![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব কম মানুষই আছে,যাদের নামের সাথে চেহারার মিল থাকে।কিন্তু আমাদের আবুলের সেটা আছে।আবুলের চেহারায় আবুল আবুল ভাব প্রকট।এই নাম নিয়ে আবুলের ভোগান্তির শেষ নাই।ভার্সিটির প্রথম দিনেই ডিপার্টমেন্টের সব ক্লাসমেট আর সিনিওররা জেনে নিল যে একটা আবুল এসেছে।আর যায় কই!সব সিনিওররা আবুলকে নিয়ে সার্কাস দেখানো শুরু করে দিল।যেসব সিনিওররা ভার্সিটিতে ভর্তির পর চোখ তুলে কথাও বলতে পারতো না,সেই সব নাদানবান্দারাও আবুলকে নিয়ে মজা নিল।সব থেকে ভয়াবহ মজাটা নিল তানভীর নামের এক সিনিওর।তানভীরের ব্যাচের সবাই জানতো তানভীর খুব বোকাসোকা আর নরম প্রকৃতির মানুষ।কিন্তু আবুলের বদৌলতে সবাই জানল,দেশে এখন আর “সরল” নামক কোনো শব্দ নাই।অন্তত তানভীর আর যাই হোক,অবশ্যই সরল নয়।
প্রথম দিনেই তানভীর আবুলের সব ক্লাসমেটদের সামনে আবুলকে ডাকল।
-কিরে আবুলইল্যা কেমন আছোস?
-ভাই আমার ডাকনাম আবুল না।আমার ডাকনাম রানা।আমাকে রানা নামে ডাকেন।
-উমা তুমি তো ভালোই ট্যাটনাগিরি দেখাইতেছো!ঐ ব্যাটা তুই কি আগে থেকেই স্মার্ট নাকি চোখের সামনে এতগুলা মেয়ে দেইখা নতুন নতুন স্মার্ট হওয়ার শখ হইছে?
তানভীরের কথা শুনে আবুল অবাক হয়ে তাকায়।এতটা বিশ্রি ভাবে সবার সামনে মানুষ কিভাবে আর একজন মানুষকে অপমান করতে পারে?আবুল গ্রাম থেকে এসেছে এটা সত্যি।সে গ্রাম্য,তার নামটা একটু সেকেলে-এটাও সত্যি।কিন্তু মানসিক ভাবে নিজেকে কখনই গ্রাম্য-খ্যাত মনে করেনি আবুল!যাই হোক,আবুল তানভীরের কথার জবাব দেয় না।মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে।তানভীর আবার বলতে থাকে
-শোনেন আবুল সাহেব,মেয়ে মানুষ দেখলে যখন আপনার এতই উচাটন লাগে,তাইলে আজকে থেকে আপনার ক্লাসের সব মেয়েরা আপনার মা।সবাইরে মা বইলা ডাকতে পারবেন না?
তানভীরের কথা শুনে সিনিওররা হোহো করে হেসে তানভীরের পিঠ চাপড়ে দিল।একজন সিনিওর তো বলল, “আই সালা,তুই যে ব্যাটা এত কথা বলতে পারিস তাতো জানতাম না!”
সহপাঠিদের কথা শুনে তানভীরের বুকটা ফুলে ওঠে।এতদিনে সে লাইম লাইটে আসতে পারল।একটা সময় সবাই তাকে নিয়ে কত মশকরা করত!যাক,আবুলটার কল্যানে সে সবার একটু সম্মান পেল!
তবে তানভীরকে তো এখানেই থেমে থাকলে চলবে না।আবুলটাকে আরো ঝাকাতে হবে।তাহলেই না সে ক্লাসমেটদের বাহবা পাবে।
ওদিকে কিছুদিনের মধ্যেই আবুল ক্লাসের সবার সাথে মিশে গেল।ইতিপূর্বে সিনিওরদের কাছে ভোগান্তির শিকার হওয়ার কারনে মেয়েরাও আবুলের প্রতি বেশ সহানুভূতি দেখাচ্ছে।এই সুযোগটাই নিল তানভীর।
একদিন আবুলকে ডেকে আবুলের সামনে সিগারেটের প্যাকেটটা বাড়িয়ে দিল।আবুল ভয়ে ভয়ে জানালো সে সিগারেট খায়না।তাতে আজ আর তানভীর তেমন রাগন্বীত হল না।বরং হাসি-মুখে বলল, “সিগারেট খাবিনা ভাল কথা!অন্য কিছু খা!নে কলা খা!”
