নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষেত্র দিয়েই সবকিছুর সৃষ্টি আর ঈশ্বরের অনুপস্হিতি। পুচকীশদের জন্য পার্টিক্যাল ফিজিক্স

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

অনেকদিন ধরে লকারে পড়ে আছে দুটো পুরোনো ঘড়ি, চলছে না আর। ভেতরের স্টেপার মটর আর কাজ করছে না বলেই এই ঘড়ি ঠিক করার দিকে মন নেই কারো।

হঠাৎ নিজেকে ইন্জ্ঞিনিয়ারের চেয়ারে বসিয়ে খুজতে বসলেন ঘড়ির ভেতরে কি আছে যা দিয়ে সবাইকে নিখুত সময় বলে দেয়। ঘড়ি ভাংতে থাকলেন, কত শত গীয়ার, চাকা। মাথায় কিছুই ঢুকছে না। এসব অর্থহীন অথবা দুর্বোধ্য কলকব্জা দিয়েই ঘড়ি তৈরী।

বিকেলের চা খেতে বেরিয়ে গেলেন রহিম চাচার মুদীর দোকানে। রহমত সাহেবের ভিলা বাড়ি ভাঙ্গা হচ্ছে ২ সপ্তাহ ধরে। এই ভিলা বাড়িতে ছোটবেলা কত খেলেছেন আপনি। এত সুন্দর বাড়ি সবসময় ভাবতেন কেই বা তৈরী করলো, কিভাবেই বা তৈরি হলো। ছোট ছোট ইটের ব্লক, সিমেন্ট রড সবকিছু জায়গা মতো তৈরী করা হয়েছিলো এই সুন্দর বাড়িটি। এখানে এখন তৈরী হবে বিশাল বড় এপার্টম্যান্ট বিল্ডিং। একই জিনিস দিয়ে তৈরী হবে কিন্তু গঠন হবে আলাদা। কারন তাদের সজ্জা আলাদা, তাদেরকে বিশেষভাবেই সজ্জা এবং পরিমান অনুসারে একের পিঠে এক বসিয়েই তো তৈরী করা হবে, তাই না?

পার্টিক্যাল ফিজিক্স এমন একটা বিষয় যেটার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এই যে মহাবিশ্ব এটা কি দিয়ে তৈরী এবং কিভাবে তৈরী। প্রতিদিন যখন আপনি বাসার বাইরে বেরিয়ে রহিম চাচার দোকানে চা খাবেন তখন দেখবেন রহমত চাচার ভিলা বাড়ি কি দিয়ে তৈরী হয়েছিলো এবং নতুন এপার্টম্যান্ট কিভাবে তৈরী হবে। পার্টিক্যাল ফিজিক্স সে ধারনারই জন্ম দেয়।

দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য (আলো, ডার্ক ম্যাটার ইত্যাদি) সবকিছুই এরকম কিছউ দিয়ে তৈরী। ১৮ শতক পর্যন্ত আমরা মনে করতাম পৃথিবীর সমস্ত কিছুই এই ম্যান্ডেলিফের পর্যায় স্মরনীতে থাকা মৌলিক পদার্থ দিয়েই তৈরী। এর উপর গড়ে উঠেছে ক্যামিস্ট্রি নামের অসাধারন একটা বিষয়, একটা প্রতিষ্ঠান। যখন মানুষ আরও ভিতরে ঢুকতে লাগলো তখন মানুষ বুঝতে পারলো এসব মৌলিক পদার্থও কিছু না কিছু দিয়ে তৈরী।

অনু, পরমানু, ইলেক্ট্রন, নিউক্লিয়াস, প্রোটন, নিউট্রন পাওয়া যায়। এসবের সাজ সজ্জা এবং পরিমানের উপর ভিত্তি করেই তো এই মৌলিক পদার্থ এবং আমাদের মহাবিশ্বের মধ্যে থাকা এত কিছু সবকিছুই এগুলো দিয়ে তৈরী। এর পর প্রযুক্তি আর মানুষের মেধার বিকাশের সাথে আমরা জানতে পারি আসলে এই মহাবিশ্ব শুধু পর্যায় স্মরনী দিয়ে আদৌ ব্যাখ্যা করা যায় না। এটাকে ব্যাখ্যা করার একমাত্র যে মডেল টি বিদ্যমান সেটা হলো স্ট্যান্ডার্ড মডেল। দুয়েকটা ছোটখাটো প্রশ্ন ছাড়া প্রায় সকল প্রশ্নের নিখুত সমাধান দিয়েছে এই স্ট্যান্ডার্ড মডেল।

স্ট্যান্ডার্ড মডেলে অন্তরীন যত কনিকা আছে তাদের ধর্ম বিন্যাস এবং সজ্জার রকমফের দিয়েই সৃষ্ট এত রকমের মৌলিক পদার্থ যার উপর ভিত্তি করে আছে এই মহাবিশ্বের এতরকম গঠন।

মানুষ আরও ভাবতে চাইলো, তারা দেখলো এইসব কনিকা এমনকি ইলেক্ট্রনও এসব আসলেই একেকটা ক্ষেত্র।

ক্ষেত্র জিনিসটা কি?

ক্ষেত্র বলতে আমরা ধরে নিতে পারি এমন একটা বিস্তৃতি যেখানে কোনো একটা বল বা শক্তি কাজ করবে। ছোটবেলায় আপনারা সবাই ম্যাগনেট নিয়ে খেলা করেছেন। চুম্বকের আবিষ্কার কে করেছিলো জানেন? আমি যতদূর জানি এক রাখাল।হাজার বছর আগে তার লাঙ্গল বইতে গিয়ে হঠাৎ একটা পাথরে আটকে যায়। অনেক কষ্ট করে সেটা ছুটাতে হয়। সে দেখে যে লোহা দিয়ে তৈরী বস্তুকে সে আকর্ষন করে।

এভাবেই আবিস্কার হয় চুম্বক। আপনি যখন কিনে আনবেন তখন আপনি ঐরাখালের থেকে বেশী জানবেন। ঐ চুম্বকে দুটো মেরু আছে, উত্তর দক্ষিন। বাসায় এনে খেলতে গিয়ে দেখলেন সম মেরু যখন এক সাথে রাখার চেষ্টা করবেন তখন এটি বিকর্ষন করে আবার বিপরীত মেরু একসাথে রাখলে আকর্ষন করে। আপনি যতই চেষ্টা করেন, বল প্রয়োগ করেন বিপরীত মেরু একসাথে রাখতে গেলে আপনার কষ্ট হবে। এর কারন হলো এদের মধ্যে যে জিনিসটা বাধা প্রদান করছে সেটা হলো চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের মধ্যে থাকা চৌম্বকীয় বল।
আপনি যদি এই চৌম্বকীয় ক্ষেত্রকে তড়িৎ ক্ষেত্রের সাথে সমন্বয় করতে পারেন তাহলে সেটা দিয়ে আপনি আপনার রুমের ফ্যান থেকে শুরু করে বড় বড় শক্তিশালী ক্রেন ´পর্যন্ত নাড়াতে পারবেন।

অথবা আপনি হয়তো জানেন গাছের থেকে আপনি যখন লাফ দেন তখন আপনি নীচেই পড়েন কোনো এক আকর্ষনে, কখনো উপরে উঠে যান না। এটা গ্রাভিটি। এটাও একটা ক্ষেত্র যেখানে গ্রাভিটি বল আপনার উপর ক্রিয়া করছে। এমনকি আপনি যে আলো দেখেন সেটাও কিন্তু একটা ক্ষেত্র।

কিন্তু আলো তো ফোটনের তৈরী এমনকি আমরা জানি বিদ্যুৎ এটাও তো ইলেক্ট্রনের তৈরী। তাহলে ক্ষেত্র কেনো?

আসলে যখন আমরা আরও গভীরে যাই তখন দেখা যায় আসলেই সব ক্ষেত্র যার মধ্যে বিভিন্ন বল ক্রিয়াশীল। স হজ কথায় বলি, একটা খালি জায়গা। এখানে যদি গাছ থাকে তাহলে আপনি বলবেন এটা জঙ্গল, যদি সমতল ভূমির ঘাস থাকে তাহলে আপনি বলবেন এটা মাঠ।

তেমনি একটা স্হানে যে বল ক্রিয়াশীল সেখানে আমরা ঐ ক্ষেত্রগুলোর দ্বারা নামকরন করে দেই। তবে এই ক্ষেত্রগুলো যদি মাইক্রোস্কোপের নীচে রেখে দেখতে পারি (আমরা এসব ক্ষেত্রে দেখতে পারি না এই যেমন চৌম্বকীয় ক্ষেত্র বা গ্রাভিটির ক্ষেত্র বা বল) তাহলে দেখা যাবে এগুলো একেকটা উত্তাল সাগর আর এই যে ইলেক্ট্রন প্রোটন নিউট্রন এসব হলো এই সাগরের ঢেউ। মানে একটা উত্তাল সাগরের শত শত স হস্র কোটি ঢেউ গুলিই কনিকার মতো আচরন করে। আপনি হয়তো বলতে পারেন তাহলে যেই ক্ষেত্র আমরা দেখি না তা থেকে আমাদের অস্তিত্ব হলো কি করে?

হিগস ফিল্ড এবং অন্যান্য!

হুমায়ুন আহমেদের যারা হার্ডকোর ফ্যান তারা তার অনেক উপন্যাসে দেখবেন শুভ্র নামের একটা চরিত্র যে ঢাকা ইউনিভার্সিটির এপ্লাইড ফিজিক্সের ছাত্র সে ফিজিক্স পড়া ছেড়ে দিয়েছে। তার কারন হলো সকল ভরযুক্ত কনিকা ভাংলে আমরা পাই শক্তি। শক্তির ভর নেই তাহলে তো আমাদেরও ভর থাকারও কথা না।

কিন্তু আপনার আমার সবারই বুড়া কালে ওজন বেড়ে যায়, কোনো ভারী জিনিস উঠাতে গেলে কোমড় ব্যাথা করে। তাহলে পদার্থবিজ্ঞান ভূয়া।

কথাটা নিয়ে অনেকেই ভেবেছেন, এই সামান্য কথার উত্তর পাবার জন্য এলএইচসি নামের একটা লক্ষ কোটি দামের একটা মেশিন বসানো হয়েছে যার পেছনে অর্ধ শতাধিক দেশে হাজার হাজার বিজ্ঞানী দিন রাত নিরলস পরিশ্রম করছে। খুশীর খবর হলো উত্তরও পেয়েছি আমরা এবং হুমায়ুন আহমেদ যদি বেচে থাকতেন তাহলে আমি শিওর তার গল্পের শুভ্র নামের চরিত্রটিকে আবারও এপ্লাইড ফিজিক্সে মনোযোগী করে তুলতেন।

আমরা হয়তো বুঝতে পেরেছি এই ফিল্ড থেকে কনিকা কিভাবে পাই। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শক্তির উত্তাল বা উত্তেজিত অবস্হার কারনেই কনিকার দেখা পাই কিন্তু প্রথমিক অবস্হায় এই কনিকাগুলোর ভর থাকে না।
আমরা অনেকেই জানি এই যে এত ক্ষেত্র কোনোটা চুম্বকীয় বল ব হন করে, কোনোটা তড়িৎ বল কোনোটা গ্রাভিটি, তেমনি একটা বল আছে যেটা বস্তুর ভরের জন্য দায়ী। ভরের সাথে আপনি অভিকর্ষ ত্বরন গুন করলেই কিন্তু আপনার ওজন পেয়ে যাচ্ছেন। তো এই ভর যুক্ত ক্ষেত্রের পরিব্যাপ্তী কিন্তু সর্বব্যাপী মানে সব দিকে বিরাজমান।

