নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) থেকে হযরত আলীর (রা.) মর্যাদা বেশী হওয়া সম্ভব নয়

১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:০০



সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ১ নং ও ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। আর রাহমান (পরম মেহেরবান)।
২। তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

* রহমান রাসূলকে (সা.) চল্লিশ বছরের আগে কোরআন শিক্ষা দেননি।সুতরাং রাসূলের (সা্.) কিতাব ও হিকমাত্রের উপযুক্ত ছাত্র ছিলেন তাঁরা রাসূলের (সা.) ছাত্র থাকাকালিন যাঁদের বয়স চল্লিশ বছর ছিল। রাসূলের (সা.) ইন্তেকালের সময় হযরত আলীর (রা.) বয়স তেত্রিশ বছর থাকায় তিনি রাসূলের (সা.) উপযুক্ত ছাত্র তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। রাসূলের (সা.) উপযুক্ত ছাত্র তালিকায় বহাল থাকবেন হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.)। সেজন্য হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) থেকে হযরত আলীর (রা.) মর্যাদা বেশী হওয়া সম্ভব নয়।

সূরাঃ ২ বাকারা,৩১ নং থেকে ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩১। আর তিনি আদমেকে (আ.) সব জিনিসের নাম শিখালেন। তারপর সেগুলো ফেরেশতাদের সামনে হাজির করলেন। তারপর বললেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে আমাকে এসব বস্তুর নাম বলে দাও।
৩২। তারা বলেছিলো, আপনি মহান পবিত্রময়। আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন এর বাইরে আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব জ্ঞানী, মহাকৌশলী।
৩৩। তিনি বললেন হে আদম! তুমি তাদেরকে ঐসবের নাম বলে দাও!এরপর যখন সে তাদেরকে ঐগুলোর নাম বলে দিলো, তখন তিনি (আল্লাহ) বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয়ই আমি আকাশ ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জানি। আর তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর আমি তাও জানি।

সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ১৯ নং থেকে ২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর।আর যা খুশী খাও। আর এ গাছের কাছে যেও না।তাহলে তোমরা যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে।
২০। অতঃপর তাদের লজ্জাস্থান যা তাদের নিকট গোপন রাথা হয়েছিল তা’ তাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল। আর সে বলল, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও, অথবা এখানে স্থায়ী হয়ে যাও সেজন্য তোমাদের রব এ গাছ সম্বন্ধে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন।
২১। সে তাদের নিকট কসম করে বলল, আমিতো তোমাদের নছিহতকারীদের একজন।
২২। এভাবে সে তাদেরকে ধোকা দিয়ে নীচু করল।তৎপর যখন তারা সে বৃক্ষফলের মজা গ্রহণ করল তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ল।আর তারা নিজেদেরকে জান্নাতের পাতা দ্বারা আবৃত করতে লাগল।তখন তাদের রব তাদেরকে ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ গাছের কাছে যেতে মানা করিনি? আর আমি কি বলিনি যে শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন?

* আল্লাহ প্রশিক্ষিত বড় আলেম হলেন হযরত আদম (আ.) আল্লাহর চল্লিশের কম বয়সি ছাত্র ছিলেন। তিনি শয়তানের ধোকায় পড়েছিলেন। আল্লাহর চল্লিশের কম বয়সি ছাত্র হযরত ঈসা (আ.) তাঁর কথা জনতাকে বুঝাতে সক্ষম হননি। তারা তাঁকে শূলে চড়িয়ে হত্যার আয়োজন করেছিল। রাসূলের (সা.)চল্লিশের কম বয়সি ছাত্র হযরত আলীও (রা.)তাঁর কথা জনতাকে বুঝাতে সক্ষম হননি। দুই দল সাহাবা (রা.) তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং একদল সাহাবা (রা.)তাঁর পক্ষে যুদ্ধ করা থেকে বিরত ছিলেন।হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) খেলাফত একত্রিত রাখতে সক্ষম হলেও হযরত আলী খেলাফত একত্রিত রাখতে সক্ষম হননি। হযরত মুয়াবিয়া (রা.) তাঁর থেকে খেলাফতের একাংশ ছিনিয়ে নিয়েছেন। এটা হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) থেকে তাঁর কম যোগ্যতার প্রমাণ।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।

