নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামিক নারী স্বাধীনতা: বিবাহ -২

০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৩

এ সম্পর্কিত আগের পোস্ট ইসলামিক নারী স্বাধীনতা: পর্দা প্রথা এবং শারীরিক প্রভাব - ১


মুসলমানদের দাবী অনুযায়ী ইসলামে নারীদেরকে যথেষ্ট স্বাধীনতা দিয়েছে। ইসলামে নারীকে যতটা সম্মান ও মর্যাদার আসনে বসিয়েছে তা অন্য কোনো ধর্মে দেয়া হয় নি। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এর বিপরীতও দাবী করা হয়। এপোলজিস্টদের ইসলামে নারীদেরকে দাসী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং মিস্টি মিস্টি কথা বলে তাদেরকে এমনভাবে রাখা হয় যেনো তাদের জন্মই হয়েছে স্বামীর বিছানা গরম করার জন্য, গেরস্থালী কাজ কর্ম করা এবং বছর বছর স্বামীর ইচ্ছা মাফিক বাচ্চা প্রসব করে। যদিও তারা এও বলেন যে একশ্বরবাদ ধর্মগুলো থেকে কিছু কিছু নিয়ে তাতে নতুন সংস্করন করেই ইসলামে রূপ দেয়া হয়েছে কিন্তু আধুনিক উদার সমাজব্যাবস্থায় এই রূপও অতিজঘন্য, অপমানজনক। আমার এই সিরিজ পোস্টে সেসব দিক নিয়েই আলোচনা করা হবে।

আমি এই পোস্টে প্রথমে দেখাতে চেস্টা করবো আসলেই ইসলামে কি বলা আছে। ওপরের লিংকে দেয়া আগের পোস্টে ইসলামী পর্দার ব্যাপারে বিষদ আলোচনা করার চেস্টা করেছি যদিও তা বেশ অপ্রতুল। সময় পেলে হয়তো এ বিষয়ে আরো আলোকপাত করার চেস্টা করবো। ইসলামী বিবাহ নিয়ে এ পোস্টে আলোচনা করা হবে যথাযথ ইসলামী রেফারেন্সসহ। তার সাথে আমি দেখাবো আধুনিক সমাজ ব্যাবস্থায় কি কি নিয়ম প্রচলিত আছে তার সমান্তরালে যাতে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই একটা তুলনামূলক ধারনা পেতে পারেন। সেই সাথে আপোলজিস্টদের অভিযোগ এবং তার বিপরীতে ইসলামী স্কলাররা কি সমাধান দিয়েছেন সে বিষয়গুলো যুক্ত করার চেস্টা করবো যথাযথ রেফারেন্স সহ। আমি আমার নিজের মতামত দানে পোস্টে বিরত থাকবো কারন এখানে আমি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে ইচ্ছুক।

কমেন্টে আলোচনা সাদরে গ্রহন করা হবে। যদি কোনো ভুল বক্তব্য প্রদান করে থাকি তাহলে সুনির্দিস্ট ভাবে তা তুলে ধরা অনুরোধ করা হলো। যদি রেফারেন্স দিয়ে দেন তাহলে আমার জন্য সুবিধা হয়। ভুল আমিও করতে পারি এবং শোধরাতেও ইচ্ছুক। অযাচিত ব্যাক্তিগত আক্রামন কাম্য নয়।


ইসলামিক বিবাহ:

সূরা আন নূর ৩২ নং আয়াতে ইরশাদ ,"তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।" ইসলামে সন্ন্যাস বা চিরকুমার কখনোই সমর্থন করে না। একবার উসমান ইবনে মাজউন (রাঃ) এর স্ত্রীর মলিন বেশভূষা দেখে নবী সাঃ জিজ্ঞেস করলেন,"তোমার এ অবস্থা কেন? তোমার স্বামী তো কুরাইশদের মধ্যে একজন ধনী ব্যাক্তি।’ জবাবে তিনি বললেনঃ তাঁর সাথে আমার কি সম্পর্ক। তিনি সারা রাত নামায পড়েন, দিনে রোযা রাখেন। ‘উম্মুল মুমিনীনগণ বিষয়টি আসূলুল্লাহর (সা) গোচরে আনেন। রাসূল (সা) তখনই উসমান ইবন মাজউনের বাড়ীর দিকে ছুটে যান এবং তাকে ডেকে বলেনঃ ‘উসমান, আমার নিজের জীবন কি তোমার জন্য আদর্শ নয়?’ উসমান বললেন, আমার মা-বাবা আপনার প্রতি কুরবান হোক’। রাসূল্ম (সা) বললেন ‘তুমি সারা রাত ইবাদাত কর, অধিকাংশ দিন রোযা রাখ।’ বললেন হাঁ, এমনটি করে থাকি। ইরশাদ হলো, এরূপ করবেন না। তোমার ওপর তোমার চোখের, তোমার দেহের এবং তোমার পরিবার পরিজনের হক বা অধিকার আছে। নামায পড়, আরাম কর, রোযা ও রাখ এবং ইফতার কর।’ এই হিদায়াতের পর তাঁর স্ত্রী একদিন নবী গৃহে আসলেন। তখন কিন্তু তাঁকে নব বধুর সাজে সজ্জিত দেখাচ্ছিল। তাঁর শরীর থেকে সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ছিল।

হযরত খাদীজার (রা) ইন্তিকালের পর হযরত উসমান ইবন মাজউনের স্ত্রী হযরত খাওলা বিনতু হাকীম, হযরত আয়িশা ও হযরত সাওদার সাথে বিয়ের প্রস্তাবটি রাসূলুল্লাহর (সা) নিকট পেশ করেছিলেন। তাঁরই মধ্যস্থতায় মূলতঃ রাসূলুল্লাহর (সা) এ দু’টি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল। (হায়াতুস সাহাবা-২/৬৫৩)

মুসলমানদের মধ্যে বিয়ে কয়েকপ্রকারের থাকলেও ( মুতাহ বিয়ে যা মূলত শিয়াদের মধ্যে প্রচলিত, নিকাহ মাসিঈর যেটা কিনা সৌদীর আরবে সালাফী ও কিছু সংখ্যক সুন্নীদের মধ্যে প্রচলিত, নিকাহ উরফী যা কিনা মিশরের তরুন সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়) আমরা প্রচলিত নিকাহ নিয়ে আলোচনা করবো। ইসলামে অল্প বয়সে বিবাহ অর্থাৎ বাল্যবিবাহকে উৎসাহিত করে। বাল্যবিবাহ সম্পর্কে আরো জানতে এই নীল লেখার ওপর ক্লিক করুন যেখানে আপনি জানতে পারবেন বাল্যবিবাহ কি জন্য নারীর জীবনে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভাবে মৃত্যু ডেকে আনে এবং এটা কিভাবে একটা জাতীর জন্য অভিশাপ।
ইসলামে বিবাহকে মিতকাহ মানে পবিত্র চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করে।
সূরা আন নিসার ২৪ নম্বর আয়াতে বলা আছে,"এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ।"

উপরোক্ত আয়াতের তফসীর অনুযায়ী বিবাহের জন্য যেসব শর্ত প্রযোজ্য সেটা হলো:

১) উভয় পক্ষের সম্মতি থাকতে হবে। তবে কুমারী বা অধিক বয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে তার অভিভাবকের পারমিশন থাকতে হবে। যদি মেয়ে কুমারী না হয় তাহলে পারমিশন বাধ্যতামূলক নয়। অথবা এতিম হলে তা আর বাধ্যতামূলক থাকে না উভয় ক্ষেত্রেই।
২) দেন মোহর সম্বন্ধে সুরা আন নিসার ৪ নম্বর আয়াতে বলা আছে,"আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর।" এখানে যৌতুকের কোনো স্থান নেই। তবে কন্য যদি নিজের পছন্দ মতো গিফট শ্বশুড় বাড়িতে নিয়ে আসে তবে তার মালিকানা তারই থাকবে।
৩) বিয়ে করার ব্যাপারে ইসলামে কিছু বিধিনিষেধ আছে। কাফের মুশরিক বা পতিতালয়ের কঊকে বিয়ে করা যাবে না। ব্যাভিচারীনিদেরকে তো পুরাই হারাম করা হয়েছে। সূরা আন-নূর এর ৩ নম্বর আয়াতে বলা আছে,"ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে এবং এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা হয়েছে।"
৪) [দুজন পুরুষ, যদি দুজন পুরুষ না পাওয়া যায় তাহলে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা সাক্ষী জরূরি। তবে কোরানে এই বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো মত দেয়নি, এক্ষেত্রে সুরা বাকারার ২৮২ নম্বর আয়াতকে অনুসরন করা হয় যেখানে একটা অংশে বলা আছে ,"....দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। ঐ সাক্ষীদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর যাতে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। যখন ডাকা হয়, তখন সাক্ষীদের অস্বীকার করা উচিত নয়। তোমরা এটা লিখতে অলসতা করোনা, তা ছোট হোক কিংবা বড়, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। এ লিপিবদ্ধ করণ আল্লাহর কাছে সুবিচারকে অধিক কায়েম রাখে, সাক্ষ্যকে অধিক সুসংহত রাখে এবং তোমাদের সন্দেহে পতিত না হওয়ার পক্ষে অধিক উপযুক্ত। কিন্তু যদি কারবার নগদ হয়, পরস্পর হাতে হাতে আদান-প্রদান কর, তবে তা না লিখলে তোমাদের প্রতি কোন অভিযোগ নেই। তোমরা ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সাক্ষী রাখ। কোন লেখক ও সাক্ষীকে ক্ষতিগ্রস্ত করো না। "

এছাড়া ওয়ালিমা বা বিয়ের রাতে সবাই মিলে অনুষ্ঠান করে খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারটা ইসলামে বেশ ভালোভাবেই উৎসাহিত করা হয়েছে।এ তো গেলো বিবাহ। এখন আসি বহু বিবাহের বিষয়ে।

বহুবিবাহ:


ইসলামে পুরুষদের একসাথে ৪ টি বৌ রাখার অনুমতি দিলেও নারীকে কেবল মাত্র একটি স্বামী একই সময়ে রাখার অনুমতি দেয়। বহুবিবাহ মুস্তাহাব তার জন্য যার সামর্থ্য আছে, তবে অত্যাবশ্যকীয় নয়। ইবনে ক্বুবামাহ রঃ বলেন যে বিয়ের জন্য তিনভাগে মানুষজনকে বিভক্ত করা যায়। প্রথম ভাগে পড়েন তারা যারা নিজের শারীরিক চাহিদের বশে কোনো হারাম কাজ না করে ফেলেন। এক্ষেত্রে বিয়েটা ফরজ হয়ে যায়। দ্বিতীয় ভাগে যারা পড়েন তাদের জন্য মুস্তাহাব যাদের নিজেদের শারীরিক চাহিদা থাকা সত্বেও তা নিয়ন্ত্রনে রাখতে সামর্থ্য হন এবং হারাম কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। এক্ষেত্রে নবী সাঃ তাদেরকে বিয়ের জন্য উৎসাহিত করতেন এবং তাতে অনেক ফায়দাও ছিলো। তৃতীয় অংশ যাদের শারীরিক চাহিদা নেই বা এভাবেই জন্ম হয়েছেন এবং যারা বৃদ্ধবয়সে উপনীত বা রোগাক্রান্ত।
বহুবিবাহের ক্ষেত্রে অনেকে বলেন কোরানের এসব নিয়ম নীতি শুধু আরব বা সেসময়কার জন্য। এটা আসলে ভুল কথা। কোরানের এসব নিয়মসম্বলিত আয়াত সমূহ সকল মানবজাতীর জন্য এবং সকল সময়ের জন্য প্রযোজ্য।
কোরানের ৬৮:৫২ আয়াতে বলা আছে যে "অথচ এই কোরআন তো বিশ্বজগতের জন্যে উপদেশ বৈ অন্য কিছু নয়।"
এছাড়া কোরানে ওয়া আইয়ুহাল নাস (হে মানবজাতী) শব্দটি ৩০৬ বার উল্লেখ করা হয়েছে।
সুরা আল মায়েদাহ এর ৪৮ নম্বর আয়াতে আছে যে "আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যগ্রন্থ, যা পূর্ববতী গ্রন্থ সমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী। অতএব, আপনি তাদের পারস্পারিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করুন এবং আপনার কাছে যে সৎপথ এসেছে, তা ছেড়ে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। আমি তোমাদের প্রত্যেককে একটি আইন ও পথ দিয়েছি। যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, কিন্তু এরূপ করেননি-যাতে তোমাদেরকে যে ধর্ম দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নেন। অতএব, দৌড়ে কল্যাণকর বিষয়াদি অর্জন কর। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অতঃপর তিনি অবহিত করবেন সে বিষয়, যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে।" তো এই আয়াত দ্বারাই প্রমান হয়ে যায় কোরান কোনো নির্দিস্ট গোত্র বা নির্দিস্ট সময়ের জন্য অবতীর্ন হয়নি।

