নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাগাও একবার----১

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২২

১.
: আমার মেয়েটা পড়ালেখায় খুব ভালো ছিলো। তাই ওকে ইন্জ্ঞিনিয়ারিং পড়িয়েছি। এখন খুব ভালো চাকুরীও করে। মেয়েটা আমার খুব ভালো, কথা কম বলে। আপনাকে আর আপনার পরিবার দেখে আমার মনটা ভরে গেছে। আমার কোনো অমত নেই। আমার মেয়ের খুশীই আমার খুশী।

তিথীর বাবা অনেকটা আবেগে চোখ ভিজিয়ে ফেললেন। পাশে বসা সবার মুখেই হাসি। আদনান সাহেবের বাবা রফিক সাহেব বললেন,"শুকুরআলহামদুলিল্লাহ! তাহলে আমরা সামনের জুম্মাবার আপনাদের বাড়ি গিয়ে এঙ্গেজম্যানট করিয়ে ফেলতে পারি। কিন্তু ওর মা বলছিলো তার শরীরটা খারাপ। আমরা চাচ্ছিলাম ঐদিন যদি আক্কদ হয়ে যায়, তাহলে কি কোনো সমস্যা আছে?"

তিথীর বাবা কিছু বলতে যাবে এমন সময় কোনায় বসা এক সুদর্শন অল্প বয়সী ছেলে বলে বসলো,"আন্কেল আমার কিছু কথা আছে।"

সবাই ছেলেটির দিকে তাকিয়ে থাকলো। তিথীর বাবার চোখে অবাক দৃষ্টি থাকলেও আদনানের ভ্রু কুচকে গেলো। শাহেদ বলা শুরু করলো,"জ্বী আমার নাম শাহেদ, তিথীর খালাতো ভাই। আদনান ভাই এর প্রথম স্ত্রী শুনেছি তিনি নাকি এজমায় মারা গিয়েছিলেন কয়েক বছর আগে।"

রফিক সাহেব কিছু বলতে যাবে এমন সময় আদনান রফিক সাহেবের পায়ে আলতো হাতটা রেখে থামিয়ে বললেন,"সেদিন ছিলো কার্ফ্যু, তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কার্ফ্যুর দিন ওর ইনহেলার শেষ হয়ে গিয়েছিলো। পুরোটা রাত ওকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য চেষ্টা করি, কিন্তু ভোর রাতে ও ফেইন্ট হয়ে যায়।"

শাহেদ চায়ে চুমুক দিয়ে কাপটা রেখে বলতে থাকলো," আপনাদের বাসার আঙ্গিনায় দুটো ইউক্যালিপ্টাস গাছ বেশ বড় হয়ে গেছে। আপনার স্ত্রীর জন্মগত এজমা ছিলো যতদূর শুনেছি। এবং ঐ দুটো গাছ আপনার স্ত্রীই লাগিয়েছিলো। যাদের এজমার সমস্যা তাদের ইনেহলারের অনুপস্হিতিতে যদি ইউক্যালিপ্টাসের পাতা সিদ্ধ করে তার ভাব নেয় তাহলে অন্তত ৬-৮ ঘন্টা তার ইনহেলারের প্রয়োজন নেই। ইউক্যালিপ্টাস গাছ তো পরিবেশের জন্য খারাপ। তারপরও এরকম ৬-৭ বছর বয়সী গাছ! আপনার স্ত্রীকে কি ঘরে আটকিয়ে রেখেছিলেন নাকি মুখের উপর বালিশ চাপা দিয়েছিলেন ?"

সবার মুখে কোনো কথা ফিরছে না। রফিক সাহেব কাপছেন রাগে, আদনান ঘামছে দর দর করে।

২.

