![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এতো ঠুনকো খোলস তুমি পড়েছো পাগল, এতো পলকা দেয়ালে তুমি ঘিরেছো নিজেকে, চাইলেই সেই দেয়াল ভেঙে দেয় কোন আদুরে নরোম হাত।
দেয়াল ঘড়িতে ভোর চারটা বেজে একত্রিশ মিনিট।
বসার ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ওড়না দিয়ে তৈরি ফাঁস ঝুলছে। তার ঠিক নিচে বরাবর চেয়ার রাখা।
চেয়ারের পিঠে হাত ভর দিয়ে মিতা দাঁড়িয়ে আছেন। চুল এলোমেলো, চোখের জল আর কাজল লেপ্টে আছে দুই গালে।
স্বামী নূর চৌধুরীর সাথে তাঁর বনিবনা হচ্ছে না অনেক দিন ধরে। কয়েকবার মায়ের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন তিনি, প্রতিবার সন্তানদের মুখ চেয়ে এবং মুরুব্বীদের সমঝোতায় আবার ফিরে এসেছেন।
আর নয়, এতো কলহ, আবার সব ঠিক করার চেষ্টা, আবার দু দিন পর কলহ, আর সহ্য করা যায় না।
থাকুক, নূর ওর মতো ভালো থাকুক, মিতাকে ওর জীবনে দরকার নেই।
মিতা কাঁপা কাঁপা পায়ে চেয়ারের উপর উঠে দাঁড়ালেন। দু হাতে ফাঁসটা ধরে তাকিয়ে রইলেন।
আর মাত্র কয়েকটা মিনিট, তারপর এই প্রতিদিনের যন্ত্রণা থেকে চিরমুক্তি !
খুট করে শব্দ হলো। বাচ্চাদের ঘরের আলো জ্বলে উঠলো।
নিশ্চয়ই বাবাই। বাবাইর রাত বিরেতে খিদে পাবার অভ্যেস আছে, ওর জন্য মিতা কে নানান পদের নাস্তা তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিতে হয়। ছেলে মাইক্রোওয়েভে গরম করে খায়। এই বয়সী কিশোর ছেলেরা বাইরের খাবার খাওয়ার জন্য পাগল থাকে, অথচ বাবাইর সমস্ত আগ্রহ মায়ের হাতের রান্না খাবার জন্য।
বাবুনীও হতে পারে। বাবুনী মাঝে মাঝে রাতে স্বপ্ন দেখে ভয় পায়। তখন মিতাকে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে আদর করে ঘুম পাড়িয়ে দিতে হয়। বাবুনীর চুলের ছোট্ট ঝুঁটি দুটো আলতো করে টেনে না দিলে তখন তার ঘুম আসে না। মেয়েটার মাথায় চুমু দেবার সময় বেবী শ্যাম্পুর ঘ্রাণ পাওয়া যায়।
ছেলে-মেয়ের মুখ দুটো চোখের সামনে ঘুরতে লাগলো মিতা নূরের। হটাত নিজের দুহাতের দিকে তাকালেন তিনি। দু হাতে এখনো ধরে আছেন ফাঁসটা।
তাঁর দুই সন্তানের জীবন থেকে চিরতরে সমস্ত আনন্দ মুছে দিতে যাচ্ছে এই ফাঁস। বাচ্চা দুটো আর কখনো কাউকে মা বলে ডাকতে পারবে না। বাবাইকে কেউ আদর করে মুখে তুলে খাওয়াবে না ওর পছন্দের মায়ের হাতের রান্না। বাবুনীকে কেউ আদর করে গোসল করিয়ে পিচ্চি পিচ্চি কোঁকড়া চুলে পিচ্চি দুটা ঝুঁটি করে দেবে না।