সূরা আন নিসার ৩ নম্বর আয়াতে বর্নিত,"আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।"

উক্ত আয়াতে "ন্যায় সঙ্গত আচরন" বলতে তদের খরচ, জামা কাপড়ের ব্যাবস্থা, সবার সাথে সম পরিমান রাত্রীযাপন এবং অন্যান্য বস্তুগত বিষয় যেটা তার নিজস্ব নিয়ন্ত্রানাধীন সেগুলোর সাম্যবস্থায় বন্টন। কারন একই সূরার ১২৯ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন যে,"তোমরা কখনও নারীদেরকে সমান রাখতে পারবে না, যদিও এর আকাঙ্ক্ষী হও। অতএব, সম্পূর্ণ ঝুঁকেও পড়ো না যে, একজনকে ফেলে রাখ দোদুল্যমান অবস্থায়। যদি সংশোধন কর এবং খোদাভীরু হও, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।"

ইসলামে পুরুষের ৪ বিবাহ সম্পর্কে যেসব জাস্টিফিকেশন আছে সেগুলো হলো মুসলিম উম্মাহর সংখ্যাবৃদ্ধি (এখানে এক স্ত্রীর মাধ্যমে সন্তান নেয়ার চাইতে ৪ স্ত্রীর মাধ্যমে সন্তান নিলে বেশী সংখ্যক সন্তান জন্মদান করা যাবে), পরিসংখ্যান গত দিক থেকে নারীদের সংখ্যা পুরুষদের থেকে বেশী (এর ফলে সকল পুরুষ কেবল মাত্র একটি বিয়ে করলে অবশিষ্ট নারীরা বিপথে বা পতিতাবৃত্তি বা ব্যাভিচারে জড়িয়ে পড়বে), পুরুষদের বিপজ্জনক কাজের কারনে তাদের মধ্যে মৃত্যু হার বেশী (যুদ্ধে সাধারনত পুরুষদের অংশগ্রহন বেশী সেহেতু তাদের মৃত্যু হার সবচেয়ে বেশী নারীদের থেকে), কিছু কিছু পুরুষের যৌনক্ষমতা নারীদের থেকে বেশী হবার কারনে এক নারীতে তার সন্তুষ্টি হয় না, বহুবিবাহকে নিয়ন্ত্রন (আগের সময় মানুষ ২০, ৩০, ৯০ টা স্ত্রী রাখতেন, নবী সাঃ এর সময় অনেক সাহাবীর ১০-১৫ টা বিবি ছিলো), আত্মীয় স্বজনের মধ্যে অনেক বিধবা আছেন যাদের দেখার কেউ নেই যদি তাদেরকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করা হয় তাহলে তাদের ইজ্জত আব্রু এবং শারীরিক চাহিদা ও ঘর গৃহস্থালীর কাজে সবকিছুতেই সহায়তা হবে, অনেক নেতা আছেন যারা রাজনৈতিক স্বার্থে বিয়ে করেন যার ফলে রাজনৈতিক, বিভিন্ন গোত্রের সাথে সম্পর্কোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।

অভিযোগ-১: এক ঘরে একাধিক স্ত্রী রাখলে সংসারে অশান্তির আশংকা

উত্তর: ইসলামে প্রত্যেক স্ত্রীর জন্য আলাদা নিবাসের ব্যাবস্থার কথা বলা হয়েছে। যদি স্ত্রীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে মানিয়ে নিতে চায় যেক্ষেত্রে এক সাথে থাকতে পারে, শরীয়া সেখানে বাধা দেয় না কিন্তু একই ছাদের নীচে ইসলাম সমর্থন করে না । আর জীবনে ভালোমন্দ মিলিয়েই সবকিছু সেখানে এসব সাময়িক অশান্তি বৃহত্তর ভালোর কাছে খুব একটা অর্থব হ হয়ে ওঠে না

অভিযোগ-২: পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখতে পারলে মহিলারা কেন একাধিক স্বামী রাখতে পারে না?

উত্তর: আল মুফাস্সিল ফি আকাম আল মারাহ, ৫ নম্বর খন্ড, পৃষ্ঠা ২৯০ তে উল্লেখ আছে যে একজন নারীর বহুস্বামী তার আত্মমর্যাদার জন্য হানিকর এবং সে জানতে পারবে না তার গর্ভে কার সন্তান। এবং কেউ যদি সত্যি জানতে না পারে তার গর্ভে কার সন্তান তাহলে সন্তানের ভবিষ্যত, পরিবারের শান্তি সব কিছুই নষ্ট হবে। যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর

প্রশ্ন: দ্বিতীয় বা তৃতীয় বা চতুর্থ বিবাহের জন্য কি পুর্ববর্তী স্ত্রীদের অনুমতি দরকার?

উত্তর: না দরকার নেই। শুধু জেনে নিতে হবে তারা সন্তুষ্ট কিনা। যদি সন্তুস্ট থাকে তাহলে সেটাই যথেষ্ট। বিয়ে করার জন্য পুর্বতন স্ত্রীর অনুমতির কোনো দরকার নেই। ফতোয়া ইসলামিয়া ৩/১০৪ অনুসারে যদিও অনুমতি নেবার কোনো প্রয়োজন নেই তবে ভদ্রতা বশত স্ত্রীকে সুন্দর ও ভদ্রোচিত ভাবে, কিছু টাকা পয়সা খরচ করে খুশী রেখে, হাসিমুখে জিজ্ঞেস করে তাকা জানানো যেতে পারে।

এ্যাপোলজিস্টিক যুক্তি: কোরানের ৩৯:৬২ তে উল্লেখ "আল্লাহ সর্বকিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সবকিছুর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।"

১৩:৯ এ উল্লেখ আছে যে "তিনি সকল গোপন ও প্রকাশ্য বিষয় অবগত, মহোত্তম, সর্বোচ্চ মর্যাদাবান।"

৩১:৩৪ এ উল্লেখ আছে যা "নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।"

উপরোক্ত আয়াত অনুসারে আল্লাহর কাছে অতীত ভবিষ্যত স হ সকল গায়েবী জ্ঞান জানা আছে বলে দাবী করা হয়েছে। এখন একজন নারীর পেটে কার বাচ্চা সেটা ডিএনএ টেস্ট করলেই জানা যায়। এবং আধুনিক টেস্ট টিউব পদ্ধতি স হ নানা উপায়ে গর্ভের বাইরে ভ্রুন নিষিক্ত করে সেটা পরে জরায়ুতে স্থাপন করলে আরো নিশ্চিত করা যায় কোন স্বামীর সন্তান সে। তাহলে সেভাবে কেনো চিন্তা করা হয়নি? এটা ঠিক যে তৎকালীন আমলে এই পদ্ধতি ছিলো না কিন্তু কোরান তো সর্বকালের সকল মানবের জন্য। তাহলে এখন সে নিয়মটা কেনো পরিবর্তন হবে না যখন সেই প্রযুক্তি বেশ সবার হাতের মুঠোয়?


প্রশ্ন: যদি একজন পুরুষ তার ৪ নম্বর স্ত্রীকে তালাক দেয় তাহলে কি সে ৫ নম্বর বিয়ে করতে হবে?

উত্তর: হ্যা। তার আগে বলে নেই হযরত আলী রাঃ সর্বোমোট ৬ টি বিয়ে করেছিলেন (ফাতিমা, উমামা, উম্মুল বানিন, লেইলা, খাওলা, আসমা), উমর রাঃ বিয়ে করেন সর্বোমোট ১০ টা। ইসলামে ৪ বিয়ের ব্যাপারটা হলো আপনি একই সময় ৪ স্ত্রী রাখতে পারেন। যদি ৪ নম্বর স্ত্রীকে তালাক দেন তাহলে নতুন বিয়ে করতে হলে তার ইদ্দত কালীন সময় পার করতে হবে। ইদ্দত কালীন সময় ৩ মাস। তবে এর মধ্যে যদি সে গর্ভবতী হবার লক্ষ্মন ধরা দেয় তাহলে শিশু জন্ম নেবার সময় পর্যন্ত তালাক সক্রিয় হবে না এবং ইদ্দত কালীন সময় বর্ধিত হবে। ইদ্দত কালীন সময় পার হলেই আপনি কেবল নতুন বিয়ে করে ৪ বিবির কোটা পূরন করতে পারবেন। সূত্র হিসেবে আল মুঘনি ৭/১০৪, আল তিরমিজী ১১২৮, স হীহ সুনান আল তিরমিজী ১/৩২৯। এছাড়া ইদ্দত কালীন সময়ে সেই মেয়েও অন্য কোথাও বিয়ে করতে পারবে না এ ব্যাপারে মতামত পাওয়া যায় ফতোয়া আল লাজনাহ আল দায়ীমাহ, আল ফাতোয়া আল জামীয়াহ লীলমারাহ আল মুসলিমার ২/৬৪১। আর এখানে তালাকের ব্যাপারে যেটা বলা হয়েছে সেটা হলো আপনি একজন স্ত্রীকে সর্বোচ্চ তিনবার তালাক দিতে পারবেন যার প্রথম দুটো তুলে নেয়া যায় এবং নতুন করে সংসার শুরু করা যায়। কিন্তু তিন নম্বর তালাকে আর সেটা সম্ভব নয়। তখন আপনাকে নতুন বিয়ে করতে হবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পাবেন শেইখ ইবনে বাযের লেখা কিতাবে ফতোয়া আল তালাক, ১/২৭৮।

সে হিসেবে উপরোল্লিখিত হিসাব অনুযায়ী একজন পুরুষ ইচ্ছে করলে ১০০ বিয়েও করতে পারেন তবে এক সাথে ৪ জন স্ত্রীর বেশী রাখতে পারবেন না।

এ্যাপোলজিস্ট যুক্তি: পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে যে ব্যাভিচারের অভিযোগ করা হয় সেখানে নারী পুরুষ দুজনেই স্বাধীন থাকে এবং তারা উভয়ের সম্মতিতে যৌনকর্ম করছে যাকে তার ভালো লাগছে। সেভাবে লিভ টুগেদার সোসাইটি চালু হইছে। আর মুসলিম বিশ্বে দেখা যাচ্ছে যাদের টাকা আছে শুধু তারাই যত ইচ্ছে বিয়ে করে সেই একই কাজটা করছে কিন্তু যার টাকা নাই সে এটা পারছে না শারীরিক সামর্থ্য থাকা সত্বেও। তার মানে ব্যাভিচারকে বিয়ে দিয়েই অনুমোদন দেয়া হচ্ছে শুধু উচুশ্রেনীর লোকদের জন্য যেখানে পশ্চিমা সমাজে সেটা সবার জন্যই উন্মুক্ত তবে সেটা দুপক্ষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহনে।

তালাক ও খুলা চুক্তি প্রসঙ্গে:


আবু দাউদের আল সুনানের ২১৭৭ হাদিস অনুসারে জায়েজকৃত নিয়মসমূহের মধ্যে তালাককেই আল্লাহ সবচেয়ে বেশী ঘৃনা করেন। আবার আবু দাউদের সুনানের ২১৮৯ হাদিসে আবু হুরায়রা বর্নিত রাসুল সাঃ বলেন যে তিনটি জিনিস খুবই মারাত্মক ভাবে দেখা হয়, সিরিয়াসলি ভাবে নেয়া হোক বা কৌতুক করে, সেগুলো হলো: বিয়ে, তালাক এবং স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনা প্রাথমিক তালাকের পরে।

ইসলামে তালাক দেয়াটাকে নিরূৎসাহিত করে। তবে মজার ব্যাপার হলো কেবল মুসলিম স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে কিন্তু স্ত্রী তালাক দিতে পারেন না, তাকে খোলা চু্ক্তি করতে হয়ে।কোরানের কিছু আয়াত তুলে ধরা হলো এ ব্যাপারে:

১) সুরা আল বাকারার ২২৯ নম্বর আয়াতে বলা আছে,"তালাকে-‘রাজঈ’ হ’ল দুবার পর্যন্ত তারপর হয় নিয়মানুযায়ী রাখবে, না হয় সহৃদয়তার সঙ্গে বর্জন করবে। আর নিজের দেয়া সম্পদ থেকে কিছু ফিরিয়ে নেয়া তোমাদের জন্য জায়েয নয় তাদের কাছ থেকে। কিন্তু যে ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই এ ব্যাপারে ভয় করে যে, তারা আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, অতঃপর যদি তোমাদের ভয় হয় যে, তারা উভয়েই আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, তাহলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বিনিময় দিয়ে অব্যাহতি নিয়ে নেয়, তবে উভয়ের মধ্যে কারোরই কোন পাপ নেই। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা। কাজেই একে অতিক্রম করো না। বস্তুতঃ যারা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে, তারাই জালেম।"

এই আয়াতে "অতঃপর যদি তোমাদের ভয় হয় যে, তারা উভয়েই আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না" দ্বারা বুঝানো হয় যে তৎকালীন সময়ে নিজের স্ত্রীকে নির্যাতন হিসেবে তালাক দিতো এবং ইদ্দত পালনের পূর্বেই আবার ফিরিয়ে নিতো। এমনও হতো স্বামী স্ত্রীকে বলতো আমি তোমাকে রাখবোও না ছাড়বোও না। এই বলে ব হু বার তালাক দিয়ে ইদ্দতের পূর্বে ফিরিয়ে নিতো যেটা মূলত জুলুম। তখন রাসুল সাঃ নিয়ম বেধে দেন যে দুবার তালাক দিলে ফিরিয়ে নেয়া যাবে কিন্তু তৃতীয় ভাবে তালাক দিলে সেটা স্থায়ী এবং সে হিসেবে সে মহিলা উক্ত বিয়ে থেকে মুক্ত বলে গন্য হবে।

২) সূরা আননিসার ১২৮ থেকে ১৩১ পর্যন্ত আয়াতে আছে "যদি কোন নারী স্বীয় স্বামীর পক্ষ থেকে অসদাচরণ কিংবা উপেক্ষার আশংকা করে, তবে পরস্পর কোন মীমাংসা করে নিলে তাদের উভয়ের কোন গোনাহ নাই। মীমাংসা উত্তম। মনের সামনে লোভ বিদ্যমান আছে। যদি তোমরা উত্তম কাজ কর এবং খোদাভীরু হও, তবে, আল্লাহ তোমাদের সব কাজের খবর রাখেন।তোমরা কখনও নারীদেরকে সমান রাখতে পারবে না, যদিও এর আকাঙ্ক্ষী হও। অতএব, সম্পূর্ণ ঝুঁকেও পড়ো না যে, একজনকে ফেলে রাখ দোদুল্যমান অবস্থায়। যদি সংশোধন কর এবং খোদাভীরু হও, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।যদি উভয়েই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে আল্লাহ স্বীয় প্রশস্ততা দ্বারা প্রত্যেককে অমুখাপেক্ষী করে দিবেন। আল্লাহ সুপ্রশস্ত, প্রজ্ঞাময়।আর যা কিছু রয়েছে আসমান সমূহে ও যমীনে সবই আল্লাহর। বস্তুতঃ আমি নির্দেশ দিয়েছি তোমাদের পূর্ববর্তী গ্রন্থের অধিকারীদেরকে এবং তোমাদেরকে যে, তোমরা সবাই ভয় করতে থাক আল্লাহকে। যদি তোমরা তা না মান, তবে জেনো, সে সব কিছুই আল্লাহ তা’আলার যা কিছু রয়েছে আসমান সমূহে ও যমীনে। আর আল্লাহ হচ্ছেন অভাবহীন, প্রসংশিত।"

তবে যেসব কারনে স্বামী বা স্ত্রী একে অপরকে তালাক দিতে পারে সেসব ফতোয়াসমূহ নিম্নে দেয়া হলো:

১) অনৈতিক ও অনৈসলামিক ব্যাবহার: যদি স্ত্রী বা স্বামী ব্যাভিচারে লিপ্ত হয় বা যৌন ফ্যান্টাসীতে আসক্ত থাকে (ইসলামে মাধহাব হারাম হাসিয়াত রাদ আল মুহতার ৬/২৭২, আল মাধখিল ২/১৯৪, ১৯৫;আ আল আদাব আল শারীয়া ১/৯৮)। যদি কেউ এতে জড়িয়ে পড়ে তাহলে তবে তালাকের হতে পারে।
২) স্বামী বা স্ত্রী র মধ্যে কেউ ইসলাম ত্যাগ করলে
৩) সত্য লুকোনো: যদি কেউ সত্য লুকিয়ে বিয়ে করে তাহলে বিয়ের পর প্রকাশিত হয়ে পড়লে যেমন স্বামী মাদকাসক্ত এটা বিয়ের সময় লুকিয়েছিলো। এই অসততার কারনে তালাক দেয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি তার পূর্ববর্তী বিয়ের কথা লুকিয়ে রাখে সেটার জন্যও তালাক দেয়া যেতে পারে।
৪) দুর্ব্যাবহার ও নিষ্ঠুরতা
৫) বিয়ের পর দেখা গেলো স্বামী অক্ষম
৬) স্ত্রীর ভরনপোষন দিতে না পারা
৭) স্ত্রী যদি স্বামীর সাথে কোনো শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী না হয়
৮) স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি অরুচী এবং ভালোলাগা না থাকে

সেক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে। উপরোক্ত আয়াত সমূহে তালাকের ব্যাপারগুলো বলা আছে। কিন্তু স্ত্রী তালাক দিতে পারে না। স্ত্রীকে খোলা চুক্তি করতে হবে। সূরা আল বাকারার ২২৯ নম্বর আয়াত যা এর আগে পোস্টে বর্নিত হয়েছে সেখানে খোলার ব্যাপারে বলা আছে। বুখারীর ৫২৭৩ হাদিস অনুসারে স্ত্রী যদি তার স্বামীর সাথে থাকতে না চায় তাহলে বিবাহের সময় সে যে দেন মোহর পেয়েছিলো তা ফেরত দিয়ে দিতে হবে। স্বামী তা ফেরত পাবার পর তখন সে বাধ্য তাকে ফারাকতুকি বা খালাতুকি বলার। এর ফলে স্ত্রী সে বিয়ে থেকে মুক্ত হয়ে যাবে।

যেহেতু স্বামীরই অধিকার আছে তালাক দেবার সেক্ষেত্রে এটা যদি প্রমানিত হয় তালাক নেবার জন্য স্ত্রী অসৎ ভাবে তার ওপর চাপ প্রয়োগ করছে তাহলে সেটা তালাক বলে গন্য হবে না (আল মুঘনী ১০/৩৫২)। তবে কোনো কারন ছাড়া কোনো স্ত্রী খোলা চুক্তির আবেদন করতে পারে না। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যদি প্রচলিত আদালতে ডিভোর্স নিয়ে নেয় কিন্তু শরীয়া আইন অনুযায়ী সে খোলা চুক্তি করার যোগ্যতা না রাখে তাহলে কি হবে? ইসলামের দৃষ্টিতে ইদ্দত সময় পার করার পরও তার স্ত্রী হিসেবে গন্য হবে। সেক্ষেত্রে উক্ত মহিলারই দায়িত্ব হবে খোলা চুক্তি করার এবং দেন মোহরের সব ফেরত দিয়ে, যদি একান্তই অসমর্থ হয়, তাহলে আলোচনার ভিত্তিতে উভয়ের সম্মতিতে যতটুকু সম্ভব ফেরত দিয়ে খোলা কার্যকর করা। ফতোয়াটা নেয়া হয়েছে শেইখ মুহাম্মদ ইবনে উথামীনের লেখা লিকা আল বাব মাফতুন, ৫৪ খন্ড, ৩/১৭৪।

কিন্তু আধুনিক বিশ্বে স্বামী স্ত্রী উভয়েই তালাক নিতে পারে এবং মুসলিম বিশ্বে স্ত্রীকে যদি কাবিন নামায় সে ক্ষমতা দেয়া থাকে তাহলে সে তালাকের আবেদন করতে পারে এবং সেক্ষেত্রে স্ত্রীকে প্রাপ্ত দেন মোহর ফেরত দিতে হয় না উল্টো যদি দেন মোহর পুরো না দিয়ে থাকে তাহলে সেটা স্বামীকে ফেরত দিতে হবে। আর সন্তানের ভরন পোষন দাবী করলে সেটাও তাকে দিতে হবে।

অভিযোগ: স্বামীর তালাকের ক্ষমতা কিন্তু স্ত্রীর সে ক্ষমতা নেই কেন?

উত্তর: যেহেতু স্বামী স্ত্রীর ভরনপোষনের জন্য দায়ী সেহেতু তার এই অধিকার প্রাপ্য।

এ্যাপোলোজিস্টদের যুক্তি: আধুনিক বিশ্বে মেয়েরা তাদের নিজেদেরই ভরনপোষন করতে পারে শিক্ষা ও চাকুরীর মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে তাহলে রুলিং কি? আর হয়তো এ কারনেই পর্দাপ্রথা একজন মেয়ের জন্য ঘরের বাইরে কাজ করতে যাওয়া বেশ মুস্কিল হয়ে পড়ে। ইসলামে পর্দা প্রথা জানতে এই পোস্টে ক্লিক করতে পারেন। এবং বিভিন্ন মুসলিম দেশে নারীদের নিগ্রহের মূল ঘটনা জানতে এখানে পড়তে পারেন। এছাড়া বাল্যবিবাহ সম্পর্কে আরো জানতে এখানে ক্লিক করতে পারেন।

তাই ভবিষ্যতে সম্ভাব্য অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নবী মোহাম্মদ সাঃ বিবাহের ক্ষেত্রে তার কিছু উপদেশ দিয়ে গেছেন।

অন্যান্য বিষয়:

জনসাধারন্যে একটা প্রচলিত ধারনা আছে বিয়ের আগে ইসলামে হবু বর বধু একে অপরকে দেখতে পারবে না। এটা একটা ভুল কনসেপ্ট। 2: 166. হাকিম এল মুস্তাদেরক, ২:১৬৬ তে বলা আছে মোহাম্মদ স্ঃ উম্মু সুলাঈমকে একজন নারীকে দেখতে পাঠিয়ে বললেন যে তার পায়ের ওপর থেকে দেখে আসো এবং মুখে দুর্গন্ধ আছে কিনা সেটা জেনে আসো। এ অনুসারে একজন নারীও সেটা করতে পারেন।
নেঈলুল ইভতার ৬:১১০ অনুসারে যখন তোমাদের মধ্যে কেউ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়, তাহলে সে নারীকে দেখতে কোনো সমস্যা নেই। বিয়ের নিয়তে একে অপরকে দেখা জায়েজ। এবং এই নিয়ম একজন নারী জন্যই প্রযোজ্য। নেসেঈ এর নিকাহ, ১৭ তে আছে মুরী নিন শুবে এক নারীকে বিবাহ করতে চাইলে রাসুল মোহাম্মদ সাঃ তাকে বললেন যাও এবং দেখে আসো। চোখে দেখে আসাটা একজন মানুষের পক্ষে দুজনের সম্মিলিত মাধুর্য্যে বাস করার জন্য উপযুক্ত। আবার হাকিম আল মুস্তাদেরকের ২:১৬৫ অনুসারে মোহাম্মদ সাঃ উল্লেখ করেন যে যদি কোনো নারীকে পছন্দ হয় তাহলে সে নারীর চরিত্র এবং মুখাবয়ব দেখা উচিত যাতে সে অনুপ্রানিত হয় তাকে বিয়ে করার জন্য।
আবার নবীজী সাঃ অন্য হাদিসে বলেছেন তোমরা অধিক সন্তানেদানে সক্ষম ও স্নেহপরায়ন নারীকে বিবাহ করো। কারন আমি তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে অন্যান্য উম্মতের উপর গৌরব করবো। তিনি আরো বলেন তোমরা কুমারী মেয়েদেরকে বিয়ে করো কার তারা মিস্টভাষী, অধিক সন্তান জন্মদানকারী এবং অল্প তুষ্ট থাকে। (তাবারানি, স হী হাদিস)। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ থেকে বর্নিত রাসুল সাঃ এর যুগে এক মহিলাকে বিবাহ করলাম। অত্ঃপর আমি রাসুল সাঃ এর সাথে সাক্ষাত করালে তিনি বলেন, হে জাবির! তুমি কি বিবাহ করেছো? আমি বললাম, হ্যা। তিনি বললেন, কুমারী না বিধবা? আমি বললাম, বিধবা। তিনি বললেন, কেন তুমি কুমারী মেয়ে বিবাহ করলে না, তাহলে তার সাথে তুমি রসিকতা ও কৌতুক করতে পারতে? আমি বললাম আমার কয়েকটা বোন আছে। তাই আমি আমার ও আমার বোনদের মধ্যে একটা কুমারী মেয়ের প্রবেশ করাকে সংকটজনক বোধ করলাম। তিনি বললেন, তাতো ভালো কথা। বুখারী ২০৯৭, মুসলিম: ৭১৫, তিরমিযী: ১১০০।

