নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয়াতুল কুরসীর শানে নযুল!

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:২৪

বড় ফুপা মারা যাবার পর থেকে মনে একটা বিষন্নতা কাজ করতেছে কদিন ধরে। ওদিকে মা এর হাতে নতুন ফোন পড়া মাত্রই দিনের মধ্যে ইমো তে হাজারটা কল। কল দিলে বলে কল তো দেই নাই। ভুলে টাচে কল চলে গেছে। কিছু বলি না, অসুস্থ মানুষ। কিন্তু কাল যেটা ব্যাতিক্রম হলো সমানে ভাইবারে উইচ্যাট ইমো তে কল। প্রথমে ভাবলাম ভুলে কল আসতেছে..."হ্যালো, কাহিনী কি? হইছে কি?"
ওপার থেকে মা এর গলা,"কোথায় গেলা? রনি কল করছে। কথা বলো।"
আব্বা ফোন ধরে উদাস ভাব,"কি হইছে? কল দিছো কেন?"
: আশ্চর্য্য, সকাল থিকা সমানে ভাইবারে উইচ্যাটে ফোন। ইমোতে ভিডিও কল। কাহিনী কি?
: ও আচ্ছা, এই তোমারে নিয়া দুশ্চিন্তায় আছি।
: দুশ্চিন্তা মানে? আমি কি যুদ্ধে গেছি নাকি?
: তোমাদের ঐ খানে নাকি আগুন লাগছে। সমানে ঘর বাড়ি গাছপালা জ্বলে ছাই। দুশ্চিন্তায় থাকি তো।
: আগুন লাগছে জঙ্গলে। আমি থাকি সাগর পাড়। যেই গরম পড়ছে, আগুন লাগবো না তো বরফ পড়বো নাকি।
: কত গরম?
: আজকা ২৭।
: কও কি? আমাগো এইখানে গতকালকাও ৩২ আছিলো। তোমাগো ২৭ এই আগুন?
: এইখানে গাছপালা বেশী। জঙ্গল শুরু হইলে খালি জঙ্গলই। কোনো খালি নাই। তাই গরম বেশী পড়লেই আগুন লাগে।
: কিসের গাছপালা তোমাগো। বাংলাদেশে এখন যেই গাছ। ঢাকার বাইরে গেলে পুরাই সবুজ। মনে হয় পুরা দেশটাই সবুজ হইয়া গেছে।
: এ্যা.... তো জঙ্গলে মঙ্গল করো। আর কিছু কইবা?
: তোমারে একটা কথা কই। তোমার ফুপুর হজ্বের ৩ লাখ টাকা মাইর গেছে। তো আগামী বছর আমি আর তোমার ফুপু হজ্বে যামু।
: একবার না হজ্ব করলা?
: আরে তোমার বড় কাকা, কাকী আর তার পোলা এই যে গত সপ্তাহে হজ্বে গেলো। তো যাওয়ার আগে নিয়ত করছে আগামী বছর আমাগো আবার হজ্বে পাঠাইবো।
: তার পোলা না সেদিন পয়দা হইলো। বয়স কত?
: ও তো কোরানে হাফেজ। বয়স ১২।
: ঐত্তেরী। শুনো, সামনের বছর আমি টাকা দিতাছি, আম্মারটা কইরা আসো।
: আইচ্ছা।
: কি আইচ্ছা?
: একটা কথা কমু?
: আর কি কইবা?

শুরু হলো ফুপিয়ে কাঁদা। আমি দেশে থাকতে বাবাকে কাঁদতে দেখিনি। কিন্তু মা অসুস্থ হবার পর এই এক বাতিক তার কান্না কাটি। এমন সময় আমি মোবাইলটা বন্ধ করে দেই। এই সময়টা আমার জন্য খুব খারাপ কাটে। সবসময় মনে পড়ে লম্বা চওড়া ৬ ফুটি একজন ফর্সা সুঠাম দেহী মানুষ যার মুখে একটা মিস্টি হাসি, সেই মানুষটা কিভাবে কাঁদে! মাত্র কয়েকবছরের ব্যাবধানে লম্বা সাদা দাড়ী দেখলে তারে এখন পুরাই সালমান এফ রহমান লাগে। তার কান্নার আওয়াজ শুনে এবার মোবাইলটা কাটলাম না। আম্মা কলটা ধরলে জিজ্ঞেস করলাম," সে কান্দে কেন?"
আম্মা ওপার থেকে আব্বাকে জিজ্ঞেস করলো,"তোমার পোলায় জিগায় তুমি কান্দো কেন?"
আব্বা জবাব দিলো এমনি। আম্মা সেটা আবার আমাকে শোনালো,"এমনি!"
: কুল।
: তুমি এখন ঘুমাইবা?
: ঘুমামু মানে? এখন ঘুমায় কেমনে? আমি কাজে?
: এত রাইত কইরা কি কাজ করো বাবা?
: ঐত্তেরী! এইখানে দিন।
: সকালে খাইছো?
: হ খাইছি।
: খাওয়ার আগে বিসমিল্লাহ বইলা খাইবা। খাওয়া শেষ হইলে শুকুরআলহামদুলিল্লাহ। নামাজ পড়?
: না।
: নামাজ বাদ দিও না। ঘরে ঢুকবা ডান পা দিয়া বাইর হইবা বাম পা দিয়া। ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী পড়বা।
: আইচ্ছা।
: ইসস! এই আয়াতুল কুরসী তোমারে কেমনে মুখস্থ করাইছিলাম। মনে আছে?
: আমি ফোন রাখলাম, কাম আছে।

ফোনটা রেখেই বসে রইলাম কিছুক্ষন। মনে আছে তখন হুজুর জানালো পরের দিন অবশ্যই যে আয়াতুল কুরসী মুখ্স্থ করে আসি। নাইলে কপালে শনি আছে। বাসায় এসে আম্মাকে বললাম আয়াতুল কুরসী কোথায় পাবো। আম্মা একটা আমপাড়া বের করে বললো, শুরু কর। ১ ঘন্টার মধ্যে মুখস্থ যেন পাই। প্রথমবার পুরোটা পড়ে মনে হলো কে যেনো মুখে খুব তেতো কিছু ঢেলে দিছে। এত কঠিন, এত প্যাচঘোেচের আরবী, কোনো মিল নাই। মিল থাকলে মুখস্থ কইরা আরাম। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ১ ঘন্টা পার হলো টের পাইনি। এমন সময় আম্মাজান হাজির। মুখস্থ ধরলে আল্লাহু লা হুয়াল যেয়েই গুলায় গেলো। ন গদে দিলো বন চটকানা। কানে ধরে বললো,"বইসা বইসা কি ধ্যান করলি?" এমন সময় দাদাজান দেখে বললো,"মাইরো না। একটু ধৈর্য্য ধরে পড়াও, দেখবা মুখস্থ হয়ে গেছে।" আম্মাজান আক্ষেপের সুরে বললো,"ওর ঘ্যান ঘ্যান শুইনা আমার মুখস্থ হইয়া গেছে কিন্তু ওর মুখস্থ হয় না। ওর মাথা যে কুন দিকে!" এটা বলে আরেকটা থাপ্পড়। ওদিকে মাঠ থেকে পোলাপানের খেলার শব্দ কানে আসতেছে। বুকটা ছিড়ে যাইতেছে কি যে মুখস্থ করতে বসলাম। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা যায়, আম্মা বন চটকানা রেখে ইক্ষু দিয়া পিটায়, তাতে কাজ না হইলে ডাসা (ঘরের দরজার দুই কপাট ছিটকিনি দিয়ে বন্ধ করার পরও এক্সট্রা সিকিউরিটির জন্য মোটা কাঠের একটা খিল পড়ানো হতো। ঐ মোটা কাঠকে ডাসা বলতাম)। অনেক কস্টে রাত ১০ টার দিকে মনে হইলো মুখস্থ হইছে। আম্মাকে গিয়ে বললাম, মুখস্থ হইছে।
: কালকা ক্লাসে পারবি তো?
: হ।
: এখন খাইতে বয়। সকালে ক্লাসে যাইয়া যেনো ভুল না হয়।