মিতার গায়ে হটাত করে অপার্থিব শক্তি ভর করলো। এক হ্যাঁচকা টানে তিনি ছিঁড়ে ফেললেন ফাঁসটা।
কাঁপা পায়ে চেয়ার থেকে নামলেন মিতা। কয়েকমুহূর্ত আগে কি সর্বনেশে পদক্ষেপ তিনি নিতে যাচ্ছিলেন তা ভেবে বুকটা হিম হয়ে যাচ্ছে তাঁর। কিন্তু মুখটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আলতো পায়ে হেঁটে বাচ্চাদের রুমে ঢুকলেন তিনি। যা ভেবেছিলেন তাই। বাবাই পড়ার টেবিলে বসে, সামনে থালায় মিতার বানানো পাস্তা। খেতে গিয়ে দু এক টুকরো এদিক সেদিক ফেলছে, এখনো গুছিয়ে খেতে শিখলো না ছেলেটা। বাবাইর মাথায় হাত রাখলেন তিনি।
ছেলে চমকালো না, জানে মা মাঝে মাঝে দেখতে আসেন ওরা ঠিক মতো ঘুমাচ্ছে কিনা। মিতা পাশে বসে ছেলের হাত থেকে কাঁটা চামচটা নিলেন, মুখে তুলে খাইয়ে দিলেন বাকি খাবার টা।
মিতার এক পাশে বাবুনী, আরেক পাশে বাবাই। বাবাই প্রায়ই মা কে কাঁদতে দেখে, আব্বুর সাথে ঝগড়া হলেই মা কাঁদেন। কিন্তু এই প্রথম মায়ের কান্না ভেজা চোখের সাথে মুখে হাসি দেখতে পাচ্ছে সে। কি করবে বুঝতে না পেরে সে মাকে জড়িয়ে ধরল। ঘুমন্ত বাবুনীর মাথা হেলে মিতার কাঁধে ঠেকলো।
দুটো কচি শরীরের স্পর্শ লাগছে মিতা নূরের দেহে। আরেকবার বিবেকের দংশনে বিদ্ধ হলেন তিনি। এটা কি করতে যাচ্ছিলেন??? এই দুটো বাচ্চা এতিম হয়ে গেলে কি ভাবে এই দুনিয়ায় চলতো মা ছাড়া??
নূর এর সাথে মানিয়ে নেবার আরেকটা চেষ্টা করতে হবে। এটাই শেষ চেষ্টা। যদি এবার ঠিক না হয়, তাহলে আলাদা হয়ে যাওয়াই ভালো। কিন্তু নিজেকে শেষ করে দেয়া না। মিতা নুরের জীবন তাঁর একার না, এই কচি মুখ দুটোর অধিকার আছে তাঁর উপরে।
লেখকের কথাঃ পাঠক বুঝতেই পারছেন এই গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। আমাদের প্রিয় অভিনেত্রী মিতা নূর জীবনের উপর অসম্ভব বিতৃষ্ণা নিয়ে চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে। তাঁর বর্ণাঢ্য অভিনয় জীবনের অসংখ্য অর্জন পেছনে ফেলেছেন, পেছনে ফেলেছেন তাঁর দুটি জীবন্ত অর্জন, তাঁর দুই সন্তান। এই ছেলে মেয়ে দুটো অতি অল্প বয়সে যেই ভয়ঙ্কর নির্মম জীবনের সামনে এসে দাঁড়ালো, এরা কি সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে বেড়ে উঠতে পারবে??
আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়। কাপুরুষের মতো পালিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাদের বাবা মা কষ্ট করে মানুষ করেন নাই। সমস্যা হলে সেটা ফেইস করুন, যদি সমাধান না করতে পারেন তাহলে নিজের আত্মসম্মানটুকু নিয়ে দূরে সরে যান। আত্মহত্যা শুধু একটা মানুষকে শেষ করে না, একটা পরিবারকেও শেষ করে দেয়।
মিতা নূর মারা গেছেন আজ পয়লা জুলাই দিবাগত রাতে। প্রাথমিক ভাবে তাঁর মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং প্রাথমিক ভাবে দাম্পত্যকলহ থেকে অবসাদগ্রস্থতা এই নির্মম পরিনতির কারণ হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। আমার লেখার উদ্দেশ্য মিতা বা তাঁর স্বামীকে হেয় করা নয়। শুধু মাত্র কয়েকমুহূর্তের উপলব্ধি এবং জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যাবার ইচ্ছা থেকে কত বড়ো একটা দুর্ঘটনা এড়ানো যেতো, এটাই দেখাতে চেয়েছি মাত্র।
বিডিনিউজ২৪ এ মিতার মৃত্যু সংবাদ দেখুন এখানে
০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
টেস্টিং সল্ট বলেছেন:
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার কাল্পনিক গল্পটা সত্যি হলে দু'টি অবুঝ শিশু বেঁচে যেতো।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আত্মহত্যা শুধু একটা মানুষকে না, তাঁর পরিবার কে ধ্বংস করে দেয়।
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭
নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: দুঃখজনক
০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: প্রচন্ড দুঃখজনক
৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
ধূসর সপ্ন বলেছেন: অনেক বাস্তব উপস্থাপন আপনার । ভাল লাগল ।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: জীবন কোন কল্পনা নয়, জীবন বাস্তব, প্রত্যেকের উচিত নিজের মতো করে লড়ে যাওয়া। আমার আপনার জীবনের উপরে আমাদের পরিবারের অধিকার আছে, সেটা অস্বীকার করে আমরা পালাতে পারি না।
৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
মামুinসামু বলেছেন: ট্রিবিউট টু মিতা নূর
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: মুগ্ধ করে দেবার মতো একটা মুখ
৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যিই মানুষের বাহির আর ভেতরে কত ব্যবধান- তা বোঝা অসম্ভব।
কিন্তু এই পালিয়ে যাওয়া সত্যি দুঃখজনক। শিশুগুলোর মানসিক বিকাষে অন্তকালীন ছাপ পড়ে গেল...
আল্লাহ তাদের দৃঢ় মানসিক শক্তি দান করুন।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: আমীন
৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩
রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন:
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
টেস্টিং সল্ট বলেছেন:
৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
রিফাত হোসেন বলেছেন:
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
টেস্টিং সল্ট বলেছেন:
৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: শুধু মাত্র কয়েকমুহূর্তের উপলব্ধি এবং জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যাবার ইচ্ছা থেকে কত বড়ো একটা দুর্ঘটনা এড়ানো যেতো, এটাই দেখাতে চেয়েছি মাত্র।
অসাধারণ বলেছেন।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
টেস্টিং সল্ট বলেছেন:
১০| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: প্রচন্ড দুঃখজনক
০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০১
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: আমরা সচেতন হতে পারি। আশেপাশে অবসাদ গ্রস্ত বন্ধু বান্ধব বা আত্মীয় দেখলে আমরা যেনো এড়িয়ে না যাই, দায়িত্ব নিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়াই।
১১| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৯
ইকরাম উল্যাহ বলেছেন:
জীবন বড়ই সুন্দর। এক হাত না থাকলেও সুন্দর, দুই হাত না থাকলেও সুন্দর। এক পা না থাকলেও সুন্দর, দুই চোখ না থাকলেও সুন্দর। ক্যান্সার হইলেও সুন্দর, আলসার হইলেও সমান সুন্দর।
আমার কেন জানি মনে হয়, মৃত্যুকষ্টের সময় মানুষের আবার ফিরতে ইচ্ছে হয়, আফসোস তখন আর ফেরার উপায় থাকে না।
বার্ধক্যজনিত কারনে/দুর্ঘটনায় বা কেউ মেরে না ফেললে আমি তার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বাঁচতে চাই।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৩
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: মৃত্যুকষ্টের সময় মানুষের আবার ফিরতে ইচ্ছে হয়, আফসোস তখন আর ফেরার উপায় থাকে না।
সহমত। অনেক বার এটা আমার মাথায় এসেছে।
১২| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২০
জাতির চাচা বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে কান্না চলে আসছে।বাবুদের দিকে তাকিয়েও যদি সত্যি সত্যি এই মেয়েটা সিদ্ধান্তটা চেঞ্জ করতো!
