![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগামীকালের দিনটা বাকি আছে। না? ধুর!! আগামীকাল কি হবে ঐটা নিয়া তো যথেষ্ট তথ্য নাই বোকা । ঐটার জন্য হা করে তাকাস না । ঐটা রহস্য । গত হয়ে গেল যে দিনটা ঐটা ইতিহাস । ঐটা নিয়া পড়ে থাকলে চলবে ?? তবে জেনে রাখ আজকে যে দিনটা চলে যাবে এটাই তোর পালা। সো বুঝে নে কি করা দরকার ☺ ☺........... ░░░░░░░░░░░░░░░░░ (gamechangerbd.blogspot.com)
(সবগুলো পর্বই দেয়া হলো এবার একসাথে)
♋ লিওডেনাস ও রাণী থিওসী
মহীয়সী নারী থিওসী অ্যারিপাস। রাজপরিবারের মেয়ে তিনি। অত্যন্ত অমায়িক ব্যবহার, বুদ্ধিমত্তা ও দৃঢ় মনোভাবের জন্য তিনি বিঃখ্যাত হয়েছেন গত কয়েক বৎসর যাবত। মহামান্য রাজা যেই সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যর্থতার আশংকা করেছিলেন এবং ভাল নির্বাহী কর্মকর্তার খরায় ভুগছিলেন সেগুলোর অর্ধেক তিনি রাণীকে দিয়ে দিয়েছেন। নাগরিক-তন্ত্রের জন্য যেসব প্রজা আন্দোলন করা শুরু করেছিল সেটা থিওসীর শান্ত মষ্তিষ্কের বুদ্ধি না থা থাকলে স্পার্টা, এথেন্সের ন্যায় কিং থিওডক্সাসের রাজ্যেও নগর রাজ্য প্রতিষ্টিত হয়ে যেত।
কয়েক ঘন্টা পরেই সূর্যদেব ওঠবেন, এবং ৩'রা মার্চের দিন শুরু হবে। থিওসীর স্বামী কিং থিওডক্সাস সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন ঠিক ৩ বছর আগের এই তেসরা মার্চে। রাতভোর সময়। ঝলমলে চাঁদ পশ্চিমাকাশে নিজেকে খুইয়ে ফেলেছে মধ্যরাতের আগেই তাই একেবারেই ঘুটঘুট অন্ধকার এখনো। হপলাইট(সৈন্য/দেহরক্ষী) লিউওডেনাস হঠাৎ অস্ফুট ধ্বনি শুনল। সে নিঃশ্চিত এটা মহীয়সী থিওসী'র কন্ঠ। নিশ্চয়ই কোন গোলমাল হয়েছে। প্রাতঃবেলায়ই তুর্যধ্বনি শোনার কথা। আর রাণীর কিছু হলে অবস্থা শেষ।
সাধারণত রাণীর অনুমতি ছাড়া লিওডেনাস বাসকক্ষে প্রবেশ করে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এ বিপদজনক মুহুর্তে তাকে যেতেই হবে। তাই সে সংকোচবোধ রেখেও তৈলবাতি হাতে দ্রুতপায়ে এগিয়ে গেল।
ততক্ষণে প্রায় নগ্ন থিওসী ফুলশয্যায় উঠে বসেছেন। পরিচর্যাকারীণীগণও কেউ জেগে নেই। রাণী তাঁদের কাউকেও ডাকছেন না। তাঁর বক্ষযুগলও সম্ভবত উন্মুক্ত কারণ পেছন দিকটা পুরোপুরি খালি এবং তিনি ঘেমে গেছেন। তৈলবাতির শিখায় গৌর পিঠদেশে ঘামের বেশ বড় বড় বিন্দুগুলো লাল আলো প্রতিফলন করছে। মহামান্য রাণীকে এ অবস্থায় দেখে প্রৌঢ় লিউওডেনাস মাথা নিচু করে ফেলল। সে অবনত মস্তকে জিজ্ঞেস করলো
☞ আদেশ শিরোধার্য। মহারাণী আমার মস্তক আপনার পদতলে অর্পিত।
মহামান্য থিওসী কিছু বললেন না। স্ব বক্ষদেশ চিলতনের(জামা) একটা অংশ দিয়ে আপাত আবৃত করে পানি পানের ইংগিত করলেন।লিওডেনাস মনে মনে চিন্তা করছে তাঁর স্ত্রী এলিসার সমবয়সী হবেন মহীয়সী এ নারী। উজ্জল গৌরবর্ণের রাণী এ রাজ্যের সবচেয়ে জ্ঞানী অথচ দুর্বল বাহু সম্পন্ন নিষ্টুর একজন নারী। রাজ্যে কোনসময় বিদ্রোহ দেখা দিলে সে রাণীকে নিয়ে কোথাও পালিয়ে যাবে। প্রয়োজনে মেসিডোনিয়ার* গ্রামে গিয়ে স্থায়ী বাসস্থাপন করে ফেলবে।
লিও যখন এইসব ভাবছে ততক্ষণে রাণী থিওসি এক মটকা পানি গোগ্রাসে গিলে ফেললেন যেটা লিওডেনাসের কাছে বেশ অস্বাভাবিক মনে হলো। সে গর্দভের মতো তখনও দাঁড়িয়ে থাকল। রাণী তাঁকেও যেতে বলছেন না। পানি পান করে তিনি অবশের মতো চুপটি করে বসে থাকলেন। তাঁর অজান্তেই বক্ষদেশ থেকে চিলতনের অংশটুকু পড়ে গেল। লিও বেশ খানিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর তিনি উঠে দাঁড়ালেন। বিশ্বস্ত লিওডেনাস তখনও মাথা নিচু করে আছে।
রাণী নিঃসংকোচে পাশে রাখা স্ট্যান্ড থেকে স্ট্রফিন পরে নিতে চাইলেন। তিনি সম্পুরণ অনাবৃত হয়ে এক মুহুর্ত আড়চোখে খেয়াল করলেন লিও তাঁর দিকে তাকাচ্ছে কি-না। যথারীতি সে তাকায় নি দেখে আশ্বস্ত হলেন।
লিওডেনাস নিজেকে ধৈর্য্যবান হিসেবে দেখার শপথ নিয়েছে। সে চায় না রাণীর সাথে সংগমে লিপ্ত হয়ে তাঁর মাথাটি দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হোক। কিন্তু অন্যান্য দিনের মতো আজও নিষ্টুর থিওসী তাঁকে যন্ত্রণা দেয়ার মতলবে নিজের দেহাংশবিশেষ কৌশলে দেখিয়ে ছাড়লেন। সে আড়চোখে এখনো দেখছে থিওসী তার দিকে চেয়ে মৃদু হাসছেন। সে ভেতরে ভেতরে ক্রোধে জ্বলছে আর রাণী সেটা বুঝেই হাসছেন। এই বালিকার বয়স বড়জোর ২৫-২৬ হবে। অথচ কি নিষ্টুরতা এই রাণীর মনে। স্কিইরোস রাজ্যের সবাই জানে রাণী মহীয়সী। অথচ আমি জানি রাণী থিওসী অ্যারিপাস কতটা নিষ্টুর।
☞ যাও। আমি আজ আর ঘুমাবো না। কিং থিও কি করছেন আমাকে জানাও।
☞ যথা আজ্ঞা, মহারাণী।
যাবার সময় লিও উভয় কানে শুনল নিষ্টুর রাণীর অট্রহাসি। এই হাসির কারণ সে জানে। সে রাণীকে ১০১ বার অভিশাপ দিতে দিতে কিং থিওডোরের একান্ত সচিব ও দেহরক্ষী অলিপের কাছে গেল। অলিপ তাকে জানাল কিং এখনো ঘুমে আছেন।
থিওসীর কক্ষে আবার যখন সে যাবার অনুমতি প্রার্থনা করল, ততক্ষণে রাণীর সহচারীণী দলের প্রধাণ আর্কেনিক্সা পথ আগলে বললেন-
☞ রাণী আমাকে জানানোর জন্য বলেছেন। মহামান্য কিং কি করছেন?
☞ মহামান্য কিং এখনো ঘুমন্ত।
☞ যাও দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে থাক। আর তোমার সময় শেষ হলে গ্রেগজি আসবে তাই না?
☞ ও তো স্বপ্নের তাবির বলতে পারবে তাই না?
☞ হ্যাঁ মহান আর্কেনি।
☞ ঠিক আছে। তুমি এখন যাও।
♋ গ্রেগজি
লিওডেনাস চলে গেছে। গ্রেগজি এসে পৌছার পরপরই তাঁকে রাণীর সুসজ্জিত অন্তঃ দরবার কক্ষে ডাকার কথা। এই লোকটি একই সাথে একজন সৈন্য, দর্শন বিষয়ক জ্ঞানী ও জ্যৌতির্বিদ।
শাশ্রুমন্ডিত গ্রেগ এই প্রথম রাণীর অন্দরমহলের দরবার কক্ষের অভ্যন্তরের দেয়াল দেখার সূযোগ পাচ্ছেন। তিনি রাণীর সামনে দন্ডায়মান হয়ে খানিকটা উদ্বেগ অনুভব করলেন। অবশ্য পাশের আর যারা পরিচারিকা ও সহচর আছেন সবাইকে বিদায় করে দিতে চাইলেন। রাণী প্রথমে অসম্মত হলেও পরে বিশেষ বিবেচনায় সহমত হলেন।
রাণী তাঁকে বললেন যে, তিনি স্বপ্নে দেখেছেন তাঁর কাছে দুই টুকরো পাথর। একটি স্বর্ণের আর অন্যটি রৌপ্যের। ঠিক মনে পড়ছে না কোন হাতে কোনটি ছিল। দুটোই তাঁর কাছে মনে হয়েছিল লোভনীয় সুন্দর। এখনো কল্পনার চোখে চিকচিক করে ঠিকরে বেরুচ্ছে সৌন্দর্য।
অভিজ্ঞ গ্রেগ'কে অনেকটা চিন্তিত দেখা গেল। তাঁর উজ্ঝল গৌরবর্ণের কপালে ক্ষণিকের ভাঁজ স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে। রাণী তাঁকে হটকারিতামূলক চিকন ধমক দিয়ে বললেন কি এর ব্যাখ্যা? বলছেন না কেন?
