নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আমাদের দরকার ছিলো একজন পল সাঁত্রে............................."

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৫৮

খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে হেগেসিয়াস নামের এক দার্শনিক ছিলেন যে কিনা সক্রেটিসের শিষ্য। তিনি আলেকজ্রান্দ্রিয়ায় তার অনুগামীদের মধ্যে প্রচার করা শুরু করলেন সুখ ব্যাপারটা হলো একটা ভ্রম, মায়া। এর পেছনে ছোটার কোনো অর্থ নেই। কারন আমাদের অস্তিত্বটাই হলো নিরর্থক। এ জীবনের কোনো মূল্য নেই। তার বুক অব স্টারভেশনে আত্মহত্যাই হলো একমাত্র পথ সেটার পেছনে বিশাল বক্তব্য পেশ করলেন। করবেনই বা কেন, কারন তখনকার ধর্মপ্রনেতা, ধর্ম গুরুরা মানববিমুখ হয়ে গিয়ে ক্ষমতাসীন ওপরতলার মানুষের পদলেহনে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তার মতাদর্শে অনুপ্রানীত হয়ে হতাশাগ্রস্থ অনুগামীরা দলে দলে আত্মহত্যা শুরু করে। রাজা টলেমী অবস্থা বেগতিক দেখে হেগেসিয়াসকে আলেক্সান্দিয়ায় নিষিদ্ধ করেন। এভাবেই শুরু হয় হতাশাবাদী দর্শন তত্বের জন্ম।

পল সাত্রে সেক্ষেত্রে নিজের অস্তিত্বকে বিশাল একটা কিছু বানিয়ে তার অস্তিত্ববাদী মতবাদ চালু করলেন। যেমনটা ধরা যাক এই যে ছাত্রদের আন্দোলন। কিছু দিন আগে ছিলো কোটা, এখন সহপাঠিদের মৃত্যুর বিচারে পুরো সিস্টেম শুদ্ধির একটা দাবী। ধরা যাক এসব ছাত্র ছাত্রীরা মনে করলো তাদের অস্তিত্ব সব কিছুই ঈশ্বরের দ্বারা নির্ধারিত। ফলে যা হবার হবেই। যারা মারা গেছে তাদের মৃত্যু পুননির্ধারিত, তারা মরবেই, যত চেস্টাই করি না কেন। সিস্টেম বদলালেও তারা মরতো, তাই না? আসলেই কি তাই? তাহলে এতো আন্দোলন কেন? মাত্র দুদিনের আন্দোলনে ঢাকার রাস্তার চার লেনের সড়কে একটা ইমের্জেন্সি লেন চালু হয়েছে। আজকে ছাত্রদের বদৌলতে জানতে পারলাম খোদ পুলিশ, দুদক, এমনকি মন্ত্রি মিনিস্টার প্রশাসনের গাড়ী এবং তাদের চালকের কাগজ পত্র ঠিক নেই। যে কাওরান বাজারে লেন হিসাব তো পরে, গাড়ীর জ্যামে রাস্তার অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যেতো না সেখানে সবাই সারিবদ্ধ। আজকে যদি ছাত্ররা না নামতো তাহলে এই শৃঙ্খলা ফিরে আসতো? না, আসতো না। এই শৃঙ্খলা ফিরে না আসলে এই যে নীরিহ ছাত্র ছাত্রী সহ আরও কত মানুষ প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছিলো, সেগুলো বন্ধ হতো না।

ঈশ্বর বলতে আসলেই কি কেউ নেই! আমরা আমাদের চেতনার দ্বারা বস্তুজগতের সবকিছু আবিস্কার করছি। আমাদের জন্য পূর্ব নির্ধারিত কিছুই নয়। আজ যদি কার্বন নিঃসরন নিয়ন্ত্রন হীনভাবে করি তাহলে ৫ বছরের মাথায় বাংলাদেশ ডুবে যাবে। আর এখন যেভাবে নিয়ন্ত্রন করছি তাহলে ২০৩৬ পর্যন্ত আমাদের দেশ জেগে থাকবে। আর কার্বন নিঃসরন আজকে থেকেই বন্ধ করি তাহলে ২০৬০ সাল। এটাই বাস্তবতা। আমাদের ভবিষ্যত আমরাই গড়ছি। এটাই রূপতত্বের মিশেলে অস্তিত্যবাদের মূল কথা। এজন্য আপনাকে স্ট্রিং থিওরী জানতে হবে না, আপনার ওপর ওহী নাযিলের কোনো প্রয়োজন নেই।

