নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রামগরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা

ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে আগুন জ্বালো। একলা রাতের অন্ধকারে আমি চাই পথের আলো ॥ ►►নিরুদ্দেশের পথিক আমি।

রামগরুড়ের ছানা

রামগরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা, হাসির কথা শুনলে বলে, "হাসব না-না, না-না"। সদাই মরে ত্রাসে- ঐ বুঝি কেউ হাসে! এক চোখে তাই মিটমিটিয়ে তাকায় আশে পাশে। ---------সুকুমার রায়

রামগরুড়ের ছানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্যারিয়ার ভাবনা: পাখি পালন

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:০২





পাখি পোষা নিয়ে আছে সবারই কমবেশি আগ্রহ। সকাল থেকেই ঘরের পাশে রংবেরঙের পাখির কলকাকলি কে না শুনতে চায়? তবে এই পাখি পোষাকে শুধু শখই নয়, পেশা হিসেবেও নিতে পারেন আপনি। আপনার ছাদ কিংবা বারান্দায় করতে পারেন এই পাখি পোষার ব্যবসা।

যেভাবে শুরু করবেন: এ ব্যবসা শুরু করতে চাইলে প্রথমেই কিনতে হবে পাখির খাঁচা। ১০০০-১৫০০ টাকার মধ্যে পাবেন সুন্দর সব খাঁচা। তবে পাখিদের জন্য স্টিলের জিআই তারের খাঁচাগুলো আরামদায়ক হয়। এরপর কিনতে হবে পাখি। প্রথমে কোয়েল , ককাটেল, লাভ বার্ড, কাকাতুয়া পাখি নিয়েই শুরু করতে পারেন ব্যবসা। চার-পাঁচ মাস বয়সী এক জোড়া ককাটেল পাখির দাম পড়বে ১০০০-১৫০০ টাকা, কাকাতুয়া পাওয়া যাবে ১৬০০-২০০০ টাকার মধ্যে। আর সবচেয়ে কম দামে পেতে পারেন লাভ বার্ড, এক জোড়া ৬০০ টাকা। খাঁচা এবং পাখির জন্য যেতে হবে ঢাকার কাঁটাবন পশুপাখির মার্কেটে।

পাখির খাবার : এরপর পাখির জন্য খাবার কিনতে হবে। এসব পাখি সাধারণত ধান, সূর্যমুখীর বিচি, কুসুম ফুলের বিচি খেয়ে থাকে। প্রতিদিন এক জোড়া পাখি ৫০-৬০ গ্রাম খাবার খেতে পারে। সে হিসেবে এক কেজি খাবার দিয়ে চলে ২০ দিন। ধান এক কেজি ২০ টাকা। সূর্যমুখীর বিচি মৌসুমের সময় ১৫-১৬ টাকা, আর অন্য সময় ৫০-৬০ টাকা কেজি। কুসুম ফুলের বিচি মৌসুমে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে কিনতে পারবেন। আর অন্য সময় এর দাম হতে পারে ৫০-৬০ টাকা কেজি। এই খাবারগুলো কাঁটাবন, ঠাঁটারিবাজার, সাভার, রায়েরবাজার আড়ত ছাড়াও বড় বাজারেও পাওয়া যাবে।

কত দিন পুষবেন : রকমভেদে একটি পাখি ৬-১২ মাস বয়সে ডিম দেয় এবং ডিম ফুটাতে ২০-২৫ দিন সময় নেয়। একটি পাখি দুই মাস অন্তর ডিম দিতে পারে। একসঙ্গে একটি পাখি তিনটি থেকে ছয়টি ডিম দেয় এবং এরপর সেই ডিম ফোটার পর বাচ্চাটিকে আরো চার-পাঁচ মাস পর পাইকারি দরে বিক্রি করতে পারেন।

অসুখ-বিসুখ : পাখিদের জন্য মানানসই এমন পরিবেশ সৃষ্টি করেই পাখি পুষতে হবে। কোনো কোনো পাখির যেমন বেশি গরম লাগে, তেমনি কোনো কোনো পাখির জন্য পর্যাপ্ত ঠাণ্ডা পরিবেশও সৃষ্টি করতে হয়। আর পাখিদের সাধারণত যে অসুখটি লেগে থাকে সেটি হলো ঠাণ্ডা রোগ। এ রোগের জন্য ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে হয় কসেমিক প্লাস। এ ছাড়া দূষিত পানি বা নোংরা খাবারেও এরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।

বিক্রি : পাখি পোষার জন্য যে দোকান থেকে কিনবেন, ইচ্ছা করলে সেখানেই বিক্রি করতে পারেন(কাঁটাবন পশুপাখির মার্কেটে)। চার-পাঁচ মাস বয়সী একটি পাখির দাম হতে পারে ২৫০-৩০০ টাকা।

▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀ ▀

সততা, নিষ্ঠা আর দেশপ্রেম থাকলে যে কোন কাজেই সফলতার আসবে। আপনার সুন্দর ভবিষ্যত কামনা করছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.