নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগের এ্যারোডাইনামিক্স

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

প্রথমে শুরু করি প্রাগৈতিহাসিক সময়ের একটা গল্প দিয়ে।

তখন ডাক্তার কবিরাজ পথ্যের চল ছিলো না। মোড়ে মোড়ে পীর বাবা মাশায়েখরা ছিলো অসুস্থ মানুষের শেষ ঠিকানা। তো হঠাৎ একদিন এলাকায় আবির্ভাব হলো বিশেষ এক বাবার আগমন: - পাঁদ বাবা। এই বাবার বিশেষত্ব ছিলো উনি রোগীকে একলা জানালা দরজা বন্ধ ঘরে নিয়ে যাবেন। বাবা থাকবেন এক কোনায় রোগী থাকবেন আরেক কোনোয়। রোগী ঘরের এক কোনায় বসে কিছু পাঁদ মারবেন বাবা আরেক কোনো থেকে তা শুখে বলে দেবেন কি অসুখ আর কি দাওয়াই। ব্যাপারটা ডিসগাস্টিং শোনালেও তার দাওয়াইয়ে কাজ হওয়া শুরু করলো। তার পেদো ফার্মেসীর একটা স্লোগানও আছে,"পেট ঠিক তো দুনিয়া ঠিক!" তার অসুধেরও একটা সিক্রেট আছে। অম্বলের জন্য থানকুনি পাতার জুড়ি নেই। সে থানকুনি পাতা, অরহর, অরলের পাতা আর অশ্বথ্থ গাছের ছালের স্ম্যাশ করে তার সাথে মধু আর মিসরীর পরিমান বাড়িয়ে কমিয়েই বিভিন্ন নামে বিভিন্ন অসুখের পথ্য হিসেবে বিক্রি করতো। প্রথম প্রথম ব্যবসা মন্দা থাকলেও তার ভাড়াটে লোকের মারমার গল্পের কাটকাট গুজবে চারিদিক থেকে অসুস্থ মানুষের লাইন লাগা শুরু করলো। সমস্যা হলো পাদঁ বাবাও মানুষ। একসময় তিনি লক্ষ করলেন দিনে ১৫-২০ জনের বেশী লোড নিতে পারতেছেন। এদিকে লাইনের এমন অবস্থা যে দিনে ৭০-৮০ জন রোগী হয়ে যাচ্ছে। এসিস্ট্যান্ট হিসেবে দুজন রেখেছিলেন। একজন সকাল বেলা কাজ শুরু করে দুপুর বেলাতেই হার্ট এ্যাটাক করে ভবলীলা সাঙ্গ করে। আরেকজন দুদিন কাজ করে তিনদিনের দিন নদীতে ঝাপ দেয়। তো লোকজনকে বুঝ দেয়া হইছে যে বৈবাহিক জীবনে সমস্যার কারনে হতাশা, আর সেই হতাশা থেকে এই মৃত্যু। পাছে না তার পাঁদ ফার্মেসির ব্যাবসা লাটে ওঠে।

এদিকে পাঁদ বাবার শারীরিক মানসিক অবস্থা অবনতির দিকে যেতে থাকে। চিন্তা করলেন, মালপাতী ভালোই কামানো হইছে। জান বাচলে বাপের নাম, তাই সকাল বেলা সূর্য্য উঠার আগেই ভাগতে হবে। যেই না ভাবলেন তখনই দেখলেন দরজার সামনে বিশাল সেনাবাহিনী যার মধ্য মণিতে বসে আছে রাজা। রাজাকে দেখে ভড়কে গেলেন আমাদের গুনধর পাঁদবাবা। ঘটনা হলো রাজা কিছুদিন আগে পাশের রাজ্যে গিয়েছিলেন ঘুরতে। সেখানে জম্পেশ খাওয়া দাওয়া শিকার হয়। কিন্তু সেই খাওয়া দাওয়ায় রাজার পেটে গন্ডগোল শুরু হয়। রাজার বক্তব্য ষড়যন্ত্র করে বিষ খাওয়ানো হইছে। এ নিয়ে দুই রাজ্যের যুদ্ধ লাগে লাগে অবস্থা। এখন রাজার পেটের গন্ডগোলের ওপর নির্ভর করছে দুই রাজ্যের বাচা মরা আর এই বাচামরা ঠেকাতে পারে আমাদের পাঁদবাবা। ঘটনার ওজন আঁচ করতে পেরে পাঁদ বাবা চিন্তা করলেন আর মাত্র একজন রোগী, হোক না সে রাজা, সেও মানুষ, ব্যাপার না। রাজাকে নিয়ে গেলেন সেই বিশেষ কক্ষে। তো দুজন কক্ষে ঢোকার পর রাজাকে বলা হলো,"জাহাপনা, মন খুলে হাসুন, আর পেট খুলে পাদুন!" তো সময় অতিবাহিত হয় কিন্তু পাঁদ বাবা কিছু আচ করতে পারলেন না। এদিকে রাজা ভ্রূকুঞ্চিত চিত্তে জবাবের আশায় পাঁদবাবার দিকে তাকিয়ে আছেন। পাঁদবাবা হঠাৎ কিছু একটা বুঝতে পেরে রাজা মশাইকে শুধালেন,"হে জাহাপনা, আপনার সুগন্ধিযুক্ত রাজকীয় পোশাক ভেদ করে রাজকীয় পাঁদ বের হতে পারছে না এই ঘরের বায়ুমন্ডলে। জাহাপনার যদি আজ্ঞা হয় আপনার কটিদেশ আলগা করেন আর আমি কাছাকাছি এসে শুখে রোগ নির্নয় করিতে পারতাম!" অন্য সময় রানী অথবা হেরেমের খাস সুন্দরীভিন্ন অন্য কেউ তার কটিদেশ খুলতে বললে তৎক্ষনাৎ কল্লা কেটে সেটা দিয়ে ফুটবল খেলতেন। কিন্তু অবস্থা এখন শোচনীয়। তাই মহারাজা রাজী হলেন। যাই হোক , রাজা তার পশ্চাদ উন্মুক্ত করলেন এবং পাঁদবাবা তার নাক সে বরাবর ধরলেন। রাজা কিছুক্ষন চেস্টা করে আর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারলেন। পাঁদের সাথে আরো কিছু তিনি ছেড়ে দিলেন সরাসরি পাঁদবাবার মুখের ওপর সজোরে। আকস্মিক ভারী বর্ষনে পাঁদবাবা দম বন্ধ হয়ে ওখানেই খিচ মেরে পটল তুললেন।

ব্লগে প্রতিদিন যতগুলো পোস্ট হয় তার ৮০ শতাংশই কবিতাই। সামান্য বৃষ্টি পড়া থেকে শুরু করে, রাজনীতি, ভালোবাসা, ভালো লাগে না, কি করতাম ইত্যাদি বিষয়ে কবিতার অভাব নেই। আসলে কবিতা লেখাটাও সহজ। ছন্দের সাথে ছন্দ জুড়ে দিলেই কবিতা হয়ে যায় এ যেনো সবার মনের মধ্যে গেথে গেছে। আবার ৭০-৮০ এর দশক থেকে যে গদ্যকবিতা লেখার চল চালু করেছিলেন হেলাল হাফিজ, শামসুর রহমানেরা সে ধারায় অনেকে অনেক কিছু লিখে ফেলেন। সমস্যা হলো কাকের চেয়ে দেশে যদি কবির সংখ্যাই বেশী হয় তাহলে সবাই তাদের নাম জানছে না কেন?