আবার বহু বিবাহকে উৎসাহিত করার ব্যাপারে স হীহ বোখারী, ৫০৬৯ এ সাঈন ইবনু যুবায়ের রহ বর্নিত ইবনু আব্বাস রাঃ আমাকে বলেন তুমি কি বিয়ে করেছো? আমি বললাম না। তিনি বললেন বিয়ে কর। কারন এই উম্মাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাক্তি অধিক সংখ্যক স্ত্রী ছিলো।


আধুনিক বিশ্বে বিয়ে বিষয়ক ব্যাপার গুলো:

বিশ্বের মোট ৫৮ টা দেশে বহুবিবাহের বৈধতা সরকারী ভাবে দেয়া আছে তবে ইসলামিক মতে এক সাথে ৪ বিবি রাখা বেশীরভাগ মুসলিম দেশে ব্যান করা আছে। তুরস্ক প্রথম দেশ যারা ১৯২৬ এই ৪ বিবি প্রথা রহিত করে সরকারী ভাবে। লিবিয়াতে এই প্রথা চালু থাকলেও এর ওপর অনেক বিধি নিষেধ আরোপ করা আছে। তুরস্কের পর তিউনিসিয়া এটি ব্যান করে।পাকিস্তান ও ইরানে পূর্ববর্তি স্ত্রীর সম্মতি নেয়াটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইসরাইল আমেরিকা তে এক সাথে ৪ বিবি রাখা ব্যান করা হয়েছে। অন্যান্য মুসলিম দেশে ব্যান না করলেও বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে যার মধ্যে বাংলাদেশও একটি। কিন্তু সৌদী আরব স হ আরব বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ৪ বিবি রাখার প্রচলন আছে। ইরানে মুত্তা বিবাহেরও প্রচলন আছে যার আরেক নাম হালাল পতিতাবৃত্তি। তবে বেশীরভাগ মুসলমান দেশে বাল্যবিবাহের প্রচলন বেশী কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো বাল্যবিবাহতে আফ্রিকার দেশ গুলোর পরই বাংলাদেশের অবস্থান ৪র্থ। যদিও বলাহয় সাম্প্রতিক বাল্যবিবাহের হার কমেছে কিন্তু তারপরও আমরা দক্ষিন এশিয়াতে বাল্যবিবাহতে চ্যাম্পিয়ন।

তালাকের ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বে স্বামী স্ত্রীর সমান অধিকার আছে এবং তালাক যেই নিক না কেন স্ত্রীর প্রাপ্য দেন মোহর ও সন্তান থাকলে তার ভরন পোষন ১৮ বছর পর্যন্ত দিতে বাধ্য থাকবে। ইসলামে যদি সন্তান দুগ্ধগ্রহন কারী শিশু থাকবে ততদিন ভরনপোষনের দাবী রাখে।

কোরানের বাংলা অর্থ আমি নিয়েছি এই ওয়েবসাইট থেকে।

বিশুদ্ধ এবং পিকথাল ইউসুফের মতো আরবী বিশারদদের করা কোরানের অর্থ জানতে এখানে ক্লিক করুন।

এ্যাপোলজিস্টদের যুক্তি হিসেবে যা লিখেছি তা বিভিন্ন ধারা বাধা বই থেকে নেয়া হয় নি। এই প্রশ্ন বা যুক্তি গুলো বিভিন্ন ফোরাম বা বিভিন্ন মানুষের মনে জাগে। আপনারা যদি কেউ এর উত্তর দিতে পারেন তাহলে সেসব উত্তর পোস্টে উল্লেখ করবো।


চলবে......।

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪১

জুন বলেছেন: কেমন আছেন উদাসী?

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আরে, আপনি এখনো ব্লগে আছেন? আমি তো ভেবেছিলাম ব্লগে কাউকে পাবো না। আমরা এখনো বয়ঃবৃদ্ধের কাতারে এই ব্লগে নতুনের জয়গানের মাঝে। আমি আছি একরকম, আপনি আছেন কেমন? আপনি কি আমার সাথে ফেসবুকে এ্যাড আছেন? এ্যাড হতে পারেন আমার আইডিতে।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

সনেট কবি বলেছেন: অনেক বড় পোষ্ট, কিছুটা পড়েছি।

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:১৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ পড়বার জন্য। নিজের মতামত বা আলোচনা করতে চাইলে স্বাগতম।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৭

কাইকর বলেছেন: সুন্দর পোস্

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:০৯

কানিজ রিনা বলেছেন: হাদীস মানুষের জন্য হাদীসের জন্য মানুষ না।
আপনি ইনিয়ে বিনিয়ে বহুবিবাহের উপর
কোরআনের উদ্ধৃতি তুলেছেন ও বিস্তারিত
আলোচনা করেছেন। হযরত মোহাঃ সাঃ
যুগে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় কাফের ইহুদীরা যখন
যুদ্ধ চাপিয়ে দিত তখন মুসলিম পুরুষরা
সে সব যুদ্ধে হতাহত বা মৃত্যুবরন করলে
তাদের সন্তান স্ত্রী বিধবা এতিম অসহায় হয়ে
পরত। তখন কোরআনের উদ্ধৃতি অনুসারে
হাদীস গুল প্রয়োগ হোত। অনেক অনেক
সচ্ছল সাহাবীরা বিধবা এতিম যুবতী নারী
নিজের দায়ীত্য নিত এবং বিবাহ করত
বিবাহীত অবিবাহীত অনেকে। তথাপি বিবাহীত
পুরুষের বেলায় বলাহোত পুর্ববর্তী স্ত্রীর সন্তুষ্ট
রেখে। ঠিক এহেন সন্তুষ্ট রাখা পরবর্তী স্ত্রীরা
দাসী রুপে বিবেচিত হোত। বিবাহীত বিধবা
বিবাহ করা নারীর কোনও দেনমহর ধার্য করা
হোত না। এমনকি তাদের ধনসম্পদের
অধিকার করার অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ
ছিলনা।
এখন সে রকম কোনও ইসলাম প্রতিষ্ঠায়
যুদ্ধ হয় কি? তাহলে এ হাদীস বলবত রাখার
কারন? হয়ত আপনাকে বুঝিয়ে বলতে হবেনা।
কোরআনের হাদীস প্রয়োগে যখন মানুষ
বিচ্ছৃংখ্যলা থেকে উদ্ধার পেতে পারে ঠিক
তখনই কোরআনের হাদীস প্রয়োগ জরুরী
হয়ে পড়ে।
তবে একটা কথা জানেন কি আজকাল
এই হাদীস ব্যবহার করে যতসব বহুগামী
চরিত্রহীন পুরুষরা। যারা এক ওয়াক্ত
নামাজও পড়েনা বা ইসলামীক নীতি নিয়মের
ধার ধারে না। একটা মদখোর মাতালও দশটা
বিয়ে করে একটা ছারা একটা ঠিক এই হাদীস
ব্যবহার করে।
আপনি কি দেখাতে পারবেন কেউ বহুবিবাহ
করে সমান অধিকার দিয়েছে? না এযুগে
তা দেখা যায়না। তাহলে কেন এ হাদীস
ব্যবহার করে দ্বীতিয় তৃতীয় বিয়ে করে
পরিবারে বিচ্ছৃংখ্যলা সৃস্টি করে। ঘরে একটা
গুনি পবিত্র বউ রেখে ডিসকো নারী এনে
পরিবার ধ্বংস করে।
আপনি দেখে থাকবেন হয়ত আমার জানামতে
আমাদের বড় বড় জ্ঞানী ইসলামীক ইস্কলাররা
কেউ দ্বীতিয় বিয়ে করে না। কারন তারা এই
হাদীসের নিয়মের উপর জ্ঞানী।
যত অশিক্ষিত কুশিক্ষিত লোকজন এই হাদীস
ব্যবহার করে হাদীসের কুলশিত করছে।
যখন দ্বীতিয় বিয়ে করার অনুমতি নিতে বলা
হয়েছে পুর্ববর্তী স্ত্রী সন্তুস্ট আছে কিনা সে
কথার ব্যপকতা শুধু একজন ইসলামীক
জ্ঞানী ছাড়া এর ব্যপকতা অশিক্ষিতরা বুঝবে
কেমনে? শুধু কোরআনের উদ্ধৃতি পড়লে
বা তুলে ধরলেইতো জ্ঞান অর্জন হয়না।

কত কত কঠিন হাদীস সামাজিকতায় ব্যবহার
হয়না। যেমন চুরি করলে হাত কেটে দেওয়ার
নিয়ম। নামাজ না পড়লে গর্দান কেটে দেওয়ার
নিয়ম এমন অসংখ্য হাদীস যা সমাজে প্রয়োগ
বন্ধ রাখা হয়েছে কারন মানুষ যখন ক্ষতির
সাধন হয়।
এখন আপনার বহু বিবাহর বিশ্লেশনে বহুগামী
পুরুষের সুচ্ছৃংখ্যল রাখতে দ্বীতিয় তৃতীয়
চতুর্থ বা একশ পর্যন্ত আপনার রায় উঠেছে।
কেনরে বাবা তাহলে দেশে পতিতালয় খোলা
রাখা হয়েছে কেন? সেখানে কাদের জন্য
অসহায় নারীদের ধোকা দিয়ে বিক্রি করা হয়?
যদি বহুবিবাহ হালাল হয় তাহলে পতিতারা
কি দোশ করল? অপবিত্র নারী অপবিত্র
পুরুষ পতিতার পতি উভয় সমকক্ষ। বেশ্যার
কোনও জেন্ডার নাই অপবিত্র নারী পুরুষ
উভয় বেশ্যা। এইসব পুরুষরা একশত বিয়ে
করলেও তারা ভাল হয়না।
এখানে নারী জাতির সম্মান থাকে কই
যে নারীর সম্মান কোরআনে কতভাবে উল্যেখ
আছে।


০৮ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রতিটা অক্ষর প্রতিটা শব্দে যে ক্ষোভ প্রতিবাদ যুক্তিবোধের সাথে আবাগের চরম মিশ্রন, মনে রাখবেন, যতদিন বেচে থাকবেন আমার শ্রদ্ধা আপনার জন্য বরাদ্দ। হয়তো সেটার প্রতি সম্মান দেখিয়ে হলেও আমার আর কোনো কথা বলা উচিত নয়, কিন্তু কথা যেহেতু দিয়েছি আমি আলোচনা করার জন্য এই পোস্ট করেছি সেহেতু কিছু কথা বলি, তবে বরাবরের মতো আমি কোনো মতামত প্রদান করবো না। কারন আমি এসব পোস্ট লিখি আলোচনা করার জন্য, যাতে মানুষ সত্য বুঝতে পেরে আলোর পথে আসতে পারে।

সূরা আন নূরের ৩ নম্বর আয়াত অনুসারে: ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী অথবা মুশরিকা নারীকেই বিয়ে করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষই বিয়ে করে এবং এদেরকে মুমিনদের জন্যে হারাম করা হয়েছে।

আবার আবু দাউদের ২০৫১ নম্বর হাদিস অনুসারে অমর ইবনে শুয়াআব, যিনি কিনা তার পিতা এবং দাদার কাছ থেকে শোনা হাদিসটি এভাবে বর্নিত করেন যে মার্থাদ ইবনে আবি মার্থাদ আল-ঘানাওয়ি মক্কাহ থেকে অপরাধী স্মাগল করতেন। তো মক্কায় আনাক্ব নামের একজন পতিতা যে কিনা তার বন্ধু ছিলেন। তিনি বর্ননা করেন যে আমি রাসুল সাঃ এর কাছে গিয়ে বললান, হে আল্লাহর রাসুল, আমি কি আনাক্বকা বিয়ে করতে পারি? রাসুল সাঃ চুপ ছিলেন এবং কোনো উত্তর দেননি। তার কিছুক্ষন পর এই আন নূরের উপরোক্ত আয়াতটি নাযিল হয় যেখানে বেশ্য, মুর্তিউপাসক, ব্যাভিচারী বা মুশরিক নারীদের ব্যাপারে বলা হয়েছে। এরপর তিনি মার্থাদকে ডেকে এই আয়াতটি বললেন এবং যোগ করলেন,"তাকে বিয়ে করো না। হাদিসটি সহী এবং রেয়াত হিসেবে আলআলবানীর নাম বলা যায়।

