![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]
(ফেসবুকে সংক্ষেপিত আকারে স্ট্যাটাসে দেয়া হইছে)
গত শতাব্দীর ৩০ এর দশকে তিনি পয়দা হইলেন। তিনি যেই গ্রামে পয়দা হইছিলেন জনশ্রুতি ছিলো পয়দাকালীন সময়ে তার চিক্কুর শুইনা ঐ গ্রামের দুইটা ছাগল নগদে স্ট্রোক করে। গায়ের কবিরাজ তার নিজ ঘরে বসিয়া ছাগু দুইটারে না দেখিয়াই উক্ত মন্তব্য করেন। তো তাহার বাপ উপায়ান্তর না দেখিয়া তার নাম ঐ ছাগল দুইটার গোয়াল ঘরের নামানুসারে রাখলেন গো.য়া!
বড় হইতে যখন পোলার নজর গাঁও গেরামের যুবতী মাইয়াগো দিকে, মতি গতি ঠিক রাখার জন্য তাগোরে লইয়া গেলো মাদ্রাসাতে, কিন্তু মাদ্রাসার শিক্ষকদের কুনজর হইতে বাচাইবার জন্য গো.য়া নাম পরিবর্তন করিয়া বানাইলো গোলাম আজম। জনশ্রুতি আছে উক্ত গ্রামের হাটে বাজারে তাহার আগে আন্ডিয়া মানে জাঙ্গিয়া পাওয়া যাইতো না কারন তাহা ব্রিটিশগের পোশাক বলিয়া গন্য আছিলো। কিন্তু গো.য়া মাদ্রাসায় ভর্তি হওনের এক বছরের মাথায় হাটের সব দোকানের জাঙ্গিয়া ল্যাঙ্গোট সহ বিক্রি হইয়া যাইতে লাগিলো মুহুর্মুহ গতিতে। এবং তাহার বেশীর ভাগ ক্রেতাই ছিলো ঐ মাদ্রাসার পোলাপান।
গো.য়া র কারনেই হোক বা যা কারনেই হোক, ব্যাবসা এমুন ভালো হওয়া সত্বেও গ্রামবাসীদের দুশ্চিন্তার অন্ত ছিলো না কারন কাপড়ের জাঙ্গিয়ার তলে ল্যাঙ্গোট পড়িয়াও কেহ কোনো নিরাপত্তা অনুভব করিতে ছিলো না। অবস্থা বেগতিক দেখিয়া গো. য়া র বাপ একদিন সকালে উঠিয়া পুত্রের কানে ধরিয়া ঢাকার রাস্তা ধরায় দিলো। তো গো য়া একদিন হাঁটতে হাঁটতে একদিন এক দালানের ফটকের সামনে ছুটো বাথরুম করিতে দাড়াইলো। পায়জামার ফিতা খুলনের পর যেইনা শুরু করবো অমনি ফটক খুলিয়া এক বয়োঃবৃদ্ধের আবির্ভাব ঘটিলো,"হুজুর, কাহিনী কি?"
গো. আ চাপদাড়ি হাতে একটা ফেচকি মার্কা হাসি দিয়া হাতে থাকা মৌদুদীর বই দেখাইলো। পরে জানিতে পারিলো বয়োঃবৃদ্ধ হইলো উপাচার্য আর ইহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তখন ঢাকা ইউনির এত রমরমা অবস্থা ছিলো না যতটা মাদ্রাসাগুলোতে এমন রমরমা শিক্ষা চলিত। তাই তৎকালিন ঢাকা ইউনির টিচার গুলান কবি রবি ঠাকুর রে চিঠি লেইখা কইতো,"মামা, কি করুম?"গো. আর পড়ালেখার দৌড় শুনিয়া তাহারে তৎক্ষনাত ভর্তি করিয়া লইলো। কিন্তু ইহা বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা নহে। সবাই আন্ডিয়া ভালো কইরাই পড়ে আর দল বাইন্ধা ঘুরে।
দিন যায়,মাথা খারাপ হয়, উপায়ান্তর না দেখিয়া ইসলামী রাজনীতির গোড়াপত্তন করে আমাদের পেয়ারের গো. আ এবং কিছু দিন পর মুখের দাড়ি দেখাইয়া জিএস এর পদখানিও বগলদাবা করে। হঠাৎ একদিন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আসিবে শুনিয়া ডাকসুর পোলাপান যখন তাগো দাবি দাওয়া নিয়া স্মারকলিপি লেখাইলো তখন মনে হইলো ডাকসুর ভিপি হইলো হিন্দু, তারে দিয়া এই দাবী পড়াইলে মুসলিম চেতনার বাপ দাদারা খেপিয়া যাইতে পারে। তাই উপায় নাই দেখিয়া ভিপিকে বসাইয়া গো আ রে খাড়া করায় দিলো ঐ স্মারক লিপি পড়াইতে। উল্লেখ্য উক্ত স্মারকলিপিতে বাংলা ভাষার কথাও আছিলো।
এরপর দিন যায় ৫২' আসে।একদিন সকালে উঠিয়া দেখে হলের টাট্টি তে পানি নাই দেইখা মাথা বেঠিক হইয়া যায়। টাট্টির চাপ লইয়া বদনা হাতে গো.আ মামা পাশের হলে দেয় লৌড়। এমুন সময় দেখে তার সাথেআরো পোলাপান লৌড়াইছে। সে ভাবিলো হগ্গলের টাট্টি পাইছে আর সবাই ভাবে এই হুজুর ভাষার জন্য মিছিলে গেছিলো, পরে পুলিশের গুল্লি দেইখা লৌড় দিছে। হইয়া গেলো ছাগুসম্রাট বিশিষ্ট ভাষা সৈনিকা।
