নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ে করে লাভ নাই, কিন্তু শুধু একটা কারনেই আটকে গেছি

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:১৭

হুমায়ুন আহমেদ ক্যামিস্ট্রির উপর উচ্চতর ডিগ্রী নিলেও তার লেখা উপন্যাসগুলোতে এমন কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য দেয়া আছে যা আদতে ভুল। এই ভুলগুলো জনমনে এতটাই স্বীকৃত যে জাতীয় পত্রিকার আর্টিক্যালেও সেগুলো মানুষজন অবলীলায় ব্যাবহার করছে। পৃথিবী যদি তার কক্ষপথ থেকে সূর্য্যের দিকে এতটুকু এগোয় তাহলে নাকি সব পুড়ে ছাই হয়ে যাবে আবার সূর্য থেকে এক চিলতে দূরে সরে গেলে সব জমে বরফ হয়ে যাবে। অথচ ক্লাস সেভেনে ভূগোলের বই থেকে জানি পৃথিবীর কক্ষপথ অনেকটা ইলিপটিক্যাল (বাংলাটা আমার মনে নেই, বাংলাতে আমি বরাবরই কাঁচা)। তার মানে হলো সূর্য্যের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে কখনো এটা কাছে এসে পড়ে এবং কখনো এটা দূরে সরে যায়। কাছে আসা ও দূরে সরে যাবার পার্থক্য মোটামুটি ৫ লক্ষ কিমি এর কাছাকাছি। যখন কাছে আসে তখন বাংলাদেশের ওপর ঠাটা গরম পড়ে আবার যখন দূরে যায় তখন বাংলাদেশে হিম ঠান্ডা পড়ে। কিন্তু কখনোই এমন হয় না যে পুকুর সাগরের পানি ফুটছে অথবা সাইবেরিয়ার মতো বরফে লোকজন জীবন্ত আইসক্রীম হয়ে গেছে। সে যাকগে, বেশী কথা বললে আমার বোনের মতো সবাই বলে বসবে হুমায়ুন আহমেদের মতো তোমার নাম কতজন জানে!

তখন আমি দ্বিতীয় বর্ষে, কিউ কে হলেই ছিলাম। ছুটির দিন রুম মেটরা শহরে চলে যেতো যে যার বাসায় অথবা আত্মীয়দের সাথে সময় কাটাতে। আমি একা বসে হলে গেমস খেলতাম নতুবা লাইব্রেরী থেকে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের বই এনে ডুব দিতাম। হঠাৎ শখ হলো সাতার কাটার। ফরিদপুরে আমার শৈশব কৈশোর যেখানে কেটেছে তার পাশেই প্রমত্তা কুমার নদী।তখন প্রমত্তা থাকলেও কুমার নদী তার যৌবন হারিয়েছে বহু আগেই। যখনই কেউ শোনে বাসার পাশে নদী থাকা সত্বেও সাতার জানি না, বিস্ময় আর কাটে না। তাই ভাবলাম সাতারটা শিখেই ফেলি। সাতার শেখার সময় প্রধান সমস্যা ছিলো লুঙ্গি। লুঙ্গি আমি গিট্টু দিয়েই পড়তাম। সমস্যাটা হতো যখন ডুব দিতাম লুঙি পানির উপরে উঠে মাথা ঢেকে ফেলতো এবং তাতেই লেপ্টে থাকতো। তাই পাড়ে আসতে গেলেই একটু লজ্জাস্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। একবার আমরা সবাই মিলে গোসল করতে গিয়েছি এমন সময় বন্ধু কামাল আইডিয়া দিলো কাছা মারতে। আমিও ভাবলাম পুরোপুরি দিগম্বর হবার চাইতে কাছা মারাটা খারাপ না। ঘাটে দাড়িয়ে কাছা মারার জন্য লুঙ্গির গিট্টু খুলে যেই না শক্ত করে মারতে যাবো এমন সময় কামাল দেয় ধাক্কা। লুঙ্গিটা ঘাটের গাছের ডালে আটকে পুরোটা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আর আমি পানিতে পড়ে সমানে হাবুডুবু খেতে থাকি। কামাল আমার লুঙ্গির দখল রেখেছিলো প্রায় ৩ ঘন্টার মতো। আর এতো গরমেও পানিতে এতটা সময় থাকার দরুন আমি কাঁপছিলাম। কিন্তু সেসময় আমার মাথায় দারুন একটা জিনিস ধরা দেয়।

আইডিয়াটা হলো তাপমাত্রার সামান্য তারতম্যের দরুন জ্বর ঠান্ডা লাগে। যদি আমার ঠান্ডার মধ্যেই ঠান্ডা পানিতে গোসল করার চেস্টা করি তাহলে আমাদের শরীর এই জ্বর ঠান্ডা প্রতিরোধী হবে। যদিও বায়োলজী সাবজেক্ট টা আমি সবসময় এড়িয়ে চলেছি এবং এসএসসির পর বায়োলজী আর পড়া হয় নি, কিন্তু বিবর্তন অথবা পরিবেশের সাথে শরীরের খাপ খাওয়ানো ব্যাপারটা যদি সত্যি হয় তাহলে জ্বর ঠান্ডা থেকে পুরোপুরি মুক্তি মিলবে। কামালের কাছ থেকে লুঙ্গিটা পাবার পর যখন ওকে মার না দিয়ে উল্টো আইডিয়া শেয়ার করলাম তখন বললো,"তুই একটা পাগল!"

সত্যি কথা বলতে পরবর্তী শীতে এটা আমি প্রয়োগ করার চেস্টা করেছিলাম। হলের পানিতে কে পানি গরম করবে! যদিও আমরা দু টাকার ব্লেড কিনে ওটা ভেঙ্গে নেগেটিভ পজিটিভ দুটোতে লাগিয়ে পানি গরম করতাম কিন্তু তাতে যথেস্ট ইলেক্ট্রিসিটির খরচ হতো। তাই শুধু কাপড় ধুতাম গরম পানি দিয়ে। এক মাস হলে থাকার সময় যখন ঠান্ডা পানিতে গোসল করা শুরু করি সত্যি সেবার জ্বর ঠান্ডা সর্দি কিছুই হয়নি। সবচে বড় কথা শরীরে অন্যরকম একটা অনুভূতি বিরাজ করছিলো। যদিও গোসল করবার আগে হাইপারথার্মিয়া হবার উপক্রম হতো।

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর মানুষদের সম্পর্কে একটা খুব প্রচলিত কথা আছে সেটা হলো এদের জীনে এমনকিছু এক্সট্রা আছে যার কারনে এরা প্রবল ঠান্ডা সহ্য করতে পারে। আমার মনে হয় এটা সঠিক নয়। কারন এদের অনেকেই ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে অভ্যস্ত হয়ে যায় যার ফলশ্রুতিতে তাদের শরীরে জ্বর ঠান্ডা সর্দির বিরুদ্ধে অন্যরকম প্রতিরোধী ব্যাবস্থা গড়ে ওঠে। যদিও আমি এখন আর ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে পারি না কিন্তু সুইডেনের উত্তরে বহুদিন থাকার কারনে ১২-১৪ ডিগ্রী আমাকে কাবু করে না। তবে সেখানকার মানুষদের জ্বর ঠান্ডা সর্দি অনেক কম হয় যারা কিনা প্রচন্ড ঠান্ডাতেও ঠান্ডা পানিতে গোসল করে।

সেদিন নাসার একটা আর্টিক্যাল পড়লাম পৃথিবীর মেরুসমূহ তাদের স্থান পরিবর্তন করছে এমনকি এর নিজস্ব চৌম্বকীয় বলয়ও পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রতি ১০০ বছরে উত্তর মেরু নাকি ১০ মিটার সরে যাচ্ছে। তার চেয়ে বড় কথা গ্রীনল্যান্ডের গ্লেশিয়ার কানাডার হাডসন বে এর দিকে না জমে ২০০০ সাল থেকে হঠাৎ করে লন্ডনের গ্রীনউইচের দিকে জমতে শুরু করেছে। এরা সাথে পৃথিবীর চৌম্বকীয় বলরেখার পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কযুক্ত। আজকের পত্রিকাতে দেখলাম এন্টার্কটিকার চাইতে বেশী বরফ পড়বে আমেরিকার শিকাগোতে এ বছর।

২০০-৩০০ বছর আগে এক ভদ্রলোক উদ্ভট থিওরী দিয়ে বসে হুট করে পৃথিবীর দুই মেরু তাদের স্থান বদল করবে। এর ফলে বিশাল সুনামী ভূমিকম্প হবে যেটা কিনা ২০১২ নামের একটা হলিউডি মুভিতে চিত্রায়ন করা হয়েছে। যদিও বিজ্ঞানীরা এমন হুট করে পরিবর্তনের ব্যাপারটা উড়িয়ে দিয়েছেন, কিন্তু পৃথিবীর মেরুর স্থান পরিবর্তনের ঘটনাটা সত্য তবে বেশ ধীর গতির।

অনেকেই বলেন মানুষ একটা নিখুঁত সৃষ্টি অথবা এই যে মহাবিশ্ব কোথাও কোনো ব্যাত্যয় হচ্ছে না। আসলে এটা ভুল। সূর্যের চারপাশে পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহ যেভাবে ঘুরছে তাদের মধ্যে অনেক গড়মিল আছে। বলা হয়ে থাকে পৃথিবী এখন যেভাবে ঘুরছে এভাবে ঘুরতে থাকলে ১০০ মিলিয়ন বছরের মধ্যে ভেনাসের সাথে সংঘর্ষ হবে। আর আমরা যদি কোনো মতে পৃথিবীর গড় কক্ষপথ ১৫ মিটার সরাতে পারি তাহলে ৫০০ বছর পর ভেনাসের সাথে সংঘর্ষটা দেখতে পারবো। আবার সূর্যের উজ্জ্বলতা যেভাবে বাড়ছে সে হিসেবে ধরে নিলে ৪ বিলিয়ন বছর পর এটি লাল দানবে পরিনত হয়ে পৃথিবীকে খেয়ে ফেলবে। আবার কাল থেকেই যদি এর ১০ শতাংশ উজ্জ্বলতা বাড়ে তাহলে ১ বিলিয়ন বছরের মধ্যে পৃথিবীর জীবন শুন্য হবে। একটা ৩০০০ টাকার টেলিস্কোপ কিনে ব্লাজারের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে পুরো গ্যালাক্সিটাকে ব্লাক হোল কিভাবে গিলে খাচ্ছে। গ্যালাক্সিটা আমাদের মিল্কিওয়ের থেকে কয়েকগুন বড়। আমাদের মিল্কিওয়ের কেন্দ্রের কাছাকাছি একটা ব্লাক হোল আছে। তার মানে দেখা যাচ্ছে আমাদের মহাবিশ্ব মোটেই নিখুত সৃষ্টি নয়। আমাদের জীবনের আয়ু কম বলে, আমরা ছোট বলে সবকিছু দীর্ঘস্থায়ী মনে হয় আসলে আমরা ধার করা সময়ে বসবাস করছি।

আবার আমাদের দেহের গঠনও নিখুত নয়। সামান্য একটা কাশির এদিক ওদিক হলে হার্নিয়া হতে পারে এমনকি আপনি ব্রেন স্ট্রোক করতে পারেন। মাটির সৃষ্টি বলে যে মিথ্যে কথাটা বলা হয় আমাদের শরীরে মাটির প্রধান উপাদান সিলিকার পরিমান মাত্র .০৫% অঠচ মাটিতে সিলিকার যৌগমূলক সিলিকেটের ক্রিস্টাল কোয়ার্টাজের পরিমান ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। বাকি যেসব উপাদান সেসবের অনুপাতের সাথেও আমাদের কোনো মিল নেই বরংচ আমাদের শরীরে পানির পরিমান ৬০ ভাগ। তার চেয়ে বড় কথা আপনি যদি শরীরে সিলিকার পরিমান এতটুকু বাড়াতে যান আপনার শরীরে সিলিকেট পয়জনিং দেখা দিবে। সেদিন মা কে ফোন দিয়ে জানলাম বাংলাদেশে এখন নাকি ঘরে ঘরে থাইরয়েডে সমস্যা। এটা হয় জেনেটিক কারনে অথবা রেডিয়েশনের প্রভাবে। আমাদের দেশে এখনো নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট বসানোর কাজ শুরুই হয়নি। ইউরেনিয়াম এনরিচম্যান্ট তো অনেক বড়।

