নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্ট্রিং থিওরী------------------------------------- সহজ কথায় যা বুঝি ২

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

প্রথম পর্ব

থিওরী অব এভরিথিং, স্ট্রিং থিওরী এবং কেন দরকার এই সুপার স্ট্রিং থিওরী?

স্কুল লেভেলে যারা ম্যান্ডেলিফের মডেলটা পড়েছেন তারাজানেন যে এই মহাবিশ্বের সকল পদার্থই পর্যায় সারনীর মৌলিক পদার্থের মাধ্যমে গঠিত। হয়তোবা আরও দুয়েকটা নতুন মৌলিক পদার্থ থাকতে পারে অনাবিষ্কৃত কিন্তু দুনিয়াবী জিনিসপত্র সব এগুলো দিয়েই তৈরী। এর বাইরে কিছু নেই। এখন কথা হলো এই মৌলিক পদার্থগুলো কি দিয়ে তৈরী? এর জন্য আছে তেমনি একটা সারনী যাকে আমরা স্ট্যান্ডার্ড মডেল বলেই জানি।
এই স্ট্যান্ডার্ড মডেল দ্বারা প্রায় সবকিছুর ব্যাখ্যা করা গেলেও অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও দিতে পারে নাই। এই যেমন বিশাল মহাবিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যাবে সবাই সবার থেকে দুরে চলে যাচ্ছে কিন্তু কেউ কক্ষপথ থেকে ছিটকে পড়ছে না অথবা কেউ হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে না। তবু এই মহাবিশ্ব সম্প্রসারমান। ডার্ক ম্যাটার আর ডার্ক এনার্জী এর পেছনে কাজ করলেও এগুলো কি দিয়ে তৈরী সেটা আমরা জানি না।

এখন একটা সাধারন কথা বলি। সবকিছু যদি বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয় তাহলে সকল পার্টিক্যল এবং মৌলিক বল তথা এই মহাবিশ্বের সবকিছুই একত্রিত ছিলো বলা যায় অল্প কিছু সময়ের জন্য খুবই উচ্চশক্তি এবং চাপে।

এই পথ ধরেধরেই গুটি গুটি পায়ে আইনস্টাইন আর ম্যাক্সওয়েল সাহেব তড়িৎ আর চুম্বকীয় বলকে একীভূত করেছেন যার ফলে আমরা মোবাইলে একে অপরের সাথে কথা বলতে পারছি। প্রকৃতিতে আলোর অস্তিত্বও সেটাকে ঘোষনা করে। আবার গ্লাসগো, ওয়েইনবার্গ আর মুসলিম হয়েও কাফের সালাম সাহেব তিনজনে এই তড়িৎচৌম্বকীয় বলের সাথে দুর্বল আনবিক বলকে একত্রিত করে তড়ীৎ দুর্বল বলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। আসলে এর সবকিছুই একটা গুরুত্বই ব হন করে। সবকিছুই একত্রিত হবে, সবকিছু একত্রে ছিলো একসময় এবং একটা অনুর ভেতর সবকিছুই একীভূত আছে এবং এসব কনিকা-প্রতিকনিকার সৃষ্ট সংঘর্ষের ধারাভিকতায় থেকেই এই মহাবিশ্বের পরিপূর্ন বহিঃপ্রকাশ।

যখন আরও পরীক্ষা নীরিক্ষায় দেখা যায় উচ্চ শক্তিস্তর ১০^১৬ GeV এ এই দুর্বল তড়িৎ বল আর শক্তিশালী আনবিক বল একীভূত হয়ে যায় তখন এদের চালচলন সব একক বলের ন্যায় আচরন করে। ঠিক এভাবেই ১০^১৯ GeV তে গ্রাভিটি কি রকম আচরন করে সেটাও দেখার বিষয়।

স্ট্রিং থিওরীর কাজটা এটাই.....ঠিক ১০^১৯ GeV এই চারটি বলের আচরন কেমন হয় সেটা পর্যবেক্ষন করা।