গ্রেগ বিনয়ী ও ভারী কন্ঠে রাণীকে জানালেন, কয়েক বছরের মধ্যেই উনার ২টি সন্তান আসবে। এরা হবে যমজ। একটা সন্তান রাজ্যের শাসনের জন্য উপকারী আর অন্য সন্তানটি রাজ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। তাঁরা দুজন যুদ্ধ করবে এবং চুড়ান্ত একটা সময়ে যেকোন একজন অপরজনের হাতে মারা যাবে।
রাণী ভেতরে ভেতরে অনেক খুশি হলেও সমস্যায় পড়ে গেলেন। তিনি দেরি না করে রাজার কাছে খবর পাঠালেন একজন রাজকর্মচারী দিয়ে সাথে গ্রেগকেও পাঠিয়ে দিলেন।
কিং থিওডক্সাস তখন রাজ সিংহাসনে অধিষ্টিত হয়ে সভাষদগণের সাথে একটা বিষয় নিয়ে দরকষাকষিতে ব্যস্ত ছিলেন। রাণীর অন্যতম প্রধান রাজ কর্মচারী ও এক সৈনিক'কে দেখে তিনি খানিকটা গম্ভীর হয়ে গেলেন। সভাসদগণও নিজেরা নিজেরা মৃদু আলোচনায় থেকে অবশেষে নিরব হয়ে গেলেন।
☞ মহান কিং থিওডক্সাস। রাণী এই জ্ঞানী লোকের সাথে আপনার কথোপকথন চান। তিনি একটি গোপন চিঠিও দিয়েছেন আপনার সৌজন্যে।
☞ সম্মানিত সভাসদগণ!! আপনারা আমার দিকে মনোযোগ দিন। ইনি হলেন গ্রেগজি। আজ থেকে উনি নতুন রাজ জৌতিষী হিসেবে আমাদের প্যালেস এ থাকবেন। সম্মানিত গ্রেগজি, দয়া করে বিষয়টা খুলে বলুন।
গ্রেগজি, আনন্দের অতিশয্যে খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন। তিনি কোনমতে অবশ্য নিজেকে সামলে নিতেও সক্ষম হলেন এবং কয়েক মুহুর্ত দম নিয়ে বিনয়ের সহিত সবকিছু খুলে বললেন।
রাজা ততক্ষণে মনে মনে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। কারণ আগের বুড়ো জৌতিষী উনাকে বলেছিল থিওডক্সাস বাবা হবার সম্ভাবনা অনেক কম। আশা করা উচিত নয়। অবশ্য ঐ জৌতিষীর ঘাড়ে মষ্তকটা তিনি আর থাকতে দেন নি। ঐ মুহুর্তে পুরো রাজসভায় তিমির নেমে এসেছিল। আর তিনি সবাইকে নিয়ে অপবিত্রতার মাদক উল্লাসে সবকিছু ছাপিয়ে যেতেও পেরেছিলেন। রাজা অনেক আশাপ্রদ হলেন যে, উনার বন্ধ্যাত্ব ঘুচবেই এবার।
♋ দ্বীপরাজ্যের বালিকারা
স্কিইরোস দ্বীপরাজ্যের চতুর্দিকে সলিলে ঘিরে রাখা অ্যাজিয়েনের নীল স্রোত বয়ে চলে। সে কারো ধার ধারে না। সাগরের শেষ প্রান্তে প্রান্তে পানির স্রোত ভেদ করে মাথা উঁচু করে থাকা পাথুরে শীলাময় ধুসর ও কালো পাহাড়গুলো যেন স্কিরোস এর মধ্য দিয়ে ঘটে যাওয়া সব ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল।
ঐ সময়ে রাজজৌতিষী পদে নিয়োগ পাওয়া বিজ্ঞ গ্রেগজির কথামত আড়াই বছর পরে ঠিকঠিকই রাণীর কোলে ফুটফুটে দুটি সন্তান আসলো। রাণীর আনন্দ কে দেখে। তিনি যারপরনাই উৎফুল্ল। সন্তানের মুখ দেখামাত্রই তাঁর শিশু প্রস্রবকালীন ক্ষণসমুহের যাবতীয় দুঃখ ও নিদারুণ যন্ত্রণাগুলো ভুলে গেলেন।
ভারী খুশি হলেও রাজরাণী মহাচিন্তিত হলেন যখন গ্রেগ জানালেন এর একটাকে মেরে ফেলতে হবে। একটি সন্তান এ রাজ্যের জনগণ ও রাজ্যের জন্য বিপদ ও ক্ষতিকর হবে। অপর সন্তান রাজ্যের জন্য ভাল হবে। এখন কল্যাণের সন্তান ও অকল্যাণের সন্তান নির্ধারণ করতে হবে। এই কাজটি করা কিভাবে?
কোনভাবেই তিনি সনাক্ত করতে পারলেন না কোনটি সু আর কোনটি অসুর।
পদারোহণ করা রাজজৌতিষীকে কিং থিওডক্সাস জিজ্ঞেস করলেন-
☞ কি জৌতিষী? তুমি কিছু বলছো না কেন?
☞ আমার সব জ্ঞানার্জন আপনার পদতলে অর্পিত। মহামান্য থিওডোর। আমি সঠিক ও বাস্তবিক কোন পরিক্ষণের উপায় পাচ্ছি না। তবে দেবতা অ্যাপলো'র সম্মানে ৭ কুমারী বলি দিতে হবে। তাঁদেরকে অ্যাজিয়েন সাগরের তীরে নীল পানিতে বলি দিতে হবে। এরপর ইশ্বর কর্তৃক কোন নির্দেশিকা আসার সম্ভাবনা আছে।
মহামান্য কিং থিওডক্সাস অনেকক্ষণ থ হয়ে বসে রইলেন। এরপর রাণীর অন্দরমহলে চলে গেলেন। রাণীর সাথে পরামর্শ করে আসলেন। তিনি নির্দেশ দিলেন রাজ্যের যত সুন্দর কুমারী আছে সবাইকে যেন রাজপ্রসাদে আনা হয়।
রাজ্যের প্রশাসনিক যত নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন তারা রাজার হুকুম পালন করতে সাথে সাথে লেগে গেলেন। ২ দিনের মাথায় তারা বেছে বেছে ১০০০ এরও অধিক তরুণী জোগাড় করে ফেললেন। এখন অপেক্ষার পালা পূর্ণিমার।
যথারীতি পূর্ণিমাও এলো। কিন্তু সিলেক্টেড কোন কন্যাই রাজী হলেন না। রাজা ও রাণী দেখে দেখে কিছুক্ষণ পর উভয়েই মেজাজ খারাপ করে ফেললেন।
সাত বলিষ্টদেহী সৈনিক সাত মেয়েকে পিছমোরা করে বেঁধে ফেললো। পরিচর্যাকারীনী ১৪ জন প্রৌড় ও রুঢ় মহিলাগণ জোর করে তাদের বলির পোশাক পড়িয়ে দিলেন। হাজার হাজার মানুষ সমুদ্রতীরে দাঁড়িয়ে আছে। তারা সবাই একটি ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে। একটি ইতিহাসের সাক্ষী হতে চলেছে। বেশ কয়েক যুবককে অপ্রস্তুত, বিষন্নও দেখা যাচ্ছে। তারা মেনে নিতে পারছে না এই বলিদানকে। কিছুক্ষণ আগেও অনেক মা ও বাবাকে মাথা কুটতে দেখা গিয়েছিল তারা এখন নিথর পাথরের মতো দাঁড়িয়ে স্বর্গগামী অপ্সরাদের দেখছে।
লাল জামায় তাদের লালপরী'র মতো লাগছিলো। অ্যাজিয়েন সমুদ্র তীরের বাতাসে তাদের জামার পেছন দিকটি এমনভাবে উড়ছিল। তাঁরা সবাই এখন মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। অনন্ত অসীম একটি জগতে ঢুকতে চলেছে তাঁরা।
----------------------------------------------------------২য় পর্ব-----------------------------------------------------------
♋ বলি অনুষ্টান ও রাণীর ভাষণ
ভর পুর্ণিমায় নিরবতার হাট বসেছে অ্যাজিয়েনের তীরে। ধূপের গন্ধে বিভোর হয়ে আছে যেন পুরো রাজ্য। গোলাকৃতির সাতটি পাথরের ওপর সাত কন্যাকে বলি দেয়ার প্রস্তুতি পর্ব শেষ। এমন সময় জনগণের একটি অংশ নিষিদ্ধ সীমানা ভেদ করে চলে আসতে থাকল রাজা ও রাণীর নিকট। তাদের অাচরণে মনে হচ্ছে ক্ষুদ্ধ ও বলির বিপক্ষে। ধীরে ধীরে অস্ত্রের ঝনঝনানি শুনা যাচ্ছে।
রাণী থিওসীর দিকে চোখ ঘুরালেন কিং থিওডক্সাস। রাণীও বুঝে ফেললেন অবস্থা সুবিধার না। থিওসী পরিস্থিতি শান্ত করার দ্বায়িত্ব নিয়ে রাজাকে প্রাসাদে ফেরত পাঠালেন।
রাণী গ্রেগজীকে বলি অনুষ্টান স্থগিত রেখে ঘোষণা করতে বললেন যে, রাণী বলি অনুষ্টান স্থগিত করেছেন। তিনি জনগণের মতামত শুনতে চান।
ঘোষণা দিতে ও তার প্রভাব পড়তে যে সময় লাগল ততক্ষণের রক্তারক্তিতে ৬-৭ জন মানুষের জীবন শেষ। আরো ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক। হাত, চোখ, পা হারিয়েছেন ৫ জন।
রাণী পাহাড়ের চুড়োয় দাঁড়িয়ে জনগণের সামনে কথা বলতে লাগলেন।
"ওহে প্রজাগণ!
