![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতি সাধারন একটা ছেলে। গ্রামে থাকি। স্বপ্ন দেখি একদিন বড় সাংবাদিক হবো। সে প্রচেষ্টায় থাকি প্রতিটা মুহুর্ত। আপাতত একটি অনলাইন মিডিয়ায় সম্পৃক্ত।
সন্ধ্যার আগমুহুর্ত। বিশেষ একটা প্রয়োজনে আমার কলিগ সুইট ভাইয়ার সঙ্গে মতিঝিলস্থ আল আরাফাহ ইসলামিক ব্যাংকিং অফিসে গিয়েছিলাম। পল্টন থেকে যাওয়ার সময় ৫'মে এর সহিংসতার ধ্বংসযজ্ঞ গুলো দেখতে দেখতে গেলাম। যদিও প্রতিদিনই দেখি। তবুও আজ আবার নতুন করে বিশ্লেষণ করে দেখছিলাম। কারণ আমার সাথে থাকা ভাইয়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে কিছু আলোচনাও হচ্ছিলো। একটু রাজনীতিক আলাপও হলো। পল্টন থেকে হেঁটে যেতে বড়জোর ৮/১০মিনিট সময় লাগলো।
ওখানে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে আবার পল্টনের পথে এগোতে থাকি। আর তখনি নজরে আসলো একটা মজার বিষয়। বাহ! কতো সুন্দর! রাস্তার মাঝের ডিভাইডারগুলোতে লোহার বেষ্টনী নাই। এখনো যেখান দিয়েই খুশি রাস্তা পার হওয়া যায়। এবং কি ডিভাইডার দিয়ে হাঁটাও যায়। তাই এক প্রকার মজা করেই ডিভাইডার'র উপর দিয়ে হাঁটতে থাকি। এবার আর ভাইয়ার সঙ্গে কথা হচ্ছেনা। উনি মোবাইলে কথা বলায় ব্যস্ত। আমি অতি উৎসুক হয়ে ঢাকার বহুতল বিল্ডিংগুলো দেখছিলাম। গ্রামের ছেলে তো তাই ঢাকা শহর দেখার স্বাদ মেটেনা। আমি সামনে আর সুইট ভাই আমার পিছন পিছন। হাঁটছি ডিভাইডার ধরেই। মোবাইলে একটা মেসেজ আসে। মেসেজ দেখতে দেখতে হাঁটছি। গাড়ি চাপা পড়ার কোনো রিস্ক নেই। তাই নিশ্চিন্তে মোবাইল স্কিনে তাকিয়ে তাকিয়ে হাটছি।
মতিজিল থানার সামনে আসতেই , হঠাৎ সুইট ভাই....
:-ফজলু, একটা কথা বলি??? শুনলে তুমি অনেক লজ্জা পাবে। কষ্ট পাবে।
:-বলেন ভাইয়া । সমস্যা নাই। আমি কোনো ভুল করলাম!!! (এবার উনি হাসলেন)
:-তা না। তবে তুমি লজ্জা পাবে। থাক! বলবোনা।
:-ভাই বলেন না, প্লিজ। লজ্জা পাওয়ার মতো কিছু করে থাকলে তো পাবোই। বলেন।
:-না বলে পারছিও না। অনেক হাসি পাচ্ছে। তু-মি-ই-ই *"গু"* পাড়াইছো...
আমি তো অবাক। ঢাকা শহরের রাস্তায় গু!!! এবার পিছনে তাকালাম। দেখলাম একদম তরতাজা গু! তবে মোটেও লজ্জা পেলাম না। সুইট ভাইকে বললাম, ভাই কবে যে গু পারাই ছিলাম, মনে নাই । তবে গু পাড়ানোর একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা আছে। ছোট বেলায় কেউ গু পারাইলে তাকে ছুতামনা।
আর নিজে পারালে সবাইকে দৌড়ে ছূয়ে দিতাম। আর গোসল না করে ঘরে যেতাম না।
এই সব মজার স্মৃতিগুলো প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। আবার নতুন করে সেই আনন্দ পেলাম।
তবে এই পুরাতন অভিজ্ঞতা নতুন করে পাওয়ার জন্য, শিবির আর অতি উৎসাহী হেফাজতের কর্মীদের ধন্যবাদ না দিয়ে পারলাম না। মনখুলে হাসলাম। আর প্রাণ খুলে ধন্যবাদ দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানালাম। আহা! তারা যদি ডিভাইডারের বেষ্টনী না ভাংতো তাহলে হয়তো ঢাকা শহরের রাস্তায় এমন অভিজ্ঞতা হতোনা। তাও আবার মতিঝিলের মতো বানিজ্যিক এলাকায় ।
ধন্যবাদ ভাই শিবির। দেশের পাকিদের ধ্বংসলীলা দেখিনি। তবে তোমাদের কুকর্ম আর গুকর্ম দেখে সেই স্বাদ মেটাতে পারছি। কারণ তোমরা তো পাকিদেরই উত্তরসুরী।
©somewhere in net ltd.