![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে সাহিত্যের একনিষ্ঠ পাঠক ভাবি। পড়িই বেশী। মাঝে মাঝে লেখার ব্যর্থ চেষ্টা করি।
কৃষক গম্ভীরমুখে ছবিটি নিরীক্ষণ করলো। সে এটা উলটে পেছনের অংশ দেখলো, দ্বিতীয়বার সামনের অংশ দেখলো তারপর বিক্রয়কর্মীকে ফিরিয়ে দিলো। এটা কাউন্টারের উপর থেকে পিছলে পড়লো, বার কয়েক পাঁক খেয়ে মেঝের উপর উপরের দিকে মুখ করে পড়লো।
বিক্রয়কর্মী এটা তুলে ধূলা ঝেড়ে ফেললো। খুব যত্নসহকারে প্রায় আলতো করে ধরে সে এটাকে ওয়ালেটে পুরে রাখলো। এটার উপর ক্ষণিকের জন্য ওয়েট্রেসের চোখ পড়া মাত্র উজ্জ্বল হয়ে উঠলো।
“চমৎকার,” চোখের পলক ফেলে বিক্রয়কর্মী পর্যবেক্ষণ করলো। “তুমি কি এটাই বলতে না?”
ওয়েট্রেস কাঁধ ঝাকালো। “আমি জানিনা। আমি ডেনভারে এরকম অনেক দেখেচ্ছি। পুরো এক কলোনি।”
“আরে ওখানেই তো এই ছবিটি তোলা। ডেনভার ডিসিএ ক্যাম্পে”,
“কেউ বেঁচে আছে?” কৃষক জানতে চাইলো।
বিক্রয়কর্মী কর্কশস্বরে হেসে উঠলো। “আপনি মজা করছেন?” সে হাত দিয়ে ছোট তীক্ষ একটি শব্দ করলো। “একটাও না”।
সেখানকার সবাই তাদের কথা শুনছিলো। এমনকি বুথে বসা উচ্চবিদ্যালয়ের বাচ্চাদুটো নিজেদের হাত ছেড়ে দিয়ে সোজা হয়ে বসেছে, তাদের দৃষ্টি বিস্ময়ে প্রসারিত।
কৃষক বললো, গতবছরে স্যান ডিয়েগোর কাছাকাছি অদ্ভুত ধরণের কিছু দেখা যায়। বাদুরের মত পাখা, পালকের বদলে চামড়া, চামড়া এবং হাড়ের পাখা”।
ইঁদুরমুখো লাল চোখা ট্যাক্সি ড্রাইভার শব্দ করেই বলে উঠলো, “আরে ওটা কিছুই না। ডেট্রয়টে দুই মাথাওয়ালা একটা আছে। আমি একটা প্রদর্শনীতে এটা দেখেছিলাম”।
“সেটা কি জীবিত ছিলো?” ওয়েট্রেস জানতে চাইলো।
“না। তারা এটাকে মেরে ফেলেছিলো”।
“সমাজবিদ্যায়,” উচ্চবিদ্যালয়ের ছেলেটি বলতে শুরু করলো, “আমরা এগুলো অনেক দেখেছি। পাখাওয়ালা প্রজাতি দক্ষিনের দিকে , বড় মাথাওয়াগুলো জার্মানীতে পাওয়া যায়, কদর্য দেখতে, পোকার মত, এবং –”
“সবথেকে খারাপ গুলো হচ্ছে,” বয়স্ক ব্যাবসায়ী লোকটি বলে উঠলো, “ইংরেজ গুলো। তারা কয়লা খনিতে বাস করে। গত বছর পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।” সে তার মাথা ঝাঁকালো। চল্লিশ বছর, খনির গভীরে, বাচ্চা উৎপাদন করেছে এবং বেড়ে উঠেছে। প্রায় একশোর মত হবে। যুদ্ধের সময় যেগুলো বেঁচে যায় তারা মাটির নিচে চলে যায়”।
“সম্প্রতি সুইডেনে নতুন একটি প্রজাতি পাওয়া গেছে,” ওয়েট্রেস বললো। “আমি এই ব্যাপারে পড়েছিলাম। সেখানে লেখা ছিলো এদের কিছু দূর থেকে মন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।”
একজন শ্রমিক বললো, “”এটা হচ্ছে নিউজিল্যান্ড প্রজাতির একটি সদস্য। এরা মনের কথা বুঝতে পারে”।
“মনের কথা পড়তে পারা আর নিয়ন্ত্রণ করা দুটো আলাদা জিনিস,” ব্যবসায়ী বললো। “আমি এটা শুনলেও খুব খুশী কারণ এখানে ডিসিএ আছে”।
“যুদ্ধের ঠিক পরেই তারা একটি প্রজাতির সন্ধান পায়,” কৃষক বললো। “সাইবেরিয়ায়। তাদের বস্তুকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আছে। সাইকোকাইনেটিক ক্ষমতা। সোভিয়েত ডিসিএ সেগুলোকে সরিয়ে নেয়। এখন আর সেগুলোর কথা কেউ মনে করে না”।
মূল লেখকঃ ফিলিপ কে ডিক, অনুবাদঃ এফ রহমান
©somewhere in net ltd.