নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্বিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস

হায় জ্বিন, সোনালী ডানার জ্বিন,এই ভিজে মেঘের দুপুরে তুমি আর কেঁদোনাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে

ফ্রাবী

জ্বীন-তত্ত্ব গবেষক

ফ্রাবী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্বিন জাতির বিস্ময়কর খাদ্য - শুকনা হাড় ও গোবর

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৯

অনেকেই জ্বীনের খাবার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন, এ পোস্টের জ্বিনের খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত দেয়া হল।



হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে উপস্হিত ছিলাম। এমন সময় তাঁর কাছে একটি সাপ এল এবং তাঁর এক পাশে দাঁড়িয়ে গেল।আমি তাকে নবীজীর কাছাকাছি করে দিলাম। সাপটি নবীজীর কানে যেন চুপিচুপি কিছু বলতে লাগল। নবীজী বললেন, ঠিক আছে। তারপর সাপটি চলে গেল। তখন আমি নবীজীর কাছে ব্যাপারটি কি জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, ও ছিল এক জ্বিন। ও আমাকে বলে গেল, আপনি আপনার উম্মত (মানুষ)-দের বলে দিন যে, ওরা যেন গোবর ও হাড় দিযে এসতেন্জা না করে। কেননা ওই দুটো জিনিসে আল্লাহ আমাদের আহার্য রেখেছেন



{ইবনুল আরাবী কাযী}

****************



হযরত শায়খ আবদুল কাদীর জীলানী (রহঃ) হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে তার সঙ্গে তার মুরীদরাও রওনা হন। সেই সফরে তারা যখনই কোন মঞ্জিলে যাত্রা বিরতি দিতেন, তাদের কাছে সাদা পোষাক পরিহিত এক যুবক হাজির হত। কিন্তু সে তাদের সাথে কোন কিছুই খাওয়া-দাওয়া করত না। বড়পীর হযরত আবদুল কাদীর জীলানী (রহঃ) আপন মুরীদদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তারা যেন ওই যুবকের সাথে কথা না বলে।

এভাবে যেতে যেতে তারা এক সময় মক্কা শরীফে গিয়ে প্রবেশ করলেন এবং একটি বাড়িতে উঠলেন।



কিন্তু তারা যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন তখন সেই যুবকটি ঢুকত এবং তারা বাড়িতে ঢোকার সময় যুবকটি বের হয়ে যেত। এটা বেশ কয়েকজনের কাছে আশ্চর্য লাগলেও বড়পীরের আদেশ মতো কেউ তাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে যেতে পারছিলো না।



একবার সবাই বের হয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু একজন তখনও থেকে গিয়েছিলেন পায়খানায়। সেই সময় সেই যুবকটি জ্বীনটি প্রবেশ করে। তাকে তখন কেউ দেখতে পায়নি। সে ঘরে ঢুকে একটা থলি খুলে গোবর-নাদি বের করে খেতে শুরু করে। সে সময় পায়খানা থেকে যাওয়া মুরীদ ওই ঘরে প্রবেশ করে। এবং তিনি সেই জ্বীনকে দেখতে পান। তখন জ্বীনটি সেখান থেকে চলে যায় এবং এরপর আর কখনও তাঁদের কাছে আসেনি।



মুরীদটি এ ঘটনার কথা বড়পীর সাহেবের কাছে উল্লেখ করলে তিনি বলেন, ও ছিল সেইসব জ্বীনদের অর্ন্তগত, যারা রসুলুল্লাহহ (সাঃ) এর মুখে পবিত্র কোরান শুনেছিলেন এবং সাহাবী জ্বীন হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন।

(-আরজাওয়াতুল জ্বান, ইবনু ইমাদ, বাংলা গ্রন্থ জ্বীন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস)

******************



কয়লা কি জিনদের খাদ্য?:

অনেক ফিকাহের কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কয়লা দিয়ে ইস্তেন্জা (শৌচ কর্ম) করা যাবে না। কারণ কয়লা হল জিনদের খাদ্য।



এ প্রসঙ্গে অবশ্য একটি হাদীস এসেছে। হাদীসটি হল :



قدم وفد الجن على رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالوا يا محمد انه أمتك أن يستنجوا بعظم أو روثة أو حممة فإن الله تعالى جعل لنا فيها رزقا قال : فنهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن ذلك.

