নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Omar Faruk\nCEO & Founder.\nMother green bricks bd \nHouse-97, Lane-01, New DOHS\nMohakhali, Dhaka-1206

হযবরল-২

Omar Faruk CEO & Founder Mother green bricks bd House-97, Lane-01, New DOHS Mohakhali, Dhaka-1206

হযবরল-২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

উইকিলিকসে বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

আমরা যারা কওমি সনদ ও স্বীকৃতি নিয়ে অতি উৎসাহ দেখাচ্ছি, মেহেরবানী করে প্রথম আলোর এই রিপোর্টটি পড়ে দেখি ! সনদ ও স্বীকৃতির নামে বাকশাল সরকার যা করতে চায় কওমি মাদ্রাসাকে ! পরিস্কার করে দিলো প্রথম আলো !
সাধু সাবধান স্বীকৃতি আনতে নিজেদের বিকৃতি রক্ষা করা সম্ভব নয় !


বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসায় সেক্যুলার শিক্ষাক্রম চালু এবং মাদ্রাসাগুলোতে বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ধর্মীয় জঙ্গিবাদের লাগাম টেনে ধরতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের নানামুখী উদ্যোগের তথ্য জানা গেছে উইকিলিকসের ফাঁস করা তারবার্তায়। কওমি বিষয়ে মার্কিন সরকারের অর্থসহ নানামুখী সহায়তা, সুপারিশ, পর্যবেক্ষণ এবং রাজশাহী অঞ্চলকে ইসলামি চরমপন্থীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে উল্লেখ করে ২০০৯ সালের ৩ মার্চ ওয়াশিংটনে তারবার্তা পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি।

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাক্রম সংস্কার বিষয়ে মার্কিন সরকারের অর্থসাহায্যের প্রস্তাবে রাজশাহী অঞ্চলকে বিশেষ বিবেচনায় রাখার সুপারিশ করেন রাষ্ট্রদূত। মরিয়ার্টির মন্তব্য, ‘কওমি মাদ্রাসায় সন্দেহজনক উৎসের অর্থায়ন, উসকানি ও প্ররোচনামূলক শিক্ষা উপকরণ এবং মূলগত সংরক্ষণবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ প্রমাণ করে, বাংলাদেশ সরকার কওমি মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে।’

‘শিক্ষার শূন্যতা পূরণ করছে কওমি মাদ্রাসা’ উপশিরোনামে পাঠানো বার্তায় উল্লেখ করেছেন, কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা ২৩ থেকে ৫৭ হাজার। এবং দারিদ্র্যপীড়িত দেশটির অনেক অভিভাবক বিনা মূল্যে থাকা-খাওয়া ও টিউশন ফির আশায় সন্তানদের এসব মাদ্রাসায় পাঠান। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজশাহীর তিনটি কওমি মাদ্রাসা পরিদর্শনকালে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষা নেন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা। যুগের চাহিদার সঙ্গে সংগতিহীন দুর্বল শিক্ষাক্রম ও শিক্ষার মান নিয়ে সন্দিগ্ধ মরিয়ার্টি উল্লেখ করেন, জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার
পঞ্চম শ্রেণীর ইংরেজি বই ‘ঔপনিবেশিক যুগের তালগোল পাকানো ব্যাকরণ ও যতিচিহ্ন রীতিতে ভরপুর’।