শুক্রবার দেরীতে ঘুম ভাঙ্গার কথা, কিন্তু গত কয়েকবছর সকাল ৮ টা বাজলেই শাহেদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। রাতে ঘুম আসছে না, কিছু একটা ওকে ঘুমাতে দেয় না। গতকাল রাতে ফাইনম্যানের ডায়াগ্রাম দিয়ে বিটা-টাউ এর ডিকে চ্যানেল ক্যালকুলেশন করলো আবার।

শাহেদের ঘরটা খুব ছোট, সকালের রোদটা যাতে মুখে পড়ে তাই পর্দা রাখেনি ও। মুখে রোদ মেখে ঘুমানোর অভ্যাস যখন ওর মা বাবা দুজনই মারা যায়। তিথীর বাবা খুব ভালো মানুষ, তাকে নিজের ছেলের মতোই বড় করেছে।

মুখ হাত ধুয়ে একটা টোস্ট মুখে দিয়ে কীচেনে দাড়িয়েছিলো। তিথী ঘুম ঘুম চোখে সোফায় বসে আছে।

: কাজটা কিন্তু ভালো করিস নি।
: কি করেছি বল? আমি জেনে শুনে আমার বোনকে একজন খুনির হাতে তুলে দিতে পারি না। বয়স বেশী হয়েছে তাই বলে তাকে তো আগুনে ফেলে দিতে পারি না!
: ইশশ.... কি আদরের ভাইরে! আচ্ছা বলতো তুই বুঝলি কেমনে ঐ খুনি? মানে খুন না করে অন্য কিছুও হতে পারতো!
: তা হতে পারতো। যদি গাছ দুটোর জায়গায় একটা থাকতো অথবা গাছ দুটোর বয়স বেশী থাকতো। তাছাড়া ঐ ছেলেটার ভয়েসটা মোটা, চোখের নীচে কালো দাগ, তার ওপর মেকাপ। এখনকার কোন অল্প বয়সী ছেলে পেলে হলে গিয়ে রেগুলার ড্রিংক করে কিন্তু এতো বাসাতেই করে। একজন সোশিওপ্যাথের সব লক্ষনই তো আছে। তারপরও কি তুই বলবি আমি ভুল?
: থাক আর বুঝাতে হবে না। আমার ভয় লাগছে। বাবার মনটা খুব খারাপ ছিলো।
: তোর কি শরীর খারাপ?
: এলার্জী। গা ভরে গেছে।
: শেষ কবে ইনজেকশন নিয়েছিলি?
: দু'মাস হলো।
: বস একটু। তোকে ঔষুধ ছাড়া তোর এলার্জী কমিয়ে দিচ্ছি।

শাহেদ একটা গ্লাসে লেবু চিপড়ালো দুটো। চিনির পাত্রটা হাতে নিয়ে তিথীকে বললো,"একটু নাকে মুখে দিয়ে রাখ। বাকীটা একটু চিনি দিয়ে গিলে ফেল। দেখবি ভালো লাগবে"

এমন সময় দরজায় নক। শাহেদ দরজা খুলেই দেখে পলাশ,"আরে পলাশ! আয় ভিতরে আয়।"

পলাশকে কেন যেনো অস্হির লাগছে,"ভাই, রতনের লাশ পড়ে আছে রাস্তায়। একটু আসবেন? অনেক পুলিশ।"

শাহেদ "চলো" বলেই বেরিয়ে গেলো। তিথীকে কিছু বলার সময়ও দিলো না।


৩.

রহমত ভাইয়ের মুদীর দোকানের বেন্ঞ্চ দুটো কখনোই খালি থাকে না। দিনে ঠিক কতো কাপ চা বিক্রি হয় এটা বোধ হয় রহমত ভাইও জানে না। শাহেদের এটা নিয়ে দু'কাপ। পাশে বসে আছে পলাশ আর শিহাব।
পলাশ শুরু করলো,"আজকে ভার্সিটি যান নাই?"
শাহেদ: গিয়েছিলাম। চলে এসেছি। রতনের বাসায় কি অবস্হা?
পলাশ: খুব খারাপ। রতনের জানাজা নিয়ে অনেক গ্যান্জ্ঞাম হয়েছে। পরে ওর বাবা আর পরিবারের কয়জন মিলে বড় হুজুরকে রাজী করায়।

শাহেদ একটা তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো। চা টা শেষ করে উঠে দাড়ালো। পলাশ বললো,"কোথায় যান শাহেদ ভাই?"

