নুরুল হকের উপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না, সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত!

৩০ শে আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

গণঅধিকারের নুরুল হক নূরের উপর এই পৈশাচিক হা(ম) লা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এর শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। যে কাজটা বিপ্লবীদের এক বছর পূর্বেই করা উচিত ছিলো, তা আজ আবারও বলেকয়ে করাতে হচ্ছে। ওয়াকারুচামার, চুপ্পু, আসিফ নজরুলকে না সরিয়ে দেশে শান্তি আশা করলে ভুল হবে, সেটা আমরা তখনই বলছিলাম। কিন্তু এদিকটা সবার অলক্ষ্যে রয়ে গেছে। এরা লীগ পুনর্বাসনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। লতিফ সিদ্দিকী, মঞ্চ ৭১ এসব তাদেরই সৃষ্টি। খুনিহাসিনাসহ তার চ্যালাচামুণ্ডাদের সেফ এক্সিট এরাই দিয়েছে। জাতীয় পার্টি নিয়ে এতদিন কোনো কথা না ওঠার অবশ্যম্ভাবী ফল গতকালের ঘটনা। লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টির অফিসগুলোও আগেই জয়বাংলা করে দেয়া উচিত ছিলো। এদের কার্যক্রমও ফ্যাসিস্টের দোসর হিসেবে নিষিদ্ধ করে দেয়ার দরকার ছিলো। পুলিশ প্রশাসনে ছাত্রপিগ ও গোপালগঞ্জের গান্ধা রক্ত এখনো বিদ্যমান থাকায় সবার আগে সংস্কার দরকার ছিলো এই সেক্টরে। অথচ কিসের কি? ভিডিও দেখলে বুঝতে পারবেন, আর্মি আর পুলিশে থাকা BAL এর কুকুরগুলো মনের ঝাল মিটিয়ে নুরুল হককে পি টিয়েছে! তাকে ভর্তি হতে হয়েছে আইসিউতে। আর জাতীয় পার্টি বলতে এই মুহুর্তে যা আছে, তা আসলে BAL ই। আওয়ামী ব্যানারে নামতে পারছে না বলে জাপার ব্যানার ব্যবহার করছে।

গত এক বছরে জুলাইয়ের স্পিরিট ন্যুনতম ধারণ না করা এই ইন্টেরিম ও তার অকর্মা উপদেষ্টা পরিষদ উপরের একটা কাজও করতে পারেনি বা ইচ্ছে করেই করেনি। ইলেকশনকে দোলাচলে ফেলে দেখবেন ফেব্রুয়ারী আসলে এরা ঠিকই সেফ এক্সিট নিয়ে পালাবে দেশকে অন্ধকারে রেখে। গাঞ্জা লালন দিবস, স্কুলে মিউজিক টিচার নিয়োগ, জাতিসংঘের অফিস, পুটুকামীদের অধিকার, নতুন করে জমগি ট্রাম্পকার্ড ফিরিয়ে আনা এসব বালছাল সংস্কারই এরা এতদিন করেছে আর করতে বসেছে অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্ত মাড়িয়ে। আর একটা ঘটনা ঘটলে দুই লাইনের নিন্দা ও প্রতিবাদমূলক স্ট্যাটাস দিয়ে দায় সেরেছে। লাভটা তাহলে হচ্ছে কি উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্রদের প্রতিনিধি রেখে?

অলরেডি তাড়িয়ে দেয়া হায়েনারা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। আর্মির ফেসবুক পেইজে গিয়ে কমেন্টগুলো দেখেন, কালকের নগ্ন হা[ম]লার জন্য আর্মিকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দনের বন্যা বয়ে গেছে! আর আশেপাশের BAL এর সমর্থকদের মধ্যে এক ধরণের চাপা উল্লাসও আমি দেখতে পাচ্ছি আজ সকাল থেকে! তাদের ধারণা এটা মাত্র শুরু, সামনে আরো আসছে! কারণ এরা ওয়াকারুচামারের নেতৃত্বে আরেকটা ওয়ান-এলেভেনের আশায় আছে। টেকওভার করে আবার খু নিটাকে ফিরিয়ে এনে তাদের হাতে দেশকে আবার তুলে দেবে - এরা এই খোয়াবে বিভোর। তার আগে নির্বাচন বানচাল করবে আর জুলাই গণহ_ত্যার বিচার বন্ধ করে দেশে একটা গৃহযুদ্ধ (আল্লাহ না করুন) বাধাবে। ফোর্সসহ প্রশাসন তো সেই BAL এর টাই আছে আর ব্যাকআপ হিসেবে ভাঁড়+ত তথা "র" তো আছেই! সেনাবাহিনীকে দেশপ্রেমিক হিসেবে দেখতে চেয়েছিলাম, অথচ এরা ভাড়-তীয় এজেন্টে ভরে গেছে!

যে কথাগুলো বললাম, এগুলো প্রায় সময়ই বলি, নতুন কিছুই নেই। হয়তো শুনতে শুনতে আপনাদেরও খারাপ লাগছে। কিন্তু করার কিছুই নেই। এটাই রিয়েলিটি! বিন্দুমাত্র সংস্কার তো হয়ইনি, উল্টো খু নিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। আওয়ামীর সেকেন্ড টিম বা বি-টিম জাতীয় পার্টি ও গো-কাদেরকে বাঁচাতে পুলিশ-আর্মি এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়বে আর জুলাই সপক্ষের শক্তির নেতাকে এভাবে মা+র-বে, তা কল্পনার বাইরে ছিলো!

নুরুল হককে আপনি পছন্দ না করলেও তার উপর হওয়া এই পৈশাচিকতা আপনার ভাবনার খোরাক হওয়া উচিত। সবাই যেমনটা বলছে, এটা অবশ্যই টেস্টকেস। হাদি, হাসনাত আব্দুল্লাহসহ এখন সবার প্রথম কাজ হওয়া দরকার জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ, জিএম কাদেরকে গ্রেফতার, চুপ্পু-ওয়াকার-আসিফ নজরুলদের অপসারণ আর দেশজুড়ে লুকিয়ে ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা BAL এর শেষ বীজটা পর্যন্ত শেকড়সুদ্ধ উপড়ে ফেলার আন্দোলনে নামা। বিন্দুমাত্র সুশীলতা বা সফট কর্নার এদের প্রতি দেখানো যাবে না। এটাই শেষ সুযোগ, ব্যর্থ হলে আল্লাহ না করুন, দেশে র(ক্ত)গঙ্গা বয়ে যাবে।

Its now or never!

০ টি +০/-০