আল-কাদেরিয়া মাদ্রাসার ১২ বছর বয়সী একজন শিক্ষার্থীর দাবি, তার প্রিয় বিষয় ইংরেজি। কিন্তু একটি সাধারণ বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি ছাত্রটি। এমনকি ইংরেজিতে একটি শব্দও উচ্চারণ করতে পারেনি। রাজনৈতিক কর্মকর্তার পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান বিষয়ে রাষ্ট্রদূত রাজশাহীর তিনটি কওমি মাদ্রাসা সম্পর্কে ওয়াশিংটনকে জানান, ধীরে বয়ে চলা পদ্মার পারে জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম মাদ্রাসায় সাক্ষাৎ হয় এতিম ও দরিদ্র পরিবারের ২৩২ ছাত্রের সঙ্গে। এলাকাবাসীর অনুদান এবং সংলগ্ন একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের চাঁদায় পরিচালিত হয় এ মাদ্রাসা। সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানকারী মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ দূতাবাস কর্মকর্তাকে জানান, পাঠান্তে তাঁর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সামনে ধর্ম শিক্ষক হওয়া এবং অন্য মাদ্রাসায় চলে যাওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকে না। দ্বিতীয়টি রাজশাহী দারুল উলুম মাদ্রাসা। ৩০০ ছাত্র ছিল মাদ্রাসাটিতে, কিন্তু স্থানীয় অর্থ জোগানদাতাদের অর্থসংকটের কারণে অল্প কয়েক মাসের ব্যবধানে ছাত্রসংখ্যা ৩২-এ নেমে আসে।

তৃতীয় মাদ্রাসাটির নাম কাদেরিয়া বকসিয়া আনওয়ারুল উলুম। শিশুপার্ক-সংলগ্ন ক্যাম্পাসটিতে ছাত্রসংখ্যা ১৫০। ক্যাম্পাসে অবস্থিত একজন ইসলাম ধর্ম সাধকের মাজারের স্থানীয় কিছু ভক্ত ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তান থেকেও সাহায্য আসে। মাসে ছয় ডলারে খাওয়া ও টিউশন ফি। মাদ্রাসাপ্রধানেরা দূতাবাস কর্মকর্তাকে জানান, অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের কওমি মাদ্রাসায় পাঠানোর আগ্রহ হারিয়েছেন। কারণ হিসেবে চাকরির সুযোগ কম বলে উল্লেখ করেন।

তিনটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষই রাষ্ট্রীয় দেখভালের অধীনে যেতে এবং সরকার-নির্ধারিত শিক্ষাক্রম গ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে তাঁদের আশঙ্কাও রয়েছে যে এতে করে ধর্মশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসলাম ধর্ম শিক্ষাটা সংকুচিত হতে পারে।

তবে রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করে কর্মকর্তার মন্তব্য, ‘অন্তত এই একটি মাদ্রাসা মার্কিন অর্থসহায়তায় সেক্যুলার কারিকুলাম চালু করতে রাজি হতে পারে।’ ২০০৯ সালের ৫ মার্চে ওয়াশিংটনে পাঠানো অপর এক তারবার্তায় রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি উল্লেখ করেন, নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ৩ মার্চ রাষ্ট্রদূতকে জানান, সরকার-নিয়ন্ত্রিত আলিয়া ও অপরাপর সেক্যুলার স্কুলের পাশাপাশি কওমিদেরও মূলধারায় যুক্ত করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে কওমি নেতাদের কাছে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