এই শক্তিস্তরের চারিত্রিক গুনাবলীর মধ্যে প্লান্কের ভরকে সংজ্ঞায়িত করা যায় এবং সেটা যদি সূত্রাকারে লিখি তাহলে আমরা পাচ্ছি:

m=(hc/G)^1/2 = ১.২২*১০^১৯GeV/c^২

এই উচ্চ এনার্জী স্কেলে এটা নির্দেশ করে যে আমাদের মহাবিশ্বের সবচেয়ে আদি সময়ে এরকম অবস্হায় বিরাজ করছিলো আর সবকিছুই এতে একীভূত ছিলো (তবে এখানে আমি যত স হজে বললাম তত স হজে না, অনেকে যদি বিন্দু ভেবে বসেন তাহলে ভুল করবেন, ম্যাভেরিক ভাইয়ের মতো দক্ষ গনিতবিদেরা এই বাক্যটাকে নিতান্ত এমেচারদের জন্য ছেড়ে দিতে পারেন)। কিন্তু মাত্রার শক্তিস্তর অর্জন করা এখনও কোনো পার্টিক্যাল এক্সিলারেটরের পক্ষে সম্ভব হয়নি। আর আমাদের প্রচলিত পদার্থবিদ্যের অনেক থিওরীতে এই প্লান্কের মানে নিয়ে হিসেব করতে গেলে সবকিছু ভেঙ্গে পড়ে।

মোদ্দা কথা হলো যদি আমরা ধরেই নেই বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে আমাদের এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি তাহলে এইসকল বল এবং কনিকাসমূহ অবশ্যই একীভুত ছিলো এবং আমাদের সামনে দৃশ্যমান মহাবিশ্বের প্রতিটা অনু এটাই প্রমান করে যে চারটা বলা এক জায়গায় একীভূত আছে বলেও এক অনুর ভেতর সকল প্রকারের কনিকা এবং মৌলিক চারটি বল বিদ্যমান।

ঠিক এই কারনেই স্ট্রিং থিওরী এতটাই গুরুত্বপূর্ন এবং ক্ষমতাশালী।

অনেকেই হয়তো একমত না হতেও পারেন কিন্তু বাস্তবতা এটাই।

স্ট্রিং থিওরী কেন এটা নিয়েই দু পর্ব চলে যাচ্ছে আসলে জিনিসটা কি সেটা নিয়ে আমাদের জানা দরকার।

আপনাকে প্রথম পর্বেই বলেছিলাম শক্তির সূতো দিয়েই এই সবকিছু গঠিত। তাদের বিভিন্ন সাজসজ্বাই মূলত এতসব কনিকা, বলের উদ্ভব। তাহলে এই সূতোগুলোই বা কি এবং কেন?

তার আগে সূতার ব্যাপারটা একটু ক্লিয়ার করি। ইলেক্ট্রনের কথা একটু মনে মনে চিন্তা করি। আপনারা সবাই হয়তো জানেন ইলেক্ট্রন আমরা খালি চোখে দেখি না কিন্তু এই ইলেক্ট্রনের প্রবাহের কারনেই ঘরের বাতি জ্বলে, বিদ্যুত নামের জিনিসটির উদ্ভব। তো আপনি যখন চিন্তা করবেন তখন একে নিতান্ত একটা বিন্দু বা বলপয়েন্টের একটা ডট হিসেবেই ভাববেন। এখন এর যদি দৈর্ঘ প্রস্হ উচ্চতা মাপতে যান কিছুই পাবেন না। তাহলে এর কোনো মাত্রা নাই। আমরা সবচেয়ে মৌলিক সূতো বা তন্তুটির ক্ষেত্রেও তাই ভাববো।

তবে পদার্থবিজ্ঞানীরা বলেন এই কনিকা বিন্দুর মাত্রা না থাকলেও তন্তু বা স্ট্রিং এর একটা মাত্রা দেয়া যেতে পারে। যত ছোটই হোক না কেন এর একটা দৈর্ঘ্য থাকবেই। আমরা গোলাকৃতিই ভাবি বা চ্যাপ্টাই ভাবি না কেন, এর দৈর্ঘ্য থাকতেই পারে। হিসাব করে বলে দেয়া যায় যে সবচেয়ে মৌলিক তন্তুটির দৈর্ঘ্য হতে পারে ১০^-৩২ সেন্টিমিটার (মানে দশমিকের পর ৩২ শূন্যের পর ১...এত ছোট)। তার মানে এটা এতই ছোট যে আমরা একে একটা বিন্দু সম ভাবতেই পারি আর যেহেতু এর একটা দৈর্ঘ্য পাওয়া গেছে তাহলে তার মাত্রা ১।