সহিহ বোখারী ২৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৯। হযরত আহনাফ ইবনে কায়েস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি হযরত আলী (রা.) অথবা হযরত ওসমান (রা.) কে সাহায্য করতে চললাম, (পথে) আবু বাকরাহ (রা.) এর সাথে দেখা হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে চলছি। তিনি বললেন ফিরে যাও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলমান তরবারী নিয়ে পরস্পর মুখোমুখী হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয় জাহান্নামী হয়। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এতো হত্যাকারী বলে, কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপারটি কি? তিনি বললেন, সে তার সঙ্গীকে হত্যা করার আকাঙ্খী ছিল।

* নবিগণের এক জন থেকে অন্য জনের মর্যাদা যেমন বেশী-কম হয়ে থাকে তেমনি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মধ্যেও মর্যাদায় বেশী-কম আছে। যারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয়েছেন তাঁদের থেকে তাঁদের মর্যাদা কম যারা পরস্পর যুদ্ধ বিগ্রহে লিপ্ত হননি। পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয়ে হযরত আলী (রা.), হযরত আয়েশা (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) দল অন্যদের থেকে নিযেদের মর্যাদা কমিয়ে ফেলেছেন। একদল সাহাবা (রা.) এটা মনে করতেন বিধায় তাঁরা উক্ত তিন দলের কোন দলে যোগদান করেননি।সুতরাং উক্ত তিন দলের কোন দলের কোন সাহাবাকে (রা.) মর্যাদায় হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমানের (রা.) উপরে স্থান দেওয়া সম্ভব নয়।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

* আল্লাহ হিকমাতকে গুরুত্ব দিয়ে তাঁর পথে ডাকতে বলেছেন হিকমাত দিয়ে। হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) হিকমাতের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। কারণ তাঁরা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহ এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।হিকমাতের পরীক্ষায় হযরত আলী (রা.)উত্তীর্ণ হতে সক্ষম হননি। কারণ তিনি পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহ এড়িয়ে যেতে সক্ষম হননি।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। ঐ কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা হেদায়েত মোত্তাকীদের জন্য।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৯। হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের (সত্যবাদী) সাথে থাক।

* কিতাবে মানসুখ আছে হিকমাতে মানসুখ নাই। সেজন্য আল্লাহ কিতাবের হিদায়াতে গঠিত হিকমাত দিয়ে তাঁর পথে ডাকতে বলেছেন। সুতরাং কিতাবের হিদায়াতে গঠিত হিকমাতের পরিবর্তে কিতাব মানসুখ এবং হাদিস বাতিল। কিতাবের হিকমাতে হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমানের (রা.) মর্যাদা সাব্যস্ত বিধায় তাঁদের মর্যাদার পরিবর্তে হযরত আলীর মর্যাদার পক্ষে উপস্থাপিত কিতাব মানসুখ ও হাদিস বাতিল হবে। সুতরাং কোনভাবেই হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) থেকে হযরত আলীর (রা.) মর্যাদা বেশী হওয়া সম্ভব নয়। যারা হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) থেকে হযরত আলীর (রা.) মর্যাদা বেশী সাব্যস্ত করে তাঁকে পয়লা নম্বর বলে তারা মিথ্যাবাদী। মুসলিমদেরকে তাদের সঙ্গ এড়িয়ে চলতে হবে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সাহাবীদের মধ্যে হজরত আবু বকরের (রা) মর্যাদা সবচেয়ে বেশী। বিভিন্ন হাদিসের আলোকে এটা অনুমান করা যায়। তবে আল্লাহই ভালো জানেন।

১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:১৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সাহাবীদের মধ্যে হজরত আবু বকরের (রা) মর্যাদা সবচেয়ে বেশী। বিভিন্ন হাদিসের আলোকে এটা অনুমান করা যায়। তবে আল্লাহই ভালো জানেন। আল্লাহর কোরআন দিয়ে বিষয়টা আমাদেরকেও জানতে হবে। নতুবা আমরা এ সংক্রান্ত বিভেদ থেকে আত্ম রক্ষা করতে পারব না।

২| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:১৭

ফেনিক্স বলেছেন:



নবী(স; ) ১ম বার আরবদের মাঝে একটি সাম্রাজ্য গঠন করেন; তখনকার বেদুইনদের সাম্রাজ্য কি রকম ছিলো? আজকের ইয়েমেন, সিরিয়া, লেবাননের দিকে তাকিয়ে দেখেন।

তখনকার সময়ের জন্য পারসিকেরা ছিলো সেই অন্চলের অপক্ষাকৃত উন্নত মানুষ। খলীফাদের হত্যা ও আরবদের মাঝে হত্যাকান্ড ও অস্বাস্হ্যকর রাজত্বের কথা অনুমান করা সহজ।

১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:০০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সুফীবাদী ও শিয়াদের ধারণা রাসূলের (সা।) পরেই হযরত আলীর (রা) স্থান। একটা উর্দূ জনপ্রিয় গানে হযরত আলীকে (রা) পয়লা নাম্বার বলা হয়েছে। কিন্তু সুন্নীরা একথায় একমত নয়। এসব মতভেদের কারণেই মুসলিম শিয়া-সুন্নীতে বিভক্ত। এখানে প্রকৃত সত্য আসলে কি আমি সেটা উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। মুসলিম কমিউনিটির সদস্য হলেও ইসলাম বিষয়ে আপনার জানাশুনা নিতান্ত কম। সেজন্য এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য এলোমেলো টাইপ হয়ে থাকে।

৩| ১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৫৪

কামাল১৮ বলেছেন: নবীর লাশ কেন তিনদিন পর কবর দেয়া হয়।

১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:০২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নবীর (সা) লাশের চেয়ে তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শকে সমুন্নত রাখা বেশী জরুরী ছিল। সাহাবায়ে কেরাম (রা) সেটাই করেছেন।

৪| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১:০৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি কবিতা লিখেন, এসব লিখে সময় নষ্ট করে লাভ নেই।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এ বিষয়ে আমি আপনার সাথে একমত নই।

৫| ১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪০

কামাল১৮ বলেছেন: কাপনি দেখি ইতিহাসও ঠিকঠাক জানেন না।খলিফা নির্বাচন নিয়ে তারা ঝগড়া ঝাটিতে ব্যস্ত ছিলো।মদিনা বাসিরা চাচ্ছিলে,মদিনার কোন লোক খলিফা নির্বাচিত হোক।আবুবকর ও ওমর তাঁরাও খলিফা হবার দৌড়ে ছিলো।অন্য এক দল আলীর পক্ষে ছিলো।ইতি মধ্যে আরবের গরমে লাশ পছে গন্ধ ছড়িয়ে পরে।তিন দিন পরে আবুবকর খলিফা সাবস্ত হলে তড়ি ঘড়িকরে লাশ কবর দেয়া হয়।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: খলিফা নির্বাচনের কাজ গুরুত্বপূর্ণ ছিল বিধা্য় তাঁরা সেই কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এক কাজ করতে গিয়ে আরেক কাজ হয় নাই। এটা নিয়ে উত্তেজিত হওয়ার কিছু নাই।

৬| ১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫২

নতুন বলেছেন: সবার উপরে রাজনিতি বাকি গুলি কাহিনি মাত্র।

ধর্ম তো মানুষকে নিয়ন্ত্রনের আরেকটা হাতিয়ার মাত্র। ;)

১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নিয়ন্ত্রণ শৃঙ্খলার জন্য দরকার। আর ধর্মীয় শৃঙ্খলা বহু মানুষের পছন্দ। মানুষ হিসাবে অন্য মানুষের পছন্দকে সম্মান করা উচিত।

৭| ১৩ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


নবীজি বলেছেন-
আমি জ্ঞানের শহর আর হজরত আলী সাহেব তার দরোজা।
ইমাম আলী রাঃ কে আপনি অবহেলা করতে চান?

