![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে সাহিত্যের একনিষ্ঠ পাঠক ভাবি। পড়িই বেশী। মাঝে মাঝে লেখার ব্যর্থ চেষ্টা করি।
সৃষ্টিকর্তার সিংহাসন' হচ্ছে ইব্রাহিমীয় ধর্ম বিশেষ করে ইসলাম, খ্রিস্টান এবং ইহুদি ধর্মে বর্ণিত পরম প্রভুর অবস্থানস্থল। মুসলমানগণ এটাকে বলে আল্লাহর আরশ (আরবিতে আল-আরশ), খ্রিস্টানদের কাছে থ্রোন অব গড এবং ইহুদিদের কাছে আরাবতনামে পরিচিত। পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহে সৃষ্টিকর্তার সিংহাসনের কথা বলা হয়েছে। এটি সপ্তম স্বর্গের (বেহেশত) পরে অবস্থিত।
ইসলাম ধর্মঃ
ইসলাম ধর্মমতে আরশ মঞ্জিল ( আরবীঃ العرش ইংরেজীঃ Al-ʿArsh) হচ্ছে আল্লাহ সুবহানু তায়ালার সব থেকে বড় সৃষ্টি। মুসলমানগণ বিশ্বাস করেন আল্লাহ তার ক্ষমতার নিদর্শন স্বরূপ আরশ মঞ্জিল সৃষ্টি করেছেন। আল কোরআনের ২৫ জায়গায় আরশ মঞ্জিলের উল্লেখ আছে। যেমন ২৩ নম্বর সুরা আল-মুমিনুন এর ১১৬ নম্বর আয়াতে (বাক্য) বলা হয়েছে, বস্তুতঃ আল্লাহ মহিমান্বিত, মহারাজাধিরাজ, চিরন্তন সত্য; তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই; তিনি সম্মানিত আরশের অধিপতি।"
যারা আরশ বহন করে আর যারা এর চতুর্পাশে অবস্থান করছে তারা সদা প্রভুর প্রশংসায় জপতপ করছে এবং তার প্রতি বিশ্বাস এনেছে...... সুরা আল মুমিন, আয়াত ১৭
আর তুমি দেখতে পাবে যে ফিরিশতারা আরশের চতুর্দিক ঘিরে রয়েছে, তাদের প্রভুর প্রশংসায় জপতপ করছে, এবং তাদের মধ্যে বিচার-মিমাংসা করা হবে সততার সাথে, আর বলা হবে-সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্বজগতের মালিক-আল কোরআন, সুরা আজ-জুমার, ৩০ নং সুরা, আয়াত ৭৫
আল কোরআনে আল্লাহর সিংহাসন বা কুরসি নিয়ে সুরা বাকারায় কুরসি নাজিল হয়েছে। এই আয়াতে আল্লাহর বিখ্যাত নাম আল-হাই, আল-কাইয়ুম[৫] এর কথা বলা হয়েছে। হাদিসে আছে, রসুল (সঃ) বলেছেন, প্রতি নামাজের পর যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে তার পুরষ্কার জান্নাতএবং এটা পাঠ করলে শয়তানের হাত থেকে পরিত্রাণ লাভ করা যায়।হাদিস থেকে জানা যায় আরশ মঞ্জিলের অবস্থান সর্বোচ্চ বেহেশত জান্নাতুল ফিরদাউসের উপরে যেখানে রোজ হাশরের বিচারের পর আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের সান্নিধ্যে অবস্থান করবেন।
খ্রিস্টান ধর্মঃ
নতুন বাইবেল বা নিউ টেস্টামেন্টে থ্রোন অব গডকে কয়েক রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। দাউদের সিংহাসন, থ্রোন অব গ্লোরি, থ্রোন অফ গ্রেস এবং আরো অনেক। ইহুদি ধর্মে বর্ণিত স্বর্গকেও" নতুন বাইবেলে গডের সিংহাসন হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
ইহুদি ধর্মঃ
মিকাইয়াহ (১ রাজা ২২, ১৯), ইসাইয়া (ইসাইয়া ৬), ইজিকিয়েল (ইজিকিয়েল ১)) এবং দানিয়েল (দানিয়েল ৭,৯) সবাই ঈশ্বরের সিংহাসনের কথা উল্লেখ করেছেন।
হিন্দু ধর্মঃ
হিন্দু ধর্মের বৈষ্ণব মতে ভগবান বিষ্ণুর সিংহাসন হচ্ছে শেষ(সংস্কৃতঃ शेष) বা শেষাঙ্গ(शेषनाग)। শেষ'কে অনেক সময় অনন্ত শেষ বা আদি শেষ(आदिशेष) নামেও ডাকা হয়। সাধারনত শেষ সম্পর্কে মন্তব্য করা হয় এটি বিশাল দুগ্ধসাগরে ভাসমান একটি সিংহাসন যেখানে বিষ্ণু শুয়ে থাকেন। তিনি কখনো পাঁচ বা সাত মাথা আবার কখনো হাজার মাথা নিয়ে আবির্ভূত হন।
২২ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪
এফ রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ মদখোর।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:০৮
মদখোর বলেছেন: ভালো লিখেছেন