এর কাজই হলো কিছু বিশেষ ধরনের কনিকা তাদের সাথে মিথস্ক্রিয়ায় অংশগ্রহন করা এবং এর ফলে তারা ভরপ্রাপ্ত হয়। ধরা যায় ইলেক্ট্রনের ক্ষেত্রতে ইলেক্ট্রন কনিকা সমূহ বিদ্যমান। এই ক্ষেত্রে যখনই হিগসের ক্ষেত্রের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে তখনই এর কনিকা সমূহ ভর প্রাপ্ত হয়।

এটা হলো ভরের উত্তর যার প্রমানের জন্য মানবজাতীকে অপেক্ষা করতে ২০১৩ পর্যন্ত। কিন্তু বস্তুর দৃশ্যমানতা এখনও অনেকের ক্লিয়ার হয় নি।

আসলে বিশাল সাগর যখন অনেক উপর থেকে দেখেন তখন কিন্তু এর ছোটখাটো ঢেউ দেখা যায় না। কিন্তু এই উত্তাল সাগরে আপনি যখন সাতার কাটতে যাবেন তখন বড় বড় ঢেউগুলো আপনার উপর আছড়ে পড়বে। এখন যদি এই বিশাল বিশাল ঢেউ যখন বিশাল টর্নেডোর বা ঘূর্নিঝড়ের সৃষ্টি করে তখনই আপনি অনেক দূর থেকে দেখতে পাবেন। তখন আপনাকে সাগরে না নামলেও চলবে।

কনসেপ্ট টা এরকমই। এইসব ক্ষেত্রে যে ঢেউ গুলোর কারনে কনিকার উদ্ভব হয় সেগুলো প্লাংক সময় ৫.৩৯*১০^-৪৪ সেকেন্ড (তার মানে হলো এক সেকেন্ডকে ১০ এর পর ৪৪ টা শূন্য দিয়ে তার সাথে ৫ গুন করলে যেটা পাবেন তত ভাগ করতে হবে) বিরতিতে ঘটে। এই কনিকাগুলো ঢেউ আকারে এত অল্প সময় পর পর উদ্ভব হয়।

আপনি যখন টিভি দেখেন তখন টিভির একটা ছবি বানাতে তার পেছনে সেকেন্ডে ৩০টা ফ্রেম বা স্হির ছবি চালায়। আমাদের মস্তিষ্ক এমন যে সেকেন্ডে যদি ১৬ টা ছবি চালানো হয় তাহলে আমাদের কাছে মনে এগুলো সব স্হির ছবি ছিলো। কিন্তু এর উপরে গেলে সব চলমান। আর টিভিতে যেহেতু প্রতি ফ্রেমে ৩০টা তাই আমাদের কাছে মনে হয় একটা মসৃন চলমান বাস্তবতা আমাদের চোখের সামনে ভেসে আসছে।

সে হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব হওয়াটাও এভাবে টিকে আছে।

তাহলে ঈশ্বর আছে বলেই এরকম সম্ভব তাই নয় কি?

আসলে ঈশ্বরের প্রশ্নটি বেশ ঘোলাটে বিজ্ঞানের কাছে। এখন কেউ যদি আপনাকে বলে,"দোস্ত, আমি গাড়ি কিনছি!" আপনাকে নিশ্চয়ই সেটা দেখে বুঝতে হবে যে আপনার গাড়ি চাপা মারছে না সত্যি কিনছে অথবা যদি কিনেই থাকে তাহলে সেটা খেলনা গাড়িই কিনা।

যদি ল্যাব এক্সপেরিমেন্টে দেখা হয় তাহলে দেখা যায় সব কিছুই স্বতঃস্ফূর্ত তৈরি হচ্ছে। এর জন্য ঐশ্বরিক কোনো উপস্হিতির দরকার নাই। এই যে এত বেসিক কনিকা এসব তৈরী করার জন্য কোনো ঝাড়ফুক বা ইবাদতের দরকার হয়নি। সবকিছুই স্বতঃস্ফূর্ত। এর জন্য শুধু প্রয়োজন ছিলো কিছু নিয়ম মেনে চলা এবং সজ্জা ধরে রাখা।

এবং এসব যখন ল্যাবে তৈরী করা হচ্ছে তখন মহাবিশ্বে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা টেলিস্কোপ লাগিয়ে দেখছেন এসব ঘটনা তারকা মন্ডলীতে অহরহই ঘটছে। তাহলে ঈশ্বর কনসেপ্টের উপর কিভাবে নির্ভরশীল?

অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, এখানে যা হচ্ছে তা হলো শক্তি রূপান্তর বা ক্ষেত্র থেকে সৃষ্ট কনিকা সমূহ। তাহলে ক্ষেত্র কিভাবে এলো, এসব নিয়মই বা কিভাবে তৈরী হলো।

এই প্রশ্নের জবাব এখনও দেয়া সম্ভব দেয়া হয়নি। যদিও অনেকে মাল্টিভার্স তত্ব দিয়ে যুক্তি এগিয়ে নিতে চায় কিন্তু সমস্যা হলো সুপার সিমেট্রির দেখা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানে মাল্টি ভার্স কনসেপ্ট অনেকটা অনুরোধে ঢেকি গেলার মতোই।

বিজ্ঞান অনেক এগোলেও এসব প্রশ্নের জন্য এখনও অতোটা এগোয়নি। তবে বিজ্ঞানের অপূর্ব নিদর্শন হলো মানবজাতীর উন্নয়ন এবং তার জন্য কিছু করা, ধর্মেরও একই উদ্দেশ্য।

যদি ধর্ম বলে কিছু নাই থাকতো অথবা ঈশ্বরের অনুপস্হিতি এতটাই প্রয়োজনীয় ছিলো তাহলে মানবজাতী ধর্ম হীন হয়েও সকল সমস্যার সমাধান পাচ্ছে না কেন? এটা ঠিক, অনেক নাস্তিক দেশে ধনী দরিদ্রের কোনো ব্যাবধান নেই। সবাই একসাথে খায় ঘুমায়, দারিদ্র‌্য জাদুঘরে। তারা এমন সিস্টেম গড়ে তুলেছে যে যতই মন্দা লাগুক তাদের দারিদ্র‌্যতা স্পর্শ করে না যদিও তাদের অনেক খনিজ সম্পদ নেই। অথবা ন্যায়বিচার কাঠামো বা সবকিছুতে এগিয়ে আছে কিন্তু সেই সিস্টেমগুলো অন্য কোথাও খাটছে না। খাটলেও সফলতা পাচ্ছে না।

যদিও ঈশ্বরের প্রসংগ এখানে মূখ্য না হলেও ধর্ম একটা বড় ফ্যাক্টর আবার অনেকই বলতে ধর্ম ভিত্তিক দেশগুলোও কি আদর্শ? না সেটাও না। মাঝে মাঝে মনে হয় সবকিছু মনুষ্য সৃস্ট বলেই এত সমস্যা। আবার মনে হয় যদি ঈশ্বর না থাকতো তাহলে মানুষ নিজের তৈরী নিখুত সিস্টেম দিয়েই সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলতো!

কিন্তু হচ্ছে না। ঈশ্বরের প্রয়োজনীয়তা এখনো আছে কারন স্বতঃস্ফূর্তের জন্য স্বতঃস্ফূর্ততার প্রয়োজনীয়তা কতটা দরকার এটার মতো অলীক ভাবনার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া।

বাকী সব সবার উপরই ছেড়ে দেই আরেকটা পড়ার বিকল্প নাই। কোরান শরীফের নাজিলকৃত প্রথম বাক্য শুরুই হয়েছিলো: পড়, তোমার ঈশ্বরের নামে!

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এর জন্য শুধু প্রয়োজন ছিলো কিছু নিয়ম মেনে চলা এবং সজ্জা ধরে রাখা।

এই নিয়মটাই বা কে করলো? এই সজ্জার পরিকল্পনাই বা কোথ্থেকে এলো??

অবশ্য শেষ বাক্যটা চমৎকার বলেছেন-

কারন স্বতঃস্ফূর্তের জন্য স্বতঃস্ফূর্ততার প্রয়োজনীয়তা কতটা দরকার এটার মতো অলীক ভাবনার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া।

বাকী সব সবার উপরই ছেড়ে দেই আরেকটা পড়ার বিকল্প নাই। কোরান শরীফের নাজিলকৃত প্রথম বাক্য শুরুই হয়েছিলো: পড়, তোমার ঈশ্বরের নামে!

+++

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই নিয়মটাই বা কে করলো? এই সজ্জার পরিকল্পনাই বা কোথ্থেকে এলো??

এই প্রশ্নের ম্যাক্রোলেভেলে আপনি উত্তর পাবেন। কারন ম্যাক্রোলেভেলে যা ঘটছে তার প্রায় সবকিছুই আপনি যুক্তি দিয়ে বলতে পারছেন এবং তার ভবিষ্যদ্বানী করতে পারছেন। যেমন আপনি বলতে পারছেন আপনার ক্যান্সার এইভাবে চললে আর ৩ মাস অথবা অমুক তারিখে ধূমকেতু বা ঘূর্নিঝড় হবে অথবা কাল বৃষ্টি হবে কি না।

এর মূল কারন হলো ম্যাক্রো লেভেলের এসব ঘটনার কারন মাইক্রো লেভেলের নিয়ম গুলোর নির্ভরশীল যদিও অনেক মিসং লিংক আছে আর গবেষনা করে সেগুলোর উত্তরও খোজা হচ্ছে নিরন্তর।

আমি আসলেই জানি সামনে সুপার সিমেট্রি আদৌ থাকবে কিনা বা এর অল্টারনেটিভ কি আসবে, কিন্তু যদি আসে অথবা থিওরী অব এভরিথিং আমরা জানতে পারি তাহলে হয়তো ঈশ্বরের প্রশ্নটা অনেকটাই অপাংক্তে্য।

কিন্তু যতদূর দেখা যাচ্ছে সুপার সিমেট্রি মার খাচ্ছে, স্ট্রিং থিওরী আদৌ সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে কি না সন্দেহ। থিওরী অব এভরিথিং এর ব্যাপারে এখনও তেমন কোনো ভালো প্রগ্রেস নেই যদিও হিগস খুজে পাওয়া বিশাল একটা ব্যাপার!

যাই হোক, বিশ্বাস হারানোর এখনও কোনো কারন নেই!

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিশ্বাস হারানোর এখনও কোনো কারন নেই! B-)

বিশ্বাস হারিয়েই বিশ্বাসে ফিরতে হয় ;)

কলেমায় দেখেননি- প্রথম পার্টে কেউ নেই বলতে বলছে; এরপর অনুসন্ধিৎসু মনে ২য় পার্টে বলছে তার পরিচয়....
আর সব শেষে সেই সূত্রের মাধ্যেমর স্বীকৃতি ;)

তবে বিস্ময়কর কিছু ব্যাপার পাচ্ছি মেডিটেশন বা ধ্যানে। বিজ্ঞান জানিনা একে কিভাবে ব্যখ্যা করে- তবে আমার মনে হয় সমন্বয়টা হলে অনেক উত্তর আরো সহজে বেরিয়ে আসতো।

আর প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাসযে সত্য থেকে অনেক দূরে তা বলাই বাহুল্য। প্রকৃত সত্য উচ্চারন করতে গিয়ে ইমাম গাজ্জালী সহ অনেকেই কাফের উপাধী পেয়েছেন। তাই বলে সত্য সন্ধানতো আর থেমে থাকবে না।
ব্যক্তি বিশেষে বোধের সীমাবদ্ধতায় না বোঝার যে অবস্থান তাওতো ক্ষেত্রের প্রেক্ষাপটে অনুভব করা সহজই বটে।

দম জিকির বা ব্রিদিং কন্ট্রোলের ব্যপারে কিছূ জানাবেন কি?

এতে কি ক্ষেত্র পরিবর্তিত হয় বা প্রতিক্রিয়া কি কি হতে পারে?


