নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গালীব পাশা (কবি ও ছড়াকার) লেখক নাম, মূল নামঃ মামুনুর রশীদ।

গালীব পাশা

মা কে ভাল বাসুন,মা'ই জান্নাত।

গালীব পাশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

“শোন শিনথীয়া কেমন আছি \\আজ শোনাবো নেতা তুফান নামক লুচ্ছা ফকিন্নী পোলার কাহিনী”

০১ লা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০২


শিনথিয়া,আজকে যে বিষয়ে লিখছি তা লেখার কথা ছিলনা কিন্তু মনের দুঃখে ও সে সাথে ক্ষোভে না লিখে পারছিনা।সিনিথীয়া আমাদের সমাজ যেন দিন দিন রসাতলে যাচ্ছে।লাজ শরম সব উঠে যাচ্ছে।আজ কয়দিনে এদেশে যা ঘটে চলছে তাতে মনে হচ্ছে এদেশ যেন লুচ্ছাদের অভয়রান্যে পরিনত হয়ে গেছে।চার দিকে শুধু লুচ্ছারা কিলবিল করছে।যাদের জন্য সাড়ে তিন বছরের দুধের মাছুম শিশু পযর্ন্ত রক্ষা পাচ্ছে না।সে সাথে চার বছর,ছয় বছরের সহ সব বয়সের মেয়েরা লুচ্ছাদের লুচ্ছামির শিকার হচ্ছে।শুধু কি তাই,লুচ্ছামির পর কোন কোন শিশুকে মেরেও ফেলছে নরপশু লুচ্ছারা।সিনথীয়া,অনেক দিন আগে তোকে পুলিশ অফিসার কহিনুরের বেয়াদবি সম্পকে লিখে ছিলাম।কহিনুর বাপের বয়সি এক মুরব্বিকে ছোড় মেরে দেশে সমালোচিত হয়েছিল।দেশ জুড়ে এ ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।আমার মতো ক্ষুদ্র তরুণ লেখকও তার কায্য কলাপের বিরুদ্ধে সে সময় আটিকেল লিখেছিলাম।ওমা হরে,আজ একি দেখছি? কোহিনুরের বেয়াদবির চেয়ে এ বেয়াদবির কোন যে তুলনাই হয় না।সাড়ে তিন বছরের একটি দুধের মেয়ের প্রতি যার যৌন লালসা হতে পারে তার জন্ম যে এক মস্ত অভিশাফ দ্বারা সংগঠিত হয়েছে তা সহজেই অনুমেয় কিন্তু আমরা যারা (সমাজ,রাষ্ট্র,জনগন)এর কঠোর প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করছিনা তারা কোন ধাতু দিয়ে তৌরী বা আমাদের মানসিকতা কি তারও প্রশ্ন থেকে যায়।সিনথিয়া,আমরা লেখকেরা পড়েছি মহা বিপদে,আমাদের তলোয়ারের এদিকেও কাটে ওদিকেও কাটে।সত্য কথন বলতে গিয়ে আমরা কখনো সরকার,কখনো বিরোধীদল,কখনো রাজাকার-জমাতি,কখনো জঙ্গীদের কোপানলে পড়ি।সত্য এদের যে কারো বিপক্ষে যায় আমরা তাদেরই শত্রু হয়ে যাই।কিন্তু লেখকের কলম বলে কথা,কলম তো নিঃশ্চুপ হয়ে থাকতে পারেনা তাই বিপদ জেনেও লিখতে হয়।সিনথিয়া অদ্য সাড়ে তিন বছরের মেয়েরটির ঘটনা সহ যে ঘটনাটি আমাকে সহ দেশের বিবেকবান মানুষদের নাড়া দিয়েছে তা হল বগুড়ায় শ্রমিকলীগ নামধারী নরপশু নেতা তুফান ও তাদের স্ত্রী,মা বোন সহ সাঙ্গপাঙ্গদের কর্মকান্ড নিয়ে।