নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাল্যবিবাহ-৪: কিছু ভ্রান্ত ধারনা আর আসল তথ্য

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৪৫




বাল্যবিবাহ নিয়ে এর আগে বেশ কিছু পোস্ট দিয়েছি যেগুলোর লিংক নীচেই দিয়ে দেয়া হলো। যে কেউ ইচ্ছে করলে ঐ পোস্টে গিয়ে বিষয় সংশ্লিস্ট ব্যাপার নিয়ে নির্দ্বিধায় আলোচনা করতে পারেন, জানতে পারেন, জানাতে পারেন।

১) বাল্যবিবাহ -১: ইসলামে কি সত্যি বাল্যবিবাহ জায়েজ? একটা উন্মুক্ত আলোচনা
২) বাল্যবিবাহ-২: সমাজ, রাস্ট্রের ওপর এর কি প্রভাব? বিজ্ঞান কি বলে?
৩) বাল্যবিবাহ-৩: ইসলামে এটা কি সুন্নত না শুধুই জায়েজ (অথবা স্বতঃস্ফূর্ত)?

আলোচনা করার নিয়ম সমূহ:

১) অবশ্যই তথ্যপূর্ন এবং রেফারেন্স সহ আলোচনা করতে হবে। এখানে রেফারেন্স হিসেবে ধর্মগ্রন্থ, জার্নাল, পাবলিকেশনস, পাঠ্যবই এর সূত্র নিয়ে আলোচনা করতে হবে। আলোচনার সাপেক্ষে যদি সুত্রসমূহ সন্দেহজনক মনে হয় সেটা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

২) যখনি আপনি গালাগালি শুরু করবেন তখন ধরে নেয়া হবে আপনি হেরে গেছেন। আপনি শিশুবিবাহ, বাল্যবিবাহ, পেডোফিলিজমের পক্ষে থাকলে তাহলে আপনার কাছে এসব শব্দগুলো গালি হবার কথা নয়। এই পয়েন্টেও আমরা আলোচনা করতে পারি।

৩) হতেই পারে আপনার সুত্রটি জানা নেই। তাহলে আপনি কি করবেন? অবশ্যই তা উল্লেখ করবেন, আমি তা খুজে নেবো। কোরান শরীফের ওপর হাফেজী শিক্ষা ছোটবেলা করেছি এবং এখনো কোরান হাদিস চর্চা নিয়মিত করি। তাই বিশ্বাস করতে পারেন আমি এর খুটিনাটি এবং প্রচলিত তফসীর সম্পর্কে জ্ঞাত এবং আরবী অনর্গল বলতে না পারলেও ভাষা হিসেবে কিছু জ্ঞান আমার আছে।

৪) রেফারেন্স হিসেবে আপনি জার্নালের লিংক দিতে পারেন, তার কিছু অংশ কপি করতে পারেন, যদি তাতে সমস্যা তাহলে স্ট্যান্ডার্ড রেফারেন্সিং সিস্টেম ফলো করতে পারেন।

সবাই বলতে পারেন আমরা জার্নাল লিখতে বসিনি। যদি তাই মনে করেন আলোচনায় অংশগ্রহন করার কোনো দরকার নেই। আপনার মন্তব্য পাবার জন্য আমি ব্লগ লিখছি না। আমি ব্লগ লিখি যাতে আমার লেখা যেকোনো শিক্ষার্থী বা একাডেমিক তার নিজের বোধগম্যতা এবং তথ্যের ভান্ডার হিসেবে ব্যাবহার করতে পারে। আপনি যদি চান আমার ব্লগকে সমৃদ্ধ করুন কারন জ্ঞানের যত প্রসার হবে অন্ধকার দূরীভুত হবার সম্ভাবনা তত বেশি।

যাই হোক আলোচনা শুরু করি:


প্রথম গাঞ্জা:

বিষুবীয় অঞ্চল বা গরমের দেশের মেয়েদের বয়ঃসন্ধি বা মাসিক শীত বা নাতিশীতোষ্ঞ অঞ্চলে বসবাস করা মেয়েদের আগে হয়!


উত্তর: প্রথমে বোঝার চেষ্টা করি মেয়েদের বয়ঃসন্ধি কিভাবে হয়। এর ম্যাকানিজম। একটি মেয়ে যখন তার শৈশব থেকে কৈশোর বয়সে পদার্পন করে সেই ট্রানজিশন সময়টাই বয়ঃসন্ধি বা পুবার্টি। পুবার্টি ঘটে মূলত হরমোনাল পরিবর্তনের কারনে। মেয়েদের ক্ষেত্রে সাধারনত এটা ১০ বছরেই শুরু হয়ে যায় এবং পরিপূর্ন হতে সময় লাগে ১৭ বছর পর্যন্ত। তবে এটা দৈহিক গঠনের ক্ষেত্রে। যদি মানসিক দিকটি হিসাব করি তাহলে এটা দীর্ঘায়িত হয় যেটা ১৯ এ ঠেকে।

যখন একটা মেয়ের বয়স মোটামোটি বছর ৮-১০ হয় তখন তাদের মস্তিস্কের হিপোথেলামাস অংশটি গোনাড্রোপিন বা GnRH নামের একটি হরমোন নিঃসরন করে তাদের শরীরে। যখন হরমোনটা পিটুইটারী গ্রন্থিতে (এটা আমাদের মস্তিস্কের নীচের দিকেই থাকে এবং এই গ্রন্থি শরীরের অন্যান্য হরমোন গ্রন্থিকে নিয়ন্ত্রন করে) পৌছে, তখন এই পিটুইটারী তাদের রক্তে আরো দুইটি বয়ঃসন্ধির সাথে সম্পর্কযুক্ত হরমোন নিঃসরন করে যার একটির নাম লুটেইনাইজিং হরমোন বা LH এবং আরেকটি ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোন বা FSH। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই দুটো হরমোনের টার্গেট থাকে মেয়েদের ডিম্বাশয় বা ওভারী। সেখানে পৌছানো মাত্রই তাদের ডিম্বাশয় এস্ট্রোজেন উৎপাদন করার জন্য সক্রিয় হয় যার ফলে মেয়েদের শরীর গর্ভবতী হবার জন্য প্রস্তুত করতে থাকে। এর সাথে সাথে এড্রিনাল হরমোন আরও বেশ কিছু হরমোন নিঃসরন করে যার ফলে মেয়েদের যৌনাঙ্গ আর আর্মপিট স হ উন্মুক্ত স্থানে লোমশ করে তোলে। সূত্র ইউনিভার্সিটি অব মেরীল্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টারের ওয়েবসাইট।

তার মানে দেখা যাচ্ছে মেয়েদের মস্তিস্কের হেপোথেলামাস যতক্ষন না গোনাড্রোপিন নিঃসরন না করছে ততদিনে এই পুবার্টি বা বয়ঃসন্ধি শুরু হবার পসিবিলিটি নেই। তাহলে এই নিঃসরনটা কিসের ওপর নির্ভর করছে সেটা নিয়ে কথা আসতে পারে।

যখন একটা মেয়ের অতি অল্প বয়স মানে ৮ বছরের আগেই বয়ঃসন্ধি শুরু হয়ে যায় তাহলে সেটাকে বলা হয় প্রিকোশিয়াস পুবার্টি। এর কারন অনেক তবে একে দুই ভাবে ভাগ করা যায়। যদি কারন গুলো পিটুইটারী গ্রন্থি রিলেটেড হয় তাহলে তাকে বলে কেন্দ্রিয় কারন।

কেন্দ্রীয় কারন গুলোকে এভাবে সাজানো যায়:

ক) মস্তিষ্কের নিবারকমূলক কাজ যে অংশ সম্পাদন করে তাতে সমস্যা (ট্রমা, ইনফেকশন, রেডিয়েশনের কারনে) হলে
খ) মস্তিষ্কের নিউরন সেলে যদি হাইপোথেলামিক হামারটোমা নামক নন ক্যান্সারাস টিউমার হলে
গ) চামড়ায় ল্যাঙ্গারহ্যানস সেল হিস্টিওসাইটোসিস হলে
ঘ) চামড়ায় ম্যাকিউন- অলব্রাইট সিনড্রোম দেখা দিলে

তবে উন্নয়নশীল দেশে কেন্দ্রিয় প্রিকোশিয়াস পুবার্টি হয় বেশীরভাগ সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে যদি ইনফেকশনের কারনে (টিউবোরকিউলোসিস)।উন্নত দেশে অনেক সময় অবেসিটি এবং অতিরিক্ত অসম্পৃক্ত চর্বি এবং ডায়েটের কারনেও এটা হতে পারে। আরও অনেক কারন আছে যেগুলো লেখলাম না। প্রধান কারনের পর আরেকটা হলো পারিপার্শ্বিক। যদি অস্বাভাবিক কোনো উৎস হতে সেক্স স্টেরয়েড বেশী নিঃসরিত হয় তাইলে এইটা হইতে পারে। রক্তে কর্টিসেলের মাত্রা খুব কম থাকে আর এন্ড্রোজেনের মাত্রা থাকে।

