| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাজাগতিক চিন্তা
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ২ বাকারা, ৩০নং আয়াতের অনুবাদ-
৩০। আর যখন আপনার প্রতিপালক ফেরেশতাগণকে বললেন, নিশ্চয়ই আমি পৃথিবীতে খলিফা সৃষ্টি করব। তারা বলল, আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে, তারা তাতে বিবাদে লিপ্ত হবে এবং রক্তপাত করবে। আর আমরাই তো আপনার তাসবিহ পাঠ করছি এবং আপনারই হামদ বা প্রশংসা করছি। আর আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি।তিনি বললেন-তোমরা যা জান না নিশ্চয়ই আমি তা’ ভালো করে জানি।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৯। হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের (সত্যবাদী) সাথে থাক।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৫ ও ৬৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। হে নবি! মু’মিন দিগকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজনের উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে একশত জন থাকলে এক হাজার কাফিরের উপর জয়ী হবে।কারণ তারা বোধশক্তিহীন সম্প্রদায়।
৬৬। আল্লাহ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন।তিনিতো অবগত আছেন যে তোমাদের মধ্যে দূর্বলতা আছে।সুতরাং তোমাদের মধ্যে একশত জন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকলে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা দুই হাজারের উপর বিজয়ী হবে।আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
* আল্লাহর ইচ্ছার বাস্তবায়নে খেলাফত প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় যারা সত্যবাদী তাদের সাথে থাকা আল্লাহর ফরজ।কারণ জনগণ তাদের সাথে না থাকলে আল্লাহর খেলাফত প্রতিষ্ঠার ইচ্ছার বাস্তবায়ন হবে না। গণতান্ত্রিক পন্থায় তাদের জয়ে তাদের সাথে একতৃতীয়াংশ ভোটর থাকা বাধ্যতা মূলক। এরা এমন ভোটার হবেন যারা সুষ্ঠ ভোট নিশ্চিত করণে কোনভাবেই কেন্দ্র ছেড়ে পালাবেন না। ফেরেশতাগণ জানেন খেলাফতের কাজে বিবাদ ও রক্তপাতের ঘটনা ঘটে। তারা জানে না এতে বিবাদ ও রক্তপাতের ঘটনায় খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়ে আল্লাহর ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয়।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সহিহ আল বোখারী, ২৮৮৯ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৮৮৯। হযরত মুয়াবিয়া (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ যাকে কল্যাণ দানের ইচ্ছা করেন, তাঁকে তিনি দীন সম্পর্কে ফিকাহ (গভির জ্ঞান) দান করেন। আল্লাহ প্রদানকারী আর আমি বন্টনকারী। আমার এ উম্মত তাদের বিরোধীদের উপর চিরদিন বিজয়ী হবে। এ অবস্থায় আল্লাহর চূড়ান্ত সমাধান এসে যাবে।
* খিলাফত প্রতিষ্ঠায় কাজ করা একতৃতীয়াংশ ভোটারকে হিকমাত ও ফিকাহ শিক্ষায় শিক্ষিত করা বাধ্যতামূলক। কারণ হিকমাতে প্রচুর কল্যাণ থাকার কথা আল্লাহ বলেছেন। আল্লাহ ফিকাহ দিয়ে ভয় প্রদর্শন করতে ও সাবধান হতে বলেছেন। রাসূল (সা.) ফিকায় কল্যাণ থাকার কথা বলেছেন। মূলত হিকমাতে দুনিয়ার কল্যাণ এবং ফিকাতে পরকালের কল্যাণ আছে।আল্লাহর ইচ্ছার বাস্তবায় সংক্রান্ত কাজ কল্যাণ বিধায় এটি প্রতিষ্ঠায় হিকমাত ও ফিকাহ শিক্ষার কল্যাণ লাগবেই।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।
* আল্লাহর শত্রু ও নিজের শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার এবং জীবাণু প্রতিরোধক হিকমাত হলো সবচেয়ে বড় হিকমাত। এর একটি সামরিক হিকমাত এবং অন্যটি চিকিৎসা হিকমাত। সামরিক হিকমাতের দৃষ্টান্ত জেনারেল মোহাম্মদ (সা.) এবং চিকিৎসা হিকমাতের দৃষ্টান্ত হযরত লোকমান (আ.)।হিকমাত+ফিকাহ=আল্লাহর সুন্নাত। আল্লাহর ইচ্ছার খেলাফত প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর সুন্নাত হিকমাত ও ফিকাহ শিক্ষা লাগবেই। তাতে শিক্ষিত হবেন একতৃতীয়াংশ ভোটার।
