে পরিণত হইছে!

এই ছবিতে দেখেন দেশের অবস্হা খারাপ কিন্তু ব্যাংকগুলো কিভাবে নব্য মহাজনে পরিণত হইছে! এবং কিছু কিছু দেশ যাদের তেল বন্ধ হইছে তারা কিভাবে ধ্বসে পড়ছে। তেলবিহীন দেশগুলো বাংলাদেশের মতোই কিন্তু তাদের বয়বস্হা এতটাই খারাপ যে চিন্তার মতো নয়!

প্রশ্ন নম্বর ২: এই জগাখিচুড়ি ইসলামী অর্থনীতি যদি বাংলাদেশে ইমপ্লিমেন্ট করা হয় তাহলে কি কি ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে!

১) ইসলামিক অর্থনীতির একটা সুন্দর বৈশিষ্ট্য হলো আপনি টাকা থেকে টাকা বাড়াতে পারবেন না এবং সেজন্যই সুদকে হারাম করা হয়েছে। এর ফলে একটা জিনিস হবার কথা ছিলো সেটা প্রোডাক্টিভ অর্থনীতি যেখানে দেশ চলবে তার আভ্যন্তরীন উৎপাদনের উপর। দেশকে প্রচন্ড ভাবে উৎপাদনমূখী করাই এর লক্ষ্য ছিলো। সে দেশে দুর্ভিক্ষ হওয়াটা অসম্ভব ব্যাপার শুধুমাত্র সামান্য এই একটা থিওরীর কারনে যেখানে সুদী ব্যাবস্হা হারাম। কিন্তু কি হচ্ছে এখন?

বর্তমান ব্যাবস্হা শুধু টাকা থেকেই টাকা বানানোর পন্হা বিদ্যমান। আমাদের দেশে যদি উপরোক্ত ইসলামিক অর্থনৈতিক ব্যাবস্হা প্রয়োগ করা হয় তাহলে যেসব ভয়াব হ পরিস্হিতিতে পড়তে পারি সেগুলো হলো:

ক) প্রথমেই মনে রাখি আমাদের দেশে মূল সম্পদ হলো বৈদেশিক মুদ্রা এবং হাতে গোনা দুয়েকটা লাভ জনক সেক্টর। দেশীয় কোনো সম্পদ দিয়ে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার কথা ভাবতে পারি না (বিশেষ করে খনিজ সম্পদ)

যারা প্রজেক্ট ম্যানেজম্যান্ট নিয়ে পড়া লেখা করেছেন তারা সবাই জানেন সারা পৃথিবীতে যতগুলো প্রজেক্ট নেয়া হয় তার প্রায় ২৮% সফলতার মুখ দেখে। বাংলাদেশে এই হার আরও কম কারন দুর্নীতি। এখন যদি এরকম দেশে যদি কালকে থেকে এরকম হাজারো হাজারো প্রজেক্টের মধ্যে বাছাই করতে বলা হয় ব্যাংককে এবং ব্যংক যদি সনাতনী পদ্ধতিতে লোন দেয়া শুরু করে শুধুমাত্র এই কথায় যে লাভ ক্ষতির অংশীদারিত্ব তাহলে সাড়ে সর্বনাশ। ব্যাংক দেউলিয়া হতে বাধ্য।

খ) মোল্লাদের হাতে প্রশাসনিক ক্ষমতার কারনে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে শুরু করে সৃজনশীল কাজ সম্পূর্নভাবে বাধাগ্রস্হ হয় এবং প্রজেক্টের দীর্ঘসূত্রিতার কারনেই স্বজনপ্রীতি এবং ক্ষমতার কেন্দ্রিকরন প্রকটভাবে অনুভূত হবে।

গ) দেশের প্রত্যন্ত অন্ঞ্চলের উন্নয়ন স্বাভাবিক ভাবেই বাধাগ্রস্হ হবে এবং নারীদের উপর প্রবল বিধিনিষেধের কারনে দেশের অর্ধেক জনশক্তি জাতীর জন্য বোঝা হয়ে যাবে। আমাদের দেশের অনেক পয়সা নাই, অনেক সম্পদ নাই, সেক্ষেত্রে এই ব্যাবস্হা একটা চরম আত্মঘাতী।

ঘ) মুদ্রা সমন্বয়ের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বর্তমান বাসিল-২ পরিত্যাগ করে সেই সনাতনী সোনা বা প্লাটিনামের হিসাবে যেতে হবে কারন ইসলামিক অর্থনীতির মূল কনসেপ্টই হলো আভ্যন্তরীন সম্পদের মজুদের উপর নির্ধারিত হার। শুধু এটা ঠিক রাখতেই এই কাজটা করতে হবে।
কিন্তু আমাদের মতো সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের দেশে এটা অসম্ভব কারন আমাদের দেশ এসব খনিজের ব্যাপারে পরনির্ভরশীল এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এসবের মূল্য এখন চরম ভাবে অস্হির। অনেকটা ইরানের মতো কন্ডিশন এজন্য যে তার তেল থেকেও লাভ নাই। তেল বিক্রি করতে পারছে না বলে পুরো দেশটা ডুবতে বসেছে। বাংলাদেশেরও তেল নেই, সে অন্যকিছু দিয়ে ওঠার চেষ্টা করতেছে পার্থক্য একটাই আমরা এই প্রচলিত বর্বর এবং ভুল ইসলামিক শাসন তন্ত্রে নাই।

ঙ) শুদুমাত্র লোন সিস্টেমটাকে ঠিক রাখার জন্য এবং বাজারের গুজব এড়ানোর জন্য ব্যাংকে জালিয়াতির আশ্রয় নিতে হয়।

চ) বর্তমানে অনলাইন বিজনেস বা ই-কমার্সের জন্য যেখানে এরকম ফিক্সড কোনো সম্পত্তি নেই সেখানে ইসলামিক অর্থনীতি তত্বগত ভাবে অক্ষম তাদের সাথে তাল মেলানোর জন্য।
এখন আপনি বলতে পারেন আমি মিছা কইতেছি কারন ব্যাংকও লস খায়। এইখানে কথা হইলো শুকুক চালু করার পর ব্যাংক লস তো দূর কি বাত, খালি এগো সম্পত্তির পরিমান বাড়তেছে এমনকি অনেক মুসলিম দেশের অর্থনীতি এখন খারাপ গেলেও সেদেশের ব্যংকগুলো কিন্তু ফুলে ফেপে টই টম্বুর। তার একটা ছবি আপনাদের দিলাম নীচে।