কারন সমূহের মধ্যে:

ওভারীতে টিউমার হলে, এড্রিনালিন হরমোন গ্রন্থিতে টিউমার হইলে, ওভারীর আশেপাশে জীবানু জমে টিউমারের সৃষ্টি করলে, জীন মিউটেশনের কারনে দেহের মধ্যে থাকা এনজাইম সমূহ যদি এড্রিনালিন গ্রন্থির কারনে কোলেস্টেরল থেকে কর্টিসেলে পরিণত হয় তখন দেহে কনজেনিটাল এড্রিনাল হাইপারপ্লাশিয়া দেখা দেয় এর কারনে।

এখন কথা হলো এই প্রিকোশিয়াস পুবার্টি অনেকটা এসব রোগ আর এবনরমাল কারনে হতে পারে। আবার দেখা যায় যেসব শিশুরা ছোটবেলা থেকে নিকটাত্মিয়দের কাছে সেক্সুয়াল এবিউজের শিকার হয় তাদের সেক্স স্টেরয়েড খুব বেশী পরিমানে নিঃসরিত হয় তার ফলেও এটি ঘটে। সমস্যা হলো পুবার্টি হয়ে গেলে ওভারী, বুক, শারীরিক গঠনে এগিয়ে গেলেও তার হাড়ের গঠন বৃদ্ধি বন্ধ করে ম্যাচুরিটিতে চলে আসে। ফলে সে খর্বকায় হয়। মানসিক ভাবে অপরিপক্কতা বিরাজ করে, এবং শরীরের অন্যান্য অন্ত্র এসব পরিপক্ক গ্রন্হিদের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে না। ফলে শরীরে প্রজননতন্ত্র গত সমস্যা লেগেই থাকে।

ফলে যেই মেয়ে এমনেই এসব জটিলটা বহন করে তাকে যদি নিয়মিত যৌনমিলনের মাধ্যমে অন্তঃসত্বা বানিয়ে দেয়া হয়, তাহলে তার কি হতে পারে সেটা নীচে বলি!

পেলভিক ফ্লোর

কোমড়ের হাড়ের বৃদ্ধি যথাযথ না হওয়ায় যখন বাচ্চাটাকে ব হন করে তখন তার কোমড়ে প্রচুর প্রভাব পড়ে। ফলে বয়স যখন ২৫-২৬ হবে তখন সে খুব স হজেই অস্টিরিওপোসিস মানে হাড় ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হবে। অনেক সময় আমরা দেখি একজন স্বাস্থ্যবতী মহিলা হাটতে হাটতে হঠাৎ পড়ে গিয়ে পায়ের হাড় ভেঙ্গে ফেললো। পরে এক্সরে করে দেখা গেলো তার পায়ের হাড় গুলো ক্ষয় ক্ষয় হতে সরু হয়ে গেছে। এমনকি গ্রামে অনেকে লাঠিতে ভর করে পুরো কুজো হয়ে হাটে। কারন তাদের কোমড়ের হাড্ডি ভেঙ্গে গেছে। অনেকে ৩০ এর পরই আজীবন পঙ্গুত্ব এবং গেটোবাতে ভুগতে থাকে।

সূত্র: লাইভ সায়েন্স

ফিস্টুলা।

অল্প বয়সে (ধরা যাক ৯ বছর বয়সে, কিছু স্টাডিতে ১২-১৩ বছর বয়সেও বলা আছে) গর্ভবতী হলে যখন শিশুটির ডেলিভারীর টাইম আসে তখন ভ্যাজিনা দিয়ে বের হবার সময় ভ্যাজিনার ওয়াল আর রেকটাম বা ব্লাডারের ওয়ালের মধ্যবর্তী স্থানে একটা গর্তের সৃষ্টি করে। এমন সময় অনেক মেয়েই পিচকি জন্ম দেবার সময়ই মারা যায়। যারা বেচে যায় তখন দেখা যায় পিচকির মাথাটা যখন ঠেলা দেয়া হয় তখন গর্ত সৃষ্টি হলেও সেটা খুব বেশী বড় না হওয়ায় আটকে যায়। তখন ঠেলাঠেলির চাপের পিচকির মাথার কিছু অংশ আর মায়ের পেলভিক ফ্লোরের নরম টিস্যু ছিড়ে যায়।তখন মেয়েটির টয়লেটের জিনিস আর প্রস্রাব সেই গর্ত দিয়ে চলে যায় যা একটা ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে পরে যা ভ্যাজিনা দিয়ে বের হয়ে যায় (ভাই, এই ব্যাপারটা আমার লিখতেই শরীরে গায়ের রোম খাড়া দিয়ে উঠতেছে কত ভয়াব হ একটা ব্যাপার)। এর পরেও যদি মা আর শিশু বেচে থাকে মায়েদের এই সমস্যা আর স হজে ছাড়ে না। এবং তারা মেন্টালি আর ফিজিক্যালি ধ্বংস হয়ে যায় এবং অনেকের বিয়েও ভেঙ্গে যায়।

প্রসব কালীন জটিলতা: এই জার্নাল অনুসারে দেখা যাচ্ছে যে মেয়ে সন্তানের জন্মের সময় স্বাভাবিক ওজন বা উচ্চতের চেয়ে কম হয় তখন এটাও একটা কারন।

আরও একটা বড় কারন হলো শিশুর ওপর যৌনচার। কর্নেলী ইউনির এই লিংক অনুসারে একটি জার্নালে প্রকাশিত যে শিশুদের ওপর যৌননীপিড়ন চালালে অনেক সময় তাদের মস্তিষ্ক ভুল সিগনাল পায় এবং এই কারন খুব দ্রুত এই বয়ঃসন্ধি শুরু হয়ে যায়।

ওপরের সব আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে মেয়েদের শরীরের মস্তিস্কের যে হেপোথালামাস অংশটি হয়েছে এটার সক্রিয়তা আবহাওয়ার ওপর কোনো অংশেই নির্ভর করে না। এটা একটা মিথ, ডাহা মিথ্যা কথা। পরিবেশ গরম না স্যাঁত স্যাঁতে অথবা ঠান্ডা সেটার কোনো কিছুই এই অংশের যায় আসে না। এটা একটা মিথ।

অনেকেই হয়তো এভাবে দুয়ে দুয়ে চার মিলান এভাবে যে কাঠাল স হ অন্যান্য গরম খাবার হলে শরীর গরম হয় এবং মানুষ যৌনচর্চা করার জন্য সাময়িক ট্রিগারড হয় এটাকে মনে করে। কিন্তু এটাও ভুল। কিছু কিছু ফল বা খাবারে নাইট্রাস অক্সাইডের পরিমান বেশী থাকে ফলে যৌনাঙ্গ সাময়িক ভাবে ট্রিগারড হতেই পারে। তখন যদি আপনার রক্তে পরিমিত টেস্টোরন থাকে এবং অন্যান্য সমস্যা না থাকে আপনে সাবালক হিসেবে যৌনচর্চা করতেই পারেন। কিন্তু একটা শিশুর শরীর এভাবে কাজ করে না। তার মস্তিস্ক বা শরীর তখনও এতটা ডেভেলপ হয় না।

যদি বিজ্ঞানে বিশ্বাস থাকে (এখানে আবার বলবেন না যে বিজ্ঞানের সবকিছুই পরিবর্তনশীল: তাহলে বলতে হবে আপনি জানেন না বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করে। তত্ব এবং প্রমানিত সত্য ও হাইপোথিসিসের মধ্যে কি পার্থক্য সেটা আগে জেনে আসতে হবে এবং এই শিক্ষাটা পাবার কথা আপনার ক্লাস সিক্সেই যেটা আমরা পেয়েছিলাম আমাদের সময়ে, আপনারা যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে বলতে হবে এটা আপনার অজ্ঞতা), তাহলে এসব মিথ গল্প গুজবে বিশ্বাস করার কোনো ভিত্তি নেই।


দ্বিতীয় গাঞ্জা:

বয়োঃসন্ধি হলেই তাকে পোয়াতী করা যায়। বয়োঃসন্ধি মানেই সে গর্ভবতী হবার যোগ্যতা অর্জন করছে।

উত্তর: এই বিষয়ে আলাপ করবার আগে দেখে নেই একটি মেয়ের যখন বয়োঃসন্ধি শুরু হয় তখন তার শারীরিক পরিবর্তন গুলো কি কি। এই স্টেজ গুলো সাজানো হয়েছে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এই পেজ থেকে। এই পেজে ক্লিক করবার আগে অবশ্যই আপনাকে ১৮ এর উপরে হতে হবে কারন যৌনশিক্ষার কিছু ছবি আছে যা অনেক গোড়াদের কাছে ভালগার মনে হতে পারে।