স্ট্রিং থিওরী অনুযায়ী এই যে যতসব তন্তু বা সূতা সবকিছু দুভাগে বিভক্ত।





একটা খোলা আরেকটা বদ্ধ। বদ্ধটা হবে এমন সুতার এক মাথা আরেক মাথার সাথে লেগে থাকবে। এখন আকৃতি গোলও হতে পারে, চ্যাপ্টাও হতে পারে। এখন আপনি হয়তো বলতে পারেন এই যে একটা সুতা কোনটা বদ্ধ কোনটা খোলা তাহলে এরাতো একটা জায়গাও দখল করতে পারে। এই জায়গাটাকে আমরা বলতে পারি "ওয়ার্ল্ডশিট" বা "স্হানিকপাতা" (কেউ যদি ভালো নাম দিতে চান, দিতে পারেন)।

এখন এই শক্তির তন্তু বা সুতো গুলোর কিছু নির্দিষ্ট ধরনের কম্পন আছে এবং এদের এই চরিত্রগুলোকে আমরা বিভিন্ন কোয়ান্টাম সংখ্যা যেমন ভর, ঘূর্নন ইত্যাদি নামে সংজ্ঞায়িত করতে পারি। এখন এর পেছনে মূল ঘটনাটা হলো এই যে কোয়ান্টাম সংখ্যাগুলোর একেকটা বৈশিষ্ট্য এগুলো একেকটা স্বতন্ত্র পার্টিক্যাল বা কনিকাকে নির্দেশ করে। এই যেমন এই সূতোটা এভাবে কাপছে তার মানে এটা ভর দেবে আর ভর যে দেয় সে হলো হিগস কনিকা। তার মানে হিগস কনিকা এই ধরনের কাপুনিওয়ালা তন্তু দ্বারা গঠিত।

আর এটাই হচ্ছে আমাদের কাঙ্খিত সকল কিছুর একীভূতকরন অর্থাৎ থিওরী অব এভরিথিং যা আমরা শুধু মাত্র একটা জিনিস দিয়ে ব্যাখ্যা করবো আর তা হলো এই তন্তু বা স্ট্রিং।

ভায়োলিন বাজাতে পারেন বা এক তারা? কতরকমের সুর। কিন্তু সব সুর আমরা কিভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারি? চারটা বা একটা বা ছয়টা তারের সম্বিলিত সুর। শুধু তাদের কম্পাংকের ধরনের কম্বিনেশনই একেকটা বিচিত্র‌্যপূর্ন অসংখ্য সুরেলা টিউনের জন্ম।

কি মজা লাগছে এখন? যদি এরপরও মজা না লাগে তাহলে বলতে হয় পদার্থবিজ্ঞান আপনার জন্য নয়। সত্যি আপনার জন্য নয়। এমনকি যে সুরে মোহিত হয়ে যান আপনি সেগুলোও আপনার জন্য নয়।

এখন নীচের ছবিটা দেখুন।



এটা মূলত একটা বদ্ধ তন্তু বা বদ্ধ সূতো। তন্তুর এই রূপটির গ্রাভিটনের জন্য দায়ী। গ্রাভিটন হলো এমন একটি ভরহীন কনিকা যে গ্রাভিটি নামের বলটি বহন করে এবং এর ঘূর্নন সংখ্যা ২। এটাই হলো স্ট্রিং থিওরীর সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য্য কারন আমরা অলরেডি জেনে গেছি গ্রাভিটি কি এবং কেন এটা এতটা গুরুত্বপূর্ন। স্ট্রিং থিওরী এই ব্যাপারটাকে খুব সুন্দরভাবেই ব্যাখ্যা করে।

আজ এ পর্যন্তই: পরের পর্ব

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:০৭

গরম কফি বলেছেন:
কমেন্ট নাই লাইক ! স্টেলথ মুডে পোস্ট এন্টেনা কেন রাডারেও ধরবেনা !

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনের কমেন্টও বুঝলাম না। এই পরথম সামুতে কুনো কমেন্ট আমার রাডারে ধরলো না। বুড়া হইয়া গেছি!


ভাইসু, ভুল কই করলাম?