ছ) কৃষিক্ষেত্র যেখানে আব হাওয়ার পুরো ব্যাপারটাই ঈশ্বরের হাতে নির্ভর করবে তারা উঠতে পারে না। আর যদি অর্থনীতি যদি দ্রুত পরিবর্ধনশীল হয় সেটা দীর্ঘমেয়াদী হয় না।


যাই হোক, পোস্ট আরো বড় করবো না। কোন দেশে কি হচ্ছে সেটা আমি কমেন্টে দিয়ে দিবো। তখন দেখবেন প্রচলিত ইসলামীক অর্থনীতির ব্যাংকিং সিস্টেম কতটা নড়বড়ে এবং কপটতা পূর্ন!


*****আমি আবারো বলে রাখি আমার এই পোস্টে ইসলামের বিরুদ্ধে না, বরংচ প্রচলিত ইসলামিক সিস্টেম যেটা না হইছে ইসলামিক না হইছে আধুনিক এরকম মন গড়া সিস্টেমের সমালোচনার জন্যই! আর আমি নিজে অর্থনীতিবিদ নই। যতটুকু বুঝি সেভাবেই লিখেছি!

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৮

সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: আহাম্মক শফি ওরফে লালা হুজুরদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছেন? লালা হুজুর ছুইলে কিন্তু..............

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বুড়া মানুষ তো অখন নিজেই বুঝতেছে না। রোজার আগে কইলো তার ওয়াজ নাকি আংশিক ছাপাইছে। পরে সৌদী ঘুইরা আইসা আরেকজনরে দিয়া বলাইলো ঐটা নাকি বলেই নাই। তথ্যপ্রযুক্তি দিয়া তারে ফাসানো হইছে!

ভাই দিনে দুপুরে এমনে মিছা কথা কইলে কেমুন লাগে? আর তার চামচা গুলাতো এক কাঠি সরেস। ব্লগেই এক চামচা যদি কয় যা কইছে ঠিক কইছে আরেকজন কয় যা কইছে তার আগে পরে আরও কথা আছইলো যেগুলা কইলে তাইলে পাবলিকের বুঝতে সুবিধা হইতো!

কই যাই?

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১২

আমি রুবেল বলেছেন: দুর্নীতি এখানে একটা বড় সমস্যা, ব্যংক যদি কারো লাভলোকসানের ভাগ নেয়, তাহলে চোরেরা ব্যাঙ্কের টাকার ব্যবসা করে ফতুর হওয়ার চেষ্টা করবে। সমস্ত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণীও পরীক্ষা করা সম্ভব নয়(হলেও ব্যয়বহুল)। সমাধান জানিনা, তাই চলুক যেভাবে সুদী অর্থনীতি চলছে। তবে ঋণের সুদ নেয়ার পদ্ধতিতে পরিবর্তন মনে হয় সম্ভব(স্বল্পবুদ্ধিতে তাই মনে হয়)

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, অনেক সিস্টেম করা যায়, যেগুলা সুদরে পুরা বাদ রাইখাই করা যায়। কিন্তু কথা হইলো মাদ্রাসা পাশ পোলাপান এগুলা বাইর করবো কেন? ভার্সিটি লেভেলে এইসব গবেষনা হইলেই তো হইবো!
কিন্তু এইসব নিয়া গবেষনা করবো কেন? বিভিন্ন দেশে দেখেন মোল্লাদের সাথে ভার্সিটির প্রফেসর যারা একটু উদার বা ভিন্ন লেভেলে চিন্তা করে তাগো সরাসরি নাস্তিক বইলা থেটারিং মাইরা দেশের থিকা বাইর। নিজের দেশে তাকান, কবিতা পুরা পড়ে নাই তাতেই মোল্লারা রক্তারক্তি।

এখন এইসব শিক্ষিত এবং গবেষক লোক যদি মাইরা জেলে ভইরা রাখে আর মাদ্রাসার পেডোফাইল এবং সমকামী মর্ষকামী লেভেলের লোক যদি এই গবেষনা করে তাইলে কেমনে কি?

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: জটিল করে ফেলেছেন। সহজভাবে বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করুন। সব মাথার উপর দিয়া চলে যাচ্ছে। কয়েক লাইন পড়ার পর ধৈয্য হারিয়ে যাচ্ছে। অথবা আমার মাথা আপনার লেখা বোঝার মত ঘিলু নেই।

