| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জয়ের সব কথা হেসে উড়িয়ে দেয়া উচিত হচ্ছে না। যদিও তার মা ঠিক বিপরীত কথা বলেছে, আবার তার একটা অডিও ক্লিপ ভাইরালও হয়েছে৷ কোনো একটা কিছুর ইঙ্গিত বহন করে এসব।
ছাত্রজনতা একটা জুডিশিয়াল ক্যু রুখে দিয়েছে কিছুদিন আগে। বিচারপতিদের ডেকে ওবায়দুল হাসানের ফুলকোর্ট সভার উদ্দেশ্য আসলে কি ছিলো, এটা যথেষ্ট আশংকার বিষয়। ছাত্রদের বিক্ষোভে শেষতক বিচারপতি পদত্যাগ না করলে এখানেও একটা গোল পাকিয়ে যেতে পারতো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইন্ডিয়া তথা বিজেপি ও তাদের আইটি সেল অত্যন্ত অ্যাক্টিভ আর প্রপাগাণ্ডার বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। যত ধরণের ফেইক নিউজ আর ছবি আছে, এগুলো নিয়েই উস্কানিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের পতনের ফলে তাদের ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত একটি বিশেষ ধর্মাবলম্বী লোকদের জানমাল হুমকির মুখে - এমন ইস্যুতে শাহবাগে জোট হয়ে রাস্তা আটকে সমাবেশ করছে, এরা কারা? মুসলমান তথা হুজুরশ্রেণী রাতজেগে তাদের উপাসনালয় পাহাড়া দিচ্ছে, ভাঙ্গচুরে জড়িত আওয়ামী লীগ, এসব জানার পরও এই বিক্ষোভ, কেনো? কোনো সন্দেহই নেই যে এরা আওয়ামী লীগ, দলীয় ব্যানার নিয়ে সমাবেশ করলে সমূহ প্যাদানি খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই সংখ্যালঘু ব্যানারে এসেছে। অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন দেখা এরা বাংলাদেশে বহু আগে থেকেই ভারতীয় হস্তক্ষেপ কামনা করে আসছে। এসবের মাধ্যমে সেই এজেন্ডাই আরো জোরালো করতে চাইছে।
গোপালগঞ্জে গ্যাঞ্জাম করছে আওয়ামী লীগ, এরা তাদের নেত্রীকে ফিরিয়ে আনার শপথ করছে, সেনাবাহিনীকে আক্রমণ করছে, এতটা স্পর্ধা কিভাবে হয়? কঠোর হস্তে এই কুলাঙ্গারগুলোকে দমন করতে হবে।
ঢাকাসহ সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুপস্থিতিতে কিছুদিন আগে হঠাৎ ডাকাতি প্রচুর বেড়ে গিয়েছিলো। এখানেও লিড দিয়েছে যুবলীগ আর শ্রমিক লীগের কর্মীরা। আবার পুলিশ সদস্যরা একযোগে থানা ছেড়ে কর্মবিরতিতে চলে যাওয়াটাও ভালো কিছু ছিলো না। যদিও পরে তারা কাজে যোগ দিয়েছে।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ আর ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। বিশেষ করে, সাবেক ইসি সাখাওয়াত আওয়ামী লীগ টপিকে যথেষ্ট নমনীয়তার সুরে কথা বলার পর তা আরো ঘনীভূত হচ্ছে। বিচারের আওতায় কবে আনা হবে, সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচারের আওতায় আনলে দলই উজাড় হয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে উনি এমন কথা কিভাবে বলেন? মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া বড়ভাইয়ের মতো তিনি বলে উঠলেন, দল গোছান! আর হাসান আরিফ ছিলেন ২০০৭-০৮ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের অন্যতম উপদেষ্টা, যে সরকার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে ভূমিকা পালন করেছিলো মনে করা হয় আর একাধিকবার এই সরকারকে নিজেদের আন্দোলনের ফসল বলেছিলো হাসিনা। সেনাপ্রধান নিজেও আত্মীয় হিসেবে পরিচিত, তিনিসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে থাকা ব্যক্তিদের জন্য আমরা এক মুহুর্তের জন্যও নিশ্চিন্ত হতে পারছি না।
পিনাকী, ইলিয়াসদের যতই গালাগাল করেন না কেনো, দিনশেষে তাদের আশংকাই দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যুদ্ধ আসলেই শেষ হয়নি, চলছে প্রতিবিপ্লবের প্রস্তুতি। এই বিজয় আল্লাহ না করুক, যদি কখনো হাতছাড়া হয়ে যায়, দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে দেশকে আবারও হাবিয়া দোজখে পরিণত করবে সেই দলটি। আওয়ামী লীগকে যারা চেনে, তারা ভালোমতোই জানে যে তাড়িয়ে দেয়া এই হায়েনারা যে কোনো সময়, যে কোনো চেহারায় মরণ কামড় দিতে উন্মুখ! আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
©somewhere in net ltd.