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১৫

নর্থপোল বলেছেন: খালি এই পোস্টে কোরান কিভাবে স্ট্রিং থিওরী কেমনে প্রমানিত তা দেখায়ে দেন, তাইলেই দেখবেন কমেন্ট কেমনে আসে।

লেখা একটু জটিল হয়ে গেছে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কোরানের লগে বিজ্ঞানের হাউস মিক্স করবার চাইতাছি না। ঐটা আর্মিন ভ্যান বুড়েন করবো....উইথ বেলী ড্যান্স!

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১০

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :( :( কঠিন হয়া গেছে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একটু তাপ দেন, দেখেন গলে কিনা!

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: ভালো লাগল। এর আগে আমার ব্লগে চড়ুইমদন নামে এক ব্লগারও স্ট্রিং থিউরি নিয়ে লিখেছিলেন। ব্যাস্ততার কারণে তার সেই পোস্ট আর পরে অনুসরণ করা হয়নি। জানিনা এভাবে বিক্ষিপ্তভাবে পোস্ট আসলে এই সিরিজ অন্তরালে চলে যায় কিনা!!!

যদি সময় করে ঊঠতে পারেন তাহলে অনুরোধ করব সবগুলো পোস্টকে একত্রিত করে একটি পিডিএফ ভার্সন করতে পারেন কিন। তাহলে সবাই একসাথে পড়তে পারবে। আর পিডিএফ করাও কঠিন কিছুনা অনেক কনভার্টার পাওয়া যায় অনলাইনে।

++++++

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: চড়ুইমদন কুন ব্লগে লেখছে? একটু লিংক খানা দেন।

সিরিজ শেষ করবার পারলে পিডিএফ আকারে শেষ পোস্টে দিবার পারি। আমি পিডিএফ এর জন্য বুলজীপ ইউজ করি প্রিন্ট সেকশনে

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

বেঙ্গলেনসিস বলেছেন: অসাম হচ্ছে! চালিয়ে যান।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তেলের দাম তো কইমা গেছে....মিয়া আগে তেল দেন, তারপর চালানোর কথা ভাবুম

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

ম্যাভেরিক বলেছেন: "এই পথ ধরেধরেই গুটি গুটি পায়ে আইনস্টাইন আর ম্যাক্সওয়েল সাহেব তড়িৎ আর চুম্বকীয় বলকে একীভূত করেছেন যার ফলে আমরা মোবাইলে একে অপরের সাথে কথা বলতে পারছি।"

আইনস্টাইন এমনিতেই অন্যান্য অনেক বিজ্ঞানীর অবদানের জন্য বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছেন, তবে তড়িৎ আর চুম্বকীয় বলের একীভূতীকরণে তাঁকে ক্রেডিট দেয়া জ্বলজ্বলে ভুল। ম্যাক্সওয়েল যখন কুলম্ব, গাউস, ওয়েরস্টেড, অ্যাম্পিয়ার, ফ্যারাডে ও অন্যান্যদের গবেষণা/সমীকরণগুলোকে সুসংহত করে বলদুটিকে একীভূত করেন এবং তাতে আলোও তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ বলে প্রতীয়মান হয়, তারও প্রায় ১৭ বছর আইনস্টাইনের জন্ম হয়েছিল মাত্র।

আরও আলোচনা হবে... :)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাইজান কি বিয়া করছেন? ভাবীর লগে কাইজ্জা হইছে? বিয়া না করলে কি গার্লফ্রেন্ড আছে্? হেয় কি ইদানিং খুব জ্বালাতন করতাছে?

ম্যাক্সওয়েল মামা হইলো ক্লাসিক্যাল ফিজিক্স বা নিউটোনিয়ান ল দিয়া একীভূত করছে আর আইন্সটাইন আইসা স্পেশাল রিলেটিভিটি আইনা সেইখানে আলো ঢুকায় দিছে। মানলাম ম্যাক্সওয়েল মামা তার কাম পুরা কইরা গেছে, কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্হিতিতে যখন রিলেটিভিটিতে তার যোগ করতে হইবো তখন সেইটা বাদ দিমু কেন?

মামা কি আইনস্টাইনের উপর ক্ষ্যাপা? আমিও ক্ষ্যাপা আছিলাম। তয় অকন মনে হইতেছে ক্ষ্যাইপা কি লাভ! হালায় যা করছে তার এক কুনাও তো করবার পারলাম না!