তবে একটা কথা, ইসলামকে আঙশিকভাবে চিন্তা করলে কোথাও এর কূল কিনারা খুজে পাবেন না্। বর্তমান এই প্রযুক্তির যুগে কোন একটা ক্ষূদ্র ভূখণ্ডে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলে ইহকাল এবঙ পরকাল নিয়ে টানাটানি শুরু হবে। একদিকে পৃথিবীতে জাতিসঙ্ঘ থাকবে আবার ইসলামী রাষ্ট্র থাকবে, ইসলামের শরিয়াহ থাকবে তা কোনভাবেই সম্ভব নয়। গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে আপনি ভাল করেই জানেন যে পৃথিবী একটা গ্রাম। সুতরাঙ এখানে দুইটি সার্বভৌমত্ব থাকতে পারে না। সৌদি এরাবিয়ানরা ইউরোপ আমেরিকা, জাতিসং্ঘ ন্যাটোকে না মেনে অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আলজেরিয়া, সাম্প্রতিক মিশর এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কোন একটা দেশ যদি আজ ইসলাম মেনে চলতে চায়, তাহলে তার দ্বারা বেশী দিন টেকা সম্ভব নয়। আল্লাহর দেওয়া দীনটা সমষ্টিগত জীবনে প্রয়োগ করার জন্য এসেছে। এতে খুব সামান্য বিষয় আছে যেটা ব্যক্তিগত বিষয়। নদীর হিস্যা নিয়ে কথা বলবেন? নদীর ব্যাপারে ল' কি? নদীকে বাধ দেয়া যাবে না। কিন্তু ইণ্ডিয়া যদি বাঙলাদেশকে পানি না দেয়, নদীতে বাধ দেয় তাহলে বাঙলাদেশের পক্ষে এক বছর টেকাও সম্ভব নয়। ইসলামকে সার্বিকভাবে চিন্তা করুন, আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিদ্বন্দী কোন জীবন ব্যবস্থার কোন প্রতিদ্বন্দী অবশিষ্ট নেই- এই শর্ত মেনে ইসলামকে চিন্তা করুন। দেখবেন খাপে খাপে মিলে যাবে। সার্বভৌমত্ব ছাড়া ইসলামের হ্জ্ব, যাকাত, যে কোন দণ্ডবিধি অর্থহীন। আমি জানি না মোল্লারা কেন ফেকাহর বই এখনো পড়ে। যে ফেকাহ প্রয়োগ করা যায় না, তা পড়ে লাভ কি? আপনি আইনজীবি হবেন না, কিন্তু কোনদিন ওকালতি করবেন না তা কি সম্ভব? এই আইন পড়ে লাভ কি? বলতে পারেন- ব্যক্তিগতভাবে মেনে চলতে সহযোগিতা হবে। কিন্তু ব্যাক্তিগতভাবে মানার জন্য এত পুঙ্খানুপুঙ্খ শেখার কোন মানে নেই। মূল কথা হোল সার্বভৗমত্ব ছাড়া ইসলামের আইন কানুন প্রয়োগ করলে কোন লাভ নেই। কাঙ্খিত শান্তি আসবে না। সার্বভৌমত্ব থাকা অবস্থায় ইসলামের যাকাত, সুদবিহীন পৃথিবী কল্পনা করার চেষ্টা করুন। অন্যথায় গণতন্ত্রের অধীনে ইসলামের কোন শরিয়াহ কন্ট্রাডিকটরিই হবে।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জটিলকরনের জন্য দুঃখিত-

একখান কথা কই। আপনেরা কিছু হইলেই আমেরিকা পশ্চিমা বিশ্বের ভয় দেখান। কিন্তু তালেবান উঠাইছে কে? ৭১ এ পাকিস্তানরে সাপোর্ট দিছে কে? লাদেনরে মারনের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের পরম বন্ধু কারা ছিলো? গাদ্দাফীরে ক্ষমতাচ্যুত করনের পর ইসলামী মূলার শয়তান মুরসীরে কে দাড়া করাইছে? এই যে মুসলিম ব্রাদারহুডের হাতে একে৪৭, মর্টার কেডা দিছে?

এখন মধ্যপ্রাচ্যে এক মুসলামানের নামে কয়টা ভাগ? তুরস্ক একদিকে ইরান আরেক দিকে সিরিয়া আরেক দিকে সৌদী আরেক দিনে। এখন সৌদী কুয়েতরে আমেরিকা সাপোর্ট দেয় বইলা ইরান পার্টির মন খারাপ। এখন যদি ইরান পার্টিরে সাপোর্ট দিয়া সৌদীরে মাইর দিতো তাইলে কি হইতো?

আমেরিকার ব্যাবসায়ী আর সম্রাজ্যবাদী জাতী। বলতে দ্বীধা নাই প্রযুক্তি তারা তৈরী করে বলেই তাদের সাথে তাল দিয়ে চললে আপনে দেশে ইসলাম কায়েম করেন কোনো সমস্যা নাই। ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়ায় তে শরীয়া আইন চালু আছে সেখানে আমেরিকা মারামারি করতেছে না কেন?

আপনের গ্রাম থিওরী এসব এখন খাটে না। সুইডেন মদ আর জুয়ার ব্যাবসা সরকার পুরো কন্ট্রোল করে। পুরো ইউরোপ মদের ব্যাবসা সরকারের নিয়ন্ত্রনের রাখার জন্য সুইডেনের উপর রাগান্বিত। আমেরিকা খোদ জুয়ার জগতে ঢুকতে পারছে না। কৈ সুইডেনরে তো আমেরিকা মারে না? কেন মারে না?

প্রতিবেশীর সাথে ভালো ব্যাব হার করা কর্তব্য। ফালতু বর্বর ইসলামিক আইন যার সাথে বিশুদ্ধ ইসলামিক আইনের কোনো সম্পর্ক নাই, যেটাকে সময়ের সাথে সাথে আপগ্রেডও করা হয় নাই এরকম একটা শাসনব্যাবস্হা কায়েম করলে দেশের জন গনই রেগে যায়। তখন এদের মন ঘুরাইতে আমেরিকার মূলা ঝুলায় যে কাজটা করছে ইরান নামের মহা শয়তান দেশ।

আজ দেখেন ফল সব হাতে নাতে।

আর ইসলামী আইন যে কায়েম করা যাবে না এই কথা বলা মাত্রই তো আপনে একটা বড় গুনাহ করে ফেললেন। যেখানে ইসলামী আইন চালু করার জন্য আল্লাহ জিহাদ করতে বলছেন সেখানে আপনি বর্তমান ভুল বর্বর ইসলামী আইনকে বাচাতে প্রকৃত ইসলামী আইনের অস্বীকৃতি দিতে চান এটা কেমন কথা ভাই?

হয় ইসলামে থাকেন নাহলে ইসলাম ত্যাগ করে ভালো একটা সিস্টেমের জন্য আন্দোলন করেন ভাই!

আর পোস্ট আরও কয়েকবার পড়েন কারন আরও হাজারো লজিক আছে যেগুলো লেখি নাই শুধু একারনেই যে পোস্ট বড় হবে আর জন গন বুঝবে না

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, হাতে নাতে একখান এক্সাম্পল লন সব্বাই!

৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪৯

রামন বলেছেন:
হলমার্কের ভুত দেখি এখন ইসলামী ব্যাঙ্কে! বিদেশীরা নাকি সুদ সহ আসল টাকা নিয়ে গেছে। ইসলামী ব্যাঙ্কে আবার করে থেকে সুদ চালু হলো। যতসব ভন্ড।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমার পোস্টের প্রথম প্রশ্নই ছিলো বর্তমান ইসলামী ব্যাংকিং ব্যাবস্হা কি আসলেই তত্বীয় ভাবে সুদমুক্ত?

