নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিতাবের হুদা এবং অখন্ড ভারত হয়ে তা মুসলিম শাসনে আসার সম্ভাবনা

১০ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:৫০



সূরাঃ ২ বাকারা, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। ঐ কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা হুদা (হেদায়াত) মোত্তাকীদের জন্য।

২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
২০১। আর তাদের মধ্যে কিছু লোক বলে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান করুন এবং পরকালে কল্যাণ দান করুন। আর আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করুন।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

* কিতাবের হুদা (হেদায়াত) হলো হিকমাত। হিকমাত ইহকালিন ও পরকালিন হয়ে থাকে। ইহকালিন হিকমাত হলো আল্লাহর শত্রুর মোকাবেলা ও তাদেরকে সন্ত্রস্ত রাখার হিকমাত এবং ইহকালিন যাবতীয় হাসানা ও ফয়েজের হিকমাত।পরকালিন হিকমাত হলো ফিকাহ। রবের পথে ডাকতে হয় হিকমাত দিয়ে। কারণ কিতাবে মানসুখ আছে। হিকমাতের পরিবর্তে কিতাব মানসুখ এবং হাদিস বাতিল। কিতাব ও হাদিস দিয়ে হিকমাত বাতিল করা হলে ঈমান বিদায় গ্রহণ করে।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।

# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।

* কিতাব ও হাদিস দিয়ে হিকমাতের ফিকাহ বাতিল করায় ঈমান পৃথিবী ছেড়ে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায়। সাহাবার শেষ ইমাম হযরত ইমাম হোসেন (রা.) তাঁর প্রতিপক্ষে কারো মধ্যে ঈমান খুঁজে পাননি। যিনি সাহাবায়ে কেরামেরও (রা.) ইমাম লোকেরা তাঁর পরিবারকে ফোরাতের এক ফোটা পানি পান করতে দেয়নি। তারা তাদের ইমামের মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার হিসাবে পাঠায়। আর সেই জাহেল ইমামের কাটা মাথা দেখে খুশী হয়। এক জাহেল আরেক জাহেলকে বলে তাবেঈ-আসতাগফিরুল্লাহ। এসব জাহেল মাক্কী ও মাদানী হলেও তাদেরকে মানা যাবে না। মাক্কী-মাদানী লোক মানবেন বলে আবু জাহেল ও আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে মানবেন নাকি? সাহাবার শেষ ইমামের মাথা কাটা যাওয়ার বহু পরে একশত বার আল্লাহর দিদার প্রাপ্ত ইমাম আবু হানিফা (র.) ফিকাহ সংকলন করলে ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসে।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।

* সবচেয়ে পরাক্রান্ত কুরাইশ খলিফা আমির হারুনুর রশিদ ইমাম আবু হানিফার (র.) ফিকাহ ওলামা পরিষদের মাধ্যমে পরিশোধন করে হানাফী মাযহাব নামে অনুমোদন করলে ইসলামের স্বর্ণ যুগ শুরু হয়।তারপর হানাফী আব্বাসীয় ও তুর্কীরা বিশ্বনেতা হয়ে উঠে। হানাফী মাযহাবের মান্যতায় ঘাটতি জনিত কারণে মুসলিম বিশ্বনেতৃত্ব হারায়, তখন তুর্কীরা খেলাফত বিলুপ্ত করে।তারপর অমুসলিমরা হানাফী আফগানদের বিরুদ্ধে হামলে পড়ে। আফগানরা কোন রকমে পরাজয় এড়াতে স্বক্ষম হয়। এখন হানাফী পাকিস্তানকে অমুসলিমরা আক্রমণ করেছে। তারা হানাফী বাংলাদেশকেও আক্রমণের অপেক্ষায় আছে।বিরাট আকারের ক্ষতির পর এ হানাফীরাও জয়ী হবে- ইনশাআল্লাহ। প্রস্ততি জনিত ঘাটতির কারণে ক্ষতির পরিমাণ বেশী হবে।তবে যুদ্ধে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার কারণে জয় আসবে- ইনশাআল্লাহ।তারপর আবার ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসন কায়েম হবে- ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ৭:২০

কামাল১৮ বলেছেন: অখন্ড ভারত হবার সম্ভাবনা ঠিক আছে।তবে সেটা শাসিত হবে গনতান্ত্রিক ভাবে।খিলাফতের দিন শেষ।

১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ৭:২৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: খিলাফত আবার শুরু হতে পারে। রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নাই। আর মুসলিমরা প্রায় আটশত বছর ভারত শাসন করেছে। এটা তাদের পুরনো অভ্যাস।

২| ১০ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: খিলাফত মগজহীনদের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.