নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানবেন কিতাব ও হিকমাত, কিন্তু মানবেন শুধুই হিকমাত

০৯ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:৩৭




সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

* কিতাব ও হিকমাত জানতে হবে বিধায় রাসূল (সা.)কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দিয়েছেন।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

* শুধুমাত্র হিকমাত মানার কারণ কিতাবে মানসুখ আছে।আর হিকমাত দিয়ে জানা যায় কিতাবের মানসুখ কি কি? কিতাব জানার কারণ কিতাব দিয়েই জানতে হয় হিকমাত কি কি? হিকমাত বাদ দিয়ে কিতাব না মানার কারণ আল্লাহ কল্যাণ রেখেছেন হিকমাতে। সুতরাং কিতাবকে হিকমাতে পরিণত করে মানতে হবে। ইসলামে সরাসরি কিতাব মানার বিধান নাই। সুতরাং যারা কিতাবের রেফারেন্স দিয়ে নিজেদেরকে জাহির করে তারা প্রতারক। হিকমাতের উৎস কি?

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।

সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং ও ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।

* হিকমাতের উৎস ওলামার পাল্লাভারী জামায়াত।তাঁরা সত্যের মাপকাঠি। সুতরাং ওলামার পাল্লাভারী জামায়াতের অভিমতের বাইরে ইসলাম নাই।হিকমাত কত প্রকার ও কি কি?

সূরাঃ ২ বাকারা, ২০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
২০১। আর তাদের মধ্যে কিছু লোক বলে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান করুন এবং পরকালে কল্যাণ দান করুন। আর আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করুন।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সহিহ আল বোখারী, ২৮৮৯ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৮৮৯। হযরত মুয়াবিয়া (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ যাকে কল্যাণ দানের ইচ্ছা করেন, তাঁকে তিনি দীন সম্পর্কে ফিকাহ (গভির জ্ঞান) দান করেন। আল্লাহ প্রদানকারী আর আমি বন্টনকারী। আমার এ উম্মত তাদের বিরোধীদের উপর চিরদিন বিজয়ী হবে। এ অবস্থায় আল্লাহর চূড়ান্ত সমাধান এসে যাবে।

* হিকমাত দু’প্রকার ১। ইহকালিন কল্যাণের হিকমাত ও ২। পরকালিন কল্যাণের হিকমাত। যেসব জ্ঞান-বিজ্ঞান দ্বারা ইহকালের কল্যাণ লাভ হয় সেই সব জ্ঞান-বিজ্ঞান ইহকালিন কল্যাণের হিকমাত। পরকালিন কল্যাণের হিকমাত হলো ফিকাহ। এরজন্য কোরআন ও হাদিস লাগে। কারণ আল্লাহ ফিকাহ দাতা এবং রাসূল (সা.) এর বন্টনকারী।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

* ফিকাহের পরিবর্তে কোরআন মানসুখ এবং হাদিস বাতিল।যারা ফিকাহের পরিবর্তে কোরআন ও হাদিসের রেফারেন্স দেয় তারা প্রতারক।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

* রবের পথে ডাকতে হয় হিকমাত দিয়ে। উহা ফিকাহ ও কল্যাণকর জ্ঞান-বিজ্ঞান।এর পরিবর্তে যারা কোরআন ও হাদিসের রেফারেন্স দেয় তারা প্রতারক।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।

# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।

* ফিকাহের পরিবর্তে কোরআন-হাদিসের রেফারেন্সে ওয়াজ করায় ঈমান পৃথিবী ছেড়ে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায়। একশতবার আল্লাহর দিদার প্রাপ্ত পারসিক ঈমাম আবু হানিফা (র.) ফিকাহ সংকলন করার পর ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসে।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।

* সবচেয়ে পরাক্রান্ত কুরাইশ খলিফা আমির হারুনুর রশিদ ওলামা পরিষদের মাধ্যমে ইমাম আবু হানিফার ফিকাহ পরিশোধন করে হানাফী মাযহাব নামে অনুমোদন করলে ইসলামের স্বণযুগ শুরু হয় এবং আল্লাহ মুসলিদেরকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অধিকারী করতে থাকেন।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৩৯। তোমরা হীন বল হবে না এবং দুঃখিত হবে না। তোমরাই বিজয়ী যদি তোমরা মুমিন হও।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

* মুসলমানদের বাহাত্তর দল হানাফী মাযহাবের বিরোধীতা করায় তারা মহাশাস্তিতে আক্রান্ত হয়। অমুসলিমদের হাতে তাদের পরাজয় ঘটতে থাকে। কিন্তু হানাফী আফগানদের সাথে কোন অমুসলিম শক্তি জয়ী হতে পারেনি। আর হানাফী পাকিস্থান অমুসলিম ভারতের সাথে সমান তালে লড়াই করছে।হানাফী আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে আছে চৌকষ যোদ্ধা। আর হানাফী পাকিস্তানে আছে আল্লাহর শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার পরমাণু অস্ত্র। আর হানাফী মাযহাব ঠিক-ঠাক পালন না করায় হানাফীরাও সামরিক শক্তি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে অমুসলিমদের থেকে পিছিয়ে আছে। তথাপি আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ঐক্য হলে এ অঞ্চলে অমুসলিম ভারত এ ঐক্যবদ্ধ শক্তির সাথে যুদ্ধে জয়ী হবে না। কিন্তু তারা ঐক্যবদ্ধ না হলে তাদের জয়ের নিশ্চয়তা প্রদান করা যায় না।আর রাসূল (সা.) যে চীন থেকে জ্ঞান সংগ্রহ করতে বলেছেন ভারতের সাথে যুদ্ধে এ অঞ্চলের মুসলিম সেই চীনকে সাথে রাখলে তারা অমুসলিম ভারতের সাথে যুদ্ধে আরো ভালো করবে। জ্ঞান যাদের নিকট আছে তাদের থেকে জ্ঞান সংগ্রহ না করে উপায় কি? বাস্তবতা না মেনে জয়ী হওয়া কঠিন।বাস্তবতা মেনে নেওয়াও একপ্রকার হিকমাত। আরেকটা হিকমাত হলো আরিকা ও ইউরোপকে ইসরায়েলের বলয় থেকে বের করা এবং রাশিয়াকেও সাথে রাখার চেষ্টা করা। তাহলে আশা করা যায় ভারত-ইসরাইল মুসলিম জাতির সাথে কিছুতেই জয়ী হতে পারবে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:০৯

কামাল১৮ বলেছেন: এই সব দোয়া এখন পকিস্তানে পাঠান।তাদের কিছু কাজে আসতে পারে।

২| ০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: এইসব ধোয়া, স্যরি দোয়া গাজায় পাঠান। ওদের কাজে আসতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.