সেটাই ব্যাখ্যা করেছি এদের সংজ্ঞানুসারে। আর ইসলামী ব্যাংকের ফরেন লিকুইড ব্যালেন্স কোন ব্যাংকে মেইনটেইন হয় জানেন? হংকং এর এইচএসবিসি!

তাইলে বলেন কেমনে সুদমুক্ত ব্যাংক তাদের যাবতীয় লভ্যাংশের লিকুইডিটি একটা সুদযুক্ত পশ্চিমাভাবধারার ব্যাংকে রাখে?

৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:২৬

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: উড়োজাহাজ ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে একমত।।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দেশটা ইরান না, তাই আপনের ব্যাক্তি স্বাধীনতার মতামতকে জন সাধারন শ্রদ্ধা জানায়।

তয় যেদিন ইরান হবে সেই দিন আপনে যেহেতু ঐ দলে সেহেতু আমারে জবাই কইরা ৪ রাস্তার মোড়ে ঝুলাই রাখবে এইটাই সমস্যা!

৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

কলাবাগান১ বলেছেন: " যেখানে ওদের ধর্ম বা কোনো তথাকথিত নেতার দেখানো বড় বড় আদর্শের ফাকা বুলি অথবা স্বৈরততন্ত্রের আশ্রয় নিতে হয়নি, নিতে হয়েছে বিজ্ঞানের, শুধুই বিজ্ঞানের।"

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাংলাদেশে আসলে অস্হিরতা বিরাজ করতেছে। এখন মানুষ হয় এদিক নাইলে ওদিক। আর গ্রামেগন্জ্ঞের মানুষ যারা বাংলাদেশের ৭০% ভোটার তারা এখনও সেরকম ভাবে শিক্ষিত না।

পুরা একটা জাতীকে নিজেদের স্বার্থের জন্য স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত সবকয়টা বাটপার নেতা চাই সে জাতীর চাচা হোক অথবা ধানের বোইন হোক সবাই পঙ্গু করে রাখছে নিজেদের স্বার্থে।

যেখানে অল্প কিছু টাকা হইলেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাব দিয়ে বিশ্বমানের গবেষনা হইতে পারে সেইখানে এইটা নিয়া কুনো মাথা ব্যাথা নাই, দেশীর প্রযুক্তির ভালো ইভিএম মেশিনের পিছে না জাইনা নষ্টা মহিলা খালেদার মাতম, শেখ হায়েনার মতো দুষ্ট কন্যা নিজের সন্তানকে দিয়ে পুরো দেশের টেলিকম স হ আইটি সেক্টরে ব্যাপক লুটপাট কি নির্দেশ করে? তারেক তো টাকা খাইছে বিদেশীদের কাছ থেকে আর জয় বাটপার তো আমেরিকায় ভিওআিপি গেট বসাইয়া দেশের টাকা মাইরা খাইতেছে আপনে কোনটা ভালা কইবেন?

৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

জেনো বলেছেন: গাদ্দাফির একখান বই ছিল, গ্রীনবুক। জব্বর।
:P :P ;)

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পড়ি নাইক্কা!

৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৩

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: বহুকাল ধরে এই বেসিক প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছিলাম না। আমার বুঝ মোতাবেক ইসলামি ব্যাংকে যা "কমিশন" হিসাবে দেয়, তা আসলেই সুদ। ইসলামি ব্যবসা আসলে ব্যাংকের লাভটা হিসাব করে তারপরে জিনিস বেচা। সেইটা আরো গলাকাটা দাম হয়। সুদের চেয়ে কোন অংশে কম না কিন্তু।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৫৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এইটা আল্টিমেলটলি সুদই। তবে হাসির কথা হইলো এই সিস্টেমটার বেসিক জিনিসটা কিন্তু পশ্চিমাদের কাছ থেকেই নকল করছে।

ধরেন আপনি ব্যাংকের লোন নিয়া একটা ব্যাবসা চালু করলেন এ দেশে। ট্যাক্স হাবিজাবি সব দিয়ে দুই বছর পর আপনি স্যরেন্ডার করলেন যে আপনি ঋণে নিমজ্জিত। তখন সরকার ব্যাংকের মাধ্যমে পুরো প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে তাকে দেউলিয়া ঘোষনা করে আর তার নামের সাথে একটা লাল দাগ পড়ে। পরে ধরেন কেউ যখন নতুন ব্যাবসা চালু করার জন্য ঐ জায়গাটা নিতে চায় তখন তাকে পুরো ঋণ এবং অন্যান্য ধার দেনা মিটিয়ে সেটা কিনতে হবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটা যতদিন বন্ধ ছিলো তার সুদ গোনা কিন্তু বন্ধ।

এটা হলো পশ্চিমাদের নিয়ম অনেক আগে থেকেই ফলো করে আসছে। এখন বলেন এইটার থেকে এই ইসলামী ব্যাংক গুলার নিয়মের পার্থক্য কই?খালি কয়টা হাদিস আর ইজমার টার্ম দিয়া নতুন দুই একটা আরবী ফার্সি নাম দিয়া বলা হইছে এইটা ইসলামিক আইন!

কই যাই! আমাগো সময়ে যখন নকল হইতো তখন ক্লাস সিক্সের পোলাপান ঠিক এমনে হুব হু দেইখা একটা আকায়া বাকায়া নকল করতো! মোল্লাগো বুদ্ধি দেখেন কুন জায়গাতে!

আর মোল্লাগো আসলেই যদি বুদ্ধি থাকতো তাইলে এই পোস্টের বিপরীতে কিছু যুক্তি তো দিতেই পারতো নাকি? বুদ্ধি নাই দেইখাই তেমুন কাইগুই নাই!

১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৮

সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: আপনারা ভুল কইলেন ভাই, ইসলামী ব্যাংক সুদের কারবার করে না; ওরা তো শতকরা হারে সার্ভিস চার্জ নেয়। ঐটা কি সুদ হৈল?

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একখান কাম করলে কেমুন হয় আদম ব্যাপারী বা জমির দালালগো মতো মাঠে নামলেই তো হইয়া যায়, এতো বড় ইসলামিক নাম দিয়া ব্যাবসা করনের কি দরকার?