একটা সময় আমি নিজেও কবিতা লিখতাম তবে তা অনেক আগের। তখন কম্পিউটারের দাম ছিলো লাখ টাকার ওপর এবং প্রসেসর ছিলো পেন্টিয়াম ২। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে লাখ টাকা খরচা করে কম্পিউটার কেনা সম্ভব নয় বলেই কবিতা লিখে রাখতাম খাতায়। এক সময় দেখতে দেখতে প্রচুর কবিতা জমলো। এবং কবিতা লিখতেও যেনো আলসেমী শুরু হলো। তখন আমাদের স্কুলের বাংলার শিক্ষক বার্ষিক ম্যাগাজিনে কবিতা বিষয়ক একটা প্রবন্ধ লিখলেন। ওখান থেকে জানতে পারলাম শামসুর রহমান তার গদ্য কবিতায় মাত্রার ভেতর দিয়ে শব্দের অনুপ্রাস এবং ভাবের অনুপ্রাস কিভাবে সৃষ্টি করেন। সেরকম কিছু স্যাম্পল কবিতার নাম দিলেন। আমি তার একটা বই জোগাড় করলাম। তখন দৈনিক জনকন্ঠে তার নিয়মিত নতুন কবিতাগুলো ছাপানো হতো। তখন দেখলাম তার শব্দের অনুপ্রাস শুধু গড়পড়তায় ধারাবাহিক ছন্দ মেলানো নয়। এর মধ্যে একটা বৃত্তিয় ছন্দের মিল আছে। তার মানে প্রথম তিন মাত্রায় যে ছন্দ দিয়ে উনি শুরু করেছেন শেষে উনি সেই মাত্রার মিল রেখেই শেষ করেছেন। আবার যেসব কবিতা বেশ সাধারন ভাবে শব্দের অনুপ্রাস অনুপস্থিত রেখে লিখে গেছেন তার মধ্যে ভাবের আন্তঃমিল প্রকট। এবং উনি এটা করেছিলেন কবিতাতে সাবলীলতা আর আভ্যন্তরীন যে অভিব্যাক্তি সেটাকে আরো সম্প্রসারিত করতে।

স্বভাবতই তার মতো এরকম ধারা যে আর কেউ লিখতে পারে সেটা জানা ছিলো না। কারন সব কবিরই নিজস্ব একটা ধারা আছে। শামসুর রহমান শব্দ, ভাবের আন্তঃমিল নিয়ে যে নিজস্ব গবেষনাকে একটা কাঠামোর ভেতর এনেছিলেন সেটা আবিস্কার করে মুগ্ধই হয়েছিলাম। সমসাময়িক উঠতি কবি ময়ূখ চৌধুরীর নাম না উল্লেখ করলেই নয় তবে উনি ছিলেন বেশ রূপক নির্ভর। এটা তার নিজস্ব একটা ধারা। আমি নিজেও সে ধারায় লিখতে চেস্টা করলেও আন্তঃমিল, অনুপ্রাস ঠিক রাখতে গেলে কবিতার সাবলীলতা থাকে না। আবার নির্দিস্ট একটা ঘটনার বর্ননার মধ্যে নিজের চিন্তা চেতনা বুনে দেয়া ব্যাপারটা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ছিলো। তাই কবিতা লেখা বন্ধ রাখি। কারন কবিতা যদি আমি নির্দিষ্ট ফ্রেমওয়ার্কে বন্দি করি তাহলে সেখানে মনের ভাব রুদ্ধ হয় কিন্তু সে কবিতা অন্য কেউ পড়ে মজা পাবে না। কারন আমার মন তার মন এক নয় এবং মস্তিস্কের আলোড়ন ঘটাবে না। কিন্তু সেই কবিতা তখনই অন্যের জন্য সুখকর হবে যখন সেটা তার জন্য সুখপাঠ্য ও আনন্দদায়ক হবে।

এরপর ব্লগে এসে অনেকের কবিতা পড়লেও ব্লগার কাশাফউদ্দৌলার কবিতা আমাকে মুগ্ধ করেছিলো যদিও সে যখন ব্লগে সময় দিয়েছিলো তখন আমি বেশ অনিয়মিত ছিলাম। তার কবিতা ছিলো ভাববাচ্যে পাঞ্চলাইন নির্ভর। কথা ও শব্দের মুন্সীয়ানায় ছন্দের কোনো দরকার ছিলো। এই শিল্পটা রপ্ত করা হয়নি। যদিও কবিতার ভাষায় এসব পাঞ্চলাইনের অন্য নাম আছে, কিন্তু মূখ্য ব্যাপার হলো এসব শব্দের মুন্সিয়ানা বুননে পাঞ্চলাইন গুলো খুব জনপ্রিয় হতে সময় লাগেনি।
এতো গেলো বাংলা ভাষার কবিতা, ইংলিশটা আমার সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ হওয়াতে তার সাহিত্য একটু কম পড়া হয়েছে তবে টেড হিউজ কিছু পড়েছিলাম। এমিনেমের লিরিক্সে চোখ বুলিয়ে যখন তার ভেতরের আন্তঃমিল, যেগুলো কোনো ধারাবাহিক ছন্দ মেনে চলে না কিন্তু মিউজিক আর বিষয়বস্তুর জোর যার ওপর পড়ে, ঠিক তখনই একটা মিল এটা আমাকে ভাবতে বাধ্য করে যে লিরিক্স আগে না মিউজিকটা আগে তৈরী করেছিলো সে নাকি দুটোই যুগপৎ! এটা একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার কারন গানের ক্ষেত্রে অবশ্যই লিরিক্সের ওপর সুরারোপ করা হয়। মাঝে মাঝে সুর আগে তৈরী করে গানটা বসানো হয়। গতানুগতিক নিয়ম এটাই। র‌্যাপের মধ্যে এরকম ভাব ও মিউজিকের মিলের ফিউশন এমিনেমের র‌্যাপগুলো চুম্বকের মতো আকর্ষন করে।

কিন্তু ব্লগে এখন যারা লিখছেন তারা না মানছেন সেই ব্যাকরন না মানছেন সেই সাবলীলতা। মাঝে মাঝে যুক্তাক্ষর যুক্ত করে পুরো কবিতার টেস্ট মেরে দেন। তবুও যে কেউ ভালো লিখছেন না তা নয়। বরংচ আমি বলবো কাশাফদ্দৌলার অভাব পূর্ন করতে না পারলেও কেউ কেউ তাদের নিজস্ব ঢং এ চেস্টা করে যাচ্ছেন। তবে বেশীর ভাগ চর্বিত চর্বন এবং দু লাইন পড়েই উগড়ে দিতে মন চায়। এসব কবিতার দুই ছত্র পড়ে আমার ব্লগের মডুর কথা মনে হয়। মনে হয় ব্যাটা এমন সারাদিন এসব চর্বিতচরন কিভাবে পড়ে হজম করে। তার সাথে ওপরের গল্পের আংশিক মিল পেলাম।

তবে তার মানে এই না যে ব্লগে কবিতা লেখা বন্ধ হবে। কারন যতই লেখা হবে সেগুলো একসময় নিজেই পড়বেন এবং বুঝতে পারবেন এটাকে আরো কিভাবে উন্নতি করা যায়। একসময় হুমায়ুন আহমেদ ইমদাদুল ছাড়া নতুন কোনো লেখক খুজে পাওয়া ছিলো দুস্কর। আর এখন হুমায়ুন আহমেদের জায়গা অনেকেই দখল করে নিতে চাচ্ছে। হয়তো কোনো একটা বই হিট হলে আমরা বলতে পারবো আমরা এ যুগের হুমায়ুন পেয়েছি। এবং ১০০ ভাগ নিশ্চিত যে আগামীর বেশীরভাগ লেখক তৈরী হবে এই ব্লগ থেকে।

আমার মনে হয় ব্লগে আরো বেশী সংখ্যক লেখা আসা উচিত শিল্প সাহিত্য নিয়ে। যদিও মডু বাবাজির স্বাস্থ্য হানী ঘটার সমূহ সম্ভাবনা আছে, কিন্তু একটি জাতীর সুকুমারবৃত্তীর বিকাশে এরকম একটা প্লাটফর্মের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সচলায়তন সহ বেশ কিছু ব্লগে এরকম লেখা কিছু পাওয়া যায় বৈকি!

তার আগে আরেকটা গল্প বলে নেই। একবার জানতে পারলাম কোনো একসময়, যার সাথে আমি ডেট করছিলাম সে নাকি ভালো গান গাইতে পারে। তার ফেসবুক ঘেটে পিয়ানো গীটারের ছবি দেখে তাই মনে হলো। মনে মনে প্রমাদ গুনলাম সেই ক্ষন কখন আসে। তো আমি ভুলেও গান বাদ্যের টপিকে যাই না। তো একদিন সেই বললো আমাকে গান গাইতে। আমি উত্তরে বললাম আমার না আছে গলা, না আছে সুর জ্ঞান না আছে স্কেলের কনসেপ্ট। তারপরও জোর করে গাওয়ালো। যখন গাইলাম দেখলাম আশপাশের লোকজন চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। এমন ভাব যে পরিবেশ দূষনের জন্য পুলিশে কল করবে। আমি তো লজ্জায় লাল। সেও। আমি বললাম ফের যদি কইছো গান গাইতে।

তার পর সে কিছু অডিও দিলো। অডিও শুনে মনে হলো গানের ধর্ষন করেছিলাম আমি, আর সে করলো হত্যা। তাকে ইনডাইরেক্টলি জিজ্ঞেস করলাম একদিন তোমার এ্যাজমা আছে? সে না বললো। তারপর একদিন বললাম কিছু দিন জগিং করো। সে বললো টাইম নাই। যদিও সে বুঝলো না যে এসব করলে তার গলার গায়কীতে ভালো হতো। এরপরও তার গান ব হুবার শুনতে হয়েছে এবং শোনার পর আমি উদ্বাহু প্রশংসা করেছি। যদিও আমার নিজের কাছেই খারাপ লেগেছে যে আমি মিথ্যা বলেছি। কিন্তু তার কখনো বদনাম করিনি। ব্লগে আমার আচরন স্পস্টবাদী হলেও বাস্তব জীবনে আমি বেশ অন্তর্মূখী এবং শান্ত। হতে পারে এটা সুইডীশ কেতা!

সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলেও দেখতাম সে আগের মতোই গাচ্ছে, কোনো উন্নতি নেই। আগের চেস্টাটা হারিয়ে গেছে। হয়তোবা আমার বলা উচিত ছিলো এভাবে করো, এভাবে চেস্টা করো। উন্নতি কিছুটা হতো বা সে নিজে আরও ভালো করতে পারতো। কিন্তু একসময় সে গান গাওয়াটা বন্ধ করে দিলো। এতে হিতে বিপরীত হলো সে যখন ফ্রি হয় তখন চরম ডিপ্রেশন / এংজাইটিতে ভোগে। অনেকদিন পর লুকোচুরী করে তার প্রোফাইলে ঢুকে সমসাময়িক চেহারা দেখে আতকে যাই, জীবনে এমন কিছু ঘটছে যে সে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রন হারাচ্ছে।

কিন্তু যদি সে ঐ গানটাকেই একটু ভালো করে গাইতো, সামনে এগোতে পারতো। জীবনের আপস এন্ড ডাউনে তাকে সাঙ্গ দিতেও সাহায্য করতো। যেটা তার হয়নি। এরকমই হয়। একসময় পরিবেশ বন্ধু নামের এক ব্লগার ছিলেন। একটু অন্যরকম, লোকে তাকে নিয়ে খুব মজা করতো। একবার তো মডু আর সামুকে কঠিন থ্রেট দিলো। সবাই ভয় পাবার বদলে চরম মজা করলো। লোকে তাকে অনেক সাঙ্গ দিলো। তিনি প্রচুর কবিতা লিখতেন। মাঝে মাঝে দুয়েকটা ভালোই হতো। কিন্তু এখন তিনি হারিয়ে গেছেন। জানি না কোথায় আছেন।

আমরা শখের বসে যাই করি না কেন একসময় এগুলো খুব বেশী কাজে দেয় যদি সেটাকে আমরা আনন্দ নিয়ে করি এবং এর উৎকর্ষতার দিকে মনোযোগী হই। আমরা যদি এগুলো শানিয়ে নেই, তাহলে জীবনের কোনো ডাউনটাইমে এগুলো খুব সহায়তা করতে পারে, এমনকি আপনার নিজের ব্যাক্তিত্ব ও ক্যারিয়ার জীবনে অন্য রকম মোড়ও ঘুরিয়ে দিতে পারে। এর জন্য উচিত শখের এসব জিনিস নিয়ে প্রচুর পড়া। এসব জ্ঞান, অভিজ্ঞতা একান্তই আপনার নিজের সম্পদ। কোনো কারনে জীবনের টানপোড়েনে সবকিছু হারিয়ে ফেলেন, দেখবেন আপনার এই শখের জিনিসটা কাজে দিয়েছে, নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছে।

তাই লিখতে ভুলবেন না ভাত খেতে ভুলে গেলেও, বেশী বেশী লিখুন। যেদিন ব্লগের মডুকে পাঁদবাবা বানিয়ে দিতে পারবেন সেদিন মনে করবেন আপনারা সফল!

আর আপনারা যারা আধুনিক কবিতা রীতির কলা কৌশল, ভেতরের কারিগরী আর কবিদের সব গোপন টেকনিক সম্পর্কে অবহিত হতে চান তাহলে ফারিহান মাহমুদ ভাইয়ের এই লিংকে ক্লিক করুন। মোবাইল থেকে পেজটি নাও খুলতে পারে। মোবাইলে ফুল ভার্সন ব্যাব হার করলে পোস্ট টি দেখতে পাবেন নতুবা ডেস্কটপ বা ট্যাবে খুলে দেখতে পারেন।

হ্যাপী ব্লগীং!

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

রানা আমান বলেছেন: বেশি বেশি লেখার আগে অন্যদের লেখাও একটু পড়া দরকার ।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন কথা বলছেন। যদি না পড়েন যতই ভালো লেখেন আপনার লেখাও কেও পড়বে না। আপনা ব্লগ লেখালেখির দ্রুত যবনিকাপাত হবে

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

অপ্‌সরা বলেছেন: উফ প্রথম প্যারা পড়তে গিয়ে তো আমার বমি এসে যাচ্ছিলো! পরে চোখ বুজে নেক্সট প্যারাগুলোয় গেলাম!

ঠিক ঠিক আনন্দময় কাজগুলো থেকে বিরত থাকার কোনোই মানে নেই।


জীবন মানেই কাজ! আর আনন্দময় ব্যস্ততা আমাদেরকে আনন্দে ভাসিয়ে রাখে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মাঝে মাঝে ডিসগাস্টিং জিনিস দিয়ে গৌন কিন্তু প্রয়োজনীয় কথাগুলো বলার ধারা চালু করে দেখতে মন চায় এর প্রভাব কি.. তবে মানুষের জন্য শখের কাজের চর্চা করে কতটা যে সুখকর ও জরুরী তার সর্বোৎকৃস্ট উদাহরন আপনি।

আছেন কেমন?

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

অপ্‌সরা বলেছেন: ঠিক ঠিক শখের কাজের মাঝেই বেঁচে থাকি আমি নব নব আনন্দে। :)

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার কাছ থেকে শেখার আছে অনেক কিছু। ভাবছি আগামী বছর গানের দিকে ঢুকবো। হেল্প লাগবে কিন্তু তখন

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

বিজন রয় বলেছেন: হুমমমম

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হুমমমমম

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: একটা ত্রিমাত্রিক কমেন্ট করলুমঃ
সেদিনের মন্তব্যটা কি পড়েছিলেন? (আপনি পোস্টটা সরিয়ে ফেলেছিলেন! সম্ভবত চাঁদগাজীও)

১. আপনার লেখার সারমর্ম কি?
২. সিনিয়র হিসেবে আপনার প্রতি আমার একটা সন্মান ছিল। সেটা হয়তো আপনি নিজের কারণেই হারাবেন!!

৩. ধর্ম ও রাজনীতি বিষয়ে আপনাকে কেন জানি জ্ঞানপাপী(হয় ঠিকমত বোঝেন না, নয়তো বেশী বোঝেন) বলে মনে হয়। আপনার কী মত?

৪. বাচ্চার পিক দিয়ে রেখেছেন কেন? বাচ্চারা তো নিষ্পাপ, আপনি তো খাটাশ!!:P

5. ল্যাপটপটা নষ্ট। কে যে বদদোয়া দিল??:(
৬. ভিসার মেয়াদ কি শেষের দিকে?:P


সামহোয়্যার ইন... ব্লগ ব্যবহারের শর্তাবলী মেনে চলুনঃ
★ উদারতা:

ব্লগ ব্যবহারের নিয়মকানুন এবং শর্তগুলো মনে রাখুন। অন্যদের সেভাবে দেখুন, নিজেকে এখানে যেভাবে দেখতে চান।

★সহনশীলতা:
বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত প্রকাশের এটি একটি খোলা জায়গা। ধর্ম, রাজনীতি বা সাংস্কৃতিক দিক থেকে চিন্তাধারা এবং মতামতের ভিন্নতা থাকবেই। তবে অবশ্যই তা আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক নয়। এক্ষেত্রে সকলের সহনশীলতা একান্ত প্রয়োজন।