আমি তোমাদের ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছি। তোমরা রাজ্যনীতিতে সন্তুষ্ট নও। তোমাদের কাছে এথেন্স স্পার্টার নগরতন্ত্রের রুপটা ভীষণ আকৃষ্ট করেছে। তার ওপর এই বালিকাদের বলিদান নিয়ে তোমরা যারপরনাই অসন্তুষ্ট।
ঠিক আছে,
দেবতা অ্যাপোলো যদি রেগে যান ও জ্ঞানচর্চার ওপর উনার সাহায্যসমুহ বন্ধ করে দেন তখন? তখন কি হবে? তোমরা যে যে নতুন আবিস্কার ও বিশেষ করে জীববিদ্যায়, পদার্থবিদ্যায় নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলে সেটার কি হবে ভেবে দেখেছ?
আমি জানি তোমরা এথেন্সের কথা বলবে। এথেন্স এগিয়ে গেছে, ঠিক আছে। কিন্তু তাদের জনগণের অবস্থা দেখেছ? খোঁজ নিয়ে দেখ, ওদের গরীব লোকদের সাথে ধনী লোকদের ব্যবধান আমাদের এখানের চেয়ে অনেক বেশি। তাহলে?
তাহলে কি লাভ হলো? বলো?
একটা জিনিস তোমরা মনে রেখো। যে রাজ্যের জনগণ নিজের রাজাকে কষ্ট দেয় তারা কখনোই সুখে থাকতে পারে না। রাজার ওপর সুপ্রিম ইশ্বর জিউসের আর্শিবাদ থাকে।
জিউসের আর্শিবাদ না থাকলে তিনি রাজা হতেন না। প্রজাই থাকতেন।"
♋ গন্ডগোল
মহীয়সী রাণী থিওসীর ভাষণ শেষ হতে না দিয়ে তুমুল গন্ডগোল শুরু হয়ে গেল। জনগণের বেশিরভাগই রাণীর বক্তব্যের তুমুল প্রতিবাদ করতে লাগলেন। তাঁদের গোলামদেরকে দিয়ে রাণীকে আক্রমণ করতে শুরু করলেন। সুচতুর থিওসী তা আঁচ করতে পেরে নিরাপদ রাস্তা ধরলেন, এখানে জনগণকে সামাল দেয়ার জন্য উপ সব সৈন্যকে রেখে তিনি সবার অগোচরে সহচারিণী মিলিয়াক ও দেহরক্ষী লিওডেনাসকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন।
ঢিল, পাটকেল, পাথর আর লাঠি। তুমুল ঝগড়াঝাটি চলছে। মহিলাগণ নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে দূরে দূরে দাঁড়িয়ে তাঁদের স্বামী, পুত্র কিংবা ভাইদের লড়াই দেখতে লাগলেন উদ্বিগ্ন চোখে। অনেকেই পাথরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে চিৎকার করছে। কারো কারো মাথা, পেশি, পিঠ, বুক থেকে রক্ত পড়া শুরু হল।
সাধারণ প্রজারা ও গোলামরা যখন জানতে পারলো রাণী সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে অনেকক্ষণ আগেই চলে গেছেন ঠিক তখনই তারা ক্ষান্ত দিল। রাজার সাথে দুই জমজ আগেই প্রাসাদে নিরাপদ দুরত্বে চলে গেছে। জনগণ আপাত নিরাশ হয়ে গেলেও তাঁরা নগরতন্ত্রের জন্য ভাল রাস্তা খুঁজে পেয়েছে। কেবল সৈন্যদের রাজার থেকে আলাদা করতে পারলেই হল।
♋ বেঈমান লিওডেনাস
বিশ্বস্ত দেহরক্ষী লিওডেনাস, রাণী থিওসী, মিলিয়াক ঘোড়া হাঁকিয়ে পাথুরে জংগলময় জায়গা দিয়ে পুর্ণিমার আলোকে পথ চলছেন। এদিকে কোন জনমানবের চিহ্ণই নেই। খুব দ্রুতই ছুটে চলছেন তাঁরা।
লিওডেনাস আনমনে পেছনে পেছনে যাচ্ছে। তার ঘোড়াটিও যেন সওয়ারীর মতো আনমনে হেঁটে চলছে। এভাবে সে অনেকটা পেছনে পড়ে গেছে। রাণী ও মিলিয়াক হঠাৎ পেছনে তাকিয়ে দেখেন লিওডেনাস আনমনে পেছনে আসছে। পাগলের মতো হৃস্ব স্বরে গোঙাচ্ছে। সাথে ঘোড়াটাও যেন এইরকম শব্দ করে ওর সাথে কথা বলছে।
রাণী অবাক হলেন। তিনি ঘোড়া থামিয়ে দাঁড়ালেন, সাথে সহচারী মিলিয়াককেও থামাতে আদেশ করলেন। লিওডেনাস কাছে আসার পর জিজ্ঞেস করলেন, কি হয়েছে তোর? লিওডেনাস?
লিওডেনাসকে থর থর করে কাঁপছে। যেন তার সারা দেহে কোন একটা শক্তির প্রকম্পন শুরু হয়েছে। বিস্ময়ে রাণী থিওসীর মষ্তিষ্কে অংক না মেলার হিসেবের একটা উজানের কলকল স্রোত বয়ে চলল। মিলিয়াকও বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে আছে। সেও কিছু বুঝতে পারছে না। অবাক।
নতুন বিপদ হিসেবে সম্মুখ পথে একটা নেকড়ের আভির্ভাব হলো।
বেশ দূরে ঐ নেকড়ে তিনজন মানুষ ও তিনটি ঘোড়া দেখে লক্ষ্য স্থির করে ধীরে ধীরে আসছে। সাথে বিচিত্র ধ্বনি। এমনও মনে হচ্ছে তার দলের অন্যান্য সদস্যকে ডাকছে।
রাণীর দিকে দৃষ্টি ঐ নেকড়েটার। তাঁর চোখ থেকে চাঁদের আলো বিকিরিত হয়ে যেভাবে ঠিকরে বেরুচ্ছে তাতে ভয়ংকর সুন্দর কীরণের সৃষ্টি করছে। এখানে চারটি প্রাণী, তিনটি মানুষ। মনে হচ্ছে কেউই কারো বন্ধু নয়। নেকড়েটি এসে আক্রমণের আগে কয়েক মুহুর্ত দাঁড়িয়ে থেকে স্বভাবসূলভ পিলে চমকানো যতসব ভয়ংকর আওয়াজ করা যায় তা করতে থাকল।
নীল আগুনের গোলার মতো দুটি চোখের দিকে এক মুহুর্ত তাকানোও ভয়ানক একটি ব্যাপার। একমাত্র সবল ব্যক্তিটি লিওডেনাস। কিন্তু তাঁকে এ প্রয়োজনীয় সময়ে যেন মৃগী রোগে পেয়ে গেছে। সে ঐ ভয়ংকর দানবটির দিকে কাঁপতে কাঁপতে গোঁ গোঁ করছে।
মনে হচ্ছে কাকে আক্রমণ করবে তা ঠিক করতে পারছে না এই নেকড়েটি। আপাতত লিওডেনাসের সাথেই দেনদরবার মিটানোই ওর কাজ।
লিওডেনাস কাঁপতে কাঁপতে যেন ঐ নেকড়েকে কিছু বলল মনে হল। রাণী আশ্চর্যাম্বিত হলেন এই সৈন্যের আচরণ দেখে। এর আধ্যাতিক ক্ষমতা আছে সেটা তো কেউই বলে নি।
লিওডেনাসের উভয় বাহুর পেশি ফুলতে থাকল। রাণী এই ফুলে যাওয়া দেখে ভয়ে আরো একাকার হয়ে গেলেন। ডান বাম দুইদিকে পাথরের পাহাড় সম্মুখে নেকড়ে পেছনে দেহরক্ষী লিওডেনাস। সেও যেন আস্ত একটা গন্ডার।
কিন্তু হঠাৎ করেই লিও স্বাভাবিক হয়ে গেল। প্রবল ঝড়ের আগে যেভাবে প্রকৃতি একবার ঝিম মেরে যায় তেমনি। পেশি ফুলিয়ে সে যেন মৃগীরোগ থেকে বেঁচে গিয়েছে। তবে রাণী আশ্বস্ত হলেন। তিনি লিওডেনাসকে হুকুম দিলেন- এই নেকড়েকে মেরে ফেল।
লিওডেনাস হাঃ হাঃ করে বিকটভাবে বিদ্রুপ করে বলল- কেন থিওসী?