আমাদের শরীরের ডিজাইনের সবচেয়ে বড় ত্রুটি হলো আমাদের মেরুদন্ড। যখন আপনি কোনো ভারি জিনিস ওঠাতে যান এটা সরাসরি আমাদের লোয়ার ভার্টিব্রাতে লাগেযার ফলে আমরা বয়স কালে লোয়ার ব্যাক পেইনে ভুগি যেটা আর সাড়ে না। বডি বিল্ডার বা ওয়েটলিফটাররা তাই ভারী ওয়েট তুলবার জন্য পায়ের ওপর প্রেসারটা ভাগ করে দেয়।
কিন্তু এই যে পায়ের কথা বললাম এখানেও একটা ডিজাইনের ত্রুটি সেটা হলো হাটুতে। হাটুর ডিজাইনটা এমন ভাবে হয়েছে যে আমরা শুধু সামনে আর পিছে করতে পারি তাও একটা নির্দিস্ট পর্যায় পর্যন্ত। নরম বাটির অংশটা এমনভাবে বসানো যে একটু প্রেসার দিলেই পাপড়ের মত ভেঙ্গে যাবে।
মেয়েদের প্রসব বেদনা এত কস্টকর তার বড় কারন এই উড্ভট পেলভিস। যার কারনে প্রাকৃতিকভাবে সন্তান জন্ম দিতে গেলে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটে।

ছেলেদের আরও একটা সমস্যা অন্ডকোষ যেটা কিনা এত গুরুত্বপূর্ন হওয়া সত্বেও কোনো নিরাপদ ব্যাবস্থা ছাড়াই ঝুলে আছে। আরেকটা সমস্যা মাড়ির দাঁত। মাড়ির তিনটা দাঁত ছোটবেলায় কোনো সমস্যা করে না। কিন্তু যখন মাথা বড় হতে থাকে বয়সের সাথে সাথে তখন চোয়ালের আকৃতি তেমন বড় হয় না তাই বয়স কালে আক্কেল দাঁত ওঠার সময় চরম ব্যাথার সৃষ্টি করে এমনকি পার্শ্ববর্তী দাঁতগুলোর জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায়। আবার কেউ যদি আপনার কনুইয়ের আগার ভেতরের রগে একটা আস্তে করে টোকা দেয় আপনি একটা শক অনুভব করবেন এবং হাতের আঙ্গুল গুলো অবশ হয়ে যাবে। এরকম আরো ব হু ডিজাইন ফ্লো নিয়ে আমরা একসময় নানা অসুখ বিসুখ এক্সিডেন্টে মারা যাই।

আসলে শুধু মানবজাতীই নয়, সকল কিছুই ভাঙ্গা গড়ার মাধ্যমে বিবর্তিত হচ্ছে। এখনো আমরা পারফেক্ট ফর্ম পাইনি। তবে আমরা সেদিকে এগুচ্ছি। আজ হতে ১০০০০ বছর পর আমাদের রূপ কি হবে সেটা চিন্তার বাইরে। ১০০০০ বছর আগে আমাদের রূপ কেমন ছিলো তা দেখলে খুবই হীনমন্যতায় ভুগতে হয় এই জন্য যে তারা কত কাদাকার ও দুর্বল ছিলো।

সমস্যা হলো এসব নিয়ে আমরা মিথের জগতে বাস করি। অনেকটা বিয়ের মতো। হিসাব করে দেখি বিয়ে করে লাভ নাই। যেই চাকুরী করি, যেখানে থাকি। সংসার টিকবে না। কিন্তু ঐ যে, শুধু ঐ কারনেই বিয়েটা করা!

এখন এই কারনটা কি?.............


হ্যাপী ব্লগিং!

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:১৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পাঠ ক‌রিয়া ব্যাপক আনন্দ লাভ ক‌রিলাম।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি জানি এটা একটি রসকষবিহীন পোস্ট। ইদানীং গতানুগতিকতার ছন্দে লিখতে মন টানে না। বলতে পারেন বার্ধক্যের প্রভাব পড়ছে। তারপরও যে পড়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লেখার পর, পোষ্টগুলোকে কি পড়ে দেখেছেন? পড়লে কি মনে হয়, আপনি এটাই লিখতে চেয়েছিলেন?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ** আমার এই পোস্ট লেখার কারন আছে। বেশীরভাগ মানুষ একটা অস্বচ্ছ বা ভ্রান্ত ধারনা নিয়ে বসবাস করি। এই ধারনা নিয়ে বসবাস করতে করতে মনে হবে আদতে কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। ক্ষনিকের যৌনতার তাড়নায় আমরা বিয়ে করে নিজের ভুল বুঝতে পারি। ফলে সম্পর্ক টেকে নাএবং এই যে ঘর ভাঙ্গা গড়ার ট্রমাতে পড়ে অনেকে আর শেষ বয়সে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে না। কিন্তু ধারনা যদি এমন হতো যে আমাদের বিয়ে করতে হবে যাতে আমরা আমাদের একাকীত্ব দূর করতে পারি এবং শৃঙ্খলিত জীবন ধারন করতে পারি তখন অনেক ব্যাপার আমাদের কাছে ক্লিয়ার হয়ে যেতো। হুট করে সিদ্ধান্তে নেবার আগে আমরা নিজেকে প্রস্তুত করতে পারি, প্রিপারেশন নিতে পারি।

সমস্যা হলো এই স্বচ্ছ ধারনার বা পাই কি করে। সেজন্য আমাদের সে সংশ্লিষ্ট সঠিক তথ্যের দরকার, নিজেদের উদ্ভাবন শক্তিকে কাজে লাগিয়ে চিন্তার পরিধি বিস্তৃত এবং তার ফলাফল যাচাই করার মানসিক ইচ্ছার প্রয়োজন। এই পুরো ব্যাপারগুলোই একটা এ্যানালজির মধ্যে আনার চেস্টা করেছি। খোলাসা করিনি কারন আমি চেয়েছি পাঠক এখানে অংশগ্রহন করুক। তার নিজস্ব ভাবনার ব্যাপ্ত মেলে ধরুক।

** একটা পোস্টে পড়লাম আপনার প্রেসবায়োপিয়া আছে। আমার এখনো এটা হয়নি তবে আপনার জন্য এক জোড়া অবতল লেন্স আর একটা কিন্ডল(আমাজনের, দামেও সস্তা) সমাধান হতে পারে। অবতল লেন্সের কারনে আপনার চোখের সমস্যা দূর হবে আর কিন্ডেল আপনাকে বিভিন্ন ধরনের বই এ চোখ বুলোতে সাহায্য করবে।

হ্যাপি ব্লগিং। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ উপন্যাসে কি লিখেছেন তা মহান সত্য বলে ধরে নেওয়া ঠিক হবে না।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কিন্তু প্রচলিত সমাজে মানুষ এটাকেই সত্য বলে ধরে নেয়। যেটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার।

ধন্যবাদ প্রাসঙ্গিক মন্তব্যের জন্য

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৪৬

সিগন্যাস বলেছেন: আমিতো ভাবছিলাম আপনি আপনার বিয়ের গল্প বলবেন। পোস্ট পড়ে মনে হলো ঠকে গেলাম

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার এহেন অনুভূতির জন্য আমি দুঃখিত। আমি চাচ্ছিলাম পাঠক আমার পোস্টে অংশগ্রহন করুক। পক্ষে বিপক্ষে তার মত তুলে ধরুক

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:০৪

বিজন রয় বলেছেন: হুম!!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কেমন আছেন? কোথায় ডুব দিয়েছিলেন এতদিন?

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৭

সোহানী বলেছেন: আমার মাথা ভো ভো করে ঘুরছে আপনার বহুবিধ সমস্যার বয়ান শুনে...........। এতো দেখি মহা সমস্যা প্রতি পদে পদে। কোন কিছুই দেখি ঠিক নাই!!!

কিন্তু কথা হলো এ বেঠিক নিয়েই কিন্তু আমরা ঠিকভাবে চলছি। সবকিছুতেই ট্রুটি আছে আবার কিছুই নেই। সেটা ডিপেন্ড করে আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করছেন। যেকোন বড় উল্কাপিন্ড পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে (যা আগেও হয়েছিল) এবং মূহুর্তেই সবকিছু ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আবার নাও হতে পারে। কারন আপনার কথার রেশ ধরেই বলি এতো ক্ষুদ্র আমরা যা দেখি তার বাইরে কি হচ্ছে জানি না। তাই সেই বাইরেরটা সামনে আসলেই হয়তো টের পাবো কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরী হলেও হতে পারে। আর বিবর্তন!! সেটা কি বানর থেকে টুপ করে মানুষ হয়েছে!!! না হয় নাই। হাজার হাজার বছরের বিবর্তন এ আজকের মানুষ। এবং এটি কি থেমে আছে???? না নেই। চলছেই চলছেই চলছেই।

যাকগা্ এত্তো চিন্তা কইরা লাভ নাই ভাইজান। ওইগুলা নিয়া যারা চিন্তা কইরা পেট চালায় তারা করুক :-B :-B । আদার ব্যাপারির জাহাজের খোঁজ নিয়া লাভ নাই।

তয় আপনার প্রশ্নের উত্তর হইলো পরবর্তী প্রজন্ম। প্রকৃতিই তা নির্ধারন করেছে, এবং প্রকৃতিই আপনাকে বাধ্য করেছে বিয়ে করতে B:-/ B:-/ B:-/ ... কি মেয়াভাই ঠিক আছি!?!?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার ভাবনা অবশ্যই ঠিক আছে এবং আপনি আপনার লব্ধজ্ঞানের বিশ্লেষন করে যেটা বুঝেছেন সে অনুযায়ী সঠিক পথেই নিজেকে চালিত করেছেন। আমরা মাঝে মাঝে ভুলে যাই আমাদের সৃস্টির পেছনে প্রকৃতির উদ্দেশ্য অতি সরল এবং পরিস্কার।। কিন্তু আমরা বিভিন্ন ধারনা মতবাদের ওপর বিশ্বাস ফেলে সবকিছু জটিল করে ফেলি, ফলাফল অযাচিত বিপর্যয়।

তাই যতক্ষননা আপনি বিপর্যয়ে পড়ছেন ততক্ষন আপনি ঠিক আছেন কিন্তু যখনই আপনার কারনে কোনো ব্যাতীত ঘটবে তখনই বুঝতে হবে আপনার বিশ্লেষনে কোনো গন্ডগোল ছিলো বা সংগৃহিত ডাটাতে কোনো গলদ ছিলো।

আমার আগের পোস্টে অনেকে বলতে চাচ্ছিলেন বাল্যবিবাহের কারন কোনো নির্দিস্ট ধর্ম নয়, দায়ী দারিদ্র ও নিরাপত্তা। স্বল্প পরিসরে এর স্বপক্ষে ডাটা থাকলেও যখন আপনার পরিধিতে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যের মতো ধনী এবং আইনগত ভাবে নিরাপদ দেশগুলোকে যুক্ত করবেন তখন আপনাকে সাংস্কৃতিক ভ্রান্ত ধারনাকে বিবেচনায় নিতেই হবে। সবচে বড় কথা মেয়েদেরকে আমরা মানুষের পর্যায়ে বিচার করার মতো চিন্তা করতে পারি না। এরকম কেন হলো সেটা নিয়ে একটু ভাবলেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়। কিন্তু এই মৌলিক সরল প্রশ্নটাই কেউ করছি না।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন,




আপনার জানা, বোঝা ও জ্ঞানের পরিধির উপর আমার আস্থা অনেক দিন থেকেই যদিও আপনার লেখাগুলো পড়লেও তাতে খুব একটা মন্তব্য করা হয়না। কেন করিনে তার কারন নিঃশ্চয়ই আপনাকে বুঝিয়ে বলতে হবেনা!
যাই হোক এখানে মন্তব্য করার কারন বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য আর আপনার যৌক্তিক বিশ্লেষণ রয়েছে এখানে । বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো তো নিরিক্ষিত, পরীক্ষিত, বিশ্লেষিত , তাই ও নিয়ে কথা বাড়াচ্ছিনে ; ব্লগে লিখে লিখে এসবের পর্যালোচনা সহজ নয় মোটে বলেই। ভুল বোঝার অবকাশ থাকেই।
শুধু "নিখুঁত" "অনিখুঁত' এর প্রশ্নে একটি জিনিষ যোগ করতে চাই। বিশ্বব্রহ্মান্ড হলো "ঢাকা" শহরটির মতো! সব ক্ষেত্রে প্রচন্ড বিশৃঙ্খল একটি শহর অথচ বিশৃঙ্খলতার হারের তুলনায় বিশৃঙ্খলাজনিত দূর্ঘটনা প্রায় নেই বললেই চলে। ঢাকার রাস্তায় , রাস্তার কোনাকাঞ্চিতে গাড়ী-রিক্সা-ঠেলা-ট্রাক- বাই-সাইকেল-হকার- পথচারী এইসব তামাম জিনিষ যেভাবে নিজের নিয়মে চলে তাতে ঘন্টায় হাযারখানেক দূর্ঘটনা ঘটার কথা। অথচ ঘটেনা । কেন ? এই প্রচন্ড বিশৃঙ্খলতার মাঝেও একটি অলিখিত-অদৃশ্য শৃঙ্খলতা বিরাজমান। সবাই নিজেরা নিজেরা বিশৃঙ্খল বা উশৃঙ্খল কিন্তু দল বেঁধে তারাই আবার শৃঙ্খল। । আধাঘন্টা জ্যামে পড়ে থাকলেও কেউই ট্যাঁ-ফোঁ করেনা বা কানের পর্দা ফাটানো হর্ণ টেপেনা!
বিশ্বব্রহ্মান্ডও তাই , একটি অকল্পনীয় বিশৃঙ্খলতার মাঝেও যথেষ্ট শৃঙ্খল।
যেমন পৃথিবীর চৌম্বক মেরুর সরে যাওয়া নিয়ে আপনার সাইন্টিফিক তথ্যে যে শংকা তাও কিন্তু বিশৃঙ্খলতার কথাই বলে। বৈজ্ঞানিকেরা অবাক হয়ে দেখছেন তাদের হিসেব নিকেষ মতো এটি সরছেনা। বরং অস্থির ভাবেই কানাডিয়ান আর্কটিক থেকে সাইবেরিয়ার দিকে ছুটছে যা অনুমানের বাইরে (আনপ্রেডিক্টেবলি)। বিশৃঙ্খল ? অবশ্যই। সে সরে যাচ্ছে কিন্তু নিজস্ব একটা শৃঙ্খলতা নিয়েই যাচ্ছে।

৫নং প্রতিমন্তব্যে আপনি এই বক্তব্যটা ঠিক যেন আমারই মতো বলে গেলেন --- আমরা মাঝে মাঝে ভুলে যাই আমাদের সৃস্টির পেছনে প্রকৃতির উদ্দেশ্য অতি সরল এবং পরিস্কার।। কিন্তু আমরা বিভিন্ন ধারনা মতবাদের ওপর বিশ্বাস ফেলে সবকিছু জটিল করে ফেলি, ফলাফল অযাচিত বিপর্যয়।

শুভেচ্ছান্তে ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। আমাদের দেশে বিশৃঙ্খলতা থাকলেও তবুও আমরা টিকে আছি তাই বলে যে কিছু হচ্ছে না সেটা বিতর্ক সাপেক্ষ। আগামী কয়েকদিন রনি ইস্যুতে নেটিজেনরা সরগরম থাকবে। বদির ব্যাপার গুলো সহনীয় হয়ে গেছে টেকনাফের মতো মারাত্মক সন্ত্রাসনির্ভর অথবা নারায়নগন্জে নিত্য দৈনন্দিন কি ঘটছে সেটা নিয়ে আর ভাবি না। যারা ফিল্ডে থাকেন তাদের কাছে এসব ঘটনার কিছু অংশ শুনলে মনে হবে অনেক ভালো আছি। ৬০-৭০ বছর বেঁচে থাকা মানুষের জীবন যতটা ঘটনাবহুল তার থেকে ঢেক ঘটনাবহুল জীবন উপভোগ করে ৫০০ বছর বেঁচে থাকা একটা তিমি। কারন তার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি, চলমান ব্যাপ্তির পরিধি অনেক বড়। আবার মানুষের মধ্যে পেন্সিল পুশার এক চাকরীজীবির জীবনে যা ঘটছে তা নাসা বা স্পেসএক্সের অধীনে চাকরী করা এস্ট্রোনোমারের জীবনের ব্যাপ্তির কাছে কিছুই নয়।

তবে এটা ঠিক যতক্ষননা জীবনে কোনো দুর্ঘটনা ঘটছে ততক্ষন আপনি আপনার সাপেক্ষে সঠিক। শুধু চয়েস করতে হবে আপনি আপনার জীবনের ব্যাপ্তি কতটুকু বিস্তৃত করবেন।

লাইফ ইজ কুল!!

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: :) হ্যাপী ব্লগিং।।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনাকেও হ্যাপি ব্লগিং

৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৫

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: বিজ্ঞান পড়া হয় না তবে আপনার মত কারো কারো পোস্ট পড়ে ধারণা পাই কিছু কিছু । এইধরণের ভাবনায় অনুরণন জাগানিয়া পোস্ট এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলা যায় ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সেটা তো বুঝলাম তো পরবর্তী পোস্ট কবে লেখা হবে সেটা জানতে পারি? জীবিত থেকে দেখে যাবার সৌভাগ্য কি হবে?

১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: লেখক বলেছেন: সেটা তো বুঝলাম তো পরবর্তী পোস্ট কবে লেখা হবে সেটা জানতে পারি? জীবিত থেকে দেখে যাবার সৌভাগ্য কি হবে?


:P :P
ভাইরে, মজা মাস্তির মধ্যে আপাতত আছি, ভালো পোস্ট দিতে হলে কস্ট করা লাগে, কস্ট করতে মঞ্চায় না ।
বাই দ্য ওয়ে , চাঁদগাজিরে এস্টেরিক মার্কযুক্ত যে মন্তব্য করিয়াছেন তাহার একাংশ এপিক হইয়াছে সন্দেহ করি । উনি গুণী মানুষ, কিন্তু এমন কিছু দোষ আছে খুবই বিরক্তিকর ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নো কমেন্ট।

জাস্ট এনজয় ইওর লাইফ। নাথিং ইজ গ্রেটার দ্যান দিস

১১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৯

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: # আপনার সম্বন্ধে আরেকটা ব্যক্তিগত কথামালা বলে রাখি । আজকে আপনি যে রকম বিশ্বাস লালন করেন , আগে নিশ্চয়ই এতটুকু ছিলেন না । সেইসময় বিষয়টা আমার কাছে অবাক ঠেকত যে এত বিজ্ঞান প্লাস যুক্তি মনস্ক মানুষের তো ধর্ম বিশ্বাস আলগা হবার কথা । আজ এই বর্তমানে তো সেটাই ঘটেছে । কারণ আমার নিজের ক্ষেত্রেও সেটা ঘটেছে বহু আগে ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৩৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে তখনকার অবস্খান ছিলো ধর্ম ও এন্থ্রোপলজি বিষয়ে অজ্ঞতা এবং যখনই ব্লগে বা বাইরে এ বিষয়ে ক্যাচাল লাগতো নিজেকে একটু নিরাপদ দূরত্বে রাখতাম কারন পরিপূর্ন জ্ঞান ছাড়া তর্ক করা বোকামী। ২০১৭ সালের মাঝখানে সেরকম একটা সময় পেয়ে যাই। চাকরী ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি নিজেকে সময় দেই এবং অনেক গুলো বই সাথে ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কে পড়ে শেষ করি। তখন বুঝতে পারি ইসলাম বা আব্রাহামিক অন্যান্য ধর্ম নিয়ে যে এত বিতর্ক তার কারন কি। তখন সে সিদ্ধান্তে নেই। তবে এখনো আমি ঈশ্বর নামক এনটিটিতে বিশ্বাস করি এবং অপেক্ষা করছি কিছু এক্সপেরিমেন্টের ফলাফলের জন্য।

সে হিসেব আমিও মানুষ এবং ভুল তো করবোই। তবে ভুল যে ছিলাম সেটা আমি স্বীকার করি

ধন্যবাদ সুন্দর একটা বিষয় তুলে আনার জন্য

১২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ইলিপটিক্যাল মানে উপবৃত্তাকার, ডিমের মত।

ঠান্ডার থিসিস ছাড়া সবগুলোতে গোঁজামিল আছে। আমিও বিজ্ঞানের ছাত্র মনু। টেক ইট...https://www.bissoy.com/176114/



আমারে কমেন্ট মডারেশনে রাখছেন ক্যান? আপনারে কমেন্ট করতে আমার রুচি হয় না, আবার কমেন্ট না করলে থাকতে পারি না। নিকটা কি পাল্টামু নাকি??..;)

@ Shopnodana123
হু আর ইউ, ব্রো? চুয়েট দেখিয়া মইজো না। 08ব্যাচের এক পাঁঠা আকাম করেছে।;)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৪১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে অন্ডকোষের ব্যাপারটা বিবর্তন অনুযায়ী অন্যান্য রিলেটিভ প্রাইমেটের সাথে তুলনা করে বলা হয়েছে। আপনি যে লিংক দিয়েছেন সেটা কিন্তু এই বিষয়ের সাথে সম্পর্ক যুক্ত।

যদিও অন্ডকোষের এভাবে ঝুলে থাকার ব্যাপারে সহায়ক অনেক তত্ব আছে তবে কুলিং থিওরী সহ সেসব থিওরী যতই তাদের যুক্তিগ্রাহ্যতা দেখাক বিবর্তনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যাপারটার উত্তর দেয় না যেটা অন্যান্য প্রাইমেটের ক্ষেত্রে দেখা যায়। ঠিক এ কারনেই এটাকে ফ্লো বলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আরেকটু পড়তে চাইলে এ লিংকে ক্লিক করা যেতে পারে

ধন্যবাদ এবং পোস্ট সংশ্লিষ্ট মন্তব্য করবার অনুরোধ করছি

১৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: লেখাটা ভালো লেগেছে ভাইয়া।
একটা তথ্য দিয়ে সাহায্য করুন প্লিজ- একটা ৩০০০ টাকার টেলিস্কোপ কিনে ব্লাজারের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে পুরো গ্যালাক্সিটাকে ব্লাক হোল কিভাবে গিলে খাচ্ছে। ৩০০০টাকার টেলিস্কোপ কোথায় পাওয়া যায়? আমি একটা কিনতাম!
ধন্যবাদ
হ্যাপি ব্লগিং

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি পুরোনো যুগের মানুষ। ৯০ এর শেষের দিকে স্টেডিয়ামে সেকেন্ড হ্যান্ড পাওয়া যেতো। আমি সেই স্মৃতি থেকেই লিখেছি। যদিও দেশের মূলযস্ফীতি এর পর ঢেক বেড়েছে তবে এখনকার টেলিস্কোপের দাম সম্বন্ধে আমার কোনো আইডিয়া নাই। তবে পোস্টের পয়েন্ট টেলিস্কোপের দাম ছিলো না, ছিলো পর্যবেক্ষনলব্ধ জ্ঞান।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার লেখনি। পছন্দ হয়েছে।

আজ হতে ১০০০০ বছর পর আমাদের রূপ কি হবে সেটা চিন্তার বাইরে --- জিন এডিটিং নিয়ে যুগান্তকারী আবিষ্কার ক্রিসপার টেকের বদৌলতে দশ হাজার বছর পর না-- আর কয়েক দশক পরেই মানুষের যে কি হবে এটা ভাবতেই...

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ক্রিসপারের সম্ভাবনা অনেক। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের সামনে দুটো টেকনোলজি বেশ সম্ভাবনাময় একটা হলো স্টেম সেল আরেকটা হলো এই জীন এডিটিং। ২০১৫ তে টাইমস পত্রিকা একটা টাইমলাইন দিয়েছিলো যে মানুষ ২০৪৫ সালের মধ্যে নলেজ সিঙ্গুলারিটির মাধ্যমে অমরত্ব লাভ করবে এবং তার কয়েকদশক পর মানুষ তাদের বয়স রিফিল করতে পারবে। এসব টেকনোলজী যদি লাগসই ভাবে কাজে লাগানো যায় তাহলে এই টাইমলাইন পাকড়াও করা অসম্ভব কিছু হবে না।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

১৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আমরা কেবল উপন্যাস পড়াকেই বই পড়া মনে করি।

পৃথিবীতে জ্ঞান বিজ্ঞানের কত বই। যে আছে তার সন্ধান আমরা জানি না। জানতেও চাই না।
খুব আফসোস লাগে যে ইংরেজি ভাষা খুব ভালো পারি না। কত যে ভালো ভালো বই দেখি বাজারে। কেবল প্রচ্ছদ দেখেই ক্ষান্ত দেই।

বিধাতা, পৃথিবীতে একটা মাত্র ভাষা কেন দিলা না? সেটা কি ইংরেজি হতে পারত না?

আমি ইংরেজিতে সব চেয়ে সায়েন্টিফিক ভাষা মনে করি। অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়েছে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৪৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে ভাষা একটা অনুষঙ্গ মাত্র। জার্মানীতে যারা ইন্জিনিয়ারিং পড়েন তারা জানবেন তাবৎ পাবলিকেশন ওদের জার্মান ভাষায়। সুইডেনেও তাই। যেকোনো পাবলিকেশন নিজেদের ভাষায়। পশ্চিমা ইউরোপে এই চল টা বেশ ভালোভাবেই আছে। জ্ঞান আহরনের লক্ষ থাকলে ভাষা কখনোই বাধা হতে পারে না।

ইংরেজী ভাষার সর্বজন গ্রাহ্যতা বলে শেষ করা যাবে না। বলা যায় এটা একটা ইউনিভার্সাল ভাষা!

১৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার আজকের পোস্টটি আমার বেশ ভাল লেগেছে।
ভালো লেগেছে আপনার দ্বিতীয় বর্ষের সাঁতার শেখার বিষয়টিও। সঙ্গে জীববিজ্ঞানের সহজাত প্রবৃত্তি ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ গুলির তীব্র শীতেও খাপ খাইয়ে নেওয়ার বিষয়টি । পোস্টে লাইক ।

তবে গ্যালাস্কি, ব্ল্যাক হোল এর সঙ্গে আমাদের শরীরের গঠনগত ত্রুটির মত বিষয়টি অবশ্য মাথার ওপর দিয়ে বেরিয়ে গেল। এত মুহুর্মুহু সাবজেক্ট চেঞ্জ এর সঙ্গে উপরের হেড লাইনের কোন সাদৃশ্য খুঁজে পেলাম না।

অফুরন্ত শুভেচ্ছা রইল।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আসলে দর্শন বাদে সকল বিষয় একই মনে হয়। কারন সকল কিছুর উৎসই পদার্থবিজ্ঞানের কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স। অনু পরমানু দিয়েই এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি যদিও কোয়ান্টাম ফিজিক্সে ম্যাক্রো দুনিয়ার নিয়ম এখনো অচল। কিন্তু যুক্তি অনুসারে সবার উৎস এটাই হবে। তাই আমি যদি গ্যালাক্সী দিয়ে পৃথিবীর বাতাসের গতি অথবা আমার দাতে ব্যাথার ঘটনা, হয়তোবা একটা মিল আছেই। সেই মিলগুলো আমরা জানতে পারবো যখন গাট অথবা গ্রান্ড ইউনিফাইড থিওরী আবিস্কৃত হবে। তখন সবকিছুর সাথে সবকিছুর এই যে একটা সম্পর্ক সেটা দিয়ে নির্নয় করা যাবে এখন থেকে ৩ বছর ৪ মাস ১৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ড পর অমুক জায়গায় কি হবে সেটার পূর্বাভাষ দেয়া যেতে পারে। যদিও সায়েন্স ফিকশন মনে হয়, কিন্তু প্রকৃতির ভূত ভবিষ্যত নির্নয় করা কঠিন কিছু হবে না।

মোদ্দা কথা আমার এই লেখাটা বহুজনের কাছেই ছাইপাশ মনে হয়েছে। আর আমি নিজেকে কখনো সে মানের লেখক মনে করার যোগ্যতা রাখি না।

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য

১৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদের দেহের গঠনও নিখুত নয়।
মেয়েদের প্রসব বেদনা এত কস্টকর তার বড় কারন এই উদ্ভট প্রজনন সিস্টেম। যার কারনে প্রাকৃতিকভাবে সন্তান জন্ম দিতে গেলে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে মা সন্তান উভয়ের জীবন বিপন্ন হয়ে যায়।
ছেলেদের অন্ডকোষ যেটা কিনা এত গুরুত্বপূর্ন হওয়া সত্বেও অনিরাপদ ভাবে ঝুলে আছে।
আমাদের মহাবিশ্ব মোটেই নিখুত সৃষ্টি নয়।
আমাদের জীবনের আয়ু কম, আমরা ছোট বলে, চিন্তা ক্ষমতা লিমিটেড বলে সবকিছু স্থির দীর্ঘস্থায়ী মনে হয়।
ভাল লিখেছেন।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৫২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: যারা বলতে চাচ্ছেন এতকিছুর পরও সব স্ট্যাবল তাদেরকে বলতে হয় হিগসের ভর আমাদের মহাবিশ্বকে মেটাস্ট্যাবল ইউনিভার্স হিসেবে ভবিষদ্বানী করে।

আপনার মন্তব্য পেয়ে সতি ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন। হ্যাপী ব্লগিং

১৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাই, অতিচমৎকারভাবে ইসলামের পক্ষে পোস্ট দেয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ। :)
১. কুরআন অনুযায়ী মানুষ কেবল মাটির সৃষ্টি নয়, কাদামাটির সৃষ্টি। (23- The Believers,12, 32-The Prostration, 7 etc) যেখানে মাটির উপাদান ছাড়াও পানির পরিমান বেশি থাকে। :)
২. "মানুষ দুর্বলভাবে সৃজিত।" এটিও কুরআনের আয়াত। সূরা নিসা, আয়াত ২৮. এবং এই দুর্বলতার কারণেই সে আসলে শক্তিশালী। উদাহরণ দেই।
একটা গরুর বাচ্চা জন্মের পরে সে বেশ শক্ত সমর্থ থাকে। জন্মের পরই সে দৌড়াতে পারে। মানব শিশুর সেক্ষেত্রে বছরখানেক সময় লাগে কেবল হাঁটা শিখতেই। একে নরম কাদা মাটির সাথে তুলনা করা যায়। ফলে মানব শিশুকে যেমন খুশি তেমনভাবে গড়ে তোলা যায়। গরুর শিশুকে নয়। আপনি বিজ্ঞানী মানুষ, আপনাকে নিশ্চই বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে হবেনা।
৩. ১০০ মিলিয়ন বছর পরে আমরা ভেনাসের সাথে ধাক্কা খেয়ে গুড়িয়ে যাব, অথবা ব্ল্যাকহোল আমাদের গ্রাস করে নিবে। অথবা সূর্য আমাদের অঙ্গার বানিয়ে দিবে। ভাই, কেয়ামত তাইলে কী? এটাইতো?
৪. গ্রহনক্ষত্র যে যার মতন ঘুরছে, আরেকটু এদিক সেদিক হলেই একে অপরের সাথে ধাক্কা খাবে। খাচ্ছে না বলেইতো বোঝা যাচ্ছে ওরা যার যার কক্ষপথে সুশৃঙ্খল আছে। :)
৫. আমাদের অন্ডকোষ আনপ্রোটেক্টেড। তারপরেও আমরা ধর্ষণ করে ফাটিয়ে দিচ্ছি। ওটা যদি প্রটেক্টেড হতো, তাহলে না জানি কী হতো। বটম লাইন হচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট কারণেই ওটা আনপ্রোটেক্টেড আছে। যেন কেউ ধর্ষণ করতে গেলে লাথি খেয়ে চিৎ করা যায়।
৬. মেরুদন্ড যদি এতই শক্তিশালী হতো, তাহলে আমরা লিফটিং যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্রেন খরচ করতাম না। আমাদের কাজ হাতির মতন বোঝা বহন করা নয়, আমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের জন্য।
৭. ব্রেনের গঠন এমন যে একটা কাশির এদিক ওদিক হলে আমরা স্ট্রোক করতে পারি। "করিনা" বলেইতো বোঝা যায় কেউ একজন কত নিখুঁতভাবে সব নিয়ন্ত্রণ করছেন। :)
লিস্ট গোজ অন।
ভাই চমৎকারভাবে বিভিন্ন তথ্যউপত্যের মাধ্যমে ইসলামিক রেফারেন্সকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াৎ, হেদায়েত এবং আরও বেশি জ্ঞান দান করুন। আমিন।
:)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:২৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: গটচা। এখন আমি আমার ব্যাক্তিগত অনুসন্ধান দলিল স হ পেশ করছি

১. কুরআন অনুযায়ী মানুষ কেবল মাটির সৃষ্টি নয়, কাদামাটির সৃষ্টি। (23- The Believers,12, 32-The Prostration, 7 etc) যেখানে মাটির উপাদান ছাড়াও পানির পরিমান বেশি থাকে। :)
উত্তর: শিশুকামী ডাকাত স্বরচিত কোরানে ৯৬:২ এ সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে (ʿalaqin
a clinging substance অর্থাৎ নিজের আকার আকৃতি অনুযায়ী কোনো কিছুর সাথে লেগে থাকা। ক্বাথীরের তাফসীর অনুসারে These Ayat inform of the beginning of man's creation from a dangling clot অর্থাৎ জমাটবাধা রক্ত।) বৈজ্ঞানিকভাবে মানবভ্রুন জমাটবাধা রক্ত হতে পারেনা, কারন এটা জমাটবাঁধে তখনই যখন প্রসূতিমায়ের মিসক্যারেজ হয়। তার মানে আয়াতটিতে ভুল তথ্য দেয়া। এন আলাক্বার অর্থ আপনি পিকথাল, ইউসুফ আলি, মাওলানা মোহাম্মদ আলি কোনটা দেখাবেন দেখাতে পারেন। জোকের কথা বললে ইউসুফ আলির সরাসরি অনুবাদ ছিলো জোকের মতো জমাটবাধা। এটা ভুল, বৈজ্ঞানিক যুক্তি নয়, একটা ফ্যাক্ট।
২৫:৫৪ তে তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে اسم مجرور অর্থ পানি ইউনিভার্সিটি অব লীডসের এই পেজ থেকে। আর ক্বাথীরে আছে দুর্বল নুতফা মানে ফ্লুইড বা বীর্য থেকে। ডিম্বানু ছাড়া খালি শুক্রানু দিয়া মানুষ গঠন এরকম সুইডোসায়েন্স ডাকাতের লোকমুখে শুনে কোরানে ঢোকানোর কথাই প্রমান করে।
২৪:৪৫ এ আল্লাহ প্রত্যেক চলন্ত জীবকে পানি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। ক্বাথীর অনুসারে সকল প্রানীকে এক পানি দিয়েই বানাইছে। সিরিয়ালি?
১৫:২৬ এ আমি মানবকে পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুস্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি। ক্বাথীরে আছে Ibn `Abbas, Mujahid and Qatadah said that Salsal means dry mud তার মানে শুষ্ক মাটি। লীডস ইউনির পেজ থেকে দেখিاسم مجرور শুস্ক মাটি যেটা কিনা اسم مجرور কালো কাঁদা থেকে তৈরী। মিথ্যাটা কে বলছেন: আপনি না ক্বাথীর না যারা কোরান অনুবাদক? আপনার কাদামাটির পানি তো উবে গেলো। শুস্ক মাটিতে পানির পরিমান কত বলবেন? ৬০ শতাংস এখনো দাবী করবেন?
মনে করবেন না যে ডাকাত মানুষের মুখে মুখে শুনে বিনোদন এখানেই খতম করেনি। ৪০:৬৭ তে তিনি তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা, অতঃপর শুক্রবিন্দু দ্বারা, অতঃপর জমাট রক্ত দ্বারা, ক্বাথীর অনুসারে (It is He, Who has created you from dust, then from a Nutfah then from a clot (a piece of coagulated blood), এই লাইনটা এ্যারিস্ট টলের শিষ্য ড: গ্যালেনের একটা চিঠি যেটা কিনা পরে আলেক্সান্দ্রিয়া লুট হলে ইহুদী স হ অনেকের কাছেই এসব হস্তগত হয়, তা মুখে মুখে শুনে মোহাম্মদ কোরানে ঢুকাইছে। সমস্যা হলো আমরা জানি শুধু মাত্র শুক্রানু দিয়ে ভ্রুন নিষিক্ত হয় না আর ভ্রুন নিষিক্ত হলে তা জমাট তখনই বাধবে যখন মিসক্যারেজ হবে। একে তো টুকলি তার ওপর ভুল। ডাকাত যে আসলে মানুষের সাথে ধোকাবাজী করছে এই আয়াতগুলো তার প্রমান রাখে।

এটা আমার বক্তব্য। আপনার বক্তব্য কি তা দলিল স হ পেশ করলে খুশী হবো। আপনার কাছে বই বা পিডিএফ লিংক না থাকলে বলবেন আমি কিনে নিয়ে ব্লগে স্নাপশট দিতে পারবো সে টাকা আমার আছে। নিশ্চিন্ত থাকেন বই পত্র কেনার ব্যাপারে।

২. "মানুষ দুর্বলভাবে সৃজিত।" এটিও কুরআনের আয়াত। সূরা নিসা, আয়াত ২৮. এবং এই দুর্বলতার কারণেই সে আসলে শক্তিশালী। উদাহরণ দেই।
একটা গরুর বাচ্চা জন্মের পরে সে বেশ শক্ত সমর্থ থাকে। জন্মের পরই সে দৌড়াতে পারে। মানব শিশুর সেক্ষেত্রে বছরখানেক সময় লাগে কেবল হাঁটা শিখতেই। একে নরম কাদা মাটির সাথে তুলনা করা যায়। ফলে মানব শিশুকে যেমন খুশি তেমনভাবে গড়ে তোলা যায়। গরুর শিশুকে নয়। আপনি বিজ্ঞানী মানুষ, আপনাকে নিশ্চই বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে হবেনা।


উত্তর: নিসার ২৮ নম্বর আয়াতের তফসীরে ক্বাথির থেকে স্পস্ট বলা আছে এর আগের আয়াত ছিলো দাসীকে বিয়ে করে মুক্তি দেয়া আর পরের আয়াতে দুর্বলের কথা বলা হইছে পুরুষ যখন নারীদের সাথে মিলনের ইচ্ছা মাথায় রাখে। এবং যে ইবনে আবি হাতিমের বয়ানে তাউস যেটা বলেছেন সেটা স হী। আপনি দেখী স হী হাদিস তাফসীর নিজে লেখা শুরু করছেন। এই বুঝি কোরানের জ্ঞান যে নিজেই কোরানের ব্যাখ্যা দেন। হাদিসও কি নিজে লেখা শুরু করছেন? যদি না করেন তাইলে গরু বাছুরের লাফালাফি কুন তাফসীর বা কুন হাদিসে পাইছেন দলিল দেন। এতো দেখি মহাজোচ্চুরি! আশ্চর্য।

৩. ১০০ মিলিয়ন বছর পরে আমরা ভেনাসের সাথে ধাক্কা খেয়ে গুড়িয়ে যাব, অথবা ব্ল্যাকহোল আমাদের গ্রাস করে নিবে। অথবা সূর্য আমাদের অঙ্গার বানিয়ে দিবে। ভাই, কেয়ামত তাইলে কী? এটাইতো?

উত্তর: কোরানটা কি ঠিক মতো পুরোটা পড়েছেন? না পড়লে একটু জ্ঞান নিয়ে যান প্লিজ:
৮২:১-৫
যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,যখন নক্ষত্রসমূহ ঝরে পড়বে,যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে,এবং যখন কবরসমূহ উম্মোচিত হবে,তখন প্রত্যেকে জেনে নিবে সে কি অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কি পশ্চাতে ছেড়ে এসেছে।
ক্বাথীরে আছে পৃথিবী গোরস্থান তারা নাকি দুনিয়ায় আছড়াইয়া পড়বে। ড্যুড সিরিয়াসলি? ১০% উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি বা লাল তারায় পরিনত হলে সেটা হবে লোকাল ফেনোমেনন সেখানে অন্য তারা কোনোভাবেই সম্পর্কযুক্ত হবে না। এমনকি মিল্কিওয়ের কেন্দ্রের দিকে যে ব্লাক হোল সেটাও এখন এতটাই ধীরে চলছে তারও কোনো প্রভাব পড়বে না। সেখানে লোকাল ফেনোমেননকে এরকম জোর করে কিভাবে খাটাচ্ছেন সেটা কুন পদার্থবিজ্ঞানী বা জ্যোতির্বিজ্ঞানী দিলো একটু বলবেন? নাকি হাদিস কোরানের মতো এখন বিজ্ঞানও বানানো শুরু করেছেন?

অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী! কই থিকা পাশ করছেন? আদৌ পাশ করছেন তো?

৪. গ্রহনক্ষত্র যে যার মতন ঘুরছে, আরেকটু এদিক সেদিক হলেই একে অপরের সাথে ধাক্কা খাবে। খাচ্ছে না বলেইতো বোঝা যাচ্ছে ওরা যার যার কক্ষপথে সুশৃঙ্খল আছে। :)
উত্তর: ধাক্কা খাচ্ছে না, এটা যে কত অজ্ঞতাপূর্ন কথা সেটা আর বলার অপেক্ষা না। আপনি যেসময় বসে কম্পিউটারে টাইপ করছেন ঠিক সেসময় V1309 Scorpii বাইনারী তারাটি KIC 9832227 এর দিকে এমন ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে যে ২০২২ সালে তাদের সংঘর্ষে পুরো আকাশে সুপারনোভা দেখা যাবে। ২০১৭ সালে লিগো তে যে আইন্সটাইনের স্পেস টাইম পরীক্ষাটার প্রমানিত হলো সেটা ছিলো দুটো নিউট্রন তারার সংঘর্ষ। এখন আপনার আমার বয়স কম দেখে আমাদের কাছে এসব ক্ষনস্থায়ী অথচ এটা মোটেও সুশৃঙ্খল না। একসময় যখন জেনেটিক অবদানের কারনে মানবজাতী দীর্ঘ আয়ুর অধিকারী হবে তখন এই পুরো মহাবিশ্বই তো মেটাস্ট্যাবিলিটির প্রকট রূপ দেখতে পারবে। আপনার কথা মতো তো সুপারনোভা এমনকি দুটো সুপারম্যাসিভ ব্লাক হোল এমনি সিএমবি রেডিয়েশনে বাবল ইউনির যে চিহ্ন দেখা গেছে এগুলো দেখা যাবার প্রশ্ন আসে না। আপনি এই সামান্য তথ্য না জেনে মানুষকে মিথ্যা বইয়ের ভ্রান্ত কথার বানাো যুক্তি কিভাবে প্রদান করেন?

৫. আমাদের অন্ডকোষ আনপ্রোটেক্টেড। তারপরেও আমরা ধর্ষণ করে ফাটিয়ে দিচ্ছি। ওটা যদি প্রটেক্টেড হতো, তাহলে না জানি কী হতো। বটম লাইন হচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট কারণেই ওটা আনপ্রোটেক্টেড আছে। যেন কেউ ধর্ষণ করতে গেলে লাথি খেয়ে চিৎ করা যায়।

উত্তর: এটা তো দেখি আপিল টু ইগনোরেন্স ফ্যালাসী। যখন জামা কাপড় বা আন্ডারওয়্যার ছিলো না তখন কি এই ফাও যুক্তি দিয়ে কিভাবে মানুষ সেটা নিরাপদে রাখতো? এখন তো আবার বলবেন আদমের স্বর্গ থেকে আসা জামা কাপড় পাবার রূপকথা। দেখাতে পারবেন তখনকার জামা কাপড়ের জীবাশ্ম? সেটা বাদ দেন বরফের জায়গায় ইনট্যাক্ট জীবাশ্ম মিলছে সেখানে স্বর্গ থেকে আসা সেই রুপকথার জামার কোনো প্রমান আছে? হাসালেন ভাই। দারুন হাসালেন মিথ্যা রূপকথার গল্প শুনিয়ে।
৭. ব্রেনের গঠন এমন যে একটা কাশির এদিক ওদিক হলে আমরা স্ট্রোক করতে পারি। "করিনা" বলেইতো বোঝা যায় কেউ একজন কত নিখুঁতভাবে সব নিয়ন্ত্রণ করছেন।

উত্তর: দলিল দেন কেউ নিয়ন্ত্রন করছে তার। দেখি কেমন মিথ্যা বানিয়ে বলেন।


মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি এখানে শিশুকামী ডাকাতের মিথ্যা ধর্মের কোনো কথাই টানিনি। কিন্তু আপনি জানেন আমি ইসলামোফোব তাও আমার পোস্টে এসে পায়খানার জীবানুর মতো নোংরা করতে আসছেন (উপমাটা মনে পড়ে? এরকম বিশ্রী উপমা আপনিও আপনার পোস্টে আমাকে দিয়েছিলেন কোনো উত্তর না দিতে পেরে)। তো পারলে আমার কথা গুলো দলিল স হ ভুল প্রমান করেন।

মানুষকে সম্মান করলে আপনিও সে সম্মান ফিরে পাবেন নাহলে পায়খানার জীবানু হবার মতো গালি শুনবেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

১৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আজ হতে ১০,০০০ বছর পর আমাদের রূপ কি হবে সেটা চিন্তার বাইরে। ১০,০০০ বছর আগে আমাদের রূপ কেমন ছিলো তা দেখলে খুবই হীনমন্যতায় ভুগতে হয় এই জন্য যে তারা কত কাদাকার ও দুর্বল ছিলো।

উদাসী স্বপ্ন,
আপনি কি জানেন আপনি খুব চমৎকার ব্যাক্ষা দিয়েছেন, এই পোষ্ট পড়ে যেকোনো সুশিক্ষিত ব্লগার বুঝতে পারবেন আপনি যথেষ্ট সুশিক্ষিত ও পারিপার্শিক জ্ঞান রাখেন ।

আপনাকে আজকে স্যাল্যুট



০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৩১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি সত্যি আবেগাপ্লুত। একজন সাবেক পুলিশ অফিসারের কাছে এমন সম্মান পেয়ে সত্যি গর্বিত। ধন্যবাদ ভাইজান

২০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৩৭

বলেছেন:
আজ হতে ১০,০০০ বছর পর আমাদের রূপ কি হবে---যদি পৃথিবী টিকে থাকে তবে নিম্নোক্ত ৩০ টি বিষয়গুলোকে দেখতে পারবেন আফসোস কৃষ্ণ গহ্বর বা বিবর্তন দেখা হপে না।


১)সরকারি মালকে নিজের মাল মনে করা হবে।
২)আমানতের মালকে নিজের মালের মতো ব্যবহার করা হবে।
৩) যাকাতকে জরিমানা মনে করা হবে।
৪) ইসলামী আকিদাবর্জিত বিদ্যা শিক্ষা করা হবে।
৫) পুরুষ নারীর অনুগত হবে।
৬) মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হবে।
৭) বন্ধুদের আপন মনে করা হবে।
৮) পিতাকে পর ভাববে।
৯) মসজিদে শোরগোল করবে।
১০) পাপী লোক গোত্রের নেতা হবে।
১১) অসৎ ও নিকৃষ্ট লোকেরা জাতির চালক হবে।
১২) ক্ষতির ভয়ে কোনো লোককে সম্মান করা হবে।
১৩) গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের প্রচলন হবে।
১৪) মদপানের ও মদুরীদের আধিক্য ঘটবে।
১৫) মানুষের পরবর্তী লোকেরা পূর্ববর্তী লোকদের বদনাম করবে।
১৬) দ্বীনি ইলমের ঘাটতি, নগ্নতা ও উলঙ্গপনা, ফিতনা-ফাসাদের বিস্তার ঘটবে ।
১৭) হত্যাকারী বলতে পারবে না কেন সে খুন করছে।
১৮) মানুষ অট্টালিকা নির্মাণের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে।
১৯) মানুষ জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে মৃত্যুকে বেশি পছন্দ করবে।
২০) ধনসম্পদ এত বেড়ে যাবে যে ধনী সদকা করার মতো কাউকে পাবে না।
২১) দুটি বৃহৎ দল একই দাবিতে ভয়াবহ যুদ্ধে লিপ্ত হবে।
২২) কিয়ামতের আগে ৩০ জন মিথ্যা নবুয়তের দাবিদার হবে।
২৩) মুসলমানরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের অনুকরণ ও অনুসরণ করবে।
২৪) মানুষ জালিমকে জালিম বলবে না, খারাপ কাজ থেকে কেউ কাউকে বারণ করবে না।
২৫) নারীদের আধিক্য হবে, ৫০ জন নারীর দেখাশোনার ভার একজন পুরুষের ওপর অর্পিত হবে।
২৬) জিনা, ব্যভিচার ও মদের ছড়াছড়ি হবে।
২৭) ভূমিকম্পের আধিক্য হবে
২৮) অশ্লীলতার সয়লাব, হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হবে।
২৯) ইহুদিদের সঙ্গে মুসলমানদের যুদ্ধ হবে এবং যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হবে।
৩০) জড়পদার্থ পাথরও সাহায্যে এগিয়ে এসে বলবে, হে মুসলমান! দেখো আমার পেছনে এক ইহুদি লুকিয়ে আছে, তাকে হত্যা করো।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৫৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রথম পাঁচটা পড়েই আমার মাথা ঘুরতেছে।

এনাফ ইন্টারনেট ফর টু ডে!!

২১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বাছা বায়োলজি না পইড়াই পোস্টের শেষ দিকে যাহা লিখেছ তাহাতে কিঞ্চিৎ সন্দেহ হচ্ছে বৈকি :P
তবে বেশি বায়োলজির চর্চা করলে ;) ;)

এখন কি ঔসব দেখা হয় :-B (এককালে যাহা খুব দেখতা)

যাইহোক পোস্ট ভালো লাগিয়াছে......
তাই ভুলভাল ক্ষমা করা হইলো B-))

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি ইচ্ছে করেই কোনো রেফারেন্স দেইনি যাতে ভ্রান্ত ধর্মের মৌলবাদী জঙ্গিরা ফাদে পা দেয়। আপনার কমেন্ট সেসব দিক নিয়ে কথা বলার সুযোগ করে দেবার জন্য আমি অশেষ কৃতজ্ঞ। আর শেষের কথাটা বায়োলজি না আর্একিওলজি বিশেষকের পালেওনথ্রোলজির মধ্যে পড়ে।

সবচেয়ে পুরোনো হোমেস্যাপিয়েন্সের ফসিল পাওয়া যায় আফ্রিকাতে যার কার্বন ডেট ২ লাখ বছরের কাছাকাছি বা তারও বেশী। এই আর্টিক্যালের ফরেন্সিক তথ্য মতে তাদের সামনের চোয়ালোক দাঁত ছিলো উঁচু এবং তাদের হাড়ের গঠন দেখে বোঝা যায় তারা খোলা জায়গায় বসবাস করতো। এর কারন ছিলো তারা শিকারী ছিলো এবং খোলা জায়গায় বসবাস করলে বুনোশুয়োর, কচ্ছপ, সাপ ইত্যাদি কোথায় আছে তা দেখতে পেতো এবং তা শিকার করে খেতো। এর থেকে আরো প্রমান পাওয়া যায় তৎকালীন হোমোস্যাপিয়েন্স অবশিষ্ট নিয়েনডারথ্যালের সাথে ইন্টারব্রীড করতো।

এর তেকে নতর ফসিল পাওয়া যায়ইসরাইলে যা কমবেশী ৫০০০০ হাজার বছরের মতো পার্থক্য হবে । ধরা হয়ে থাকে তৎকালীন সাবসাহারা সবুজ থাকায় এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের ট্রানজিশনে এই হোমোস্যাপিয়েন্সের ধীর লয়ের মাইগ্রেশন হতো। এবং শারীরিক গঠনে কিছুটা দেহসৌষ্ঠব লক্ষ করলেও জার্মানদের পাওয়া নিয়েনডারথালের জীন তখনও বহন করতো।

এখন আপনাকে দিচ্ছি মাত্র ১৩০০০ বছর আগের উজিলের ফসিল। এই ফসিলের দেহের গড়ন এবং মুখাবয়ব দেখলে হ্যারী পটারের ডবির বিকৃত চেহারাও হার মানাবে। বেঁচে থাকা অবস্থায় এর শরীরে কত বিশ্রী রোগ ছিলো এবং কতটা হীন স্বাস্থ্যের অধিকারী তার প্রমান পাবেন।

এরকম লিস্ট দিনভর দেয়া যাবে। এবং এসব লিস্ট প্রমান করে যে আব্রাহাম ধর্ম সুমেরিয়ান ধর্ম থেকে কপি করে াদম পাওয়ার মিথ চালিয়ে যাচ্ছে এখনো তা কতটা হাস্যকর এবং তার পেছনে কোনো যুক্তি বা প্রমান নেই। বরংচ যেসব প্রত্নতত্ব পাওয়া যায় তা বারংবার এই মিথটাকে ভুল প্রমান করে।

এখন আপনার পালা যদি কোনো ভুল করে থাকি তা খন্ডাবার

২২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ল ভাই, আপনি যা বলেছেন তাতো এখনি ঘটছে - সবই বর্তমান।

তবে অনেকদিন পর ব্লগে দিন বদলের হাওয়া লেগেছে, চাঁদগাজী ভাই চমৎকার পোষ্ট দিয়েছেন, ব্লগে উদাসী স্বপ্ন ভাই পোষ্ট দিয়ে প্রমাণ করে দিলেন যারা এতোদিন উদাসী স্বপ্নের সমালোচনা করেছে তারা তাঁর ধারে কাছে যাওয়ারও যোগ্যতা রাখে না ।

উদাসী স্বপ্ন ভাই একটি মজাদার কথা বলছি ১০,০০০ বছর পরের ঘটনা ভয়ংকর, আমরাতো থাকবো না তবে মাত্র ১০ বছর পর ২০৩০ নাগাদ দেখবেন পৃথিবীময় সুন্দরী নারীর ঢল !!! চোখ ঝলসানো সুন্দরী দেখার জন্য অপেক্ষা করুন ২০৩০ পর্যন্ত আর আমার নামটি মনে রাখবেন ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত বক্তব্যের জন্য। দেখি ল ভাই কি বলেন আপনার প্রত্যুত্তরে!

২৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন ভাই,
রোম ও বৃটিশ আমেরিকান স্পাই যেভাবে ঈসা আঃ এর বংশধর খুণ করছে তারপর ও তারা বেঁচে আছে তাদের বেশকিছু তথ্য সম্বলিত দলিল দস্তাবেজ সহ (আমি বিস্তারিততে না যাই) যেই দিন তারা শক্তি সঞ্চিত করে মিডিয়ার সামনে আসবে তখন তো পৃথিবীর তান্ডব করে বেড়ানো দুই ধর্ম ইসলামী ও খৃষ্টিয় বই পুস্তক জাষ্ট টয়লেট টিস্যুতে পরিনত হবে । আর গাধার মতো হয়তো মৃত্যু হবে দুই দলের কুকর্মের ভাগিদার সহ হিন্দু - গাঁজা গল্প আর বৌদ্ধ - জীব হত্যা মহা পাপ (তাদের এখনো জানা নেই উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে)

- আমার কেনো জানি মনে হয় পৃথিবীতে ধর্ম নিয়ে মহাযুদ্ধ হবে তবে সেটি হবে অন্ধকারের হায়েনা ধর্মীয় লেবাসধারী দ্বারা প্রযোজিত ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এই বিষয়ে আমার ধারনা নেই। তবে বিশ্বাস করি যীশু খ্রিস্ট ওরফে ঈসা, মুসা ইব্রাহিম,আদম হাওয়া এগুলো কাল্পনিক চরিত্র। এরা বাস্তবে কখনো ছিল না।

ধন্যবাদ নিজের মনের করা প্রকাশের জন্য

২৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১২

আখেনাটেন বলেছেন: টেক সিঙ্গুলারিটি ২০৪৫ সালের মধ্যে না হলেও এই ক্রিসপার-টেক, স্টেম সেল রিসার্স, ন্যানোবায়োটেক ও নিউরাল নেটওয়ার্ক বর্তমানের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজন্সের সমন্বয়ে যে বিরাট উল্টাপাল্টা পরিবর্তন সাধিত করবে এটা নিশ্চিত। টেলোমেয়ারের রহস্য উৎঘাটন করতে পারলে মানুষের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করা হয়ত সম্ভব হবে। আর সেটা হলে.................

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অসাধারন একটা পয়েন্ট তুলে ধরেছেন টেলোমেয়ার। একটা পোস্ট ড্রাফটে আছে মানুষের অমরত্ব নিয়ে তাই এখানে বিষদ আলোচনা করছি না তবে তবে বায়োভিভার এলিজাবেথ পেরিশের কথা না বললেই নয় যিনি কিনা নিজের ওপর টেলোমেয়ার দীর্ঘায়িত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন এবং লিংকের ক্লিক করলে তার শরীরের আপডেট সম্পর্কে জানতে পারবেন। তবে নাসাও যমজ দুজনের ওপর স্পেস ভার্সেস নন স্পেস এ টেলোমেয়ারের এফেক্ট নিয়ে একটা এক্সপেরিম্যান্ট করেছে যার ফলাফল আরো আশ্চর্য পূর্ন। নোবেল জাতী টেলোমেয়ারের আবিস্কর্তা এলিজাবেথ ব্লাকবার্নের মতে টেলোমেয়ার দীর্ঘায়িত করার প্রক্রিয়া এক্সারসাইজের ওপর নির্ভর করে কিন্তু নাসার এই এক্সপেরিমেন্ট দেখায় যে এটা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ এমনকি গ্রাভিটির ওপরও অনেকাংশেই নির্ভর করতে পারে যদিও এখনো ডেফিনিট কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে সবচে আধুনিক যে তত্ত্বটা বাজারে এসেছে সেটা হলো এপিজেনেটিক ক্লক যা কিনা আমাদের ক্রোমোজমের ৩৫৩টা সিপিজি জীনের গঠন পরীক্ষা করে গানিতিকভাবে বলে দিতে পারবে আমার সম্ভাব্য বয়স এবং বায়োলজিক্যাল বয়স কতদিন হতে পারে। এটার ওপর এজন্য জোর দেয়া হচ্ছে কারন টেলোমেয়ার টেস্টে একেক দিন একেক অন্ত্রে পরীক্ষা করলে একেক রকম রেজাল্ট আসে। তার চে বড় কথা এর দীর্ঘায়িত বা ছোট হওয়ার প্রবনতা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে।

আর নলেজ সিঙ্গুলারিটির সর্বশেষ আপডেট হলো পুরোপুরি ব্রেনের মতো নিউরাল সিস্টেম ডিজিটাললি তৈরী করা গেছে যার একটু পেপার এখানে আরেকটি পেপার এখানে তার মূল লক্ষ্য হলো মানব মস্তিস্কের সমপর্য়ায়ের একটা চাপ তৈরী করা। বছর ৮-৯ আছে থেকেই ব্রেন ইন্টারফেসের মাধ্যমে জন্মান্ধ বা জন্ম থেকে যারা শুনতে পাননা তাদের স্থায়ী সমাধান হিসেবে চীপ দিয়ে চিকিত্সা চালু হয়েছে যার সফলতা আশাব্যান্জক। এক্ষেত্রে স্পিড বিষয়ক যে সমস্যা সেটাও দূর করা গেছে যা ওপরের একটি পেপারে পাবেন।

আর স্টেমসেলের ব্যাপারে আমার মা এর দুটো কিডনিই নস্ট অনেক দিন ধরে। স্টেমসেল দিয়ে কিডনি ঠিক করার বেশ কিছু পরীক্ষা চলছে কিন্তু এফডিএ এ্যাপ্রুভালের জন্য টেস্টিং এর যে ফ্রেমওয়ার্ক সেটা ঠিক করা যাচ্ছে না কারন কিডনির বেশ কোন সেনের ওপর সিটেম সেলের কি প্রভাব সেটা নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের বাড্ডায় যদিও একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানলাম শালারা ফ্রড তারপরও আমার এক পরিচিত অলরেডি সেখান থেকে সার্জার করেছে সম্প্রতি তবে ফলাফল হাতে আসেনি। তার চে বাংলাদেশের শুভরয়ের প্যাটেন্ট নিয়ে এফডিএ আশা বাজী এবং সিডিসি তাতে ফান্ডিং ও করছে। আমি জানি না আমার মা তোর কপালে কি আছে তবে হয়তো বছর কয়েকের মধ্যে মানবঅন্ত্রের এই যে ট্রান্সপ্লান্ট এটা মেটানো সম্ভব হবে। মানুষ পরম অমরত্ব বায়োলজিক্যাল বডিতে না পেলেও বয়স রিফিল এবং গড় আয়ু ৫০০-১০০০ হবে সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই কোনো।

অসাধারন একটা মন্তব্যের সুবাদে আলোচনার সুযোগের জন্য সত্যিই কৃতজ্ঞ

২৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অসাধারণ আলোচনা।
সবাই বেশ আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আলোচনার জন্যই এসব লেখা। অনেক কিছু জানা যায়, পড়াও যায়। বলা যায় অনেক কিছু জানার মাধ্যম এই অংশগ্রহন মূলত আলোচনা সমৃদ্ধ ব্লগ
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য

২৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন ভাই, আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি নাস্তিক অর্থ কি ? আমি আরো সহজ করে দিচ্ছি: -

১। সৃষ্টিকর্তায় অবিস্বাসী ?
২। ইসলাম অবিস্বাসী ?

আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ আপনার মতামত, আমি এই বিষয়ে ব্লগে ফরিদ আহমেদ চৌধুরী (সনেট কবি) সাহেবের পোষ্টে জানতে চেয়েছি, তাঁর সাথে আমার বিতর্ক হবে। আমি কিছু মতামত কালেকশান করছি যারা এই ব্যাপারে ভালো কিছু বলতে পারেন।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নাস্তিকতা ইংলিশে এথিজম এই শব্দটার গ্রীক পরিভাষা এথিওসের আবির্ভাব ঘটে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ শত বছর আগে। কিন্তু তখনও এই কনসেপ্ট টা এতটা বিস্তৃতি লাভ করেন। ডেমোক্রিটাসের ছাত্র এপিকুরাস তার কয়েকশ বছর এই এথিওস শব্দটার ব্যাখ্যা এবং তার বিস্তৃতি ঘটনা। আপনি যদি আরজ আলি মাতব্বরের ঈশ্বর সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন গুলো পড়ে থাকেন তাহলে সেগুলো এপিকিউরাসের ব্যাখ্যার সমার্থক।

ডেমোক্রিটাস ও এপিকিউরাস এই দুজনের মহাবিশ্ব সম্পর্কে যুক্তিসংগত দর্শন খুবই গুরুত্বপূর্ন কারন তারা মনে করতেন মহাবিশ্ব আদি ও অনন্ত এবং সকল বস্তুই কনা দিয়ে সৃষ্টি। এই যে অনু পরমানুর যে আদি ধারনা, ততকালীন ঐশ্বরীক ধারনা অধ্যুষিত কুসংস্কারাচ্ছন্ন সময়ে তাদের এসব চিন্তাভাবনা কতটা গভীর তা পার্টিক্যাল ফিজিক্স ও এলএইচসির পরীক্ষাগুলোর সাথে সামন্জস্যতাপূর্নতা এখনো অবাক করে।

সমাজে একটা ভ্রান্ত ধারনা আছে যে ধর্ম কখনো নাস্তিকতা সমর্থন করে না। এটা ভুল। বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ধর্ম বৌদ্ধ ধর্ম নাস্তিকতার ওপর নির্ভর করেই গড়ে উঠেছে। এছাড়া এপিকিউরাস, আরজ আলী মাতব্বরের বই গুলো পড়লে দেখতে পাবেন এই যে ধর্মগ্রন্থ গুলোর রচয়িতা যারা তারাও একেক জন নাস্তিক। কারন তারা তাদের প্রচলিত ও ততকালীন ধর্ম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নতুন একটা ধর্ম প্রসিদ্ধ করার জন্য নানা মিথ এমন মন গড়া কাহিনীর আশ্রয় নিয়েছেন যেগুলো তখনকার সময়ে পরীক্ষা করা না গেলেও বর্তমান জ্ঞান ও বিজ্ঞানের বিস্তারের কারনে এসব শঠতা খুব স হজেই ধরা পড়ে যাচ্ছে। সে সুত্রে এসব যারা লিখেছেন তারা তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্যই লিখেছিলেন। এর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরন হিসেবে কোডেক্স গীগাসের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে।

যদিও যুক্তিবিদ্যার অনেকে নাস্তিকতার বিভিন্ন শ্রেনীবিন্যাস এবং এ্যাগনিস্ট বা সন্দেহবাদীদের এই শ্রেনীতে অন্তর্ভুক্ত চান কিন্তু সমালোচকদের দৃষ্টিতে এটা পড়ার কথা না। বর্তমানে নাস্তিকতার বিস্তৃতি বিজ্ঞানের সাথে সাথে অনেক দূর ছড়িয়ে পড়েছে এবং শক্তিশালী হয়েছে কারন ঈশ্বরের ধারনা এটা বিজ্ঞানের কোনো মেথডোলজিতে পড়ে না।
আপনি কোনো কিছু দাবী করলে তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে গেলে তাকে অবশ্যই সায়েন্টিফিক মেথোডলজি বা একটা ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে ফেলতে হবে তারপরই আপনি সে দাবীর সত্যতা প্রমান করতে পারবেন অথবা তা বাতিল করতে পারবেন। কিন্তু ঈশ্বরের যে কনসেপ্ট সেটা না দর্শনের দৃস্টিতে খাটে অথবা বৈজ্ঞানিক কোনো মেথডোলজী বা ফ্রেমওয়ার্কে ফেলা যায় না। তাই বিজ্ঞানের কাছে ঈশ্বরের ধারনা মূল্যহীন এবং তাকে সত্য প্রমান করার মতো কোনো তাগাদা সে অনুভব করে না। যারা বিজ্ঞানের নাম নিয়ে এসব ঐশ্বরিক বা অলৌকিক কিছু খুজে বেড়ায় সেগুলো মেটাফিজিক্স ও সুইডোসায়েন্সের অন্তর্ভুক্ত হয়।

ব্যাক্তিগত ভাবে আমি একজন এ্যাগনিস্ট বা সন্দেহবাদী যার বিষদ ব্যাখ্যা আপনি এই পোস্টে পাবেন। আর ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ এটা আমার নিজের অবস্থান। সাপ, সমকামী (যদিও আমি ব্যাক্তিগতভাবে এলজিবিটি মুভমেন্টের সমর্থক), হিজড়া দেখলে আমার শরীর শিউড়ে ওঠে কাপতে থাকে। এসব ফোবিয়াকে পশ্চিমা বিশ্বে মানসিক রোগ হিসেবে দেখা হয়। ২০১৭ সালে ইসলামের ওপর বিষদ পড়ালেখার করবার পর এখন মুসলমান ও ইসলাম এই দুটো শুনলেই শরীর শিউরে উঠে। সমস্যা হলো বর্তমান মনোবিজ্ঞান ইসলামোফোবিয়াকে কোনো মানসিক সমস্যার ভেতর অন্তর্ভুক্ত করেনি তাই আমি রেসিজমের দিক থেকে কাউন্সেলিং নেবার চেস্টা করেছিলাম যদিও তাতে কোনো কাজ হয়নি। কারন রেসিজম ব্যাপারটা পুরোপুরি বর্ন সংক্রান্ত। তারপরও আমি আমার ইসলামোফোবিয়াকে নিয়ন্ত্রনের চেস্টা করছি।

সনেট কবি ও ফরিদ সাহেবের পোস্টে কিছু জিজ্ঞেস করে পাবেন না। ওনার পোস্ট পড়ে এতটুকু নিশ্চিত উনি হাদিসের কোনো গ্রন্থই পুরো পড়েননি এবং কোরানের পুরোটা না বুঝে পড়েছেন। বুঝতে হলে যে সেগুলো তাফসীর পড়তে হয় সেটা উনি জানেন না। উনি যেই বই লেখার চেস্টা করছেন ঈশ্বরের অবস্থান সম্পর্কে তার পেছনে সসীম হতে অসীম ও অসীম হতে সসীম এটা একটা ভুল যুক্তি।

ক্লাস সেভেনে যখন আপনি বৃত্ত একেছেন, এটা কিন্তু একটা সসীম পরিসীমা ও ক্ষেত্রফলের জিনিস। কিন্তু এর পরিসীমাকে যখন তার ব্যাস দিয়ে ভাগ দেবেন তখন পাইয়ের একটা মান পাবেন যার দশমিকের পর অসীম সংখ্যক ঘর পাবেন। আবার ত্রিকোনমিতিতে একটা সসীম ত্রিভুজের tan 90 এর মান অসীম। এরকম আমাদের বাস্তবিক জীবনে এমন ছোটখাটো অনেক বিষয় আছে যার মাধ্যমে অসীমের হিসাব লুকিয়ে আছে। আমরা ইলেক্ট্রিক্যালে যারা পড়েছি তারা জানি ডিসি ওয়েভের ভেতর অসীম সংখ্যাক সাইন ওয়েভ বা ইলেক্ট্রনের এনার্জীব্যান্ডের অসীম স্পেকট্রাম বিদ্যমান। এগুলো কিন্তু অনুমান বা ভুল নয়। যদি ভুল হতো তাহলে এই বাতি জ্বালিয়ে বা কম্পিউটারের টাইপ করছেন অঠবা যে বিল্ডিং এ আপনি বসে দিন কাটাচ্ছেন সেগুলো বানানো সম্ভব হতো না। পদ্মা সেতু বানানোর কথা চিন্তা করতে পারতো না।