শাহেদ কিছু বললো না। হাটতে থাকলো ফুটপাথ দিয়ে। রতন ছেলেটা সবার সাথে মিশতে পারতো না।যখন বয়ঃসন্ধিতে আসলো তখনও জানতো না ও কি রকম! বছর কয়েক আগে রতনকে দেখে শাহেদের সন্দেহ জাগে। ওর কথার স্টাইল অঙ্গভঙ্গি দেখে জানতে পারে রতন সমকামী। রতন অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্তু পারেনি। পরিবারের গন্জ্ঞনা, কটূকথা সইতে না পেরে বেশ কয়েকবার পালিয়েছিলো। কিন্তু যেখানেই যায় ওকে ক্ষত বিক্ষত হতেই হয়।

পুলিশ বলেছে ও নাকি ছাদের থেকে লাফ দিয়েছে। শাহেদের কাছে মোটেও তা মনে হয় না। কারন লাশটার চোখ দুটো থেকে রক্ত ঝরছে এবং বিল্ডিং থেকে বেশ খানিক দূরে পড়েছিলো আকাশের দিকে মুখ করে। আত্মহত্যা হলে এরকম করে চিৎ হয়ে থাকতো না। সবচেয়ে বড় কথা যেই ছেলেটা নিজের সমকামিত্বের কথা মেনে নিয়ে বাচবার জন্য দু'দুবার পালাতে পারে, সে আত্মহত্যা করবে না নিশ্চয়ই!

চলবে.....

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো লাগছে, চলুক।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিন্তু কেমনে চলবো?

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: বাহ! বেশ গোয়েন্দা গোয়েন্দা একটা গন্ধ পাচ্ছি। চমৎকার হয়েছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

একটা বিষয় ক্লিয়ার করেন নাই,

......... তা হতে পারতো। যদি গাছ দুটোর জায়গায় একটা থাকতো অথবা গাছ দুটোর বয়স বেশী থাকতো ....... -- বয়স বেশি হলে হয়ত বেশি উপর থেকে পাতা পাড়তে সমস্যা হত। যেহেতু স্ত্রী নিজেই লাগিয়েছে এবং তার জন্মগত এজমা, তাই এটা বুঝা গেল যে উনি এই ট্রিটমেন্টের ব্যাপারটা জানতেন; এবং ইমার্জেন্সি চিন্তা করেই লাগিয়ে ছিলেন। কিন্তু এখানে গাছ দুটি না থাকলে কি হত?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একটা সময় গাছ লাগানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছিলো। মানুষ হিসেব করতো যে একটা মেহেগনী গাছ লাগালে ২০ হাজার টাকা, তাই ২০ টা লাগালে ৪ লাখ টাকা। এজন্য তারা গ্রামে জায়গা কিনে বাড়ি না বানিয়ে গাছ লাগাতো যেটা এখন আর দেখা যায় না। ঢাকা শহরে যারা ভিলা বাড়ি তৈরী করে থাকেন তারা অনেকেই শখের জন্য গাছ লাগান ফলের এবং ফুলের বাগান করেন। কিন্তু তারা যদি ফলের গাছের শৌখিন হন তাহলে তারা কিছু ফলের গাছের একটা করে লাগাতেন। কিন্তু যারা কাঠের শখ করতেন অনেকটা মেহেগনী তারা ওয়ালটা ঘিরে লাগাতেন।