সমস্যা হলো আমরা কল্পনার জগতে একটা ইউটোপিয়া নিয়ে বাস করছি। পল সাত্রে সেই ইউটোপিয়াকে বারবার আঘাত করতেন। ফ্রান্সের কবল থেকে স্বাধীনতা পাবার জন্য আলজেরিয়ার সবাই লড়ছিলো তখন তিনি আলজেরিয়ার পক্ষে অবস্থান নিলেন। তার বিরুদ্ধে সামরিক আদালত বসলো, গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হলো, তাকে ডাকা হলো বিচারে। তিনি না এসে একটা হাতে লেখা চিঠি দিলেন। সেখানে তিনি বললেন আলজেরিয়া স্বাধীন হবেই, আজ হোক, কাল হোক, অথবা ৫ বছর পর। সমস্যা হলো তখন ফ্রান্সে কি গনতন্ত্র থাকবে? নাকি এভাবে সেনা বাহিনী বা রাস্ট্রিয় রক্ষী বাহিনী দিয়ে পুরো ফ্যাসিস্ট রাস্ট্রে পরিনত হবে।

সরকার নড়ে গিয়েছিলো এই এক চিঠিতে। এর কিছু কাল পরেই শিক্ষানীতি পরিবর্তনের নীতিমালার জন্য অসহযোগ আন্দোলন করলো ছাত্ররা। প্রশাসন এই আন্দোলনের পিছে পল সাত্রেকে দায়ী করে বসলো। আন্দোলন তখন এতটা বেগবান হলো প্রেসিডেন্টের পর্যন্ত টনক নড়লো। পুলিশ কমিশনারকে ডেকে বললেন তোমরা ভলতেয়ারকে আটকে রাখতে পারো না। পল সাত্রে মুক্ত হলেন, ছাত্রদের দাবী মেনে নিলো সরকার। অথচ তারই সমসাময়িক আলজেরিয়ার আরেক দার্শনিক বলতেন, তুমি আমার পেছনে হেটো না কারন আমি জানি না কোথায় যাচ্ছি। আমার সামনে হেটো না কারন তোমাকে অনুসরন করবো না। আমার পাশে হাটো, আমরা বন্ধু হই। তিনিও হেগেসিয়াসের মতো ভাবতেন জীবনটা অনর্থক, অর্থহীন!

এই পল সাঁত্রে নিজের লেখক সত্বাকে কলুষমুক্ত করতে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মান থেকে শুরু করে নোবেল পুরস্কার পর্যন্ত নিতে অস্বীকৃত জানান। এই লোকটি দেখিয়েছিলেন শোষিত মানুষকে ইউটোপিয়ার স্বপ্ন থেকে কিভাবে জাগতে হয়, নিজের অধিকারের জন্য নিজেকে কিভাবে সংগ্রাম করতে হয়। ন্যায্য অধিকারের জন্য হতাশাবাদী না হয়ে কিভাবে নিজের জীবনকে অর্থব হ করতে হয়।

বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ আজকে ভাবে লীগের বদলে আমরা কাকে বেছে নিবো। সব রশুনের তো একই গোড়া। আমরা যেনো মেনে নিয়েছি সব বিচার আল্লাহ করবে। আল্লাহকে বিশ্বাস করা না করা প্রতিটা মানুষের জন্মগত অধিকার কিন্তু শুধু এই এক ভাবনার কারনে আমরা আমাদের মৌলিক চাহিদাকে ছুড়ে ফেলে দিতে পারি না। ফলাফল একই হবে, অনাহার, শোষিত অথবা গুম হত্যা বা কোনো ক্ষমতাশালী মালিকের গাড়ীর চাপায় পিষ্ট হবে আমারি সন্তান। আমি নিজের অস্তিত্বকে মূল্যহীন ভাবি বলেই আজকে মাত্র ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে গাড়ি চাপায় মৃত সন্তানের বাবা মা চুপ হয়ে যায়, মানুষের জীবনের মূল্য নির্ধারন করতে পারে এক ফ্যাসিবাদী রাস্ট্র। যেখানে রাস্ট্র অভিভাবক হয়ে প্রজাদের আগলে রাখবে সেখানে রাস্ট্র নিজেই হত্যাকারীর ভূমিকায়।

আর আমরা সব হেগেসিয়াসের অনুসারী হয়ে ইউটোপিয়া আর ফ্যালাসীর মধ্যে নিপতিত হয়ে সবকিছু পরমেশ্বর নামক এনটিটির ওপর ছেড়ে দিয়ে বহন করছি নিজের সন্তানের বিকৃত লাশ।

আর কত?

এসব অথর্ব মুর্খ নিদ্রা ভাঙ্গাতে আসলেই একজন পল সাঁত্রের খুব দরকার। জানি না কখন শুনি এমন নিস্পাপ ছাত্রদের ওপর কখন ডান্ডাবেড়ীর আঘাত দিয়ে যৌক্তিক দাবীগুলোকে থামিয়ে দিবে এই ফ্যাসিবাদী রাস্ট্র।


আর হ্যা! আমার মতো পুজিবাদী ভক্ত দাঁতাল শুয়োর সর্বদাই বলে আসছে,"দর্শন ইজ আ পিস অব শিট!"

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:০৯

রঞ্জন রয় বলেছেন:



স্বপ্ন পূরণ হবে। যদি মনোবল থাকে।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তার আগে স্বপ্ন তো দেখতে হবে! ভাগ্যিস ওরা স্বপ্ন দেখেছিলো

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:২১

সনেট কবি বলেছেন: আমার দায়িত্ব আমি পালন করে আল্লাহর দায়িত্ব তাঁর জন্য ছেড়ে রাখাই সংগত। সব যদি আল্লাহ করবেন তাহলে আমার কাজ করবে কে?

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তাহলে করুন। বাল্যবিবাহ, মাসনা সুবাসা রুবাআ, আজল, শরীয়া, পর্দা ইত্যাদি করুন

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

প্রথম বাংলা বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো আপনার লিখাটা। আসলে মানুষেল একটা শেষ ভরসা থাকতে হয়, সব যায়গায় বের্থ হবার পর আমরা যেখানে আশ্রয় নেবো। সেটাই মনেহয় আমাদের মনযগতের ইউটুপিয়া। আর তার অধিকর্তার ঈশ্বর। আমরা আশ্রয় নেই তার কাছে এবং আমাদের সকল ব্যর্থতার দায় তার কাধে চাপিয়ে দেই্ । বলি আল্লা একদিন বিচার করবেন।

এই দিকটা বাদ দিলে যেটা দাড়ায় সেটি হলো ,,, আমাদের সবথেকে বড় শত্রু আমাদের দারিদ্রতা। যে কারনে ২০ লাখ টাকা দিয়ে একটি মস্তবর গণ আন্দোলন থামিয়ে দেয়া যায়।
আমরা বলতে পারিনা, রাখ চু----না তর টাকারে। আমার সন্তানের খুনিদের ফাঁসিদে।

খুজা দরকার আমরা কেন এত দরিদ্র। এর জন্য আমাদের মানসিকতা এবং রাজনিতি কতটা দায়ী। ্র

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আজকের এই অবক্ষয়ের তিলোত্তম আমরাই সৃস্টি করেছি। এখানে আমরাই শোষক, আমরাই অপরাধী আবার আমরাই ভিক্টিম। যদি কাউকে ফাসি দিতে হয় তাহলে সেখানে আমাদের ভাইকেই দিতেহবে, যদি ছেড়ে দিতে হয় তাহলে আমার বোনের ওপরই অবিচার করা হলো।

আমাদের আমজনতার অজ্ঞাতমানস বা বিবেক এটা জানে। ভোট দেবার পর যখন ভুল ভাঙ্গে তখন তারা যেনো মেনে নেয় সমস্ত অবিচার। ভাবে কি আর করার আছে!