০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৩
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: আমরা আর কিই বাঁ করতে পারি দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া
১৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মর্মান্তিক ।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৪
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: আসলেই
১৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি খুবই শকড। আমার খুব প্রিয় ছিলেন তিনি। তার মৃত্যুর ঠিক দুইদিন আগে আমার স্ত্রীর সাথে তার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। "আলো আলো বেশি আলো"র সেই আলোকিত নারী কি এখন আর নেই কোনকিছুতে? জবাবে জানলাম যে তিনি এখনও কিছু প্রোগ্রাম করেন...
শান্তিতে ঘুমান মিতা নূর।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৫
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: লাস্ট বোধহয় ভবের হাট নাটকে উনার কাজ দেখেছিলাম
১৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৮
সুরজিত শুভ্র বলেছেন: খবরটা শুনার পর থেকে মনটা প্রচন্ড খারাপ
০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৫
টেস্টিং সল্ট বলেছেন:
১৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১১
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলায়হে রজিউন ।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৬
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলায়হে রজিউন ।
১৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: সত্যি অনেক দুঃখজনক।
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৪
টেস্টিং সল্ট বলেছেন:
১৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৮
রুপ।ই বলেছেন: অনেক দুঃখজনক।
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৪
টেস্টিং সল্ট বলেছেন:
১৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০০
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: অসাধারন লেখা........আপনার। আসলেই মিতা নুর কেন.........কারোই অধিকার নেই তার বাবা-মায়ের দেয়া মূল্যবান জীবনটা.......কিংবা ওই কচি কচি শিশুগুলোর চরম নির্ভরতার শেষ আশ্রয়স্থলটা কেড়ে নেয়ার।
জানিনা কে দোষী বা কে নির্দোষ, তবে আত্মহত্যা কাওয়ার্ডদের কাজ........যারা বাস্তবতার সাথে যুদ্ধ করার সাহস রাখেনা (ব্যাপারটা হত্যা হলে ভিন্ন কথা)।
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৫
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: আসলে সত্যিটা একমাত্র আল্লাহ্ পাক জানেন। তবে আত্মহত্যা বা হত্যা কোনটাই সামান্যতম সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখা উচিত না । উভয়ই মানবতার চরম অবমাননাকারী।
২০| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৫
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, ড্রয়িংরুমে কি কেউ ফাঁসি নেয়? উনি তো চাইলে উনার বেডরুমেও যে কোনো সময় ফাঁসি নিতে পারতেন। এটা সুইসাইডের থেকেও মার্ডার বেশি মনে হচ্ছে আমার।
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৫
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: কি জানি, আল্লাহ্ ভালো জানেন।
২১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৩
দুরন্ত-পথিক বলেছেন: তার বাচ্চাদের জন্য আরও বেশি খারাপ লাগছে। যে সময় শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য বাবা-মা দুজনকেই দরকার সেখান আজ তাদের মা নেই।
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩৮
টেস্টিং সল্ট বলেছেন:
২২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
আরজু পনি বলেছেন:
অসাধারণ লিখেছেন !
মায়েদের এভাবেই ভাবা উচিত
অধুনাতে মা-ছেলের সাক্ষাতকার পড়েছিলাম মাত্রই কয়েকদিন আগে। খুবই ভাল লাগছিল । এখন সব শেষ
আমিও গতকাল কিছু লিখেছিলাম
নারী, তুমি স্বার্থপরের মতো বেঁচে থাক !
০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: আপু আপনি আমাকে ফেসবুকে তুমি করে বলেন।
মিতা নূরের বড়ো ছেলেটি প্রোগ্রামিং এর সর্বোচ্চ স্বীকৃতি পিএইচপি জেন্ড কোয়ালিফাইড। এই ছেলেটিকে কিভাবে ত্যাগ করে চলে গেলেন একজন মা?
২৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১২
~মাইনাচ~ বলেছেন: খব দুঃখজনক
আমার প্রিয় একজন ছিলেন।
তার আত্মা শান্তিতে ঘুমাক
০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: আমীন
২৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
নেক্সাস বলেছেন: আমার অনেক প্রিয় অভিনেত্রী। খুব কষ্ট পেলাম
০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
টেস্টিং সল্ট বলেছেন:
২৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
নেক্সাস বলেছেন: আমার অনেক প্রিয় অভিনেত্রী। খুব কষ্ট পেলাম
০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
টেস্টিং সল্ট বলেছেন:
২৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
মাহবু১৫৪ বলেছেন: অনেক কষ্ট পেয়েছি এই খবরটা শোনার পর।
এভাবে চলে যাওয়া কোন সমাধান হতে পারে না। বাচ্চা ২ টাকে এভাবে এতিম করে চলে যাওয়ার কোন মানে নেই।
০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: আসলেই নেই।
২৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: খুব চমৎকার লিখেছেন...............।
০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: ধন্যবাদ
২৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কি অসম্ভব সুন্দর, হাসিখুশি একজন মানুষ! কিভাবে চলে যায়!
কাল সকালেই খবরটা শুনে এত মন খারাপ হয়ে গেল। যেখানেই থাকুন তিনি যেন ভাল থাকেন।
০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: আমীন।
২৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: দুঃখজনক । একজন শিক্ষিত মায়ের কাছ থেকে জাতি আরো ভালো কিছু প্রত্যাশা করে ।
০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
টেস্টিং সল্ট বলেছেন:
৩০| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: ইন্নালিল্লাহ!!
আমার প্রিয় একজন অভিনেত্রী!! খুব ভালো লাগতো......
এভাবে চলে যাওয়াটা খুব বেশি অনাকাংখিত!!
০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
টেস্টিং সল্ট বলেছেন:
৩১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
নীল-দর্পণ বলেছেন: মানুষের উপরটা দেখে বোঝাই যায়না ভেতরে তার কি অবস্থা!
০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
টেস্টিং সল্ট বলেছেন:
৩২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: তোর কল্পনাটুকু সম্পূর্ণঅর্থে কল্পনা নয়। তুই যেটা কল্পনা করেছিস সেটা বাস্তবে বেশ কয়েকবার ঘটেছে। মিতানুর হয়ত অনেক বারই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এসেছে বাচ্চাদের কথা ভেবে। কিন্তু আর কত বল? ধৈর্যের বাধ তো একসময় ভেঙে যায়!
০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫২
টেস্টিং সল্ট বলেছেন:
৩৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২৭
আরজু পনি বলেছেন:
আমি ব্লগে সবাইকে "আপনি" সম্বোধন করে থাকি ।
ব্লগে যারা লেখে তারা সবাই লেখক। সেই মর্যাদার দৃষ্টিতেই দেখার চেষ্টা থাকে ।
ফেসবুকটা ক্যাম্পাসের মতো । ্ওখানে এতো হিসেব নিকেশ করি না তমেন করে ।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২১
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: আচ্ছা আপূ :#> :#>
৩৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১১
ত্রিনিত্রি বলেছেন: মন ছুয়ে গেলো। মিতা নূরের ওই অলিম্পিক ব্যাটারির অ্যাডটা এখনো চোখে ভাসে। ছোটবেলায় টিভি দেখতে বসলেই ওই অ্যাড!
আপনার চেষ্টা সফল হয়েছে...পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল যদি মিতা নূর এই কাজটি করতেন আত্মহত্যা না করে। হয়ত উনার ডিপ্রেশন এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে একা একা আর সেটাকে সামলানো যাচ্ছিলো না।
মিতা নূরের জন্য ভালোবাসা...আল্লাহ উনাকে রহম করুন।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
টেস্টিং সল্ট বলেছেন: আমরা যারা ৮০স এর শেষ বা ৯০স এর শুরুতে জন্মেছি তাঁদের জন্য আসলে মিতা নূর কে ভোলা একেবারেই সম্ভব নয়।
লেখাটা লিখেছি আমি মিতা নূর এর মৃত্যু সংবাদ পাবার কয়েকঘন্টা পরই, সহ্য করতে পারছিলাম না, নিজের বিষাদ কিবোর্ডে ঝরতে দিয়েছি।
আল্লাহ্ মিতা নুরের আত্মাকে শান্তি দিন। আমীন।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
টুম্পা মনি বলেছেন: খুব হাসি খুশি একজন মানুষ মনে হত তাকে। এই হাসির আড়ালে যে ভয়াবহ কষ্ট লুকানো ছিল কে জানতো!