চিন্তা করলাম মুখস্থ ধরবো না আগে জানলে মেলা আগেই আমপাড়া রাইখা মাঠ থিকা একটা ঘুরান্তি দিয়া আসতাম। শিট! ভুল হইয়া গেছে। ওদিকে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে সকালে বেলা ক্লাশে গেলাম। বসলাম একেবারে শেষ বেঞ্চের কোনার জায়গায়। যাতে হুজুরে না দেখে। মাথা গুজা করে রাখলাম। হুজুর ক্লাসে ঢুকলো, ঢুকেই একজনকে দাড়া করিয়ে জিজ্ঞেস করলো আয়াতুল কুরসী বলতে। সে তোতা পাখির মতো বলে দিলো। হুজুরের আবার নিয়ম ছিলো কোনো কিছু মুখ্স্থ করতে দিলে তার পরের দিন ৪-৫ জনকে জিজ্ঞেস করে। যখনই একেকজনকে দাড়া করায় আমি হাফ ছেড়ে বাচি। যখনই ৫ নম্বরের জন্য হুজুর চোখ বুলাচ্ছিলো হঠাৎ করেই পড়লো আমার ওপর।
"ঐ কুজা, কোনায় বইসা রইছোস, খাড়া, শুরু কর!"

আমি আমতা আমতা করতে করতে দাড়ালাম। শুরু করতে গিয়ে দেখি সূরা বাকারার প্রথম লাইন খালি মাথায় আসতেছে কিন্তু আয়াতুল কুরসীর কুনো খবর নাই। এদিকে শীতের সকালে পিঠ ভিজে ঘামে একাকার। হুজুর মতলব ভালো না আঁচ করতে পারলো। হাতে বেত নিয়ে দিলো একটা ঝাড়ি,"মুরগীর মতো ঝিম ধরছোস কেন? আয়াতুল কুরসী ক তাড়াতাড়ি!"

হুজুরের ঝাড়ি খেয়ে কি যে বললাম খেয়াল নাই। শেষ না হইতেই দেখি বেতের ৫ টা বাড়ী আমার পশ্চাদে আমেরিকার এফ ২২ বিমানের মতো গুলিবর্ষন করে আমারে ধ্বংস করে দিলো। ব্যাথা স হ্য করতে না পাইরা দিলাম কয়টা লাফ। লাফ দেইখা ক্লাশ ভর্তি পুলাপানের কি হাসি। ছুটির পর যখন বাসায় যাইতেছিলাম তখন ডেবিট আমার সাথে সাথে হাটতেছিলো,"কিরে তোর কাহিনী কি? আয়াতুল কুরসী জিগাইলো আর কইলি টুইঙ্কেল টুইঙ্কেল লিটিল স্টার। তোর মাথা কি ঠিক আছে?"
: আর কইস না। কালকা যে কতবার পড়ছি।
: কি কস সোজাই তো। আমার তো মুখস্থ।
: আরে আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল ......

কিছুক্ষন পর নিজেই লক্ষ করলাম পুরা আয়াতুল কুরসীটা মুখস্থ বলে ফেলেছি। ডেবিট বললো,"কিরে তুই তো পারস। ক্লাসে কি হইছিলো?"
আমি নিজেও জানি না ক্লাশে কি হইছিলো। আয়াতুল কুরসীর প্রতিটা শব্দ প্রতিটা লাইন যেনো আমার চোখের সামনে ভাসতেছিলো। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত আয়াতুল কুরসী এখনো ভুলি নাই। মাঝে মাঝে আমি যেনো নিজেকেই চিনতে পারি না। কিছু একটা হয় আমার, আগেও হতো। আমি আসলেই নিজেকে চিনতে পারি না।

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মাঝে মাঝে সবারই কিছু একটা হয়, বোধহয়।
এসএসসিতে কেমিস্ট্রিতে লেটার মার্কস পাওয়া আমি, নটরড্যাম কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়েছি। স্যার বললেন, পরমানুর সংগা বলো। পারি নাই। এমন লজ্জা পেলাম, বলার মতো না।
রুম থেকে বের হতেই পুরা বই যেন চোখের সামনে চলে এলো।

আপনার স্মৃতিচারণ খুব ভালো লাগলো।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এরাম জীবনে আমার মেলাবার হইছে। বলতে পারেন জীবনে এইটা আমার কমন ঘটনা। একবার প্লেনে নাসার এ বিজ্ঞানীর সাথে দেখা। বুয়েটের ম্যাটালার্জির ছাত্র ছিলো। কথা প্রসঙ্গে এ্যালুমিনিয়ামের বিভিন্ন এলয় নিয়া কথা কইলাম। সে জিগাইলো আমি কি বুয়েটের কিনা। আমি কইলাম না। পরে ট্রানজিটে সে তুরস্ক যায় ঘুরতে। আমি মনে মনে চিন্তা করলাম কয়দিন একটা সেমিকন্ডাক্টর ফিজিক্সের বই পড়ছিলাম। এমনি চোখের সামনে বুলানো। ভাবছিলাম ভুলে গেছি পরে দেখলাম সবই আমার মনে আছে। কামের জিনিস সঠিক টাইমে মনে আসে না এইডাই একটু সমস্যা

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:২৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কি চুয়েটিয়ান!
চুয়েট তো চুরমার হয়ে গেল???:(

আপনার আব্বা আম্মা এখন কোথায়?
স্কুলে থাকতে আমিও এক স্যারের পড়া ভুলে যেতাম।

@মাঝে মাঝে আমি যেনো নিজেকেই চিনতে পারি না। কিছু একটা হয় আমার, আগেও হতো। আমি আসলেই নিজেকে চিনতে পারি না।
.... কি হয় আপনার, বলতে পারেন। সর্ট সার্কিট? নাকি ওপেন সার্কিট?:P

আজকের লেখা দারুন হয়েছে। লাইক দিলাম। এখন কিন্তু খাওয়াতে হবে....