তবে আল সা'দী রাঃ তার এক ব্যাখ্যায় বলেছেন যদি সে ব্যাভিচারী পুরুষ বা মহিলা তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নেয় এবং এসব কুকর্ম আর কখনোই যেনো পুনরাবৃত্তি না হয় সেই ওয়াদা করে তাহলে তাকে বিয়ে করা যাবে।

তবে কোরান অনুসারে আখারাতে সবকিছুর হিসাব আলাদা ভাবেই নেয়া হবে। কেউ যদি রোজা রেখে নামাজ না পড়ে তাহলে সে রোজা না রাখার পাপ থেকে মুক্ত পারে কিন্তু নামাজের গুনাহ থেকে মুক্তি পাবে না। যার যার যে যে কর্ম তার ওপরই আমল বিবেচিত হয়। আর বহুবিবাহ শুধু যুদ্ধ সময়ের জন্যই প্রযোজ্য নয়। এটা সব সময়ের জন্য অনুমতি দেয়া আছে যেটা আমি পোস্টে হাদিস ফতোয়া স হ ব্যাখ্যা করেছি। যুদ্ধ বা বিগ্রহ না থাকলেও একজন বিধবা বা কুমারী নারী কখনো একা থাকতে পারে না। ইসলামে একজন মানুষ চাই সে ছেলে হোক বা মেয়ে হোক তার যৌনচাহিদাকে স্বীকৃত দেয় এবং সে হিসেবে কেউ অবিবাহিত বা কোনো কারনে বিয়ে করতে না পারেন তাহলে তাকে বিয়ে করার জন্য অনুমতি দেয়া আছে।

আর বর্তমানে ব হু ইসলামী স্কলার একাধিক বিয়ে করে একাধিক স্ত্রী নিয়ে বসবাস করছে। আমার জানা মতে হুজুর শফির চার স্ত্রী আছে যার মধ্যে তিন জন আলাদা থাকেন। এছাড়া আমার দেখা মতে প্রথিত যশা প্রতিটা ইসলামী স্কলার একাধিক বিয়ে করেছেন এবং ৪ জন স্ত্রীর মঢ্যে কারো মৃত্যু হলে তারা সে কোঠা পূরন করেছেন। যদি আপনি তাদের নাম স হ বিবিদের সংখ্যা জানটে চান সেটা দিতে পারি।

আর সিরিয়া ইয়েমেন স হ বেশীরভাগ মুসলমান দেশ যুদ্ধে লিপ্ত নিজেদের মধ্যেই। পাকিস্থানে শর্তসাপেক্ষে ৪ বিবি রাখার অনুমতি থাকলেও সেখানকার জনসংখ্যার বিরাট অংশ ব হুবিবাহ অনুশীলন করেন। আফগানিস্থান, ইরান ব্রুনেই এসবে অহরহই দেখা যায়। ইন্দোনেশিয়াতেও এর চল আছে।

আর সন্তুষ্ট বা ভালো থাকার ব্যাপারটা আপেক্ষিক। একজন গ্রামের মেয়ে দু বেলা খাবার খেলেই সন্তুষ্ট সেক্ষেত্রে মফস্বলের মেয়ে খাবারে সাথে সাজগোজ আবার সেকানে ভার্সিটি পড়ুয়া হলে তাকে এসবে সাথে উপযুক্ত সম্মান এবং চাকুরী করার অধিকার। এখন আপনিই বলেন সন্তুষ্টি আপনি কিভাবে মাপবেন?

পোস্টে যা বর্ননা করেছি তা কোনো যুক্তি বা মিথ নয়, এসব ঘটেছে, এসব ঘটনা। আপনি যদি ফেসবুকে থাকেন তাহলে মাসনা সুলাসা রুবাআ নামে একটা গ্রুপ কিছুদিন ধরে ঝড় তুলছে। বাংলাদেশে এক সাথে ৪ বিবি আইনের ফাক ফোকড় গলে রাখতে পারলেও সামাজিক ভাবে এটাকে খারাপ ভাবে দেখা হয়। কিন্তু শরীয়া অনুযায়ী আপনি বাংলাদেশেও এটা বেশ ভালোভাবেই পালন করতে পারবেন এবং সে অধিকার আপনার আছে।

আমি এখানে ব হুবিবাহের এ্যাড দিচ্ছি না। আমি ইসলামে নারী স্বাধীনতার সংজ্ঞাকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে চাইছি। আমি মতামত দিচ্ছি না কারন মাস ছয়েক হলো আমি ইসলাম ত্যাগ করেছি। তাই বলে আমি নাস্তিক নই। আমি বিশ্বাস করি ঈশ্বর আছেন তবে ইসলাম সঠিক ধর্ম নয়। তবে আমি আমার মতের প্রচারে আগ্রহী নই। আমি সবার বিশ্বাসকে সম্মান করি।

আমি যদি পোস্টে কোনো ভুল বক্তব্য দিয়ে থাকি, জানাবেন, শুধরে দেবো


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৫| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:৪৯

নতুন বলেছেন: এক বিবাহ করিয়া চিন্তা করি মানুষ ৪ বিবাহ কিভাবে করতে পারে?

এরা তো মহা মানব...

০৮ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:১৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, আপনে তো তাও এক বিবি সামলাইতে পারছেন, আমি তো সেই একটাই পারলাম না। বিয়ার পর সুন্দরিরা আমারে খালি ফ্রেন্ড রিকু পাঠাইতো। বিয়া ভাঙ্গার পর সেইটা বন্ধ হইয়া গেলো। ধর্ম ছাড়নের পর দেখি মাদ্রাসার হুজুররা সমানে ফ্রেন্ড রিকু পাঠায়। কি যে দুর্দিন আমার!

৬| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
"ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারীকেই বিয়ে করবে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী পুরুষই বিয়ে করতে পারবে।

দাশ-দাশীদের সাথে আকাম করা ব্যাভিচার বলে গন্য হবে?

০৮ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:৫৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সেখানে আমরা রাসুল সাঃ এর দুজন দাসীর কথা বলতে পারি যার মধ্যে একজন ছিলো মারিয়া কিবতি আরেকজন ছিলো রায়হানা। মারিয়া কিবতির ঔরশে ইব্রাহিম নামের এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়েছিলো যে কিনা সামান্য জ্বরেই ছোটবেলাতে মারা যায়। ইবনে ইশাকের লিখিত সীরাতের ৬৫৩ নম্বর পৃষ্ঠা ও তাবারীর ১৩১ পৃষ্ঠা।

এছাড়া হাদিসে হযরত আলী রাঃ স হ বিভিন্ন সাহাবীদের বিয়া ছাড়া সেক্স করার প্রচুর নজির আছে যেগুলো এখানে দিতে চাচ্ছি না। তবে দাসী বা যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে সেক্স করার ব্যাপারে কোরানে যেসব আয়াত আছে সেগুলো নীচে দিচ্ছি:
৭০:২৯-৩১...."এবং যারা তাদের যৌন-অঙ্গকে সংযত রাখে।কিন্তু তাদের স্ত্রী অথবা মালিকানাভূক্ত দাসীদের বেলায় তিরস্কৃত হবে না।অতএব, যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে, তারাই সীমালংঘনকারী।"

২৩:৫-৭...."অতএব, যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে, তারাই সীমালংঘনকারী।তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।"

৪:২৪...."এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ।"

৩৩:৫০...."হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।"

এছাড়া বহু হাদিসে খোদ রাসুল সাঃ মুখ নিঃসৃত বানী থেকে আজল পদ্ধতিকে জায়েজ করতে দেখা যায় যাতে করে যুদ্ধবন্দিনীরা সেক্স করবার সময় গর্ভবতী না হয়ে পড়ে। যুদ্ধের সময় যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে সেক্স কররাটা ইসলামে জায়েজ করে গেছে সেটা ইসলামের চোখে ব্যাভিচার নয়। তবে ইসলামে দাসীকে ইসলামের পথে এনে তাকে বিয়ে করতে উৎসাহীত করে।

আর আপনার যদি অগাধ টাকা পয়সা স হায় সম্পত্তি থাকে তাহলে এক সাথে ৪ বিবির কোটা পূর্ন করে ১০০-২০০ বিয়ে করতে পারেন যেটা ইসলামিক দৃষ্টিতে জায়েজ বলে গন্য হবে এবং সেসব মহিলা যদি কুমারী বা গরীব বা বয়স্কা হয় সেক্ষেত্রে আপনার ওপর সুন্নত আাদায়ের মতো সোয়াব হিসেবে গন্য করা হবে।

এখন আপনি যদি বলেন তাহলে আইএসআইএস, বোকোহারাম যা করছে অথবা ১৯৭১ সালে পাকিস্থানীরা আমাদের যে ৩ লক্ষ মা বোন ধর্ষন করছে তা ইসলাম অনুসারেই করছে, তাহলে এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই, কারন আমি আগেই বলেছি যেহেতু ইসলাম ত্যাগ করেছি সেহেতু আমি যেকোনো ব্যাক্তিগত মতামত থেকে নিজেকে দূরে রাখবো। আমি শুধু বর্ননা করবো ইসলামে কি বলেছে এবং আধুনিক সমাজে কি ধারা চলছে! বাকি ধারনা বা মতামত সেটা পাঠকের ওপর ছেড়ে দিয়েছি

৭| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

জুন বলেছেন: আছি আমি এখোনো কচ্ছপের আয়ু নিয়ে এই সামুতেই । যখনই এখানে আসি মনে পরে আপনার , দুরন্ত সপ্নচারী , সুরন্জনা , কাব্য আরো অনেক অনেকর কথা । নিজের ও মাঝে মাঝে মনে হয় চলে যাই ওদের মত । শুধু ভ্রমন কাহীনিগুলো ভবিষ্যতে মনে রাখার জন্য লিখে রাখছি । তার জন্য ইদানীং আমি কষ্ট করে ভেবে চিন্তে কোন গল্প কবিতা কিছুই লিখি না আপাতত ।
মাঝে মাঝে আসবেন ।আপনাদের অনেক মিস করি ।

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দুরন্ত স্বপ্নচারী এখন তার ব্যাবসা নিয়ে ব্যাস্ত। কিছু দিন শারীরিক সমস্যার কারনে একটু দৌড়ের ওপর ছিলো। এখন ভালো আছে। বাকি দের সাথে আমার যোগাযোগ নেই। ফেসবুকে সেজন্যই সব পরিচিতদের এ্যাড করি। আপনার ভ্রমন মূলক ব্লগ গুলো সংগ্রহে রাখবো কিছু দিন পর। এখন আমারো ঘুরার বাতিক হয়েছে।

ব্লগের সেই দিন গুলো মিস না করে থাকা যায় বলেন?

৮| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আরে উদাসী স্বপ্ন যে! ক্যামন আছেন ?

০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আগের মতোই। তবে কিছুটা ব্যাস্ত। আপনার কি খবর? এখনো ব্লগে পরিচিত মানুষের সাথে দেখা হবে ভাবতে পারিনি। ফেসবুকে থাকা হয় বেশী। এ্যাড হতে পারেন।

৯| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

এ আর ১৫ বলেছেন: আর আপনার যদি অগাধ টাকা পয়সা স হায় সম্পত্তি থাকে তাহলে এক সাথে ৪ বিবির কোটা পূর্ন করে ১০০-২০০ বিয়ে করতে পারেন যেটা ইসলামিক দৃষ্টিতে জায়েজ বলে গন্য হবে এবং সেসব মহিলা যদি কুমারী বা গরীব বা বয়স্কা হয় সেক্ষেত্রে আপনার ওপর সুন্নত আাদায়ের মতো সোয়াব হিসেবে গন্য করা হবে।

চার বিয়ে হালাল! কোরানে কোথাও সাধারণ নারীদের ব্যাপারে এই কথা বলা হয়নি, শুধু এতীম মেয়েদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে আর সাথে কোরানে 'যদি' শব্দটি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ যদি এরুপ আশঙ্কা দেখা দেয় যে এতীম মেয়েদেরকে নিরাপদে রাখা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না তাহলেই শুধু তাদের বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ চার পর্যন্ত। কিন্তু নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করতে পারলে বিয়ের অনুমতি নেই! সাধারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে তো আরও নেই।
কোরাণ একে শর্ত-সাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে মাত্র একটা জায়গায়, সুরা নিসা’র ৩ নম্বর আয়াতে − “এতিমদের তাদের সম্পদ বুঝাইয়া দাও। খারাপ মালামালের সাথে ভালো মালামালের অদল-বদল করিও না। আর তাহাদের ধনসম্পদ নিজেদের ধনসম্পদের সাথে সংমিশ্রিত করিয়া তাহা গ্রাস করিও না। নিশ্চয় ইহা বড়ই মন্দ কর্ম।