পুনশ্চঃ
আপনার সাথে আমার তর্ক, বিতর্ক ঝামেলা কোনটাই আমি করবো না। মন্তব্য করতে ইচ্ছে করলো তাই করলাম।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: না মন্তব্য গুলো পড়িনি। ঐ লেখাটির সারমর্ম হলো সত্য জিনিসটা ভালো মন্দের সাপেক্ষে বিচার করলে তার মর্যাদা হারায়। সত্য যত রূঢ় হোক সেটা মেনে নেয়া উচিত। আবেগ দিয়ে সত্যকে বিচার করলে ঠকতে হয়। আর বিশ্বাস অনেকটা এমন যে যে জুলু বিশ্বাস করে তার আত্মিয়ের মৃতদেহ খাওয়া মানে তাকে ধারন করা তাকে আপনি কিছুতেই বোঝাতে পারবেন না যে এটা ভুল ধারনা। আপনাকে তখন যুক্তির আশ্রয় নিয়ে নিজের কর্মপন্থা ঠিক করতে হবে।
আমি এখানে ব্লগ করতে এসেছি ভোটে দাড়াতে আসিনি। নিজের সঠিক অবস্থানের কারনে সম্মান হারাতে যদি হয় সেটা অনেক কম। নাস্তিক সক্রেটিস তার বিশ্বাস আর দর্শনের কারনে বিষ খেতে হয়েছিলো সেখানে সম্মান খুব বেশী কিছু না। গ্যালিলীওর কথাটাও আমরা বলতে পারি। যদি আমি সে লেভেলের কেউ না, তবে আমি যুক্তি দিয়ে সত্য বিচার করতে পছন্দ করি এবং এটা আমার জন্মগত অধিকার। আমার এহেন আচরনে আপনার ধর্মানুভুতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে দুঃখিত

আমি ভাই পুঁথিগত উপাত্তে বিশ্বাসী। শুধু রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারনে আমাকে দলের সকল গর্হিত কাজ মেনে নিতে ববে এটা আমার দ্বারা সম্ভব না। খারাপ খারাপই। এখন জ্ঞানপাপী বলেন যাই বলেন করার কিছু নাই। আমি ভোটে দাড়িয়ে আসি নাই

খাটাশ একটা কিউট প্রানী। ধন্যবাদ

ল্যাপটপ বদদোয়ায় নস্ট হয় না। ওএস বা র্যামটা চেক করেন।
১০ বছর থাকি ইউরোপে এখনও ভিসা নিয়ে চিন্তা করতে হবে এই ধারনা কিভাবে পান?


আর ব্লগের নিয়মনীতি। কল একজন লোনার নামের কেউ যারা লিখে ামাকে যা ইচ্ছা বলে পোস্ট করলো এছাড়া প্রতিদিন ধর্মহীন বলে আমার বা আমাদের সম ধারনার লোকদের যা ইচ্ছে তাই বলে যায় তখন আপনাদের মুখে কুলুপ আটতে দেখি এটা নিয়ে কিন্তু আমরা অভিযোগ করছি না। সে হিসেবে সহনশীল কারা সেটা নিজেই ভাবুন

মন্তব্যের জন্য ধনে পাতা

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমি মাঝে মাঝে নতুন ব্লগারদের (যারা এখনো প্রথম পাতায় আসেনি) ব্লগ ঘুরে আসি। তাঁদের মাঝেও শতকরা পঁচানব্বই ভাগ কবি। এরা সবাই যখন ব্লগের প্রথম পাতায় এসে যাবে তখন প্রথম পাতা, এমনকি হয়তোবা নির্বাচিত পাতাও কবিতার ভারে নুয়ে পড়বে।

আমি দেখেছি, বাস্তবে ব্লগে কবিরাই কেবল কবিদের কবিতাকে এ প্লাস দিয়ে যাচ্ছেন। আমি কবিতার ভাব ভাষা তো বুঝিইনা, তার উপরে আধুনিক কবিতার অতি ইঙ্গিতময়তাকে হাস্যকর মনে হয়।

ধন্যবাদ ভাইয়া, চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী একটি লেখা উপহার দেবার জন্য। আপনার লেখনীতে পাঠককে ধরে রাখার মত কিছু একটা আছে। এতো বড় গদ্যময় লেখাটাও বিরতিহীন দৃষ্টিতে পড়ে ফেলেছি।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধনে পাতা সুন্দর মন্তব্যের জন্য। পোস্ট পুরো পড়লে বমি করতেন শিওর। আমি নিজে একবার পড়েই উটকি আসলো। শিটম্যান, কি লিখছি!

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

এমজেডএফ বলেছেন: কয়েকদিন আগে আমি একই বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। প্রথম পৃষ্টায় আসেনি বলে অনেকের চোখে পড়েনি।
লিঙ্কটি দিলাম, সময় হলে পড়বেন। ধন্যবাদ।
সামুর একজন নিয়মিত পাঠকের প্রতিক্রিয়া
কবিতা ব্লগের জন্য এখন রীতিমত সন্ত্রাস! এই সন্ত্রাস রুখতে হবে। বিশেষ করে মান ও ভিত্তিহীন কবিতার সংখ্যা কমাতে হবে। অন্যথায় নতুন কবিদের রিহার্সালের উৎপাতে সামু ভালো লেখক ও পাঠক দুটিই হারাবে।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাপরে! আপনে তো দেখি হেভী সিরিয়াস। কেমনে কি ড্যুড! আপনি কি কবিতাফ্রিক?

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগে যে যা খুশি লিখুক। লেখালেখি করা তো খারাপ না। অশালীন কিছু না লিখলেই হলো।
৮০ টা ৮০০ কবিতা আসুক তাতে সমস্যা কি?
যে যেরকম পারে সেরকমই তো লিখবে। সবাই তো আর ভালো লিখতে পারে না।
তারা অগোছালোভাবে লিখতে লিখতে একদিন তাদের লেখা সুন্দর হবে।
তাদের উৎসাহ দেন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কিন্তু উৎসাহের কথাটা পড়ে মনে হলো আপনি পুরোটা না পড়েই কমেন্ট করেছেন। আমিও মাঝে মাঝে পোস্ট না পড়েই কমেন্ট করি। প্রথম প্রথম ধরা খেতাম কিন্তু এখন আর খাই না। বরংচ অনেক লেখায় আমার কমেন্ট দিয়ে অনেক সিরিয়াস আলোচনা শুরু হয়ে যায়।

ভালো থাকবেন এবং ধৈর্ষ্য শক্তি বাড়ান। ইমরানের ১৪৬ নম্বর আয়াত অনুসারে আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন যারা ধৈর্য্য ধরেন। কোরানটা নিয়মিত তেলোওয়াত করার অভ্যাস করুন

৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহা। হাসলাম এবং আপনার সূক্ষ্ম রসবোধে মুগ্ধও হলাম। পাঁদবাবা'র পরিণতিটা আঁচ করতে পেরেছিলাম বলে ঐ ভয়াবহ পরিণতিটা এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু যতটা বীভৎস বর্ণনা আশা করেছিলাম, ততটা হয় নি বলে রক্ষা পেয়েছি :)

কবিদের তের হাত নিতে দেখে ভেবেছিলুম আপনি খুব কবি-বিধ্বসী, কিন্তু নিজেই প্রচুর কবিতা পড়েছেন/লিখেছেন জানতে পেরে সেই আশঙ্কা দূর হয়েছে। কবিতার উপরে যে সিরিয়াস অংশটা লিখেছেন, ওটুকু বেশ কংক্রিট। 'অনুপ্রেষ' কী শব্দ? প্রথম শুনলাম। 'অনুপ্রাস' নামক কবিতায় একটা অলংকার আছে, যেটিকে বলা হয় মিল (শব্দের সাথে শব্দের মিল)। আচ্ছা, 'ভাবের অন্তঃমিল' কাকে বলে, একটু উদাহরণ দিয়ে যদি বোঝাতেন। এটাও আমি আজ প্রথম জানলাম। অবশ্য, পৃথিবীতে এক কণার চাইতেও তো কত কম জানি, তাই বেহেশতে যাওয়ার পরও অনন্ত কাল ধরে অনেক কিছুই প্রথম জানতে বা দেখতে থাকবো :)

কাসাফোদ্দৌলা নোমান (নোমান নমি) খুব ভালো কবিতা লিখতেন। ঐ সময়ের কিছু আগে এবং কিছু পরেও অনেক ভালো কবি ছিলেন এই ব্লগে।

আপনার অবজার্ভেশনের সাথে আমি একটু দ্বিমত করে বলছি যে, দেশের কবির সংখ্যা কাকের সংখ্যার সমান না, পিঁপড়ার সংখ্যার সমান। আপনি কবিতা লেখা বাদ দিলেও আমি সেখানে যুক্ত হওয়ায় এই সংখ্যাটি কমছে না :(

বর্তমানে কবিতার সংখ্যাই বেশি, কত পার্সেন্ট হবে সেটা আর আন্দাজে বললাম না, তবে যে-কোনো সময়েই প্রথম পাতায় কবিতার আধিক্য/প্রাধান্য দেখা যায়। কিন্তু জাস্ট এই মুহূর্তে সোনাবীজের কবিতাটা ছাড়া আর কোনো কবিতা প্রথম পাতায় নেই- আশ্চর্য ঘটনা।