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এইডা যদি চুরমার কন, তাইলে আমাগো সময়ের কাহিনী দেখলে তো বিশ্বযুদ্ধ কইতেন। আর ৯০ এর জাহাঙ্গীর, খোকনের কাহিনী দেখলে কেয়ামত কই জায়নামাজে খাডইতেন

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভালো লাগোলো। আমি শিখেছিলাম ক্লাস সেভেনে উঠে, অর্থসহ। আর ভুলি নাই।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ক্নাস সেভেন পর্যন্ত ধর্মকর্ম নিয়া ঠিকই ছিলাম। ৮ম শ্রেনীতে উইঠা বিগ ব্যাং আর ক্যালকুলাস শিখাই পেচগী লাগে

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আরবী মুখস্ত করা আস‌লেই খুব ক‌ঠিন। আ‌জো ক‌ঠিন ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিন্তু আপনি যদি ছন্দটা ধরতে পারেন দেখবেন সুন্দর বইসা গেছে। তবে কোরান শরীফ মুখস্থ করার চাইতে মনে রাখা অনেক টেনশনের। অনেকের তো প্রথম প্রথম নাওয়া খাওয়া বন্ধ হয়ে যেতো।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২২

কানিজ রিনা বলেছেন: আপনি আয়তাল কুরছী পড়ে লেখা জুখা
করলে সব লেখায় প্রথম পাতায় যাইব।
সে যতই আপনি ইসলাম বিরুদ্ধ লেখেন।
বিশ্বাস নাহয় প্রমান করে দেখুন হাহাহা।
তয় রেডিও আবিস্কারক আয়তাল কুরছির
একটা আয়াত ধরে রেডিও আবিস্কার
করেছিল আল্লাহ্ মহাবিশ্ব জুড়ে সমান
ভাবে বিস্তির্ন। আপনার স্মৃতি চারন ভালই
লাগল। মার হাতে মার খেয়েছি যে কোনও
সাবজেক্ট পড়া অসুম্পর্ন রাখলে। ধন্যবাদ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাইরে বোলগাই ধরেন ১২ বছর। পোস্ট প্রথম পাতায় গেলো না শেষ পাতা সেইটা এখন আর দেখার বয়স নাই। তয় কুটিকালে পড়া না পইড়া গেলে মাইর যাতে না খাই এজন্য আয়াতুল কুরসী আর ইউনুস পড়তাম। হেই দিন স্কুল বাসা হাউস টিউটর বেকতে মিলা পিটাইতো। অস্টম ক্লাস থিকা যখন ঈমান দুর্বল হওয়া শুরু করলো তখন কেমনে কেমনে জানি পডলেখাতে ভালো করতে লাগলাম। ম্যাট্টিকের সময়ই ইন্টারের ফিজিক্স ম্যাথ শেষ। একটা জোশ আইছিলো তখন। খালি পড়া লেখা করতাম, টেক্সট বুকের বাইরে। সেই অভ্যাস এখন আরো প্রকট

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

কলাবাগান১ বলেছেন: "রেডিও আবিস্কারক আয়তাল কুরছির
একটা আয়াত ধরে রেডিও আবিস্কার
করেছিল"
বেকুবিপনা গাছে ধরে না....মার্কনি কি আরবী জানতেন????

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ওনার এই চিন্তা ক্লাস সেভেনে থাকতে আমিও করতাম। উনি যতদূর জানি কুস্টিয়া নিবাসী... একটু আত্মকেন্দ্রিক। জীবনে এমন কিছু ঘটেছে যার কারনে একটু হতাশাতেও আছেন। আমার মনে হয় ওনাকে আমাদের একটু স্পেস দেয়া উচিত

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।

শিরোনামটা কনফিউজিং। আপনার আয়াতুল কুরসী মুখস্থ করার ব্যাকগ্রাউন্ড এটা।

আমি মাত্র ১ বছরের সামান্য উপরে হলো এটা মুখস্থ করেছি। যে-কোনো সুরা মুখস্থ করার সময়ই আমার কাছে জটিল মনে হয়। নতুন মুখস্থ করা সুরাটা নামাজে বেশি বেশি পড়তে পড়তে একসময় ফ্লুয়েন্ট হয়ে যাই। তবে, আয়াতুল কুরসী মুখস্থ করতে আমাকে অনেক বেগ পেতে হয়েছিল। এখন আল্লাহর রহমতে প্রতিদিনই নিয়মিত পড়া হয়।

সন্তানের জন্য মা-বাবার চিন্তার অন্ত নাই। আপনার প্রতি আপনার মা-বাবার আকুতির মধ্য দিয়েই সেই চিরন্তন সত্যটি প্রকাশিত হয়েছে। আর, আপনি মা-বাবার সাথে আপাত রূঢ়ভাবে কথা বললেও তার গভীরেও রয়েছে মা-বাবার প্রতি অসীম মমতা ও আন্তরিকতা, যেজন্য তাঁদের কান্না সহ্য করতে না পেরে মোবাইল বন্ধ করে দেন।

আপনার মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধা রইল। তাঁদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

আপনিও বিদেশের মাটিতে সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

পোস্ট ভালো লাগলো।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এটা ইচ্ছে করেই কনফিউজিং রেখেছি। কারন শানে নযুল জিনিসটা আমরা কেউ পড়ি না। বই গুলো খুব সস্তা কিন্তু পড়ার প্রয়োজনীয়তা যেমন কেউ ফিল করে না। এটার প্রতি এক্টা সূক্ষ্ম ব্যাঙ্গ।


বাবা মা এর সাথে মোলায়েম ব্যাবহার করলে তারা এমন সব আচার আচরন করে বিরহের সৃস্টি করে যেটা তাদের জন্য ক্ষতিকর। তারা এখন একা। তাদেরকে লুতুপুতু করে রাখা একেবারেই অনুচিত। তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে। তাদেরকে কাছে আমার চেস্টা করাচি কিন্তু মা এর অবস্থার কারনে তাদের ভিসা পাওয়া অনিশ্চিত। তাই তাদেরকে সবসময় শক্ত ভাবে বলি এটা করো ওটা করো নইলে তারা শুনবে না। যখন আমি লুতুপুতু হয়েছিলাম তখন কোনো কথাই শুনতো না বাশও খেতো। এখন বাঁশ খাওয়া কমছে।

আমার নিজের খারাপ লাগে কিন্তু করার কিছু নাই। এমন অনেক পরিস্থিতি আছে যেখানে আমার অবস্খান তাকে প্রকট করে তুলবে কিন্তু আমার কথা মতো যদি তারা নিজেরা করে অনেক কিছু ঠিক মতো হয়।

ধন্যবাদ

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার।
আপনি তো ওস্তাদ লোক।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি মোটেও ওস্তাদ না, দুস্ট পাগল বলতে পারেন

৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কি হে কারেন্টের মিস্ত্রি?:P
কোথায় ডুব মারলেন?