নেতার লুচ্ছা সাঙ্গরা নোংরা জাল বিস্তার করে এক নিরীহ ছাত্রীকে নেতার কাছে নিয়ে যায় ভাল কোন কলেজে ভর্তি করে দেয়ার জন্য।স্বপ্নের ডানামেলে ছাত্রীটি বিশ্বাস করে নেতার কাছে যায়।নেতা সাঙ্গদের পাহারায় দাড় করিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে জোর করে ছাত্রীটিকে নিয়ে মেতে উঠে আধীম খেলায়।যে মেয়ে জ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখে নেতা মহাশয়ের নিকট গেল সে নেতাই যদি ধর্ষন করে বসে তা হলে দুনিয়াতে আর সভ্যতা বলে কি কিছু থাকে? শুধু কি এখানেই শেষ?এখানে শেষ হলে হয়ত তবুও হয়ত......। না এখানে শেষ নয়,নেতা তার নেতার প্রভাব খটিয়ে এ ঘটনা প্রকাশ করলে এসিড ছুড়ে মেরে ফেলার ও দেশ ছাড়ার হুমকি দেয়, যেন এ দেশ তার বাপ-দাদার ক্রয়কৃত জমিদারীর তাল্লুক।কি আশ্চয্য দেশ সেলুকাস ? এখানে গিয়েও শেষ হয়নি।নোরামি লুকিয়ে থাকেনা, ঘটনা নেতার স্ত্রীর কানে যায়, বেগম সাহেবা তেলে বেগুনে জলে উঠে।সব দোষ গিয়ে পড়ে হতভাগা মেয়েটির উপর।উনার নেতা নামক লুচ্ছা শ্বামীধনের যেন কোন দোষ নেই,সব দোষ ঐ মেয়েরই কিন্তু উনি তো আর জানেন না ফকিরনির পোলা নেতা হলে যত সমস্যা। এক তরকারিতে আর সাধ মিটেনা।চাই বহু পদের বহু তরকারী বহু ধরনের সাধ।সিনথিয়া, এসব ফকিরনির পোলারা নেতা হয়ে দেশ,দশ,জনগন ও তাদের নিজ দলেরই বারটা বাজায়।যাক এ বিষয়ে পরে আসছি।বলছিলাম নিজদের নোঙ্গরা পাপকে ঢাকতে গিয়ে ঐ অসহায় মেয়েটির গাড়ে উল্টো দোষ চাপিয়ে নেতা-নেত্রী,পদ-পদবীর তকমা নিয়ে সবাই মিল মেয়েটি ও তার মাকে মাথা নেড়া করে,নিয্যাতন করে বের করে দেয়।কতবড় মগের মুল্লুকের দেশ ও জালিম হলে এসব করতে পারে তুমিই বলো?অতচ এদেশ মগের মুল্লুক নয়।লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া এদেশ আমাদের।সিনথিয়া,এ লেখা লিখতে গিয়ে আমার খোভ,লজ্জা সে সাথে কষ্ট হচ্ছে এক অসহায় মেয়ের জন্য কিছু করতে পারছিনা বলে এজন্য।সিনথিয়া ,এসব ঘটনাকারিরা এসব ঘটনা করার সাহস পায় কোথায় সে সম্পকে কিছু আলোকপাত না করে পারছিনা।এসব ঘটনাকারিদের ঘটনা ঘটনোর সাহসের জন্য বহুলাংশে দায়ী আমাদের নোংরা রাজনীতি।আমাদের দেশে কিছু নোংরা রাজনিতিবীদরা তাদের ক্ষমতা আর নিজ সবার্থ ছাড়া আর কিছু বুঝেনা।তারা ক্ষমতাতার জন্য নিজ দল তো ছার পুরো দেশটাকেই বিক্রি করে দিতে পারে।এসব নোরা রাজনীতিবীদরা তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সন্ত্রসের আশ্রয় নেয়।কিন্তু ভালো জন্মের পেটের কোন ভালো মায়ের ছেলেরা সন্ত্রাস করেনা।