মার্কিন দূতাবাসের একটি প্রতিনিধিদল মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ঢাকার লালবাগের কওমি মাদ্রাসায় সাক্ষাতে যান। সম্পূর্ণ আরবি উচ্চারণে অনুষ্ঠিত সভায় আমিনীর আরও চার সহযোগী উপস্থিত ছিলেন। আমিনীর সুন্দর আরবি উচ্চারণের প্রশংসা করে মরিয়ার্টি বলেন, আমিনী দূতাবাস কর্মকর্তাদের বলেছেন, সরকারের তরফ থেকে শিক্ষাক্রমের বিষয়ে তিনি অথবা তাঁর প্রতিনিধিরা কখনো প্রস্তাবই পাননি। সংবাদমাধ্যমে একীভূত শিক্ষাক্রমের কথা শুনেছেন। আমিনীর ভাষ্যে, সরকার যা কিছুই করুক, ‘ধর্মভিত্তিক কওমি শিক্ষাক্রমের বিষয়ে’ কোনো আপস নেই।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য, ইসলামি পণ্ডিত ও মাদ্রাসার নেতাদের সাবেক কমিউনিস্ট ও বামপন্থী নাহিদের আহ্বানের সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা কম। মরিয়ার্টি আরও বলেন, সারা দেশে সাত-আটটি বোর্ডে বিভক্ত কওমি মাদ্রাসা বোর্ডগুলো নিজেদের মধ্যে কলহে লিপ্ত।
বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসায় সেক্যুলার শিক্ষাক্রম চালু এবং মাদ্রাসাগুলোতে বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ধর্মীয় জঙ্গিবাদের লাগাম টেনে ধরতে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের নানামুখী উদ্যোগের তথ্য জানা গেছে উইকিলিকসের ফাঁস করা তারবার্তায়। কওমি বিষয়ে মার্কিন সরকারের অর্থসহ নানামুখী সহায়তা, সুপারিশ, পর্যবেক্ষণ এবং রাজশাহী অঞ্চলকে ইসলামি চরমপন্থীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে উল্লেখ করে ২০০৯ সালের ৩ মার্চ ওয়াশিংটনে তারবার্তা পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি।

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাক্রম সংস্কার বিষয়ে মার্কিন সরকারের অর্থসাহায্যের প্রস্তাবে রাজশাহী অঞ্চলকে বিশেষ বিবেচনায় রাখার সুপারিশ করেন রাষ্ট্রদূত। মরিয়ার্টির মন্তব্য, ‘কওমি মাদ্রাসায় সন্দেহজনক উৎসের অর্থায়ন, উসকানি ও প্ররোচনামূলক শিক্ষা উপকরণ এবং মূলগত সংরক্ষণবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ প্রমাণ করে, বাংলাদেশ সরকার কওমি মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে।’

‘শিক্ষার শূন্যতা পূরণ করছে কওমি মাদ্রাসা’ উপশিরোনামে পাঠানো বার্তায় উল্লেখ করেছেন, কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা ২৩ থেকে ৫৭ হাজার। এবং দারিদ্র্যপীড়িত দেশটির অনেক অভিভাবক বিনা মূল্যে থাকা-খাওয়া ও টিউশন ফির আশায় সন্তানদের এসব মাদ্রাসায় পাঠান। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজশাহীর তিনটি কওমি মাদ্রাসা পরিদর্শনকালে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষা নেন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা। যুগের চাহিদার সঙ্গে সংগতিহীন দুর্বল শিক্ষাক্রম ও শিক্ষার মান নিয়ে সন্দিগ্ধ মরিয়ার্টি উল্লেখ করেন, জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার
পঞ্চম শ্রেণীর ইংরেজি বই ‘ঔপনিবেশিক যুগের তালগোল পাকানো ব্যাকরণ ও যতিচিহ্ন রীতিতে ভরপুর’।

আল-কাদেরিয়া মাদ্রাসার ১২ বছর বয়সী একজন শিক্ষার্থীর দাবি, তার প্রিয় বিষয় ইংরেজি। কিন্তু একটি সাধারণ বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি ছাত্রটি। এমনকি ইংরেজিতে একটি শব্দও উচ্চারণ করতে পারেনি। রাজনৈতিক কর্মকর্তার পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান বিষয়ে রাষ্ট্রদূত রাজশাহীর তিনটি কওমি মাদ্রাসা সম্পর্কে ওয়াশিংটনকে জানান, ধীরে বয়ে চলা পদ্মার পারে জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম মাদ্রাসায় সাক্ষাৎ হয় এতিম ও দরিদ্র পরিবারের ২৩২ ছাত্রের সঙ্গে। এলাকাবাসীর অনুদান এবং সংলগ্ন একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের চাঁদায় পরিচালিত হয় এ মাদ্রাসা। সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানকারী মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ দূতাবাস কর্মকর্তাকে জানান, পাঠান্তে তাঁর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সামনে ধর্ম শিক্ষক হওয়া এবং অন্য মাদ্রাসায় চলে যাওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকে না। দ্বিতীয়টি রাজশাহী দারুল উলুম মাদ্রাসা। ৩০০ ছাত্র ছিল মাদ্রাসাটিতে, কিন্তু স্থানীয় অর্থ জোগানদাতাদের অর্থসংকটের কারণে অল্প কয়েক মাসের ব্যবধানে ছাত্রসংখ্যা ৩২-এ নেমে আসে।