কথাটা বলেই তানভীর আবুলের হাতে একটা কলা ধরিয়ে দিল।তারপর আসল কথায় আসল।
-তা আবুল তোদের ক্লাসের সব মেয়ের সাথেই তো দেখি তোর খুব খাতির।
-জি ভাইয়া,আছে খানিকটা।
-খাতির থাকলেই ভাল!তোরে একটা এসাইনমেণ্ট দেই কেমন?
-কি এসাইনমেণ্ট ভাইয়া?
-তেমন কঠিন কিছু না।তুই তোর ক্লাসের সব মেয়ের তথ্য আর ছবি দিয়া একটা ফাইল বানায়ে আমারে দিবি।ছবি যে ফাইলের সাথে দিতে হবে তা না।ব্লুটুথ দিয়া ট্রান্সফার করলেও হবে।বুঝলি?
আবুল বোকা না।সে তানভীরের উদ্দেশ্য ঠিকই বুঝতে পারে।হয়তো ছবিগুলো তানভীর এডিট করে পর্ন সাইটে ছেড়ে দেবে।আর সেই ছবিগুলোই আবুলকে সাপ্লাই করতে হবে।সাপ্লাই না করলে তানভীর হয়তো তাকে ভয়াবহ বিপদে ফেলে দিতে পারে!!!
আবুল নানান দিক চিন্তা করে ব্যাপারটা শোভনকে জানালো।শোভন মোটামুটি বুদ্ধিমান ছেলে।সে আবুলকে নিয়ে একটা তানভীরের ব্যাপারে একটা কঠিন ষড়যন্ত্র করে ফেলল!তারা দুজন মিলে তাদের ক্যাম্পাসের কনফেশন পেইজে তানভীরের নামে একটা লেখা পোস্ট করে দিল।
তানভীর,তুমি আমাকে নিয়ে কেন এমন করলে বলতো?
তুমি আমার সাথে ভালবাসার অভিনয় কেন করলে?তুমি
কেন আমার ছবিগুলো পর্ণসাইটে দিয়ে দিলে?আমি তো
নিঃস্বার্থভাবে তোমাকে ভালবেসে শরীর-মন সবই দিয়েছিলাম।
তুমি কেন আমাকে এভাবে কষ্ট দিলে?
কনফেশন পেইজে লেখাটা পোস্ট হওয়ার পর ক্যাম্পাসজুড়ে রীতিমত শোরগোল পরে গেল।সবাই তানভীরকে দেখার জন্য দল বেধে আসতে লাগল।অবস্থা এমন দাড়ালো যে তানভীরকে ক্যাম্পাসে আসা বন্ধ করে দিতে হল।
কিছুদিন পর,তানভীর আবুলকে ফোন দিল।
-আবুলরে তুই আমার সাথে এই কামডা ক্যান করলি?আমি তোর কি ক্ষতি করছিলাম?
-কি ক্ষতি করছিলেন সেইটা মনে নাই ভাই?
-আবুল আমি যদি তোর খবর না করছি!
-ভাই পারলে খবর কইরেন।কত যে খবর করবেন তা এখন বুইঝ্যা গেছি।আপ্নের ক্ষমতাডা যদি শুরুতেই বুঝতাম তাইলে আর আমার এত হ্যাপা পোহানো লাগতো না।
কথাটা বলে আবুল ফোনটা রেখে দিল।হঠাৎ আবুলের মনটা বেশ খারাপ হয়ে যায়।না,তানভীরের জন্য তার মন খারাপ হয় না।মন খারাপ হয় নিজের জন্য আর তার মত অসহায় কিছু ছেলেদের জন্য যারা ভার্সিটিতে এসে কিছু সিনিওরদের গোলামে পরিণত হয়।
পরের বছর,আবুলও সিনিওর হয়।তবে তার আচরণে কেউ কখনও বিব্রত হয়নি।বরং এমন একজন সিনিওর সে হয়েছিল যার কাছে জুনিওররা এসে মন খুলে কথা বলতে পারত।ভার্সিটির শেষদিন পর্যন্ত জুনিওরদের কাছে আবুল সম্মান পেয়েছিল।কিন্তু তানভীর যে কবে কখন হারিয়ে গেল সেই খোজ কেউ রাখল না।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:১৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: খেয়াল করে দেখেছেন হয়তো,যারা র্যাগ দিয়ে সালাম আদায় করে,তারা গালিও কম খায়না
২| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৯
নোমান নমি বলেছেন: র্যাগিং এর একটা পর্যায় পর্যন্ত ভালো। বাড়াবাড়ি হলেই বাজে। গল্পটা শিক্ষামূলক।
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কোনো ব্যাপার নিয়েই আসলে বাড়াবাড়ি ঠিক না।আর র্যাগিং-এর মত বাজে ব্যাপারটা তো আরো না
৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সাবাশ আবুল!
