![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রামগরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা, হাসির কথা শুনলে বলে, "হাসব না-না, না-না"। সদাই মরে ত্রাসে- ঐ বুঝি কেউ হাসে! এক চোখে তাই মিটমিটিয়ে তাকায় আশে পাশে। ---------সুকুমার রায়
বাংলার এক অমূল্য সম্পদ হচ্ছে 'সুন্দরবন'
প্রতিটি সামুদ্রিক সাইক্লোনের হাত থেকে এই সুন্দরবন বারবার আমাদের রক্ষা করেছে। উন্নয়ন আর চিংড়ির ঘেরের আগ্রাসনে আমরা আমাদের এই প্রাকৃতিক সম্পদকে ইতিমধ্যেই সংকুচিত করে ফেলেছি। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলের চকোরিয়া সুন্দরবন এখন আমাদের কাছে কেবলই স্মৃতি। দক্ষিণ উপকূলে সুন্দরবনের অবশিষ্টাংশও আজ চরম হুমকীর মুখে। দেশের সকল মানুষকে অন্ধকারে রেখে সুন্দরবনের বিশাল এলাকা ধ্বংশ করে রামপালে ভারতীয় কোম্পানী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। সেই সাথে বিশাল এলাকা জুড়ে হবে প্রমোদ কেন্দ্র। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস একদিকে যেমন অবশিষ্ট সুন্দরবনকে ধ্বংশ করবে, অন্যদিকে বানিজ্যিক প্রমোদকেন্দ্রের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সুন্দরবনের স্বাভাবিক জীববৈচিত্র। গতকাল এই বিষয়ে যে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
১/ বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ);
২/ চুক্তির বাস্তবায়ন (আইএ); এবং
৩/ সমতাভিত্তিক (৫০:৫০) যৌথ চুক্তি (জেভিএ)
যে প্রতিষ্ঠান খোদ ভারতে এই ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিবেশগত অনুমতি পায় না। সেখানে আমাদের দেশে এই প্রতিষ্ঠানটি কেমন করে কাজ করার অনুমতি পায়? দেশপ্রেমিক জনগণ এখনই সুন্দরবনকে রক্ষার জন্য ঐক্যব্দ্ধ হন। যে কোন মূল্যে আমাদেরকে এই প্রাকৃতিক বেষ্টনীকে রক্ষা করতে হবে।
©somewhere in net ltd.