০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই ব্যাপারে অনেক আগে আমার স্ত্রী ফাট্টু আর ব্লগার রুমকীনের সাথে দীর্ঘ কথা হয়েছিলো ব্লগে।

নিউরোসায়েন্স নিয়ে পড়ালেখাকরেছিলাম তবে তা সীমাবদ্ধ পরিসরে যখন বিএসসি তে মোবাইল রেডিয়েশন নিয়ে প্রজেক্ট করেছিলাম। আমরা একটা সিস্টেম বানাতে গিয়ে ফেইল করি কারন ব্রেনের নিউরোট্রান্সমিটারগুলো নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে মাইক্রো স্কেলের তড়িৎ সিগন্যাল দিয়ে। তো আমাদের ডিটেক্টর একেতো এনালগ সার্কিট তারউপর পাকনামি করে ফুল ব্রিজ রেক্টিফাইড সিনক্রোনাইজড করতে পারিনি।
যাই হোক, সেটা ২০০৪ এর ঘটনা। এখন নিউরোসায়েন্স এগিয়েছে। রিসেন্টলি ওদের জার্নাল গুলো নেচার থেকে ফলো করি না।

আমি আপনাকে কোনো ডিসিশন দেবো না কারন এতে আপনাদের মতো লোকজন বিশ্বাস অবিশ্বাসের ধারা খুজবেন। তার চেয়ে আপনাকে কিছু চিন্তা করার স্বচ্ছ আইডিয়া দেই।

গড়পড়তায় প্রায় ১২০০ কোটি নিউরন দিয়ে আমাদের এই মস্তিষ্ক যার ৫০ শতাংশ আমাদের স্নায়ুবিক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রন করছে আমাদের মেরুদন্ডের মাধ্যমে বিস্তৃত পুরো শরীরের স্নায়ুবিক তন্ত্র।
পুরো শরীরের স্নায়য়ুবিক যোগাযোগ হয় নিউরনের ইলেক্ট্রো ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে।

আপনি হয়তো বলতে পারেন ট্রান্সমিটার যেহেতু, তাহলে তড়িত চৌম্বকীয় একটা ব্যাপার থাকবে। কিন্তু না এগুলো হচ্ছে শুধুমাত্র আয়নিত ইলেক্ট্রন প্রবাহ। ফলে এখানে চৌম্বকীয় বলের তো প্রশ্নই আসে না (কারন এর জন্য ম্যানেটিক এলিমেন্টের দরকার হয় কিন্তু আমাদের ব্রেনে ম্যাগনেটিক বা ফেরিক বা আয়রন এলিমেন্ট দিয়ে গঠিত না আর রক্তে যে আয়রন আছে তা দিয়ে হয়তো এক চামচের কোনাও হতে পারে)। আর তড়িত ক্ষেত্র যেটা আছে সেটা এতটাই কম যে আপনাকে মাইক্রো স্কেলের সেমিকন্ডাক্টর ডিটেক্টর লাগবে।

তার মানে আপনাকে একটা ব্রেন ইন্টারফেস বানাতে হলে সেটা হবে খুবই সংবেদনশীল এবং এখনও যেসব ব্রেন ইন্টারফেস তৈরী হয়েছে সেসব বেশীর ভাগ ক্যামিকেলের উপর নির্ভরশীল এবং ইলেক্ট্রো নিউরোট্রান্সমিটার সেই এলিয়েন আয়োনাইজড ক্যামিকেলকে প্রভাবক হিসেবে সেসব ডাটা সংগ্রহ করে।

এখন আপনি যদি বলেন আপনি ধ্যান করে ম্যাগনেটিক লেভিটেশন করবেন সেটা দুটো কারনে সম্ভব না।

১) গ্রাভিটির সাথে তড়িৎচৌম্বকীয় বল কিভাবে মিলে তার কোনো ধারনা নেই। বরংচ এটা যদি করা যায় তাহলে মনে করেন আপনি থিওরী অব এভরিথিং পেয়ে গেছেন। যার জন্য আমাদেরকে হিগসের পর ডার্ক ময়াটার ডার্ক এনার্জী সুপার সিমেট্রি, গ্রাভিট্রন স হ অনেকগুলো কনিকার উত্তর খুজতে হবে। সেখানে আপনার শরীর কিভাবে আপনি নিজে নিজে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড দিয়ে গ্রাভিটিকে নিয়ন্ত্রন করবেন সেটা একটা অলীক ভাবনা। কেউ যদি বলেন ইসরায়েলের ইউরি যেটা করছে সেটা কি? সোজা উত্তর এ পর্যন্ত তাবৎ লোকেরা যাই দেখিয়েছে সবই ভুজুং ভাজুং।

২) আপনার ব্রেনের মাইক্রোলেভেলের তড়িতক্ষেত্র দিয়ে কিভাবে বাইরের দুনিয়ার সাথে পন্ঞ্চ ইন্দ্রিয় ব্যাতীত যোগাযোগ করতে পারবেন এটার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বাদ দেন অলৌকিক ব্যাখ্যাও দিতে পারবে না। আপনি কখনো পাটখড়ী দিয়ে একটা ৫ টনি ট্রাক আলগা করতে পারবেন না? পারবেন কি?


আর আপনি যদি ভাবেন মানসিক নিয়ন্ত্রন, তাহলে আমি বলবো এটা তাহলে মনস্তাত্বিক ডিপার্টম্যান্ট। সাইকোলজীতে এরকম অনেক প্রক্রিয়াই আছে যেগুলো আপনার মানসিক শারীরিক উন্নতি ঘটাবে। এটাকে আপনি নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করতে পারবেন। কারন আমরা সবাই অস্হির, রিপুর তাড়না, লোভের বশবর্তী হয়ে নিজের বিবেকের সাময়িক বিলুপ্তিতে নানা খারাপ কাজ করি। পরে ঠান্ডা মাথায় যখন বসি তখন নিজের ভুল বুঝতে পারি।

কিন্তু এমন মানুষও আছে যারা পরেও ভুল বুঝতে পারে না যেমন শেখ হায়েনা তার পরিবার, খালেদা আর তার পরিবার, গো.আ - নিজামী গং আর তার গেলমানেরা, সেক্ষেত্রে ভাই মেডিটেশন দিয়েও কাজ হবে না কারন স্কিৎজোফ্রেনিক বা পিওর ডেভিলদের চিকিৎসা কোথাও নেই, কোনখানে নেই!

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০

আর কতো বলেছেন: অসাধারন। ++++++++
পার্টিকেল ফিজিক্স পড়ার ইচ্ছাটা কয়েক গুন বাড়াইয়া দিলেন।

আমার কখনই মনে হয় নাই আমার জ্ঞানের পরিধি এতো বেশি যে ধর্ম সত্য না বিজ্ঞান সত্য এই নিয়ে আলোচনা করব। আমি আমার ধর্মকে যেমন সন্দেহতিত ভাবে বিশ্বাস করি তেমনি বিশ্বাস করি বিজ্ঞানের প্রমাণকে।

কুরান শরীফে পৃথিবী সৃষ্টি, মানুষের সৃষ্টি ও বিবর্তন এবং যা আছে সব সত্য, এই বেপারে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। কিন্তু আমার কাছে সব সময় মনে হয়েছে, যদি আমি বিজ্ঞানে কোন একটা প্রমাণকে সত্য ধরে বলি, এইটার প্রমান ধর্মকে ভুল প্রমাণিত করেছে, তাই ধর্ম মিথ্যা; তাহলে আমি একটা মগজহীন গাধা।

কারন আমি ধরেই নিয়েছি যে বিজ্ঞান থেমেগেছে!!!!!! :-/ :-/ :-/ :-/

বিজ্ঞানের আর কোন অগ্রগতি হবেনা!!!! :-/ :-/ :-/

বিজ্ঞানের আজকের কোন প্রমান হয়তো ধর্মের কোন একটা কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেছে, কিন্তু এই প্রমানের নতুন কোন অগ্রগতিই কাল ধর্মকে সত্য প্রমান করবেনা এই দাবি কে করতে পারে????

আর সব শেষ কথা হল আপনার লিখা সুন্দর উপসংহারটি,"বাকী সব সবার উপরই ছেড়ে দেই আরেকটা পড়ার বিকল্প নাই। কোরান শরীফের নাজিলকৃত প্রথম বাক্য শুরুই হয়েছিলো: পড়, তোমার ঈশ্বরের নামে!"

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: যখন আরবীয় বিজ্ঞানীরা গবেষনা শুরু করেছিলো তখন সবার টার্গেট ছিলো পরশপাথর কিভাবে বানাবে। যখন তার আগে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা কাজ শুরু করেছিলো তাদের চিন্তাভাবনা ছিলো ফসল ফলাদী প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে কিভাবে রক্ষা পাবে সেটার জন্য। যখন বিজ্ঞান পশ্চিমা বিশ্বে আসন গাড়লো তখন তাদের টার্গেট হয়ে যায় অমর হওয়া এবং ঈশ্বরহীনতা প্রমান করা।

কোনো এক বইতে পড়েছিলাম।

যাই হোক টাইমস ম্যাগাজিন বলেছিলো মানুষ নাকি ২০৪৫ এর মাধ্যে নিজের গড় আয়ু ৩০০-৪০০ তে নিয়ে যাবে। এবং এর কিছু কিছু নিদর্শনও আমরা দেখতে পাচ্ছি এখন।

কথা হলো বিজ্ঞান এগিয়ে যাবে, কারন মানুষের মৌলিক চাহিদাই হলো নিজের অস্তিত্বকে প্রকৃতিতে বাচিয়ে রাখা। এই জন্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

তাই যখন শুনি কুকুর শফী, মেয়েদের ক্লাস ৪-৫ পর্যন্ত পড়তে বলে অথবা বর্বর দেশ ইরানে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে তখন মনে হয় যেখানে সভ্য দেশগুলো মানবজাতীর উৎকর্ষের জন্য এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে আমরা বর্বরতার পিছে পরে মরছি!

আসলেই দুঃখ জনক!

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

আর কতো বলেছেন: আর হ জ ব র ল লেখার জন্য মাফ চাইছি। খুব একটা লেখার অভ্যাস নাই।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্যাপার না, ব্লগে আমরা কবি সাহিত্যিক হইতে আসি নাই!

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৭

সাজেদ বলেছেন: ভাল লাগল। আরেকটা লেখা পড়লাম, প্রাসংগিক তাই লিংক যোগ করলাম

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এটাও একটা কনসেপ্ট যদিও বিশুদ্ধ কোনো কনসেপ্ট না। আপনি ধরেন বিয়ে করলেন, বিয়ের সব আচার পালন করলেন সংসার শুরু করলেন কিন্তু স্ত্রীর ধারনাকে অনুপস্হিত রাখলেন, সেটা কেমন?

আসলে এ ধরনের আস্তিকতাও এক ধরনের নাস্তিকতা। প্রথমে বুঝতে হবে কেন নাস্তিকতা আসলো। নাস্তিকতা আসলো এই জন্য যে ধর্মের কারনে যেসব অনাচার কুসংস্কার মানবসমাজে ছড়িয়ে পড়েছে সেগুলো দূর করার জন্য ধর্মকেই বাদ দিয়ে দেয়া।নাস্তিকতা বিজ্ঞান নয়, কারন বিজ্ঞান এখনও অসফল ঈশ্বরের ধারনাকে পুরোপুরি অমূলক প্রমান করা।

যদিও পোস্টে ঈশ্বর বাদ দিয়ে ধর্মের পালনের কথা বলা হয়েছে। আমি এখানে বলব বিশ্বাস ছাড়া ধর্ম পালনে অনসৃষ্টি আরও বাড়বে। যেখানে আমরা ধরেই নিবো ঈশ্বর নেই তাহলে দেখা যাবে নামাজ কালাম পড়ে আবারও সন্ত্রাসী অনাচার কাজ করতে থাকবে ক্ষমতাবান মানুষ। ইদানিংকার ক্ষমতাবান মানুষদের কিছু সংখ্যক মানুষ কিছু সময়ের জন্য হলেও ভালো কাজ করে বসে কিন্তু তখন এবসলুট শয়তান কি সেরকম মানুষের দেখা পাওয়া যাবে।

যাই হোক এটা আমার নিজস্ব মতামত!