আমার যদ্দূর মনে পড়ে, আপনার কবিতা আমি ব্লগে পড়েছি। ভুলও হতে পারে। আপনার গদ্য সাবলীল এবং উৎকৃষ্ট। ব্লগে আমি কবিতা/কৌতুক/রম্য একটু বেশি পড়ি সময় কম লাগে এবং আমার সময় কম বলে। আপনার সময় থাকলে দিশেহারা রাজপুত্র, আহমেদ জী এস, আরণ্যক রাখাল, মাহবুবুল আজাদ, জাহিদ অনিকের কবিতা পড়বেন; আমার ভালো লাগে, আপনার প্রত্যাশা পূরণ হবে কিনা জানি না। বিএমবরকত উল্লাহ'র ছড়া আর সনেট কবি'র সনেট পড়ে দেখতে পারেন। আরো অনেক কবি আছেন, আমি নিয়মিত নই বলে তাদের কবিতার উপর সঠিক মূল্যায়ন করতে পারছি না।

আপনার সেই তাহার চেহারাটি পরিবর্তন হওয়ার একমাত্র কারণ আপনি। তেব্র নেন্দা গেপন করিতেছি।

কবিতা তাহলে আপনিও লেখেন। মডুবাবাকে নিয়ে আপনার না ভাবলেও তো চলে :)

ছন্দ সম্পর্কে যা বললেন, তার সাথে মিলিয়ে দেখতে চাইলে পড়তে পারেন এটি- বাংলা কবিতার ছন্দ – প্রাথমিক ধারণা

পোস্ট ভালো লেগেছে। শুভেচ্ছা।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার দেয়া লিংকটি আপনার অনুমতি ছাড়াই পোস্টে সংযুক্ত করলাম। আমার নিজের জন্য এটা প্রিয়তে লিখলাম। কবিতা লেখার এত সুন্দর হ্যান্ডবুক ব্লগ লেখার জন্য আপনাকে পুরস্কার দেয়া উচিত। আপনার কস্টের জন্য এই ব্লগের সকল উঠতি ও পাড়খাওয়া কবি সবাই ঋনী।

আমার মনে হয় চেহারার কথা বলতে আপনি প্রাক্তন স্ত্রীর কথা বলছেন। আসলে সত্যি করে বলতে আমাদের দুজনেরই যথেষ্ট ভুল ছিলো এবং একসময় আমরা উভয়েই ডিসিশন নিলাম যে আমাদের আলাদা হয়ে যাওয়াই ভালো। যদিও মাঝে একবার রিকনসাইল হবার সুযোগ এসেছিলো কিন্তু আমি আর সে পথে যাই নি। এখন সে সুখেই আছে। কিছু দিন আগে তার নতুন জীবন সঙ্গীর সাথে রাশিয়াতে ওয়ার্ল্ড কাপ দেখে আসলো। তার কয়েকবছর আগে আমার কাজে তার কিছু ডিজাইন কিনে কাজে লাগিয়েছিলাম। যদিও সে আর ডিজাইন করে না, আর যতদূর জানি তাদের বর্ষপূর্তিতে দেশের বাইরে হানিমুনে গিয়েছে। আমি সবসময় তার শুভ কামনা করি।

আর পোস্টে লেখা যার কথা বলছি আসলে এটা আমার একাধিক কাছের মানুষের ঘটনা। জীবনে একসময় প্রচুর নারী সঙ্গ এবং সম্পর্কে জড়িয়েছিলাম। তাদেরই একটা জেনেরিক রূপ ঘটনা আকারে পেশ। নির্দিস্ট কারো ঘটনা বললে সে হয়তো অস্বস্তি বোধ করবেন, তাই ঈষৎ পরিবর্তিত।

আর মডুবাবাকে নিয়ে আমার ভাবনা নেই, উনি যথেষ্ট স্ট্রং। আমি চাই সবাই এতো লেখুক যে মডুবাবা পাগল হয়ে যায়। তখন ব্লগ আগের মতো আরো কমবে। আপনার মনে আছে কিনা জানি না ২০০৮-২০০৯ এর দিকে গড়ে পোস্ট ছিলো দৈনিক ১০০ এর ওপরে। তখনকার লেখার মানও ছিলো ভালোই।

১০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


নীচুমান ও নীচুমনের পোষ্ট

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি যদি এই বয়সে পোস্ট না পড়ে জিপিএ ৫ জেনারেশনের মতো কমেন্ট করেন, তাহলে নিজের নামের প্রতি কেমন সুবিচার হবে? আপনিই তো কিছুদিন আগে ব্লগের পোস্ট ও কমেন্টের মান নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন। আমার এই পোস্ট টির অর্থ তো সেমই!

আপনার মেন্টাল ডিস্টার্বেন্স কি ফিনান্সিয়াল নাকি পারিবারিক?

১১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



হৃদি বলেছেন- আমি দেখেছি, বাস্তবে ব্লগে কবিরাই কেবল কবিদের কবিতাকে এ প্লাস দিয়ে যাচ্ছেন। আমি কবিতার ভাব ভাষা তো বুঝিইনা, তার উপরে আধুনিক কবিতার অতি ইঙ্গিতময়তাকে হাস্যকর মনে হয়।


বাহ! বেশ বেশ! আমি তো আপনাকেও কবিতায় গদগদ হতে দেখেছি! আমার কবিতায় আমি কি তবে আদিমযুগের লেখেছিলাম! ও এম জি! ভাগ্যিস আধুনিক লেখিনি! থ্যাংকস!


০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে কবিতা হলো মনের ক্ষনিকের অনুভূতির বিচ্ছুরণ তাই আধুনিক প্রজন্মের অনেকেই স হসা ভুলে যায় মানসিক চাঞ্চল্যের সময় কি লিখেছিলো সে ব্যাপারে। এটা হয়

১২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


উদাস ভাই শুরুতে হেসেছি। তারপর....




ঝেড়ে কেশেছি....

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:১৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কপাল ভালো শুধু কেশেই ক্ষান্ত দিয়েছেন। রাজার মতো নিয়ন্ত্রন হারালে আরেক সমস্যা হয়ে যেতো

১৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

অপ্‌সরা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কাছ থেকে শেখার আছে অনেক কিছু। ভাবছি আগামী বছর গানের দিকে ঢুকবো। হেল্প লাগবে কিন্তু তখন


হায় হায় তুমি গান শিখলে তো বিপদ ভাইয়া!!!!!!!!! :(

গান নিয়ে তখন গবেষনায় লেগে যাবে!

সেই গবেষনার বিষয়বস্তু আমিও না হয়ে যায় আর চিরদিনের জন্য বোবা না হয়ে যাই ! ভয়ে আছি!!!!!


আর চাঁদগাজী ভাইয়ার কমেন্ট দেখে হাসতে হাসতে মরলাম!

ভাইয়াও মনে হয় আমার মত ফার্স্ট প্যারা পড়ে বমি করেছে! :P

ভাইয়ারও মনে হয় আমার মত ওসিডি আছে! :P :P

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:২৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ওসিডি দেখি ব্লগে মহামারী আকার ধারন করতেছে

১৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১১

অচেনা হৃদি বলেছেন: @ভ্রমরের ডানা, আপনি এখানে কি করছেন? আমার মন্তব্য দেখে ফেলেছেন তাহলে! :((

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:২৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: উনি ভ্রমর...ওনার চোখ ফাকি দেয়া মুস্কিল

১৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


@অপ্‌সরা,

এমন অস্বাস্হ্যকর কথাবার্তা কিভাবে লেখা হয়, কে জানে!