**স্টেজ ওয়ান: বয়স মোটামোটি যখন ৮ থেকে ১১- মেয়েদের ডিম্বাশয় বড় হতে থাকে এবং হরমোনের নিঃসরন শুরু হতে থাকে, কিন্তু বাইরে থেকে এটা বোঝা যায় না। অন্যান্য অঙ্গ সমূহের বেড়ে ওটা দৃশ্যমান হয় না। বুকে শুধু নিপল জাগতে থাকবে। যোনিপথে ছোট ছোট চুল গজাতে থাকবে। এসব এড্রিনাল গ্রন্থি অল্প অল্প করে এন্ড্রোজেন নিঃসরন করবে যর ফলে এই চুল গজানো শুরু করবে।

**স্টেজ দুই: বয়স মোটামোটি যখন ৮ থেকে ১৪- এই সময়ে মেয়েদের বক্ষের বৃদ্ধি বেশ ভালোভাবে দৃশ্যমান হয়। প্রথমে বক্ষপিন্ড বড় হয়। নিপলটা ছোট এবং সূচালো থাকে। নিপলের পাশের ব্রাউন অংশ অরিওলি সাইজে বড় হতে থাকে। এই সময় প্রথম স্টেজেই লোম গজাতে শুরু করে উন্মুক্ত স্থানে। প্রথম দিকে হতে পারে কোকড়ানো বা ছোট অথবা সোজা। এসময় মেয়েদের শরীরের উচ্চতা এবং ওজন দুটোই বাড়তে থাকে। শরীরের গঠন গোলাকার এবং খাজ খেলতে শুরু করে। যোনিপথের ক্লিটোরিস বড় হতে থাকে আর লাবিয়া ফুটতে থাকে। মুত্রনালীর বৃদ্ধি ঘটে।

**স্টেজ তিন: বয়স যখন মোটামোটি ৯ থেকে ১৫- বক্ষের বৃদ্ধি হতে থাকে এবং উন্মুক্ত স্থানের লোম সমূহ কালো এবং ঘন হতে থাকে। এই সময়ে রজঃস্রাব শুরু হয়, এমনকি কিছু কিছু মেয়েদের মাসিকও শুরু হয়ে যায়। একনি দেখা দেয়, মুখে ছোপ ছোপ হয়।

**স্টেজ চার: বয়স মোটামোটি ১০ থেকে ১৬- কিছু মেয়ে লক্ষ করে যে তার নিপলের পাশের অরিওলি কালো হতে শুরু করে এবং সেকানে একটা পিন্ডের আকারের মতো তৈরী হয় পুরো বক্ষপিন্ডের ওপর, যেনো একটা আলাদা কিছু। লোম সমূহ ত্রিভুজাকৃতির রূপ নেয় এবং বাড়তে থাকে। যদি এটা স্টেজ তিনে না হয়, তাহলে প্রথম মাসিক শুরু হয়ে যাবার কথা। ডিম্বাশয়ের ডিম চক্রও শুরু হয়ে যাবার কথা। তবে এটা যা নিয়মিত হবে এমন কোনো কথা নেই। এমনকি ডিম্বাশয়ের ডিম চক্র প্রতি মাসে না হলেও মাসিক নিয়মিত প্রতি মাসে চলতে পারে। মেয়ের পায়ের থাই পরিপূর্ন রূপ নিতে থাকে।

**স্টেজ পাঁচ: বয়স যখন মোটামোটি ১২ থেকে ১৯- এটা মেয়েদের বয়োঃসন্ধির সর্বশেষ ধাপ। মেয়েরা তাদের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌছে যাবে এবং কিশোরী মেয়েদের নিয়মিত ডিমচক্র হতে থাকবে। লোম সমূহ সম্পূর্ন গজিয়ে যাবে যতটুকু গজাবার এবং বক্ষ তার পরিপূর্ন রূপ নেবে।

এখন যদি এই গুরুত্বপূর্ন বাড়ন্ত সময়ে একটি মেয়ে সঠিক পুস্টি না পায় তাহলে মেয়েটির এসব প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তবে যাদের বয়োঃসন্ধি আগে শুরু হয়ে যায় তাদের হাড়ের গঠন ঠিক মতো হয় না। ফলে এসব মেয়েরা বাকী জীবন গর্ভপাতের সময় মিস ক্যারেজ, ফিস্টুলা, এমনকি পেলভিক ফ্লোরের ভয়াবহ জটিলতায় বাকী জীবন নিঃশেষ হয়ে যায়।

অনেক সময় উপযুক্ত পুস্টির অভাবে হঠাৎ একটা বয়োঃসন্ধির হরমোন নিঃসরন হবার পর তা বন্ধ হয়ে গেলে রক্তে টেস্টোস্টেরনের অভাবে হাড্ডির গঠন সঠিক ভাবে হয় না, তাতে ক্যালসিয়ামের পরিমান কম থাকে। ফলে বয়স কালে হাড় গুলো ভঙ্গুর হয়ে যায়, ফলাফল ৩০ হতে না হতেই অস্টেরিওপ্রোসিস। তাই দেখা যাচ্ছে বয়োঃসন্ধি একটা চলমান প্রক্রিয়া এবং যতক্ষন না একজন মেয়ের বয়োঃসন্ধির সকল ধাপ পুরোপুরি পরিপূর্ন না হচ্ছে তখন গর্ভবতী হওয়া মানে তার শরীরের প্রয়োজনীয় খাদ্য পুস্টির ওপর ভাগ বসানো। ফলে অনাগত শিশুর পুস্টির জন্য একটি বাড়ন্ত কিশোরীর সকল দৈহিক বৃদ্ধির ওপর গলা টিপে ধরা একই কথা। পরে যখন মেয়েটি যুবতী হবে তখন তার মধ্যে নানা জটিলতার জন্ম নিতে শুরু করবে।

তার মানে বয়োঃসন্ধি শুরু হওয়া মানেই গর্ভধারনের জন্য সে উপযুক্ত না আর মাতৃমৃত্যুর সাথে বাল্যবিবাহের এক নিবিড় সম্পর্ক আছে।


তৃতীয় গান্জ্ঞা:

অল্প বয়সে বিয়া দিলে বাচ্চা জন্ম দেয়া সুবিধা।

উত্তর: উপরের আলোচনা সমূহে প্রতীয়মান যে নির্দিস্ট সময় পর্যন্ত মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি চলতেই থাকে। ফলে এই সময়ে সঠিক পুস্টি না পেলে এই বৃদ্ধি ব্যাহত হবে ফলে মেয়েদের প্রজননততন্ত্রের পরিপূর্নতা লাভ করবে না। যেখানে দেশে ভেজাল দ্রব্যে ছয়লাব সেখানে এসব পুস্টিকর খাবার পাওয়া আরো দুরূহ এবং ব্যায়বহুল। আর এই সময়ে যদি তাকে গর্ভবতী করা হয় তাহলে তার অবস্থা আরো দুরুহ হয়ে পড়ে। যেটা বাচ্চার জন্যও ক্ষতিকর, ঐ গর্ভবতী মেয়ের ভবিষ্যতের জন্যও ক্ষতিকর। অনেকে বলেন আগে তো অল্প বয়সেই বিয়ে হতো কই তাদের তো কিছু হয় নাই।

এটা আসলে নিমক হারামের মতো কথা। আপনি আপনার মা দাদীদের দিকে তাকান। তারা নিজেরা ঠিকই বলে দিবে যে তারা সন্তান জন্ম দিতে দিতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অল্প বয়সে সন্তান জন্ম দেয়ার পর সেই যে তার অসুস্থতা ও শারীরিক জটিলতা শুরু হয়েছে সেটা থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিস্কৃতি পান নি। এই লিংকে গেলে দেখবেন এই সত্যের ভয়াবহতা। এখানে গেলে পাবেন ফিস্টুলার মরন থাবা। এই কথা দ্বারাই প্রমানিত হয় আপনার মায়ের সাথে আপনাদের কত দূরত্ব যেগুলো আমরা কখনোই তাদের জিজ্ঞেস করিনি।
প্রথম প্রশ্নে পেলভিক ফ্লোর নিয়ে কিছু আলোচনা করলেও পুরোটা করা হয়নি। আসুন ওগুলো নিয়ে আরেকটু আলোচনা করি যখন অল্প বয়সে একটা মেয়ে গর্ভবতী হয়।শিশু যখন কয়েক সপ্তাহ হয় মায়ের পেটে থাকে তখন সে মায়ের খাবার ভাগ বসায়। তখন দেখা যায় মায়ের প্রেসার ৫০ শতাংশ বেড়ে যায় যা হার্টের ওপর চাপ পড়ে। পিচকি তখন মায়ের ক্যালসিয়াম আর পুস্টিতে ভাগ বসাইলে যেখানে মা নিজেই শারীরিক বৃদ্ধিতে আছে সেখানে যদি এমন একটা ভাগ বসায় তাহলে মা ও শিশু দুইটাই অপুস্টিতে ভুগে। সবচেয়ে বড় সমস্যা ফলিক এসিডে যার ফলে অল্প বয়সী মায়েদের পোলাপান একটু বেশী ভোদাই হয়। আর জাতী হিসেবে কেন আমরা গবেষনায় পিছিয়ে সেটা এই একটা মাত্র কারনে, আমাদের ব্রেন ঠিক মতো ডেভেলপ হতে পারে না! এছাড়া মেয়ের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমে এমন প্রেসার পড়ে যে মেয়েটা যৌবন পার হবার আগেই হার্টের নানা সমস্যায় পতিত হয়।