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

ম্যাভেরিক বলেছেন: ...১৭ বছর পর...

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ১৭ বছর পর তো হজ্বের থিকা আইসা পোলারে বিয়া দিমু। কমু,"লিভ টুগেদার আর কতো! এইবার বিয়া কর। নাতি-নাতনীর আকাম কুকাম দেইখা যাই!"

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩১

নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: আমরা একটা বিশাল অণুর মাঝে আছি -এমনটা ভাবলে নিজেকে কেমন জানি বন্দী লাগে। আমি স্ট্রিং থিওরীর নাম শুনেছি কিন্তু এর সম্পর্কে বিশদ কিছু জানি না। তবে আপনার লেখা পড়ে যে ধারণাটা হল- সেটা হচ্ছে এই বিশ্বটা একটা বিশাল সুতোর গোলক, যেখানে প্রতিটা বস্তু হচ্ছে এক বা একাধিক সুতোর(যেখানে সুতোগুলো এক একটা বল) সমষ্টি এবং এটাই স্ট্রিং থিওরী। আমি কি ঠিক বলেছি?

আর আমার ধারণা যদি সঠিক হয় তবে এই থিওরী মতে সুতোর এক একরকম বিন্যাস নিয়ে পাশাপাশি এক একটা বিশ্ব থাকা সম্ভব কিংবা একই বস্তুর ভিন্ন ভিন্ন বিন্যাস থাকা সম্ভব ! (এবং সেটা সেই এক বিশাল অণুর ভিতরেই !)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সাদামাটা ভাষায় আপনি এক কথায় উপসংহার টেনে দিয়েছেন।

যদি খুব কঠিন শব্দ থেকে শব্দের অনুধাবন না করি তাহলে সর্বসাধারন্যের জন্য আপনার কথাটাই ঠিক।

তবে এটাই সত্য নয়। কমেন্টে ম্যাভেরিক সাহেব স্ট্রিং থিওরীর প্রচন্ড বিরোধী। উনিও সঠিক। স্ট্রিং থিওরী হলো একটা গানিতিক সৌন্দর্য্য এখনও। বাস্তবের সাথে একে বিবর্তিত কিভাবে হতে হবে সময় তা বলে দেবে।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৯

ম্যাভেরিক বলেছেন: "আইন্সটাইন আইসা স্পেশাল রিলেটিভিটি আইনা সেইখানে আলো ঢুকায় দিছে।"

উঁহু, তাও না। ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের গতি হিসেব করা যায়। ম্যাক্সওয়েল যখন দেখলেন ফিজো-ফুকোর পরীক্ষণে প্রাপ্ত আলোর গতি আর তাঁর সূত্র থেকে প্রাপ্ত তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের গতি আশ্চর্যজনকভাবে পরস্পরের কাছাকাছি, তখন তিনি বললেন, না, আলো ব্যাটাও তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ না হয়ে যায় না। সংক্ষেপে ঘটনা এই। আইনস্টাইন মোটেও স্পেশাল রিলেটিভিটি দিয়ে বলের একীভূতীকরণে আলো ঢুকাননি। সে অন্য ইতিহাস।

আইনস্টাইনের উপর ক্ষ্যাপা না, কিন্তু আইনস্টাইন ও তাঁর সমসাময়িক বিজ্ঞানীদের কোন ক্ষেত্রে কার অবদান তা নিয়ে পড়াশোনা করছি, আর কি। তাতে অনেক বিস্মিত হচ্ছি বৈকি। যাহোক, আমি যা বুঝলাম, বিংশ শতাব্দীর শুরুতে গভীর চিন্তাভাবনা না করেই স্পেশাল রিলেটিভিটিকে গ্রহণ করেছে বিজ্ঞান সমাজ, কিন্তু এ তত্ত্বটি অন্তর্গতভাবে অসঙ্গত তত্ত্ব। আলোর গতি পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে স্থির, এটি ভুল। তা নিয়ে আলাদা আলোচনা করা যাবে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ম্যাক্সপ্লাংক তো ঐটারে কোয়ান্টা কইছে, ফোটন তো কয় নাই। আইনস্টাইন তো আলোরে নিয়া ফটোইলেক্ট্রিক ইফেক্টের মাধ্যমে কোর্জের ভেতর ফোটনের কান্ডকীর্তি আর পরে সেইটা প্লাংকের সাথে মিশা ম্যাক্সপ্লাংকের ক্লাসিক্যাল ম্যাকানিক্সের থিকা উঠাইয়া সোজা নিয়া কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সে ফেলাইলো সেইটা কি? পরে আরও ডেভেলপ কইরা মারলো স্পেশাল রিলেটিভিটি যেইখানে গ্রাভিটির সাথে একটা সম্পর্ক আনলো যে আলো বাইকা যায়! যদিও এইটা পরের হিসাব!