সূরাঃ ৫ মায়িদা, ৬৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭। হে রাসূল! তোমার রবের নিকট থেকে তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা’ প্রচার কর। যদি না কর তবে তো তুমি তাঁর রেসালাত প্রচার করলে না। আল্লাহ তোমাকে মানুষ হতে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।
* নবুয়ত ও রেসালাতের কাজ খেলাফতের শিক্ষাদান। রাসূল (সা.) কিতাব ও হিকমাত শিক্ষাদানের মাধ্যমে এটির শিক্ষাদান করেছেন। নবুয়াত ও রেসালাতের পরবর্তীদের দায়িত্ব খেলাফত প্রতিষ্ঠিত করা ও খেলাফত প্রতিষ্ঠিত রাখা।এর জন্য তাদের প্রথম কাজ ফিকাহ সংকলন ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং হিকমাতের প্রশিক্ষণ প্রদান। রাসূলের (সা.) পর চব্বিশ বছরে এ কাজ না হওয়ায়। লোকেরা খলিফার অবধ্য হয় এবং তাঁকে হত্যা করে। এ ঘটনার সূত্রধরে সাহাবায়ে কেরাম (রা.)পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হন।তাতে সাহাবায়ে কেরামের (রা.) ঈমান রক্ষাপেলেও তাঁদের সাথে যুদ্ধ করা অন্যরা কাফের হয়ে যায়।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।
সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭২ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭২। হযরত ওসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবি করিম (সা.) মদীনার এক সুউচ্চ অট্টালিকার উপর আরোহন করে বললেন, আমি যা কিছু দেখছি, তোমরা কি তা’ দেখছ? তারা বলল, জী না। তিনি বললেন, আমি দেখছি যে, তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হচ্ছে।
* হিকমাত ও ফিকাহ শিক্ষা সংক্রান্ত ত্রুটির কারণে রাসূলের (সা.) ত্রিশ বছর পর খেলাফত বিলুপ্ত হয়ে রাজত্ব শুরু হয়। রাজা ও ইমামগণ হিকমাত ও ফিকাহ শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম ঠিকভাবে পরিচালনা না করায় ঈমান পৃথিবী ছেড়ে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায় এবং ইসলাম বিনষ্ট হয়। সেজন্য কারবালায় ইমাম হোসেন (রা.) তাঁর প্রতিপক্ষে কোন মুমিন খুঁজে পাননি। তারা তাঁর মাথাকেটে ইয়াজিদকে উপহার প্রদান করে। মদীনাবাসী এর প্রতিবাদ করায় ইয়াজিদ তাঁদেরকে লাঞ্চিত করে। তখন মদীনার ঘর সমূহের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হয়। অবশেষে একশতবার আল্লাহর দিদার প্রাপ্ত পারসিক ইমাম আবু হানিফা (র.) ফিকাহ সংকলন ও শিক্ষার ব্যবস্থা করলে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে ঈমান পৃথিবীতে ফিরে আসে।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
* সবচেয়ে পরাক্রান্ত আব্বাসীয় কুরাইশ খলিফা আমির হারুনুর রশিদ ইমাম আবু হানিফা (র.) সংকলিত ফিকাহ পরিশোধন ও অনুমোদন করলে ইসলামের স্বর্ণযুগ শুরু হয়। তারপর ফিকাহ ও হিকমাত শিক্ষায় ত্রুটি দেখা দেওয়ায় মঙ্গল আক্রমণে আব্বাসীয় খেলাফত ধ্বংস হয়। তারপর সালতানাত চালু হয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সেটিও ধ্বংস হলে মুসলিম জাতি অমুসলিমদের তাবেদার এক বেক্কল জাতিতে পরিণত হয়।এখন যারা বাংলাদেশে খেলাফত প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন তাদেরকে দেশের সকল মসজিদকে হিকমাত ও ফিকাহ শিক্ষাকেন্দ্রে পরিণত করতে হবে। এর মাধ্যমে তারা একতৃতীয়াংশ ভোটারকে ইসলামের অনুসারী বানালে খেলাফত প্রতিষ্ঠার আলামত সৃষ্টি হবে। কিন্তু কোন মসজিদে সঠিকভাবে হিকমাত ও ফিকাহ শিক্ষার কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় নির্বাচনে তাদের জয়ের সম্ভাবনা নাই। তবে তারা জয়ী হলেও তাদের সেই জয় টিকিয়ে রাখা মুশকিল হবে।
©somewhere in net ltd.