নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়ের প্রেক্ষাপটে তিনটি কথা

২৯ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:২২

⬛ যে কোটা নিয়ে আন্দোলনের জেরে হাজার লোকের জীবন গেলো, সেই কোটা বাংলাদেশের মাটিতে আর থাকার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটার বিলুপ্তি ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনকে স্বাগত জানাই। ইন্টেরিমের বিরল ভালো কাজের একটা হচ্ছে এটা। যদি সম্ভব হয়, নিজ যোগ্যতায় যুদ্ধ করে তারা শিক্ষক হবে। এর ফলে চাকরিক্ষেত্রে নারীর দৌরাত্ম্য কিছুটা হলেও কমবে আর পুরুষের কর্মসংস্থান বাড়বে, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য খুবই ভালো দিক। আর হয়তো সামনে দেখতে হবে না প্রধান শিক্ষকের সাথে বিবাহিতা শিক্ষিকার খালি ক্লাসরুমে নষ্টামি বা পোলাপান ক্লাসে হৈ-হুল্লোড় করছে আর শিক্ষিকা চেয়ারে বসে ক্রুশিকাটায় সোয়েটার বুনছে! আর যদি কোটার মতো স্পেশাল ফ্যাসিলিটির দ্বারা মহিলাদের নিয়োগপ্রাপ্ত হতেই হয়, তাহলে "আমি নারী, সব পারি"৷, " রুখবে আমায় কে?", "What a man can do, woman can do better" - এই জাতীয় কথাবার্তা খালি কলসির ফাঁকা বুলি হিসেবেই পরিগনিত হবে (অবশ্য আগেও ফাঁকা বুলিই ছিলো)।

⬛ মঞ্চ-৭১ নামক কোনো এক ভুইফোড় সংগঠন জুলাই বিপ্লবের সবচেয়ে সোচ্চার ও জনপ্রিয় কণ্ঠস্বর শরীফ ওসমান হাদীকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে বিচার দাবী করেছে! সংগঠনটির নাম আর কাকে টার্গেট করেছে - এই দুইটা দিক একসাথে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলালেই বুঝতে পারবেন যে এরা আর কেউ না, তাড়িয়ে দেয়া দিল্লীর কুকুর ও খু নীদের সংগঠন BAL! এটা সেই দিল্লীর দাস আওয়ামীদের নরমালাইজেশন করারই অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছি। অবিলম্বে এদের দমন না করলে সামনে এরাই দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলবে আর সরকারকে ঝামেলায় ফেলবে। আওয়ামী শুয়োরদের শেষ টিকিটারও খোঁজ পেলেই তাদের পিষে ফেলতে হবে, এখানে কোনো সুশীলতার সুযোগ নেই।

⬛ সালটা মনে নেই, অনেক বছর আগে গামছা কাদের সিদ্দিকীর ভাই আব্দুল লতফ সিদ্দিকী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, হজ্জ্ব ও ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করেছিলো, তারপর আওয়ামী লীগ তাকে বহিষ্কার করেছিলো। এরই মাঝে হাসিনার ছেলে জয়কে নিয়েও তার একটি আক্রমণাত্মক বক্তব্য ভাইরাল হয়। তারপর আওয়ামী লীগের বহিষ্কারাদেশ দেখে লীগাররা বলছিলো, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার কারণে এই বহিষ্কারাদেশ, সবাই হাসিনার বেশ পিঠ চাপড়ে দিচ্ছিলো। কিন্তু ডক্টর তুহিন মালিক তখন মন্তব্য করেন, ধর্মীয় অনুভূতি নয়, জয়ানুভূতিতে আঘাতের কারণেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আবার তখন গ্রেফতারের পর জেলে পোরার সময় সে পকেট গেট দিয়ে ঢুকতে না চাওয়ার ঔদ্ধত্যও দেখিয়েছিলো! এই টিপিক্যাল আওয়ামী শাতিমের ব্যাপারে আবার কথা বলার কারণ হচ্ছে, কুলাঙ্গারটাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তা যে কারণেই করা হোক না কেনো, এটাকে জেলেই পুরে রাখা হোক। উপরের কথাটা আরেকবার বলতে চাই, আওয়ামী দেখামাত্রই ওটাকে চষে দেয়া হোক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.