একসময় ছক্কা সাইফুলের মতো এক অর্ধ উন্মাদ অথচ প্রচন্ড সৎ যার কিনা নিজের খাবার টাকা ছিলো না সে লোক নির্বাচন করেন এবং জিতেও যান। তখনও মানুষ আশা দেখতো একজন সৎ মানুষকে নির্বাচিত করার। সেরকম বরিশালে মনীষাও এবার নির্বাচন করলো। ফল কি হলো?

প্রচন্ড হতাশার জন্যই দেশটা ছেড়েছিলাম। এমন না যে আমার ভালো কোনো জব ছিলো না অথবা হতাশাগ্রস্থ। সত্যিকারার্থে আমি হতাশ ছিলাম। কিছু যে করবো কিন্তু কারো ওপর ভরসা পাচ্ছিলাম না। তাই চেস্টা করার আগেই দেশ ছেড়েছি। আর ফেরা হয়নি আর ফিরবোও না।

হয়তো একদিন আমরা উন্নত দেশও হবো কিন্তু ফ্যাসিবাদী চরিত্র কি বদলাবে?

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি যখন উনার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছেন, আপনি অবশ্যই উনার কাছাকাছি একজন; আপনাকে দিয়ে চালিয়ে নেয়া যাবে না?

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: না, আমি পাড় পুজিবাদী তাও আবার সম্রাজ্যবাদী আমেরিকান ক্যাপটালিজমের অন্ধভক্ত। পল সাত্রে আমার আরাধ্য, আমার কাছে দেবতুল্য কিন্তু আমি দিনশেষে ক্যাপিটালিজমেই ফিরে যাই। এটা আমার বুদ্ধিবৃত্তিক শঠতা!

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

রঞ্জন রয় বলেছেন:


ওরা স্বপ্ন দেখেছিল। ওরা তা বাস্তবায়নে রূপ নিয়েছে। এটাই প্রশংসার যোগ্য।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শুধু একজন পল সাত্রে নেই। যারা হবার কথা ছিলো তারা হায়েনাদের কাছে নিজের মাথা বিক্রি করে লুসিফারের বশ্যত স্বীকার করেছে।

এরকম বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজের দলদাস হয়ে যাওয়া মানে একটা জাতীর কোমড় ভেঙ্গে যাওয়ার মতোই। আর তাই শিশুদের রাস্তায় নামতে হয়েছে সমাজ পরিবর্তন করতে।

আমরা যারা পরিপক্ক, আমাদের মাথা নত এখানেই হতে হয়েছে।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: ভাইয়া, আপনি আপনার পোস্টে ছবি ব্যবহার করেন না কেন? প্রায়ই ছবিহিন পোস্ট চোখের আড়ালে থেকে যায়, আপনার এই লেখাটিও প্রথমে নজর এড়িয়ে গিয়েছিল।

আশ্চর্য লাগছে আপনি নিজেকে পুজিবাদের পক্ষের বলছেন দেখে। অথচ আপনার মত করে তো কেবল সাম্যবাদীরাই কথা বলত দেখেছি।

এনিওয়ে, আপনার লেখাটা পড়ে আমার নিজের কাছেই কেন যেন একধরনের হতাশা অনুভব হল, এটা হয়ত আমার দুর্বলতা। আমরা কিন্তু ইউটোপিয়ার কল্পনা করেই দিন যাপন করি। এদেশে বেশিরভাগ মানুষ তো নিজের চাওয়া পাওয়ার মাঝে অনেক বড় ব্যবধান দেখে আসছে। তাঁদের বেঁচে থাকার একমাত্র হাতিয়ার হল ইউটোপিয়ার স্বপ্ন। যারা বুঝতে পারে এদেশ আর কখনো ইউটোপিয়া হবে না তারা ইউরোপ আমেরিকাতে পাড়ি জমাচ্ছে।