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ। এত সুন্দর এবং বিস্তারিত সময়ে দেবার জন্য।


এখানে দয়া করে ব্যক্তিগত পারা না পারা আনা মনে হয় ঠিক হবে না। আপনার বিষয়টা খূব ভাল লাগল। আর আমি মূলত বিজ্ঞানকে ভালবাসলেও আপনার মতো গভীরে যাই নি। টার্ম লেঙ্গুয়াল শব্দ গুচ্ছও কেবলই শোনা পরিচিত বা হালকা ধরনা রাখা মাত্র। তবু পুচকিশ হিসেবে আগ্রহ থেকেই জানজানির চেষ্টা। :)


এখন আপনি যদি বলেন আপনি ধ্যান করে ম্যাগনেটিক লেভিটেশন করবেন সেটা দুটো কারনে সম্ভব না।

>> অসম্ভব বলে কি বিজ্ঞান কিছু বিশ্বাস করে? সবইতো সম্ভাবনর উপর দাড়ানো। তাহলে আশা করতেই পারি - তাও সম্ভব। ;)


১) গ্রাভিটির সাথে তড়িৎচৌম্বকীয় বল কিভাবে মিলে তার কোনো ধারনা নেই। বরংচ এটা যদি করা যায় তাহলে মনে করেন আপনি থিওরী অব এভরিথিং পেয়ে গেছেন। যার জন্য আমাদেরকে হিগসের পর ডার্ক ময়াটার ডার্ক এনার্জী সুপার সিমেট্রি, গ্রাভিট্রন স হ অনেকগুলো কনিকার উত্তর খুজতে হবে। সেখানে আপনার শরীর কিভাবে আপনি নিজে নিজে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড দিয়ে গ্রাভিটিকে নিয়ন্ত্রন করবেন সেটা একটা অলীক ভাবনা। কেউ যদি বলেন ইসরায়েলের ইউরি যেটা করছে সেটা কি? সোজা উত্তর এ পর্যন্ত তাবৎ লোকেরা যাই দেখিয়েছে সবই ভুজুং ভাজুং।

>> কে কি পেয়েছে বা ভুজুং ভাজু করেছে জানিনা। আমি বিশ্বাস করি আমার বাস্তবতাকে। আচ্ছা যদি বলি জিকিররত অনেকেরই পুরা বডি ইলেকট্রিয়াড হয়ে যায় বা ঐ আবিষ্টতায় বিরাজ করে- আপনি কি ভুজুং বলবেন না আমার যেমন মনে হয়- ।ঐ অবস্থায় তার বডিতে প্রমাণযোগ্য বস্তু সমূহ ব্যভহার করে তার সত্যসত্য নির্ণয় করাই উত্তম -তেমন বলবেন?
যদিও অনেকেই হাস্যকর বা পাগলামো ভাববে- কিন্তু সত্যি আমার মনে হয়- বিভিন্ন অনুষঙ্গ দিয়ে এই বিষয়ে যদি একটা বিস্তারিত কাজ হত- আমরা হয়তো আরেকটা নতুন সত্য বা জ্ঞানের সন্ধান পেতে পারতাম।

২) আপনার ব্রেনের মাইক্রোলেভেলের তড়িতক্ষেত্র দিয়ে কিভাবে বাইরের দুনিয়ার সাথে পন্ঞ্চ ইন্দ্রিয় ব্যাতীত যোগাযোগ করতে পারবেন এটার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বাদ দেন অলৌকিক ব্যাখ্যাও দিতে পারবে না। আপনি কখনো পাটখড়ী দিয়ে একটা ৫ টনি ট্রাক আলগা করতে পারবেন না? পারবেন কি?
>> সবচে মজার ব্যাপার কি জানেন- বস্তুকে ত্যাগ করে অবস্তুতে ভ্রমন করতে হলেতো সবার আগে আপনার ইদ্রিয় নির্ভরতা ছাড়তেই হবে- নয় কি?
যেমন অনু-পরমানু বাহ্য ইদ্রিয়গ্রাহ্য নয় বলেইতো তা কল্পনা বা অবাস্তব নয়। একটা মাধ্যমের সাহায্যে তা ঠিকই দৃশ্যমান। একটা মাধ্যমে তা ইদ্রিয়গ্রাহ্য হয়েছে। পরাবাস্তব বা বাইরের দুনিয়ায় যেখানে পৃথিবীর লজিক গুলো অকার্যকর সেখানে পৌছতে হলেতো অবশ্যই পাথির্ব শর্ত গুলো ত্যাগ করতে হবে।
পিপড়ার মাঝেই পাটখড়ি দিয়ে ট্রাক আলগা করার উত্তর আছে;) আছে নাকি?
আপেক্ষিকতাকে জোর করে ধরে না রেখে সকল সম্ভবের দেশে যেতে পারাইতো মুক্ততা! তবে আর মৌলবাদকে আকড়ে থাকা কেন ;)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মাধ্যমিক লেভেলে যখন প্রথম সায়েন্সের বই হাতে পেলাম তখন একটা সুন্দর কথা লিখেছিলো বিজ্ঞান সম্বন্ধে সেটা বিজ্ঞান হলো অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান। মানুষ তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করা অথবা নতুন কিছু আবোষ্কার করাটাই বিজ্ঞান। সেক্ষেত্রে গ্রামের অশিক্ষিত মূর্খ কৃষকও একজন বিজ্ঞানি কারন সে বছরের পর বছর তার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তার ফসল বুনে তার পরিচর্যা করে যায় এবং উপ হার দেয় তার শস্য। এবং ব্যাপারটা শুধু এখানেই থেমে থাকে না, তার অভিজ্ঞতা লব্ধ অন্য ব্যাক্তিরাও অনুসরন করে একই ফলাফল পায়।

১) ভুজুং ভাজুং এজন্য বলেছি ইসরায়েলি ইউরী গ্যালার চামচ বাকা করে ফেলতো। ম্যাগনেটিক লেভিটেশন নিয়ে রাশিয়ানদের অনেক গুলো দাবী ছিলো। এই জন্য।

যাই হোক আপনি যে ইলেক্ট্রয়েডের ধারনা দিলেন সেটা করা যেতে পারে। কিন্তু আমি যেটা জানি বাজার থেকে আপনি একটি ডিজিটাল মাল্টিমিটার কিনে এনে আপনার বা হাতের আঙ্গুল এর কালো নোডে আর ডান হাতের একই আঙ্গুল লাল নোডে রেখে মাল্টিমিটারটি কারেন্টে নিয়ে গেলে বেশ ভালো পরিমান কারেন্টের উপস্হিত পাবেন।মানবশরীরে বেশ ভালো পরিমানে স্হির বিদ্যুৎ পাওয়া যায় যার প্রধান আবাস স্হল আপনার মাথার চুলে। শীতকালে দেখবেন চিরুনীতে চুল নাড়াচাড়া করে। এভাবেই কিন্তু বিদ্যুৎ আবিস্কার হয়।

এখন জিকিরের মাধ্যমে এই বিদ্যুতের পরিমান কেউ বাড়াবে বা কমাবে সেটা মনে হয় না। তবে হ্যা কেউ যদি এটা করেও তাহলে দেখেবন তার পরিধান যোগ্য কাপড় কতটা শুকনো এবং এটা কটনের কিনা। আবার অনেকে বৈজ্ঞানিক তেলেসমাতীও কিন্তু দেখায়। যাই হোক সেটা ইস্যু নয়, মানবশরীরে সবকিছুই বিদ্যুতের খেলা। এমনকি আপনার হার্টের পাম্পেও কারেন্টের প্রবাহের দরকার অথবা ব্লাড প্রবাহের ইলেক্ট্রোলাইট ইলিমেন্টের ব্যালেন্সিং খুবই প্রয়োজন নাহলে হার্ট বীট মিসিং হবে।

এখন প্রশ্ন হলো জিকিরের মাধ্যমে কেউ যদি নিজেকে ইলেক্ট্রয়েড করে তাহলে এর দ্বারা কি প্রমানিত হয়? ১) সে কি কাপড় পড়ে আছে এবং সে কোথায় বসে আছে। ২) সে রক্তে কি ইমপুল করেছে। ৩) সে এটা দিয়ে কি করতে চায় এর উদ্দেশ্যই বা কি?

কিছু কিছু মানুষের জ্যানেটিক এক্সেসনালিটি থাকতেই পারে কিন্তু সেটা যে সবার হবে এমন কোনো কথা নেই।

আপনাকে অনেকগুলো পসিবিলিটি বললাম বাকীটা আপনার উপর।

২) আপনি যেটা বলেছেন সেটাকে বলা হয় এস্ট্রো ট্রাভেলার।এস্ট্রো ট্রাভেলার ব্যাপারটা হলো মানুষের অবচেতন মনের অন্য ডাইমেনশনে ভ্রমন করা। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরলে আপনি এই এস্ট্রোট্রাভেলিং ব্যাপারটা সম্পর্কে জানতে পারবেন বিস্তারিত। পৃথিবীতে অনেকেই এটা প্রাকটিস করে। এর কালো দিক সম্পর্কে একটা ভালো মুভি আছে নাম ইনসিডিয়াস। দেখতে পারেন।

তবে ব্যাক্তিগত ভাবে আমি এটা বিশ্বাস করি যদিও আমি সাইকোলজী বা বায়োলজীর লোক না তবুও।

আমার যুক্তি:

১) ইদানিং একটা তত্ব বাজারে বিদ্যমান সেটা হলো আত্মা আর জীবন। হালে এই তত্বটা কেন এসেছে সেটার জন্য ক্রেইগ ভেন্টারকে ধন্যবাদ দিতে হয় যে একটা মৃত কোষকে জীবিত করেছেন।

পৃথিবীর সবকিছুই অনু পরমানু দিয়ে তৈরী এবং আমাদের জীবনের উন্মেষ বা সবকিছু এর সজ্জার ফলে সৃষ্ট। এমনকি আমাদের জীবনও। কিন্তু এই কথাটার প্রমান এখনও করা যায়নি। এটা তখনই সম্ভব যখন অজৈব বস্তু থেকে সরাসরি জীবনের বৈশিষ্ট্য ধারনে এমন কোষ তৈরী করা। এবং এজনই অনেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। হয়তো ২০২০ সালে আমরা এর উত্তর পেতে পারি যদিও মানুষ থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে অর্গান তৈরী করা শুরু করে দিয়েছে তবে এগুলোর অনেকগুলো মানবশরীরে ব্যাব হার যোগ্য নয়। রক্তও মানুষের গ্রুপ অনুযায়ী তৈরি করা শুরু হয়েছে তবে সেগুলো স্টেম সেলের বদৌলতে।

যদি ২০১৫ বা ২০ সালের মধ্যে এটা প্রমানিত হয় যে অজৈব বস্তুর সম্মিলন থেকেই জীবন ধারনের জন্য সকল কোষের সৃষ্টি তখন ডারউইনের বিবর্তন প্রমান করা অথবা ঈশ্বরবিহীন আদম-হাওয়া প্রমান বাদ পড়ে যাবে। আমি যদিও এখন ঈশ্বরে বিশ্বাসী কিন্তু আমি অপেক্ষায় আছি ল্যাবে আসলেই কি পাওয়া যায়।

সে হিসেবে আপনার জীবন যদি সৃষ্টি করাই যায় তাহলে এমআইটি তাদের এক জার্নালে মানব ব্রেনের প্রতিসম সার্কিট তৈরি করেছে যেটা ব্রেনের ৯০% রেপ্লিকা। এখন বায়োলজিক্যাল ব্রেন তৈরীর জন্য ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ধরে রাখা হয়েছে। তখন হয়তো সাইকোলজী ডিপার্টম্যান্ট টা অনেকটা সফটওয়ার নির্ভর হয়ে যাবে কারন অলরেডি ব্রেনের ইন্টারফেস দিয়ে কমায় যাওয়া মানুষের চিকিৎসা চলছে এবং সফলতার হার বেশ ভালো (জার্মানী, আমেরিকার কয়েকটা ল্যাবে, এগুলো এখনও এফডিএ ছাড় দেয়নি)।

এখন আপনি বলেন আমার কি এগুলো বিশ্বাস করা ঠিক?