কিন্তু ফলের গাছ একটাই। যেহেতু আদনান বনেদী ঘরের এবং তার বাবার গাছের শখ কিন্তু টাকা পয়সার হিসেব করতেন না সেক্ষেত্রে ফলের গাছ বা যদি ছায়ার জন্যও লাগান তাহলে সব প্রজাতির একটাই থাকবে। ছায়ার জন্য কড়ই গাছের তুলনা হয় না। তারপরও ইউক্যালিপ্টাস লাগায় কারন এটা লম্বা হয়ে বেড়ে ওঠে এবং অন্য গাছের জন্য সুযোগ করে দেয়।

যেহেতু তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কার্ফ্যুর টাইমে মারা গেছে সেহেতু তারও তিনচার বছর আগে তাদের বিয়ে। সে হিসেবে আজকের হিসেবে ৮ বছরের মতো হবে। কিন্তু যখনই মানুষ নিজের অধিকার এবং নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে গাছ লাগায় তখন একটা প্রয়োজন আরেকটা যদিও আপনি ব্যাকআপ চিন্তা করেন কিন্তু সেটা আসলে অধিকার বা ভালোবাসা বা স্নেহ প্রকাশ যে কোনো একটা।

তিনটা হবে না কারন ঢাকা শহরে আঙ্গিনা এতো বড় নয়।

কথা গুলো অল্প কথায় লেখা যেতো কিন্তু আমি দৈর্ঘ্য বড় করতে ইচ্ছুক ছিলাম না।

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ভাই উপন্যাস ফর্ম্যাটে যাবে নাকি বড়গল্প?

ভাল লাগছে যৌক্তিকতা।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বুঝতেছি না। উপন্যাস লেখার মতো ধৈর্য্য মোট কথা ওতো বড় লেখক আমি না।

ছুটো গল্প লেখনের ইচ্ছা আর এইটা পুরা লেখতেই পারলেই আমি খুশি!

ধইন্যা!

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রহস্য দীর্ঘস্থায়ী হলে অসহ্য হয়ে পড়ি। জলদি শেষ করুন ;) খুব ভালো লাগছে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মিয়া টয়লেট করনের টাইম পাই না, গপ লেখনের টাইম কনে??

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আর চলসে! /:)

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এক্সাক্টলি!!!

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
চলবে তো???

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: টাংকি তে তেলের পরিমানের উপর ডিপেন্ড করতাছে!

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: কাল রাতে এর পরের পর্ব দেখেছিলাম, আজ পড়ব বলে এসে দেখি নাই ! ডিলিট মারছেন না কি?

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ড্রাফট করছি। কারখানায় নিয়া পালিশ করুম। পালিশ করা বাকি ছিলো। একবারে লেইখা পোস্ট মাইরা দিয়া ঘুমাইছিলাম। ভাবছিলাম আমি সেভ মারছি। কিন্তু পোস্ট যে হইয়া গেছে সেইটা বুঝি নাই

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জলদি করেন ভাই! অস্থিরতা কাটছে না!!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জলদি করতে গিয়া দ্বিতীয় পর্ব খারাপ হইয়া গেছিলো। এখন কারখানায় আছে ঠিক করতেছি

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

শীলা শিপা বলেছেন: এই পর্ব ভুলে যাওয়ার আগেই পরের পর্বটা দিয়ে দেন :)

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কথা মূল্যবান বলছেন!

ক্যালকুলেশন কইরা ভাইবা দেখি ;)

১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

রাতুল_শাহ বলেছেন: ভাই রহস্যের মধ্যে ঢুকলাম।

দারুণ সুচনা।

ইউক্যালিপ্টাস গাছ তো পরিবেশের জন্য খারাপ।

কি ধরনের খারাপ?

ছাদের থেকে লাভ দিয়েছে = ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:০১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঐ যে অক্সিজেন বদনাম!

আর বানান ভুল তো আমার হইবোই, বাংলায় আমার সব টাইনা টুইনা পাশ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.