১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হযরত আবু বকর (রা.) থেকে হযরত আলীর (রা.) মর্যাদা সুনিশ্চিতভাবে কম

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।

সূরাঃ ৫ মায়িদা, ৬৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭। হে রাসূল! তোমার রবের নিকট থেকে তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা’ প্রচার কর। যদি না কর তবে তো তুমি তাঁর রেসালাত প্রচার করলে না। আল্লাহ তোমাকে মানুষ হতে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।

সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।

সহিহ বোখারী ২৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৯। হযরত আহনাফ ইবনে কায়েস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি হযরত আলী (রা.) অথবা হযরত ওসমান (রা.) কে সাহায্য করতে চললাম, (পথে) আবু বাকরাহ (রা.) এর সাথে দেখা হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে চলছি। তিনি বললেন ফিরে যাও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলমান তরবারী নিয়ে পরস্পর মুখোমুখী হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয় জাহান্নামী হয়। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এতো হত্যাকারী বলে, কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপারটি কি? তিনি বললেন, সে তার সঙ্গীকে হত্যা করার আকাঙ্খী ছিল।

সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৪১০৫ নং হাদিসের (হত্যা বৈধ হওয়া সম্পর্কে অধ্যায়) অনুবাদ-
৪১০৫। হযরত শরীক ইবনে শিহাব (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার আকাঙ্খা ছিল যে, আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) কোন সাহাবীর সাথে সাক্ষাত করবো এবং খারেজীদের ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাস করবো। ঘটনা চক্রে ঈদের দিন আবু বরযা আসলামীকে (রা.) তাঁর কয়েকজন সাথীর সাথে দেখলাম। আমি জিজ্ঞাস করলাম, আপনি কি খারেজীদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট কিছু শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি নিজের কানে শুনেছি, চক্ষে দেখেছি। একদা রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট কিছু মাল আসে। তিনি তাঁর ডান দিকের এবং বাম দিকের লোকদের মধ্যে বন্টন করে দেন এবং যারা তাঁর পিছনে ছিল, তিনি তাদেরকে কিছুই দিলেন না। তখন তাদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে মোহাম্মদ (সা.) আপনি ইনসাফের সাথে বন্টন করেননি। সে ছিল কাল রং বিশিষ্ট। মুড়ানো মাথা এবং সাদা কাপড় পরিহিত। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) অতিশয় রাগান্বিত হয়ে বললেন, আল্লাহর শপথ! তোমরা কাউকে আমার পর আমার থেকে অধিক ইনসাফকারী দেখতে পাবে না। অতঃপর তিনি বললেন, শেষ যুগে এমন কিছু লোকের আবির্ভাব হবে, মনে হয় ঐ ব্যক্তি ঐ সকল লোকের মধ্যে হবে। তারা কোরআন তেলাওয়াত করবে, কিন্তু কোরআন তাদের গলার নীচে ঢুকবে না।তারা ইসলাম হতে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার হতে বের হয়ে যায়। তাদের চিহ্ন হলো তাদের মাথা মুড়ানো থাকবে। তারা এভাবে প্রকাশ পেতে থাকবে এবং তাদের শেষ দলটি দাজ্জালের সাথে বের হবে। যদি তোমরা তাদের পাও, তবে তাদেরকে হত্যা করবে। কেননা, তারা সৃষ্টির মধ্যে সবচাইতে অধম।

সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭৮ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭৮। হযরত যুবায়ের ইবনে আদী (রা.)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট আগমন করে আমাদের উপর হাজ্জাজের পক্ষ হতে যা হচ্ছে সে সম্পর্কে অভিযোগ করলাম। তিনি বললেন, তোমরা ধৈর্য অবলম্বন কর। কেননা তোমাদের পরবর্তী যুগ পূর্ববর্তী যুগ হতেও নিকৃষ্ট হবে। যখন পর্যন্ত না তোমরা তোমাদের রবের সাথে মিলিত হও। আমি নবি করিমকে (সা.) এ কথা বলতে শুনেছি।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২৭৭৬ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৭৭৬। আনাস ইবনে মালেকের (রা.) খালা এবং মহানবির (সা.) দুধ খালা উম্মু হারাম বিনতে মিলহান (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। অতঃপর তিনি হাসতে হাসতে জেগে উঠলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! কে আপনাকে হাসালো? তিনি বললেন, আমার উম্মতের কতক লোককে আমার নিকট এমন অবস্থায় পেশ করা হয়েছে যে, তারা এই সমূদ্রের উপর সওয়ার হয়েছে, যেমনভাবে বাদশাহ সিংহাসনে আরোহন করে। উম্মু হারাম বললেন, তিনি তাঁরজন্য দোয়া করলেন। এরপর পুনরায় ঘুমিয়ে পড়লেন। অতঃপর প্রথম বারের ন্যায় জাগ্রত হলেন। তারপর উম্মু হারাম (রা.) অনুরূপ বললেন, রাসূলও (সা.) প্রথমবারের অনুরূপ জবাব দিলেন। উম্মু হারাম (রা.) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে বললেন, তুমি প্রথম দলের অন্তর্ভূক্ত থাকবে। আনাস (রা.) বলেন, অতঃপর তিনি তাঁর স্বামী উবাদা ইবনে সামিতের (রা.) সাথে বের হলেন জিহাদ করার জন্য, যখন মুসলিমগণ মু’আবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের সাথে সর্ব প্রথম নৌযুদ্ধে রওয়ানা করে। অতঃপর তারা জিহাদ থেকে ফিরে এসে সিরিয়ায় অবতরণ করলেন তখন সওয়ার হওয়ার জন্য তাঁর কাছে একটা জন্তুযান আনা হলো। জন্তুযানটি তাকে ফেলে দিল। এতেই তিনি ইন্তিকাল করলেন।

* দুই দল সাহাবা হযরত আলীর (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন এবং একদল সাহাবা তাঁর পক্ষে যুদ্ধ করেননি।আল্লাহ ইচ্ছা করলে তিনি অন্য সাহাবায়ে কেরামের (রা.) সাথে যুদ্ধ বিগ্রহে লিপ্ত হতেন না। আল্লাহ তেমন ইচ্ছা করেননি কারণ হযরত আলী (রা.) হযরত ওসমান (রা.) হত্যার প্রধান অভিযুক্ত মালেক উশতারকে তাঁর বাহিনীর প্রধান সেনপতি নিযুক্ত করেছেন।সেজন্য সাহাবায়ে কেরামের (রা.) সাথে হযরত আলীর (রা.) যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়া বিষয়ে আল্লাহ ইচ্ছা করেননি। সূরাঃ ৫ মায়িদা, ৬৭ নং আয়াত নাযিলের পর গাদির খুমে রাসূল (সা.) হযরত আলীকে (রা.) মাওলা না বললে হযরত আলী (রা.) হয়ত তাঁর পক্ষে যুদ্ধ করার মত কোন সাহাবাই (রা.) খুঁজে পেতেন না। পক্ষান্তরে হযরত আবু বকরের (রা.) বিপক্ষে কোন সাহাবা যুদ্ধ করেননি এবং ঘোষণা দিয়ে তাঁর পক্ষে যুদ্ধ না করার মত কোন সাহাবারও (রা.) সংবাদ নাই। আল্লাহ যাদের সুনাম করেছেন তাঁদের কেউ হযরত আবু বকরের (রা.) বিপক্ষে যুদ্ধ না করায় এবং তাঁদের কয়েক হাজার হযরত আলীর (রা.) বিপক্ষে যুদ্ধ করায় হযরত আবু বকর (রা.) থেকে হযরত আলীর (রা.) মর্যাদা সুনিশ্চিতভাবে কম। কিন্তু খারেজী দমনে তাঁর দরকার ছিল। তিনি হাজারে হাজার খারেজী হত্যা করেছেন। অবশেষে খারেজীও তাঁকে হত্যা করে।আল্লাহর ক্ষমার ঘোষণা না থাকলে পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হওয়ার কারণে সাহাবায়ে কেরামের (রা.) উক্ত তিনটি দল বিপদে পড়ে যেতেন।কিন্তু সাহাবা না হওয়ায় হযরত ওসমানের (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধকারী শিয়া দল, হযরত আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধকারী খারেজী দল, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়েরের (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধকারী হাজ্জাজের দল, হযরত ইমাম হোসেনের (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধকারী যিয়াদের দল সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াত অনুযায়ী কাফের সাব্যস্ত। কারণ তারা তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে যাঁদেরকে আল্লাহ সুনাম করেছেন। এভাবে তাঁরা আল্লাহর ইজ্জতের কুফুরী করে কাফের হয়েছে। কন্সটান্টিনোপল (ইস্তাম্বুল) বিজয়ের জন্য আল্লাহ হযরত মুয়াবিয়াকে (রা.) মনোনীত করায় তাঁর সমালোচনা থেকে বিরত না থাকা ব্যক্তি ঈমান হারা হবে। কারণ এ ক্ষেত্রেও আল্লাহর ইজ্জতের কুফুরী করে আল্লাহর সুনাম করা ব্যক্তির সমালোচনা করা হয়। সুতরাং ইয়াজিদের সমালোচনা করা গেলেও তার পিতার সমালোচনা করা যাবে না। কারণ সাহাবার (রা.) সমালোচনা করা হলে আল্লাহর ইজ্জতের কুফুরী হয়।সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২৭৭৬ নং হাদিস অনুযায়ী হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) সাহাবা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় তাঁর সমালোচনার কোন সুযোগ নাই।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ৪০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪০। যদি তোমরা তাঁকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহতো তাঁকে সাহায্য করেছিলেন যখন কাফিরগণ তাঁকে ধাওয়া করেছিল (হত্যা করার জন্য), আর তিনি ছিলেন দু’জনের মধ্যে দ্বিতীয় জন। যখন তাঁরা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিলেন, তিনি তখন তাঁর সঙ্গিকে বলেছিলেন, তুমি বিষণ্ন হয়ো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন।অতঃপর তাঁর উপর আল্লাহ তাঁর প্রশান্তি নাজিল করেন এবং তাঁকে শক্তিশালী করেন এমন সৈন্যবাহিনী দ্বারা যা তোমরা দেখনি।আর তিনি কাফেরদের কথা তুচ্ছ করে দেন।আর আল্লাহর কথাই সুউচ্চ। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী সুবিজ্ঞ।