কিন্তু ওদিকে পশ্চিম পাকিস্তানের মৌদুদী কাকু রুস্ট হওনে অনেক চেষ্টা চরিত কইরা পত্রিকায় পরের বছর লেখে,"বাংলা চাওয়া বুল চিলো।" তারপরের বছর গুলান সে শুধু মৌদুদী কাকার স্বপ্নের আলোকে ইসলামের মৌদুদী ভার্সন বাজারে ছাড়ে যাহা বাজারে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজের মতোন ছাগুগোষ্ঠি চিবাইতে থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থিকা পাশ করনের রংপুরের কারমাইকেল কলেজে লেকচারার পদে ৩ মাস চাকুরি শুরু করে কিন্তু কুটিকালের বদনজর এইখানেও চালু থাকায় সকলের রোষানলে পড়িলে সে চাকুরি ছাড়িয়া বিবাহ করে।
এরপর দিন যায়, জামাতের উচা পদে যায়, কিন্তু কি জানি নাই নাই লাগে তয় পাকিস্তানের চেতনা দন্ডের মতো চাগাইয়া থাকে। ৭১এ যুদ্ধ লাগলে গো. আ র কাছে তা চানরাত মনে হয়। কি করিবে বুঝিতে না পাইরা পাকি আর্মিদের খেদমতের জন্য নিজে আন্ডিয়া ছাড়িয়াই কিছু দিন ঘুর ঘুর করলে বুঝতে পারে পাকি বাবারা তার ঐ ব্যাপারে কোনো উৎসাহ নাই। কিছুদিন এদিক ওদিক ঘুইরা নিজের পোষা গেলমান আর বিহারী লইয়া বানায় আল বদর আল শামস। আর তাহাদের দিয়া শুরু হয় পাকি বাবাদের নাইটক্লাব। কিন্তু ডেইলি ডেইলি নাইটক্লাবে মজা না পাইয়া পাকি বাবারা শুরু করে কসাইগীরি। গো.আ সেই প্রথম পায় রক্তের স্বাদ। রক্তের স্বাদে মত্ত হইয়া গো.আ শুরু করে নতুন মিশন, কসাই গিরী মগে পিস্তল নিয়া মজা লুটা। সেদিন গুলা বড়ই রোমান্ঞ্চকর ছিলো তাহার জন্য। তাহার দুই পোলা আর সঙ্গি সাথীরা ইসলাম রক্ষার নামে পাকি ভাইদের সহিত যোগ দিল।
কিন্তু যুদ্ধে পাকি ভাইরা হাইরা যাওনের সময় তার নজর পড়লো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর। ধইরা ধইরা বেশীর ভাগ শিক্ষকগো লগে পিস্তল দিয়া রক্তের হোলি খেলায় মেতে ওঠে। কিন্তু পাকী বাবারা কিছুদিন পরই পল্টি নিলে তাহার মাথায় আকাশ লুটে পড়ে। দেশ ছাইড়া ল্যাঙ্গট রাইখা পালাইতে বাধ্য হয়। মুজিব মরনের পর আবারো আকাশে আলোর ঝিলিক দেখে, দেশে ফেরত আসে। কিন্তু ক্ষমতার খবর নাই। দিন দিন অর্থ ক্ষমতা বৈভব শনৈ শনৈ গতিতে বাড়ে আর দেশ ডুবে ঘোর অমানিশায়। দেশের গুস্টি কিলাইতে বসিয়া জিয়ার বৌ এর সাথে নজরে নজর দিয়া এই দেশের পাসপোর্ট ও বোগলদাবা করে।
তারপর আসে সেই ২০০১ সাল। নিজের দলের সবাই এমপি মিনিস্টার হয় কিন্তু আপচুষ বয়সের কারনে এই পদগুলান পাওয়া হইলো না।
কিন্তু বেরসিক বোলগার পোলাপান শাহবাগে বাত্তী জ্বালাইয়া এমুন জিকির শুরু করে যে আওয়ামী লীগের বুরবাক নেতারা তাহার বিচার শুরু করে। কথিত আছে তাহার বিচার শুরু হওয়ার পর মাথার স্ক্রু খুলিয়া যায় আদালতের মেঝেতে খোয়া যায়। কি হয়না হয় কিছুই বোঝে না। তবে ভালো ভালো খাবার দেখিলে মাথা ঠিক থাকতো না। সারাদিন খালি সরকারী টাকায় খাই খাই। বুইড়া হইলেও পেটের জায়গা আছিলো আলুর আড়তের সমান, দুই একটা আলুর গোডাউনে স হজেই পেটে জায়গা করিয়া লইতে পারতো। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হইলেও রাজবন্দীর আয়েষী সুবিধা নিয়া একদিন সে শান্তির মৃত্যু বরন করে।
জনশ্রুতি আছে এমন বা_ছিড়ু ছাগুর মৃত্যুতে লক্ষ লক্ষ ছাগু ম্যাতকার করতে করতে জমায়েত হইছিলো তার জানাজায় ম্যা ম্যা করতেকিন্তু তার মধ্যে একজন সত্যিকারের মানুষ (Mahmudul Haque Munshi) তার লাশের গায়ে জুতা মারিয়াছিলো।
যাই হোক, এহেন বা_ছিড়ু রাজাকারের মৃত্যুতে ছাগুদের মাঝে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হয় যা আজও পূরন হয় নাই!!
(ইহা একটি কাল্পনিক পোস্ট, ইহার সাথে জীবিত বা কোনো মৃত লোকের মিল পাইলে নাচেন বকেন যা মন চায় করেন। কারন ছাগু গুনার টাইম নাই)
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮
বিজন রয় বলেছেন: নতুন লেখা দিন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:১২
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: