নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কওমী শিক্ষা ইসলামী শিক্ষা নয়

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪০



সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

* রবের পথে ডাকার শিক্ষা ইসলামী শিক্ষা। এটি হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজ এবং তর্কের উত্তম পন্থা।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৯। হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের (সত্যবাদী) সাথে থাক।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

* নিজের ও আল্লাহর শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার হিকমাত হলো সবচেয়ে বড় হিকমাত।এটি সামরিক হিকমাত। আর প্রচুর কল্যাণ লাভের হিকমাত হলো চিকিৎসা, প্রকৌশল ও টেকনোলজি সংক্রান্ত হিকমাত। চিকিৎসা হিকমাত ছিল হযরত লোকমানের (আ.) মধ্যে। প্রকৌশল হিকমাত ছিল হযরত দাউদের(আ.) মধ্যে। ভাষা হিকমাত ছিল হযরত সোলায়মানের (আ.) মধ্যে। কৃষি হিকমাত ছিল হযরত আদমের (আ.)মধ্যে। বস্ত্র হিকমাত ছিল হযরত হাওয়ার (আ.)মধ্যে, সেলাই হিকমাত ছিল হযরত ইদ্রিসের মধ্যে। অথচ কওমী মিথ্যাবাদীরা বলে হিকমাত শিক্ষা নাকী দুনিয়াবী শিক্ষা। আর বিদেশী ভাষা শিক্ষা (ইংরেজী) নাকি হারাম।

উত্তম ওয়াজ হলো ফিকাহ। কারণ এর মাধ্যমে কওমকে ভয় প্রদর্শন করা হয় এবং এর মাধ্যমে কওম সাবধান হয়। আর তর্কের উত্তম পন্থা হলো নিজস্ব ও বিদেশী ভাষা শিক্ষা। কারণ ভাষা শিক্ষা ছাড়া তর্ক করা যায় না। নিজস্ব ভাষা হলো মাতৃ ভাষা ও আরবী ভাষা। আর বিদেশী প্রধান ভাষা ইংরেজী।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। ঐ কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা হেদায়াত মোত্তাকীদের জন্য।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১০। তোমরাই মানব জাতির জন্য খাইরা (শ্রেষ্ঠতম) উম্মতরূপে তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ দিবে এবং অসৎকাজে নিষেধ করবে।আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে। আর যদি আহলে কিতাব বিশ্বাস স্থাপন করতো তবে অবশ্যই তাদের জন্য ভালো হতো। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তো মোমেন। আর তাদের অধিকাংশ ফাসেক।

* ইসলামী শিক্ষার প্রধান তিনটি দিক হিকমাত, ফিকাহ ও ভাষা শিক্ষা। ফিকাহের সহযোগী শিক্ষা হলো কিতাব। সেজন্য রাসূল (সা.) হিকমাতের সাথে কিতাবও শিক্ষা দিতেন। কারণ এটি মোত্তাকীদের হেদায়াত। কারণ মোত্তাকীরা মনগড়া কিছু গ্রহণ করে না। কিতাবের মাধ্যমে যা বিধিবদ্ধ তারা সেইটা মানে। কওমীতে প্রধান শিক্ষা হিকমাত, ফিকাহ ও ভাষা শিক্ষা বাদ দিয়ে সহযোগী শিক্ষা কিতাব শিক্ষা প্রদান করা হয়। যেমন ধরুন তরকারিতে আপনি লবন দিয়ে তরকারির সাথে লবন পরিবেশন না করে তরকারী বাদ দিয়ে শুধু লবন পরিবেশন করলেন। রাসূলের (সা.) মধ্যে হিকমাতের সামরিক শিক্ষা ছিল। তাঁর মধ্যে ফিকাহ শিক্ষা ছিল। আর তিনি কিছু সংখ্যক সাহাবীকে সুরিয়ানী বিদেশী শিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছেন। কওমির মধ্যে রাসূলের (সা.) শিক্ষার মিল না থাকায় এটিকে ইসলামী শিক্ষা বলার কোন সুযোগ নাই।এ শিক্ষায় মানব জাতির জন্য খাইরা উম্মাতে (শ্রেষ্ঠতম উম্মাত)পরিণত করার কোন ব্যবস্থা নাই। উল্টা এ শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া জাতিতে পরিণত হওয়ার ব্যবস্থা আছে। সংগত কারণে এ শিক্ষাকে ইসলামী শিক্ষা বলার কোন সুযোগ নাই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২২

অগ্নিবাবা বলেছেন: সহি ইসলাম জিনিসটা ঠিক কি, তাহা খায় না মাথায় দেয়, ইহা আল্লাহও মনে হয় জানে না। জানলে ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়ে দিতেন। আমাদের আর চাচার বকর বকর কথা শোনা লাগত না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.