@ সবসময় মনে পড়ে লম্বা চওড়া ৬ ফুটি একজন ফর্সা সুঠাম দেহী মানুষ যার মুখে একটা মিস্টি হাসি, সেই মানুষটা কিভাবে কাঁদে!
... আহা! পারলে উনাকে আরেকটু বুঝান। মানুষের কান্না আমার সহ্য হয় না।


১. লেখার ঘটনা কি সত্যি?
২. আম্মার হাতে আমিও একদিন দাবড়ানি খাইছিলাম। বকাঝকা তো প্রতিদিনের রেসিপি ছিল। তবে তাতে একটা লাভ হয়েছে। ব্লগে উল্টাপাল্টা কেউ কিছু বললে, হাসি পায়। মনে হয় গন্ডারের কাছে চামচিকা কিচিরমিচির করছে!!:P




@রাজীব নুরবলেছেন: চমৎকার।আপনি তো ওস্তাদ লোক।
... আপনার ওস্তাদ যদি লাইনমত চলে, আমি তাকে গুরু মানবো। আর উল্টাপাল্টা চললে ডলা দিবো।।:P

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি কিন্তু তায়কোয়ান্দো জানি

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

কানিজ রিনা বলেছেন: কলাবাগান সব বিজ্ঞান গবেষনাগারে কোরআন
বিজ্ঞানের গবেষনা হয় তা কি জানেন।
বিশ্বাস না হলে বিজ্ঞানী সমশের আলির
কোরআন ভিত্তিক বিজ্ঞান গবেষনার বইগুল
পরুন আর অনেক বিজ্ঞানী কোরআনের
বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করেন তারাও মুসলিম
না।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: যতদুর জানি কলাবাগান আমেরিকা প্রবাসী এবং তার এসবের ওপর উচ্চতর ডিগ্রী আছে। তিনি ওখানেই থাকেন। যদিও তিনি স্বনামে আসেন না বিভিন্ন কারনে আমার মনে হয় উনি এসব সম্পর্কে বেশ ভালো ভাবেই জানেন।

আপনি আপনার মতামত প্রকাশ করেছেন। ভুল ঠিক দুটোই হতে পারে যেটা আপনি খুঁজে দেখেননি বা জানার চেস্টা করেননি। তবে সবার কথা পাই টু পাই বিশ্বাস করাটা বোকামী। আপনাকেও বলি একটু যাচাই করে নিন

১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমারও তাই মনে হয় , আপনি আসলেই নিজেকে হারাইয়া ফেলিয়াছেন ! নিজেকে খুঁজিয়া পান এই কামনা করি !

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার মনে হওয়া ব্যাক্তিগত ব্যাপার। সামগ্রীক ভাবে সেটা সত্য নাও হতে পারে।

মিথ্যা ধর্ম সম্পর্কে যদি ভুল জানি তাহলে সে ভুলটা যুক্তি ও তথ্যের আলোকে ধরিয়ে দিলে কৃতার্থ থাকবো

১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

লাবণ্য ২ বলেছেন: ভালো লাগল আপনার স্মৃতিচারণ।কম বেশি সবারই মনে হয় ভুলোমনা রোগ আছে।আমারও মাঝেমধ্যে এমন হয়।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাইরে চোখে চশমা রেখে সেদিনও ১ ঘন্টা চশমা খুঁজলাম। মাঝে মাঝেই রুমের চাবী নিতে মনে থাকে না। পরে পাইপ বেয়ে জানালার চিপা দিয়ে রুমে ঢুকতে হয়

১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

বিজন রয় বলেছেন: তবে কি অামি গীতার শ্লোক মুখস্থ করবো?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অবশ্যই... মন্ত্রপাঠে পুন্যি হয়। ওম নমস্বীবায়ে

১৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ কানিজ রিনা-2018 সালে এসে এইধরণের কথা আপনি কিভাবে লিখেন ?
সব বিজ্ঞান গবেষণাগারে কোরআন গবেষণা হয় ! তো কয়েকটি বিখ্যাত গবেষণাগারের নাম উল্লেখ করুন। আর কি topic নিয়ে গবেষণা করে, কি কি আবিষ্কার করেছে সেটাও উল্লেখ করবেন।

বিজ্ঞানী শমসের আলী কোরআনভিত্তিক বিজ্ঞান গবেষণা করা কি কি আবিষ্কার করেছেন তার কিছু উদাহরণ দেন তো দেখি।

যে সব অমুসলিম বিজ্ঞানী কোরআনে বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করেন তাদের কয়েকজনের নাম বলেন তো দেখি।

কোরআন থেকে যদি বিজ্ঞান আবিষ্কার করা যেতো তবে হার্ভার্ড,অক্সফোর্ড,কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় বাদ দিয়ে সৌদী মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়,মিশরের আল আজহার,ভারতীয় দারুল উলুম দেওবন্দ,হাটহাজারীর দারুল উল মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হতো।

আধুনিক পৃথিবীর জ্ঞান বিজ্ঞানে মুসলমানরা এত পিছিয়ে থাকতো না।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এসব মানুষের অজ্ঞতার জন্য আসলে সিস্টেমটা দায়ী। দুনিয়াতে কোথাও দেখবেন না যে শিক্ষাব্যাবস্থায় এত পার্ট। এমনকি মাদ্রাসাতেও তিনটা। একজন আরেকজনকে বলে ভুয়া। সেদেশের মানুষ হয়ে আমি নিজেই যে কত ভুল শিখছি সেটা বিদেশে পড়তে এসে হাড়ে হাড়ে বুঝেছিলাম

১৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

রাকু হাসান বলেছেন: অলৌকিক কিছু আছে মনে হচ্ছে আপনার মাঝে :||

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কপাল ভালো বলেননিযে ইসলামবিরোধী বোলগারের ইসলামে পুনরাগমন....

১৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ভয়ে ভয়ে পড়লাম। আশঙ্কায় ছিলুম, কোন্ পর্যন্ত পড়লেই না জানি আল্লাহ রাসূল কিংবা ইসলাম ধর্ম নিয়ে খিস্তি খেউড় স্টার্ট হবে! কিন্তু নাহ! আশঙ্কা ভুল ছিল।

অন্তত: এই পোস্টটিতে শুয়োর টুয়োর ইত্যাকার কোনো শব্দ উচ্চারন করেননি, দেখে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন। আপনার জন্য অবারিত হোক কল্যানের দ্বার।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সত্য কথা বলতে আমি ধর্ম নিয়ে লেখার লোক না। আমি ইসলাম বিদ্বেষী হয়েছি ৭ মাস আগে কিন্তু ফেসবুকেও কখনো ধর্ম নিয়ে কোনো স্ট্যাটাস দেইনি ব্লগে তো পোস্ট দেবার প্রশ্নই আসে না। আমার ঈশ্বর চিন্তা নিয়ে পোস্ট দিতে তখনই বাধ্য হয়েছি যখন অজ্ঞ অশিক্ষিত মানুষজন আমাকে মুখের ওপর বলে আমি ভুল বলছি বা আমি কিছু জানি না। কাউকে মুখের ওপর ভুল বলা বা কিছু জানে না এটা একটা ধৃষ্টতা যদি না আপনি তার সম্পর্কে না জানেন। তাই আমি শুধু একটা স্যাম্পল দিয়েছি।

আরে দেখেন তাতেই কবিতা লিখা থেকে শুরু করে আমাকে আমার মা বাবা নিয়ে তুমুল গালি এমনকি আমার যেনো ক্ষতি বা জাহান্নাম বা অনীষ্ট হয় সেজন্য দোয়া করে পোস্ট দেয়া হয়েছে। আমি তাতে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাইনি। তারপরও যখন আমার ওপর এবং আমার আদর্শের ওপর কেউ বুড়ো আঙ্গুল বা হিংসাত্মক কথা বলে তখন আমি কি করবো?

আমি জানি যে আপনি ধর্মভক্ত। এখন আমি যদি যেচে এসে আপনাকে বলি আক্রমনাত্মক কথা তাও আবার আপনার পোস্টে এসে আপনি কি করবেন? নিশ্চয়ই প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, তাই না? তারপর ও আমি সুযোগ রাখি সুস্থ আলোচনার। আমার প্রতিটা পোস্টের কমেন্টে দেখুন আমার মতের বিরোধীরাও যদি যুক্তিপূর্ন আলোচনা শুরু করে আমি তাতে স্বানন্দে অংশগ্রহন করি। আমি আলোচনা করতে ভালোবাসি, ভালোবাসি জ্ঞানের চর্চায় বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে। এটাতেই আমার প্রশান্তি। কিন্তু আমাকে বা আমার মতাদর্শকে কেউ যুক্তিহীন ভাবে অযাচিত আক্রমন করলে তখন নিজেকে ঠিক রাখা দায় এবং এই স হজাত প্রবৃত্তিগত আচরন সবার জন্যই প্রযোজ্য।

তবুও আমার কোনো কথায় যদি আপনি আঘাতপ্রাপ্ত হোন, আমি দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী

১৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৩

অচেনা হৃদি বলেছেন: শানে নুজুল খুব চমৎকার ছিল! :) ++

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শানে নযুল মেড বাই উদাপাগলা

১৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩১

কানিজ রিনা বলেছেন: ভিন্ন চিন্তা পথ মন, আপনার সাথে তর্কে
জড়ানো প্রয়োজন মনে করছিনা। শুধু বলব
বিজ্ঞানী ডাঃ শমসের আলির কোরআন
ভিত্তি বিজ্ঞান গবেষনার বইগুল যোগার
করলে সব পেয়ে যাবেন। তিনি একজন
বিজ্ঞানী তাই নয় কি? আমি আপনি তো
বিজ্ঞানী নই। শমসের আলি বিজ্ঞানী হয়ে
কোরআন ভিত্তিক বিজ্ঞান গবেষনা করতে
পারেন তাহলে অন্য বিজ্ঞানীরা কেন করতে
পারবে না। সে মুসলিম হোক অমুসলিম হোক।
তাই কোন বিজ্ঞানী কোরআন গবেষনা করতে
করতে মুসলিম হয়েছেন তা পেয়ে যাবেন
শমসের আলির গবেষনায়। বিশ্বাসে মিলে
বস্তু তর্কে বহুদুর।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপা একটা কথা বলি। ওনার গবেষনা প্রবন্ধগুলো নীচে দিলাম:
Scientific Indications in the Holy Quran ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলমানদের অবদান।
BRAIN TWISTER (Delightful Mathematics)
Alladin's Real Lamp : Science and Technology, ২০১১

সমস্যা হলো আমার শিক্ষাজীবনের শেষ ইউনি মিডসুইডেনে যেকোনো টিএ বা টিচিং এসিস্ট্যান্ট যে কিনা তার পিএইচডির অফারের জন্য বছরের পর বছর চেস্টা করে যাচ্ছেন তার প্রকাশিত জার্নালের সংখ্যা এবং তার পীয়ারড রিভিউ হিসেবে মান এর চে অনেক উপরে। আরেকটা সমস্যা হলো ওনার প্রবন্ধের কোনো লিংক পেলাম না। একজন বৈজ্ঞানিক মাত্রই তার প্রকাশিত প্রবন্ধ অবশ্যি অনলাইনে থাকতে হবে তা সে ৪০ বা ৫০ এর দশকেই করুক। সে ম্যানচেস্টার ইউনি থেকে পিএইচিডি যখন করেছিলো তখন দু ধরনের পিএইচডি ছিলো একটা হলো একাডেমিক আরেকটা হলো প্রফেশনাল। প্রফেশনাল পিএইচডির মান একটা মাস্টার্সের সমান এজন্য যে তাকে সেখানে মৌলিক কোনো গবেষনা করতে হয় না এবং সে যে মৌলিক কাজ দেখিয়ে পিএইচডি নিয়েছেন সেটা একটা বৃহৎ কাজের অংশ বিশেষ যার ফলে তার প্রফেশনাল দক্ষতা বাড়াবে। সে হিসেবে তিনি সেরকম ডিগ্রী নিয়েছেন। সে হিসেবে পাশ করার পর ওনার তেমন কোনো সাইটেশন নাই যে যেখানে তেমন কোনো গবেষনার প্রমান পাই। স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশে যখন পেশাজীবি ও বুদ্ধিজীবি মহলের একটা অভাব ছিলো তিনি সেটা নিজ ডিগ্রী বলে সেই অভাব পূরন করেছেন। কিন্তু আমাদের জাতীয় জীবনে একমাত্র আনবিক কমিশনের ডিরেক্টর আর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাড়া তার কোনো অবদান নেই। আনবিক শক্তি কমিশনের ডিরেক্টর হওয়াটাও তেমন আহামরী কিছু না কারন কয়েক বছর আগেও সেখানকার ডিরেক্টর ছিলো একজন ডাক্তার যেটা আমাদের জাতীর জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার।

এখন তার কথা বা লেখা আপনি বেদবাক্য হিসেবে মেনে নিয়ে এমন একজনের সাথে তর্ক করছেন যে কিনা সেরকম উন্নত বিশ্বে থেকে তার নিজের ক্ষেত্রে গবেষনার নেতৃত্ব দেন। এটাকে আপনি কি মনে করেন? যদিও আপনি হতাশাগ্রস্থ এবং ব্যাস্ত (?) মানুষ, আপনার মতের সাথে না মিললে তাকে আপনি দেন না, তবে আপনাকে ভাববার জন্য একবার অনুরোধ করলাম। মিথ্যা ধর্মের বই দেখিয়ে একজন ঠগ বাটপার মিথ্যা বললেই যে তাকে বিশ্বাস করবেন এটা একটা ভয়ংকর আত্মঘাতী প্রবনতা

১৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মান্যবরেষু ,

আমি আপনার কয়েকটি পোষ্ট লগইন না করে পড়েছি। সে সময় যুক্তিতে হয়তো আপনি ঠিক কিন্তু ধর্মীয় আবেগে আপনার পোষ্টকে মেলাতে পারতমনা। ধর্ম সম্পর্কে আমি একেবারে অজ্ঞ বা আপনার কথায় অন্ধ। তবুও আমি এই অন্ধত্ব নিয়েই থাকতে চাই। তবে আজ সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের পোষ্ট দিলেন। মন ভরে গেল। হয়তো পরে এই লোভে পড়তে এসে আপনি আবার আপনার চেনা ছন্দে পোষ্ট দেবেন , সেদিন জানিনা মনের অবস্থা কেমন হবে।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:১০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি যাই লিখি বা বিশ্বাস করি না কেন, মনে রাখবেন আপনার ব্যাক্তিগত ধর্মীয় বিশ্বাসকে আমি সর্বদা শ্রদ্ধা জানাই

২০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: "ঐ কুজা, কোনায় বইসা রইছোস, খাড়া, শুরু কর!" -- এটা পড়ে বেশ কিছুক্ষণ হাসলাম।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তারপর যে আমার জান নিয়ে টানাটানি সেটা কি দেখলেন না? নিষ্ঠুর পৃথিবী!