এছাড়া ফেলোপিয়ান টিউব যখন এমব্রায়ো বহন করে তখন এর অপরিপক্কতার কারনে এর মধ্যে থেকে একটোপিক প্রেগনেন্সি ঘটাতে পারে। এমন সময় যদি ইনফেকশন (ক্লামিডিয়া ইত্যাদি) দেখা দেয় তখন শিশুটি পরিপূর্ন হবার আগেই সর্বনাশ হইতে পারে,। আর যদি প্রেগন্যান্ট না করে নিয়মিত শুধু সহবস করা হয় কন্ডম ছাড়া, তাইলে বলতে হয় ছোট মেয়েটার শরীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় নিয়মিত সহবসের কারনে এসটিডিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা প্রচুর থাকে। ক্লামিডিয়া তেমনি একটা প্রানঘাতি যার ফেল ফেলোপিয়ান টিউবে ইনফেকশন খুব দ্রুত ঘটতে পারে যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধ্যাত্ব মেনে নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

এতো গেলো শারীরিক সমস্যার কথা। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কি ঝড় যে বয়ে যায় সেটা নিয়ে লিখতে গেলে আরও বিস্তর ব্লগ হয়ে যাবে। যদিও আমাদের মতো মুসলিম দেশে মানসিক ব্যাপারটা ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুশাসনের যাতাকালে সেটাকেও ইগনোর করা হয়।পোসপার্টুম ডিপ্রেশন, জন্মপূর্বকালীন যত্নের অভাব প্রকট এসব নিয়ে আলোচনা কেউ করেছে কিনা সেটা নিয়েও সন্দিহান আমি, যেটা অবশ্যই দুঃখজনক।যেখানে মা ও নবজাতকের জন্য এতো ঝুঁকি সেখানে শুধু অন্ধবিশ্বাস এবং অধিক সন্তানপ্রসব তথা জনসংখ্যার অধিক বিস্তারের মতো আত্মঘাতী ইস্যুকে প্রাধান্য দিয়ে এই বাল্যবিবাহের পক্ষে কথা বলাটা নিশ্চয়ই হঠকারীতা এবং নারীজাতির জন্য অপমান স্বরুপ।
এখানে আরো কিছু কথা না বললেই নয় যে, আমাদের দেশে যারা ডাক্তার আছেন তাদের অনেকেই সোচ্চার কিন্তু এই বিষয়ে তারা অনলাইনে খুব কম লেখালেখি করেন করলেও সেগুলো মোটেও বস্তুনিষ্ঠ না। আমি বেশীর ভাগ আর্টিকেলে দেখেছি কেউ হয়তো মানবাধিকার কর্মী অথবা উকিল বা এনজিও কর্মি। তাদের মধ্যে ডাক্তার খুজে পাওয়া যায় না। ডাক্তাররা কি সামাজিক দায়বদ্ধতার বাইরে সেটা খুব জানতে ইচ্চে করে। যেখানে এই লেখাগুলো মূলত একজন ডাক্তারের লেখার কথা সেখানে আমাকে লেখতে হচ্ছে যেটা খুব হতাশাজনক।

আসুন বাল্যবিবাহকে আমরা না জানাই, আলোকিত হই, সত্যকে জানি।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৩৩

বীরেনদ্র বলেছেন: Thank you very much. At first you said " The girls of the equator attain puberty earlier " is a myth. But you gave no reference either supporting or disproving that. In my quest for the answer i found that the african americans attain puberty earlier than their white counterpart and also the age of puberty is declining over the centuries.

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৪০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি হয়তো ভালো করে খেয়াল করেনি যে আমি এখানে ম্যাকানিজমের ওপর বেশী জোর দিয়েছি, তাই সরাসরি লিংক দেয়াটাকে প্রধান ইস্যু মনে করিনি। তবুও এটা যেহেতু চাচ্ছেন সেহেতু কারন হচ্ছে অবেসিটি আর খাদ্যাভাস। ফিনল্যান্ডে গবেষনা চালিয়েও একই ফল পাওয়া গেছে যেটা পোস্টে বোধ হয় দিয়েছি। না দিলে এখানে আবার দিলাম। প্রায় সব জায়গাতেই একই রেজাল্ট। আর এটা কি লজিক্যাল না যে বয়োঃসন্ধির সময় যদি পুস্টিকর খাবার না খাওয়া হয় তাহলে তার তো বৃদ্ধি + মাসিক হতেও সমস্যা দেখা দিবে। যাই হোক, আরও লিংক লাগলে জানােয়েন।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:০৬

বীরেনদ্র বলেছেন: You said you stressed on the mechanism, very fine. You gave links on food habit and obesity, but why did you not give any evidence supporting your statement that "the girls attain puberty earlier in the equatorial region" is a myth (ganja)?

And regarding links. Anybody who has internet connection does not need a link, right?

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তার মানে দেখা যাচ্ছে যে বিভিন্ন গবেষনা বা এক্সপেরিমেন্ট চালিত হয় বিভিন্ন মিথ ডিবাঙ্ক করার জন্য? তাও আবার মেডিক্যাল সায়েন্সে? সিরিয়াসলি?

রিগার্ডিং লিংকস...আপনার ইন্টারনেট লিংক থাকা সত্বেও নীচে আপনি শুয়োরের পুবার্টির লিংক দিছেন যেখানে পোস্ট টা হলো মানুষ নিয়ে। মেয়ে মানুষ কি আপনার কাছে শুয়োর নাকি গুগল করতে গিয়ে গার্লস বানান ভুল করছেন?

হাসালেন ভাই, আপনার ডেসপারেশন আপনার কমেন্ট থেকেই পাওয়া গেলো। কীপ ইট আপ

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:১১

এ আর ১৫ বলেছেন: ইসলামে বাল্য-বিবাহ ??
মূল ইংরেজী হাসান মাহমুদ, বঙ্গানুবাদ - এস আমিন

দেশে বাল্যবিবাহের দড়ি-টানাটানি চলছে তো চলছেই। একদিকে এর বিরুদ্ধে মানবাধিকার-কর্মীদের আন্দোলন, আইন ও তার প্রয়োগ, অন্যদিকে এর পক্ষে কিছু আলেমদের অবস্থান। তাঁদের প্রধান যুক্তি সহি বুখারীর হাদিস, নবীজি(স) আয়েশা(র)-কে বিয়ে করেছিলেন ৬ বছর বয়সে, নিজের ঘরে নিয়ে গিয়েছিলেন ৯ বছর বয়সে- বুখারী ৭ম খণ্ড-৬৪, ৫ম খণ্ড-২৩৪, ২৩৬। এর ভিত্তিতে ইসলাম-বিরোধী অনেকেই আবার নবীজি(স)কে শিশু- ধর্ষক বলে।এই "ছয় বছর-নয় বছর" দলিলের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দলিলগুলো দেখা দরকার যাতে জাতি সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বলা দরকার, আয়েশা (র)-এর জন্মসাল নিয়ে বিতর্ক থাকার ফলে বিয়ে সহ বিয়ে সহ বাকি সবকিছুর সময়/সাল প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে।(বদর যুদ্ধ হয়েছিল ৬২৪ সালে)।

1. “শিশু¬ ধর্ষক” মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি (সাধারণত: পুরুষ) কম বয়সের বালিকাদের সাথে সংসর্গ করতে সর্বক্ষণ ব্যাকুল হয়ে থাকে। সমাজে ওটা চিরকালই ছিল, আছে এবং থাকবে।কিন্তু নবীজীর জীবন খুঁটিয়ে দেখলে আমরা সংযমের চিত্রই পাই। পঁচিশ বছরের দুরন্ত যৌবনে তাঁর প্রথম বিয়েই ছিল ৪০ বছরের বিধবা বিবি খাদিজার সাথে। মনে রাখতে হবে মানুষের ইতিহাসে সমাজ, পরিবার, অর্থনীতি, রাজনীতি, যুদ্ধনীতি এমনকি প্রতিটি মানুষের মনোজগতের ওপর এমন সার্বিক ও সর্বগ্রাসী রাজত্ব আর কেউই করেনি। যাঁর অনুসারীরা তাঁর জন্য অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন ও নিয়েছেন, যাঁর জন্য সর্বক্ষণ নিজেদের "পিতামাতা উৎসর্গ" বলতেন, তিনি চাইলে অবশ্যই অনায়াসে শত শত নয় বরং হাজার হাজার বালিকা-সংসর্গ করতে পারতেন। অথচ তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র আয়েশা (র) ছিলেন কুমারী, বাকিরা বিধবা বা তালাক-প্রাপ্তা, কেউ কেউ আবার তেমন সুন্দরীও ছিলেন না। কাজেই “শিশু¬ ধর্ষক” তত্বটা তাঁর বেলায় একেবারেই খাটেনা।