# সূরাঃ ৯ তাওবা, ৪০ নং আয়াতের তাফসির তাফসিরে ইবনে কাছির
৪০। আল্লাহ তা’আলা জিহাদ পরিত্যাগকারীদেরকে সম্বোধন করে বলেছেন, তোমরা যদি আমার মহান রাসূলের (সা.) সাহায্য সহযোগিতা ছেড়ে দাও তবে জেনে রেখ যে, আমি কারো মুখাপেক্ষী নই। আমি নিজে তাঁর সহায়ক ও পৃষ্ঠপোষক। ঐ সময়ের কথা তোমরা স্মরণ কর যখন হিজরতের সময় কাফেররা আমার রাসূলকে (সা.) হত্যা করা বা বন্দী করা বা দেশান্তর করার চক্রান্ত করেছিল। তখন তিনি প্রিয় সহচর আবু বকরকে (রা.) সঙ্গে নিয়ে গোপনে মক্কা থেকে বেরিয়ে যান। সেই সময় তাঁর সাহায্যকারী কে ছিল? তিনদিন পর্যন্ত তাঁরা সাওর পর্বতের গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য এই যে, তাঁদের ধাওয়াকারীরা তাঁদেরকে না পেয়ে যখন নিরাশ হয়ে ফিরে যাবেন, তখন তাঁরা মদীনার পথ ধরবেন।ক্ষণে ক্ষণে আবু বকর (রা.) ভীত বিহবল হয়ে উঠেন যে, না জানি কেউ হয়ত জানতে পেরে রাসূলকে (সা.) কষ্ট দিবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে সান্তনা দিয়ে বললেন, হে আবু বকর! দু’জনের কথা চিন্তা করছ কেন? তৃতীয় জন যে আল্লাহ রয়েছেন।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৯। হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের (সত্যবাদী) সাথে থাক।