আর রিলেটিভিটি আপনে সূত্র হিসেবে ধরছেন কেন? এইটা তো টেকনিক একটা। এই টেকনিক হইলো ম্যাক্রো ওয়ার্ল্ডের জন্য তাও আবার এর সবচেয়ে ভালো ফলাফল চান তারা সাইজের জিনিসে। আপনি মাইক্রোস্কোপিক লেভেলে এইটা খাটানো মুশকিল যদিও দেখা গেছে কোয়ান্টাম ইলেক্ট্রোডাইনামিক্সের বেশ কয়েকটা এক্সপেরিমেন্টে এই হিসাব জিনিস কাজ করে।

ওর রিলেটিভিটির আসল যে মৌলিক সেইটা স্পেশাল রিলেট টা। আর আলোর গতি নিয়া আসলেই একটা প্যাচ আছে। আমি যদি এক্সপেরিমেন্টের সাপেক্ষে দেখি সকল কিছুর ক্যালকুলেশন আইনস্টাইনের তত্বনুসারে ধইরাই নেয়া হইছে আলো হইলো ধ্রুবক আর সর্বোচ্চ। ডিজাইন গুলান সেইভাবেই করা হয়। অপেরা ট্রাইন করছিলো দুইটা স্বতন্ত্র হিসেবরে সিন্ক্রোনাইজ করতে কিন্তু ঐখানে যেইটা ইগনোর করা হইছিলো সেইটা হইলো অপটিক্যাল ফাইবারের কানেকশন। হিসাবটা এখনও ঠিক। কথা হইলো নিউট্রিনো কি আসলেই দ্রুত বেগে ছুটে? তাইলে ডিটেক্ট করতে পারবো না এটলিস্ট এখন যেইভাবে ইনস্ট্রুম্যান্ট তৈরী হয়। রিলেটিভিটি একটা পাজলের মতো মনে হয়। আমি পাজল তেমন ভালো বুঝি না, অতটা ব্রেন নাই!

তবে গাণিতিক ভাবে ভুল প্রমান......এইটা অনেকেই ট্রাই করছে। আপনে নতুন না। তবে হ্যা, যারা ট্রাই করছে তারাও ভুল বলে নাই। কি একটা ত্বরন নিয়া গ্যান্জ্ঞাম আছে ইউক্লিডিয়ান জিওম্যাট্রিতে।

যাই হোউক আলোচনা করবার পারেন....বেসিক জিনিস নিয়া বসা হয় না মেলা দিন

১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:১০

বেঙ্গলেনসিস বলেছেন: লেখক বলেছেন: তেলের দাম তো কইমা গেছে....মিয়া আগে তেল দেন, তারপর চালানোর কথা ভাবুম।


সেকী! দুইটা বাক্য খরচ করলাম, যার প্রথমটাতো তেল!

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বুড়া হইয়া গেছি ইদানিং খাওনের পর বুঝবার পারি না কুন তেল দিছি খাওনে....সয়াবিন না কেরাসিন?

আমার রান্ধনের স্বাদ বরাবরই কেমুন জানি!!!!!!!!

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মোটামুটি বুঝতে পারছি মনে হয়...