2. বয়স ১৪ থাকার জন্য ইবনে ওমরকে রাসুল (স) ওহুদ যুদ্ধে যোগ দিতে দেননি কিন্তু খন্দক যুদ্ধে যোগ দিতে দিয়েছিলেন কারণ তখন তাঁর বয়স ১৫। সহি বুখারী ও মুসলিমে আমরা দেখি বিবি আয়েশা (রাঃ) বদর যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। সে হিসেবে ৬২৪ সালে তাঁর বয়স কমপক্ষে ১৫ বছর হবার কথা।

3. কিছু সুত্রে আয়েশা (রাঃ)-এর জন্ম ৬১৩ সালে পাওয়া যায় কিন্তু ইবনে হিশাম/ইসহাক এর বিখ্যাত সিরাত কেতাব বলছে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ৬১০ সালে। ধর্মান্তরিত হবার জন্য ভালোমন্দ বোঝার কিছুটা ক্ষমতা থাকবে বলেই আশা করা যায়। ৬১০ সালে যদি তাঁর বয়স তিন বছরও (খুব সম্ভব তার চাইতে বেশি) হয়ে থাকে তবে ৬২২ সালে তিনি ছিলেন অন্তত পনের বছরের।

4. অতীতে অনেক দেশে এবং অনেক সম্প্রদায়ের লোকেদের মধ্যে (এমনকি বর্তমানেও কিছু কিছু অনুন্নত এলাকায়), সময় এবং বয়স মনে রাখার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রথা চালু ছিল না। তখন তারা কোনো বিশেষ ঘটনার সাহায্যে, যেমন যুদ্ধ, খরা, অথবা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বয়স অথবা সময় মনে রাখত। এমনকি ইতিহাসের পাতায় সভ্যতার শীর্ষে যে রোমান জাতি, তাদের মাঝেও এই প্রথা চালু ছিল। নবী(সাঃ)-এর জন্মের বছরে আবরাহা তার হাতির বহর নিয়ে মক্কা আক্রমন করে। তাই সেই বছরকে বোঝাতে মক্কার লোকেরা "হস্তীর বৎসর” উল্লেখ করত। এই প্রথা স্মৃতির ওপরে নির্ভরশীল, তাই বয়সের এবং সময়ের হিসেবে অনিচ্ছাকৃত ভুল ইতিহাসে ধরা পড়ে।

5. ১৪০০ বছর আগে নয় বছরের বালিকার বিয়ে স্বাভাবিকই ধরা হত। বাইবেলেও এর ইঙ্গিত আমরা পাই। ইসলামের শত্রুপক্ষের লোকেরা রাসুল (সাঃ)এর অনেক সমালোচনা করেছে কিনতু এ বিষয়ে কখনো কোনো কটু মন্তব্য অথবা আলোচনা করেনি। তখনকার সামাজিক ব্যবস্থা, জীবন যাপন প্রণালী, প্রাকৃতিক অবস্থা এবং রূঢ় আবহাওয়া এর কারণ হতে পারে।

6. ৬১৫ সালে হজরত আবু বকর (রাঃ) মুত'আম এর পুত্রের সাথে আয়েশার (রাঃ) বিবাহের চিন্তা করেছিলেন। মুত'আম তার পুত্রের এই বিবাহে রাজি হয়নি কারণ তখন হজরত আবু বকর (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তখন অবশ্যই বিবি আয়েশার (রাঃ) দুই এর বেশি ছিল । সেই হিসেবে ৬২২ সালে তাঁর বয়স অবশ্যই নয়ের অধিক ছিল।

7. হজরত আবু বকর (রাঃ) এর চারজন সন্তানেরই জন্ম হয়েছিল আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে, যখন ইসলাম প্রচার শুরু হয়নি। এই যুগের পরিসমাপ্তি হয় ৬১০ সালে। সেই সূত্রে, ৬২২ সিইতে বিবি আয়েশার (রাঃ) বয়স ন্যুনতম বারো বৎসর ছিল।

8. বিবি ফাতেমা (রাঃ) বিবি আয়েশার (রাঃ) পাঁচ বছরের বড় ছিলেন। মুহাম্মদ (সাঃ) এর বয়স যখন পয়ত্রিশ বৎসর তখন ফাতেমা (রাঃ) এর জন্ম হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী বিবি আয়েশা (রাঃ) রাসুলাল্লার (সাঃ) চাইতে চল্লিশ বছরের ছোট ছিলেন অর্থাৎ বিয়ের সময় তাঁর বয়স ছিল বারো।

9. বিবি আয়েশার বড় বোন, বিবি আসমা ছিলেন তাঁর চেয়ে দশ বছরের বড়। যে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর মদিনায় হিজরতের তিহাত্তরতম বছরে বিবি আসমার মৃত্যু হয় আনুমানিক একশ’ বছর বয়সে। খুব সম্ভবত, হিজরতের বছর বিবি আসমার বয়স ছিল ছাব্বিশ/সাতাশ এবং বিবি আয়েশার (রাঃ) ষোলো-সতের। ইবনে সা'দ এর তাবাকাত এবং আনসাব আল-আশরাফে কিছু কিছু বর্ণনায় আমরা পাই, হিজরতের দুই থেকে তিন বছর পরে বিবি আয়েশার (রাঃ) সাথে রাহুলুল্লাহ (সাঃ) এর বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। সুতরাং সেই হিসেবে বিবাহ কালে তাঁর বয়স ছিল আঠার-উনিশ বছর।

10. বিখ্যাত ইমাম ড: সাব্বির আলী, ইমাম শেখ ইমরান হোসেন, শেখ ইয়াসির আল হাবিব সহ অজস্র ইসলামী বিশেষজ্ঞ এটা বলেন, অনেক সূত্র পাবে এখানে:- https://www.google.ca/…

11. পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়াতে নারীরদের ১৯ বছরের আগে বিয়ে বেআইনী - ভিডিও - ড: জাকির নায়েক। মুসলিম প্রধান দেশ মরক্কো আলজিরিয়া তো আছেই, ওখানকার মাওলানারা নিশ্চয় কোরান হাদিস কম জানেন না ! তাঁরা তো বাল্য বিবাহ বাতিল করেছেন!
12. দলিল আরো অনেক আছে, কখনো পরস্পর বিরোধী, তাই তা থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। তবে এবারে কোরান। সুরা নিসা আয়াত ৬:-“এতীমদের প্রতি বিশেষ নজর রাখবে যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার”।

কি মনে হয়?

"যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে......তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার" - এর অর্থ বিয়ের বয়স তখনি হবে যখন তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ হবে। কথাটা নাবালিকাদের ক্ষেত্রে খাটে? না, খাটে না। বাল্য-বিবাহ ওখানেই সুস্পষ্ট ভাষায় নাকচ করেছে কোরান !!

এবারে বাস্তবতা। যাঁরা বাল্যবিবাহ সমর্থন করেন, তাঁরা কি ওই কচি মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়েছেন একবার? বিশ-পঁচিশ বছরের তরুণের দেহে দুর্দান্ত প্রচণ্ড যৌবন খেলা করে, আর ওদিকে ওই বাচ্চা মেয়েটার না শরীর তৈরী, না মন। সেখানে প্রতিদিন ওই বাচ্চাটাকে কি দোজখের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তার শরীরের ওপর কি মর্মান্তিক অত্যাচার হয় তা কি বাল্যবিবাহ সমর্থনকারীরা ভেবেছেন একবারও? ইসলাম-পালনের, নবীজীকে "অনুসরণ" করার উদগ্র বাসনা এভাবেই জীবন ধ্বংস করে, ইসলামের বদনাম হয়। এর ওপরে আছে ওই কচি শরীরে সময়ের আগেই মাতৃত্বের চাপ।

আরো বলতে হবে?
**************************
Sheikh Imran Hosein
https://www.youtube.com/watch?v=Mw05XUx0CrM

মওলানা মুহম্মদ আলী'র বিস্তারিত গবেষণা-
http://www.muslim.org/islam/aisha-age.htm#_ftn3

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আরেকবার এই এ কমেন্ট আর কোথাও করলে আমি সোজা রিপোর্ট করবো। হালা পাগল

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:১৩

বীরেনদ্র বলেছেন: The equator is warmer than the countries nearer to the poles. According to his articles Click This Link , chronic exposure to elvated amibient temperature delays puberty.

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ড্যুড, ভেটেরনারীর জানোয়ারদের ওপর জার্নাল?
সিরিয়াসলি?

বাল্যবিবাহকে বৈধ করার জন্য এতটা ডেসপারেশন?

ক্লাউন অব দ্যা ডে!!!!