এ কথা শেষ না করেই নিজের ঘোড়া থেকে লাফ দিয়ে রাণীর ঘোড়ায় চেপে বসলো সে। রাণীর কনস্টুম(জামা) হাতড়িয়ে ছোরা আর তরবারি দূরে দূরে নিক্ষেপ করতে থাকলো। উন্মত্ত হওয়ার আগে সে নেকড়েকে বশ করেছিল। তাই আক্রমণটা যুগপৎই হল। মিলিয়াক'কে নেকড়ে এক লাফে ঘোড়ার উপরে উঠে কামড় বসিয়ে দিল।
রাণী থিওসী সাহায্যের আশায় মিলিয়াকের দিকে তাকাতেই মাথাটা প্রচন্ড ঘুরে গেল। ফিনকি দিয়ে গলার শিরা দিয়ে রক্ত ছুটছে। মরণের কাছাকাছি মিলিয়াক ছটফট করছে আর নেকড়েটি অপেক্ষা করছে রক্ত ঝড়া শেষ হবার। একেবারে গ্রিবায় তার মাংসাশী দাঁত বসিয়েছে।
থিওসী তখন এক মানুষরুপী জানোয়ারের দৃঢ় পেশিতে ছটফট করছেন। তিনি অস্ত্রশস্ত্রহীন ও অবসন্ন। এদিকে লিওডেনাস তার শক্ত হাতে জামাকাপড় ছুটানোর চেষ্টা করছে। না পারলে ছিঁড়ার চেষ্টা করছে ও ছিড়ে ফেলছেও।
একেবারে বনের জানোয়ার থেকে কম না সে।
রাণী থিওসী তখন মোলায়েম ও মনোহর একটি হাসি হেসে বললেন- সেটা তো আগে বলবে, তুমি ভারী দুষ্টু।
জাদুমন্ত্রের মতো কাজ হলো যেন। তব্দা গেলে হঠাৎ করে কেউ হাত থেকে কোনকিছু ফেলে দিলে যেমন হয় ঠিক তেমনি রাণী থিওসীকে ছেড়ে হাত দুটি দুপাশে নিয়ে ফেলল লিওডেনাস।
রাণী নিজে থেকেই এবার সবকিছু খুলতে থাকলেন। বিমুগ্ধ হয়ে রাণীর দিকে তাকিয়ে আছে বেঈমান লিওডেনাস। কেন যেন সে নিজেকে এখন অপরাধী ভাবছে। এমন সময় সে টের পেল কানের পাশ থেকে উজ্জল আলোক বিকিরিত হচ্ছে চাঁদ থেকে। পাশ দিয়ে তাকিয়ে দেখে উদ্ধত তরবারি হাতে হ্যারিপাস। রাণীর আরেক বিশ্বস্ত দেহরক্ষী।
♋ শেষ সাক্ষাৎ
স্ত্রী এলিসা, ৭বছরের মেয়ে সিওরেস, ১২ বছরের ছেলে মেনিওনেস রাজপ্রাসাদের দরবারকক্ষে দাঁড়িয়ে আছে। ঝলমলে পোষাকে রাণীকে দুরে ব্যস্তপায়ে হেঁটে যেতে দেখা যাচ্ছে।
রাণীর মুখে এক চিলতে হাসি দেখছে লিওডেনাস। তাঁর সারা দেহে চাবুকের ক্ষতচিহ্ণ। চাবুকের চিহ্ণ যতটা বোঝা যাচ্ছে তার চেয়ে ঢের বোঝা যাচ্ছে তার মনের ভেতরের অপমানবোধটা। যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গর্দান উড়ালেই সে বাঁচে।
জল্লাদ তরবারি হাতে উদ্ধত। শেষ ইষ্টবাক্য পাঠ করতে বলল।
লিওডেনাস ক্ষীণ কন্ঠে বলতে লাগলো, নিষ্টুর রাণীর প্রতি অভিশাপ।স্কিইরোস হতে নিপীড়নের শাসন অবসান হোক। জিউস আমার ইশ্বর।
এলিসার দু চোখ হতে ঝরঝর করে পানি পড়তে থাকল। সিওরেস দু হাতে চোখ বন্ধ করে ফেলল ও মেনিওনেস বাবার মৃত্যুর দৃশ্যের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকল। তাঁর দু চোখের মণি লাল হয়ে গেল।
বেশি কিছু হলো না, জল্লাদের তরবারিতে একদিকে লিওডেনাসের মষ্তক আরেকদিকে তার দেহ ছটফট করতে থাকল। আরেকটি জীবনের ভবলীলা সাঙ হলো।
♋ অশুভ শক্তির বিনাশ
পরপর তিনটি সাইক্লোন হয়ে গেল। ২১ দিনের মধ্যে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এথেন্স ও স্পার্টা এছাড়া অ্যাটোলিয়াও। স্পার্টায় একটি বড় দূর্গের পতন হয়েছে। প্রাচীর ভেংগে টুকরো টুকরো হয়ে মিশে গেছে মাটির সাথে। উঁচু পাহাড়ের পাথুরে পর্বত না থাকলে স্কিইরোসের কি হতো সেটা কেবল গড প্যসেইডন(সমুদ্রদেবতা) জানেন।
এই ভয়ংকর দূর্যোগের কারণ জিউসের আর্শিবাদপুষ্ট রাজা থিওডক্সাসের বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন, স্পার্টা-এথেন্স-অ্যাটোলিয়ায় নগরতন্ত্র প্রতিষ্টা।
গড জিউসকে শান্ত না করলে আরো কয়েকদিনের মধ্যে আরো বড় রকমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হুশিয়ারি করে দিলেন প্রিস্টগণ। জনসাধারণেরা যারা নাস্তিক্যবাদ নীতিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন তাদের অনেকেই এখন পুনরায় স্বধর্মে ফিরে যাচ্ছেন। কেবল কয়েকজন নাস্তিক আগের মতো জনগণকে গোপনে গোপনে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে জনমত ধরে রাখতে থাকলেন।
১২'ই সেপ্টেম্বর। আজ দ্বাদশী। আজ ট্রাইবুনালে হাজির করা হচ্ছে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ১৪ জন নাস্তিককে। এই ১৪ জন নাস্তিকের কারণেই কিং থিওডক্সাসের(ওরফে থিওডোর) এর বিরুদ্ধে জনগণ বিভাজিত হয়। এদের শাস্তি না দিলে গড জিউসের ক্রোধ কমানো সম্ভব না।
লাল মশালের আলোতে উপস্থিত ভুক্তভোগী জনগণ প্রিস্টের বক্তব্যকে স্বাগত জানালেন।
উপস্থিত ১৪ স্কলারকে ফাঁসির দড়িতে একসাথে ঝুলিয়ে বিচারকার্য সম্পন্ন করা হলো। অভিশাপ ও ক্রোধমুক্ত হলো স্কিইরোস। শান্তি ফিরে এলো সবার মধ্যে।
♋ দুই জমজ ও এক বৃদ্ধ
ইজিপ্টের রাজকীয় জারসানা বিদ্যাপীঠে প্রকৃতিবিদ্যার সাথে সাথে সমরবিদ্যাও শিখছে দুই ভাই একসাথে। তাদের উভয়ের বয়স ১২ হতে চলল। তাদের মা থিওসী রাজ্যশাসনে মনোযোগ দেয়াতে একটানা অনেক বছর বাচ্চাদের সাথে সময় দেন কম। তিনি খবর পাঠিয়ে দিলেন দুত মারফত, ১ সপ্তাহের জন্য যেন বিদ্যাপীঠ থেকে তাদের ছুটি দেয়া হয়।
ছেলেরা যথারীতি আসেও। মা তাদের ফিরে পেয়ে খুশিতে বাঁধনহারা হয়ে গেলেন। তাদের যদিও সব জানা আছে তবুও কেন যেন কিশোর বয়সের ছেলেদের নিজ হাতে গোসল করিয়ে খাইয়ে দাইয়ে দিতে লাগলেন।
এক্সিডাস মায়ের এত আদর যত্নের সাথে কেমন যেন মানিয়ে নিতে পারছে না। মায়ের যৌবনবয়সটা নিয়ে সে অনেক কল্পকথা শুনেছে। মা অনেক রূপবতী সে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। সে নিজেকে কেন যেন মায়ের সাথে মানিয়ে নিতে পারছে না। মা অপেক্ষা বাবার কাছে সে স্বাচ্ছন্দবোধ করতে থাকল।
রাজপ্রসাদে একটা মধুর ঝগড়া চলছে। একটি ছেলে বাবার কাছে আরেকটি ছেলে মায়ের কাছে থেকে বাবা ও মাকে মধুর সময় উপহার দিতে লাগলো।