আবার অসীম থেকেও সসীমের উৎপত্তী নিজে নিজেই তৈরী হচ্ছে যেগুলো ক্লাস সেভেন বা এইটে অংক ভালো পারে তাকে জিজ্ঞেস করলেই ক্যালকুলাস দিয়ে দেখিয়ে দেবে। আপনি এই ব্যাপারগুলো সিএমবি রেডিয়েশন ম্যাপ বা স্ট্যান্ডার্ড মডেল ইকোয়েশন অথবা ফাইনম্যানের লেকচার বুঝতে পারলে তা অহরহই দেখবেন। ব্যাপারটা হাস্যকর যদি এর সাথে ঈশ্বরের থাকা না থাকাে বোঝায়।

তাহলে এটা দিয়ে ঈশ্বরের থাকা না থাকা কিছু প্রমান হয় না কারন এসব ইচ্ছে করলে আপনিই সৃষ্টি করতে পারেন (যদিও অনেকে বলেন রূপান্তর)। তাই এই যুক্তিটা ম্যাথমেটিক্যাল এবং পদার্থবিজ্ঞানের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে খুবই শিশুতোষ মিসকনসেপশন।

আমি এই ভুলটা ধরাতে চাচ্ছিলাম না কিন্তু কেন যেন আটকাতে পারলাম না কারন ক্লাস সেভেন এইটে এখন আর কেউ পড়েন না এবং সেদিন দেখলাম কোথাকার কোন ছোকড়া নিজেকে সায়েন্সের ছাত্র দাবী করলো। এবং সেও সেই পোস্টে গিয়ে বাহ বাহ দিয়ে আসছে।

মানুষ শুধু বইগুলো পড়ে পাশ করার জন্য, অনুধাবন কেউ করে না। কেউ হাদিস কোরান না পড়েই বই পুস্তক লিখে শর্টকাটে খ্যাতি চায় কেউ সার্টিফিকেট দেখিয়ে সমাজে বড় হতে চায়। এটা আমার জাতিগত বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্যতা।

ধন্যবাদ আবারও

২৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন ভাই, ধন্যবাদ, আপনি অনেক সময় নিয়ে খুব গোছালো ব্যাখ্যা দিয়েছেন - আমি অশেষ কৃতজ্ঞ আপনার কাছে । ধন্যবাদ আপনাকে । একটি বড় সমস্যা জানেন কি - শহরে, গ্রামে, দেশে বিদেশে সর্বত্র একটি শ্রেণী আছে যারা ইসলাম প্রচারে ব্যাস্ত - তাদের ধারণা তারাই একমাত্র ঈমানদার বাকী সবাই কাফের মোনাফেক !!! তারা ঈমানের বানী ছড়ায়, তারা ইসলামের বাণী ছড়ায়। তাদের ভ্যষ্য শুনে মনে হতে পারে তারা এক একজন পয়গম্বর, পীর, আওলিয়া, দরবেশ, শুধু মাত্র তাদের অনুস্বরন করলেই ঈমানদার হওয়া যাবে, তা না হলে বেঈমান, কাফের !!!

আমি ঘোর আস্তিক, তবে সেই সব পয়গম্বর থেকে দুরে থাকি যারা অযথা ধর্ম প্রচার করে । গ্রামে একটি প্রবাদ আছে সস্তার তিন অবস্থা, আমি মনে করি তাদের ধর্ম সস্তা বলেই এতো প্রচার করতে হচ্ছে । হীরার প্রচারের প্রয়োজন নেই।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনের সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য

২৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১৯

কামালপা বলেছেন: ড: গ্যালেনের ব্যাপারটা বিস্তারিত বলেন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:৫৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ডা গ্যালেনের সময়কাল খ্রিস্টপূর্ব ১২৯ সাল থেকে ২১০ পর্যন্ত ছিলো। উনি তার জীবদ্দশায় বেশ কিছু বই রচনা করেন যার একটি হলো গ্যালেন ডি সিমেন। এই লিংকে ক্লিক করলে পাবেন গ্যালেনের সেই পুরোনো বইয়ের ইংলিশ ট্রান্সলেশন যার অংশগুলোতে বর্ননা আছে যেখানে কোরানে উল্লেখিত নুতফাকে তারা সীমেন বা শুক্রানু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং হিপোক্রিটাসও পশুদের ব্যাবচ্ছেদ করে একই জিনিস পেয়েছিলেন। গ্যালেনের এই বইটি পুরো পড়লে আরো জানতে পারবেন তারা জমাট বাধা রক্তের সন্ধান পান ভ্রুন নিষিক্ত হবার কয়েকদিনের মাথায় যখন তা জরায়ুতে গমন করে। হিপোক্রিটাসের রেফারেন্স রেখে গ্যালেন সাহেব তার এই পর্যবেক্ষন লিপিবদ্ধ করেন তার বইতে। এমনকি কোরানে (২২:৫ ও ২৩:১৩-১৪) অস্পষ্ট ভাবে যে মুগদা (আরবী শব্দ) এর উল্লেখ আছে তার হুবহু বর্ননাও পাবেন।

প্রশ্ন আসতে পারে মোহাম্মদ তার স্বরচিত কোরানে নিজেকে অশিক্ষিত দাবী করেছেন তার ওপর সে গ্রীক ভাষাও জানতো না। তাহলে গ্যালেনের এই বিষয়গুলো তিনি কিভাবে জানলেন। গ্যালেনের লেখে প্রায় ২৬টি বই খ্রিস্টাব্দ ৬০০ এর দিকে রাস'আল-আইনের সার্জিওস অনুবাদ করেন। সার্জিওস ছিলো একজন খ্রিস্টান পাদ্রী যিনি আলেক্সেন্দ্রিয়াতে মেডিসিনের ওপর পড়ালেখা করেছেন এবং অনুশীলন করেছিলেন মেসোপটেমিয়ার দিকে। রেফারেন্স হিসেবে জি শার্টনের ইন্ট্রোডাকশন টু দ্যা হিস্টোরী অব সায়েন্স ভলিউম ১ পৃষ্ঠা নম্বর ৪২৩-৪২৪ এ পাবেন। সার্জিও মারা যান ৫৩২ শতকের দিকে। খ্রিস্টানদের নস্তোরিয়ানদের অন্তর্ভুক্ত থাকায় তিনি পালিয়ে বেড়াতেন এবং চার্চে তার চিকিৎসার প্রাকটিস চালু ছিলো। সেসময় পারসীয়ান আনুশারওয়ান ৫৫৫ সালের দিকে ইরানের উত্তরপূর্বদিকে জুনদিশাপুরে একটা মেডিকেল কলেজ গঠন করেন যেখানে মূলত গ্রীক, ভারতীয় এবং ইরানিয়ানদের চিকিৎসাশাস্ত্রের সমন্বিত করার চেস্টা করেন। গ্রীক তথা গ্যালেনের এসব অভিজ্ঞতার মূল ব হনকারী হিসেবে সাসানিয়ানদের কথা উল্লেখ করা যায়। রেফারেন্স হিসেবে দেখতে পারেন এইচ. বেঈলীর ক্যামব্রীজ হিস্টোরী অব ইরান ভলিউম ৪ পৃষ্ঠা নম্বর ৪১৪ পাতায়।
মুসলিম ঐতিহাসিক বিশেষ করে ইবনে আবি উসাঈবা এবং আল কিফতি অনুসারে জুন্দিশাপুরের প্রথম দিককার গ্রাজুয়েট ছিলেন আল হারিথ ইবনে কালাবা যিনি কিনা মোহাম্মদের সঙ্গী ছিলেন। মোহাম্মদ তার কাছে প্রায়শই চিকিৎসা সম্পর্কিত পরামর্শ নিতেন। বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ও চিকিৎসক সিরীল এলগুড এর মেডিক্যাল হিস্টোরী অব পারসিয়া বইয়ের ৬৬ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন যে হারিস বিন কালাবা মরুভূমি ছেরে জুন্দাশপুরে চিকিৎসাশাস্ত্রে জ্ঞানার্জন করে ফিরে আসেন এবং মোহাম্মদের সাহচার্য লাভ করেন। যদিও এটা জানা যায়নি যে হারিস কখনো ইসলাম গ্রহন করেছিলো কিনা তবে এটা নিশ্চিৎ যে ততকালীন এনাটমিক্যাল জ্ঞান সবাই তার মাধ্যমেই জানতে পেরেছিলো এবং মোহাম্মদ সেটার বর্ননাই অসম্পূর্ন রূপে নিজের মতো করে কোরানে ঢুকিয়ে দেয়।

তবে ২৩:১৪ নম্বর আয়াতটি নিয়ে একটা সুন্দর গল্প আছে যেখানে মোহাম্মদের টুকলী আয়াতের সরাসরি প্রমান মেলে। যেহেতু এটা গ্যালন সংশ্লিস্ট ব্যাপার না সেহেতু তাফসীরটি আর পেশ করলাম না।

২৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪১

এম আর তালুকদার বলেছেন: পড়লাম এবং মনে অনেক প্রশ্নের সৃষ্টি হল ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রশ্নগুলো শেয়ার করতে পারেন। আমি না দিতে পারলেও অন্যকেউ দিয়ে দিতে পারে সন্দেহ নাই। সবার মত প্রকাশ এবং আলোচনা করার অধিকার আছে পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৩০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৫

এম আর তালুকদার বলেছেন: বিয়ের শাব্দিক অর্থ কি ? বিয়ে মানে কি ?

ভালবাসা মানেই কি দুটি বিপরীত লিঙ্গের মিলন? ভালবাসা মানেই কি বংশগতির ধারা? স্রষ্টা কেন সৃষ্টিকে ভালবাসে লিঙ্গ বৈষম্য ছাড়া ?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কবিতাটি সুন্দর হয়েছে। ছন্দটা মনে ধরে। যেহেতু ব্লগে অন্য কারো পোস্টে মন্তব্য করার অধিকার রহিত হয়েছে আমার তাই মন্তব্য ফেরত দিতে পারলাম না বলে দুঃখিত।

মানুষ স্রস্টাকে খুঁজে বিশ্বাস দিয়ে আমি খুঁজি যুক্তি দিয়ে। বিশ্বাসের বশবর্তী হলে হীরা ভেবে কাঁচ তুলে নিয়ে তাতে হাত কাটার সম্ভাবনা শতভাগ সেক্ষেত্রে যুক্তিবোধ মানুষকে মুক্তির পথ দেখায় এবং সুখের সন্ধান দেন। ঈশ্বর এই যে এত কস্ট করে তার সৃস্টি সাজিয়েছেন নিশ্চয়ই মুক্তি ও সুখের সন্ধান দেবার জন্যই।

ধন্যবাদ সুন্দর একটা কবিতা ব্লগবাসীকে উপহার দেবার জন্য। লিখতে থাকুন। হ্যাপী ব্লগিং

৩১| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১১:২৪

দজিয়েব বলেছেন: অসম্ভব ভালো। অনুসরণ করতেই হচ্ছে!

০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ পুরোনো পোস্টে ফিরে আসার জনয

৩২| ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:১৬

আমি সাজিদ বলেছেন: দেড় ঘন্টা যাবত আপনার পুরানো পোস্টগুলোতেই ছিলাম খালি। হিউম্যান এনাটমি নিয়ে বেশ নিঁখুত ধারনা আছে আপনার।

১০ ই জুন, ২০২০ রাত ৩:৪২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মোটেও না। ইন্টারে আমার বায়োলজি ছিলো না। এসএসসিতে কৃষিশিক্ষা দিয়ে অল্টার করতে গিয়েছিলাম। যদিও মনে নাই কিছুই। এখন যা শিখেছি সব এক্সারসাইজ করতে গিয়ে শেখা। নইলে ইনজুরীতে পড়লে সামলাতে পারবো না, এই ভয়ে।

অর্থহীন মনে হয় লেখা গুলো।

পড়বার জন্য থ্যাংক্স

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.