আর যদি তোমরা ভয় কর যে এতিম মেয়েদের হক যথাযথভাবে পূরণ করিতে পারিবে না, তাহা হইলে সেই সব মেয়েদের মধ্য হইতে যাহাদিগকে ভাল লাগে তাহাদিগকে বিবাহ করিয়া নাও দুই, তিন বা চারিটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে তাহাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত আচরণ বজায় রাখিতে পারিবে না তবে একটিই”।

আয়াত ১২৯ − “তোমরা কখনও নারীদিগকে সমান রাখিতে পারিবে না যদিও ইহা চাও” -এর ভিত্তিতে কিছু মওলানা চিরকাল দৃঢ়ভাবে দাবি করেছেন যে, কোরাণ বহুবিবাহ বাতিল করে এক স্ত্রী বহাল রেখেছে। কারণ “ন্যায়সঙ্গত” অর্থাৎ “আদ্ল”-এর মধ্যে পেম্র -ভালবাসাও অন্তর্ভুক্ত যা সমান ভাগে ভাগ করা যায় না। তাঁরা বলেন বিত্তশালী স্বামী চার বৌকে ওজনদরে সমান বাড়ি-গাড়ি দিয়ে রাখলেই বা কি ? সেখানে কি ভালবাসার তাজমহল গড়ে ওঠা সম্ভব ? ভালবাসা কি ভাগাভাগি করার জিনিস ? প্রেমে ভাগীদার গজালে তো মানুষ খুন পর্যন্ত করে ফেলে।

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ। তার আগে আমি কিছু কথা বলি কোরানে তফসীর কারা করতে পারেন। কোরানে তফসীর করতে হলে ১৫ টি যোগ্যতা থাকতে হয় যেগুলো হলো

১) অভিধানিক অর্থ জানা থাকা জরুরী। এর দ্বারা প্রতিটি শব্দের মূল ধাতুগত অর্থ জানা যাবে। হযরত মুজাহিদ (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক ও পরকালকে বিশ্বাস করে তার জন্য সকল আরবী শব্দের অভিধানিক অর্থ জানা ছাড়া কুরআনের ব্যাখ্যা ও এর তাফসীর করা কিছুতেই জায়েয নয়। মাত্র কয়েকটি শব্দার্থ জানাও এর জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ অনেক সময় একই শব্দ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়। আর হয়তো বা সে মাত্র একটি অর্থ জানে অথচ শব্দটি অন্য অর্থে ব্যবহৃর হয়েছে তার জানা অর্থে ব্যবহৃর হয় নি।
২) আরবী ব্যাকরণ জানা থাকা জরুরী। অর্থাৎ আরবী ব্যাকরণশাস্ত্রে অভিজ্ঞ হওয়া জরুরী। কারণ জের জবর ও পেশের পরিবর্তনে বাক্যের অর্থও পরিবর্তন হয়ে যায়। আর তা জানা আরবী ব্যাকরণের উপর নির্ভর করে। যেমন কেউ মুজাহিদগণের সম্মান বাড়ানোর জন্য এ আয়াতের অর্থ করল যে, وكفى الله المؤمنين القتال আল্লাহকে পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র যুদ্ধ করাই মু'মিনের জন্য যথেষ্ট হবে।
৩) আরবী শব্দ প্রণালী বিদ্যায় পারদর্শী হওয়া। কারণ গঠনপ্রণালীর ভিন্নতার কারণে অর্থের মধ্যেও পরিবর্তন এসে যায়। ইবনে ফারেস বলেন, যে ব্যক্তি ইল্‌মে সরফ শিখে নি সে অনেক কিছু হারিয়েছে। আল্লামা যমখশারী (রহ.) তাঁর তাফসীর "আযূবাতে'আসরী" নামক কিতাবে লিখেছেন, কোরআন পাকের আয়াত, يوم ندعو كل أناس بإمامهم অর্থঃ "যেদিন আমি প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নেতার সাথে উপস্থিত করব"। ইল্‌মে সরফ জানে না এমন এক ব্যক্তি এই আয়াতের অর্থ করল, যেদিন আমি প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার মায়ের সাথে ডাকব। আয়াতে (إمام) ইমাম শব্দ এক বচন, কিন্তু ইলমে সরফ না জানার দরুন সে এটাকে (أم) উম্মুন শব্দের বহুবচন মনে করে মাতার অর্থে ব্যবহার করেছে। (উম্মুন অর্থ মাতা) অথচ ইলমে সরফের জ্ঞান থাকলে সে জানত (أم) উম্মুন এর বহুবচন (إمام) ইমাম ব্যবহৃত হয় না।
৪) ইল্‌মে এশতেক্বাক্ব জানা জরুরী। অর্থাৎ শব্দের ধাতুগত প্রভাব জানতে হবে। কেননা ভিন্ন ভিন্ন ধাতুর কারণে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন (مسيح) শব্দটি (مسح) ধাতু হতে বের হলে অর্থ হবে স্পর্শকারী ও কোন জিনিসের উপরে ভিজা হাত মর্দনকারী, আর (مساحت) ধাতু হতে নির্গত হলে অর্থ হবে কোন জিনিস মাপা ও এর পরিমাণ নির্ণয় করা।
৫) ইলমে মায়ানী জানা থাকা জরুরী। যা দ্বারা বাক্যের অর্থের জোড় মিলসমূহ জানা যায়।
৬) ইলমে বয়ান জানা থাকা জরুরী। যা দ্বারা বাক্যের স্পষ্ট ও অস্পষ্ট হওয়া ও বাক্যকে তুলনা করা এবং ইশারার মাধ্যমে কোন বিষয় বুঝিয়ে দেয়া ইত্যাদি বিষয়ের অবস্থা জানা যায়।
৭) ইলমে বাদী জানা থাকা জরুরী। যা দ্বারা বাক্যের সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। এই তিনটি বিদ্যাকে ৫, ৬, ৭, নং ইল্‌মের সমষ্টিকে বালাগাত বা অলংকার শাস্ত্র বলা হয়। তাফসীরের জন্য এগুলো অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যা। কারণ কোরআন পাকের সাহিত্য ও ভাষা এত উচ্চাঙ্গের এগুলো এর দ্বারাই প্রমাণিত হয়। যার মোকাবেলা করতে কাফেররা চিরদিন অক্ষম রয়েছে।
৮) ইলমে কিরাআত জানা থাকা জরুরী। এটাও তাফসীরের জন্য একটা জরুরী বিদ্যা। কারণ ক্বিরাতের ভিন্নতার কারণে অর্থও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে এবং একটা অর্থ অন্য আরেকটা অর্থের উপর প্রাধান্য পায়।
৯) ইলমে আকাঈদ জানা থাকা জরুরী। এটাও তাফসীরের জন্য অতীব জরুরী বিদ্যা। কেননা কোরআনে এমন কিছু আয়াত রয়েছে যা জাহেরীভাবে আল্লাহ পাকের ব্যাপারে ব্যবহার করা সঠিক নয়। যেমন এ আয়াত يدالله فوق ايديهم অর্থাৎ সাহাবাগণের হাতের উপর আল্লাহ পাকের হাত রয়েছে।
১০) উসূলে ফিকহ জানা থাকা জরুরী। যা দ্বারা শরীয়তের মাসআলা বের করার দলীল প্রমাণ জানা যায়।
১১) শানে নুযূল জানা থাকা জরুরী। অর্থাৎ আয়াত নাযিল হওয়ার কারণ জানা। এর দ্বারা আয়াতের আসল অর্থ স্পষ্ট হয়ে যাবে। অনেক সময় শানে নুযূল জানা ব্যতীত আসল অর্থ বুঝা যায় না।
১২) নাসেখ আয়াত ও মানসুখ আয়াত জানা থাকা জরুরী। অর্থাৎ রহিতকারী ও রহিত আয়াত কোনটি তা জানা থাকা জরুরী। পরিবর্তনকারী ও পরিবর্তিত আয়াত সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা থাকতে হবে। যাতেকরে শরীয়তের উপর আমল করা সঠিক অর্থে হয়।
১৩) ইল্‌মে ফেকাহ জানা থাকা জরুরী। অর্থাৎ ইসলামী আইনশাস্ত্রের জ্ঞান পরিপূর্ণভাবে থাকতে হবে। কেননা শাখাগত মাসআলা দ্বারা তার আসল অর্থ বুঝা যায়।
১৪) ইল্‌মে হাদীস জানা থাকা জরুরী। অর্থাৎ কোরআন পাকের সংক্ষিপ্ত বর্ণনার ব্যাখ্যা যে সমস্ত হাদীস দ্বারা হয় তার বিস্তারিত অর্থ জানা যায়।
১৫) ইল্‌মে লাদুন্নী পাওয়া জরুরী। সর্বোপরি আল্লাহ প্রদত্ত বাতেনী ইল্‌ম হাসিল হওয়াও নিতান্ত জরুরী। এটা আল্লাহ পাকের বিশেষ অনুদান। যা তাঁর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দাদেরকে তিনি দান করে থাকেন।

এটা শরীয়তি বিধান অনুসারে। ওপরোল্লিখিত যে যোগ্যতা গুললোর কথা আছে সেগুলো আসলে অস্বীকার করার মতো উপায় নেই যদিও আপনি বলবেন কোরানে বলা আছে আল্লাহ এটাকে পাঠিয়েছেন সবার বোঝার জন্য স হজ করে আবার তিনি এও বলেছেন সমসয়ায় পড়লে হাদিসের স্মরনাপন্ন হতে এবং আলেমদের কাছে যেতে। রাসুল সাঃ এর জীবন প্রনালী আমাদের সামনে উদাহরন হিসেবে রেখেছেন। তিনি যদি সত্যি গায়েবী জ্ঞানের অধিকারী হতেন তাহলে হাদিস অনুসরন করতে বলতেন না আর উপরোল্লিখিত ব্যাপারগুলো সেই হাদিস অনুসরন করেই নির্ধারন করা হয়েছে। ইতিহাস তাই বলে। এখন আপনি যদি এগুলো না মেনে নিজের মতো করে তাফসীর করে গোমরাহী পথে এগুতে চান সেটা আপনার বিষয়।

আমার স্বল্প মাদ্রাসা শিক্ষার জ্ঞানের আলোকে সেই রিস্কে না গিয়ে আমি সর্বজনস্বীকৃত তাফসীর অনুসরন করি যেগুলোকে ডিবাঙ্ক এখনো কেউ করেনি। ইবনে ক্বাথীরে যা বলা আছে নবীজির সীরাত হিসাবে আমি তাদেখেই আপনার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য লিখছি।

"কোরানে কোথাও সাধারণ নারীদের ব্যাপারে এই কথা বলা হয়নি, শুধু এতীম মেয়েদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে আর সাথে কোরানে 'যদি' শব্দটি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ যদি এরুপ আশঙ্কা দেখা দেয় যে এতীম মেয়েদেরকে নিরাপদে রাখা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না তাহলেই শুধু তাদের বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ চার পর্যন্ত। "

আপনি নিসার যে তিন নম্বর আয়াতের কথা বলছেন সেটা নাযিল হবার খবর জানা যায় আয়েশা বর্নিত একটা হাদিস থেকে যেখানে তিনি এক পিতৃহীনা বালিকার কথা বলছিলেন যার কিনা বেশ ভালো পরিমানে ধন সম্পদ ছিলো এবং যাকে বিয়ে করা হয়েছিলো দেন মোহর ছাড়াই তার মৃত পিতার রেখে যাওয়া ধন সম্পদের লোভে। আবার এর কিছু দিক সত্যতার রেয়াত পাওয়া যায় উম্মে সুলায়ে রাঃ এর রেয়াতে যেখানে নবী সাঃ এর কাছে আবু আইয়ুব রাঃ তার স্বীয় পত্নিকে তালাক দিতে চাইলে নবী সাঃ জানতে চান সে আসলে এতিম কিনা। তিনি সরাসরি বলেন এক তালাকে পাপ। এই আয়াতের মূল অর্থ হলো যদি কোনো এতিমের অভিভাবকের দায়িত্ব আপনার ওপর পড়ে এবং আপনার মনে যদি কামনা বাসনা জাগে তাহলে বিয়ে করে ফেলেন উপযুক্ত দেন মোহর ধার্য করে। আপনার যদি পূর্ববর্তি স্ত্রী থাকে এবং সে যদি সন্তুষ্ট থাকে তাহলে তার অনুমতির দরকার নাই কারন সে জন্যই ১২৯ নম্বর আয়াতে বলেছেন "তোমরা কখনও নারীদিগকে সমান রাখিতে পারিবে না যদিও ইহা চাও”

এখন অনেক মৌলানা ধর্মকে নিজেদের মত করে অনেক ব্যাখ্যা দিয়েছেন যার ফলে আসল ইসলাম হারিয়ে গেছে এবং ৭২ ফেড়কা চালু আছে এবং সমাজে ফেৎনার সৃষ্টি হইছে। ইসলামে ব হুবিবাহ কখনোই রদ বা বাতিল করা হয়নি। একটা আয়াত তার নাযিলের প্রেক্ষাপট এবং সে অনুযায়ী নবী সাঃ সাহাবায়ে কেরামরা কি অনুশীলন করেছে এবং তার ওপর কি নির্দেশ সেসব উপেক্ষা করে নিজের মন মতো করে তাফসীর করেন তাহলে তো ভাই আপনারা মুসলমান হয়ে ইসলামের পবিত্র নির্দেশ অমান্য করছেন, তাই নয় কি?