২১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৫

সনেট কবি বলেছেন: একটু ইস্টিশনে গেছিলাম। রবিউল চাচার লেখা গুলো পড়লাম। আপনার এ লেখাপড়ে নিজেকে উদাসী মনে হলো, আর মনে হলো স্বপ্ন দেখছিনাতো?

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:১৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি এখনো চরম ইসলাম বিদ্বেষীই আছি। চিন্তা করবেন না, আমি যে পথ একবার বেছে নেই সে পথে আজীবন থাকি। আমার কাছে যুক্তিই সব

২২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনি যে খুব ভাল লেখতে পারেন, এ লেখাটিই তার প্রমাণ। অনেক হাঁসি পেল লেখাটি পড়তে।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:১৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমার হাতের লেখা মোটেই সুবিধের নয়, শুধু টাইপ করেছি মাত্র

২৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

সনেট কবি বলেছেন: আপনার মতে চলে যদি আপনি লাভবান হতে পারেন তাতে আর পাঁচ জনের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এখন কাউকে কাতুকুতু না দিলেই হয়।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কাতুকুতু আমি কই দেই? দিন ভর তো দেখি ৫-১০ টা পোস্ট নাযিল হয় আমাগো অশুভ কামনা এবং মৃত্যুর পর হিসাবের সময় জাহান্নামে যাই সেরকম কিছু কামনা করে। লাহাবের নামে যেমন কুৎসা রটনা করে তারে বস্তির মহিলাদেরমতো অভিশাপ দেয়া হইছিলো তেমনি আমাদের নামে দেয়া হয়। এমনকি কোনো কোনো পোস্টে আমার নাম উল্লেখ করে মুন্ডু চপকানো হয়। সেসব পোস্টে আমার কোনো প্রতিবাদ দেখেছেন?

আবার সেসব পোস্ট রিফিউট করেও কোনো পোস্ট দেই নি। এমনকি আপনি আপনার পোস্টে যতগুলো অভিশাপ এমনকি এক জায়গায় লেখলেন মরার পর যে শাস্তি দেয়া হবে তা দেখে মজাই লাগবে এরকম স্যাডিস্ট ভাবনারও কি প্রতিবাদ করেছি? এখন দেখা যাচ্ছে কুতুকুতু দেয়ার সুযোগ কই? আপনারা নিজেরাই নিজেদের কুতুকুতু দেন।

তারপরও যখন দুয়েকটা লিখেই ফেলি তাও সহী রেফারেন্স দিয়ে, যুক্তিপূর্ন কথায়, তখন তো কথাই নাই। এমনকি নির্দোষ এই পোস্ট নিয়েও মানুষের চুলকানী। দেখা যাচ্ছে আপনাদের ধর্ম আর লীগ সরকার দুটোই এক। কিছু বললেই অনুভুতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আর আপনারা কিছু বললে সমস্যা নাই। সকাল সন্ধ্যা কিছু বলার ঢোল পিটানির ইনডেমনিটি জন্ম থেকেই পেয়ে গেছেন। গায়ের জোরে যুক্তি ছাড়াই বলছেন আপনারাই সত্য বাকিসব মিথ্যা।

তো ঠিক আছে, তারপরও সুখে থাকেন। সুখে থাকাটা জরুরী

২৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১২

সনেট কবি বলেছেন: আপনাদের অশুভ কামনায় আপনাদের বিশেষ একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কারণ যারা আপনাদের অশুভ করবেন আপনারা তাদের বিশ্বাস করেননা। নাস্তিকদের সাথে তর্কে আমি ওদেরকে বলতাম জাহান্নামে তোমাদেরকে জ্যান্ত ফুটবল বানানো হবে। তারপর শাস্তি লাঘবের শর্তে জাহান্নামিদেরকে সেই সব ফুটবল খেলতে দেওয়া হবে। খেলাশেষে সে সব ফুটবল জাহান্নামীদের মলমূত্র ও রক্ত পুঁজের নর্দমায় ডুবিয়ে রাখা হবে। আর তারা সে সব পানাহার করতে বাধ্য হবে। আর এভাবেই তোমাদের ইসলাম বিদ্বেষের জবাব দেওয়া হবে। আমার কথায় বেচারারা কি বলবে খুঁজে পেতনা।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তার মানে দেখা যায় মৃত্যুর পরও আপনারা অবিশ্বাসীদের প্রতি চরম ঘৃনা জারী রাখবেন এবং তাদের কস্টে আপনারা নির্মল আনন্দ পাবেন এবং এ থেকে এটাও প্রতীয়মান হয় যে মৃত্যুর পরও যাদের এত জিঘাংসা তারা জীবদ্দশায় কি পরিমান, ঘৃনা, সহিংসতা, বিদ্বেষ, বর্বরতা পোষন করে যা অচিন্তনীয় এবং এসব ভয়াবহ হীন মন মানসিকতার স্বাক্ষর বহন করে আসছে খলিফা ওমরের মতো পাগলাটে ডাকাত যার লাথীর আঘাত থেকে নবী মোহাম্মদের মেয়ে পর্যন্ত মুক্তি পায় নি এবং এ সময়ের আইএসআইএস।

অথচ দেখেন আমাদের পরিবার তথা বন্ধু বান্ধবদের প্রতি আমার কতটা সহমর্মিতা। এবং সবাই আমার চরম ইসলাম বিদ্বেষী মানসিকতার পরেও তাদের প্রতি আমার যে আচরন এবং উন্নত বিশ্বে মুসলমানদের প্রতি এত সহমর্মিতা এটা দেখে একজন ধর্মনিরপেক্ষ বা অন্য যেকোনো মানবিক গুন সম্পন্ন সুস্থ মানুষও আপনাদের দেখে আতকে যায়।

আপনাদের ঘৃন্যমনের বিরুদ্ধে আমাদের এই যুক্তির লড়াই চলবেই। আপনারা মানুষদের যতদিন মানুষ মনে করবেন না ততদিন আপনাদের ডাহা মনোতোষ ধর্মই আপনাদের ডুবিয়েছে এবং ডুবাচ্ছে ও ডোবাবে

মানুষ হোন এবং সুস্থতা লাভ করুন

২৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৮

সিফটিপিন বলেছেন: এস এস সি পরীক্ষায় 'হ' কেমন করে লিখতে হয় ভুলে গেছিলাম। লজ্জার মাথা খেয়ে পাশের জনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এসএসসি পরীক্ষাটা আমার ঘোরের মধ্যে গেছে। ক্লাস টেনের টেস্ট মানে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবার পর দেখলাম আমি ইন্টারের পদার্থ আর ম্যাথে অনেকখানি শেষ করেছি কিন্তু এসএসসির ক্যামিস্ট্রি বাংলা ভুগোল সব বাকি। এদিকে কোনো স্যারই আর প্রাইভেটে ব্যাচ নিচ্ছিলো না। বাসায় ভয়ে কাউকে বলি নাই। তখন হিতৈষী স্কুলের ওয়াহিদ স্যারের কাছে গেলাম। তার সব ব্যাচ কানায় কানায় পূর্ন ক্লাস নাইনের পোলাপান দিয়ে। অনেক কস্টে ক্লাস নাইনের মেয়েদের ব্যাচে ঢুকালো। আহ! সে কি দিন ছিলো!

২৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২১

সিফটিপিন বলেছেন: @সনেট কবি, জুজু বুড়ির ভয় দেখান তাহলে?

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই ওনার কমেন্ট টা পড়ে দেখেন, কি পরিমান বর্বরতা হিংসা এরা পোষন করে..,. কিছু বলার ভাষা পাচ্ছি না। মনুষ্যত্ববোধ দেখি এদের কিছুই নেই। আবার এদের বাল্যবিবাহ, ইসলামী ক্রিতদাস প্রথার বহুবিবাহ তথা ব্যাভিচার নিয়ে একটু আলোচনা করলে কেমনে তে আসে কি আজকে বাজে কথা বলে অভিশাপ দেয়।

ভাবতে অবাক লাগে

২৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

সনেট কবি বলেছেন: @ সিফটিপিন, তারাতো বীর, তারা ভয় পায়না, তাদেরকে ভয় দেখানো জাষ্ট ফান। তা’সে বুড়ির হোক অথবা বুড়ার হোক তাতে কি আসে যায়। আল্লাহ বলেছেন, তাদের টুটি চেপে ধরবেন। তারাতো আর আল্লাহর কথা বিশ্বাসই করেনা তো তাতে মনে কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। মৃত্যুরপর দেখা যাবে তাদের কি হাল হয়।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আরে আমিও তো মনে করি যারা মিথ্যা ঈশ্বর অনুসরন না করে ওডিনের পথ বেছে নিয়েছে মৃত্যুর পর তাদের জায়গা হবে ভল হেলা যেখানে তারা সারাদিন ভাইকিং দের মতো যুদ্ধ করবে এবং বিকালে এসে তাদের শরীরের সমস্ত ক্ষত ও ক্লান্তি ঠিক হয়ে যাবে। এবং রাতের ডিনারে থাকবে শেরিমনির নামের বুনো শুয়োরের গোস্ত যাকে জবাই করলে সে কিছুক্ষন পর পুনরায় জীবিত হয়ে যায় ফলে এই সুস্বাদু গোস্তের সরবরাহ কখনো ফুরাবে না আর পান করবে হেদ্রুনের দুধ। আর শয্যার পাশে পাবে ভলকাইরীর সুন্দরীতম সুঢৌল সৌষ্ঠবের ভাজখেলা যোদ্ধদের।

আর যারা মানবে না তাদের জন্য অপেক্ষা করছে হেলার সেই কঠিনতম শাস্তি। র‌্যাগনারকের এই বার্তা মহান ওডিন খ্রিস্টপূর্ব কয়েক হাজার বছর আগেই স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় মানজাতীর জন্য পৌছে দেয়া হইছে। তারপরেও কেন যে বোকারা শিশুকামী ধর্ষক নারীলোভী ডাকাতের মিথ্যা গ্রন্থ যার পড়তে পড়তে ভুল তাকে মেনে চলে বুঝি না। অবিশ্বাসীদের জন্য কি পরিমান শাস্তি অপেক্ষা সেটা যে কেন বুঝেও বুঝে না সেটা ভেবেই হাসি আসে। (সারকাজম যেমনটা এরা বলে হা হা হা)

২৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

জেন রসি বলেছেন:
ইসলাম ধর্মের প্রতি আপনার একটা মোহ আছে সম্ভবত। যা নিয়ে আপনার নিজের ভেতরেই পক্ষে একটা দ্বন্দ্ব চলে। আপনি ম্যাটা ন্যারেটিভকে ফেলে দিতে চাননা হয়ত। বাট আপনার অর্জিত জ্ঞান দিয়ে জাস্টিফাই করলে আবার মেনেও নিতে পারেন না। এমন কিছু?


১১ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মাদ্রাসা কেন ছাড়া হয়েছিলো সেটা মনে হয় ফেসবুকে বা বিভিন্ন জায়গায় বলেছিলাম যে টা আসলে আমি পরে জানতে পেরেছি কিন্তু আমি যখন বাংলা মিডিয়ামে আসি তখন সৃষ্টি জগৎ কেমন সেটা সম্পর্কে আগ্রহ হয়। কিন্তু আমি যে এলাকায় বড় হয়েছিলাম নদীর ওপারে ছিলো জামাতের মুজাহিদের বাড়ি। ফলে এলাকায় শিবিরের একটা ভালো প্রভাব ছিলো। তারা বিভিন্ন বছর স্কুলে সাধারন জ্ঞানের প্রতিযোগিতা করতো পুরো ফরিদপুর জুড়ে যার মধ্যে ক্লাস সেভেনে থাকতে তৃতীয় হই। কিন্তু ধর্ম সম্পর্কে জামাত বা মাদ্রাসা থেকে যত কিছুই জেনেছি ততকিছুই আস্তে আস্তে ভুল প্রমানিত হতে থাকে। সবচে প্রথম ভুলটা পাই জমজমের পানি। ক্লাশ ফাইভে থাকতে আমার জন্ডিস হয় তখন আমার এক আত্মীয় আমাকে জমজমের পানি দেন। কিন্তু এর কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি। তারপর কাবা শরীফ সম্পর্কে অনেক গুজব শুনতাম পরে একদিন জানলাম কাবা শরীফে নাকি বন্যা হয়েছে। তারও আগে কু্যেতে আমেরিকা আক্রমন করে সাদ্দামের হাত থেকে বাচানোর জন্য। জানতাম যে খাস দিলে দোয়া করলে কবুল হয়। তখন বাংলাদেশের হেন কোনো মসজিদ না যে দোয়া হয়নি। টিভিতে সিএনএনে সেটা লাইভ দেখাইছিলো। সাদ্দামের তিনদিনের মধ্যে হার তার ওপর সাদ্দামের পিছুহটা বাহিনী যখন একের পর তেলের কূপ উড়ায় দিতে লাগলো তখন মুসলমানদের ওপর রাগ হলো। কুয়েত একটা মুসলিম দেশ, তুমি মুসলিম হইয়া কেন আক্রমন করবা, তার ওপর যাওনের সময় তুমি তাদের ক্ষতি করবা যেমনটা ক্ষতি করেছিলো পাকিস্থানীরা ১৪ ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবিদের মেরে।

এরপর যখন ক্লাশ এইটে এসে আসগর আলীর বই থেকে বিগ ব্যাং এর টোটাল ধারা বিবরনী পড়ি তখন আমি আমার হাউস টিউটরকে বললাম ফিজিক্সটা কিভাবে জানবো। তিনি শুরু করলেন ইন্টারের বইকে রেফারেন্স ধরে এসএসসির সিলেবাস এগুতে। যখন ৯ এ উঠলাম তখন শুরু করলাম ইন্টারের আর ক্যালকুলাস। মাথা ঘুরে যায় যখন দেখি কোরানে যা লেখা তা প্রতারনা এবং মিথ্যা বুলি।

