![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রামগরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা, হাসির কথা শুনলে বলে, "হাসব না-না, না-না"। সদাই মরে ত্রাসে- ঐ বুঝি কেউ হাসে! এক চোখে তাই মিটমিটিয়ে তাকায় আশে পাশে। ---------সুকুমার রায়
আজ ২৬ শে মার্চ । বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস । ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের স্বাধীন অস্তিত্ব ঘোষিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ডাকে উজ্জীবিত বাঙ্গালী ২৫শে মার্চের পর নতুন করে উজ্জীবিত হয় । বীর বাঙ্গালি দেশমাতার জন্য প্রিয়জন, পরিবার, ঘরবাড়ি ছেড়ে অসীম অনিশ্চয়তায় জীবনকে বাজি রেখে রক্তিম পথচলা শুরু করে। এ এক অপার্থিব অনুভূতি, এটিই দেশপ্রেম। যার ফলাফল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। নতুন প্রজন্ম বুকে এমন দেশপ্রেম ধারণ করুক। কিন্তু নন্দলালের মতো দেশপ্রেমিকের ছড়াছড়ি এখন দেশব্যাপী। কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এদের স্বরূপ উন্মোচন করেছেন।
নন্দলাল
---------ডিএল রায়
******************************
নন্দলাল তো একদা একটা করিল ভীষণ পণ -
স্বদেশের তরে, যা করেই হোক, রাখিবেই সে জীবন।
সকলে বলিল, 'আ-হা-হা কর কি, কর কি, নন্দলাল?'
নন্দ বলিল, 'বসিয়া বসিয়া রহিব কি চিরকাল?
আমি না করিলে কে করিবে আর উদ্ধার এই দেশ?'
তখন সকলে বলিল- 'বাহবা বাহবা বাহবা বেশ।'
নন্দর ভাই কলেরায় মরে, দেখিবে তারে কেবা!
সকলে বলিল, 'যাও না নন্দ, করো না ভায়ের সেবা'
নন্দ বলিল, ভায়ের জন্য জীবনটা যদি দিই-
না হয় দিলাম, -কিন্তু অভাগা দেশের হইবে কি?
বাঁচাটা আমার অতি দরকার, ভেবে দেখি চারিদিক'
তখন সকলে বলিল- 'হাঁ হাঁ হাঁ, তা বটে, তা বটে, ঠিক।'
নন্দ একদা হঠাৎ একটা কাগজ করিল বাহির,
গালি দিয়া সবে গদ্যে, পদ্যে বিদ্যা করিল জাহির;
পড়িল ধন্য দেশের জন্য নন্দ খাটিয়া খুন;
লেখে যত তার দ্বিগুণ ঘুমায়, খায় তার দশ গুণ;
খাইতে ধরিল লুচি ও ছোকা ও সন্দেশ থাল থাল,
তখন সকলে বলিল- 'বাহবা বাহবা, বাহবা নন্দলাল।'
নন্দ একদা কাগজেতে এক সাহেবকে দেয় গালি;
সাহেব আসিয়া গলাটি তাহার টিপিয়া ধরিল খালি;
নন্দ বলিল, 'আ-হা-হা! কর কি, কর কি! ছাড় না ছাই,
কি হবে দেশের, গলাটিপুনিতে আমি যদি মারা যাই?
বলো কি' বিঘৎ নাকে দিব খত যা বলো করিব তাহা।'
তখন সকলে বলিল – 'বাহবা বাহবা বাহবা বাহা!'
নন্দ বাড়ির হ'ত না বাহির, কোথা কি ঘটে কি জানি;
চড়িত না গাড়ি, কি জানি কখন উল্টায় গাড়িখানি,
নৌকা ফি-সন ডুবিছে ভীষণ, রেলে 'কলিসন' হয়;
হাঁটতে সর্প, কুকুর আর গাড়ি-চাপা পড়া ভয়,
তাই শুয়ে শুয়ে, কষ্টে বাঁচিয়ে রহিল নন্দলাল
সকলে বলিল- 'ভ্যালা রে নন্দ, বেঁচে থাক চিরকাল।'
বাংলা ব্লগে এটি আমার প্রথম লেখা। সমাজের অসংগতি গুলো তুলে ধরা আমার লক্ষ্য। তাই প্রথমে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের কবিতা দিয়ে শুরু করলাম।
©somewhere in net ltd.