১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

জনতার নেতা বলেছেন: ভাই নিজেতো আরজে তমার পেজে ঠিকই লাইক দিছেন, আবার এন্জেল টামান্না, স্বপ্নিল স্বর্নার মতো মাইয়াগো ঠিকই লাইক মারছেন!

এইরকম হিপোক্রেসী তো জামাত শিবিরের পোলাপানের! আপনে কি জামাত শিবির এর মতো স্যডিস্ট কুনো পোলা´? নিজে ভালো হন আগে তারপর ধর্মের আতর দেন!

২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হ, নিজের কপটতা আবার বলে গলায় বলেন! একমাত্র শিবিরীয় কুকুর নাইলে হিজবুতী স্যাডিস্টরাই এইটা খুব ভালো পারে!

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৩

জনতার নেতা বলেছেন: নিজে কুকুরত্তের উদারহন দিয়েন না

২৯ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তা ঠিক।

আমি বিবাহিত, তাই আমার হস্তমৈথুনের দরকার হইতো না। দরকার হয় না মানুষকে সেই সব ছবক দেওনের যেগুলা আমি পালন করি না বা যেগুলা আমার পালন করার ন্যুনতম ইচ্ছে নাই!

যারা ড্রইং রুমে বইসা বইসা হস্তমৈথুন করনের জন্য মাইয়াদের সাথে সেক্স চ্যাট বা সফট পর্ন সাইটে পইরা থাকে আর অবসর সময়ে পড়া লেখা বাদ দিয়া শিবির বা হিজবুতিয়াদের মতো সাইকোদের সাথে মিশে ইসলাম কায়েমের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে তাদেরকে হাজারো উস্টা মারতেও কোনো দ্বীধাবোধ করি নাই!

যা ব্যাটা পেডোফাইল শুয়োর!

১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: আপনার পোস্ট গুলা বরাবরই আমি ভক্ত। তবে আপনার ইসলামী ব্যক্তিত্ব দের নিয়া হার্ড লাইনে যাওয়াটা হয়তো একটা কোন কারন আছে। কিন্তু ধরেন ধান ভানতে যদি শিবের গীত গান তাইলে একটু দৃষ্টি কটুই লাগে। থাক না শফি মিয়া কি কইলো সেটা অন্য পোস্টের আলোচনা!!!!
যাই হোক। আমি ইসলামী ব্যঙ্কু বা ইসলাম নিয়া খুব বেশি আকেলমান্দ না। ভাবিও কম, কাজ/আমলও করি কম। তারপর যেটা বুঝি যে ইসলাম হইলো একটা মধ্যপন্থী ধর্ম বা দ্বীন। তাইলে ধইরা নেওন যায় যে ইসলামী ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলাও মধ্যপন্সথা অবলম্বন করবে। পশ্চিমাদের থেকে কিছু কনসেপ্ট ধার নিয়া ইসলামী টার্ম ব্লেন্ড করলে আমি অন্যায় কিছু দেখি না। কারন কোর-আন বা হাদীসে কিন্তু কোথাও বলা নাই যে- মুসলমান রাই সব থেকে জ্ঞানী, আর ইহুদী নাসারাদের থেকে কিছুই আমদানী করা যাবে না। আমরা যদি এইসব বিষয় আষয় মানুষের অর্জন হিসাবে দেখি তাইলে সুদী কনসেপ্ট থেকে শুরু করে রকেট সাইন্স পর্যন্ত যে কোন কিছুই ব্যবহার করার অধিকার সবারই থাকে।
আর কিছু তালেবানী কেতা সবসময় আছে ছিল থাকবে- যাদের সবসময় তাল গাছের মালিকানা থাকে, তাই বইলা সেই সব গুটি কয়েক মানুষের জন্যে মন খারাপ করে পুরা সিসটেম টাকে গাল মন্দ করা কি ঠিক?
ইসলামীক ব্যাংক যেমন সোনালী ব্যাংকের মত উদার হবে না, তেমনি গ্রামীন ব্যাংক বা ব্রাক এর মত মানুষের গলায় পাড়া দিয়া টাকা চাইবে না। বাকি থাকলো অপারেশন রিলেটেড কনসেপ্টে- এখন তাকেওতো টিকে থাকতে হবে। সবাইরে যদি কর্জে হাসানা দিয়া বসে, তাইলে সেটা ইসলাম নাম আছে দেইখাই যে লাল বাত্তি জ্বলবো না- সেই গ্যারান্টি কিন্তু কেউ দেউ না। আর আরেকটা কথা কি- ইসলামীক ব্যাংক জামাতী সম্পত্তি না। অনেক বিদেশী ব্যাংক এখন দেশ বিদেশে ইসলামিক উইং খুলছে। এই নিয়ে গবেষনাও চলছে। আসলে একটা কনসেপ্ট যদি দাড়ায় যেটা দিয়ে মানুষের উত্তোরত্তর উপকার হতে পাঁরে তাতে ক্ষতি কি?
জানি না বুঝাতে পারলাম কিনা। ধন্যবাদ

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একটা মিথ্যা কথার প্রমান নেন

Click This Link

১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৮

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: কিছু জিনিষ বাদ পরছিলো-
আপনি কেন ধরেই নিচ্ছেন যে লোন নিলেই ডিফল্টার হবে মানুষ, আর তাই ব্যাংকের সম্পদ বাড়বে? ১০% ডিফল্টার থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের এই ব্যাতিক্রমকে নিয়া লাড়াচাড়া অভ্যাসের কারনে এক নাসিমন গলায় দড়ি দিলেও ৯৯% লোক যদি গাভি কিন্না বাছুর বিয়োয় , তারপর ঐ নসিমনের খবরের জন্যে ইউনুসরে গালমন্দ করি। আনন্দ শীপ ইয়ার্ডএর ২০০/৩০০ কোটি কিছুই না, আমি অবাক হইসিলাম শুনে যে এর থেকেও অনেক বড় বড় ক্লায়েন্ট আছে যাদের হাজার কোটি টাকা লোন দেওয়া হচ্ছে- অল্প জামানতে, তারপরও ঐসব মালিকরা ঠিক মত টাকা রিটার্ন করছে। ঐ কোম্ভাপানী গুলাতেও হাজার হাজার মানুষ কাজ করে বেচে আছে। ভাল পার্টির সাথে লেনদেনটাও হয় ট্রাস্টের উপর-এটা সবা ব্যাংকই ফলো করে। আমি দেখসি যে সব ক্ষেত্রে নিয়ম চলে না।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার কথার সাথে দ্বিমত হবার মতো কিছুই দেখতেছি না তয় ইসলাম মধ্যপন্হা এই কথাটা বাদে। পুরোপুরি বাস্তবতার নীরিখে লেখছেন। সিস্টেমের এভুলেশন হইতেই পারে। অবশ্যই হইতে পারে। বরংচ আপনে কইতে পারেন যার এভুলেশন নাই তার টিকা থাকনের কুনো চান্স নাই।