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এখন আপনি বলেন আমার কি এগুলো বিশ্বাস করা ঠিক?

অবশ্যই। ঠিক। কারণ এই সবই প্রমানীত সত্য।

সমস্যাটা হলো ধর্ম বা বিশ্বাসের যেই খোলসটার সাথে আমরা পরিচিত হই শৈশব থেকে তার অনেকটাই ধোঁয়াসা, উপমা ভিত্তিক এবং মূল সত্যকে বোঝাতে দুধের রং সাদা বোঝাতে হাতের আকৃতিতে গিয়ে ঠেকা!
(অন্ধকে বোঝাচ্ছে -দুধের রং কেমন? সাদা, সাদা কেমন? বকের মতো? বক কেমন? সে বকের মতো বেকিয়ে হাত বাড়িয়ে বোঝাল - এই যে এমন.. অন্ধ হাতড়ে বুঝল সাদা মানে এমন ;) )

তো সেই বুঝ থেকে সত্যে আসার পথটা অবশ্যই কঠিন শুধু নয় বেশ কঠিন।

লালনের একটা গানে শুনেছেন নিশ্চয়ই-
এই মানুষে সেই মানুষ আছে....

এখানে অনেক উত্তর লুকানো। সাদা চোখে যা দৃশ্যমান নয়।
সেই মানুষ কোন মানুষ?

আপনারে আপনি চিনে নে?

এই আপনি কোন আপনি?

অন্যভাবে নেবেননা। আপনার পার্টিকেল ফিজিক্সে ভাববাদ নিয়ে আসছি বলে। তবে মনে হয়- এখানেও অনেক উত্তর লুকানো আছে- যা বিজ্ঞানকে সাহায্য করতে পারে- যদি গ্রহন করে।

ধরুন- আমি বললাম- সেই মানুষ বিশাল আকৃতি বিশিষ্ট। হুজুরদের ৬০ হাত নয়, বরং আরও আরও অনেক ব্যাপক্ যার বক্ষ পিঞ্জরের মধ্যেখানে একটু জায়গায় বিশাল সৌরজগত!!!! তাহলে বাকী অবয়বটুকু ভাবুন দেখি!!!!

কি পাগল ঠাউরাচ্ছেন! না হাসছেন এ আবার কি নতুন উৎপাত ;)

এখন এই পর্দাথ সমূহ দিয়ে গড়া মানুষের মৌলিক মানুষ যদি সেইটা হয়- তবে তার কাছে পৌছানের পথও নিশ্চয়ই আছে?
যেখানে পৌছাতে পারলে সকল ডাইমেনশন ভেঙ্গে আপনি মুক্তির বিশাল জগতে পা রাখতে পারছেন !

প্রশ্ন হলো দুইটার সমন্বয় কিভাবে?

এখানেই আপনার পার্টিক্যাল ফিজিক্স বিষয়টা খূব কার্যকরি। যত ক্ষুদ্রতে নিজেকে ব্যাপ্ত করা যায়- ততই বিশালতার দ্বার উন্মুক্ত হয়। অবস্তুগত- বা ভাবনায় শুধূ নয়- বস্তুগত ভাবেও সম্ভব বলেই আমার বিশ্বাস।

হিগস বোনের ভাসা ভাসা যেটুকু জেনেছি- কেন যেন খুব মজার এবং আনন্দের মনে হয়েছে। মনে হচ্ছে এগিয়ে যাচ্ছে সেই পথের দ্বারে। এরচেও বিস্ময়কর শক্তি এবং ক্ষমতার জগত আছে যেখানে মানুষ বিচরণ করতে পারবে অদূর ভবিষ্যতে।


অট: ভাই যদি বিরক্ত হন বা অন্যকিছূ মনে করেন- প্লিজ কলবেন। আমি থেমে যাব। অনেক জানার ইচ্ছে থেকেই চেষ্টা-- তবে কাউকে ক্লান্ত বিরক্ত করে নয়। পুচকিসদের চেয়েও বেশি পুচকি যে আবার উল্টা পাকনামী বোঝে বেশি- সেরাম ছাত্র হলি শিক্ষকের কি দশাই না হয় ;)


০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, আমি শিক্ষক না। আর জানার ব্যাপারে ধরতে গেলে কিছু জানি না। আর বিশ্বাসের জায়গায় এখন আমি ইন্দ্রিয় বা বিবেকের জায়গায় যুক্তিকে প্রাধান্য দেই যেই যুক্তিগুলো অকাট্য সেসবই গ্রহন করি। ঈশ্বরে বিশ্বাস বলতে গেলে আমার কনসেপ্ট টা এরকম যে বিজ্ঞান যখনই এক জট খোলে আরও দশটা জট লাগে। জট যেগুলো খুলে সেগুলো হয়তোবা কখনো কখনো ঈশ্বরের অনস্তিত্বের দিকে গেলেও বস্তুত আরও দশটা জট ঈশ্বেরর অস্তিত্বের জানান দেয় ঠিক সে কারনেই। যখন এরকম ঘটবে না তখন হয়তোবা বিশ্বাসটা থাকবে না। কিন্তু যেহেতু সেই সম্ভাবনা নেই সেহেতু মৃত্য আগ পর্যন্ত নাই সেহেতু আস্তিক হয়েই থাকবো।

যাই হোক, ব্যাক্তিগত ভাবে আমি এসব বিশ্বাস করি না। বিজ্ঞানের কাজ হইলো অজানাকে জানা। সে অন্ধ বলেই আগে অনুমান করে গণিত আর তার অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞানের সাহায্য নিয়ে এবং পরীক্ষা করে সেগুলোর প্রমান করে এবং তা দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগায়।
যার সবচেয়ে বড় উদাহরন হলো স্ট্যান্ডার্ড মডেল আর কাজে লাগানোর ব্যাপারে ক্যান্সারে কেমোর জায়গায় এখন প্রোটন কোলাইডার কাজে লাগানোর কথা ভাবছে যেখানে রেডিয়েশন এফেক্ট অনেকখানি তিরোহিত হবে। এমনকি রিএক্টরেও প্রোটন কোলাইডার প্রোটোটাইপ বসাচ্ছে বর্জ্যের তেজস্ক্রিয়তার আয়ু কমানোর জন্য।

আপনি যেসব নিয়ে কথা বলেন সেসব নিয়ে আমার আগ্রহ ছিলো একসময়। কিন্তু যখন দেখলাম বস্তুত এসবের কোনো প্রমান নাই।

কিন্তু আপনি বলছেন প্রমান আছে ভুড়ি ভুড়ি।

তাহলে প্রশ্ন:

১) এই প্রমান গুলো দেয়ার জন্য স্বনির্বন্ধ অনুরোধ। লিংক দিতে না পারেন এটলিস্ট তাদের নাম এবং কি কাজ করেছে যাতে করে সেগুলো আমি ট্রেস করতে পারি সেগুলো দিন।
২) একজন মানুষ যে কাজটা করেছে সে কাজটা সবাই করতে পারছে না কেন? জাদু শিল্পকে বিজ্ঞান বলা হয় শুধু এই কারনে যে আজকে যদি ডেভিড ব্লেইন পুরো আইফেল টাওয়ার বা স্টাচু অব লিবার্টি শূন্যে মিলিয়ে দেবার তেলেসমাতী দেখায় তাহলে কালকে জাপান বা চিলি বা পৃথিবীর অন্য প্রান্তে আরেকজন লোক সেম প্রিন্সিপাল বা অন্য তত্ব কাজে লাগিয়ে সেটা করতে পারবে। এটাই বিজ্ঞান যেখানে অভিজ্ঞাত লব্ধ কাজে লাগিয়ে সে করতে পারে। আপনি "নাও ইউ সি মি" মুভিটা দেখতে পারেন জাদু কিভাবে বিজ্ঞান হয়।
আপনার ঐ কাহিনীগুলো তখনই বিশ্বাসযোগ্য হবে যদি সেটা বিজ্ঞানের পথ অনুসরন করে অথবা তার পেছনে কোনো ভালো লজিক থাকে। নতুবা সেটা জাদু ছাড়া কিছুই নয়, কারন জাদুটা হলো চোখের দেখার আড়াল করা আর কি।

আর আমি বিরক্ত কখনোই হই না। আমি শিখতে চাই। আমি আপনার কাছ থেকেও শিখতে চাই। তবে আমি কারো কাছ থেকে তখনই শিখতে চাই যখন জানতে পারি তার কাছে উপযুক্ত রেফারেন্স আছে। ভালো থাকুন!

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

রাতুল_শাহ বলেছেন: টিভির একটা ছবি বানাতে তার পেছনে সেকেন্ডে ৩০টা ফ্রেম বা স্হির ছবি চালায়। আমাদের মস্তিষ্ক এমন যে সেকেন্ডে যদি ১৬ টা ছবি চালানো হয় তাহলে আমাদের কাছে মনে এগুলো সব স্হির ছবি ছিলো। কিন্তু এর উপরে গেলে সব চলমান। আর টিভিতে যেহেতু প্রতি ফ্রেমে ৩০টা তাই আমাদের কাছে মনে হয় একটা মসৃন চলমান বাস্তবতা আমাদের চোখের সামনে ভেসে আসছে।

জানলাম।

:)


০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বর্তমানকার এইচডি টিভি গুলানের ফ্রেম রেট তো ৫০ থিকা ৬০ পর্যন্ত। কিন্তু কাহিনী কি? পুরা পোস্টে খালি কি এই এক প্যারাই বুঝলা? লেখাখান কি এতই খারাপ লিখছি ?

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ভালো পোষ্ট। আপনাকে অনুসরনে রাখলাম। পরে এসে মন্তব্য করব। আজকে একটি পোষ্টে আপনি যে সকল যুক্তি এবং জনৈক মাল্টিকে যেভাবে ধুইছেন তাতে আপনাকে আমার লাল সালাম।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্লগে বিএনপির বেশীরভাগ সাপোর্টার গুলা হয় ছুপা জামাতী নাইলে অশিক্ষিত গালিবাজ। এদের যুক্তির লেভেল রাস্তার কুলীদের থেকেও খারাপ। তবে লীগের কুকুর গুলা শিক্ষিত শয়তান। এরা শিক্ষাই গ্রহন করছে কুকর্ম করনের জন্য। সন্ত্রাস দুর্নীতি স্বজন প্রীতি দেখলে মনে হয় মানুষ কেন এই কুকুরদের সাপোর্ট দেয়!

সমস্যা হলো দেশের বড় দুঃসময়। কাল নাগিনীদের হাতে দেশ পড়েছে আর দেশের মানুষ এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করে এদের সাথে গলা মিলাচ্ছে। আর তাই এরকম পার্ভার্ট, পেডোফাইল, স্যাডিস্ট, মুনাফেক, আর সন্ত্রাসীরা ঘাড়ে উঠে বসেছে!

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: প্রিয় ভাই! ঈদ মোবারক। আপনি একটা শুদ্ধমানুষ। আপনাকে সালাম।

১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঈদ মরাবক ভাই। কেমুন আছেন?

