নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামু তে সময়ক্ষেপণ করি, অতি জানাশোনার ভিড়ে নিজের স্বল্পকায় জ্ঞান আজিকে সার্থক বলিয়া বোধোদয় হইতেছে। পড়াশুনা আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, ঢাবি।

মার্কো পোলো

মার্কো পোলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনে নিন ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যক্রমের পদ্ধতি

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬


এটি একটি পুরাতন পদ্ধতি। ব্রিটিশরা ছিল এই পদ্ধতি ব্যবহারে দুনিয়া বিখ্যাত। আসুন আমরা জেনে নিই কিভাবে একজন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

ফাঁসি কার্যকর করার জন্য একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়। এইপদ্ধতি বাস্তবায়নে অনেকগুলো ধাপ সতর্কতার সাথে পার করতে হয়। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে প্রথমেই তার রায়টি সংক্ষিপ্ত আকারে পড়ে শোনান জেল সুপার।

দেশে সাধারণত রাত ১২টার পরেই আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। তবে বিশেষক্ষেত্রে এবং বিশেষ ব্যক্তির ক্ষেত্রে মাঝেমাঝে রাত ১২ টার আগেই ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফাঁসি দেয়ার আগে গোসল করিয়ে একজন মাওলানার মাধ্যমে তওবা পড়িয়ে নেন কারা কর্তৃপক্ষ। এ সময় আসামির কাছ থেকে তার শেষ কোন ইচ্ছা থাকলে আইন অনুযায়ী সম্ভব হলে তা পূরণ করেন কারা কর্তৃপক্ষ। ফাঁসির মঞ্চে নেয়ার আগে আসামির মাথায় পরানো হয় একটি কালো রঙয়ের টুপি। এই টুপিটিকে বলা হয় ‘জমটুপি’। ফাঁসির মঞ্চে তোলার আগে দন্ডপ্রাপ্ত আসামির দুই হাত পেছনের দিকে বাঁধা হয়। এ সময় ফাঁসির মঞ্চের সামনে উপস্থিত থাকেন কারা কর্তৃপক্ষ, সিভিল সার্জন, একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা। ফাঁসির মঞ্চে প্রস্তুত থাকে একজন জল্লাদ। মঞ্চে তোলার পর আসামির দুই পা বাঁধা হয়। গলায় পরানো হয় ফাঁসির দড়ি । তবে তা হতে হবে যেমনি মজবুত তেমনি পিচ্ছিল। কারা কর্তৃপক্ষের হাতে থাকে একটি রুমাল। রুমালটি হাত থেকে নিচে ফেলে দেয়ার সাথে সাথেই জল্লাদ ফাঁসির মঞ্চের লিভারে টান দেন। লিভারটি টান দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফাঁসির মঞ্চের নিচে চলে যায় আসামি। এ সময় আসামি মাটি থেকে ২-৩ ফুট শূন্যে থাকে। এতে মুহূর্তের মধ্যেই ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ঘাড়ের হাড় ভেঙ্গে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে কখনও পুরো মাথাটাই ছিঁড়ে যায়। যেহেতু মাথাটি নির্দিষ্ট নিয়মে ছিঁড়ে না, তাই অনেক সময় এটাকে জোড়া লাগানো যায় না।

মাথা যদি ছিঁড়ে যায় তিনি অপেক্ষাকৃত কষ্ট কম পান, যদি ঘাড় ভেঙে যায় তিনি একটু বেশি কষ্ট পান, যদি কণ্ঠনালীতে চাপ খেয়ে মরেন তবে অসম্ভব ছটফট করতে করতেই মারা যান। ফাঁসির দড়িতে ঝোলানোর পর আরও ১০-২০ মিনিট দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা হয় আসামিকে। ফাঁসির দড়ি থেকে নামানোর পর সব শেষে আসামির দুই পায়ের রগ কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে কারা কর্তৃপক্ষ। সবশেষে ভোরের দিকে আসামির মৃত দেহকে তার পরিবার পরিজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

(Source: Laws of Bangladesh)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



নিজেই একটি ভিডিও করে ব্লগে দিন, না হয় বুঝতে কস্ট হচ্ছে!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

মার্কো পোলো বলেছেন: ভিডিও করবো কি, মরা মানুষ দেখলেই তো অজ্ঞান হয়ে যাব। ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

একজন নিশাদ বলেছেন: রগ কাটার বিষয়টা নতুন জানলাম, আসলেই কি তাই?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

মার্কো পোলো বলেছেন: হুম। এটা সঠিক।
ধন্যবাদ ভাই।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

বোরহাান বলেছেন: ওফ! কি কষ্টের :(

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

মার্কো পোলো বলেছেন: যারা মানুষ হত্যা করতে পারে তাদের এ ধরনের শাস্তিই কাম্য।
ধন্যবাদ।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: চাঁদগাজী ভাইয়ের কমেন্ট দেখে হাসতে হাসতে শেষ।
=p~

তবে আপনার লেখা বেশ সুন্দর হয়েছে। বর্ননা ঠিকঠাক আছে!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

মার্কো পোলো বলেছেন: গাজী ভাই রসিক মানুষ। বুঝা যায়।
ধন্যবাদ ভাই।

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভয়ংকর রকমের শাস্তি।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

মার্কো পোলো বলেছেন: এসব শুনলেই গা শিউরে ওঠে। ধন্যবাদ ভাই।

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: সব ধরণের মৃত্যুই ভয়ংকর। মৃত্যুর বর্ণনা শুনলে কেঁপে উঠাই স্বাভাবিক।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

মার্কো পোলো বলেছেন: ঠিক। মৃত্যুকে খুব ভয় লাগে। কিন্তু মৃত্যু অবধারিত। মনে হলেই শিউরে উঠতে হয়।
ধন্যবাদ ভাই।

৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহ আমাদের স্বাভাবিক মৃত্যু দান করুন, আমিন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫১

মার্কো পোলো বলেছেন: আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.