তৃতীয় মাদ্রাসাটির নাম কাদেরিয়া বকসিয়া আনওয়ারুল উলুম। শিশুপার্ক-সংলগ্ন ক্যাম্পাসটিতে ছাত্রসংখ্যা ১৫০। ক্যাম্পাসে অবস্থিত একজন ইসলাম ধর্ম সাধকের মাজারের স্থানীয় কিছু ভক্ত ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তান থেকেও সাহায্য আসে। মাসে ছয় ডলারে খাওয়া ও টিউশন ফি। মাদ্রাসাপ্রধানেরা দূতাবাস কর্মকর্তাকে জানান, অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের কওমি মাদ্রাসায় পাঠানোর আগ্রহ হারিয়েছেন। কারণ হিসেবে চাকরির সুযোগ কম বলে উল্লেখ করেন।

তিনটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষই রাষ্ট্রীয় দেখভালের অধীনে যেতে এবং সরকার-নির্ধারিত শিক্ষাক্রম গ্রহণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে তাঁদের আশঙ্কাও রয়েছে যে এতে করে ধর্মশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসলাম ধর্ম শিক্ষাটা সংকুচিত হতে পারে।

তবে রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করে কর্মকর্তার মন্তব্য, ‘অন্তত এই একটি মাদ্রাসা মার্কিন অর্থসহায়তায় সেক্যুলার কারিকুলাম চালু করতে রাজি হতে পারে।’ ২০০৯ সালের ৫ মার্চে ওয়াশিংটনে পাঠানো অপর এক তারবার্তায় রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি উল্লেখ করেন, নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ৩ মার্চ রাষ্ট্রদূতকে জানান, সরকার-নিয়ন্ত্রিত আলিয়া ও অপরাপর সেক্যুলার স্কুলের পাশাপাশি কওমিদেরও মূলধারায় যুক্ত করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে কওমি নেতাদের কাছে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

মার্কিন দূতাবাসের একটি প্রতিনিধিদল মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ঢাকার লালবাগের কওমি মাদ্রাসায় সাক্ষাতে যান। সম্পূর্ণ আরবি উচ্চারণে অনুষ্ঠিত সভায় আমিনীর আরও চার সহযোগী উপস্থিত ছিলেন। আমিনীর সুন্দর আরবি উচ্চারণের প্রশংসা করে মরিয়ার্টি বলেন, আমিনী দূতাবাস কর্মকর্তাদের বলেছেন, সরকারের তরফ থেকে শিক্ষাক্রমের বিষয়ে তিনি অথবা তাঁর প্রতিনিধিরা কখনো প্রস্তাবই পাননি। সংবাদমাধ্যমে একীভূত শিক্ষাক্রমের কথা শুনেছেন। আমিনীর ভাষ্যে, সরকার যা কিছুই করুক, ‘ধর্মভিত্তিক কওমি শিক্ষাক্রমের বিষয়ে’ কোনো আপস নেই।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য, ইসলামি পণ্ডিত ও মাদ্রাসার নেতাদের সাবেক কমিউনিস্ট ও বামপন্থী নাহিদের আহ্বানের সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা কম। মরিয়ার্টি আরও বলেন, সারা দেশে সাত-আটটি বোর্ডে বিভক্ত কওমি মাদ্রাসা বোর্ডগুলো নিজেদের মধ্যে কলহে লিপ্ত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.