নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শখের অখ্যাত অক্ষরজীবি হয়ে লিখি বাউন্ডুলে মনের এলোমেলো কথাগুলো।।জীবন ফুরালে সময়ের নির্মম অত্যাচারে হয়তো আজকের লিখাগুলো রূপ নিবে ধূসর পান্ডুলিপিতে,নয়তো কোনো ডায়েরির ছেড়া পাতায়!!সেদিনও আমি বেচে থাকবো লিখাগুলো বিবর্ণ অক্ষর হয়ে!!

মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন পারবেজ

মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন পারবেজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

!!অবাক তারুন্য!!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

আমাদের চতুর্দিকে চেতনাধারীদের কমতি নেয়।
ফেবুর ভেতর কিংবা বাইরে,গলির চিপা কিংবা মোড়ে,বাস্তব জীবনের প্রতিটি কদমে কদমে চেতনাধারীদের ছায়া আমাদের প্রতিনিয়ত মাড়াতে হয়।সেটা কদাচিত্‍ ইচ্ছে করেই মাড়াতে হয়,যখন যাওয়ার আর কোনো পথ না থাকে।
নতুবা কোনো কেউ খুব সহজে,কিংবা ইচ্ছে করেই চেতনাধারীদের ছায়া মাড়ান না,মাড়াতে চান না।
.
একটু খেয়াল করুন।
আপনি অনেক দিন ধরে সাপ্তাহিক জুমা ছাড়া নিয়মিত নামাজ পড়েন না।
এখন বাসায় মা-বাবার বকুনি খেয়ে যেই না নামাজ পড়ে বের হলেন ঠিক তখনিই চেতনাধারীদের চেতনা জেগে উঠে।
আপনাকে ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক কথা শোনানোর প্রতিযোগিতায় নামতে মরিয়া হবেই।
সেটা ভার্চুয়াল কিংবা বাস্তবিক।
.
আপনাকে ভাল কাজে উত্সাহিত করার লোক হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া পাবেনই না।
আপনি একটা ভাল কাজ করলেন,কাজ শেষে যখন সবাই হাততালিতে ব্যস্ত ঠিক তখনই চেতনাধারীরা সেই কাজের খুত ধরতে চাইবেই চাইবে।
.
ধরুন আপনি আপনার চুলের স্টাইল নিয়ে খুব সজাগ।
আপনি চুলে সুন্দর একটা স্পাইক দিয়ে ঘর থেকে বেরুলেন ঠিক তখনি চেতনাধারীদের পেঠে হজম হওয়া ভাতগুলো চাউল হয়ে যাবে।
চোখে ডাক্তারের পরামর্শ মতে চশমা পরিধানের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।
.
আপনি আপনার এলাকার জ্ঞানী,গুণী,বড়ভাই,রাজনীতিবিদ,ক্রীড়াবিদ,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাথে আপামর জনসাধারন নিয়ে কোনো মিলনমেলা কিংবা সবাই মিলে এককাপ চা খাওয়ার বন্দোবস্ত করবেন,ঠিক তখনি কিছু অতি উন্নত চেতনাধারী সেখানে বিভিন্ন স্বার্থ খুজতে যাবে,অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়,তারা অতি আবেগপ্রবণ হয়ে সব কিছুতেই রাজনীতি খুজতে হন্য হয়ে উঠে।
.
অনেকে তাদের চুচীল কিংবা সমালোচক বলেন।
কিন্তু আমার দৃষ্টিতে ওইগুলা আমড়া কাঠের ঢেকি।
অকর্মক সংঘের আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত সভাপতি।
তাদের কাজ শুধু সমালোচনা করে যাওয়া।
সেটা ভাল কিংবা খারাপ।
হাততালির বদলে খুত ধরাতে উস্তাদ তারা।
.
আমার কাছে তাদের খুব একটা ভাল লাগেনা।
আমার নির্বাচিত মূল একাদশে তাদের কখনও স্থান দিতে পারিনা,তারা থাকে পচিশ সদস্যের দলে।
তবে কিছুদিন আগে আমার জনৈক বন্ধুর একটা কথা শুনে তাদের পনের সদস্যের দলে অন্তর্ভুক্তি দিলাম।
.
বন্ধুর কথাটি ছিল:"সমালোচনা ছাড়া কোনো কাজ আলোচনায় আসে না"
কথাটি খুব বেশীই সঠিক।
সমালোচকরা তাদের সমালোচনা করেই যাক।
.
তাদের নিয়ে আমি দুই-চার লাইনের একটা কবিতাও লিখেছি।
কবিতাটি:"বাছা থেমে থেকো নাকো ভয়ে,
পাছে লোকে যদি যদি কিছু বলে?
তারা বলে যাক তাদের যা খুশি,
আপন গতিতে এগিয়ে চলো
সারা দিন-মান নিশি।"
.
সমালোচক,চেতনাধারীরা বেচে থাকুক চিরকাল,তারা যেন সমালোচনার মাঝে আমাদের কাজের খুত বের করে দিয়ে আমাদের কাজগুলোকে আরো সুন্দর,গোছালো ও পরিপূর্ন করার সুজোগ করে দেই।
.
ওরা ওদের পরগাছা স্বভাব নিয়ে এগুক,আর আমরা এগুবো ক্ষীপ্র চিতা,নতুবা কক্ষচ্যুত উল্কা,কিংবা নজরুল,সুকান্তের তারুন্যের জয়গান গেয়ে।
.
জয় হোক আমাদের,জয় হোক তারুন্যের।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ওরা ওদের মায়ের পুটু দিয়া জন্ম নিছে!
সরি মুখের ভাষা খারাপ করলাম। X((

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন পারবেজ বলেছেন: শুনতে খারাপ লাগলেও তাদের খারাপ ভাষায় ব্যবহার শ্রেয়!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.