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্লগে যে পরিমান গালি খাইতে হইতেছে তাই এমন একটা অস্বাস্থ্যকর পোস্ট করলাম। যাতে সব ফ্লাস হয়

১৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

আখেনাটেন বলেছেন: তবে বেশীর ভাগ চর্বিত চর্বন এবং দু লাইন পড়েই উগড়ে দিতে মন চায়। এসব কবিতার দুই ছত্র পড়ে আমার ব্লগের মডুর কথা মনে হয়। মনে হয় ব্যাটা এমন সারাদিন এসব চর্বিতচরন কিভাবে পড়ে হজম করে। -- এই শব্দ কয়টি পড়ে আর মডুর অবস্থা
মনে মনে কল্পনা করে নির্মল বিনুদিত হলুম। =p~

৭ং মন্তব্যে এমজেডএফ বলেছেন: কবিতা ব্লগের জন্য এখন রীতিমত সন্ত্রাস! এই সন্ত্রাস রুখতে হবে। বিশেষ করে মান ও ভিত্তিহীন কবিতার সংখ্যা কমাতে হবে। অন্যথায় নতুন কবিদের রিহার্সালের উৎপাতে সামু ভালো লেখক ও পাঠক দুটিই হারাবে। --- ভাইজান তো দেখছি কবিদের প্রতি মারমুখি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এই মুহূর্তে সামনে কোনো কবি পড়লে কবিসাহেবের খবর অাছে। হা হা হা হা।

ওদিকে দেখছি এক মহাকবি ব্লগ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একি আপনার এ্যারোডাইনামিক্সের অ্যারোর ফল নাকি! :P

কবি-ছবি-হবি এ সবি নিয়েই সামুর লবি। কাকের কা কা ছাড়া বন যে নিরব হয়ে পড়বে এটা কি ভেবেছেন? কর্কশ শুনালেও থাকুক সবাই মিলেমিশে। :D

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার নামটা পড়লেই তুতেনখামেনের বাবার কথা মনে পড়ে। ব্যাটা প্রথম সবার বিরুদ্ধে গিয়ে একেশ্বরবাদের উপাসনার প্রচলন করে। ধরা হয় মানবজাতীর প্রথম একেশ্বরবাদের প্রচলন বা প্রবক্তা উনি। পরে এই কারনে তার মৃত্যুর পর তার পুরো বংশকে শত্রু ঘোষনা করা হয়। পুরো বংশের মমি, পিরামিড সব উধাও করে ফেলার চেস্টা করা হয় এবং তাকে শত্রু ঘোষনা করে বহু ঈশ্বরবাদের উপাসনার প্রচলন করা হয়। ঈশ্বর নিয়ে হানাহানি খ্রিস্টপূর্ব কয়েক হাজার বছর আগেই চালু ছিলো

১৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন: আখেনাটেনভাইয়া সেলিমভাইয়া কবিতা ছাড়লে বাঁচতাম। মাঝে মাঝে তার কবিতা পড়ে তার বাড়ির দিকে আমার মিসাইল ছুড়ে মারতে ইচ্ছা করে! X((

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি কি ঐ সেলিম আনোয়ারের কথা বলছেন? ভদ্রলোককে এমনেই আমার বিশেষ পছন্দ না। সুবর্না মোস্তফাকে নিয়ে ওনার একটু ফ্যাটিশ আছে যা মনে হয়

১৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

আখেনাটেন বলেছেন: অপ্‌সরা বলেছেন: আখেনাটেনভাইয়া সেলিমভাইয়া কবিতা ছাড়লে বাঁচতাম। মাঝে মাঝে তার কবিতা পড়ে তার বাড়ির দিকে আমার মিসাইল ছুড়ে মারতে ইচ্ছা করে! -- মিসাইল সরবরাহের দায়িত্ব কোন ব্লগারকে দেওয়া যেতে পারে। এটলিস্ট মিসাইল না হলে জর্দার কৌটার ককটেল হলেও চলবে। সেলিম ভাই এতেই খিঁচে দৌড় লাগানোর কথা (নো অফেন্স সেলিম ভাই)...। হা হা হা।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কাহিনী কি? এবার সে করলো কি?

১৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

নির্বাসিত কবি বলেছেন: কবি আল মাহমুদের কতিপয় কবিতা পড়ার পর আমারও নিজের লেখার প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মায়ছে। তখন মনে হয়ছে কবিতার ক'ও আমার শেখা হয়নি। লেখা ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ :)

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কবি আল মাহমুদ বিক্রীত কবি। যদিও এটা ওনার দোষ না। আমাদের সমাজ কবিদের মূল্যায়ন করতে পারে না। উনি শামসুর রহমান সমসাময়িক একজন অসাধারন কবি। শুধু কবি বললেআ ভুল হবে, আপাদমস্তক সাহিত্যিক। যদিও ওনার কবিতা নিয়ে খুব বেশী গবেষনা করার সময় হয়নি। যতদূর জানি উনি চড়া দামে নিজেকে বিক্রী করে দিলেও কবিসত্বা বিক্রি করেননি। এটা এজন্য যে তার কিছু কবিতায় মেট্রো এলিমেন্ট তখনও বিদ্যমান ছিলো। জঙ্গি বর্বরতার মতাদর্শ তেমন স্পর্শ করেনি।

নির্মলেন্দু যখন পাঁচাটা নির্লজ্জ বাংলাদেশের কবিদের আত্মমর্যাদাকে ধূলোয় মিশানোর মতো কাজ করতে পারে, হতে পারে আল মাহমুদ সেটারই ব্যালেন্স।

তার কবিতার নাগাল পাওয়া আমার সাধ্যের বাইরে। নির্মলেন্দু, মাহমুদ আরও কত কবি....নামও ভুলে গেছি

২০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

লাবণ্য ২ বলেছেন: আমি আগে জীবনানন্দ দাশ ছাড়া অন্য কারোর কবিতা সেভাবে পড়িনি; ব্লগে আসার পর দু-একজনের কবিতা বেশ ভালোই লেগেছে।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জীবনানন্দ দাশ একজন উদাস কবি। মানুষ ট্রাকের তলে নতুবা বাসের তলে চাপা খায়। একটা ভাব থাকে। ব্যাটা কিনা মরলো ট্রামের তলে। যেই ট্রামের গতিবেগ মানুষের হাটার গতির থেকেও কম। বোঝাই যায় উদাসীনতার ডিব্বা ছিলেন।

এটা কি জানতেন যে তার যে এত গুন গ্রাহী, মৃত্যুর আগে তিনি তার কবিতার বই ছাপিয়ে যেতে পারেননি। মৃত্যুর পর ছাপানো হলে তিনি এই খ্যাতিটা পান।

২১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



লেখাটি পড়া শুরু করতেই পড়লাম এমন এক বাবার ফান্দে (অনেকটা ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে...); কিন্তু এই কয়দিনে আপনার অনেকগুলো লেখা পড়ে কিছুটা হলেও আপনাকে বুঝার চেষ্টা করেছি, এজন্য লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়লাম। আপনি যে নিয়মিত কবিতা পড়েন এবং আধুনিক কবিতা লেখার কলা-কৌশল জানেন তা লেখায় স্পষ্ট।

ব্লগের কবিতার মান নিয়ে আপনি যে অভিযোগ করেছেন, তা সত্য না মিথ্যা এ আলোচনায় না গিয়ে বলবো যারা আধুনিক কবিতা লেখতে চান উনারা যেন আরেকটু মনযোগী হয়ে লেখার কলা-কৌশল রপ্ত করে লেখেন। এজন্য নামকরা আধুনিক কবিদের কবিতা পড়া আবশ্যক। বিদেশি কবিতা পড়তে পারলে তো আরো ভাল।

ব্লগে ভাল মানের অনেক কবি আছেন; তবে যে পরিমাণ কবিতা পোস্ট হয় সে তুলনায় ভাল কবিতা হয়তো কম বলে অনেকের চোখে কবিতাগুলো ধরা পড়ে না। আর ব্লগে যারা কাঁচা হাতে কবিতা লেখছেন একটা সময় হয়তো এদের কেউ দেশ বিখ্যাত কবি হবেন; লেখতে লেখতেই মানুষ ভাল লেখক হয়।

তবে কবিদের মধ্যে নিজেকে ছড়িয়ে যাওয়া প্রচেষ্টা থাকতে হবে। কিছুদিন আগে আধুনিক কবিতা নিয়ে ব্লগে এই লেখাটি দিয়েছিলাম। সময় সুযোগে পড়লে খুশি হবো।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্লগে অবশ্যই ভালো মানের কবি আছে। কিন্তু কিছুদিন পর তারা ফেসবুকে ভীড় করেন কারন সেকানে ইন্টারেকটিভিটি বেশি প্লাস ওটা মানুষের নজরে বেশী আসে বলে বিভিন্ন মিডিয়া লাইনে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ আছে। তারপরও ব্লগে ব হু পুরোনো কবি লেখক এখনো লিখছেন সেটা শ্রেফ ব্লগের প্রতি একটি নেশা। এখানে এনোনিমিটি টাই সবচেয়ে বড় কারন

২২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: গদ্য কবিতা আসার পর যে কেউ অন্ত্যমিল ছাড়াই ভাব প্রকাশ করতে পারে। আর ব্লগে দিলেই তা প্রকাশ হবে। তাই কবিদের সংখ্যা বাড়ছে...