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

এ আর ১৫ বলেছেন: আরেকবার এই এ কমেন্ট আর কোথাও করলে আমি সোজা রিপোর্ট করবো। হালা পাগল

কেন রিপোর্ট করবেন , আমি তো অন্য ব্লগে কয়েক সাপ্তাহ আগে কমেন্ট করেছিলাম , কোন উত্তর না পেয়ে আবার পোষ্ট করেছি । এই কমেন্টে কি বিব্রত বোধ কোরছেন তাই না , যেটা নিয়ে আপনার গবেষনা সেটা তো ব্যর্থ হয়ে যায় এই কমেন্ট । রসুল [সা:] যখন বিবি আয়েশা [রা:] বিয়ে হয় তখন তার বয়স ৬ ছিলনা ১২ এর উপরে ছিল প্রমাণ হয়ে গেলে তো আপনার মিশন ব্যর্থ । বিবি আয়েশা [রা:] বয়স ৬ ছিল ধরে নিয়েই তো আপনার গবেষনা সেটা ব্যর্থ হয়ে যায় ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জানি না কতদিন ব্লগ বা অনলাইন কমিউনিটির কোনো ফোরামে আছেন, তবে আপনি যেটা করছেন তা সিম্পলি স্প্যামিং। যদি দুয়েকটা রিপোর্ট খান, তাহলে আপনার কমেন্ট ব্যান মাস্ট। আর দ্বিতীয় কথা আমি সারা দিন বেকার থাকি না যে ব্লগ করতে হবে বা মানুষের জিজ্ঞাসার জবাব দিতে হবে। নিজে প্রকৌশলী আমাকে কাজ করতে হয়, পেট চালাতে হয়। নিজের দায়বদ্ধতা থেকে লেখি আর এটা ফেসবুক না যে সেকেন্ডে সেকেন্ডে এ্যাপে চেক করতে হবে।

তাই আপনার এই এক কমেন্ট বার বার আমার ব্লগে কমেন্টানো এটা ব্লগের সুস্পস্ট নীতি লঙ্ঘন। আর বাকি থাকে বিব্রত..ড্যুড প্রায় ১০ বছর ধরে ব্লগ করতেছি..সারাদিন যতবিষয়ে যত বই পড়ছি এবং পড়তেছি ইউ হ্যাভ নো আইডিয়া।

মাঝে মাঝে কিছু কমেন্ট দেখলে মনে এদের কমেন্ট ডিবাঙ্ক করারও যোগ্য না। যাই হোক, হ্যাপী ব্লগিং।

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

বীরেনদ্র বলেছেন: Dear sir, I am sorry for the mistake I made. I have no intention to validate anything. I am interested to know whether the girls in the equator attain puberty earlier or later ? Can you please answer me ?

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ড্যড, ডিডেন্ট আই গিভ ইউ দ্যা এনসার? আই এডভাইস ইউ টু রীড। এস ইউ হ্যাভ মেনশন্ড, ইউ হ্যাভ নেট কানেক শন এন্ড ইউ ক্যান গুগল ইট, রাইট?

বিসাইডস, দিস ইস বেঙ্গলী ব্লগ

৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭

এ আর ১৫ বলেছেন: ও এখন আবিষ্কার কোরলাম আপনি আমার ১৭ তারিখে করা কমেন্টের উত্তর দিয়েছেন যান সেখানে যান দেখেন আমিও উত্তর দিয়েছি । আপনার কাছে আমারে যখন পাগোল মনে হয়েছে তখন আপনাকে আমার মনে হয়েছে গন্ডার , কারন গন্ডারকে একজন কাতুকুতু দিয়েছিল তারপর ১ সাপ্তাহ পরে সে দেখে গন্ডার হাসতেছে কারন গন্ডারে চামড়া মোটা তাই এক সাপ্তাহ সময় নিয়েছে হাসতে , আপনি তো গন্ডারের রেকর্ড ব্রেক কোরলেন ১৭ তারিখের কমেন্টের উত্তর দিয়েছে ১৯ তারিখে ১২ দিন পরে তার মানে গন্ডার থেকে ৫ দিন বেশি সময় নিয়েছেন ।

######## আপনার বেয়ারা পনার উত্তর এই ভাবেই দিলাম , ধন্যবাদ

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ড্যুড, একে তো ক্রাইম করছেন...ইউ শুড বি রিপোর্টেড! অনলাইন এটিক্যাসী না শিখলে গালিই খাবেন।


কোরান পড়ে থাকলে জানার কথা, ধৈর্য্যধারীদের তিনি পছন্দ করেন।

আর ব্লগীং করা আমার পেশা থাকে না। যদি আপনার কুইক রেসপন্স দরকার হয় কোনো বিষয়ে, ফেসবুক আইডি তে কমেন্ট করেন, সব পাবলিক করা। সাথে সাথে উত্তর পাবেন

৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩১

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ভাববার বিষয়।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:২৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হুমম

৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:১৮

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: Click This Link
৩৫ - ৩৯ বছর বয়সে বাচ্চা নেয়া নিষদ্ধ চাই |-)

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিন্তু কেন? আর লিংকে তো কিছু নাই। যতদূর বুঝলাম ঐ পেজে রেজিস্টার হতে হবে। তো রেজিস্টার করে আপনার দেয়া আর্টিক্যালটা পড়তে হবে যদি না ঐ ফোরামের ঐ লেখক/লেখিকা পোস্ট টা সরায় না ফেলান। তখন চিন্তা করলাম পেজটা খুলছে কে বা পেজটারভ্যালিডিটি কি? সেটা বের করতে গিয়ে দেখলাম এই পেজটা যিনি স্পন্সর করেন তার নাম IANA ID: 69। এখন এটা নিয়ে আরেকটু ঘাটাঘাটি করে পেলাম ডেভিড ক্লার্কের নাম। জানি না ঠিক রাস্তায় ছিলাম কিনা। যাই হোউক আরেকটু গুতোগুতি করে পেলাম একটি বিশাষায়িত শাখা নিয়ে কাজ করেন উনি। কথা হলো এরকম লুকাছাপা সাইটের লিংক দেয়ার কারন কি আর ৩৫-৩৯ বছর বয়সে বাচ্চা নেয়া কেন নিষিদ্ধ চান? যাডের বয়স ৩৫-৩৯ তারা কি ১৮ বছরের নীচের নাবালিকাদের মতো অবুঝ?
এটা নিয়ে আলোচনার দাবী রাখে নিশ্চয়ই

১০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৫

বীরেনদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ, তবে যেহেতু আপনি লিখেছেন উত্তর দেওয়া আপনার দায়িত্ব।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৩৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: যেহেতু কুসংস্কারটা বাংলাদেশের কুশিক্ষিত মানুষ তাই আমি শিওর না কোনো বিজ্ঞানী ডাক্তারী মহল এটা নিয়ে ভেবে সামান্য গবেষনা করার চিন্তা করছেন কিনা! আপনি হয়তো জানেন এসব গবেষনা ফ্রি ফ্রি হয় না। আপনি যদি লজিক্যাল কানেকশন মানে থিওরেটিক্যাল দিক থেকে কোনো ভ্যালিড পয়েন্ট উপস্থাপন না করতে পারেন অথবা কোনো ডাটা দিয়ে এর সাথে সংযোগ করাতে না পারেন তাহলে এটা নিয়ে গবেষনাতেও আগ্রহ হবে না কেউ। আপনি আমাকে এই প্রশ্নটা বলেন যে মেয়েরা ছোটখাটো বিকিনি পড়ে বলেই ভূমিকম্প হয় এটার পেছনে থিওরেটিক্যাল হাইপো দিছিলো খোমিনী, তো তাদের টাকা ও গবেষনার সামর্থ্য থাকা সত্বেও কেন তারা এটা নিয়ে গবেষনা করেনি? অথবা জীন থেকে শক্তি আহরন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন?