الراوي: عبدالله بن مسعود المحدث: أبو داود - المصدر: سنن أبي داود - الصفحة أو الرقم: 39

خلاصة الدرجة: سكت عنه [وقد قال في رسالته لأهل مكة كل ما سكت عنه فهو صالح]





জিনদের একটি প্রতিনিধ দল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসল। তারা বলল, হে মুহাম্মাদ! আপনার উম্মত হাড্ডি, গোবর ও কয়লা দ্বারা ইসতেন্জা করে থাকে। অথচ আল্লাহ তাআলা এ গুলোকে আমাদের জন্য খাদ্য হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। হাদীসের বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে এ সকল বস্তু দিয়ে ইসতেন্জা করতে নিষেধ করেছেন। (বর্ণনায় : আবু দাউদ)



জ্বিন পালন করে দারিদ্র বিমোচন

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৪

হেডস্যার বলেছেন: :|| :|| :|| :|| :||

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০০

ফ্রাবী বলেছেন: কোন সমস্যা?

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: জাজাকাল্লাহ! হজরত আলী ইবনে কাসিম বলেন, একবার কাইম বিল হারিস নামক সাহাবীর চাচার এক নিকট বন্ধুর বাণিজ্য সহকারীর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার স্ত্রীর ভ্রাতষ্পুত্র রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসূল জীন জাতির স্থায়ী বসতি কোথায়? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, সন্ধ্যায় যে তারকাকে পশ্চিম আসমানে এবং ভোর রাত্রিতে পুনরায় পূর্ব আসমানের দিকে উদিত হইতে দেখা যায় সেই তারকাতেই জীন জাতির স্থায়ী বসতি।


উল্লেখিত হাদিস শরিফ থেকে ইহাই প্রমাণিত হয় যে আধুনিক বিজ্ঞানীদের এলিয়েনের ধারণাই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কোরআনের আলোকে ১৪০০ বছর আগেই জীন হিসাবে উল্লেখ করে গিয়েছেন।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

ফ্রাবী বলেছেন: জাজাকাল্লাহ

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সাইবার ডাঃ ডেভিলস ডুম বলেছেন: ফ্রাবী ভাই জ্বীন পালতে চাই , সাহায্য করেন

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০১

কাজী রহমতুল্লাহ বলেছেন: হযরত বিলাল বিন হারিস (রাঃ) বলেছেন, আমরা নবীজী (সাঃ)-এর সাথে এক সফরে কোন এক জায়গায় যাত্রা বিরতি দিলাম। তিনি অজু করতে গেলেন। আমি তাঁর নিকট পানির পাত্র নিয়ে গেলাম। সেখানে আমি কিছু লোকের ঝগড়া বিবাদ ও চেঁচামেচি শুনলাম। ওই ধরণের চেঁচামেচি আগে কখনো শুনিনি।

নবীজী (সাঃ) ফিরে আসলে আমি নিবেদন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! আমি আপনার কাছে লোকজনের ঝগড়া-বিবাদ ও চেঁচামেচি শুনেছি। ওই ধরণের আওয়াজ আগে কখনো শুনিনি। নবীজী (সাঃ) বললেন, আমার কাছে মুসলমান জ্বিন ও মুশরিক জ্বিনেরা ঝগড়া করছিল। তারা আমার কাছে আবেদন করল যে, আমি যেন ওদের বাসস্হান ঠিক করে দেই। আমি মুসলিম জ্বিনদের বাসস্হান ‘জালস’ দিয়েছি এবং মুশরিক জ্বিনদের ‘গওর’ দিয়েছি।

আমি (আব্দুল্লাহ বিন কাসীর, রাবী) জিজ্ঞাসা করলাম, এই ‘জালস’ ও ‘গওর’ কী? হযরত বিলাল বিন হারিস (রাঃ) বললেন, জালস মানে বস্তি ও পাহাড়, আর গওর মানে খাদ, গুহা ও সামুদ্রিক দ্বীপ।

{ত্ববারানী কিতাবুল উযমাহ, আবূ আশ-শাইখ, দালায়িলুন নবওয়ত, ইমাম বায়হাকী, মুজ্বমাউজ যাওয়াইদ, ১:২০২, কানযুল উম্মাল, ১৫২৩২}