একদিন মায়ের সাথে জক্সিডাস রাজ্য ভ্রমণে বের হলো। অপর জমজ ভাই এক্সিডাস বের হলো বাবার সাথে সমুদ্র ভ্রমণে।
ভর দুপুর বেলা মাথার ওপরে সুর্যদেব উত্তাপ ছড়াচ্ছেন। জক্সিডাস সুর্যদেবকে একটি সেজদা করল। ওর মা অবশ্য তা দেখে আশ্বস্ত হলেন। যে এই ছেলেটি ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট। রাজ্যশাসনে একেই দেয়া উচিত।
হঠাৎ একটি ঢিল কোত্থেকে এসে রাণীর কপালে পড়ল। সাথে সাথে একটা ফোঁড়াও দেখা দিল। ঢিল কে ছুঁড়ল তা দেখার জন্য জক্সিডাস ও ২ সৈন্য নেমে পড়ল।
বেশ দূরে এক বুড়োকে শায়িত ও কাতরাতে দেখে তরবারি খুলে এগিয়ে গেল সবাই। কাছে যাবার পরে বৃদ্ধটি খুক খুক করে কেশে ওঠলেন।
এত বেশি কাশতে লাগলেন যে মুখ দিয়ে অজস্র রক্ত বেরুতে লাগল। তিনি উঠে বসে পড়লেন এবং তাদের দিকে দূর্বল চোখে তাকালেন। নাক ও মুখের অবস্থা ভয়াবহ। সর্দি কাশি পুঁজ রক্তে একাকার হয়ে আছে। লোকটি ক্ষীণ কন্ঠে বলল- আমাকে আর মারার কি বাকি আছে? তোমরা তলোয়ার হাতে এসেছ? আমি তো এমনিতেই মরে যাব, তবে যাবার আগে রাণীর কাছে একটি বার্তা পৌছে দিতে হবে। কেবল রাণীকেই বলব আমি। রাজ্যের রাজত্ব নিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা।
জক্সিডাস যথেষ্ট দ্বায়িত্ববানের মতো আচরণ করে বলল, রাণীমা অসুস্থ, যা বলার আমাকেই বলতে হবে।
লোকটা আরো কয়েকবার কাশতে থাকল, এবং হঠাৎ করে টান মেরে জক্সিডাসের হাতের তালু দেখল। বাকি সৈনিকদের বলল- তোমরা চলে যাও, এর সাথে গোপন আলাপ আছে।
লোকটা সময়ের সাথে যেন সুস্থতা পাচ্ছে। সে কানে কানে জক্সিডাসকে বললোঃ
এক্সিডাস তোমার ভাই। সে ভবিষ্যতে রাজশাহী প্রথা বন্ধ করে নগরতন্ত্র চালু করবে। তোমার বংশের কাউকে সে জীবিত রাখবে না। এমনকি তুমিও না।
তোমাদের বয়স ২৫ হওয়ার পরে তোমরা সম্মুখ সমরে বা বিজাতীয়দের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতে পারার সম্ভাবনা আছে। সেই যুদ্ধে বা আরো পরে সে তোমাকে হত্যা করতে বাধ্য হবে। তবে যদি তুমি তাকে মেরে ফেলতে পার, তাহলে এথেন্স, অ্যাটোলিয়া থেকে শুরু করে মেসিডোনিয়া থেকে লিডিয়ার অধিপতি হতে পারবে তুমি। তুমি ওর বংশধর সবাইকেই মেরে ফেলবে। তোমার পূর্বপুরুষ হতে পৃথিবীতে কেবল তোমার বংশই থাকবে।
♋ দুই যুবরাজ
তীর-ধনুর টার্গেট, বল্লম নিক্ষেপ, তরবারি চালনায় জমজ দুই যুবরাজের কাছে সবাই-ই হেরে যায় দেখে রাজা থিওডক্সাস ও স্কিইরোস রাণী থিওসী'র সব দুর্ভাবনা চলে গেল।
রাজ্য শাসন নিয়ে পড়াশুনা করে আসছেন উভয় যুবরাজ সুদূর মিশরের মেমফিস থেকে। পরিক্ষামূলক ভাবে এখন উভয়কে কাজে লাগানোর পালা।
কিং থিওডক্সাস এক্সিডাসকে প্রজার কাছ থেকে কর আদায়ের ব্যাপারে নিযুক্ত করলেন। আর জক্সিডাসকে নিযুক্ত করলেন প্রশাসনিক ও সৈন্যবাহীনী'র দেখাশুনায়।
জক্সিডাস খুব কঠোরভাবে সৈন্যদের কাজে লাগাতে থাকলেন। সেনাপতিকে সবসময় দৌড়ে রাখায় বাজে চিন্তা করার সূযোগ ছিল না। অভিজ্ঞ সভাসদবৃন্দ এতে যারপরনাই খুশি হলেন।
আশা করা হচ্ছিল রাজার সাথে সঙ দিয়ে দুই জমজ যুবরাজ খুব ভালভাবে রাজ্য পরিচালনা করবেন। কিন্তু মাস কয়েক যেতে না যেতেই একটা দূর্ঘটনা ঘটে যায় রাজ পরিবারে।
যুবরাজ এক্সিডাস ডুমুর ফল ভালবাসেন। সকালবেলা যখন ডুমুর ফল খাবেন ঠিক তখনই তাঁর প্রিয় বেড়ালটি লাফ দিয়ে হাত থেকে কেড়ে নিয়ে এই ফলটি নিজে খেয়ে ফেলে। কয়েক মুহুর্তের মধ্যে গড়াগড়ি দিয়ে মারা যায় বেড়ালটি।
এক্সিডাস প্রিয় বেড়ালটিকে হারিয়ে ভয়ানক রেগে যান। তিনি সব প্রহরী, কর্মচারী, ও বৈশ্যাদের ধরে ধরে চাবুক দিয়ে বেধম মারদোর করেন। মারের চোটে একসময় এক গোলাম স্বীকার করে সে দেখেছে সকালবেলা রাণী থিওসী নিজে এসে ডুমুর ফলের ওখানে কয়েকটি ডুমুর ফল সরিয়ে নতুন কিছু ডুমুর রেখেছিলেন।
প্রমাণস্বরুপ সে রাণী থিওসীর আজ সকালের কনস্টিউমের(রাজপোশাক) কয়েকটি সুতো পতিত থাকতে দেখালো। তখন অন্য সব চাকর-কর্মচারীরা যারা উপস্থিত ছিল স্বীকার করলো।
যথারীতি রাজা থিও'র কানে গেল এই ঘটনা। রাণী থিওসী প্রথমে অস্বীকার করবেন মনস্থির করলেও রাজার সামনে সত্যিটাই বলে ফেলেন।
রাজাকে এও জানিয়ে দেন যে, এক্সিডাস রাজ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে এটার কারণেই সে বিষমাখানো ডুমুর খাইয়েছিল। রাজা নির্লিপ্তভাবে রাণীকে বলেন যে, তিনি এখনো উভয় যুবরাজকে পর্যবেক্ষণ করছেন। কার দ্বারা ক্ষতিটা হতে পারে সেটা তিনি নিশ্চিত হতে চান।
তখন এগিয়ে আসলেন রাজজৌতিষীষী গ্রেগজী। বৃদ্ধ গ্রেগজি অবনত মস্তকে রাজাকে বললেন-
জক্সিডাস আপনার রাজ্যকে রাজবংশের সাহায্যে শাসন করবে, এক্সিডাস করবে নাগরিক ব্যবস্থার সাহায্যে। রায় দিলেন মহারাজ। রাজার রায় শুনে পুরো দরবার স্তম্ভিত হয়ে গেল। খবরটা জানার পর পুরো রাজ্যবাসীই স্তম্ভিত হয়ে গেল।
♋ কিং থিওডক্সাসের মৃত্যুঃ
প্রিয় এক্সিকে হারিয়ে রাজা থিওডক্সাস নিদারুণ অপরাধবোধে ভুগতে থাকলেন। থেকে থেকে কেঁদে ওঠেন রাতের বেলায়। ধীরে ধীরে জমা হলো দুঃখবোধ সংক্রান্ত একটা প্রাচীন রোগ। এই ঘটনার মাত্র ৮ মাসের মাথায় বেদনাতুর রাজা শেষমেষ পাগল অবস্থায় মারা গেলেন।
মারা যাবার আগে কেবল বুক চাপড়িয়ে বলতেন-
প্রিয় এক্সিডাস, পুত্র আমার ক্ষমা করো আমাকে, অবিচারের শাস্তি তুমি নিজ হাতে দিও আমাকে।
আমি অন্যায় করেছিলাম, রাজ্যের লোভে, তোমার মাও একই ভুল করেছিল।
ওহে, পুত্র আমার, বেহেশতে বসে তুমি আমার অপেক্ষা করছো?
