নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লু'জ ব্লগ

আমি নীল, আমি কালো, আমি মন্দ হয়েও ভালো

টেস্টিং সল্ট

এতো ঠুনকো খোলস তুমি পড়েছো পাগল, এতো পলকা দেয়ালে তুমি ঘিরেছো নিজেকে, চাইলেই সেই দেয়াল ভেঙে দেয় কোন আদুরে নরোম হাত।

টেস্টিং সল্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমালোচক

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪৭





সেই মানুষটা লিখতো ক্যামন ??



হয়তো ভালো, কিংবা একে বারেই যা তা।



লিখতে হতো নিজের টানেই



ভেতর বাড়ির ইচ্ছে গুলো,

কষ্ট, পাওয়া, হারিয়ে ফেলা,

উল্লাস আর বিমর্ষতার কথা,



মানুষটা কে লিখতে হতো।



আঙুল গুলো নিজের থেকেই

ছুটতো, ঘোড়ার খুরের মতোন,

কি বোর্ডটাতে ছন্দ মেনে শব্দ ক্যামন হতো !



খুব আড়ালে লুকিয়ে রাখা

পদ্য ছিলো, গল্প কিছু ছিলো।



মানুষটা তার সৃষ্টি নিয়ে লজ্জা পেতো।



তবুও সেই গুটিয়ে থাকার মাঝে

অসম্ভব এক তৃপ্তি ছিলো।



পংক্তি গুলো ভীষণ দামী ছিলো,

আবার ভীষণ ফেলনা ছিলো,

লেখার পড়ে মানুষটা তা

খুব সহজেই উড়িয়ে দিতো,

নির্বিকারে।



মানুষটা খুব খামখেয়ালীর মতো

যুক্তি দিতো, আবেগ টুকু নিংড়ে নিয়ে

লেখার ভেতর জড়িয়ে দেয়া হলো।

সেই লেখা কে পুষতে হবে ক্যানো??

নিজের হাতে গড়া বলেই, গুঁড়িয়ে দিতেও তৃপ্তি আছে।



নিজেই নিজের পাঠক ছিলো,

নিজের লেখার বিচার করে

পদ্য কিছু সুবোধ পেয়েছিলো।

বাকীরা সব ছন্দে কাঁচা, বড্ড বেশি বেয়াড়া পনা ছিল।



হঠাৎ কিছু উৎসাহী চোখ

কালির আঁচড় দেখতে পেয়ে

লেখার খাতায় পাতলো আড়ি



পংক্তিগুলোর খুনসুটি আর

প্রেমের আলাপ,

অভিমানে ছন্দ গুলে খাওয়া,

বিষাদ বুঝে নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকা একার কথা গুলো

আড়াল থেকে শুনতে তারা পেতো।



মানুষটা তার আবেগ নিয়ে কি সব লিখে যেতো।



সে কোনদিন চায়নি কবি হতে।

লিখতে পারে, বলতে ভীষণ লজ্জা পেতো।



উৎসাহীদের ভেতর থেকে বোদ্ধা যারা, সমালোচক,

এগিয়ে তাঁরা এলো।



এখানটাতে ছন্দ কাঁচা,

ঐ কলামে আবেগ ভালো নেই।

এই কবিতা লেখার সময়

অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলে নাকি?

কি লিখেছো?

হয় নি এটা ! কিচ্ছু পারো না তো !



শুরুর দিকে ভালোই করেছিলে

এত্তো গুলো পংক্তি দিয়ে লিখতে তোমায় কে বলেছে??

শেষের দিকে ঝুলিয়ে দিলে বড়ো।



হ্যাঁ ঠিক আছে, নতুন বলে

মন্দ লেখো নি।

এবার একটা আমার পড়ো দেখি !