১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৩

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: খুবই ভাল উদাসী ভাই। (এইটা হল মুখস্ত কথা। যত খারাপ থাকি তত ভাল আছি বলতে হবে। মরার মেডিটেশন শিখতে গিয়া এইসব আকাইম্মা জিনিস সিখছি... :| )

আপনার ফ্যামিলির সবাই ভাল তো!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ছোটবেলায় শিখেছিলাম যখন যেই অবস্হাতেই থাকি খোদার কাছে শুকরিয়া করতে হবে। বান্দাকে আল্লাহ যেভাবেই রাখেন সেভাবেই তার থাকা উচিত। মনে করা উচিত তার বর্তমান অবস্হাটাই সবচেয়ে যোগ্যতম অবস্হা তার জন্য।

যদিও ছোটবেলার অনেক শিক্ষাই বড় বেলা কাজে লাগাইনি, কিন্তু আপনি এই শিক্ষাটা ধরে রেখেছেন।

আপনার মধ্যে মহত্ব নামের একটা গুণ আছে মনে হয়!

১২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আবারো লেখায় এমন সব বিজ্ঞান-সূত্র জানলাম, যেগুলো মৌলিক এবং প্রাথমিক, কিন্তু বইতে এভাবে লেখা থাকে না দেখে আমরাও সহজে জানতে পারি না।

পোস্টের একটা কহতব্যর সাথে পুরাই একমত।
ঈশ্বরের উপস্থিতির প্রত্যক্ষ প্রয়োজনীয়তা পার্টিক্যাল লেভেলে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু পার্টিক্যাল লেভেল থেকে এই বিপুল উন্নয়ন এর পিছনে কোন হাতের না থাকার কথাও নি:সন্দেহভাবে বলা যাচ্ছে না- গাঠনিকতার কারণেই।

ডাইরেক্ট ঈশ্বর কনসেপ্টের সাথে ডাইরেক্ট বিজ্ঞানকে মিলানো বোকামি তো হবেই।

ঈশ্বর কনসেপ্টের মূল বিষয় হল, তিনি অমুখাপেক্ষী। এবং তাঁকে লক্ষণ দেখে চিনতে হবে, প্রমাণ নয়।
বিজ্ঞানের চিরায়ত নিয়ম হল, লক্ষণ দেখে গ্রহণ করা যাবে না, প্রমাণ নিতে হবে।

তাই বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের সাথে ঈশ্বরধারণা প্রতিষ্ঠানের মৌল নীতির তফাতের কারণে এই দুইকে এক কাতারে সরাসরি ফেলা যাবে না।

সব ধর্মের মৌল পরিচয়েই পাই, ঈশ্বর আনফ্যাদমেবল। তাঁর পরিচয়ই হচ্ছে, 'যাকে দেখা/বোঝা/পূর্ণ অনুভব করা/ছোঁয়া যাবে না'। সামাদ বা অমুখাপেক্ষীর মানেই দাঁড়ায়, কোনকিছুর সাপেক্ষে তাকে বর্ণনা করা যাবে না। তাঁর 'অস্তিত্বের' প্রমাণ যদি আমরা কোন সাপেক্ষে করেই ফেলি, তাহলে তো সামাদ ধারণাটাই বাতিল হয়ে যাচ্ছে। আবার আমরা এই প্রমাণটাকেই সাপেক্ষে করার জন্য পাগল হয়ে যাই।

অর্থাৎ তিনি ছোঁয়ার বাইরেই থাকছেন, এবং এ অবস্থাতেই লক্ষণ দেখে তাঁকে চিনতে হবে।

একটা মজার ঘটনা বলি,
এক ভাইকে বললাম, মানুষ সৃষ্টির মৌল উপাদান একত্র করে সেখানে প্রাণ আসা সম্ভব কিনা তা বোঝার চেষ্টা করছে।
তিনি সরাসরি বললেন, এমনটা হবেই না।

বললাম, অলরেডি মানুষ মানুষের প্রতিবিম্ব (ক্লোন) তৈরি করে ফেলেছে। বললেন, পারবে না।

বললাম, মৌল বা যৌগ পদার্থ শূণ্য থেকে তৈরি করার কাছাকাছি পৌছে গেছে। শুধু শক্তি থেকে ইলেক্ট্রন এবং শুধু ইলেক্ট্রন থেকে সোনা-তামা-হীরা-কার্বন সবই যতটুকু চায় ততটুকু তৈরি করতে পারবে। বললেন, পারবে না।

বললাম, একটা ডিএনএ তে যে সিকোয়েন্স থাকে, সেই সিকোয়েন্স কৃত্রিমভাবে থৈরি করে সেটাকে বায়োলজিক্যালি রেপ্লিকেট করার কাছাকাছি পৌছে গেছে। তার মানে, কৃত্রিম ডিএনএ দিয়ে জীবন চালানো। হবে না।

বললাম, মানুষ উড়তে পারবে, এজন্য কিছু জেনেটিক চেইঞ্জ দরকার। হাড়গুলা সরু হতে হবে। ফাঁপা। যকৃৎ, পাকস্থলী, পেশী পাতলা হতে হবে, বাড়তি চর্বির উপস্থিতির সম্ভাবনা রদ করতে হবে। এরপর অ্যালবাট্রসের ডানার জিন হিউম্যান জিনোমের ভিতর ইনসার্ট করে, অথবা বাদুড়ের ডানার জিন, সেটাকে বৃহত্তরভাবে ছড়ানোর উপায় থাকতে হবে। জেনেটিক লেভেলে সম্ভব।
ক্ষেপে গিয়ে বললেন, অসম্ভব!

বললাম, অসম্ভব কীভাবে? অলরেডি তামাক গাছের গোড়া যেভাবে জ্বলে, সেভাবে জ্বলছে মাছের গা। তামাকের ওই জিন মাঝে অ্যাপ্লাই করে মাছকে রাতে জ্বলজ্বলে করা গেছে।

ক্ষেপে গেলেন, বুঝতে পারছিস না, যে সৃষ্টিতে হাত দেয়া সম্ভব না?
তাঁর কাছে অ্যাক্ট অভ গড ওটাই।
তাই অ্যাক্ট অভ গড তিনি সংরক্ষিত বলেই ধরে নিচ্ছেন।

বিজ্ঞান প্রমাণ করার জন্য ধরে নেয়, কিন্তু ধরে নিয়ে সেখানেই স্থির থাকার জন্য সেই ধরে নেয়াটাকেই কখনো প্রমাণ মনে করে না- এই মৌলিক পার্থক্য ধরতে না পারলে কখনোই বিজ্ঞানের সীমা যেমন আমরা বুঝতে পারব না, তেমনি ঈশ্বরের 'সীমা' যা আমরা নির্ধারণ করছি সেটা থেকে বের হতে পারব না।

একটা সময় তো বিজলী ফেলতে পারাটাকেই ঈশ্বরের সীমা মনে করা হত!

ভাই পড়ে ভাল লাগল তাই অনেক কথা বলে ফেললাম। আপনার এই ধরনের লেখা একটা ইউনিক জিনিস। এগুলা খুবই ভাল লাগে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বিজ্ঞান কখনোই অপরিবর্তনীয় হয়। একসময় ভ্যাকুয়াম জিনিসটা যখন বিজ্ঞানীদের কাছে পরিস্কার ছিলো না অথবা কোয়ান্টাম ফোমের কনসেপ্টের জন্ম নেয় নি তখন গ্যাসের এনট্রিপি হিসাব করার জন্য ইথারের সাহায্য নেয়। ইথার এমন একটা হাইপোথ্যাটিকাল জিনিস যেটা সর্বত্র বিদ্যমান। এভাবে গ্যাসের অনেক তত্ব আবিষ্কৃত হয় এবং সে হিসেবে মানুষ পাওয়ার স্টেশনও বানায়। কিন্তু একসময় যখন অনু পরমানু এবং নিউক্লিয়াসের কনসেপ্ট গুলো ক্লিয়ার হতে থাকলো তখন এই ইথারের আর প্রয়োজন দেখা দিলো না। কিন্তু সুত্র গুলো অসম্ভব সুন্দরভাবে কাজ করতে লাগলো।

আবার ট্রান্সফর্মার ডিজাইনের জন্য এডি কারেন্ট লস বলে একটা সুত্র আছে যেটা ইমপেরিক্যাল। এর কোনো ম্যাথমেটিক্যাল প্রুফ নাই কিন্তু ব হু ডাটা উপাত্ত নিগড়ে এই সুত্রটা তৈরী করা হয়েছে। বিজ্ঞান অবশ্যই পরিবর্তন যোগ্য এবং এরকম অনেক উদাহরন আমরা ক্লাস নাইন টেনে ডেরিভেশন স হ পড়েছিলাম যেগুলো নিউটোনিয়ান অনেক ল কি জন্য পরিবর্তন হয়েছিলো সেগুলোর উপর।

সত্য একটাই। হয় ঈশ্বর আছে হয় ঈশ্বর নাই। তবে এই প্রশ্নের উত্তর পাবার জন্য আমাদের বেশ কিছু জানতে হবে যেগুলো কোনোটা ধাধার মতো হয়ে আছে অথবা যেগুলো পর্যবেক্ষনযোগ্য পরিবেশের সাথে সম্পূর্নরূপে আলাদা। যেহেতু অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানই বিজ্ঞান সেহেতু আমরা এসব মৌলিক প্রশ্নের ভেতরে ঢুকে সমস্যার মধ্যে পড়েই সমস্যার জট খুলতে চেষ্টা করবো এবং সফলতা আসবেই।

ঈশ্বরের প্রয়োজন যদি সত্যি না থাকে তাহলে সেটাই হোক, আর যদি থাকে তাহলে সেটাই হোক। তবে যেহেতু বিজ্ঞান এখনও জানেনা এই প্রশ্নের উত্তর সেহেতু সে দ্ব্যার্থহীন ভাবেই নিজের অজ্ঞতা মেনে নিয়ে অজানাকে জানতে চায় এবং সফলতা এখনও বিদ্যমান। অলৌকিকতার কোনো স্হান বিজ্ঞানে নেই!

১৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ব্যক্তির অলৌকিকতা বা রুহানিয়াত নিয়ে বিদ্রোহী ভৃগুর সাথে শেষ কমেন্টটা মজার। আমি ঠিক জানি না, এর কোন রেফারেন্স-প্রমাণ আছে কিনা। বা এর সাথে বিজ্ঞানকে ঠিক কীভাবে মিলাবো। তবে আলোচনা তো করা যায়।

সাধারণত 'অলৌকিকতা' বা মানুষের নিজের ভিতরে সব পাওয়া ইত্যাদি এর বিরুদ্ধে যেসব মত আছে সেগুলোই আগে আসুক।

১. হ্যালুসিলেশন। অসংখ্য অলৌকিকতা শেষ পর্যন্ত হ্যালুসিলেশন। সত্য।
২. সেরেটোনিন। এটাকে একটা সিন্ড্রোমের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন মনোবিজ্ঞানীরা। যারা অলৌকিকের সাথে বসবাস করেন, তাদের মস্তিষ্কে সেরেটোনিনের মাত্রা অসম্ভব বেশি। সেরেটোনিন হল সুখের অন্যতম নিউরোট্রান্সমিটার। আপনি যখন সুখী, আপনার মাথায় তখন সেরেটোনিন খুব বেশি ঘুরছে।
চিরসুখী মানুষ সব সময় সেরেটোনিনে ডুবে থাকবে, তা তো স্বাভাবিক।

মজার ব্যাপার দেখেন, 'চিরসুখী' মানুষের সংজ্ঞা সব ধর্মে একই দেয়া হয়, খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান র. বলছেন, একজন আরিফ (সম্যক সত্যজ্ঞাত) সব সময় প্রশান্তি ও সুখে ডুবে থাকেন।

আবার তারা জানেনও, সেরেটোনিনের জন্য কী খেতে হবে।
মহামতি বুদ্ধ যেমন ডুমুর গাছের নিচে ধ্যান করতেন এবং মাঝে মাঝে খেলে ওই ডুমুর খেতেন, গাউসে জিলানী র. কে দেখা যায় প্রায়ই (বর্ণনায়) তিনি ডুমুর খাচ্ছেন।