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৩

ফ্রাবী বলেছেন: জাজাকাল্লাহ

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১০

কসমিক রোহান বলেছেন: ekhanএখানে আপনি গোবর এর কথা বলেছেন। আসলে হবে লাদি। ঠিক গোবর নয়। আর জীনদের খাবার ধরণ মানুষের চেয়ে ভিন্ন। তারা সেগুলো গিলে খেয়ে ফেলেনা। তারা হাড় ও লাদি থেকে বিশেষ খাবার অংশটুকু খায় যা আমাদের অনেকেরই অজানা। আর পৃথিবীতে অনেক আশ্চর্য ঘটনা আছে যার বৈজ্ঞানিক কোন ব্যাখ্যা নেই। বিজ্ঞান, জীন আছে এটাও বলতে পারেনা, নাই ,তাও বলতে পারেনা। আমরা মহাবিশ্বের কতটুকু জেনেছি?
কিছুদিন পর পর এলিয়েন এলিয়েন বলে চেঁচামেচি শোনা যায়। এলিয়েন কি জীন হতে পারে কিনা আমাদের ভাবতে হবে।
আর আমরা অনেক ধরনের আলোক তরঙ্গই দেখতে পাইনা। আমরা কেবল ৩% আলো দেখতে পাই।
মানুষ এখনো জ্ঞানের চরম সীমায় পৌছায়নি। তাই মানুষ প্রমাণ না করে কিছুই বলতে পারেনা।
কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্বন্ধে ধারণা থাকলে বোঝানো সহজ। অসম্ভব কিছুইনা। শুধু পরিবেশ এবং ডাইমেনশন দরকার। আপনি পোষ্ট টা কি চিন্তা করে দিয়েছেন তা সাধারণ জ্ঞানী পাঠক পড়া মাত্রই বুঝতে পারবে।
যা হোক সত্য বুঝার চেষ্টাই আমাদের করতে হবে। পৃথিবিতে সব মানুষের মতামত এক নয়, কারো বলার অধিকার নেই যে, তার মতামত/মতবাদ/বিশ্বাস ১০০% সঠিক। তবে সঠিক পথ খোজাই বুদ্ধিমানের কাজ। সবার জীবনের সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় যদি এসে পড়ে যে নিজের বিশ্বাস আসলে ভুল ছিল, তখন সঠিকটাই বুঝা যাবে।
এই পৃথিবিতে কোন মানুষেরই অহঙ্কার করার মত কিছুই নেই।
অহঙ্কার কারীই সবচে হতভাগা।
সবার সঠিক বুঝ হোক, আমিন।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:২১

ফ্রাবী বলেছেন: লাদি আর গোবর সমার্থক শব্দ।

বাংলায় যদিও লাদি ব্যবহৃত হয় হাতির সাথে আর গোবর গরুর সাথে।
যেমন পাখির ডাক, বাঘের ডাক, কুকুরের ডাকের একেক্টার একেক প্রতিশব্দ ব্যবহার হয়। তবে সবই ডাক। ভাষাগত অলংকারের জন্য একেক ভাবে বলা হয়। তাছাড়া বাংলাদেশের ৯০% অনুবাদে এটাকে গোবরই বলা হয়েছে। কারন গোবর বলতে সবকিছুর পায়খানাই বোঝায়।
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন, সবার সঠিক বুঝ হোক, আমিন।


তবে এটা ঠিক সঠিক পথ খোজাই বুদ্ধিমানের কাজ। সবার জীবনের সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় যদি এসে পড়ে যে নিজের বিশ্বাস আসলে ভুল ছিল, তখন সঠিকটাই বুঝা যাবে। তাই আসুন জ্বিনের পথকে স্বীকার করে নেই। সময় ফুরিয়ে গেলে জ্বীন ঘাড় মটকে দিলে কিছুই করার থাকবে না :'(

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১১

মেসবাহ্ বলেছেন: ভাই এইসব উল্টা পাল্টা হাদিস কেন দেন? কেন নিজের এবং সেই সাথে আরোও মানুষের ঠিকানা জাহান্নামে বানাচ্ছেন? আপনি কি নবীজির এইরূপ কথা শোনেন নাই "যে ব্যাক্তি তার নিজের কথা আমার কথা বলে চালালো বা আমার কথাই পরিবর্তন করলো সে নিজের ঠিকানা জাহান্নামে করে নিলো। "

আপনি যে হাদিস দিসেন সেটাতে কেন পরিবর্তন করেছেন? আপনি আবু দাউদ শরীফের ১ম খন্ডের ৩৯ নং হাদিস পরিবর্তন করে জীবিকার স্থলে খাদ্য বলে চালিয়ে দিসেন। ভাই জীবিকা আর খাদ্য এক জিনিস নয়।

আর আপনার জানার জন্য বলে রাখি জিনদের খাবার হল মিষ্টি আর ফল। ধর্মীয় কোন কিছু সম্পর্কে সঠিক না জেনে ধারণার উপর কিছু বলা মানে নিজেকে ধংস করা।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৩৭

ফ্রাবী বলেছেন: আপনি মিথ্যাচার করছেন। জিনদের খাবার হল মিষ্টি আর ফল এটার পক্ষে একটা হাদিস দেখান।

