নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন নিরপেক্ষ-নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক

আওয়ামীলীগ ও BNP থেকে উপাদি পাওয়া একজন রাজাকার ও দেশদ্রোহী নিরীহ জনগন অতি সাধারন এক মানুষ সব সময় বাস্তবতা নিয়ে ভাবী স্বপ্ন জিনিসটা একটু কম দেখি কারন ঘুম ভেঙ্গে গেলে নিজেকে আবার সেই ছেড়া কাঁথার নিচেই পাই তখন আর স্বপ্ন থাকে না । যা পছন্দ করিনা অতি সুন্দর ( সব অতি সুন্দরের ভিতরে একটা কুৎসিত কিছু থাকেই ) অতি লোভী ( লোভে পাপ পাপে মৃত্যু ) অতি অহংকারী ( অহংকার পতনের মুল ) অতি বড়লোক ( এরা সাধারনত অহংকারী হয়ে থাকে তবে সবাই না ) যা ভালোবাসি পরিস্রম , সাধনা , চেষ্টা কোন কিছু যদি দেখো তুমার ধারা পাওয়া সম্ভব না তাহলে পাওয়ার জন্য চেষ্টা করো যদি চেষ্টা করেও ব্যর্থ হও তাহলে ইহার পিছনে পরিস্রম করো পাওয়া জন্য সাধনা করো যদিও একটু সময় লাগবে পাইতে কিন্তু তুমি পাবেই কারন সাধনা আর পরিশ্রম দিয়ে পাওয়া যায় না এমন কোন বস্তু পৃথিবীতে নাই ।

একজন নিরপেক্ষ-নিষ্ঠাবান দেশপ্রেমিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিলখানা হত্যাকান্ডের রায় ৩০ অক্টোবর

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩১

সাড়ে চার বছর আগে বিদ্রোহের সময় পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ৩০ অক্টোবর। মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রবিবার রায়ের দিন ধার্য করেছেন বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। শেষ দিনে যুক্তি উপস্থাপন করে আসামিপক্ষ।

বকশীবাজারে উমেশ দত্ত রোড-সংলগ্ন মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে গতকাল সকালে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমেই আসামিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন আইনজীবীরা। সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। বিকেল ৪টার দিকে আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনিসুল হক আইনগত জবাব দেন। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তাঁর জবাব দেওয়া শেষ হলে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম এত বড় বিচারকাজে সহযোগিতার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনিসুল হক আসামিপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘ওনারা ন্যায়বিচার চেয়েছেন। আমিও ন্যায়বিচার চাই, হুজুর। তাঁরা রাজনৈতিক বিষয় এনেছেন, আমি সে বিষয়ে কিছু বলব না।’ তিনি আরো বলেন, ‘ভবিষ্যতে এমন অপরাধ যেন না হয় সে ব্যবস্থার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক পানিশমেন্ট (শাস্তি) দরকার।’ আসামিপক্ষের আইনজীবীদের পক্ষে কথা বলেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি আদালতের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার ওপর ন্যায়বিচার করার দায়িত্ব পড়েছে। এমন বিচার যেন হয় যাতে মানুষ মনে করে যে প্রহসনের বিচার হয়নি। আমি চাই নিরপেক্ষ বিচার।’ এরপর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান সবার উদ্দেশে বলেন, ‘আমার শ্রদ্ধেয় স্যার (ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক) রায় দিলে সবচেয়ে ভালো হতো। এই গুরুদায়িত্ব আমার ওপর পড়েছে। আমি এই মামলা থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। এই মামলায় না এলে শিখতে পারতাম না। আমি যাতে ন্যায়বিচার করতে পারি সে জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’ এ কথা বলার পরপরই তিনি রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন।

আসামিরা নীরব : রবিবার আগাগোড়াই কাঠগড়ায় থাকা আট শতাধিক আসামিকে নীরব থাকতে দেখা গেছে। অন্যান্য দিন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে কথা বলার সময় ভেতর থেকে বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ পাওয়া যেত। এদিন রায়ের তারিখ ঘোষণার আগ মুহূর্তে কোনো কোনো আসামিকে চোখ মুছতে দেখা যায়।

৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হয়েছিল : ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্র“য়ারি তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় লালবাগ থানার পুলিশ বাদী হয়ে পিলখানায় হত্যা, নির্যাতন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করে। পরে মামলাটি নিউ মার্কেট থানায় স্থানান্তর করা হয়। মামলার তদন্তভার পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি ২০১০ সালের ১২ জুলাই ৮২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়। পরে সম্পূরক চার্জশিটে আরো ২৬ জনকে যোগ করা হয়। ফলে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৫০। তাঁদের মধ্যে ২০ জন পলাতক। চারজন মারা গেছেন। আসামিদের মধ্যে ২৩ জন বিডিআরের বাইরের লোক। তাঁদের মধ্যে বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টু, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীও রয়েছেন।

বিচারপ্রক্রিয়া : বিচার পরিচালনার জন্য বকশীবাজারে উমেশ দত্ত রোড-সংলগ্ন মাঠে ভবন তৈরি করে আদালত বসানো হয়। সেখানে ২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পিলখানা হত্যা মামলায় সাক্ষীর সংখ্যা ছিল এক হাজার ২৮৭…. এই সাক্ষীদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপক্ষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আকন্দসহ ৬৫৪ জন সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীদের মধ্যে ছিলেন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া ২৭ জন তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেটও। তাঁরা ৪৫৮ জন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়েছেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন। আসামিদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয় গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে। ২০ জন আসামির পক্ষে ২৪ জন সাফাই সাক্ষ্য দেন।

এরপর মামলার সর্বশেষ ধাপ যুক্তিতর্ক শুরু হয় গত ২৯ সেপ্টেম্বর। প্রথম দিনই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনিসুল হক ও মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি উপস্থাপন করেন। ওই দিনই আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদও যুক্তি শুরু করেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. জামাল উদ্দিন খন্দকার, শামীম সরদার, শফিকুল ইসলামসহ অন্য আইনজীবীরা তাঁদের যুক্তি উপস্থাপন করেন। গত রবিবার পর্যন্ত ১০ কার্যদিবস যুক্তিতর্ক চলে।

হত্যা মামলার সঙ্গে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলাও চলছে একই আদালতে। এ মামলায় প্রথমে ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে আরো ২৬ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়ায় মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৩৪।

আদালত বদল : হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু করেছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, জুডিশিয়াল অর্ডারে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে বদলি করে গত সেপ্টেম্বরে তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। এ কারণে তখন থেকে এ মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন অতিরিক্ত দায়রা জজ ড. আখতারুজ্জামান।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.