কোটি কোটি টাকার বিনিময়েও তাদের দ্বারা সন্ত্রাস করানো সম্ভব নয় তাই ঐ জ্ঞান পাপী নেতারা খুজে খুজে এ সব হত দরিদ্র ফকিনির পোলাদের বের করে নিজের দলে ভেড়ায়,যা তাদের হাই কমান্ডেরাও জানেনা (পরে হাই কমান্ডেরদেরও এজন্য চরম খেসারত দিতে হয়)।এসব অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত ফকিরনির পোলারা দল ও পদ পেয়ে মাটিতে আর তাদের পা পড়েনা।এদের বাপ যাদের দেখলে আদবের সহিত মাথা নত করে এরা তদের সহিত তুই-তোকারি করে কথা বলে আর বেয়াদবির চরম পরিচয় দেয়।তিন বেলার জায়গায় যেখানে এরা এক বেলা ভাত খেতে পেতনা সেখানে এরা প্রতিবেলায় বিনে পয়সায় ভালো দোকানে গিয়ে নেতা পরিচয় সে সাথে সন্ত্রাসি কায়দায় কোরমা বিরিয়ানী দ্বারা পেট পুরায়।এদের ছনের ভাঙ্গা ঘর দেখতে না দেখতে বহুতল ভবনে পরিনিত হয়।এদের আশ্রয় দাতারা নিজ সবার্থে এসব দেখেও না দেখার ভান করে।এদের ভাড় এত বেড়ে যায় যে শেষ পর্যন্ত এরা সব রকম আ-কর্ম,কুকর্ম করতেও একটুও ভয় পায়না।তারা জানে যে তাদের গড ফাদাররা তাদের রক্ষা করবে।আর করেও।মাঝে মাঝে দু-একটা ঘটনা কোন প্রকার প্রকাশ হলে আমরা তা মিডিয়ার মারফতে জানতে পারি।আর এই হল এসব ঘটনাকারি নোরা নেতাদের ঘটনা ঘটানোর সাহসের প্রধান কারন।সিনথিয়া,বগুড়ার শ্রমিকলীগ নামধারী যে নেতা এ নোরামীর সাথে জড়িত মিডিয়ার কল্যানে আমরা জানতে পেরেছি সেও আমার বর্ননা কৃত ফকিরনির পোলাদেরই একজন।তার সহযোগীরাও তেমন।যারা এখন নিজ পাপের প্রায়চিত্তে জেলখানায় সদ্য বন্ধী হয়েছে।সিনথিয়া,দেশের যে বড়দলের এ নেতা এমন কান্ড করলো তাদের হাই কমান্ড নিশ্চয় তাদের এসব করতে বলেনি,কিন্তু তারা এর সব দায় এড়াতে পারেনা।ওদের উচিত চিরুনি অভিযান চালিয়ে দল থাকে এসব লুচ্ছাদের বের করে দলকে পরিশুদ্ধ করা।তারা কি তা করবে ?আমরা আশা করি তারা তাই করুক।আর মেয়েটি ও তার মাকে সন্মানের সহিত রাষ্ট্রীয় ভাবে পুনবাসন করা হোক।মেয়েটিকে একটি ভালো কলেজে ভর্তি করে রাষ্ট্র তার ব্যয় ভার বহন করুক।সরবপরি কারাগারে আটক লুচ্ছা ও লুচ্ছনিদের এমন শাস্তি প্রদান করা হোক যা দেখে এসব লুচ্ছারা দল থেকে নিজ থেকেই বের হয়ে গঙ্গাজলে ডূবে মরে আর এমন নোরামি দুঃসাহস দেশে যেন আর কেউ না দেখায়।সিনথিয়া,প্রার্থনা করিস আমাদের এ চাওয়া যেন পুরন হয়।তুফান নামক লুচ্ছা-বদমাইশ,সন্ত্রাসি,মাদক-হিরোইন,চোরাচালানি ফকিরনির পোলাদের এখনই যদি দমন কারা না হয় তাহলে দেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা খুবই ভাববার বিষয়।
রচনাকালঃ০১/০৮/২০১৭ইং



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: এই ভাবে শাস্তি কার্যকর করা দরকার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.