নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুষ্ক হাসির অন্তরালে একলা আমি

আমি সব সময়ই একটু অদ্ভুত ধরনের। কখন যে মন খারাপ হয় আর কখন যে মন ভাল হয় আমি নিজেই বুঝিনা। সবাইকে খুব সহজে বিশ্বাস করি, সবাইকে নিজের মত ভাবি। আর এ কারণে অনেক অনেক কষ্ট পাই।

মুহাম্মদ ফজলুল হক

অতি সাধারন একটা ছেলে। গ্রামে থাকি। স্বপ্ন দেখি একদিন বড় সাংবাদিক হবো। সে প্রচেষ্টায় থাকি প্রতিটা মুহুর্ত। আপাতত একটি অনলাইন মিডিয়ায় সম্পৃক্ত।

মুহাম্মদ ফজলুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজাকার অইতে মুঞ্চায় B-)

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৪

দেশের হাজারো মুক্তিযোদ্ধা অনাহারে, অর্ধাহারে অমানবেতর জীবনযাপন করছে। দেশ মাতৃকার জন্য যারা জীবনবাজি রেখে দেশকে করেছে স্বাধীন, তারা কেউবা রিক্সা চালিয়ে, দিনমজুরী করে আবার কেউবা ভিক্ষা করেও জীবনযাপন করছে। বাবা বীরশ্রেষ্ঠ হলেও নিজে যেন হেরে যাচ্ছেন জীবনযুদ্ধে। দারিদ্র্র্যের সঙ্গে লড়াই করে স্ত্রী ও একমাত্র শিশুকন্যাকে নিয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছেন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন এর ছেলে শওকত। জীবন সংগ্রামে কখনও পরাজিত না হলেও পায়ের চিকিৎসার অভাবে আকমল হোসেন এখন অসহায় জীবন যাপন করছেন। মুক্তিযোদ্ধা মুক্তু মিঞা এখনও ভিক্ষা করে জীবন চালায়। ভিক্ষা করে সংসার চালান মুক্তিযোদ্ধা সাইদের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫)। তিনি যেদিন ভিক্ষা করার জন্য বের হতে পারেন, সেদিন পরিবারের সদস্যদের কপালে ভাত জোটে, আর যেদিন বের হতে পারেন না, সেদিন তাঁদের উপোস থাকতে হয়।



ছি! অথচ ভাবতে অবাক লাগে দেশের মুক্তিযোদ্ধারা যেখানে দুবেলা ভালো করে না খেতে পেয়ে, ভালো পোষাক, বা উন্নত চিকিৎসার অভাবে জীবন সায়াহ্নের দ্বারপ্রান্তে, অথচ দেশের রাজাকারদের মধ্যমণি গো-আযমের তেমন জটিল কোনো শারিরীক অসুস্থত্য না থাকা সত্ত্বেও ৯০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া গোলাম আযম। গ্রেপ্তার হওয়ার গত ১৯ মাসে একটি দিনও কারাগারে থাকতে হয়নি তাঁকে। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক এই আমিরকে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে।



তার খাবারের মেন্যু দেখলে অবাক হতে হয়। গো-আযমকে সরকার জামাই আদর করে পালছে প্রিজন সেলে। সকাল নয়টায় এক চামচ মধু, এক চামচ অলিভ অয়েল, দুটি বিস্কুট, চিড়া ভাজা বা মুড়ির মোয়া, দুধ, হরলিকস ও দুটি ডিম। বেলা ১১টায় দেওয়া হয় খিচুড়ি, সবজি, স্যুপ, আচার ও ফল। বেলা দুইটায় দেওয়া হয় দুই টুকরা মাছ, সবজি, ডাল ও আচার। বিকেলে নাশতায় তাঁকে সরবরাহ করা হচ্ছে স্যুপ ও ফল। রাত আটটায় দেওয়া হয় ভাত, মুরগির মাংস, সবজি, ডাল, আচার ও ফল। (সুত্র: Click This Link)



আর কিচ্ছু বলার নাই। পাবলিক এর টাকা দিয়া রাজাকার লালন পালন করে! সাবাশ! খুব শীগ্রই তার জন্য তরতাজা তেতুল বরাদ্ধ দেয়া হউক।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আর কিচ্ছু বলার নাই। পাবলিক এর টাকা দিয়া রাজাকার লালন পালন করে! সাবাশ! খুব শীগ্রই তার জন্য তরতাজা তেতুল বরাদ্ধ দেয়া হউক।


এক্কেবারে হক কথা, তেতুঁলটা বাদ গেল কেমনে। =p~ :P

আসুন আমরা আমজনতা সবাই মিলে রাজাকার শিরোমণি গো আজমকে ৯০ বছরের জন্য তেঁতুল সরবরাহের দায়িত্ব নিই।সরকার একা আর কত করবে।
খাবারের মেনু তো মাশাআল্লাহ্‌, দেখলে রোজা রমজানের দিন রোজা মাকরূহ্‌ করে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট।

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১০

মুহাম্মদ ফজলুল হক বলেছেন: হুম। ঠিক বলেছেন। যথা সম্ভব আদর আপ্যায়ন করা উচিত। ৯০ বছর তো তার যৌবন ধরে রাখতে হবে B-) । রাজাকারগুলান তো চিরযৌবনা। সকাল বিকাল মধু খাইয়া চাঙ্গা হচ্ছে দিনদিন। এখন শুধু তেতুল পাইলেই হয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.