আসছি, আমি আসছি, এখুনি আসবো আমি।
আর অপেক্ষা নয়। আমি আসবো।
আমি আসবে পুত্র আমার।
তোমার কাছে।
♋ গুপ্ত সংসদ
প্রচন্ড শীতে যখন সমুদ্রের পানিও বরফের সমান ঠান্ডা অর্জন করেছে তখন স্কিইরোসের মধ্যে রাজ্যশাসন নিয়ে চলছে রাণী থিওসীর আর্শিবাদপুষ্ট জক্সিডাস ও জনগণের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই।
জনগণ ৩০ বছর আগের জায়গায় ফেরত যেতে চায়। কুইন থিওসী'র বুদ্ধির খেলায় জনরোষকে থামিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল ঐ সময়। কিন্তু এখনকার প্রতিবাদীরা অধিকাংশই যুবক। এদের কোনভাবেই বুঝানো যাচ্ছে না একজন রাণীর অধীনে প্রজারা বাস করলে তাদের মান সম্মান, অধিকারের কোনই ক্ষতি হয় না।
প্রকৃতপক্ষে গড জিউসের আর্শিবাদপুষ্টদের সম্মান ও মর্যাদা মানুষের মধ্যে সর্বাধিক। এটা তারা মানতেই চায় না। এরা প্রভু জিউসকে পর্যন্ত অস্বীকার করে ফেলে। এদের কাছে ধর্মীয় বিধিবিধান আবর্জনা বৈ কিছু নয়।
ভয়ংকর ব্যপার এই যে, এরা নিজেদের পরিচয় আড়ালে লুকিয়ে রাখে। প্রকাশ করে না। ভন্ডামি করে সাধারণ জনসাধারণের সাথে মিশে থাকে। ধীরে ধীরে তারা শক্তি সঞ্চয় করছে। মৃত্যু এদের কাছে একটি গন্তব্য বৈ কিছু নয়।
খোদ রাণীর আন্তঃরাজ্যবিধায়কদের কেউ কেউ এই ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত হয়ে গেছে মষ্তিষ্ক ধৌতকরণ প্রক্রিয়ায়। এরা নিজেদের সঠিক পথপ্রাপ্ত হিসেবে পরিচয় দেয়। এঁরা নিজেদের আলোচনার জন্য আলাদা একটি সংসদ স্থাপন করে ফেলেছে। এটা কোথায় কেউ জানে না। কেবল সংসদ সদস্যরাই জানেন।
গোয়েন্দাদের কাছ থেকে এইসব ভয়ংকর সংবাদ পেয়ে রাণী অস্থির হয়ে গেলেন। সবাইকে গুপ্তহত্যার নির্দেশ দিলেও কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল এরা এতই সাবধান যে, ১০০ জনকে টার্গেট করে মাত্র দুজনকে হত্যা করা গেছে। আপ্রাণ চেষ্টা করেও এদের গুপ্ত সংসদের জায়গাটি বের করতে পারলো না কোনই গোয়েন্দা।
একদিন শীতের বিকেলে রাণী থিওসী পায়চারী করছেন এমন সময় এক গ্রাম্য লোককে ধরে নিয়ে আসলো গোয়েন্দা প্রধান সুইলিওরেল।
সুইলি'র অভিনব বুদ্ধিমত্তায় জানা গেল রাজ্যশাসন বিধ্বংশী গুপ্ত সংসদের ঠিকানা। এও জানা গেল কে চালায় এই সংসদ। রাণী থিওসী মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন যখন জানতে পারলেন কে এই গুপ্ত সংসদের স্পিকার।
♋ ষড়যন্ত্র
জক্সিডাসের সামনে জল্লাদ ক্রিওটা ও কারাপ্রধান থিসিও। উপস্থিত রাণী থিওসীর চোখ ঠিকরে আগুনের গোলা বেরুচ্ছে। উপস্থিত সভাসদের সবাই ভয়ে, বিস্ময়ে বিমুঢ়।
এক্সিডাসকে হত্যা করা হয়নি। জনগণের গুপ্ত সংসদ তাকে অপহরণ করে আরেক সৈন্যকে হত্যা করেছিল। এরপর ওকেই জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল যুবরাজের পোশাক পরিয়ে। মৃত যুবরাজকে রাজা ও রানীর কাছে আনা হয়েছিল যখন তখন আসলেই মৃতের ভান করা যুবরাজ এক্সিডাসকে আনা হয়েছিল। আর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল অন্য এক সৈন্যকে।
বেঈমান হিসেবে অভিযুক্ত করে ক্রিওটা ও থিসিও'কে গর্দান কর্তন করেন জক্সিডাস নিজ হাতে। সেই রাতেই নতুন ফন্দি আঁটেন রাণী থিওসী। তিনি বিঃশ্বস্ত দুইজন সহচারীণী নিয়ে এক্সিডাসের গুপ্ত বাসভবনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেন।
অ্যালেসিয়া একটি বিশেষ ছুরি। এটির গুণাগুণ এতই বেশি যে, এটির সাহায্যে নিমেষেই যে কাউকে খুন করা যায়। একমুহুর্তে প্রাণ সংহারে এর মতো ভয়ানক অস্ত্র কমই আছে। উনি এই বিশেষ ছুরি হাতে রেখেছেন নিরাপত্তার স্বার্থে। উনার এখনো রুপলাবণ্য কমে যে যায়নি তা বলাই যায়।
এখন ভোরবেলা। গোয়েন্দার নির্দেশনা মোতাবেক তিনি মুখ ঢেকে একেবারে দোরগোড়ায় পৌছে গেছেন। রাজপ্রসাদে অপেক্ষা করছে প্রিয় সন্তান জক্সিডাস। ওকে গিয়ে জানাতে হবে গুপ্ত সংসদের মুল হোতা ওর ভাই এক্সিডাসকে মেরে ফেলা হয়েছে।
♋ খুনঃ
এক্সিওডাস ঘুমে আছে। ওর আশেপাশে কেউ নেই। এটাই সূযোগ।
কুইন থিওসী ধীরপায়ে একা একা হেঁটে হেঁটে ওর শিওরে পৌঁছে গেলেন। বেশ কয়েক মুহুর্ত নিজের অপ্রিয় সন্তানটিকে শেষবারের মতো জীবিত দেখে নিলেন তিনি।
রাজপ্রসাদের বাইরের খাবার খেয়ে ছেলেটার মুখ শুকিয়ে গেলেও সেই মায়াময় রুপটি কমেনি। এখন ঘুমের মধ্যে বোধহয় বেড়ে গেছে মায়ের কাছে চিত্তাকর্ষী এই চেহারাটি। তাঁর মমতাময়ী মায়ের প্রাণ হুহু করে কেঁদে ওঠলো।
তিনি যখন দেখলেন যে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছেন সন্তানের মায়ায় তখন কোমর থেকে বের করলেন সেই ভয়ানক ছুরি। কিন্তু একি?
কি এক অদ্ভুত বিকর্ষণ? এক্সিডাসকে মারতে চাইছে না নাকি এ ছুরি?
কতোবার যে তিনি চেষ্টা করলেন, তবু পারলেন না। পারলেন না নিজের সন্তানকে মারতে। এসময় এক সহচারীণী দূরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিল। সে আর সহ্য করতে পারছিল না।
রাণীর হাত থেকে ঝাপটি মেরে ঐ বিষের ছুরি নিয়ে হৃৎপিন্ড বরাবর ভয়াল নিষ্টুরতার সাথে কয়েক ঘা বসিয়ে দিল।
কাত হয়ে বিছানার সাথে বেঘুরে ঘুমাতে থাকা যুবরাজ কুঁকিয়ে ওঠলেন। মৃত্যুর পূর্বমুহুর্তে একনজর প্রিয় মাকে দেখে প্রথম পলকে আশ্চর্য দ্বিতীয় পলকে ঘৃণায় ও কষ্টে কয়েক মুহুর্তেই জীবনের যবনিকাপাত টেনে ওপারে চলে গেলেন তিনি।
♋ অবশেষেঃ
রাণী থিওসী রাজপ্রসাদে ফিরে গেলেন, এক পৃথিবী বেদনা নিয়ে। উনার চক্ষুদ্বয় কান্নার ও এক পরাজয়ের গ্লানিতে লাল হয়ে গেছে। তিনি শেষবারের মতো সন্তানের কাছে পরাজিত হলেন। নিজের জীবন দিয়ে এক্সিডাস আজ মায়ের নিকট বিজয়ী। মায়ের কোন মর্যাদা তিনি পেতে পারেন না। সব মায়েদের নিকট তিনি থাকবেন এক কলংকিত নারী হয়ে। হায়ঃ ক্ষমতার রাজ্যে জীবন বিষাদময়।
কিন্তু একি, রাজপ্রাসাদে ফিরে দেখেন প্রজাদের সবাই এসে বাইরে বিজয় নিশান উড়াচ্ছে। রাণীকে দেখা মাত্রই কয়েকজন সান্ত্রী তাঁকে বল্লম ও তলোয়ার সহযোগে বন্দি করে ফেলল। বাসভবনে নিয়ে বন্দী করে রাখা হলো উনাকে।
রাণীর হৃৎপিন্ডে গোলমাল দেখা দিল যখন শুনলেন এক্সিডাসের গুপ্ত সংসদের চৌকস দল যুবরাজ জক্সিডাসকে অপহরণ করে এক্সিডাসের শয্যায় ঘুমের বড়ি খাইয়ে রেখেছিল। আর রাণীর সহচারী বা তিনি নিজে খুন করেছেন অ্যালেসিয়া দিয়ে।
রাণীর জন্য হিতে বিপরীত হয়ে গেছে এই ঘটনাটি। উনার চোখের সামনে রাজপুত্র এক্সিডাস একজন নাগরিক হিসেবে নাম লেখালো স্কিইরোস নগররাজ্যে।
কেউ আর প্রজা নয়। হয় নাগরিক নয়তো গোলাম। নাগরিকদের ক্ষমতার উর্ধে কেউ নেই কারো অপেক্ষা। গোলামদের ব্যাপারটা নিয়ে কোন পরিবর্তন এলো না অবশ্য। সম্মানজনকভাবে রাণীকে বাসভবনে নজরবন্দী করে রাখা হলো, এক্সিডাসকে ক্ষমতামুক্ত সম্মানজনক রাজ্যপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হলো। প্যাপিরাসে সুলিখিত একটি নির্দিষ্ট সংবিধানে চলতে থাকল স্বপ্নের স্কিইরোস নগররাজ্য। [সমাপ্ত]
☆ পাদটিকাঃ
☉ অ্যালেসিয়াঃ
অ্যালেসিয়া রোমান প্রজান্ত্রের একটি ব্যাটল যেটি খ্রিস্টপূর্ব ৫২ অব্দে পরিচালিত হয়েছিল। আমি সেই অ্যালেসিয়াকে এখানে ব্যবহার করিনি। সম্পুর্ণ নিজের মষ্তিষ্ক উদ্ভুত একটি ব্যাপার বোঝাতে চেয়েছি।
অ্যালেসিয়া হচ্ছে নিজের পরিকল্পনা মোতাবেক কিছু করতে গিয়ে সম্পুর্ণ অপ্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া। এটাই এ গল্পের মুলকথা।
☉ স্কিইরোস
অ্যাজিয়েন সাগরের দ্বারা পরিবেষ্টিত একটি দ্বীপ। এটি একটি গ্রিস দ্বীপ। এর সমুদ্রতীরের জন্য এটি বিঃখ্যাত। তট অনেক এবড়োথেবড়ো এবং অনেক বনাঞ্চলও দেখা যায়।
☉ হপলাইট
প্রাচীন গ্রিসের সৈন্যবিশেষ। নগর রাজ্যের বিশেষ সৈন্য যাদের হেলমেট ও বর্শা অধিকতর উন্নত ছিল।
☉ মেসিডোনিয়া
গ্রিসের সবচেয়ে বৃহৎ ও ২য় জনবহুল রাজ্য। এটি এখনো আছে।
☉ অ্যাটোলিয়া
প্রাচীন গ্রিসের অন্যতম জনবহুল রাজ্য। অ্যাটোলিয়ান লিগের কারণে এটি আরো পরিচিত।
☉ স্পার্টা
স্পার্টা হচ্ছে গ্রিসের বহুল আলোচিত অন্যতম প্রাচীন রাজ্য।
☉ মেমফিস
প্রাচীন মিশরের বহুল পরিচিত একটি নগরী। নীলনদ থেকে ১০ মাইল দূরে এটি তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে অগ্রজ মানবসভ্যতার একটি শহর।
☉ প্যসেইডন (Poseidon)
পসেইডন (গ্রিক: Ποσειδῶν, লাতিন: Neptūnus) ছিলেন গ্রিক পুরাণের সমুদ্র, ঝড় ও ভূমিকম্পের দেবতা। এট্রুস্ক্যান পুরাণের সমুদ্রদেব নেথুনস ও তাঁর রোমান পুরাণের সমুদ্রদেবতা নেপচুন (নেপচুনের নামকরণ হয়েছে নেথুনসের নামানুসারে) – উভয়েই পসেইডনের সমতুল্য।
☉ জিউস (Poseidon)
গ্রিক পুরাণে জিউস (ইংরেজি উচ্চারণ: /ˈzuːs/ প্রাচীন গ্রিক: Ζεύς,আধুনিক গ্রিক: Δίας, Dias) হলেন "দেবগণ ও মানবজাতির পিতা"। সুপ্রিম গড।
☉ চিলতন
প্রাচীন রোমান ও গ্রীসের রাজরাজরাদের পোষাক। অবশ্য অভিজাত অনেকেই ব্যবহার করতে পারতেন।
☆ সারকথাঃ
চরিত্রগুলো সবটিই কাল্পনিক। গ্রিক মিথ থেকে ধার করা হয়েছে একটি প্রেক্ষাপট। সেটির অবলম্বন করে এই ফাও গল্পটি আপনাদের কাছে নিয়ে আসা। ফিডব্যাকটি নির্ধারণ করবে গল্পের বুননে কেমনটি করা উচিত।
☆ সতর্কতাঃ
উপরের লেখা সম্পুর্ণতই আমার মষ্তিষ্ক উদ্ভুত। অনুমতি ব্যতিরেকে অন্য কোনও অনলাইন পেজ বা অফলাইন যেকোন কিছুতে প্রকাশ করা যে সিদ্ধ নয় তা কড়াভাবে বলা হলো।
☆ পূর্বে প্রকাশিত ব্যক্তিগত ব্লগেঃ ♋ অ্যালেসিয়া বিভ্রম (পুরোটা)
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এমন আর্শিবাদে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে...........