* রাসূলকে (সা.) সাহায্য করা আল্লাহর খুব প্রিয় কাজ। হুনায়নে রাসূলকে (সা.) সাহায্য করে হযরত মুয়াবিয়া (রা.) রাসূল থেকে একশত উট উপহার পেয়েছেন। সুতরাং হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) ঈমান রক্ষার দায়িত্ব আল্লাহ নিজে গ্রহণ করায় তাঁকে সাহাবা (রা.) নয় বলা অসম্ভব।রাসূলের (সা.) মহাবিপদে হযরত আবু বকর (রা.) সাহায্য করায় আল্লাহর করা তিন জনের তালিকায় তিনি স্থান পেয়েছেন। সুতরাং তিনি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মধ্যে পয়লা নম্বর। কারণ তিন জনের তালিকার অন্য দুইজন আল্লাহ ও রাসূল (সা.)। সুতরাং হযরত আবু বকরকে (রা.) বাদ দিয়ে যারা হযরত আলীকে (রা.) পয়লা নম্বর বলে তারা কাজ্জাব তথা মিথ্যাবাদী।

সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। আর রাহমান (পরম মেহেরবান)।
২। তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

* রহমান রাসূলকে (সা.) চল্লিশ বছরের আগে কোরআন শিক্ষা দেননি।সুতরাং রাসূলের (সা্.) কিতাব ও হিকমাত্রের উপযুক্ত ছাত্র ছিলেন তাঁরা রাসূলের (সা.) ছাত্র থাকাকালিন যাঁদের বয়স চল্লিশ বছর ছিল। রাসূলের (সা.) ইন্তেকালের সময় হযরত আলীর (রা.) বয়স তেত্রিশ বছর থাকায় তিনি রাসূলের (সা.) উপযুক্ত ছাত্র তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। রাসূলের (সা.) উপযুক্ত ছাত্র তালিকায় বহাল থাকবেন হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.)। সেজন্য হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) থেকে হযরত আলীর (রা.) মর্যাদা বেশী হওয়া সম্ভব নয়।

সূরাঃ ২ বাকারা,৩১ নং থেকে ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩১। আর তিনি আদমেকে (আ.) সব জিনিসের নাম শিখালেন। তারপর সেগুলো ফেরেশতাদের সামনে হাজির করলেন। তারপর বললেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে আমাকে এসব বস্তুর নাম বলে দাও।
৩২। তারা বলেছিলো, আপনি মহান পবিত্রময়। আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন এর বাইরে আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব জ্ঞানী, মহাকৌশলী।
৩৩। তিনি বললেন হে আদম! তুমি তাদেরকে ঐসবের নাম বলে দাও!এরপর যখন সে তাদেরকে ঐগুলোর নাম বলে দিলো, তখন তিনি (আল্লাহ) বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয়ই আমি আকাশ ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জানি। আর তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর আমি তাও জানি।

সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ১৯ নং থেকে ২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর।আর যা খুশী খাও। আর এ গাছের কাছে যেও না।তাহলে তোমরা যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে।
২০। অতঃপর তাদের লজ্জাস্থান যা তাদের নিকট গোপন রাথা হয়েছিল তা’ তাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল। আর সে বলল, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও, অথবা এখানে স্থায়ী হয়ে যাও সেজন্য তোমাদের রব এ গাছ সম্বন্ধে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন।
২১। সে তাদের নিকট কসম করে বলল, আমিতো তোমাদের নছিহতকারীদের একজন।
২২। এভাবে সে তাদেরকে ধোকা দিয়ে নীচু করল।তৎপর যখন তারা সে বৃক্ষফলের মজা গ্রহণ করল তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ল।আর তারা নিজেদেরকে জান্নাতের পাতা দ্বারা আবৃত করতে লাগল।তখন তাদের রব তাদেরকে ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ গাছের কাছে যেতে মানা করিনি? আর আমি কি বলিনি যে শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন?