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এটা অবশ্যই একটা পজিটিভ দিক। কারন মানুষ নিজে পড়ছে অন্যের সাথে নিজেরটা মেলাতে পারছে আর অনুশীলন হচ্ছে। তবে ব্লগে সবার মান একটা লেভেল পর্যন্ত। মান বাড়াতে হলে বড় কবিদের কবিতা চর্চা ছাড়া এই বৃত্ত থেকে বেরোনো মুস্কিল। সবচেয়ে বড় কথা নিজের একটা ফ্রেম বা কবিতার গঠন তৈরী করা। অন্যের গদ্য বা কবিতা লেখার গঠন অনুসরন করলে সেটা বেশীদিন মানুষ খায় না

২৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০২

সনেট কবি বলেছেন: কবিতা ভাব প্রকাশের সহজ মাধ্যম।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাব প্রকাশের এই স্বাধীনতা যখনই আপনি কোনো ছকে বন্দী করবেন তখনই সেটার সীমাবদ্ধতা প্রকট হয়। মাইকেল মধূসুদনের সমস্যা ছিলো ভাষার ব্যারিয়ার। এমন না যে ইংলিশে ওনার দক্ষতা ছিলো না। অবশ্যই ছিলো কিন্তু ওনার শেকড়টাই ছিলো বাংলা ভাষাতে।

নিজের অস্তিত্বের শেকড় পাল্টাতে সবাই পারে না।

২৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৮

জাতির বোঝা বলেছেন:
কবিতা এতো সহজ কর্ম না।
তবে ভাল গদ্যের আবেদন বেশী।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এটা আপেক্ষিক। যাদের কবিতার প্রতি নেশা আছে, তারা কবিতা নিয়মিত খেতে চান

২৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ইদানিং কবিতা খুব কম লেখা হচ্ছে। পোস্ট আরও কম দেওয়া হচ্ছে।

গল্প, উদাহরন ভালই দিয়েছেন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কবিতা মোটেও কম হচ্ছে না। সকল পোস্টে ক্লিক করলে প্যারা বিহীন গদ্য কবিতার অভাব নাই। এইতো সেদিন কার পোস্টে ঢুকে একটা গল্প পড়ার চেস্টা করলাম। কিছুক্ষন পর বেখাপ্পা মনে হওয়াতে কমেন্টের প্রতিউত্তর দেখে বুঝলাম এটা কবিতা।

হতে পারে আমার নিজের বয়স হইছে তাই আধুনিক জামানার সাহিত্যর বিবর্তন সম্পর্কে আমি জ্ঞাত নই

২৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: মডুকে পাদবাবা অভিধাতে অভিহিত করায় তেব্র পরতিবাদ জানাই ! X((

কবিতা পড়ি না ! পড়িলে শুধুই জীবনানন্দের ! সামুতে কায় কাউসের পোলা যে আসে না ইহাতেই স্বস্তি !

লেখা চালাইয়া যাওয়া কঠিন বটে , বিশেষ করিয়া কামলাগিরি কইরা ! ব্লগিং কইয়া ইনকামের ব্যবস্থা থাকিলে কামলাগিরি বন্ধ কইরা ব্লগিং করিতাম ! আমাদের দেশের বেকারদেরও কর্মের সুযোগ হইতো !

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বোলগানীর বিনিময়ে ইনকাম এটা বহু পুরানা দাবী যখন ডাইনোসররা দল বেধে ব্লগে বাগাডুলি খেলতো। কিন্তু সে দাবী আজও কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়নি

২৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

হযবরলঃ বলেছেন: কবিতার শৈল্পিক বিশ্লেষনের সাথে গন্ধযুক্ত গল্পের মিশ্রন!!!!!! X((

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্লগে বহুত ভীড় জমছে তাই গন্ধযুক্ত বায়বীয় পোস্ট করে ভীড় তাড়ানোর ব্যার্থ চেস্টা আর কি

২৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @ আপনার লেখার সারমর্ম কি?
... এটা বলতে আমি বুঝিয়েছিলাম, এই পোস্টের সারমর্ম কী??


@ চাঁদগাজীবলেছেন:
নীচুমান ও নীচুমনের পোষ্।ট

লেখকবলেছেন:
আপনি যদি এই বয়সে পোস্ট না পড়ে জিপিএ ৫ জেনারেশনের মতো কমেন্ট করেন, তাহলে নিজের নামের প্রতি কেমন সুবিচার হবে? আপনিই তো কিছুদিন আগে ব্লগের পোস্ট ওকমেন্টের মান নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন। আমার এই পোস্ট টির অর্থ তো সেমই!

আপনার মেন্টাল ডিস্টার্বেন্স কি ফিনান্সিয়াল নাকি পারিবারিক?

.. চাঁদগাজীকে ঝাড়ার জন্য আপনাকে স্পেশাল থ্যাংকস। ;) তিনি অনেক লেখায় পুরোটা না পড়েই ম্যাওপ্যাও মন্তব্য করে। আবার নিজেই বলে বেড়াবে কমেন্ট মাইনিং....


আমিও কিন্তু ব্লগের কবিতা বিরোধী। কবিরা আজকাল জ্বালিয়ে মারছে। ভাবছি আপনাদের দলে যোগ দিব..:P

পুনশ্চঃ
আমি কিন্তু লিখতে পারবো না।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই আমি মোটেও কবিতা বিরোধী না, তবে আমি কবিতাখোরও না

২৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন যে, আমি না পড়ে কমেন্ট করেছি; আসলে, পোষ্টে পড়ার মতো কিছু নেই; আপনি পুরাতন ব্লগার, পুরাতনই রয়ে গেছেন; আপনি শুরুতে যা লিখেছেন, এগুলো আপনার অস্বাস্হ্যকর ব্লগিং'এর স্বাক্ষর।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই এটাই আমি, এটাই উদাসী স্বপ্ন। টেক ইট অর লীভ ইট। এসব লিখেই ১২ বছর চলছে। মানুষের গালি সমালোচনা শুনতেই আমার ভালোলাগে। বরংচ কেউ যদি বলে ভাইয়া কি দারুন লিখেছেন এরকম কমেন্ট দেখলেই মেজাজ খিচে যায়।

অন্যান্য পোস্টের কমেন্ট দেখে মনে হচ্ছে মন কিঞ্চিৎ ভালো। সিগারেটে সুখটান দেয়ার মতো লেখাও লিখেছেন। ওষুধপত্র ঠিক মতো খাচ্ছেন তো? প্রেসারের খুব বেশী সমস্যা না থাকলে কার্ডিও করে দেখতে পারেন। জীমে ভর্তি না হয়েও করা যায়

৩০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩২

মায়াবী ঘাতক বলেছেন: বহুদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। সামুতে আপনি বোধহয় অনেকদিন অনুপস্থিত ছিলেন। যাইহোক, কবিতা আমি ভাল পাই। কিন্তু বেশি কবিতা আবার সবার জন্য বদহজম দায়ক। ভালো থাকবেন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ইয়াপ। ফেসবুক আইডিটা পোলাপান খেয়ে দিছে তাই ব্লগে আসছি। জানি না আইডিটা ফিরে আসবে কিনা, নতুন আইডি খুলবো কিনা সেটাও ভাবছি। আপনি আমার লিস্টে ছিলেন নাকি?

৩১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪১

মায়াবী ঘাতক বলেছেন: আমি তো সেই ২০১৩ থেকে আপনার লিস্টে ছিলাম। ফেবুতেও অনেকদিন আপনাকে দেখি নাই। যদিও ফেবু কম চালাই।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ওহ.... তাইলে আসল নাম এখানে না বলাই ভালো

৩২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লিংকটা যুক্ত করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে, আপনার রিপ্লাই পড়ে আমি একটু কষ্ট পেয়েছি। আপনি/আপনারা যে-যার স্থানে ভালো থাকুন, এই কামনা থাকলো।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা

৩৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৫৩

রঞ্জন রয় বলেছেন:


যাই হবো হউক কবিতার মাথারা বঙ্গের গর্ব।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:০০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কারন এ ভূমিতেই জন্মেছিলো সিরাজুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, শামসুর রহমান, কাজি নজরুলের মতো কিছু ছন্দের যাদুকর

৩৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: গল্পকারদের নিয়ে কিছু লিখুন। তাদের সম্পর্কে কি ভাবছেন জানতে চাই।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: গতকাল আপনার ব্লগ পড়েছিলাম। শেষ গল্পটায় চিতল মাছের টুকরোটার বর্ননা এত সুন্দর হয়েছিলো যে খানিক বিষন্নতায় পেয়ে বসে। আমি অন্যান্যদের সম্পর্কে বলবো না, বলবো আপনার সম্পর্কে। তবে এখানে নয়