আফটার অল, সত্য কথা হল এদেশে একজন মুক্তিদাতার আবির্ভাব ঘটা উচিৎ। সে দার্শনিক হোক অথবা রাজনীতিক হোক।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: লাইক বা কমেন্টের আশায় লিখি না এসব। ব্লগে এসেছি কারন ফেসবুকের আইডিটা রিপোর্ট করে ওরা বন্ধ করে দিছে। কিছু বলা কিছু লেখা এটা আমার মনোজগতের ক্ষুধা। সেই তাড়না থেকেই লেখা।

আর দুঃখিত, আমি পল সাত্রের অস্তিত্ববাদী সাম্যবাদে বিশ্বাসী নই। আমি চরম পুজিবাদী। এটা আমার শঠতা

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

জেন রসি বলেছেন: মানুষত মূলত স্বাধীন না। মানুষ আর্থ সামাজিক, কালচারাল এবং জেনেটিক ডিটারমিনিজম দ্বারা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। তবে এসব মেনে নিলেও মানুষের সামনে বাছাই করার কিছু অপশন থাকে। সে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অর্থাৎ কিছু ব্যাপার মানুষের নিয়ন্ত্রণে নাই। কিছু ব্যাপার আছে। তবে মানুষের সবচেয়ে বড় ক্ষমতা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করবে নাকি ফাইট করবে নাকি নির্লিপ্ত থাকবে এই সিদ্ধান্তটা সে নিতে পারে।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঠিক বলছেন। পল সাত্রে সেটাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছিলো। তার একটা গল্পে একটা চরিত্র ছিলো মারেসো। প্রথমে মনে হয়েছিলো এক নম্বরের ভাদাইম্মা কিন্তু যখন তার নির্লিপ্ততার ঘটনা জানলাম আর জানলাম আরবীকে হত্যার পেছনের দার্শনিক চিন্তা তখন মনে হয়েছিলো অস্তিত্ববাদের পরিনতি যাই হোক না তাকে কোনো মতবাদ বা ইনস্টিটিউশনের মধ্যে বেধে ফেললে হিতে বিপরীত হয়। শোষনের পথ উন্মুক্ত হয়। দরকার এবসলিউট স্বাধীনতা।

কিন্তু এই স্বাধীনতাকে শোষক শ্রেনীর বড্ড ভয়। কখনো ধর্ম কখনো জাতীয়তাবাদের নামে তারা এর নিয়ন্ত্রন চায়। তবে তাই সই, তাহলে শ্রেনীবৈষম্য করে সমাজে বিশৃঙ্খলার অধিকার তো দেয়া হয় নাই। স্বাধীনতা বিক্রি করে নিজের সন্তানের কফিন চাইনি, চেয়েছি দু মুঠো খাবার কেনার জন্য কাজ করার অধিকার

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

রাকু হাসান বলেছেন: পড়লাম......পলের ব্যাপারে কিছূ জানলাম ,আমাদের এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য পাঞ্জেরী দরকার , কবিতার মতই বলতে ইচ্ছা করছে
‘‘রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?
সেতারা, হেলার এখনো ওঠেনি জেগে?
তুমি মাস্তলে, আমি দাঁড় টানি ভুলে;
অসীম কুয়াশা জাগে শূন্যতা ঘেরি।’’

আসবে কাল আর পরশু , সে আশাবাদী ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শিশুদের আন্দোলন আমাকে এখন আশাবাদী করছে

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: মনোমুগ্ধকর পোষ্ট।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৩