* আল্লাহ প্রশিক্ষিত বড় আলেম হলেন হযরত আদম (আ.) আল্লাহর চল্লিশের কম বয়সি ছাত্র ছিলেন। তিনি শয়তানের ধোকায় পড়েছিলেন। আল্লাহর চল্লিশের কম বয়সি ছাত্র হযরত ঈসা (আ.) তাঁর কথা জনতাকে বুঝাতে সক্ষম হননি। তারা তাঁকে শূলে চড়িয়ে হত্যার আয়োজন করেছিল। রাসূলের (সা.)চল্লিশের কম বয়সি ছাত্র হযরত আলীও (রা.)তাঁর কথা জনতাকে বুঝাতে সক্ষম হননি। দুই দল সাহাবা (রা.) তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং একদল সাহাবা (রা.)তাঁর পক্ষে যুদ্ধ করা থেকে বিরত ছিলেন।হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) খেলাফত একত্রিত রাখতে সক্ষম হলেও হযরত আলী খেলাফত একত্রিত রাখতে সক্ষম হননি। হযরত মুয়াবিয়া (রা.) তাঁর থেকে খেলাফতের একাংশ ছিনিয়ে নিয়েছেন। এটা হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) থেকে তাঁর কম যোগ্যতার প্রমাণ।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

* আল্লাহ হিকমাতকে গুরুত্ব দিয়ে তাঁর পথে ডাকতে বলেছেন হিকমাত দিয়ে। হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) হিকমাতের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। কারণ তাঁরা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহ এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।হিকমাতের পরীক্ষায় হযরত আলী (রা.)উত্তীর্ণ হতে সক্ষম হননি। কারণ তিনি পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহ এড়িয়ে যেতে সক্ষম হননি।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। ঐ কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা হেদায়েত মোত্তাকীদের জন্য।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৯। হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের (সত্যবাদী) সাথে থাক।

* কিতাবে মানসুখ আছে হিকমাতে মানসুখ নাই। সেজন্য আল্লাহ কিতাবের হিদায়াতে গঠিত হিকমাত দিয়ে তাঁর পথে ডাকতে বলেছেন। সুতরাং কিতাবের হিদায়াতে গঠিত হিকমাতের পরিবর্তে কিতাব মানসুখ এবং হাদিস বাতিল।কিতাবের হিকমাতে হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমানের (রা.) মর্যাদা সাব্যস্ত বিধায় তাঁদের মর্যাদার পরিবর্তে হযরত আলীর মর্যাদার পক্ষে উপস্থাপিত কিতাব মানসুখ ও হাদিস বাতিল হবে। সুতরাং কোনভাবেই হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) থেকে হযরত আলীর (রা.) মর্যাদা বেশী হওয়া সম্ভব নয়। যারা হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমান (রা.) থেকে হযরত আলীর (রা.) মর্যাদা বেশী সাব্যস্ত করে তারা মিথ্যাবাদী। মুসলিমদেরকে তাদের সঙ্গ এড়িয়ে চলতে হবে।

৮| ১৩ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


কামাল১৮ বলেছেন: নবীর লাশ কেন তিনদিন পর কবর দেয়া হয়।

কামাল সাহের এই প্রশ্নের সঠিক জবাব তো দিলেন না।
ত্যানা প্যাচাইলে হৈবে না।
সঠিক জবাব তো দিন।

১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নবির (সা) লাশ তিনি দিন পরে কবর দেওয়ার কারণ নেতা নির্বাচনে বিলম্ব। কিভাবে তাঁর লাশ কবর দেওয়া হবে নেতা ছাড়া এ ডিসিশন কে নেবে? এমন একটা সহজ বিষয় না বুঝার কোন কারণ দেখি না।

৯| ১৩ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি কবিতা লিখেন, এসব লিখে সময় নষ্ট করে লাভ নেই।


মিস্টার জ্যাক সাহেব সঠিক বলেছেন।

১৩ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি জ্যাক সাহেবের সাথে একমত নই।

১০| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: অতীত নিয়ে পড়ে থাকলে পিছিয়ে পড়ে থাকতে হবে।

১৪ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাহলে একাত্তরের কথা আর বলার দরকার নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.