![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]
: ড্যাড, কি কিউট টেডি! প্লিজ।
: ড্যুড, এইটা পিংকিশ। সো লেডিস! ঐ দেখো কি সুন্দর জেড আই সোর্ড! তাও ব্লাক! আমি ডার্ক ভেডার!
: ড্যুড, আই এম লেডিস। আমার টেডি লাগবে।
শাহেদ মুখ ঘুরিয়ে আছে।৬ বছরের পিচ্চি সিন্থিয়া বাবার হাত ধরে গাল ফুলিয়ে বললো,"ওকে, আমাকে দুটোই দাও!" এই বলেই সিন্থিয়া নিজের দু গাল হাত দিয়ে ঢেকে বলতে থাকলো,"নো ড্যুড, নো কুচি কু!" কিন্তু শাহেদ শুনলো না। সিন্থিয়ার ছোট হাত দুটো গলিয়ে ঠিকই গালে চিমটি কেটে পুরো মুখ লাল করে দিয়ে পুরো একটা মিনিট কুচি কু করতে থাকলো। আর সিন্থিয়া লজ্জায় লাল টুকটুক,"ড্যাড, ইটস সো এমব্যারেসিং!"
সিন্থিয়ার হাতে টেডি ধরিয়ে শাহেদ নিজেই প্লাস্টিকের জেড আই তলোয়াড় নিয়ে বাতাসে উঠিয়ে বললো,"মে দ্যা ফোর্স বি উইথ ইউ"। সিন্থিয়ার মাথায় কাজ করতেছে না। বাবার সাথে ঘোরার মজা আছে। তার যেটা পছন্দ সে তার উল্টোটা বলবে। বাবা দুটোই কিনবে কিন্তু তার পরে একটা সারপ্রাইজ। সবসময় সারপ্রাইজ অবশ্য তার পছন্দমতো হয় না। যেমন এখন তারা রোলার কোস্টারের লাইনে দাড়িয়ে আছে কিন্তু ওর রোলারকোস্টার মোটেই পছন্দ না। মাথার নীচে যখন হুট করে মাটি এসে পড়বে আর তার মুহুর্তেই আকাশে আছড়ে পড়াটা যে কি ভয়ংকর, সেটা সিন্থিয়া ছাড়া কেউ বুঝবে না। আর ড্যাডের সাথে পর পর দু বার চড়তে হবে। ড্যাডের ভাষায়,"পুরো মজা লুটেপুটে খাও!" এখানে খাবার কি আছে? মনে হচ্ছে ওর শরীরের ভেতরের সবকিছু বাইরে এসে পড়বে এক্ষনই। কি ভয়ংকর। লাইন যত ছোট হয় তত ওর বুকের ধুকফুকানি বাড়ে, এমন না যে লাইনে আর কোনো শিশু নেই। বরংচ পুরো লাইনে ওর বাবাই সবচেয়ে বয়স্ক ড্যুড। আর সবাই হয় তার মা বা বোন ছোট ভাইদের সাথে দাড়িয়ে আছে। একটা পিচকি শিশুর মুখে নিপল নিয়ে চুক চুক করে ঘুরছে। গায়ের পোষাকটাও পিংকিস। একটা পিচ্চি ড্যুড কিভাবে পিংকিস পরে ওর মাথাতেই ঢুকে না। নিশ্চয়ই ওর মা এর পছন্দ।
ওহ মা! গত বছরও মা ছিলো ওদের পাশে। মাকে জড়িয়ে ধরলে ভুড় ভুড় করে ল্যাভেন্ডারের সুগন্ধি। মা দাড়াতে পারছিলো না, তবু তার রোলারকোস্টারে ওঠা চাই। সেদিন ও শেষবারের মতো পিংকিশ প্রিন্সেস ফ্রক পড়েছিলো। তার ৬ মাস পরে ওর মা মারা যায়। ডাক্তার ড্যুড বলেছিলো মা এর বুকে একটা কিউট ফুটো হয়েছিলো। সেই কিউট ফুটোর জন্য মা ঘুমিয়ে পড়ে। তারপর থেকেই বাবা অন্যরকম হয়ে যায়। সব চুল সাদা হয়ে যায়। রাতের বেলা চিৎকার করে কাদতে থাকে। সিন্থিয়া জানে তাকে শক্ত হতে হবে। ও আর পিংকিশ পছন্দ করে না। টেডিটা ও নিজের জন্য কেনেনি। বাবাকে দেবে। রাতে বাবা সেটা জড়িয়ে ধরে ঘুমাবে আর ও ফেইরীটেলস বলবে। যদিও ও কোনো ফেইরী টেলস শেষ করতে পারে না। মাঝপথে বাবা হাইজ্যাক করে নিয়ে যায় গল্পটা আর ও তার আগেই ঘুমিয়ে যায়।
সিন্থিয়া অপেক্ষা করছে একদিন ও বড় হবে, বাবাকে পুরো ফেইরীটেলস শোনাবে। বাবা ড্যুডকে আর কাঁদতে দেবে না। বাবা এখন যেমন হাসছে তেমনি ও বড় হয়ে তাকে এমন হাসাবে। সিন্থিয়া হাতের মুঠো বন্ধ করে, চোখ দুটো বুজে শক্ত চোয়ালে বিড়বিড় করতে থাকে,"ইয়েস আই ক্যান..আমি পারি। আমিও পারি!" লাইনটা ক্রমশ শেষ হতে থাকে। আর দুজন পরেই সিন্থিয়া আর শাহেদের পালা রোলারকোস্টারে ওঠার!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনারে ধনে পাতা বরকত ভাই। দোয়া করি আপনে যেনো বরকতের সাগরে ভেসে যান।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মেয়ে খালি গল্প শুনতে চায়।
আজ রাতে তায়ে এই গল্পটা শুনাবো।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:০২
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনর শিশুটি যেন সুস্থ হয়ে বড় হোক, এবং জীবনে একজন মহান মানুষ হতে পারে সেই দোয়া সবসময়
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাবাকে সিন্থিয়ার গল্প শোনানোর অংশটা চমৎকার লাগলো। পুরো গল্পটাই ভালো। কিন্তু এটা শিশুতোষ গল্প হলো কীভাবে? অবশ্য, আপনি যা বলবেন সেটাই হবে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৪১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শিশুতোষ এজন্য যে এটা সিন্থিয়ার পারস্পেক্টিভে লেখা। যদিও শিশুতোষ মনের অনেক কিছু ফুটিয়ে তোলা আমার পক্ষে সম০ভব হয়নি।
ধনে পাতা মন্তব্যের জন্য
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:২২
এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন: You are back
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:১১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি আবার কবে গেছিলাম?
৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৯
এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন: লাস্ট পোস্ট, মার্চ ২০১৭
২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৫৩
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ওহ! বোলগে নাস্তিকগো কথা দিছিলাম নিজের ধর্ম বিশ্বাস সম্পর্কে একটা গভীর পড়ালেখা করবো। যদিও ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে আমার তেমন কোনো সন্দেহ নেই কিন্তু নিজের ধর্ম নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিলো। তাই কোরান শরীফের পূর্বেকার বিশুদ্ধ তফসীরের অনুবাদ, বিভিন্ন তাবে তাবেঈদের লেখা সীরাত এবং সমগ্র হাদিস শরীফের যত খন্ড আছে সব গুলো কিনে সেগুলো নিয়ে পড়ালেখা করলাম। পড়ালেখা করার পর মনে হলো আমরা একটা প্রতারনার শিকার। নিজের বিশ্বাস আমার কাছে খুব মূল্যবান একটা ব্যাপার এবং একটা ভ্রান্ত ধারনা নিয়ে জীবন ধারন করবো এ হতে পারে না। পড়া শেষ করার পর মাথা টাথা পুরা জ্যাম হয়ে ছিলো। সেই ফাকে বেশ কিছু দেশ ঘুরলাম, প্রচুর ছবি তুললাম, নানা মানুষের সাথে পরিচিত হলাম কাজ করলাম। পরিচিত কিছু মানুষের মুখোশের আড়ালের ভয়ঙ্কর ও ছলনাময় রূপ আমাকে আভিভূত করলো। কিছুদিন রাইটার্স ব্লকেও ছিলাম।
তবে কোথাও ছেড়ে যাই নি। ইন্সটাতে ফটো দিতে দিতে ফটোগ্রাফী আর ঘোরাঘুরির রোগে ধরলো। ফেসবুকেকিছউ দিন আগে আবার শুরু করলাম। তবে এতদিনের অভ্যাস ছাড়তে একটু বেগ পেতে হচ্ছে।
এজন্যই একটু দূরে ছিলাম।
ভালো কথা, আপনাকে চিনলাম না। আপনার ব্লগে গিয়ে দেখলাম কোনো পোস্ট নাই, তার ওপর আবার লিখছেন পুরানা আইডি ব্যান। বোঝাই যাচ্ছে পরিচিত কেউ।
তবে ব্লগে নিয়মিত হতে সময় লাগবে। মোবাইল নিয়ে একটু ক্যাচালে আছি। টু ফ্যাক্টর অথেনটিফিকেশনের চক্করে আছি। বাইপাস কেমনে করন যায় সেই রাস্তা খুজতেছি
৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৫
বিজন রয় বলেছেন: এক বছর একমাস পরে ব্লগে পোস্ট দিলেন!!
ভাল, খুব ভাল।
তো কেমন আছেন?
কথা বলুন..............
১৪ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আরে! আপনি এখনো ব্লগে! দারুন তো! লেখাটা পোস্ট করার কিছু দিন পর আপনাকে কি কারনে যেনো মনে মনে খুজতেছিলাম। এখন ভুলে গেছি। কেমন আছেন?
৭| ১৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪০
বিজন রয় বলেছেন: আমি এখনো আছি। থাকবো।
সামনের দিনগুলোতে ব্লগে অনেক সময় দিব।
আপনাকে খুব মনে পড়ে!!!
০৮ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৫:০৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ফেসবুকে এ্যাড হোন। যদিও জানি না ফ্রেন্ড লিস্টে আছেন কিনা।
৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনর শিশুটি যেন সুস্থ হয়ে বড় হোক, এবং জীবনে একজন মহান মানুষ হতে পারে সেই দোয়া সবসময়
শুকরিয়া।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন
৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন
ধন্যবাদ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৮
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: স্বাগতম
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২২
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: সুন্দর ছোটগল্প।
ধন্যবাদ।