ইয়ু আর গ্রেট......
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩২
সুমন কর বলেছেন: সময় নিয়ে পড়তে আসবো...
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওকে.....
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৫
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: খুব ভাল লাগলো।
তবে আম পাঠকের ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হবে। বর্ণনাগুলো আরেকটু সরল এবং পরম্পরায় আরেকটু নৈকট্য থাকলে ভাল হবে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আম পাঠকেরাও ধীরে ধীরে একটু দক্ষ হউক..... কি বলেন ভাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ + ২০১৬'র শুভকামনা......
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: অবশেষে শেষটাও দিলেন তাইলে?
লাস্টের টুকুই বাদ আছে শুধু। তবুও পুরোটা আবার পড়ে নেই। একসাথে দিয়েই ভাল করছেন। শোকেসে সাজায়া থুইলাম।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: হুঁ দিলাম।
আপনে তো গোপন পাইপ দিয়া পইড়ালচিলেন..... অনেকটাই......
শোকেসে রাখায় খুশি হলাম।
৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৩
কিরমানী লিটন বলেছেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা প্রিয় গেম চেঞ্জার ভাইয়া, সময় করে পড়ে মন্তব্য করবো পোষ্টের- এখন শুধুই শুভকামনা ...
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: শুভকামনা রইল কিরমানী ভাই।
৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৭
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: গ্রীক মিথ থেকে ধার নিলেও চরিত্রের নামগুলো রাঙালিওয়ানা দিতে পারতে ।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: হ্যাঁ পারতাম মিস্টার, তবে এতে কি এমন ফায়দা হতো সেটা জানি না।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫২
জুন বলেছেন: গ্রীক মিথ প্রিয় বিষয় গেম চেঞ্জার । এই সব দেবতা আর মানুষের ভেতর কত ষড়যন্ত্র আর কত কাহিনী তা ইলিয়ড পড়লেই বোঝা যায় ।
অনেক ভালোলাগলো ।
+
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার আগে থেকেই এইগুলোর সাথে পরিচয় থাকায় নতুনত্ব হয়তো পান নি অতোটা।
পড়ছেন, এতেই সার্থক। ভাল থাকবেন আপু।
৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৬
কালীদাস বলেছেন: লিওনাইডাস নামটা পরিচিত ঠেকল...ওহ, মিট দ্যা স্পার্টান নামের ৩০০ মুভির স্পুফ মুভির রাজার নাম ছিল লিওনাইডাস। পুরাই হাহাপগে টাইপের একটা মুভি ছিল।
পোস্ট ভাল হয়েছে
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: লিওডেনাস ও লিওনাইডাস
হালকা মাত্রার তফাৎ। তবে ঐ মুভির রিভিউ পড়ে আর দেখা হয়নি। আপনার মন্তব্যে ঐটার কথা মনে হয়ে গেল। তবে ৩০০ মুভিটি কিন্তু সুপার...... ছিল।
৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: (বিখ্যাত, নিশ্চিত, প্রতিষ্ঠিত, নিষ্ঠুর, জ্যোতিষী, অধিষ্ঠিত) পুরোটাই পড়লাম (অাগের অংশ সহ) । চমৎকৃত হলাম । অসাধারণ! মনে হচ্ছিলো, যেন শেক্সপিয়র পড়ছি ।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাই বেশি কিছু কমু না.......
আমি নিজেরে দেখি আসমানে উইট্টারসি.......
১০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৪
প্রামানিক বলেছেন: অর্ধেক পড়েছি শেষ করতে আরো সময় লাগবে। তবে পড়ে মজা পাচ্ছি। ধন্যবাদ
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: শুভ ২০১৬ প্রামানিক ভাই........
বাহঃতো....... মজা পাচ্ছেন........।
ঠিকাছে...... টাইম নিয়া বাকিটাও সাবাড় কইরালান.........।
১১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯
আজাদ মোল্লা বলেছেন: সময় করে পড়া যাবে , একটু বড়তো ,
কিছুটা পড়েছি ভালো লেগেছে ।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই ।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আজাদ মোল্লা ভাই। পড়ে নিন নিজের সুবিধেমতো।
১২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৭
কল্লোল পথিক বলেছেন: বিরাট বড় কাহিনী তবুও পড়লাম ভাল লেগেছে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: থ্যাংকিউ....
১৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৫
কল্লোল পথিক বলেছেন: বিরাট বড় কাহিনী তবুও পড়লাম।
পৌরানিক গল্প আমার বরাবরই ভাল লাগে।ধন্যবাদ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাললাগাতেই সার্থকতা। শুভকামনা রইলো ভাই।
১৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৮
তট রেখা বলেছেন: শেকসপিয়ার রিলোডেড।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এই মিয়া? আমারে কি মহাকাশে ছুঁইড়া মারবার চান??
১৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫২
আবু শাকিল বলেছেন: আপনার পোষ্ট দেখে -আসলাম ।স্ক্রল বার টেনে নীচে নামলাম ।
আমার চোখছিল মন্তব্য এর দিকে ।এখনো কেউ গঠনমূলক মন্তব্য করে না।যাস্ট কালীদাস ভাই কিছু বলেছে ।বাকি মেধাবী ব্লগার ঘুমায়চ্ছে সম্ভবত ।
পুরো লেখাটা আমার বোঝতে হলে মন্তব্য গুলা আগে পড়তে হবে।
পোষ্টে আবার আসব । তারপর কিছু লিখব ।
শুভ রাত্রি ।
লাইক বাটন চেপে গেলাম
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এইতো লাইনে আনার একটা টেরাই দেখতেছি। কিবোর্ডে গুতোগুতি মনে হয় বেশিরভাগেরই ভাল্লাগে না। এইডা আসল ঘটনা, বুঝছেন ভাইডি? অনেক কৃতজ্ঞতা রইল।
এনিওয়ে...... আপনার সুচিন্তিত মতামত আশা করছি।
১৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৮
আমি মিন্টু বলেছেন: ভালো গেম হয়েছে থুক্কু ভালো গল্প হয়েছে কিছু পড়েই দিয়েদিছি সবটুকো পরে সময় করে পড়ে নেব ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনের খপর আছে মিন্টু সাহেপ!!
আপনে আমার আরেকটি সিরিজ রুজি'র ঐখানে সেম কথা কইয়া পরে আসেন নাই।
১৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০২
দরবেশমুসাফির বলেছেন: অসাধারন হবে মনে হচ্ছে। পুরোটুকু ভালভাবে পড়ে জানাব।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই......
১৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৩
তানজির খান বলেছেন: চমৎকার গল্প
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ে নিব। এমন লেখা ধিরে সুস্থে পড়তে হয়।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। পড়ে মতামত জানাতে ভুলবেন না আপু।
২০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:২৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কাল সকালে পড়বো! এখন বিছানায় যাই
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৪৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওকে ভাইডি......