সৃষ্টি তত্ব নিয়ে আমার আগ্রহ এখনো ফ্যাসিনেশনের পর্যায়েই আছে, বলতে পারেন এটা আমার নেশা। আর ধর্মীয় যে ফ্যান্টাসী সেটা আমার উদাস সময়ের একটা খোড়াক বলতে পারেন রূপ কথা। একটা ভিডিও দেই, খুব মনোযোগ দিয়ে শুনেন।


মহিলা ইক্সেটার ইউনির থিওলজী ডিপার্টম্যান্টের হেড। উনি নাস্তিক হলেও বাইবেল নিয়ে গবেষনা এবং তার সাথে বাস্তবের কি মিল ও এসব রূপকথার উৎস কি ও কোথায় সেটা উনি খুজে বের করায় মত্ত। মুসার অস্তিত্ব নিয়ে উনার বেশ কিছু গবেষনা আছে সময় পেলে গুগলকরে দেখতে পারেন। মহিলা সুন্দরী হলেও তার জ্ঞানদীপ্ত কথা শুনলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হবার যোগাড়।

যাই হোউক, ধর্ম ব্যাপারটা যে মানুষের তৈরী এবং জনসাধারনকে লাইনে ও বাধ্য রাখার হাতিয়ার এটা একটা প্রমানিত সত্য। কিন্তু এ নিয়ে যে স হিংসতা চলছে সেটা আমাকে শিহরিত করে। বাংলাদেশের টাইমলাইন ইরানের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে।

আর ধর্মীয় ব্যাপারের যে ফ্যান্টাসী এটা বলতে পারেন ছোটবেলা থেকেই যেহেতু এ শিখেই বড় হয়েছি তাই সেটা আমার অস্তিত্বে মিশে আছে। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না আজকে সূরা আহযাবটা পড়লাম। বিশ্বাস করি এজন্য না, এটা আমার অভ্যাস, প্রতিদিন কোরানে চোখ বোলানো। ধরতে পারেন এর ভেতরের সাহিত্য মিশ্রিত বর্বরতা ও রূপকথার রস সেটা উপভোগ করার জন্য

২৯| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

বিজন রয় বলেছেন: আমার তো মনে হয় না আপনি ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষী। ধর্মের প্রতি ভালবাসা থেকেই আপনি ধর্ম আধুনিক হোক সেই চিন্তাই করছেন।
এখানেই তাদের চেয়ে আপনি অনেক উন্নত।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: যে মানুষের শিশুকামী, হত্যা, বহুগামীতা, প্রতারনারে ঘটনার চোখে দেখি যার নব্যুওত প্রাপ্তিকে স্রেফ ভাওতা আর নওফেলের ইবিওনাইট মুভমেন্টের কপিপেস্ট মনে করি তার ধর্মের প্রতি ভালোবাসা কেমনে থাকতে পারে ভাইসু?

৩০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: আপনার আয়াতুল কুরসি মুখস্থ করার ঘটনাটা বেশ মজার। অনেক ভালো লাগলো।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এক কেজি ধনে পাতা আপনার মন্তব্যের জন্য

৩১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

অন্তরন্তর বলেছেন: এই পোস্টে আমি আয়তুল কুরছির থেকেও আমি দেখলাম এক পিতা মাতার সন্তানের প্রতি ভালবাসা এবং সন্তানের তাদের প্রতি ভালবাসা। আপনার বাবা মা সহ আপনি অনেক অনেক ভাল থাকুন এই কামনা করি।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে এক কেজী সুস্বাদু ঘ্রানযুক্ত ধনে পাতা

৩২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: চোখের সামনে ভাসতেছিল সপাং সপাং জালি বেতের বাড়ি আর একটা ছেলের লাফ! :P ভাবতাম এগুলার দিন শেষ হইছে আমাদের পরের আমলে। এখনো যে আছে তা কিছুদিন আগে এক প্রাইমারী স্কুলে গিয়ে দেখলাম। হেড ম্যাডাম এক ছাত্রকে মারলেন। খুব খারাপ লাগলেও কিছু বলতে পারলাম না, হাত-পা বাঁধা আমাদের।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৪৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনে এখনো আছেন? কাহিনী কি? হঠাৎ উধাও কেন? লতার সাথে ছাড়াছাড়ি হইছে কিন্তু লতাকে চেনার আগে থেকেই তো আপনাকে চিনি। আপনার সাথে তো আমার কিছু হয় নাই। তাহলে কেন এমন করে নিজেকে সরায় ফেলছেন?

খুব খারাপ লাগে যখন দেখি পরিচিত মানুষগুলো ভুল বুঝে দূরে সরে যায়। আপনাদের সাথে তো আমার কিছু হয় নি, তাই না? আর লতার সাথে যেটা হয়েছে সেটার জন্য আমি নিজেই ক্ষমাপ্রার্থী এবং সব দোষ আমি মাথা পেতেই নিচ্ছি। ক্ষমা কি পাবো না?

৩৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: ওরে ভাইরে লতা আসলো কোথা থেকে এখানে! তার সাথে ত আমারই যোগাযোগ নাই অনেক অনেক অনেক দিন যাবত। আমার নিজের কারনেই আসা হয় কম। ভুল বুইঝেন না, আপনাদের ব্যক্তিগত ব্যাপারে আমারে টাইনেন না।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ও কুল! আমি ভাবছিলাম রাগ করছেন। আসলে আমি নিজেও মনে করতে পারতেছিনা যে আপনাদের সাথে যোগাযোগ ঠিক কবে ছিন্ন হলো। বিয়েটা করে ভেবেছিলাম জীবনটাকে সুন্দর করে সাজাবো, সবাইকে নিয়ে একটা ভালো সময় কাটাবো। কি থেকে কি হয়ে গেলো কোনো কিছুর ওপর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারলাম না। তবে রাগ যে করেন নাই এটা শুনে খুশী হলাম।

ফেসবুকের আইডিটা হারিয়ে এখন পুরো অন্ধকারে আছি যদিও নিজের নামের আইডিটা ফেরত পাইছি। কিন্তু কতদিন এটা টিকে থাকে এটাও একটা ব্যাপার। যাই হোক, অনুরোধ, প্লিজ যোগাযোগ রাইখেন তার ওপর আপনে আবার আমাদের ফরদিপুরী! দ্যাট ওয়াস সুপার অসাম!!

৩৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: ভুল কইরা একটু খানি মিসটেক করছেন, মাদারীপুরী দ্যাটমিনস প্রতিবেশি । যাইহোক ভাল থাকবেন। ব্লগে আইসা পুরানদের পাইলে ভালই লাগে অনেক।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ইতিহাস বলে মাদারীপুর কিন্তু বৃহত্তর ফরিদপুরের অংশ আছিলো। হে হে হে

৩৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: হাহাহা আমি চিন্তা ভাবছিলাম এইরকম উত্তরই আসপে। অক্কে মাইনা নিলাম ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আবার জিগস কুটিভাই ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.