মানুষটা তাই হঠাৎ করে বুঝতে পেলো

তার যে ছিলো শব্দ স্বাধীন দল -

তারা কেমন কুঁকড়ে গেছে দ্বিধায়।

আগের মতোন উল্লসিত হয়ে

বেরিয়ে তারা আর আসে না।

শাদা কাগজ ভরিয়ে তোলার আগে

ফিসফিসিয়ে ওঠে নিজেরাই।



ঐ কাগজে বসলে পরে

ক্যামন করে সবচে' ভালো হবে।

ক্যামন করে বলবে সবাই ভালো।



শব্দ স্বাধীন দলের ভেতর

আবেগ নিয়ে ভাবতো যে কজন

পিছিয়ে গেলো, গুটিয়ে তারা গেলো।



নতুন করে লিখলো মানুষটা

ছন্দ নিখুঁত, পংক্তি গোনা- মাপা।

আবেগ টুকুই হারিয়ে গেছে কোথাও

আগের মতোন ভেতর বাড়ির ইচ্ছে গুলো,

খলবলিয়ে বাইরে আসে না তো।



আঙুলগুলো লেখার চেয়ে বেশি

বললো কে কি, প্রশ্ন, চাওয়া,

ভালো করার বুদ্ধি যারা দিতো,

তাদের সাথে মেতে ওঠায় মত্ত হতো রোজ।



মানুষটা ঠিক চায় নি এমন

একেবারেই না।

সে কখনো চায়নি সেরা হতে,

নিজের সাথে পাল্লা দিয়ে

ছাড়িয়ে যেতে নিজের সেরা টাকে।



বলতে পারো, মানুষটা তার

স্বার্থ শুধু দেখে ।



সে লিখেছে নিজের জন্য,

আর কে কি সব ভাবলো তাতে

থোড়াই কিছু আসলো গ্যালো।



এইটা বলা তার জন্য সহজ ভীষণ ছিলো।



সত্যি টা তা নয়।

আবেগ, বিষাদ, ভালোবাসা

ছন্দে টানার ইচ্ছে ছিলো যেটা ,

ছাপিয়ে গিয়ে নিখুঁত হবার

বাসনা এক যায়গা করে নিলো।



লেখার ভেতর প্রাণটুকু সে

ঢালতে গিয়ে দেখতে পেলো মিইয়ে গেছে।

নিভন্ত এক সলতে থেকে জ্বলার মতো কিছুই বাকি নেই।



ঠিক তখনই

আঙুল গুলো মানুষটা কে জানিয়ে দিলো

ভাবলো কে কি, সেইটা ভাবা বন্ধ করো।

নইলে পালাও, আমরা আছি,

তোমার স্বাধীন শব্দ গুলো

ভেড়ার পালের মতো,

ওদের কথায় আর যাবে না ভিড়ের ভেতর।



একলা হবে, চিনবে না কেউ ওদের যেখানটায়।

সেইখানে সব পাগলা হয়ে

ইচ্ছে মতো, ছুটবে জোরে, বল্গা ছেড়ে দিয়ে।



শব্দ গুলো বাক্সে বেঁধে নিয়ে

মানুষটা তাই ছাড়লো সুধীর শহর।

অচেনা এক সবুজ ঘাসের মাঠে

শব্দ গুলো ছড়িয়ে দিলে নতুন করে তারা সবাই

মানুষটাকে তৃপ্ত করে মাখলো ঘাসের ঘ্রাণ।



নিয়ম কানুন ছন্দ গাঁথার সুতো,

সব হটিয়ে নিজের মতোন সাজলো কথা

অবাক হয়ে দেখলো মানুষটা

নিজের মতো লিখতে পারার তৃপ্তি, আবেগ, ভালো লাগার রেশ,

লজ্জা টুকুন, জড়িয়ে নিয়ে তাকে আবার

আগের মতোন বানিয়ে দিলো, উদাসী আর খামখেয়ালী।



লেখার আঙুল খেলতে ভালোবাসে,

নিয়মকানুন - মন্দ ভালো, তুলিয়ে দেখা

শেকল ছাড়া কিচ্ছু না আর।



নিজের মতো লিখছে বসে

পুষছে লেখা,

ইচ্ছে হলেই উড়িয়ে দিয়ে পরক্ষনে ভুলেই বসে আছে।

পালিয়ে এসে মানুষ টা তাই

স্বস্তি নিয়ে আছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

জান্নাতুল এন পিয়াল বলেছেন: এত্তো গুলো পংক্তি দিয়ে লিখতে তোমায় কে বলেছে??

লিখেছেন অনেক বড়ই, কিন্তু ঝুলে পড়ে নাই কিন্তু!!! প্রথম থেকে শেষ অব্দি খুব সুন্দর লেগেছে।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

টেস্টিং সল্ট বলেছেন: কবিতা টা খুব অড টাইমে দিয়েছিলাম, স্পন্টেনাস ভাবে লিখে গেছি। লেখা শেষ এ পড়েও দেখি নি। ভেতরে চাপা ক্ষোভ কাজ করছিলো কিছু টা।

ভালো লেগেছে শুনে আনন্দ পেলাম।

তবে ইয়ে, ঐ ঝোলা- ঝুলি টাইপ কমেন্ট পেয়েই কিন্তু ক্ষোভ জন্মেছিলো =p~ =p~

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: খুব বেশি ছন্দ পতন হয়েছে লেখায়। টোনটা সব সময় এক যায়গায় ছিলনা। এইটা একটু খেয়াল রাখিস।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

টেস্টিং সল্ট বলেছেন: একদম মাইরালামু X(( X(( X((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.