৩৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শেষ গল্পে চিতল মাছ নাই উদাসীভাই। শেষ গল্পে অভাবী সংসারে একজন বৃদ্ধার শেষ বয়সের কিছু বর্ণনা আছে। গল্পটাতে সেই বর্ণনাটুকু ভিত্তি করেই লিখতে বসেছিলাম। কিন্তু যা অনুভব করি তা কখনও লিখতে পারি না। এটাই সমস্যা আমার। আপনারা পড়েন তাতেই আমি খুশি।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হোলি কাউ! বয়স হইছে, বৃদ্ধ আমি। আর দু তিন বছর পর সেঞ্চুরী হবে। সুমনার গল্পটা অর্ধাঙ্গিনী... এটার কথা বলছিলাম

৩৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ইদানিং কবিতা কম লেখা হচ্ছে , পোস্ট আরও কম দেওয়া হচ্ছে বলতে আমার নিজেকে বুঝিয়েছি।

ব্লগতো কবিতার শেষ নেই।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কবিতা যে লেখবেনই না এটা তো আর কেউ বলছে না। অবশ্যই লেখবেন এবং নিজের মত করে লেখবেন। হতে পারে আপনি নিজেই কোনো স্বকীয় ধারার জন্ম দিলেন

৩৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বাহ! আপনিতো মানুষকে দারুণ উৎসাহ করতে পারেন।

ধন্যবাদ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এখানে উৎসাহের চেয়ে বড় জিনিস চেস্টা। আপনি যদি চেস্টাই না করেন মানসম্মত উন্নত দিকে কিভাবে যাবেন! চেস্টার প্রথম ধাপটাই লেখা তারপর অন্যান্যদেরটা পড়া

৩৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৪

কালীদাস বলেছেন: এত ঢালাও কমপ্ল্যান করব না, তবে আপনার অবজার্ভেশনের কাছাকাছি জিনিষ আমিও খেয়াল করলাম এবার ভেসে ওঠার পর। বেশ কয়েকজন ভাল কবি আছেন, যাদের লেখা পড়তে খারাপ লাগে না। কিন্তু কথাটা সবার জন্য না। কবিতা সবসময়ই ফার্স্ট পেজে রাজত্ব করেছে কিন্তু এতটা মিডিওকোর ছিল না এখনকার মত। ইদানিং মাঝে মাঝে মনে হয় র‌্যাপব্যাটল দেখছি কবিতার। এটা ঠিক যে একটা গল্প বা প্রবন্ধ ঠুস করে নাযিল হয়না। কিন্তু চেষ্টাও তেমন একটা করতে দেখিনা অনেককে। বৈচিত্র‌ কম, কয়েকদিন থাকার পর একঘেয়েমি ধরে যায়।

আরেকটা বাজে ট্রেন্ড দেখলাম এইবার, আদৌ পোস্ট না পড়ে বা পোস্টের শিরোনাম বা দুয়েকলাইন পড়ে কমেন্ট করা। এই পোস্টে কিছু নিক কমেন্ট করেছে, এদের কার্যকলাপ গত পনেরদিনই দেখলাম; আদৌ পোস্ট না পড়ে, সব কমেন্ট না পড়ে ফট করে একটা কমেন্ট বসে। এই নিকগুলো সেইম সবখানে। এদের মেইনটার নামে আরেকবার মেইল করেছি মডারেটরদের কাছে কিছুক্ষণ আগে। আপনাকে আগেও বলেছিলাম, ব্যাক্তি আক্রমণ ছাড়া কোন কিছু করার যোগ্যতা নেই ঐ নিকের।

অনেকদিন তো গেল। মডারেটরদের মেইল করবেন নাকি জবান খোলার জন্য?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দুএকজন আছেন যারা ভালো লেখেন কিন্তু একঘেয়েমিটা প্রচন্ড। উদাহরন হিসেবে হাবিব বা আরেফিন রুমির গানের এলবামের সাথে তুলনা করা যায়। তাহসানও একই ধারায় পড়ে গেছে। সবগুলো গান একই রকম কিছুক্ষন পর মনে হবে এগুলো গান না ছিচকাদুনে।

সনেট যারা লেখেছেন তারা দেখা যাচ্ছে ১০-২০ টা সনেট লেখারপরও যে বিষয়ের ওপর সনেট লিখছেন সে বিষয় সম্বন্ধে কথা না বলে অতিরিক্ত উপমা দিয়ে ছন্দ মাত্রা নিয়ে জোড়া লাগাচ্ছেন। আবার যারা সাধারান কাব্যচর্চা করছেন তারা দেখা যাচ্ছে ছন্দ বা মাত্রার অনুপ্রেষ বা ছন্দবৃত্ত একই ভাবে করে যাচ্ছেন কিন্তু ভাবনার অভিব্যাক্তিতে তেমন গভীরতা নেই।

তার চেয়ে বেশ কিছু ভালো গদ্য লিখিয়ে আছেন যারা মাঝে মাঝে বৈচিত্র‌্যপূর্ন লেখা লেখেন। ফেসবুকে পেন্সিল আর ৯৬৯৮ গ্রুপে আছি। পেন্সিলে বারোয়ারি লেখক বিদ্যমান এবং তাদের অধিকাংশই নিজেদের খোলস থেকে মুক্তি হবার চেস্টা করছেন। এর কারন হলো কলেবরে পেন্সিল বিশাল বিশাল উদ্যোগ নিয়ে এসব উঠতি লেখকদের নিয়ে প্রকাশনা করছে। ৯৬৯৮ গ্রুপও করছে। তারা সঙ্গিত ফটোগ্রাফী গান থেকে শুরু করে সবকিছুই করছে ফলে লেখকরা উৎসাহ পাচ্ছে নিজেকে মেলে ধরার। ব্লগে আগে সবাই মিলে একটা বই ছাপাতো যেখানে ভোটের মাধ্যমে বা জনপ্রিয়তার মাধ্যমে সেটা ছাপানো হতো। ইদানিং সবাই নিজের গাটের টাকা খরচ করেই করছে। আর ব্লগ সংকলন সেই পুরোনো ধারা বজায় রেখেছে।

যতদূর জানি সেই আগের যুক্তি যে ব্লগের মডারেটর সেকশন এবং এডমিন প্যানেল খুব একটা সময় দিতে পারেন না। আমি যতদূর জানি তারা কোনো সম্মানী পান না। পেলেও ন গন্য হয়তো। কিন্তু আপনি পেন্সিল স্বরলিপি ৯৬৯৮ গ্রুপে যারা এডমিন বা মডারেশন প্যানেল আছেন তারা সবাই অবৈতনিক। পেন্সিলে জয় কবির নামের একজন আছেন, মাহরীন ফেরদৌস এরা সবাই একসময় এখানকার ব্লগার ছিলেন। তারা এখন এডমিন মডারেটর। তারা সবাই অবৈতনিক এবং পুরো প্যানেল এত বড় গ্রুপের কার্যক্রম সুনিপুন ভাবে করে যাচ্ছেন।

সামু এত বড় একটা কর্পোরেট ব্যাকআপ নিয়ে সেরকম প্লাটফরম বা লাগসই ও অর্থকরী সিস্টেম করতে পারেনি। সেক্ষেত্রে সামু পেন্সিলের পদাংক অনুসরন করতে পারে। আমার মনে হয় জানা আপা এসব ভালোই জানেন, কিন্তু কতদূর কি করবেন সেটা তার সিদ্ধান্ত।

আর নিজের ব্যাপারে মেইল করা বলতে গেলে এসব ছোটখাটো ব্যাপারে মেইল করার ইচ্ছে নেই। এখন লেখালেখির ব্যাপ্তি অনেক বেড়েছে। আমি ইচ্ছে করলে নিজের একটা ওয়েবসাইটই বানাতে পারি লেখালেখির জন্য। মাঝে মাঝে পেন্সিল ৯৬৯৮ এ লেখা দেই। সমস্যা হলো আমি এখন নিজেও জানি না যে লেখালেখি করা আদৌ আমার উদ্দেশ্য কি না বা এটা কতদূর কন্টিনিউ করবো।

সামু প্লাটফর্মটা এখন বেশ ছোট হয়ে গেছে। স্টক হোম সিন্ড্রোমের মতোই আটকে আছি। হয়তো যখন কেটে যাবে তখন নিজের নামেই একটা ব্লগ খুলে উন্মুক্ত ভাবে লেখালেখি শুরু করেছি। কিন্তু মেইল করে অনুরোধ করাটা মনে হয় আমার দ্বারা হবে না। ভালো থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.