তয় ইসলামের ব্যাপারটা আলাদা। আলাদা এই জন্য বলবো ইসলামে বলা আছে পর্দা ছাড়া উপায় নাই, তাইলে কুনো উপায় নাই। বোরখার কথা না কইলেও যে পর্দার কথা বলা আছে সেইটার অন্যথা ইসলাম কখনো কম্প্রোমাইজ করে না। আরেকটা উদাহরন হইলো নামাজ। নামাজ পাগল আর মরন হইতেছে সেই লোকের জন্য মাফ আছে আর বাকী কুনো কিছুতে মাফ নাই। মাফ নাই মানে নাই।

আবার চুরি করলে হাত কাটা, খুন করলে খুন এইটার কথাও আছে। এখন আপনে চুরি ছুটো চুরি করেন বা বড়ো চুরি কাহিনী একই। মোটিভ কি বা অন্যকিছু সেইটা নিয়া কথা থাকতে পারে কিন্তু চোরের হাত কাটা যাবে এইটাই কথা। এখন আপনে হয়তো কইলেন যে চোর যদি প্রথমবার লঘু চুরি করে একান্ত প্রচন্ড কষ্টে তখন সরকার বা অথোরিটি তারে সুযোগ দিলো। সে সুযোগের সদ্ব্যব হার করলো। তাইলে এর ব্যাত্যয় হইতে পারে কিন্তু তারপরও যদি চুরি বা খুন করে তাইলে শাস্তি পাইতেই হইবে। ইসলামের মিডল কিছু নাই। হয় পর্দা করবা, হয় শরীয়া ফলো করবা নাইলে বেদল হও!

তেমনি সুদের ব্যাপারে কড়া যেইটা বিধান সেইটা কোনো অবস্হাতেই শিথিল যোগ্য না। ব্যাংকিং সিস্টেমে যে বেসিক সূত্রগুলো ফলো করা দরকার সেটা হলো:
১) টাকা খাটাইয়া টাকা কামাইতে পারবেন না।
২) যখন ঋনখানেওয়ালা লস খাবে তখন দেনে ওয়ালাও লস খাবে।

এখন কথা হইলো ব্যাংকিং সিস্টেম টিকায় রাখার জন্য বা যেই যুক্তিই দেন না কেন আপনে আগে ভাগে লাভ রাইখা ফুইটা গেলেন অথবা আপনে সুদটাই খাইলেন কিন্তু লোক যাতে না বলতে পারে সেই জন্য আপনে একটা সিস্টেম করলেন তাইলে কি সিস্টেমটা ঠিক?


ইসলাম নিয়া সমস্যা নাই। কারন ইসলাম রাস্ট্রকে কঠিন ক্ষমতাশালী এবং কঠোর নিয়ন্ত্রক হিসেবে তৈরী করেছে যার ফলে রাস্ট্রের যদি বিশাল খনিজ সম্পদ বা এলিয়েন রেভিনউ জেনারেটর নাও থাকে তাহলে সে মাথা বা গতর খাটাইয়া বৈধ পথে টাকা আয় করবে এবং রাস্ট্রের উন্নতি সাধন করবে। কিন্তু সমস্যা হইলো স হী হাদিস এবং কোরানে এই ব্যাপারে সরাসরি দিক নির্দেশনা বলতে মূল কনসেপ্ট দিয়া গেছে। কিন্তু মূল কনসেপ্ট যে ভালো মতো ব্রেক ডাউন কইরা একটা বিশুদ্ধ কনসেপ্ট খাড়া করাবে সেটা সম্ভবপর করা যায়নি।

ইউনুসের ক্ষুদ্র ঋণ কিন্তু বর্তমান সুদী সিস্টেমের মতো প্রতিষ্ঠিত কারন এই সিস্টেমটাকে বেসিক ঠিক রেখে তারে আরও জন গনের জন্য ইউজার ফ্রেন্ডলি অথবা প্লাগ এন্ড প্লে টাইপ করছে। ফলে দেখা যাইতেছে এইটা যেমন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার মতো ভোগবাদী জায়গায় সফল হইতেছে তেমনি আফ্রিকার মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত জায়গাতেই সফল হইতেছে এবং বাংলাদেশেও হইতেছে।

সমস্যা হইলো চারিপাশে এরকম সফলতার সাথে তাল মিলাইতে গিয়া প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকিং ঐ গতানুগতিক এইসব সুদী সিস্টেমের ভেতরেই চইলা গেছে। আমার সমস্যা এইখানে না, সমস্যাটা হইলো প্রচলিত বর্বর ইসলামী দেশের শরীয়া শাসনব্যাবস্হার মোহে পইড়া যখন বাংলাদেশে এইসব বর্বর আলেমরাই বাংলাদেশে ক্ষমতা গ্রহন কইরা এই প্রচলিত বদখত সিস্টেম চালু করবে তখন বাংলাদেশের জন্য ভয়াব হ কি কি সমস্যা হইতে পারে সেইটা নিয়া।

বিশুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে আমি একটা কথাও লিখি নাই এমনকি লিখি নাই আল্লাহর কোনো বিধানের বিরুদ্ধে। বরংচ আমি লিখছি যদি এই হাইব্রিড ইসলাম আমাদের মতো দেশে চালু করা হয় তখন কি ভয়াব হ পরিনতি হবে। ইরানের তেল যতক্ষন ছিলো ততক্ষন তারা ইসলামী অর্থনীতি নিয়া গর্ববতী বোধ করতো। কিন্তু যখন তেলটা বন্ধ করলো, তখন তারা বাংলাদেশের কাতারে নাইমা আসলো। ইরান কিন্তু তারা দেশজ জিনিসের বাজার নানা জায়গায় নিয়া গেছে এবং সেগুলার মান খুবই ভালো।