জেন রসি বলেছেন: আলজেরিয়ার দার্শনিক বলতে সম্ভবত কাম্যুর কথা বলেছেন। কাম্যু আর সাঁত্রের মধ্যে একটা মিল আছে। দুজনই বুঝেছিলেন বেঁচে থাকার কোন আল্টিমেট মিনিং নেই। এবং এই বুঝা থেকে দুজন দুরকমের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কাম্যুর কথাই বলছি। আর পরিনতি অর্থহীন দেখে পুজিবাদের কাছে নিজের স্বাধীনতা বিক্রি করেছি একটা সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য। পেলাম কি? নিজের সন্তানের লাশ আর দুটো কাগুজে নোট। এ এক রসিকতা।

রাস্ট্র এখানে বন্ধু না, লুসিফারের চেহারায় পিঠ চাবকানো সেই নিষ্ঠুর রোম সম্রাটের অবয়ব..

১১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

অন্তরন্তর বলেছেন: অসাধারন লিখা উদা ভাই। আমরা যারা পশ্চিমা দেশগুলুতে থাকি তারা দেশের ভয়াবহ অবস্থা ঠিকভাবে বুঝি না বা বুঝতে পারি না। সন্তানের মৃত্যুর টাকার ক্ষতিপূরণ দেখে কষ্ট পাই কিন্তু সেই বাবার আর কি বা করার আছে? বিচারহীনতার সংস্কৃতি সেই দেশের জন্মলগ্ন থেকেই চলে আসছে। সেই বাবাটা তার সন্তানের মৃত্যুর বিচার পাবে না বলেই জানে, তারপর আছে দারিদ্রতা। দারিদ্রতা কি তা দেখছি ৭১ সাল থেকে। দারিদ্রতা মানুষকে কোথায় নিতে পারে তা জানি না সচক্ষে দেখেছেন কিনা। আমি দেখেছি। যা বলার জন্য আমার এ মন্তব্য তা হল আমি মনে করতাম আমাদের দেশের নতুন প্রজন্ম ফারমের মুরগি প্রজন্ম ( আমার নিজের মানুষদের দেখে )। কিন্তু তাদের এ আন্দোলনে আমি বেশ আশাবাদী যে তারা ভীতু বা ফারমের মুরগি নয়। আমি এ নিয়ে কোন পোষ্টে মন্তব্য করিনি। কারন দেখলাম এখানে দুটি দল এবং কাঁদা ছুড়াছুড়ি। একদল সরকারি এবং আর একদল এই বাচ্চাদের ঘাড়ে ভর করে সরকার পরিবর্তন করতে চাচ্ছে। খুব দুঃখজনক। শুভ কামনা রইল।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কেউ মারা গেলে বা হাত পা হারালে বা ধর্ষন হলে তাকে টাকা চাকরী দেয়ার সংস্কৃতি চালু হবার কারনেই হোক বা অন্য কারনে অপরাধ প্রবলতা, পুলিশের অদক্ষতা বেড়েই চলেছে। আজ থেকে বছর ১০-১৫ আগে কোর্টে কেস পেন্ডিং ছিলো দেড় লাখ এখন হইছে ৩৪ লাখ। দেশের মানুষের প্রবৃদ্ধির হার কমলেও অপরাধ বাড়ছে কিন্তু তাতে সুশাসনই নেই তার সবচে বড় উদাহরন বিশ্বজিতের কেস।

সুশাসন যে কত জরুরী এবং এটাই যে সবকিছুর মিলে কাল তো ছাত্ররাই দেখিয়ে দিলো।

আমি এখন আশাবাদী। তারপরেও জনগনের বোধোদয় না হলে আর কিছু বলার নাই

১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:০২

তারেক সিফাত বলেছেন: ভালো লাগলো। পলের ব্যাপারে জানতে পারলাম।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পলের দর্শন খুব সম্ভবত আমাদের স্কুলের বইতে ছিলো কিন্তু স্বভাবতই বাদ দিয়ে গেছিলাম। আমি সমাজ বই, ইতিহাস বাংলা ব্যাকরণ এসব এড়িয়ে চলতাম।

পড়বার জন্য ধনে পাতা

১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: দিনশেষে ক্যাপিটালিজমে সবাইরে ফিরতে হবে। পোস্ট পড়ে উদাসো হয়ে গেলাম...