পরের পর্বে দেখা যাক।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পরের পর্ব বুঝনের আশা কম। তাও চেষ্টা করছি সাধ্যমত সোজা কইরা লেখতে

১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪২

জেনো বলেছেন: 'কি একটা ত্বরন নিয়া গ্যান্জ্ঞাম আছে ইউক্লিডিয়ান জিওম্যাট্রিতে।'
ম্যাভেরিক ভাই এর সিরিজ পোস্ট আছে এই ব্যাপারটা নিয়ে।
হকিং এর লাস্ট বইটাতে এই থিউরী বুঝাইতে গিয়া শেষের দিকে কেমন জট পাকায় ফেলছে।

আগে পৃথিবী কি সুন্দর সমতল আছিলো। আমরা সহজ সোজা চিন্তা করতাম। আর এখন আকা বাকা গোলাকার হওয়াতে কতইনা সমস্যা।

পোস্ট সেইরকম হইছে। আরও ডিটেইলস এবং রেফারেন্স সহ লেখা চাই।


অট: তেল চাহিয়া লজ্জা দিবেন না। সামান্য যা ছিল শেষের লাইনে পাবেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৩২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তার পোস্টের প্রথম পার্ট পইড়া জিগাইছিলাম যে কুন বছর তার পরের পর্ব গুলান দিবে। উনি এক কাঠি সরেস ছিলেন। আমি ধারাবাহিক পর্ব শেষ করতে পারি না, উনি শেষ করেন লেকিন একটু পরে। তাই পড়ি নাই।

সময় নিয়া এই কাহিনী আমি অনেক আগেই ব হু পোস্টে ব হু কমেন্টে বলছি।

আপনি যেই সময় মাপতেছেন তার সবকিছুই এই প্রচলিত সময়ের হিসাব করেই বানানো। স্টেপার মটর কতক্ষন ঘুরবে, অথবা ডিজিটাল ঘড়ির কোয়ার্জের হিসাব সবকিছুই প্রচলিত সময়। হবেই না কেন? ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড হলো ফোটন আর ফোটন হইলো সময়। আর এই ইএমই ফিল্ড দিয়াই ঘুরে মটর, মোবাইলে কথা, ইলেক্ট্রনিক্স সবকিছু।

এইটা একটা প্যারাডক্স যেইটা নিয়া আইনস্টাইনের আগে আমরা পরিচিত ছিলাম না আর তাই সভ্যতা একটা জায়গায় থমকে ছিলো। আইনস্টাইন আইসা সভ্যতাকে আগায় দিছে কিন্তু সে একটা বাক্সে বন্দী করছে।

সময় বলতে যে কোনো মাত্রা নাই এইটা নিয়া নিউট্রিনো নিয়া দেয়া পোস্ট স হ বহু আগের পোস্টে বলছিলাম। কিন্তু এর থেকে বাচানোর অল্টারনেটিভ রাস্তা একটাই জানা। সেটা হইলো একখান ব্লাক হোল বানাও, টেকীওনিক কনডেন্সড নিয়া চিন্তা করো।আর এই জন্যই এইটা একটা টেকনিক, কোনো প্রাকৃতিক গোপন সুত্র না। অনেকটা গানিতিক টেকনিক আরকি

মাইক্রোস্কপিক ব্লাক হোল বানানোর টার্গেট নিছে এলএইচসি। এইটা নিয়া পোস্ট দেওনের ইচ্ছে আছে। আমি অনেক আগে একটা জার্নাল ছাপাইতে দিছিলাম দুঃখের বিষয় হইলো ২০০৭ সালে লেখা জার্নাল খান ২০০৯ এ উপযুক্ত রেফারেন্স আর ল্যাব ওয়ার্কের অভাবে মাইর খায়।

যাই হোউক, এই রাস্তায় অনেকেই ট্রাই করছে, সবাই ঘুইরা ফিরা এই এক জায়গাতেই আসছে। নিউট্রিনোর আলোর গতির চেয়ে বেশী ছিলো একটা মাইলস্টোন মাগার কাজ হয় নাই। স্টেরাইল নিউট্রিনোর দেখা মেলে নাই।

তবে আমার মনে হয় রিলেটিভিটিকে মার খাওনের জন্য সুপারকন্ডাক্টিং কনডেন্স এর ইপিআর প্যারাডক্স আর কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলম্যান্টের সুইডোপার্টিক্যাল নিয়া কাজ করা। এইখানেই সবকিছু লুকায়িত আছে যে আমরা কিভাবে ব্লাক হোল তৈরী করন ছাড়া এই আলোর গতিরে মূলা দেখাইতে পারি।

আর ঐ গ্রান্ডফাদার প্যারাডক্স বা বাকি সব ঐগুলা তো হকিং ক্রোনোলজিক্যাল কনজেকচার দিয়া সমাধান কইরা দিছে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.