অন্তত ১ ডজন হাদিস । জাল না খাটি হাদিস আছে গোবর, হাড় ও কয়লার পক্ষে।

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৭

কাজী রহমতুল্লাহ বলেছেন: হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে উপস্হিত ছিলাম। এমন সময় তাঁর কাছে একটি সাপ এল এবং তাঁর এক পাশে দাঁড়িয়ে গেল।আমি তাকে নবীজীর কাছাকাছি করে দিলাম। সাপটি নবীজীর কানে যেন চুপিচুপি কিছু বলতে লাগল। নবীজী বললেন, ঠিক আছে। তারপর সাপটি চলে গেল। তখন আমি নবীজীর কাছে ব্যাপারটি কি জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, ও ছিল এক জ্বিন। ও আমাকে বলে গেল, আপনি আপনার উম্মত (মানুষ)-দের বলে দিন যে, ওরা যেন গোবর ও হাড় দিযে এসতেন্জা না করে। কেননা ওই দুটো জিনিসে আল্লাহ আমাদের আহার্য রেখেছেন।

{ইবনুল আরাবী কাযী}

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৮

ফ্রাবী বলেছেন: মাশাল্লাহ... এরকম আরো হাদীস থাকলে শেয়ার করবেন।

৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:০৫

কাজী রহমতুল্লাহ বলেছেন: হযরত আবূ মালিকাহ (রাহঃ) হতে বর্ণিত, হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর কাছে একটা জ্বিন আসা-যাওয়া করতো। হযরত আয়েশা (রাঃ) তাকে মেরে ফেলার হুকুম দেন। ফলে তাকে মেরে ফেলা হয়। তারপর হযরত আয়েশা (রাঃ) স্বপ্নে সেই জ্বিন কে দেখেন। সে বলে, আপনি আল্লাহর এক মুসলমান বান্দাকে নিহত করালেন। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, তুমি যদি মুসলমান হতে, তবে উম্মত জননীদের কাছে যাতায়েত করতে না। হযরত আয়েশা (রাঃ) কে বলা হয়, ও তো আপনার কাছে সেই সময় যেত, যখন আপনার পোষাক-পরিচ্ছদ ঠিকঠাক থাকতো এবং ও তো কুরআন শোনার জন্যেই যেত। হযরত আয়েশা (রাঃ) ঘুম হতে জেগে উঠে ১২,০০০ দিরহাম সদকাহ করার হুকুম দেন। এবং সেগুলি ফকীর মিসকীনদের মধ্যে বন্টন করে দেয়া হয়।

{কিতাবুল উযমাহ, আবূ আশ্-শায়খ}

৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:০৯

কাজী রহমতুল্লাহ বলেছেন: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণিত আছে যে, তিনি খন্দকের যুদ্ধের দিন জনৈক ছাহাবীকে তার স্ত্রীর কাছে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে দিলেন। কারণ তিনি নতুন বিবাহিত যুবক ছিলেন।

ঘরে ফিরে যুবক দেখলেন, স্ত্রী ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। এ দেখে তিনি তার প্রতি মনক্ষুন্ন হলেন। স্ত্রী বললেন, ঘরে প্রবেশ করুন। ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন বিছানার উপরে একটি সাপ কুন্ডলী পাকিয়ে বসে রয়েছে। সাহাবীর হাতেই ছিল বর্শা। বর্শা দিয়ে সাপকে আঘাত করার সাথে সাথে সাপটি মারা গেল এবং সাপের পাল্টা আক্রমণে উক্ত ছাহাবীও মৃত্যু বরণ করলেন। সাপ এবং ছাহাবীর মধ্যে কে আগে মারা গেল, তা জানা যায়নি।

এই সংবাদ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে পৌঁছার পর তিনি ঘরের মধ্যে বসবাসকারী সাপগুলো মারতে নিষেধ করলেন। তবে পিঠের উপরে রেখা বিশিষ্ট এবং লেজহীন ছোট ছোট সাপগুলো ব্যতীত।

{বুখারী, অধ্যায়ঃ বাদউল খাল্ক}

এই ঘটনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, জিনেরা মানুষের উপরে আক্রমণ করে এবং কষ্ট দেয়। মুতাওয়াতের এবং মাশহুর সনদে বর্ণিত হাদীছে আছে যে, মানুষ কখনো কখনো পুরাতন এবং ধ্বংস প্রাপ্ত বাড়ী-ঘরে প্রবেশ করলে পাথর নিক্ষিপ্ত হয়। অথচ সেখানে কোন মানুষ দেখতে পায়না। কখনো কখনো আওয়াজ এবং গাছের পাতার নাড়াচাড়া শুনতে পায়। এতে মানুষ ভয় পায়। এমনিভাবে আসক্ত হয়ে কিংবা কষ্ট দেয়ার জন্য অথবা অন্য কোন কারণে জিন মানুষের শরীরেও প্রবেশ করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.