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২০
শুঁটকি মাছ বলেছেন:
৪| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ২:২২
শুভ্রনীল_প্রতীক বলেছেন: Mochotkar likhesen@shutki :p
১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধইন্যা !!!!!!!
৫| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ২:২৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনার গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে।
তবে নামে আবুল হলে কি সবাই আবুল হয়?
আবুল মাল আব্দুল মুহিত,
আবুল হোসেন
আবুল হাসান------------ ইনার কেউ কি আসলেই আমরা যাকে আবুল বলি সেরকমের আবুল????
১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ভাই তেনাদের কথা বাদ দেন।তারা কতটা সফল তাতো সবাই-ই দেখেছে।
৬| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৫৩
স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: ভালো লাগলো।
১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ধন্যনবাদ!!!!!!!!!!!!!!!
৭| ১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩২
আনমনা 007 বলেছেন: দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের র্যাগিং বিষয়ক ছবি tabil No. 21 দেখা উচিৎ।
১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: মুভিটা কোন ভাষায় তৈরী?
৮| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
ক্ষণিক বলেছেন: +++
জটিল হইসে......... লগইন করতে পারলাম শেষ পরজনত.........
১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:০৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: dhonnobad!!!!!!!!!!!!!!
i hope u will continue blogging !
৯| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ২:০০
দুঃখিত বলেছেন:
আনমনা 007 বলেছেন: দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের র্যাগিং বিষয়ক ছবি tabil No. 21 দেখা উচিৎ।
২০০% সহমত । মুভি টা ইন্ডিয়ান মুভি মানে হিন্দি ভাষায় ভালো থাকবেন । অনেক ভালো একটা জিনিস নিয়ে লিখেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো । পোস্ট এ ডাবল প্লাস ++
অঃ টঃ - আপনি কি বরিশাল সদর গার্লস স্কুল এ পড়তেন নাকি ?
১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: জী ভাই ,ক্লাস ফোর পর্যন্ত ওখানে পড়েছিলাম।তারপর ঢাকা চলে এসেছি।
কষ্ট করে লেখা পড়ার জন্য ধন্যাবাদ!!!!!!!
১০| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৭
লুছিফার বলেছেন: হিহিহি
আবুল রকজ্ m/
১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০৪
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কি খবর ছোটো ভাই,কই থেকে এত দিন পর হাজির হইলা?
১১| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৪০
তাহিতি তাবাসুম বলেছেন: প্লাস দিয়ে গেলাম।লেখাটা ভাল লাগলো।
১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু
১২| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১১
চানাচুর বলেছেন: তানভিররা এভাবেই হারিয়ে যায়
১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১২
শুঁটকি মাছ বলেছেন: hahahhahaha
১৩| ১৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: হুম বুঝলাম
১৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কি বুঝিছো??????????????
১৪| ১৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আবুল কে ধন্যবাদ দিতেই হয়।
আপু ভাল্লাগসে লেখাটা খুব।
১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: আবুল রকজ!!!!!!!!!!!
১৫| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
লুছিফার বলেছেন: কি যে কও না!! আমি লুকাইছিলাম নাকি যে বাইর হমু!!
ব্লগে আসিনা আর্কি ।
ভালা আছি ।
তোমার কি খবর??
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:০৩
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভাল্লাগসে।
র্যাগিং ব্যাপারটা আমার একদম পছন্দের না, যেমন ই হৌক না কেন ||