ফুড ফর থট! যদি কিছু পান তাহলে আমি নিজে এটা খুজে বের করার চেষ্টা করবো আর আমি জানি আমি সত্যি তাই কনফিডেন্টলি বলতেছি আপনি শুয়োরের সাথে মেয়েদের সম্পর্ক দেখিয়ে পেলেও পেতে পারেন কিন্তু সত্যিকারের কোনো মেয়ের সাথে এর সাথে সংযোগ পাবেন না

১১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১৭

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন:

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বয়সকালে অন্তঃসত্বা হলে প্রিএকলামশিয়া ও মিসক্যারেজের রিস্ক বেশী। তবে এই গবেষনার সবই পশ্চিমা বিশ্বের জন্য যারা থাকেন। এখন পশ্চিমা প্রাচ্য এখানে পার্থক্য হলো পুস্টিযুক্ত খাদ্য আর উপযুক্ত চিকিৎসা। এটা শুধু পশ্চিমা বিশ্বার জন্যই প্রযোজ্য না, জাপান, দক্ষিন কোরিয়া অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশেও একই কাহিনী।

যাই হোউক, এখানে আরেকটি ব্যাপার বাদ গেছে সেটা হলো জ্যানেটিকালি অনেকে মিসক্যারেজ করে। বয়স বাড়লে সেই জীন শক্তিশালী হলে মিসক্যারেজের হার বেড়ে যায়। কিন্তু কথা হলো এই বয়সে একজন মহিলা যদি তার লাইফস্টাইল আর পুস্টিগুনের জন্য উপযুক্ত ডায়েট নেয় তাহলে এটা ব্যাপার না। এইজন্য ব্যাপার না যে প্রিএকলামশিয়া পরিপূর্ন ভাবে নিরাময় যোগ্য আর হাই ব্লাডপ্রেশার বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হবার পর সেটা নরমাল হয়ে যায় এবং উপযুক্ত চিকিৎসা হলে সেটা ঠিক ও হয়ে যায় তাই পশ্চিমা স হ উন্নত বিশ্বে এখন নারীরা ৪০ এর পরও সন্তান নিচ্ছে অহরহ।

তাই এই ভয়াব হতা সম্পর্কে হয়রান হওয়া আমার কাছে বাতুলতা মনে হয় এবং এর সাথে বাল্যবিবাহের কনসার্ন গুলিয়ে আরো হস্যকরই মনে হয়। জার্নাল লিংক দিলাম না, তবে যদি চান খুজে খুজে দিতে পারি। কারন গুগল সবাই এখন করতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো কমেন্ট পোস্টের চেয়ে বড় হয়ে যায়। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি একটা পোস্ট দেন আর আমি তাতে লিংক স হ কমেন্ট ডেলিভারী দেই

১২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১৮

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন:

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি ৪০-৪৪ এর টা পুরোপুরি দেননি। ওগুলোর কপিও দিন প্লিজ

১৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২২

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: সেল ব্রাউজারে ওপেন করলে পাবেন। একটা লিংক নিয়ে এতকিছু ভেবে ফেলসেন? আপনার মাথা ঠীক আচে?

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: না ভাই, আমি পাগল, এবার খুশি?

আমি যেকোনো তথ্যের উৎস সম্পর্কে আগ্রহী। আগ্রহী যে বা যারা লিখেছে তাদের যোগ্যতা উদ্দেশ্য এবং তাদের বোল বচ্চনের প্রতিটা লাইনের ভ্যালিডিটি। আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি আমি আমার ব্লগ ২ মিনিটের এন্টারটেইনমেন্ট বা নিজে কত জ্ঞানী সেটা দেখানোর জনয় লিখি না। লিখি এখন সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং এসব ব্লগ ভবিষ্যতে কোনো ছাত্র বা একাডেমিকের প্রজেক্ট বা অন্য কাজে লাগে সেজন্য লিখি.

তাই আপনার কাছে এটা মূখ্য না হলেও আমার কাছে এই ফোরামের প্রতিটা বাক্য এমনকি ফোরামের জনমকুন্ডলীও জানাটা ফরজ।


আশা করি পোস্ট সংশ্লিষ্ট কথা বলবেন!

১৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৭

সোহানী বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন, একটা ভালো লিখা যা সত্যই আমাদের জানা ও বোঝা দরকার। কিন্তু আমাদের অশিক্ষিত বা অর্ধ শিক্ষিত সমাজ সেটা না বুঝে ভয়াবহ কিছু সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় এর মধ্যে বাল্য বিবাহ অণ্যতম। কারন যে মানসিক বা শারীরিক কস্টে ভিতর দিয়ে ওই ছোট্ট মেয়েটি যায় সেটা বোঝার মানসিকতা ও নেই তাদের। কারন যারা আইন তৈরী করে তারা পুরুষ সমাজ আর বাকি যা কিছু মেয়ে সমাজ আছে তাদের মস্তিস্ক বিজি থাকে নিজের সংসার বা স্বার্থের চিন্তায়। নিজেকে ওই ছোট্ট মেয়েটি জায়গায় বসিয়ে যদি একটু চিন্তা করতো তারা তাহলে কখনই এ ধরনের ভয়াবহ আইন তৈরী হতো না।

অনেক ধন্যবাদ লিখাটির জন্য। আর ডাক্তার সমাজ খুব কমই আসে লিখালিখিতে আর যারা আসে তারাও এধরনের বিষয়ে খুব কমই লিখে।

ভালো থাকেন।

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একটা উদাহরন দেই বেগম রোকেয়াকে নারী স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। সে নারী মুক্তি বলতে বোঝাইছে যে নারী শিক্ষা আর নারী অধিকার আর নারীদের কাজ কর্ম করার সুযোগ নিয়ে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত যত নারী ছিলো তাদের ৯৯% উচ্চ শিক্ষা তো পরে, তারা ভাবতো কখন বয়ঃসন্ধি হবে কখন সে বিয়ে করে পোয়াতী হয়ে তার স্বামীকে একটা ঘর ভর্তি ছেলে সন্তান দিতে পারবে। ছেলে সন্তান পাবার আকাঙ্খা এখনো অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চল তো অবশ্যই, অনেক শিক্ষিত ঘরেও পাবেন। দেখা যায় একটা ছেলে সন্তানের জন্য ৮-৯ টা মেয়ে সন্তান নিয়ে নিয়েছে। আর প্রত্যেকবার মেয়ে সন্তান জন্ম দেবার পর প্রথম আঘাতটা করতো শ্বাশুড়ি। শ্বাশুড়ি কিন্তু নিজেও মেয়ে কিন্তু যেহেতু সে পরিবারকে ছেলে সন্তান উপ হার দিয়েছে সেহেতু তার ফর্ম থাকে সবার ওপ্রে। সেই পুত্রবধূকে হয়তো প্রথম লাথী বা গালিটা শোনাতো সেই শ্বাশুড়িও।

আবার অনেক পরিবারে দেখা যেতো যেহেতু মেয়ে হচ্ছে না সেহেতু তার স্বামীকে আরেকটা বিয়ে করার জন্য তাগিদও দিতো। এসব মেয়েরা কোনো দিন লেখা পড়ার জন্য আকুতি করেনি, কখনো লেখা পড়ার জন্য নিজের বিয়ে তে মানা পর্যন্ত করেনি। আসলে তখন সমাজটা এমন ভাবে মেয়েদের বড় করে ছিলো যে মেয়েরা মনেই করতো তাদের জন্মই শুধু বিয়ে করে ছেলে জন্মদানের জন্য। বেগম রোকেয়া এসে চোখ খুলায়...তখন মেয়েরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়। তারপরও এখনো অনেক গ্রামের মহিলা এমনকি শহুরে মা এ রাও এসব শুনে হুজুরদের চমকে উঠবে।

কিছু কিছু ব্যাপার মানুষকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে হয়। এখন একটা খারাপ সময় চলছে। মানুষের অস হায়ত্ব এবং অজ্ঞানতার সুযোগ নিয়ে কিছু চাড়াল, পেডোফাইল, ধর্ম ব্যাবসায়ী, কুশিক্ষিত মতলব বাজ লোক এসবের সুযোগ নেয় এবং তাদের উচ্ছ্বাস, দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রকাশ্যেই করে যাচ্ছে।

আপনি আমি একা কখনো এসব কুলাঙ্গারের কুচক্র ভাংতে পারবো না কিন্তু এই যে অন্ধকারে ডুবে থাকা অস হায় মানুষদের চোখ খুলে দিতে পারি তখন এসব অন্ধকার এমনিতেই দূর হবে।

এসব কূলাঙ্গার নানা কথায় নানা ছলনায় প্রসঙ্গ ঘুরায় এমনকি কখনো ব্যাক্তিগত আক্রমনও করে বসবে। কিন্তু আমাদের চুপ থাকলে চলবে না। আমি দেখলাম আপনি জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি আর নারী জীবন নিয়ে কিছু লেখা লিখেছেন। যদিও পড়া হয় নি কি লিখেছেন, তবে এসব নিয়ে আমাদের বেশী বেশী লেখা উচিত। বিশেষ করে নিজের চিন্তা ভাবনা এবং আপনার পথ চলার মাঝে কি কি অন্তরায় খুজে পেয়েছেন সেগুলো বেশী বেশী শেয়ার করলে আপনার মতো আরো অনেকেই উদ্বুদ্ধ হবে। আমি এমনো অনেককে জানি যারাা অনেক নির্যাতিতা ঘরে বাইরে, কিন্তু তাদের ব্লগে ঢুকলে শুধু প্রেমের কবিতা। দেখা গেলো তার স্বামী কোনো দিন কোনো কাপড় চোপড় গিফট করেনি, নিজে একটা কাপড় কিনে এনে সেটা দেয়ালে ঝুলিয়ে পোস্ট করেছে যে তার পতিদেবতা তাকে একটা সুন্দর জামা গিফট করেছে।

কতটা অস হায় হলে মানুষ এমন করে! আবার এদের পান থেকে চুন খসলে পুরো অনলাইন অফলাইন এস্পার ওসপার, এমনকি এসব নিয়ে কথা বললে বায়তুল মোকাররমের ধর্ম ব্যাবসায়ীদের মিছিল।

আর কি বলবো বলেন? আপনার ধন্যবাদ তখনই নিতে পারবো যখন আমরা এই দুস্ট শেকল ভাংতে পারবো!