কিন্তু এখানেই শেষ না।
আমি পড়লাম কাজীদার একটা বই। সেখান থেকে সাইকিক প্রজেকশনের বিষয়ে জানলাম। পরে সেটা শিখে প্র্যাক্টিস করে অনেকবার তার বাস্তব প্রয়োগ দেখতে পেলাম।

এটার প্রমাণ ঠিক কীভাবে দিব তা তো জানি না।

দুইটা ফার্স্ট হ্যান্ড সলিড উদাহরণ আছে ভাই, আমি শিওর আপনি মজা পাবেন।

Click This Link

Click This Link

এটাকে আপনি প্রমাণ ধরতে পারেন এই অর্থে যে, এমন অকাট্য বাস্তবতা আমার জীবনেই ৩০ বারের বেশি। এই বিষয়টাকে ইনফরমেশনের সমণ্বয়ের জন্য এই পোস্টটা দিয়েছিলাম-

Click This Link

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বি.ভৃগুর কাছে আমি প্রমান চেয়েছিলাম যে ব্যাপারে সেগুলো হলো মেডিটেশনের মাধ্যমে শরীর ইলেক্ট্রিফায়েড হয় কিনা এবং এস্ট্রোট্রাভেলিং ও একজনের মনের কথা আরেকজন জেনে নেয়া বা সাইকিক। উনি কোনো প্রমান দেন নি যা দেখে বিশ্বাস করবো এগুলো সত্যি বিদ্যমান।

আপনার দুটো পোস্টের মধ্যে একটা নিয়ে আলোচনা করবো আর ঐ সুফীবাদ নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী নই। কারন বর্বর মধ্যপ্রাচ্যের পরিবর্তী সময়ের মুসলিম এমন কিছু আলেম আছেন যারা নবিজী সাঃ ব্যাতীতও অনেক ফতোয়া প্রায় হাদিস পর্যায়ে ইসলামের কুসংস্কার যুগ সৃষ্টি করে গেছেন। যদি কোনো নবিজীর সুন্নতে না থেকে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষনা করে তাহলে তাকে কাফের আর কোনো শয়তান আল্লাহর বানী মুখে নিয়ে আকাম কুকাম সব করে সে হইলো বিশাল আলেম, এইসব লোক বা সময়ে লিখিত ইতিহাসকে কখনোই কোনো রেফারেন্স হিসেবে ধরি না।

বাকীটা হলো সাইকীক হলিং। সাইকীক হিলিং ধ্যান শক্তির মাধ্যমে নিরাময় করা। আপনার তিনটা ঘটনার দুটো হলো মানুষের শরীরের অসুখ সম্পর্কে বলে দেয়া। আরেকটা হলো পিঠে হাত রেখে জায়গা শক্ত করা যেখানে এটা ক্লিয়ার না যে আসলেই তারা চিরস্হায়ী নিরাময় হয়েছে কিনা।

তাহলে আপনার ঐ দুটো ঘটনা সাইকিক হিলিং এ না গিয়ে ওগুলো মেন্টালিস্টের মাধ্যমে পড়া। আমি আপনাকে বা কাউকে দায়ী করছি না। এসবের যুক্তি হলো একজন ডাক্তারের কাজ অনেক সময় সাধারন মানুষ করে এই পদ্ধতির প্রবক্তা হলেন আর্থার কোনান ডয়েল যে কিনা শার্লক হোমসের স্রষ্টা এবং সারা বিশ্বের কোথাও নেই কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশে ডিবি পুলিশের ট্রেনিং হয় শার্লক হোমসের বই এর উপর নির্ভর করে।

যেহেতু আমি মেন্টালিস্ট না শার্ল হোমসের মতো সেহেতু আমি আপনাকে ভুল প্রমানের জন্য অকাট্য প্রমান দেবো না কিন্তু যারা মেন্টালিস্ট তারা এটা ঠিকই করে দেখাতে পারবে নিজেদেরকে সাইকিক বলে। স হজ ভাষায় আপনি যে কাজটির কথা বলছেন এটা কগনিটিভ সায়েন্সের অন্তর্ভুক্ত। নেটে সার্চ দিলে এর উপর বিস্তর গবেষনা এবং এলগরিদম দেখতে পাবেন এবং মাঝে মাঝে যখন দেখেন মানুষ ভাত খায় কেন, বা একটা বিয়া করে কেন এই টাইপের গবেষনা, একমাত্র এগুলো দিয়েই করে যা রোবোটিক্সের জন্য খুবই দরকারী।


এসব আমি ছোটবেলা পড়েছিলাম। রাসপুটিন ছিলো এর সেরা। কিন্তু যখন এর পেছনের কারন গুলো পড়লাম তখন মনে হলো বিজ্ঞানের উপর কিছু নাই।

কিন্তু একটা কথা কিছু দিন আগে জেনেটিক্সের পোলাপান একটা খরগোশের ব্রীড করিয়েছে যে কিনা আলো ছড়ায়।

তাই মানুষের ঈশ্বর হবার সীমানার কোনো সীমা নাই এটাই কিন্তু সত্য হতে যাচ্ছে। আর যখন লী ক্রোনীনরা জীবনের সংজ্ঞাকে অজৈবিক বস্তুর সম্মিলন হিসেবে দেখাবে তখন আমার মনে হয় এসব ভাববাদের প্রয়োজন তিরোহিত হবে

১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

প্রসন্ন প্রহর. বলেছেন: জানা হলো অজানা কে । অশেষ ধন্যবাদ

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার জন্য ১ কেজি ধইন্যাপাতা

১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২২

শ্রাবণধারা বলেছেন: অনেক চমৎকার লেখা, বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়গুলোকে অনেক সহজ করে এবং চমৎকার গুছিয়ে বলার ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হয়েছি।

একসময় বিজ্ঞানের জনপ্রিয় বইগুলো পড়ে যতটুকু ধারণা হয়েছে, আর আপনার এই লেখা পড়ে যেটা বুঝলাম তা হলো বিশ্বব্রক্ষ্মাণ্ড সয়ংক্রিয় আর একে চালু করে দেবার জন্য আগে পিছে মাঝখানে কোন অদৃশ্য হাতের দরকার নেই। এই বক্তব্যে আমার সন্দেহ নেই। বেত হাতে সপ্তআকাশের উপরে সিংহাসনে বসে কোন ভগবান যে পৃথিবী শাসন করে না এটা প্রমাণের জন্য পদার্থবিদ্যার সূক্ষ্ম সূত্রের আমদানি আমার কাছে একঅর্থে পদার্থবিদ্যাকেই ছোট করার সামিল, কেননা বিজ্ঞানের সূত্র অনেক বছরের অজস্র অসম্ভব প্রতিভাবান মানুষের সাধনার ফসল। কিন্তু মোটামাথায় সপ্তআকাশের উপরে সিংহাসনে ভগবানকে বসিয়ে তার পূজো করতে কোন সাধনার দরকার হয় না; দু এক পাতা আরবী/ সংস্কৃত পরলে অথবা হুজুর/ পুরুতের ওয়াজ/আওয়াজ শুনলেই সে বিদ্যা পুরো হয়ে যায়।
সাধনা করে পাওয়া যে ঈশ্বর সে কিন্তু বেত হাতে সপ্তআকাশে বসে থাকা অথবা ঘড়ির মিস্ত্রী ঈশ্বর নয় যে হাতল ঘুড়িয়ে দুনিয়া চালু করে দিয়েছে, সে বাহিরের নয় সে ভিতরের। বাহিরের দিকে তাকিয়ে বিজ্ঞানের সুত্র দিয়ে তাকে বোঝার চেষ্টা করাটা অথবা তাকে অপ্রমাণ কারার চেষ্টা করাটা বেকুবি। যারা তাকে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তারা বলবিদ্যার সুত্র পড়ে পাননি। অতএব আপনার যদি সত্যি তাকে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে চেষ্টাটা অন্যভাবে করতে হবে। এই লাইনে যে সব পাঠ আমাকে অনেকটা সাহায্য করেছে তার কথা বলতে পারি- রামকৃষ্ণ পরমহংস। তার উপর লেখা পরে দেখতে পারেন।
আর একটা কথা লেখায় ইরান সম্পর্কে যে প্রশংগটা তুলে গালি দিয়েছেন, বিষয়টা ঠিক সত্যি নয়, ব্যাপারটা ছিল অনেকটা প্রশাসনিক, মেয়েদেরকে দমনকরার জন্য নয়। নেটে তত্ত্বতালাশ করলেই এর সত্যটা জানতে পারবেন।
এত বকবক করে এসে এখন মনে মনে ভাবছি, বাঙ্গালীতো আসলে কোনকালেই সত্যের ব্যাপারে সাধনার আগ্রহ দেখায়নি, বরং তারা আকাশ থেকে পাওয়া অথবা দুই পাতা পড়ে তৈরি হওয়া বিশ্বাসের প্রতিফলন দেখতে চায়, সমর্থন চায়। শুভকামনা রইলো...........।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: রামকৃষ্ণ পরমহংস পড়া হয়নি। তার বই কি অনলাইনে পাওয়া যায়?
ইরান গালি পাবার জন্য একটা উৎকৃষ্ট দেশ। আমি যা বলেছি ঠিক বলেছি আপনি রেফারেন্স চেয়েছেন তাই আমি আমি আল জাজিরার রেফারেন্স দিলাম। ওরা অফিসিয়ালি যে কারনটা দেখিয়েছে সেটা হলো ছেলেদেরকে শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করার জন্যই সেটা করেছে।

কিন্তু মোল্লারা যে দাবীটি করেছিলো খোমেনী শয়তানটার কাছে সেটা হলো বিবাহের নিম্নমুখি প্রবনতা এবং জন্মহার কমে যাওয়া সেই সাথে নারী অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার হবার প্রবণতার কারনে ৩৬ টা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৭টা বিষয়ে এই ব্যান করা হয়। আর এই ৭৭টা বিষয়ের লিস্টি দেখেন, মানুষ এগুলোতে না পড়লে আর কিসে পড়বে?

তবে ওদের সরকারী তেল কোম্পানী মেহের নিউজ এজেন্সিকে কি বলেছে জানেন? বলেছে মেয়েরা নাকি কর্মক্ষেত্রে খুবই বাজে পারফর্মেন্স দিচ্ছে, ফলে মেয়েদের দরকার নেই প্রকৌশল গত বিষয়ে। আপনি বলেন মেয়েদেরকে আর কত ছোট করলো এরা নিজেদেরকে মানুষ না ভেবে শুধু বাচ্চা জন্ম দেবার মাংসপিন্ড ভাববে?

আর ঈশ্বরের ব্যাপারে হয়তো বলা যায় তার দরকার নেই। কিন্তু দুটো প্রশ্ন:

১) স্ট্রিং থিওরী মতে ৪ টার পরও ৭ টা মাত্রা থাকার কথা যদিও এগুলো মাইক্রোস্কপিক। বেশ কিছু থিওরীর (কালাবী-ইয়াও এর বিভিন্নতা) ক্যালকুলেশনে দেখা গেছে কয়েকটা সুপ্ত মাত্রার কারনেই গ্রাভিটি নামক একটা বলের উদ্ভব লক্ষ করি। আর হকিং তো পুরো বলেই দিয়েছে এই প্রচন্ড রকমের দুর্বল বলটির কারনেই স্বতঃস্ফূর্ততা আর মহাবিশ্বের বিগ ব্যাং এর কারন।

যদিও আমরা এসব মাত্রার খোজ পাই নি, মূলত সোজা বাংলায় এসব ডাইমেনশনগুলোকে ডিটেক্ট করার পদ্ধতিও জানা নেই। তাহলে এটাও কি সম্ভব না যে এই পর্যবেক্ষনগত পৃথিবীর বাইরে কিছু আছে?