কিন্তু ধরা খাইছে যখন আহমেদিনিজাদ তার পেট্রোডলার আর পরে যখন শেষ হইয়া যায় তখন জন গনের টাকা দিয়া ব্লাক মার্কেটে অস্ত্রের টেকনোলজী কিনা শুরু করলো। তখন আমেরিকা ইসরাইল বাদ দেন, (যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাল মায়ানমার এই কাহিনী করে তাইলে বাংলাদেশের যদি সেই ক্ষমতা তাইলে কি করবেন?) ইউ ইউনিয়নও তাগো থিকা মুখ ফিরাইয়া নিছে। ইউ ইউনিয়ন কিন্তু আমেরিকা বা ইসরাইলের কথায় উঠে বসে না। এমন অনেক দেশ আছে যেইখানে বাংলাদেশের মতো ইসরাইলের পন্য প্রায়ই ঢুকতেই পারে না।

আর আপনি যেসব ক্লায়েন্টদের কথা বলছেন সেসব যুক্তি কিন্তু গ্রামীন ব্যাংকের পর্যায়েও খাটে এবং গ্রামীন ব্যাংকের সিস্টেমটাই কিন্তু গড়ে উঠছে যাগো জামানত নিয়া টানাটানি। কিছু দিন আগে পেপার পত্রিকা ঘাটাঘাটি করলে দেখবেন গ্রামীন ব্যাংক এরকম যাদের জামানত সীমিত তেমনকিছু বিগ শটদেরও লোন দিছে।

ভাই, লোন ডিফল্টার অনেকটা নির্ভর করে দেশটা কুন সিস্টেমে আছে। পৃথিবীতে বেশীরভাগ প্রজেক্টই ধরা খায়। বাংলাদেশে আরও বেশী। কখনো কি দেখছেন ইসলামী ব্যাংক এত প্রজেক্টে কাজ করছে কোনোটাতে ধরা খাইছে? প্রজেক্ট ধরা খায়া যায় কিন্তু ইসলামী ব্যাংক ধরা খায় না। তাদের অডিট দেখতে পারেন। যদি বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংকের অডিট এখনো বিশুদ্ধতম অডিট, কিন্তু ধরা খায় না।

বাজারে যে একটা গুজব আছে ইসলামী ব্যাংকও ঘুষ খায়, সেটার উত্তরই কিন্তু আমি পোস্টে দিছি।

আর আমি কুন সিস্টেমটারে গালি দিছি কেন দিছি সেটাও কিন্তু পোস্টে বলছি!

ভুল বললাম কিছু?থাকলে শুধরাই দিয়েন। আমিও অর্থনীতির কুনো এক্সপার্ট লোক না। ইন্জ্ঞিনিয়ার, অংকও খুব ভালো পারি না, ইদানিং প্রোগ্রামিং এর ঠ্যালায় অংকও ভুইলা গেছি।

তাও মাথায় যা আসছে তাই লিখছি, তো ভুল হইলে বা নিজের কাছে যদি ভুল মনেও হয় তাইলে প্লিজ আলাপ করেন, তাইলে হয়তো নিজের ভুলগুলা শুধরাইতে পারবো! একটা পারফেক্ট পোস্ট হইতে পারে এইটা!

১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: ২৫০০ যে মরে নাই তার প্রমান কিন্তু খালি চোখেও হিসাব করা যায়। ২৫০০ /৩০০০ মারা গেলে অন্তত ৫০/৬০ হাজার আহত হইতো। সেও হয় নাই। যাই হোক, বহুত ঝামেলায় আছি। ঈদের আগে অনেক চাপ কাজের। পরে কমেন্ট দিমুনে।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঈদে কি বাড়ি যাওনের টিকিট পাইছেন? শুনলাম এইবার নাকি পথে ঘাটে টিকিট বিক্রি হইতাছে? জামাতের হরতালের কারনে কেউ নাকি বাড়ি যায় নাই, কাহিনী কি সত্যি?

১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

নরাধম বলেছেন:
"অথচ ইউরোপ আমেরিকা সহ বহুদেশ যাদের অনেকের তেল বা গ্যাসের কোনো খনি বা মজুদ নেই সেসব দেশে এমন সিস্টেম গড়ে তুলেছে যে বিশাল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক যদি দামী স্পোর্টস কার কিনতে পারে তাহলে তার কোম্পানীর সামান্য কেরানীও একটা ভিলা বাড়ী অথবা বিএমডব্লু কিনতে পারে। অথবা বার্গার কিং এর সামান্য একটা ওয়েটার স্বপ্ন দেখতে পারে সামার হাউজ টা হবে বাল্টিক সাগরের কোনো ন্যুড বীচের পাশে অথবা রাইন নদীর ধারে। আমাদের শৈশবের লালিত স্বপ্নের দেশের মডেলটি যেন এসব দেশেই করে দেখিয়েছে যেখানে ওদের ধর্ম বা কোনো তথাকথিত নেতার দেখানো বড় বড় আদর্শের ফাকা বুলি অথবা স্বৈরততন্ত্রের আশ্রয় নিতে হয়নি, নিতে হয়েছে বিজ্ঞানের, শুধুই বিজ্ঞানের।"


উদাসী, মনে হয় ক্রেডিট কার্ডের রাজনৈতিক-অর্থনীতি আর ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস প্রভাইডার গুলোর মুনাফা বাড়ানোর নীতি সম্পর্কে তোমার ধারণা নাই, এটা অনেক জটিল ইস্যু, তোমার ধারণা খুবই ভাসা ভাসা মনে হল। উপরে যা বলছ সেখানে বিজ্ঙানের কোন ভূমিকা নাই, সবই ফাইনান্সিয়াল কোম্পানিগুলোর ব্যবসা বাড়ানোর ধান্ধা। ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখ এ বিষয়ে তাহলে পরিষ্কার হবে, মোদ্দাকথা লোন-ভিত্তিক যে জীবনব্যবস্থা পশ্চিমাবিশ্বে বিশেষ করে এমেরিকায় গড়ে উঠেছে সেটা কত বড় অর্থনৈতিক জোচ্চুরি কল্পনাও করা যায় না, সেখানে ভাল কিছুই নেই।