ভালো থাকবেন

১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষের ফিজিওলোজী আজকের মানুষ সঠিকভাবে বুঝতেছেন; অতীতের মানুষ ফিজিওলোজী বুঝতো না, এর ফলে, মায়ের জাতি ভয়ংকর কস্টের জীবন যাপন করে গেছেন; উহার অবসান হওয়ার দরকার।

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:২৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমরা শুধু মুখে বলি মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশত বা নারীদের কত সম্মান দেই অথচ কখনো কি জিজ্ঞেস করেছি যে এই যে সারা জীবন শারীরিক মানসিক কষ্টে ঘর আর রান্না ঘরের মধ্যে জীবনটা কাটিয়ে দিলো কেন দিলো, কোনো কস্ট লাগে না? অদ্ভূত লাগে

১৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:১১

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: ভাইজান,
সেলে টাইপ করতেসি, এত্ত লিখা পসিবল না।
ইচ্ছা করে রেস্ট্রিকটেড সাইট লিংক দেয়া হয়নাই। আমার সেলে দেখি সুন্দর ওপেন হইতেসে। সেলে লিংক খুলে দেখেন। পড়লে জানবেন ৪০ এর পর বিপদ কমে যায়।

এডুকেটেড পাব্লিক এই পোস্ট পড়বে। তারা বাল্যবিবাহ এম্নেই করে না। ড্যুড, মানুষ পত্তে শিখতেসে, বুঝতেসে। শিক্ষিত পরিবারে বাল্যবিয়া চলে না। অশিক্ষিতরা আপনার এই লিখা পড়তেসে না। পড়লে ভাল হইত। চাইল্ড সেক্স ট্রাফিকিং উন্নত বহু দেশেও হয়। চাইল্ড সেক্সের ইচ্ছা সাইকোলজিক্যাল সমস্যা। সোডোমি, ইন্সেসেস্ট যেমন মনের রোগ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ড্যুড, আমি আপনের মতো বেশী দামী সেল ইউজ করি না মনে হয়, আইপুন চিকস-এস....আমারটায় এই নীচের পটুক দেখায়।




আপনার কথা শতভাগ সত্য। এডুকেটেড পাবলিক ব্লগে আসে, তাই পোস্ট টা আমি ফেসবুকেও শেয়ার করছি তবে তাও লিমিটেড ভাবে। বর্তমানে সবাই কম বেশী সবাই ইউজ করে। তবে আমার টার্গেট যুবক বা কিশোর কিশোরীদের জন্য না লেখা। আমার টা্গেট মা বাবাদের জন্য । একজন শিক্ষিত বাবা মা যখন বুঝবেন তখন সে নিজের সন্তানের সাথে সাথে আশে পাশে যারা আছেন তাদের সাথেও কথা গুলো শেয়ার করবেন।

এখন আপনি যাদের জন্য লিখতে বলছেন তাদেরকে কিভাবে সচেতন করা যায় সে বিষয়ে কিছু বলেন। আমি প্রবাসে থেকে চেষ্টা করবো।

চাইল্ড সেক্সের ইচ্ছা অবশ্যই সাইকোলজিক্যল এবং এজন্যই একে পেডোফাইল বলা হয় এবং বিদেশে এদেরকে ঘৃনার চোখে দেখা হয়। তবে বিদেশে এসব চাইল্ড সেক্সের জন্য বেশীর ভাগ আমাদের মতো তৃতীয় শ্রেনীর দেশে আসতে হয়। কারন ঐসব দেশে আইন এতো কড়া, চাইল্ড সেক্স তো পরে করবে, যদি চাইল্ড পর্ন কারো হার্ড ড্রাইভে থাকে তাহলে তার ক্যারিয়ার টিফিন ক্যারিয়ারে ভরে জেলে তো ঢুকাবেই সাথে সাথে জেনারেল পপুলেশনে এটাও জানিয়ে দেবে এই লোকটি পেডোফাইল। তাই এসব দেশে পেডোফাইলরা সবচেয়ে বেশী ভয় পায় জেল জরিমানা বা নিজের ক্যারিয়ার ডুবে যাওয়া নয়, জেলের ভেতর জেনারেল পপের ক্ষুধার্ত ভয়ংকর আসামীদের সমকামীতা। আর জেলে এসব পেডোফাইলকে শায়েস্তা করাটা এরা নিজের কর্তব্যই মনে করে।

সমস্যা হলো আমাদের দেশে এসব ঘৃনিত পেডোফিলিজম চর্চাকে সামাজিক, ধর্মীয় এবং রাস্ট্রিয় ভাবে আইন করে সিদ্ধ করে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। আর তাই দেখেন থাইল্যান্ড এখন যৌনতার রাজধানী আর মুসলমানের তীর্থস্থান সৌদী আরবে সে যৌনতার উৎসব এবং বর্বরতা চলছে তার তুলনা কেবল আফ্রিকার মানবখেকো জুলুদের সাথেই হয়।

১৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৫

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ উদাসী।

আমি অনেক দিন থেকেই জেন্ডার ইস্যু নিয়ে লিখি।

পরিবারের ছোট্ট মেয়েটি থেকে অফিসে বসা উচ্চ পদস্থ মহিলা কর্মকর্তা সবারই বলতে গেলে মারাত্বক জূবন যুদ্ধের ভিতর দিয়ে যেতে হয়। আর গ্রাম বা অশিক্ষিত সমাজেতো আরো করুন অবস্থা। শহরের শিক্ষিত মেয়েটি তবুও এনজিওতে চাকরী নিয়ে বেড়িয়ে আসতে পারে কিন্তু গ্রামের ওসব মেয়েদের নীরবে সহ্য করা ছাড়া কোন গতি নেই।

আর সৌমিক আহমেদ খান কে বলছি লিখাটা গ্রামের লোকজনের জন্য না, লিখাটার উদ্দেশ্য আইন প্রনয়নকারীদের জন্য। যারা চোখ থাকতে ও অন্ধ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এখন আপনিই বলেন, আপনি তো কানাডায় থাকেন, বাংলাদেশে বর্বরতম সামাজিক বিপর্যয় আর নৈতিক অবক্ষয় চলছে বিশেষ করে মেয়েদের অধিকার আর জীবন যাপন আর শিশুদের মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তার ব্যাপারে, সেই তুলনায় কানাডার অবস্থা কি? আপনার কাছে কেন কানাডা বা পশিচ্মা বিশ্বগুলো আমাদের মতো মুসলমান দেশের তুলনায় নিরাপদতম এবং স্বর্গীয় স্থানের কাছাকাছি মনে হয় এবং আদৌ কতটুকু মনে হয়?

একজন শিক্ষিত নারী হয়ে তার ওপরে কিছু বলুন....সবচেয়ে ভালো হয় একটা পোস্ট দিন..তুলনামূলক পোস্ট। আমি আলোচনা করতে আগ্রহী এবং এসব বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা হওয়া উচিত

১৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

বিজন রয় বলেছেন: আছেন তাহলে!!

এত সুন্দর পোস্ট অথচ এদেশে কেউ এভাবে ভাববে না।

নিয়মিত হন।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সময় নাই, সময় সবাই চুরি কইরা নিয়া গেছে

হ্যাপী টু সী সাম নৌন ফেস!

ফেসবুকে এড আছেন?

১৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৯

সোহানী বলেছেন: আমি অনেক লিখেছি এ বিষয়ে...অসংখ্য লিখা আছে আমার। যাহোক এ মূহুর্তে মারাত্বক বিজি, কিছু এলােমেলো পোস্ট দিয়ে নিজেকে সচল রাখি। কারন জেন্ডার বিষয়ে পোস্ট দিতে হলে আমার অনেক সময় লাগে।

আপনার লিখার হাত অসাধারন, চালিয়ে যান..... সাথে আছি সবসময়। সময় পেলে আসবো আবার।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তাহলে আপনার ব্লগে ঢুকে সময় নিয়ে পড়বো।

আমার হাতের লেখা কেমন আমি জানি, বানান ভুল, বাক্যের ভুল গঠন..জটিলতম ভাবার্থ এবং অস্পষ্ট অন্তর্নিহিত অর্থ এসবে ভরপুর। যাই হোক, আপনার পোস্টগুলো নিয়ে একদিন বসবো

২০| ১০ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

বিজন রয় বলেছেন: ফিরে আসুন, নতুন পোস্ট দিন।

২১| ২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

তাতিয়ানা পোর্ট বলেছেন: How are you?

২২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে ফিরে আসুন, নতুন পোস্ট দিন।

২৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে ফিরে আসুন, নতুন পোস্ট দিন।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনে কই? ব্লগে দেখি না যে?

২৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৩

মায়াবী ঘাতক বলেছেন: আপনার আগমনের অপেক্ষায় রইলাম।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এখন আপনে কই হারাইলেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.