২) মহাবিশ্বের জন্মের সময় চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে কিন্তু মহাবিশ্ব এখনও আবদ্ধ সিস্টেম হিসেবে ধরা হচ্ছে না। তাই মাল্টি ইউনিভার্স তত্ব এখন বাজারে চাওড়।সমস্যা হলো যখন সুপার সিমেট্রির পার্টিক্যাল খুজতে গিয়ে বেশ কিছু এসিমেট্রি আমাদের সামনে আসছে এবং ফাইন ম্যানের কলিশন তত্বগুলো খাটিয়ে যেভাবে হিসাবগুলো মেলার কথা রিয়াল টাইম কলিশনে সেসব মিলছে না তার মানে বেশ কিছু এসিমেট্রি আমাদের সামনে আসছে।

যার ফলে আমরা ধরে নিচ্ছি নতুন কনিকার হতে পারে যেমন এক্সিগ্লুওন, শের এক্স ইত্যাদি। তার মানে দেখা যাচ্ছে পলি ডিরাকের শূন্যস্হানের অসম ক্ষেত্রে এই বিশাল মহাযজ্ঞ যে সৃষ্টি হয়েছে এর মধ্যেও নিয়মের বেশ কিছু ব্যাত্যয় ঘটেছে। এখন দুটো উপ সংহার বলা যায়।

হয় ঠিক এভাবেই হতে হবে বলে এরকম এক মহাবিশ্বের সৃষ্টি নতুবা মহাবিশ্বের সৃষ্টি হবে না!

অথবা এরকম অসমন্জ্ঞস্য খুটিনাটি আছে বলেই মাল্টিভার্স থাকতে পারে।

সম্ভাবনা আরও আছে, কিন্তু কথা হলো আপনি যদি দুটো পসিবিলিটি নিয়েও কাজ করেন তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় স্বতঃস্ফূর্ততাকেও একটা চক্রের মধ্যে যেতে হবে। এটা কিভাবে সম্ভব?

যদি আরও ডিটেলসে যেতে চান তাহলে আমি এই পোস্টে একটা যুক্তিতর্কে অবতীর্ন হয়ে টোটাল যুক্তিগুলোকে একটা শেপ দিতে চেয়েছিলাম। পরে দেখতে পারেন।

আমি বলছি না যে আমি ঠিক, তবে আমি সকল সম্ভাবনার দিক খতিয়ে দেখতে চাই। একটা তত্ব নিয়ে যখন বিশ্বাসির ভূমিকায় কথা বলবো তখন এর সব বিষয়গুলো দিয়ে পরীক্ষা করতে চাই। আমার মনে বিজ্ঞান আমাদের এটাও শেখায়।

১৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

রওনক বলেছেন: "ক্ষেত্র বলতে আমরা ধরে নিতে পারি এমন একটা বিস্তৃতি যেখানে কোনো একটা বল বা শক্তি কাজ করবে।"
আমি আসলে অনেক বছর ধরে ক্ষেত্র কী তা বোঝার চেষ্টা করছি।
১- আচ্ছ বলতে পারেন, আন্ত-নাক্ষত্রিক স্পেসে যেখানে শক্তির মাত্রা খুব কম, সেখান ১ ঘন মিটার যাগা থেকে সব ধরনের বল সরিয়ে নেয়া হয় তাহলে কি হবে? ঐ ১ ঘন মিটার কি ভেনিস হয়ে যাবে? যদি হয় তবে কিছু বলার নাই, কিন্তু যদি ভেনিস না হয় তবে কিছু বলার আছে।
--
মাফ করবেন অনধিকার চর্চা করা আমার পরনো বদ অভ্যাস-
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন, "অলরেডি মানুষ মানুষের প্রতিবিম্ব (ক্লোন) তৈরি করে ফেলেছে"!!!
-উনি ক্লোন সম্ভবত ক্লোন কি তা জানেন না। জানলে ক্লোন করাকে মানুষ তৈরি করা বলতেন না।
"মৌল বা যৌগ পদার্থ শূণ্য থেকে তৈরি করার কাছাকাছি পৌছে গেছে। শুধু শক্তি থেকে ইলেক্ট্রন এবং শুধু ইলেক্ট্রন থেকে সোনা-তামা-হীরা-কার্বন সবই যতটুকু চায় ততটুকু তৈরি করতে পারবে।"
-হা হা হা, মহাবিশ্বে কি শুন্য বা সরাসরি শক্তি থেকে সোনা-তামা-হীরা-কার্বন তৈরি হয়েছে? মানুষ পারলে তাকে তো ঐশ্বরিক বলতে হবে।
"অলরেডি তামাক গাছের গোড়া যেভাবে জ্বলে, সেভাবে জ্বলছে মাছের গা।"
--এটাকে জীবন তৈরি করা বলে না। এটা ডিএনএ এর রিএরেন্জমেন্ট।
মানুষ বা প্রানী কি শুক্রানু ডিম্বানুর মিলনে তৈরি হয়? না, মানুষ বা প্রানী তৈরি হয় শুক্রানু আর ডিম্বানুর বহন করা ডিএনএ নামক প্রানহীন ১ টা কেমিকেল থেকে। এই কেমিকেলের রুপান্তরের ৪০ দিন বয়স্ক জাইগোটকে কি কেউ প্রান বলবে?
প্রান কি?
১টা বস্তু স্বতস্ফুর্ত ভাবে নিজের রেপ্লিকা করতে পারলেই কি তা প্রান হয়ে যাবে?

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ১- আচ্ছ বলতে পারেন, আন্ত-নাক্ষত্রিক স্পেসে যেখানে শক্তির মাত্রা খুব কম, সেখান ১ ঘন মিটার যাগা থেকে সব ধরনের বল সরিয়ে নেয়া হয় তাহলে কি হবে? ঐ ১ ঘন মিটার কি ভেনিস হয়ে যাবে? যদি হয় তবে কিছু বলার নাই, কিন্তু যদি ভেনিস না হয় তবে কিছু বলার আছে।


প্রশ্নের উত্তরটা বেশ অনেক ভাবে দেয়া যায়। আপনি যেটা বলছেন সেটা হলো সেই পুরোনো প্রশ্ন যেটা হলো পরম শূন্যতা। প্রথমেই বলে নেই প্রকৃতি পরম শূন্যতা পরিহার করে যেটা খুব সম্ভবত দর্শনের বাপেদের একজন মনে হয় সক্রেটিসই বলে গেছেন।

যাই হোক, স্ট্রিং থিওরী তত্ব দিয়ে এক লাইনেই উত্তরটা দেয়া যায় অথবা কোয়ান্টাম ইলেক্ট্রোডাইনামিক্সের তত্ব অনুসারেও একবারেই দেয়া যায়। তবে আপনাকে কিভাবে উত্তরটা দেয়া যায় সেটাও বুঝতে পারছি না। যদি আমরা ইনফ্লেশন তত্ব অনুযায়ী উত্তরটা দিতে যাই তাহলে একটা ধাঁধাঁতে পড়ে যাবো কারন ইনফ্লেশন তত্ব অনুযায়ী বিগ ব্যাং এর আগে এবং ইউনিভার্সের পরে কিছু নেই, এই উত্তরটা খোজা অর্থহীন যেখানে পুরো মহাবিশ্বের প্রতিটা ইন্ঞ্চি ইন্ঞ্চি ম্যাটার এবং ভার্চুয়াল ম্যাটার/বল দ্বারা পরিপূর্ন। পার্টিক্যাল ফিজিক্স অনুযায়ী তো এক্সোটিক ম্যাটার তো থাকবেই। আর যদি আপনি সবকিছু শুষে নেন তাহলে তো ঐখানে স্পেসটা গায়েব হয়ে যাবে। ফলে দেয়া যাবে প্রকৃতি এই শূন্যতা পূরন করার জন্য আশপাশ থেকে সেখানে ভর্তি করার চেষ্টা করবে এবং দেখা যাবে আপনার বল শূষে নেয়ার প্রক্রিয়া চালু রাখলে একটা থিওর‌্যাটিক্যাল পরম ব্লাক কৃষ্ঞগহ্বর চালু হয়ে যাবে।
কিন্তু আপনি এখানেই ধরা খাবেন, কারন সেখানে আপনি যদি সব চুষেই নেন তাহলে কিভাবে? সেটা নিশ্চই গ্রাভিটি। আপনি মৌলিক চারটি বলের একটি দিয়ে চারটি বলকে কিভাবে তুলে নেবেন? ইনফ্লেশন তত্ব অনুযায়ী তাই এটা একটা ধাঁধা বা একটা ভুল প্রশ্ন

এখন আসি স্ট্রিং থিওরি অনুসারে কি হবে! স্ট্রিং থিওরী অনুসারে সবকিছুই যদি শক্তি তন্তু হয় তাহলে এসব তন্তু যে স্হানটা দখল করে আছে এদের মধ্যকার ফাঁকা স্হানটাকে ফলস ভ্যাকুয়া বলা হয় যার কাপলিং অনুপাতের স্কেল হবে ১০^১০ থেকে ১০^১০০ এখন আপনি যদি পরম শূন্যতার সৃষ্টি যেকোনো ভাবেই হোক তৈরী করলেন তাহলে কালাবি ইয়াও ম্যানিফোল্ড কাজ করছে না সেই ক্ষেত্রে আমরা অবাস্তব শূন্যতার দেখা পাবো যেটা আমাদের প্রচলিত মহাবিশ্বের সাপেক্ষে এক কাল্পনিক অস্তিত্বের সন্ধান দেয়। আর যদি ব হুমাত্রিক দিক থেকেও চিন্তা করতে যাই তাহলে এই শূন্যতায় যদি কোনোভাবেই হোক তৈরী করাও যায় তাহলে ব হুমাত্রিক অবাস্তব মহাবিশ্বের দেখা মিলবে যেটা মূলত কোনো যুক্তির পাথরে খাটবে না। আপনি ঐ জার্নাল লিংকটা পড়লে আরো পরিস্কার হবেন।


আর গোলাম দস্তগীরের যুক্তির ব্যাপারে আপনি এভাবে চিন্তা করতে পারেন। আমি আমার দাদুকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম এই পৃথিবীর বাইরে চাঁদ তারপর কি? ঈশ্বরের অবস্হান কোথায়? (ঘটনাটা ১৯৯১ সালের দিকে যখন আমি ক্লাস ৫ এ পড়ি)।
দাদা বলেছিলেন ঈশ্বরের অবস্হান মানুষের মনে। ঈশ্বরের পর্দা আছে বলেই মানুষ কোনো দিন দেখা পাবেনা। মানুষ তাকে তখনই দেখবে যখন সে বিশ্বাস করবে। আর চাঁদ তারা পার হলে যদি কিছু দেখিও তাহলে জ্বীন পরী দৈত্য দানো।
আমি দাদার কিছু কথা মানি যেগুলো ফেলে দিতে পারিনি কারন আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। কিন্তু যদি বিজ্ঞান দিয়ে ভাবি তাহলে দাদার কথা অর্থহীন। তবে আমার দাদা তার দৃষ্টিকোণ থেকে ঠিক।

মানুষ ভুল করবেই, ভুল জানবেই, ভুল বুঝবেই। তাই তো তো স্বয়ং বিজ্ঞানেই এত বৈচিত্র। এই তত্ব পড়ে কেউ অন্ধকারে আলো জ্বালে, কেউ বোমা বানিয়ে ন গর জনপদ ধ্বংস করে। এক গ্রন্হ পড়ে কেউ এতিমাখানায় এতিম শিশুদের মুখে খাবার তুলে দেয় আবার সেই একই গ্রন্হ পড়ে মানুষ ভর্তি বাসে আগুন ধরিয়ে মানুষ পোড়ায়!এমনকি খোদ আমি নিজেও পারফেক্ট না

ভালো থাকুন ভাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.