যদি তারপরও আপনি বিতর্ক করতে চান সেটা আপনার বিষয়। আমি ভাই বিশুদ্ধ ইসলাম কি বলে সেটা খুজবার জন্য প্রথমে কোরান তারপর তা বোঝার জন্য কোরানে তফসীর এবং তার স হী সীরাত তারপর স হী হাদিস সমূহ অনুসরন করি। ফতোয়াও বেছে বেছে গ্রহন করি যেগুলো কিনা স হী হাদিসের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। তবে দ্বারী বা জঈফ বলতে যে আমরা সাধারন্যে যে ধারনা আছে পুরোপুরি বাতিলের ক্ষেত্রে সেটাও ভুল। কারন সেগুলো রেয়াতের সমস্যাই শুধু নির্দেশ করে কিন্তু কোরানের যাবতীয় আয়াত ও নবিজী সাঃ এর সীরাতের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। আমরা যারা ভুল করি তারা মাঝে মাঝে ভুলে যাই যে নাসুখ মানসুখ বলে কিছু টার্ম আছে কোরানের বেলায় যেটা আমি এই কমেন্টের প্রথম দিকে ১৫ টা নির্দেশনার মধ্যে উল্লেখ করেছি।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১০| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

রসায়ন বলেছেন: আরবি শালারা মেয়ে ছাড়া কিছুই বোঝে না ।

০৮ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১১| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

সিগন্যাস বলেছেন: অতিকায় পোষ্ট

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৩৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জ্বি ভাই, আলোচনা যুক্ত পোস্ট। তারপরও অনেক তথ্য দেয়া হয় নাই, অনেক কথা বাকি আছে।

ধন্যবাড মন্তব্যের জন্য

১২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

ত্রিকোণমিতি বলেছেন: সুন্দর আলোচনা!




[অফ টপিক - সামুতে নতুন লেখালেখি করছি, সময় থাকলে আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসার অনুরোধ রইলো। আমার ব্লগ

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অবশ্যই, লেখা লেখি চালিয়ে যান। নিজের স্বার্থেই। কমেন্ট না পেলেও চালাতে থাকেন। যুক্তি দিয়ে কিভাবে লেখা লেখি করতে হয়, নিজেকে কিভাবে শানিত করতে হয় তার চেস্টা করুন, নিজের উন্নয়ন করুন।

১৩| ০৮ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ইসলামের কথা না বলে ধর্মের কথা বলি- ধর্ম মেয়েদের স্বাধীনতা দেওয়ার চেয়ে বেশি স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে বেশি।

০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার কথাটা ঠিক। এজন্য যে ইসলাম বেশ পরে আবির্ভূত হয়েছে কিন্তু প্রাচীন আমলের ধর্ম গুলো আরো বর্বর ও নিষ্ঠুরতায় পূর্ন ছিলো। বলতে পারেন প্রানীজগতের মতো ধর্মেরও বিবর্তন হয়েছে।

আর মেয়েদের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়াটা হচ্ছে শোষন পূর্ন সমাজ ব্যাবস্থা তৈরী করার প্রথম ধাপ। আমরা সে সমাজ জন্মগতই পেয়েছি বলে আজকে যদি শোষনের নামে প্রান্তিক জন গোষ্ঠি থেকে শুরু করে নিম্ন বিত্ত বা মধ্যবিত্তদেরকেও শোষন করতে থাকি তাহলে সেটা নিয়েও কেউ কিছু বলবে না, কেউ একতাবদ্ধ হবে না। এভাবেই ধর্ম তৈরী হয়েছে শোষকের হাতিয়ার সুসংহত করার জন্য।

মোহাম্মদ সে হিসেবে বুদ্ধিমান ছিলো, এবং সে এটা করতে পেরেছে কারন রোমান সম্রাজ্যের অবিচার, কোরাইশ দের সাথে পাশাপাশি গোত্রের বিরোধ, সামাজিক অবিচার ও প্রহসন মূলক প্রথা সেখানকার বঞ্চিত ডাকাতেরা আলোর বর্তিকার দেখা পায়। আর নারীদের এমন নিকৃষ্ট ব্যাব হার করেই সে তার সহ যোগীদের মন রক্ষা করতো আর সবার মধ্যে খোদায়ীভীতি এমনভাবে ঢুকাতে সক্ষম হয়েছিলো যে যেসব নারীরা তার দ্বারা ধর্ষিত এবং অত্যাচারিত বা নিঃস্ব হয়েছিলো তারাও তাকে বিশ্বাস করা শুরু করলো।

এরকম মানসিক ভাবে ভেঙ্গে দিয়ে সমস্ত কিছু নিজের করে নেয়া শুধু ইসলামেই নয়, হিন্দু ইহুদী খ্রিস্টান সব ধর্মেই ছিলো আরো প্রকাটাকারে।

আমি যেহেতু মুসলিম ছিলাম, মাদ্রাসা শিক্ষা দিয়ে আমার পড়ালেখা শুরু হয়েছিলো তাই আমার পক্ষেই ইসলাম নিয়ে লেখাটাই সবচেয়ে স হজ।

আর এটা বিশ্বাস করি যে যদি কেউ পরিপূর্ন স হী ইসলাম জানবে তার সামনে শুধু দুটো রাস্তা এক ইসলাম বিদ্বেষী হওয়া এবং দুই আইএসআইএসের মতো কট্টর জঙ্গি হওয়া।

তাই স হী ইসলাম জিনিসটা কি এবং তার ভয়ংকর রূপটা কিরকম সেটা নিয়েই লিখতে বসেছি এবং আপনাকে আগে থেকেই বলতে পারি আমার লেখার ভুল কেউ ধরবে না, মানুষ পেচাবে, না পেরে গাললি দিবে কিন্তু বলতে পারবে না রেফারেন্স দিয়ে সুস্পস্টভাবে যে আপনি ভুল বলছেন

১৪| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দীর্ঘ তবে জ্ঞান গর্ভ পোস্ট। আপনার ইসলাম ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে বিস্মিত।

০৯ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কারন ১ বছর আগে ইসলাম পরিপুর্ন জানার জন্য কোরানের সকল তফসীর, সীরাত এবং হাদিসের প্রায় সকল খন্ড সমূহ যোগাড় করি এবং সেগুলো পড়ার চেষ্টা করি। যখন পড়া শেষের দিকে তখন মনে হলো ঈশ্বর অবশ্যই আছেন কিন্তু তার ধর্ম ইসলাম নয়। একটা মিথ্যা বর্বর ধর্ম ঈশ্বরের হতে পারে না।

হয়তো একদিন আপনিও সেই সাহস সঞ্চয় করে স হী ইসলাম জানার জন্য সবকিছু আদ্যপান্ত পড়া শুরু করবেন। হয় জঙ্গি হবেন নাহলে ইসলাম বিদ্বেষী হবেন।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১৫| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২২

বিজন রয় বলেছেন: এত প্যাঁচানো পোস্ট দিলেন কেন?

০৯ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: স হী জিনিসের মাজেজা বোঝানোর জন্য

১৬| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৭

স্োরনাভ বলেছেন: বলিলেন, অনেক দেশে নারী বেশী পুরুশ কম, তাই বহু বিবাহ করা দরকার। জনাব ভুয়া তথ্য না দেই, মোটামুটি তুরস্ক ছাড়া এমন কোন মুসলিম দেশ নাই যেখানে নারী বেশী পুরুশ কম। নারী বেশী শুধু উন্নত দুনিয়ায়। আপনার যুক্তিতে মনে হচ্ছে নারীদের এখন বহু বিবাহ করা দরকার।
যৌনদাসীর ক্ষেত্রে কি মাসালা? মারিয়া কিবতিয়া খৃষ্টান যৌনদাসী ছিলেন বলে আমার ধারনা।

০৯ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:১৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মারিয়া কিবতি যৌনদাসী ছিলো। তাকে বিয়ের আগে নবী মোহাম্মদের কুকর্ম ধরা খায় হাফসা ও আয়েশার কাছে। তখন সে একটা আয়াত ডাউনলোড করে। এসব ইতিহাস আমি পরের পোস্টে বলবো। নারীদের সাথে তথাকথিত নবীর কি বিধান এমন কেমন আচরন এবং মুসলমানরা কেন শুধু বিশ্বাসের জন্য নিজের মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দেয় সেসব নিয়ে আরো ডিটেলস লেখা হবে যাতে মানুষ স হী ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারে।

আর নারীদের সংখ্যা বেশী এটা আমার বক্তব্য নয়, ক্বাথীরের তফসীর পড়তে পারেন। ইসলামী স্কলারদের ছেলেমানুষী যুক্তিগুলো পড়তে পারেন। আপনি যে ভুল ধরেছেন, ওপরের সবাই যে আরো প্রতিবাদ করছে এটা শুধু শুরু স হী ইসলামের বিরুদ্ধে

১৭| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এক্ষুনি রিকু পাঠাচ্ছি। তবে চিনতে পারেন কিনা দেখি। আমার ফেবু আইডি অরিজিনাল নামে.......

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ইয়াপ

১৮| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: দিন দিন আমরা কোন দিকে যাচ্ছি... রাস্তা ঘাটে যদি এমন অমানুষিক কার্য করতে থাকি তাহলে পশুরাও মানুষ দেখে মুখ লুকাবে...

১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:০০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: রাস্তার কুকুর গুলো মানুষ দেখলে ডরায়। আর এখানে কুকুরগুলো মানুষের চোখে চোখ পড়লে লেজ নাড়াতে নাড়াতে আসে, খেলা শুরু করি। বেঞ্চে বসলে কবুতর, সীগাল, টুইটের দল সব এক সাথে এসে হাজির হয় কখন হাতের রুটি বাদাম ছুড়ে দেবো। বৃদ্ধদের অবসর সময় এভাবেই কাটে। নদী বা সাগরের পাড়ে গেলে মাছগুলো আপনার সামনে হাজির। মুখ খুলে হা হা করবে। এটা কিন্তু অক্সিজেনের অভাবে খাবি খাওয়া নয়, এটা পরম বিশ্বাসের বিষয়। এসব বিশ্বাস তৈরী করতে এদের ধর্মের প্রয়োজন হয়নি। এদের মানবতা বোধ, সত্যবাদীতা ও চরম নৈতিক আদর্শ এরকম জাতীতে পরিণত করেছে। তাই তো দেখেন মুসলমানদের পেটে একটু বিদ্যা পড়লেই এসব দেশে আসার জন্য পাগল হয়ে যায়, যেকোনো মূল্যে এদেশের পাসপোর্ট বাগাতে চায়।

পরিসংখ্যানে দেখেন সবচেয়ে বেশী ইমিগ্রান্ট হয় মুসলমানদের দেশ থেকেই এবং বাংলাদেশের অভিবাসীদের সংখ্যা শীর্ষস্থানেই।

১৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: বিতর্ক চালিয়ে যাবার জন্য আপনার পোস্ট প্রাসঙ্গিক, যথেষ্ট শক্তিশালী; আর, নিজের পরিচয় প্রকাশে বলেছেন তাবৎ কোরআন, হাদিস আরো বহুকিছু অধ্যয়নের পর আপনি ইসলাম ছেড়েছেন!! বাহ! সত্যিই সেলুকাস! ইসলাম ধর্মের অনুসারী মানুষ হিসেবে আপনি আপনার পরিবারের উপর কী কতটুকু অন্যায় করেছিলেন যা আপনাকে পথভ্রষ্ট করলো তা ব্যাখ্যা করে আরো একটা পোস্ট দিবেন। আপনি যেই জাতীয় হেদায়াতী পোস্ট দিচ্ছেন তাদের সংখ্যা " আমার ব্লগ" এ বেশী। অথবা, আপনি এখানেও ঐরকম ধর্ম প্রচারের জন্যে এখানে একবার ওখানে একবার নাম পালটে লিখে থাকেন? আপনার আলোচনায় আসব। আসলে সময়ের অভাবে পুরোটা পড়া হয়নি; যতটুকু পড়েছি তাতে আপনার লেখার মেরিট এবং ইন্টেনশনটা ধরতে পেরেছি। সম্পূর্ণ না পড়ে আগাম মন্তব্য করাটা শোভন হবে না তাই পুরো মতামত আপাতত স্তগিত। আপনার লেখার ডাউন লাইনে লিখব পরে আশা করি। ওই ব্লগের অনেক গুণীদের!! আমি চিনি!!