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ক্যাপিটালিজমে ফিরতে হবে এটা আমাদের নিয়তি। একসময় আমাদের বাহ্যিক পরিশ্রম দিয়ে সংগ্রাম করতে হতো। দিনে দিনে আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তা চেতনার মাধ্যমে সে সংগ্রাম অব্যাহত রাখছি এবং এর ব হুমাত্রিকতা এতটা ব্যাপ্তি ধারন করেছে যে মানুষে মানুষে একটা সুনিশ্চিত ও ভোগযোগ্য ভবিষ্যতের জন্য ইদূর দৌড়ে সামিল হতে বাধ্য। যখনই বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজে ম্যাটেরিয়ালিস্টিক চিন্তা চেতনার বিবর্তন ঘটতে শুরু করে স্বভাবতই মেধার মনোপলি চালু হতে বাধ্য। সেক্ষেত্রে সাম্যবাদী সমাজতন্ত্র মানুষ নিজের স্বার্থেই বর্জন করবে এবং ডারউইনের বিবর্তনবাদের মতো যোগ্যতম মানুষের জয় হবে চাই সে সাদা পথে অথবা কালো পথে। পুজিবাদ এজন্যই আজ জনপ্রিয় এবং কার্যকরী

১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৩৩

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আপনার পোস্ট-মন্তব্য পড়ে আমার এমনটা মনে হচ্ছে যে আপনি পুঁজিবাদের নগ্ন পরিপুষ্ট শরীরে একটা নেগেটিভ পোশাক পরাতে চেষ্টা করছেন। অথচ গুরু মার্ক্স বলছেন, ঘটনা এমন নয়। আমি মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে পুঁজিবাদকে বিচার করতে চাই না, এমনকি শোষিত শ্রমিকশ্রেণীর জন্য মানবতাবাদীদের কান্নায়ও নির্বিকার থাকি। ক্যাপিটালে (ক্যাপিটাল পুরোপুরি আত্নস্থ করা হয় নাই এখনো) মার্ক্স দেখিয়েছেন, পুঁজি বা ক্যাপিটাল একটা ধারণা যার স্রষ্টা মানুষ নিজেই (খেয়াল করেন- আদিম সাম্যবাদী সমাজে পুঁজি বলে কিছু ছিলো না!)। পুঁজি মানেই পুঁজির ক্রমশ পুঞ্জীভবন এবং বৃদ্ধি, আত্নস্ফীতির নানান নতুন পথ খোলা না থাকলে তার ধ্বংস অনিবার্য; সুতরাং টিকে থাকতে হলে ক্রমশ পুঁজিকে নিত্য-নতুন উপায়ে ফুলে-ফেঁপে উঠতে হবে। আর নিজের বিকাশের এ প্রক্রিয়ায় সে সৃষ্টি করে অসংখ্য শ্রমিকের যাদের তুলনায় পুঁজিপতিরা হয় নগণ্য। কমুনিস্টদের কাজ হল, শ্রমিকশ্রেণীকে এই শোষণপ্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন করে তোলা যদিও হালআমলে দেখা যাচ্ছে, শ্রমিক শোষিত হলেও মাসশেষের স্যালারিতে সে সন্তুষ্ট থাকলেই মার্ক্স খারিজ হয়ে যান। কিন্তু সমাজ বিকাশের প্রক্রিয়াকে ব্যক্তি ছাড়িয়ে আরো উপর থেকে যদি দেখি, তবে পুঁজিবাদ খারাপ কিছু নয়, এ সমাজ বিকাশেরই একটি স্তর মাত্র।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার প্রতিটা কথা সত্য, তবে আমি এখানে সমাজের একটা ট্রানজিশনে শোষিত শ্রেনী শোসক শ্রেনীর একতরফা জুলুমের বিরুদ্ধে একটা সফল ও দীর্ঘমেয়াদী বিপ্লব ঘটাবে তারজন্য পুরোনো সাম্যবাদী ধারনার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। এমন না আর কোনো পথ নেই, পথ অবশ্যই আছে কিন্তু সেসব স হিংসতা ও ঘৃন্য রাজনীতির ঘুটচালে মোড় নেবে। এভাবে ৯০ পরবর্তী যত আন্দোলন হয়েছে তার বেশীর ভাগ প্রোলেতারিয়েতের কাছ থেকে কখনো শাসক শ্রেনী, কখনো জলপাই গোষ্ঠি হাইজ্যাক করে নিয়েছে। এর এক মাত্র কারন আমাদের মাঝে সে অভিজ্ঞতা নেই একটা বড় আন্দোলন পরিচালনা করার। আমরা কল্যানমূলক রাস্ট্র বলতে ইউরোপের দেশসমূহকে বুঝি কিন্তু তাদের অবস্থা বর্তমান বাংলাদেশের থেকেও একসময় খারাপ ছিলো। কিন্তু পার্থক্য হলো মুক্তির পিপাষায় পিপাসার্ত শোষিত শ্রেনীর বিবেক জ্ঞান দ্বারা আলোকিত ছিলো এবং সমকালীন কিছু আলোকিত মানুষ তাদেরকে নিঃস্বার্থ পথ দেখিয়েছিলো। আমাদের মধ্যে জ্ঞানের সে আলো নাই। ধর্ম ও আধুনিক শিক্ষার শাখের করাত আর তার সাথে নিম্ন মানের শিক্ষা পুরো জাতীকে অথর্ব করে তুলেছে তার ওপর যার পথ দেখাবে তারা মাথা বিক্রি দিয়ে ব হু আগেই দলদাসে পরিনত হয়েছে।
তবে যেহেতু একটা আন্দোলনের সংস্কৃতি চালু হয়েছে ভবিষ্যতে আমরা ইরানের মতো পুরোপুরি শেষ হয়ে যেতে পারি অথবা ফ্রান্স স্পেনের মতো আলোকিত জাতীতে পরিনত হতে পারি। তবে তার জন্য প্রচুর নিস্পাপ মানুষের রক্ত ঝরবে। অবশ্যই পুজিবাদ খারাপ কিছু না, পুজিবাদীরা নিজের পুজির নিরাপত্তার জন্যই সমাজে সুশাসন আনে। সমস্যা হলো আমাদের দেশের পুজিবাদী তো পড়ে, আমজনতাও এ দেশটাকে নিজের দেশ মনে করে না। সবাই মনে করে একটু সুযোগ পেলে দেশ ছেড়ে চলে যাবে। সেই সুযোগের অপেক্ষা আমাদের বৃদ্ধ কালেও শেষ হয় না, যদি নিজে না পারি, তাহলে নিজের সন্তানকে বাইরে পাঠিয়ে সে স্বপ্ন পূরন করি।

১৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

মোগল সম্রাট বলেছেন: ইউটোপিয়া ধারণাটি প্রচলিত হবার তিনশ’ বছরের মধ্যেই বিপরীত অর্থ ধারণ করে ওঠে আসে ‘ডিসটোপিয়া/Dystopia‘ শব্দটি।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ডিসটোপিয়া নিয়া বিশদ এখনো পড়ি নাই। পল সাত্রেই পুরা শেষ করতে পারি নাই। তার মধ্যেও এসব কিছু কথা আছে। এতো টাইম কৈ ভাউ। পারলে দুয়েকটা সুখপাঠ্য বই সাজেস্ট করেন ইংলিশে

১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৩৩

পাকাচুল বলেছেন: দল নয়, ব্যক্তিকে ভোট দিন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই কথাটা এখনো বাঙ্গালীরা বুঝল না। মার্কাতে একটা ছাগলরে দাঁড় করায় দিলেও সে জিতে যাবে মনে হয়। এই জন্য মাঝে মাঝে ভাবি এই যে এখন ভোটের অধিকার নাই একদিক থেকে ভালোই হইছে। ছাগলরে সংসদে পাঠানোর চাইতে শিক্ষিত ডাকাত শ্রেয়তর

১৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ

ভালো থাকুন।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.