আর ইসলামী অর্থনীতি সম্পর্কেও তোমার ধারণা একদম ভাসাভাসা মনে হল, জামায়াতীদের ইসলামী ব্যাংকের কাজকর্মকেই ইসলামী অর্থনীতই মনে করছ। ব্যাংকিং অর্থনীতির ক্ষুদ্র অংশমাত্র, তারা জাস্ট ইন্টারমিডিয়ারী, ইসলামী অর্থনীতি কল্যানভিত্তিক ম্যাক্রঅর্থনীতির কথা বলে, যার অনেক প্রিন্সিপলই কানাডা, স্ক্যান্ডিনাভিয়ান দেশগুলো অনুসরন করে।

পুরা পোস্ট অনেক লম্বা সবটুকু পড়িনি, যদ্দুর পড়েছি তাতে মনে হয়েছে এ বিষয়ে তোমার ধারণা সম্পূর্ণ পোক্ত হওয়ার আগেই পোস্ট দিয়ে ফেলেছ।

ভাল থেক।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বস, আমি আগেই কইছি আমার ব্যাকগ্রাউন্ড অর্থনীতির না। ক্রেডিট কার্ডের ধান্ধা যেইটাই হোউক, কথা হইলো ইসলামে টাকা দিয়া টাকা কামানো নিষেধ। পশ্চিমা বিশ্বের সবাই তাদের সুদী ব্যাবস্হার বিশুদ্ধ তম রূপের চর্চা করছে না। যারা করে নাই তারা কিন্তু ঠিকই অর্থনৈতিক মন্দা থেকে শুরু করে একের পর এক ব্যাংক ধ্বংশ এমনকি রাষ্ট্র পর্যন্ত দেউলিয়া।

ফাইন্যান্সিয়াল ব্যাপারে আমি যেটা বুঝি সেটা হলো টাকা দিয়ে টাকা কামানোর সময় এদের অনেক কিছুর মতো বাজার গুজবও অনেকটা নির্ভরশীল। এরকম কইরা এনরন মেলা টাকা একসময় কামাইছিলো। কিন্তু আসলেই যখন কোম্পানীর অব্যাবস্হাপনা সাথে উপরের লেভেলের দুর্নীতি যোগ হয় তখন ধ্বইসা পড়ে।

কথা হইলো আমেরিকা ইতালী স্পেন, গ্রীস স হ বেশ কিছু উন্নত দেশ ধ্বসে পড়ছে এবং এখনও তারা উঠতে পারে নাই। কিন্তু জার্মানী, আমেরিকা, ইংল্যান্ড কিন্তু কাটায়া উঠছে। আসলে সবকিছুর ব্যালেন্সিং। এসব টাকা দিয়া টাকা কামানোর সফলতার ব্যাপারটা অনেকাংশে নির্ভরশীল বাজার কতটা পরিবর্ধনশীল এবং বিস্তৃত এবং সেখানে থেকে কার্যকরী মনিটারী পলিসি। জন গন যাতে বাচতে পারে সেজন্য ইনসেন্টিভ হিসেবে সোশাল সার্ভিস তো আছেই সাথে কাজের সুবিধা সুযোগ এবং মর্টগেজ পলিসি আরও সমুন্নত রাখা। তখনই কিন্তু পুরো সিস্টেমটা ধ্বস নামবে না। সবকিছুর উপর সবকিছু নির্ভরশীল বলেই ওরা টাকা দিয়ে কিভাবে টাকা কামানো যায় সেই পদ্ধতিগুলোর উদ্ভাবন করে এবং এই ব্যাপারগুলো এতটাই নির্ভরশীল যে গানিতিন ভাবে কোনোটা যদি চুল পরিমান ধ্বসে যায় পুরো অর্থনীতির খবর হয়ে যায়। যদিও এখন বাজারে অর্থনীতিবিদরা অনেক সিস্টেম চালু করেছে যার আসল প্রয়োগ গুলো জার্মানী তথা ইউরো অন্ঞ্চলে খুব সতর্ক ভাবে করছে তাই দেখা যাচ্ছে এসব অন্ঞ্চলে ধ্বস লাগলেও দুর্ভিক্ষ লাগেনি এবং ইতালি স্পেনও ঘুরে দাড়াচ্ছে।

ইসলামী অর্থনীতি হলো এসব বিশাল সিস্টেম থেকে কিছু চুরি করে নিজেদের মধ্যে আত্মস্হ করা হয়েছে শুধুমাত্র এ কারনেই যে যাতে লভ্যাংশ থাকে। আজ পর্যন্ত এমন কোনো পরিসংখ্যান নাই যে দেশের অর্থনীতি পড়তি হলেও ব্যাংক দেউলিয়া হয়েছে। কিন্তু বাইরের দেশে হচ্ছে।

তার মানে কি বোঝা যাচ্ছে, নিশ্চয়ই এতে বিশাল একটা গলদ দেখা যাচ্ছে। আমি এই গলদটাকে খুজে বের করার চেষ্টা করছি।

আমি জানি আমার জ্ঞান ক্ষুদ্র আর সেজন্যই আমি মূল থেকে আমার সিদ্ধান্ত টেনেছি। এবং আমি এও বলেছি ভুল হলে অবশ্যই বলবেন আমি শিখতে চাই। আমার ভুল গুলো শুদ্ধ করতে চাই।

যদিও এতে খুব একটা লাভ কারো হবে না কারন আলোচনার মাধ্যমে যদি কোনো দিক বেরিয়ে আসে যেগুলো ইসলামের সাথে যায় কিন্তু আধুনিক ইসলামী ব্যাংকের সাথে যায় না তাহলেও সেগুলো গৃহিত হবে না।

যাই হোক, আপনার জবাবের অপেক্ষায়!

১৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: হ ঘটনা কিচুটা সইত্য! ঢাকা দেখি খালি হয় না!

০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তাইলে একখান ঈদ মরাবক লন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.