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্রিং ইট অন বেবি! জীবনে আমার অনেক ভুল ছিলো, সমস্যা থেকে পালিয়েছি। অধিকার আদায়ে গলতি করছি। কারন দিন শেষে আমিও মানুষ আর মানুষ বলেই ভুল করেছিলাম। চেস্টা করছি সেসব শুধরাবার এবং যে কজন প্রিয় আপন মানুষ আমাকে ঘুরে আছে তারা সবই তা জানে। লুকোবার কিছু নাই। আপনি কি লিখে কি করবেন করেন গিয়া। আপনার থ্রেট মারনের আগেই ফেসবুকে এসব লিখে ফেলেছি। যদিও আইডি পোলাপান রিপোর্ট মেরে গায়ের করে দিছে।

যেহেতু আমি নবী মোহাম্মদের মতো নিজেকে নবী রাসুল দাবী করি নাই সেহেতু নিজের ভুল স্বীকার করার হ্যাডম আছে। আর সহী ইসলাম নিয়ে লেখাতেও সমস্যা সেটা দেখে অবাক হলাম। এখানে আমি নবী মোহাম্মদ বা ইসলামকে গালি দেই নাই বা কাউকে ব্যাক্তি আক্রমন করি নাই বরংচ আমি সহী ইসলামের প্রচার করছি। আপনাদের এতেও চুলকানী?

বুঝলাম না পাগল কে.... আমি না ইইউ এর প্রেসিডেন্ট না সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী !!

২০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: বিচার মানি তবে তালগাছ আমার টাইপের যুক্তি দিয়ে আর কানকে চোখ ঠাউরে বসে থাকলে ভাই আর সমাধান হবে না। তবে, আপনার লেখা দেখে মনে হয় আপনি হয়তো মুসলমান ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন আর কোরআন হাদিস ও পড়েছিলেন না হলে এগুলো জানলেন কীভাবে? আমার ভাষা তেমন ভালো না তবে, আপনাকে আমি থ্রেট দেয়নাই। থ্রেট যারা দেবার তারা দেয়। আমি থ্রেট দিলেতো আপনার সাথে যুক্তি তর্ক করতে আসতাম না। রাগ বা গোস্যা এবং অশালীন ভাষা প্রয়োগ করে কাউকে গালী দিয়ে সহিহ ইসলাম অনুসন্ধান করার প্রয়াস নিঃসন্দেহে চরম আশ্চর্যবোধক চিহ্ন ভাই! আমি কিছু করার জন্য লিখবো বলিনি। আপনার খোড়া যুক্তিগুলো খন্ডানো যায় কী না সেরকম ভাবছিলাম আর কী ভাই!! যাই হোক আপনার লেখা প্রিয়তে রেখেছি, পড়ব আর ভাবব। ধন্যবাদ আপনি একটা সুন্দর কোরআনের অনুবাদের সাইটের লিংক দিয়েছিলেন বলে। ভালো থাকুন। যেহেতু পড়া লিখা করেন, হয়তো একসময় হেদায়েত পেয়ে ফিরে আসবেন। ইসলামে আপনার মতো কৌশুলী লোকেদের খুব প্রয়োজন। তবে, বিদ্যা, বুদ্ধি, প্রজ্ঞা সবগুলোকে ডানদিকে রেখে চলেন হয়তো মঙ্গলই হবে। অনেক শুভকামনা।

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তাইলে আমার ব্যাক্তিগত, আমার ব্লগ সহ কি না কি নিয়ে লিখবেন কইলেন, অনেকটা মুখোশ খুলে দেয়ার মতো ব্যাপার স্যাপার আওড়াইলেন।

শুনেন, সহী বিশুদ্ধ ইসলাম নিয়ে লিখতেছি। আপনারা যা পারেন না, করা উচিত কিন্তু করেন না, যেটা পড়া উচিত কিন্তু পড়েন না, সেটা আমি একজন ইসলাম বিদ্বেষী হয়ে করছি। লেখার কোথাও ইসলাম নবী মোহাম্মদ রে একটা গালি দেই নাই। তো সমস্যা কি? তার ওপর এ্যাপোলোজিস্টরা যেসব উল্টা পাল্টা দেয় সেটারও কাউনিয়ার দিয়ে দিচ্ছি। আপনাদের তো আমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।

কিন্তু তা না, আসছেন সমালোচনা করতে। কৈ কিছু পাইলেন ভুল? ফুটা কিছু আছে? পারলে পাশের মাদ্রাসা থিকা কুনো আলেম বা মুফতীরে ডেকে এনে তারে পড়ান। দেখবেন সে সবার আগে জিগাইবো আমি কুন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করি। যদি তারে আগে বইলা না থাকেন আমি এক্স মুসলিম।

বাজি লাগেন দেখেন কে জেতে

২১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:০৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: + পরের পর্বেও আছি... আপনার অনেক পোস্টই পড়ি তবে মন্তব্য করা হয় না।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনে সেই অস্ট্রিয়ান মেলেটারীর রিফাত ভাই না?

২২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:১০

অনল চৌধুরী বলেছেন: ইন্দ্র,রাম,ভরত মুনি,লক্ষণ,অর্জুন,মেনকা,রম্ভা,উর্বশী-এদের লুচ্চামি সম্পর্কে কিছু লেখেন না কেনা?
নাকি 'র এর নিষেধ আছে? হু আজাদ তার মেয়ে অার ছাত্রীদেরও বিছানায় নিতে চেয়েছিলো।

এদের সবকিছু জায়েজ,তাইনা?

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সহী ইসলাম নিয়ে লেখা। এখানে কোথাও ইসলাম সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করা হয়নি। পোস্টে যদি ভুল থাকে উল্লেখ করুন শুধরে দেবো। আর হুমায়ুন আজাদের ব্যাপারটা কোথায় পাইছেন... একটু জানান। আপনারা জিপিএ ৫ জেনারেশন, আপনারা হলেন জাতীর লজ্জা যেমন লজ্জা আমাদের নাহিদ ।


যাই হোক রেফারেন্সের জন্য অপেক্ষা

২৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৩৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: অাপনি তো নকলবাজ জেনারেশন।তাই নিজের ভুয়া ছবি দিয়ে রেখেছেন।হয় অাসলটা দেন,না হলে কোনটাই দিয়েন না।
হু আজাদ-তসলিমা চক্রের মতো একটা ধর্মের দোষ খোজার এতো শখ,অন্যগুলির ব্যাপারে কথা নাই কেন?

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই রেফারেন্স দেন। নকল করে পাশ করছি না না দেখে পাশ করছি সেটা চুয়েট বুয়েট ডিইউ তে গিয়ে একবার নকল করে প্রমান করে দেখান। তারপর উচ্চশিক্ষা করতে আইসেন, বৈদেশে নিজের ফিল্ডে জব আর ব্যাবসা কইরেন, তারপর বইলেন।

এখন বেশী কথা না বলে রেফারেন্স দেন যে হু আজাদ তার মেয়ে অার ছাত্রীদেরও বিছানায় নিতে চেয়েছিলো।

২৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৩৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: অার অামি ১৯৯১ এর এসএসসি ব্যাচ।তখন জিপিএ চালু হয়নি।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জ্বি, তখন ৫০০ এর সময়। এলাকার ফটকা, রাস্তার ছাগল আর গুলিস্তানের ক্যানভাসাররা সেই সময়কার। ৯৩ তে তো ক্রমিক পাল্টায়া দিছিলো। লজ্জার ব্যাপার হলো আপনাদের ৫০০ অবজেক্টিভের ক খ গ ঘ এই ক্রমিকও পরিবর্তন করতো না। সবাই মুখস্থ করতো অমুক প্রশ্নের উত্তর ক, নাইলে গ। ৯১ থেকে ৯৫ আজ পর্যন্ত এমন কোনো বড় ভাই পাই নাই যে যারা গর্ব করে বলে আমরা ৫০০ ব্যাচ। আপনারা তো জিপিএ ৫ এর থিকাও ডাউন গ্রেড

দেন এইবার রেফারেন্স দেন।

২৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:২৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: বয়স কম তো ,তাই ইচড়ে পাকামি করে সব কিছু বেশী বোঝার স্বভাব।অবজেক্টিভ চালু হয় ১৯৯২ থেকে।
অার ডিগ্রী দিয়ে লেখক হওয়া যায় না।ওটা হতে অালাদা মেধা লাগে।
তসলিমা অার হু অাজাদের নকল করলেও সবাই তাদের মতো টাকা অার পরিচিতি পায় না।

লুচ্চামির প্রমাণ দিলাম।

বাংলা সাহিত্যের অশ্লীল ও
কুরুচিপুর্ণ লেখার জনক। সারাজীবন ধর্মের প্রতি
বিষোদগার করে গেলেও মৃত্যূর পর ধর্ম
মেনে ঠিকই তার জানাজা ও কবর দেয়া হয়েছে,
সে এটাই চেয়েছিল কারন মুখে নাস্তিকতার বড় বড়
বুলি আওড়ালেও মৃত্যূ পরবর্তী জীবন নিয়ে
সম্ভবত সে ভীত ছিল। মেয়ে মৌলি আজাদের
ভাষায়-
মাত্রাতিরিক্ত সেক্সের প্রাধান্য থাকতো বাবার
উপন্যাসে। তাই মাঝে মধ্যে বিরক্তই হতাম
হুমায়ুন আজাদের কুখ্যাত কিছু উক্তি-
এক একটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে
দেখি। মাঝারী স্তন আমার পছন্দ, সরু মাংসল উরু
আমার পছন্দ
চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে ।
কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমারহাত-পা বাঁধা
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইংগামের মতো
চাবাতে ইচ্ছে করে।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:১৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ৯১ এর পাশ করে যে তুমি বুরবাক হইছো সেটা তোমার রেফারেন্সিং দেখেই বুঝলাম। প্রবন্ধ টা কার কই ছাপাইছে এইসব না দিয়াই রেফারেন্স। আর চাইলাম হু আজাদ কার জবানীতে বলছে তারও কোনো খবর নাই। বলি তখন তো ানুষ জাইঙ্গায় ভইরা নকল করতো তুমি কেমনে করতা?

২৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:২৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: জাতীর!!! বিরাট পন্ডিত !!!!!
ধর্ম বিরোধিতা ছাড়া লেখা কই?

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এইজন্যই ৯১ ব্যাচের মূর্খ। বলি পোস্টে ইসলাম বিরোধী কি লেখাটা আছে সেটা তো দেখা? বুড়া বয়সে এসে জুনিয়র পুলাপানের গালি শুনতেছে বলি সেল্ফ ডিগনিটি কি জসিম রাহমানিরে দিয়া আসছো নাকি? আর আমি লেখক কুন হালায় কইলো? স্বপ্নদোষ নাকি?

২৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৩৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: বস্তির টোকাইরা ব্লগেও ঢুকে পড়েছে।
... রা দূর থেকেই ঘেউ ঘেউ করতে পারে,সামনে আসার সাহস কোনদিও পায়না।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৪৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হ, এক মুখে জামাতরে ছাগু আরেকদিকে হয়রানের পেজ সদালাপ থিকা কপি তাও আবার জামাতী পিয়ালের। ডবল স্ট্যান্ডার্ড না মিথ্যুক না মুখোশ পড়া শয়তান এইটা চিন্তার বিষয়। বলি বুড়ো ধামড়া হইছো কয়টা টাকা খরচা কইরা মৌলী আজাদ ও হু আ এর ১০০০০ ও একটি ধর্ষন বইটা কিন্যা নিজে পড়। এই বুদ্ধি লইয়া আইছো নিজের ধর্ম বাচাইতে।

এইজন্যই বলে ৯১ এ নকলের এত প্রকোপ ছিলো যে ডট সিস্টেমের অবজেক্টিভ বাইর করে নকল বন্ধ করার জন্য। অথর্ব ব্যাচ

২৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের চমৎকার উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ফিরে আসার জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.