২১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১৩
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: অসাধারণ ভাইয়্যু। এক কথায় অন্য একটা জগতে ঢুকে গিয়েছিলাম। গল্পে নতুনত্বের স্বাদ পেলাম। কারণ এধরণের মিথোলজি লেখতে খুব কম ই দেখা যায়। গল্পটাকে আরও বিস্তৃত করে হিস্টরিকাল ফিকশন করতে পারেন। যেটা প্রাচীন মিথলজির সদ্ব্যবহার করবে। জমবে তাতে। শুভেচ্ছা রইল।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: অভ্রনীল, আপনাকে শুভেচ্ছা।
মিথনির্ভর গল্পে আপনাদের আন্তরিকতা নিঃসন্দেহে অণুপ্রেরণাদায়ক।
২২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৫
অগ্নি সারথি বলেছেন: গ্রিক মিথ থেকে ধার করা প্রেক্ষাপট !!!। সেটির অবলম্বন করে আবার ফাও গল্প!!!! এক কথায় অসাধারন। আর কিছুই বলতে পারছিনা।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আর কিছু বলতে পারছেন না, হাঃ হাঃ হাঃ
২৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪
রিকি বলেছেন: পড়ে শেষ করলাম ভাইডি--অসাধারণ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধইন্যবাদ ভাইডা
(কেমন হলো রিপ্লাই )
২৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চমৎকার!
এক টানে পড়ে গেলাম! দারুন এক উপাখ্যান।
রাজতন্ত্র থেকে প্রজাতন্ত্রে উত্তরণ। ক্ষমতার কাছে বাকী সব যে তুচ্ছ তা সেই আদিকাল থেকেই।
তবে এখন আর দোষ কি? মসনদ কে ছাড়তে চায়? আর কে ছেড়ে থাকতে চায়
+++++++++++++++++++++
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: অনেক দিন পরে আসলেন বিদ্রোহী ভাইডি আমার,
আসল জায়গায় হাত দিছেন, ক্ষমতার লোভ...... আর জনগণের অধিকার.......
এ নিয়েই তো এই গল্প।
প্রীতি ও শীতকালীন শুভেচ্ছাসহ.....
২৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসাধারন লাগলো। কিছুটা আগেই পড়া ছিল , বাকিটার অপেক্ষায় ছিলাম। শেষটা আসলেই খুব ভালো হয়েছে।শুভকামনা।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তনিমা আপু.....
ভাল থাকবেন......
শুভেচ্ছা.......
২৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬
আলোরিকা বলেছেন: গ্রিক মিথলজি আর হিন্দু পুরাণ পড়লে মনে হয় - দেবতার অপরূপ অবয়বে কি বিষ তারা হৃদয়ে ধারণ করতেন ! সামান্য পান থেকে চুন খসলেই একজন আরেক জনকে অভিশাপ দিচ্ছেন । বানিয়ে দিচ্ছেন ছাগল ,ভেড়া ..... কি নিষ্ঠুর , ভয়ংকর ।
আবার এ সব মিথকে নিয়ে সৃষ্টি কত কাহিনী , উপ কাহিনী । মনে রাখা জটিল , কঠিন হলেও পড়তে ভালই লাগে
আপনার গল্প কথনও চমৎকার হয়েছে !
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: হাঃ হাঃ
গ্রিক/হিন্দু পুরাণ আসলে বাস্তব কতটুকু সেটা তো আমরা জানিই। যাই বলেন না কেন, এগুলো আমাদের কল্পনার জগতকে ব্যবহার করতে কিন্তু সাহায্য করছে।
আমার প্রচেষ্টা ছিল মিথ অবলম্বনে প্রাচীন কালীন মানুষের রাজ্যশাসন ব্যবস্থার একটা স্বরুপ তুলে ধরা। এই যাঃ
২৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
অসাধারণ হইছে ভাই। পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল কোন বিখ্যাত বই অনুবাদ করেছেন আপনি।
কেমন আছেন।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই,
আসলে আমার লেখার স্টাইলটা এখানে ঠিক উঠে আসেনি। এটা হচ্ছে অনেকটা খসড়া টাইপ। এটাকে ভাষার সাবলীলতা দান করতে আমার একটা ইচ্ছে আছে।
ভাল থাকবেন। শুভকামনা।
২৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অস্বাধারণ!!! শায়মা আপুর সাথে আমিও একমত।
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমার এই লেখা পড়েই বুঝা যায়। ইচ্ছা করলেই তুমি জগৎবিখ্যাত হতে পারবে। ---
আপনার বিনা অনুমতিতে আমি আমার এক বন্ধুকে শেয়ার করেছি এ লেখা।
আমি কি, অন্যায় করেছি?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ও বাবাঃ
বীথি আপু...... ব্যাপক খুশি হলাম....
আপনার আগমনে। আর শায়মাপুর সাথে তাল মিলিয়ে যেটা বলছেন..... তাতে ভুই পাইতেছি..... :-)
আর শেয়ার করায় কিভাবে অন্যায় হয় সেটাই আমার মাথায় ঢুকছে না কোনভাবেই......
২৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: অসাম .।.। কি বলবো বুঝছি না । দারুন ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: হায়ঃ হায়ঃ
বুঝতে না পারলে তো সমস্যাই।
৩০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫
রমিত বলেছেন: ভাই আমার শরীর খুব খারাপ, তার মধ্য দিয়েই মনযোগ দিয়ে আপনার লেখাটা পড়ছিলাম। বেশ লাগছিলো। তবে আর পারছি না। একটু সুস্থ হই তারপর আবার আপনার লেখাটা পড়বো।
তবে মানসম্পন্ন লেখা আপনার। বাহবা জানাচ্ছি।
হ্যাপি নিউ ইয়ার!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আশা করি সুস্থ হয়ে গেছেন এরি মধ্যে রমিত ভাই।
দেরি না করে পড়ে ফেলুন। আপনার প্রশংসা হয়তো বেশিই হয়ে গেল।
হ্যাপি নিউ ইয়ার.....
৩১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ লিখেছেন। মাইথলজি লেখাটাকে আরো একটু রস দিলেই চমৎকার চাল থেকে ক্ষীর হয়। ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন:
সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকবেন...
শুভকামনা.......
৩২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০
সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পের প্রথম অংশটাতো আগেই পড়াছিল! আজ শুধু পরবর্তি অংশটা পড়লাম! অনেক ভাল লাগলো.......!
গল্পের মধ্য আমার কাছে যে জিনিসটা সব থেকে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সেটা হলো, এর সুন্দর প্যারা এবং প্যারার নামকরণ করে দেওয়া!
শুভ কামনা জানবেন!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আসলে প্যারার এ বিষয়টা অনেকেই হয়তো উপভোগ করেছেন, কিন্তু বলা হয়নি। আমার চেষ্টা থাকবে নতুনত্ব কিছু প্রদানে।
অনেক শুভেচ্ছা...........
৩৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৬
ধমনী বলেছেন: মনে হচ্ছিল অনুবাদ পড়ছি। গ্রীক মিথের সাথে পার্থক্য হলো এ গল্পে দেবতাদের উপস্থিতি/ আশির্বাদ/ অভিশাপের খুব একটা বর্ণনা নেই। তবে রাজকাহনী, ষড়যন্ত্র, প্রজাধিকার পুরো প্রেক্ষাপটা দারুণ লেগেছে। অনেকগুলো প্লট একসাথে এসেছে যা উপন্যাস আকৃতি দাবি করে।
ধন্যবাদ গেমচেঞ্জার ভাই।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: অনুবাদ মনে হওয়ার কারণ আছে। আমি লেখার সময় আসলে খটমটে হচ্ছে কি না তা খেয়াল করি নি। নিজের কাছেই মনে হচ্ছিল কেমন যেন সাবলীলতা গুণটির ক্ষয় হচ্ছে।
পরে আপনাদের প্রতিক্রিয়া জানার আশায় আর চেঞ্জ করি নাই।
শুভেচ্ছা রইলো ধমনী ভ্রাতা।
৩৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৪
সকাল রয় বলেছেন: অসাধারণ!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: শুভেচ্ছা
(দ্রঃ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যে আরো ভালো লাগত)
৩৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আহ্..... হৃদকম্পন যে কতবার ওঠানামা করেছে! এত সাসপেন্স!
পৃথিবীর সর্বনিকৃষ্ট ষড়যন্ত্রের নাম হলো প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। এর ক্ষুদ্র সংস্করণ হলো ভূমি/ভূসম্পদের ভাগ নিয়ে উত্তরাধিকারের দ্বন্দ্ব..
শেষে সুবিচারই হয়েছে আমার মনে হয়। রিপাবলিকান দৃষ্টিতে দেখছি.... সাম্রাজ্যবাদের নয়। তবে (বিশেষত ব্যক্তি ও স্থানের) নামগুলো বেশ কটমটে। এতকিছু করলেন আর নামগুলোকে মানুষ করতে পারলেন না
ভালো হয়েছে.... গেম চেন্জার! আপনি তো সত্যিই গেম চেন্জ করে দিলেন!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: মইনুল ভাই,
আন্তরিক শুভেচ্ছা সহ কমেন্টে প্লাস+
শেষে সুবিচার হয়েছে আমিও একমত। আর ব্যক্তি স্থানের নাম নিয়ে যেটা বলব, গ্রিক নামগুলো আসলেই জটিল করে বলা হয়। তবে সহজ নাম যেগুলোও আছে তার বেশিরভাগই বলতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়ার কারণেই হয়।
যেমন এরিস্টটল, আলেক্সান্ডার এইগুলো প্রথম শুনলে মোটেও সহজ মনে হবার কথা না।
নেক্সট টাইম অবশ্য নামগুলোর সহজীকরণের দিকেই খেয়াল থাকবে.....(যদি লিখি) হাঃ হাঃ
পরিশেষে এক ডালি হিমেল শুভেচ্ছা........
৩৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: নিজের জাতটা চিনিয়ে দিলেন ভাই। হ্যাটস অভ টু ইউ।
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন, তবে (বিশেষত ব্যক্তি ও স্থানের) নামগুলো বেশ কটমটে। এতকিছু করলেন আর নামগুলোকে মানুষ করতে পারলেন না //
বেশি বড় হওয়ায় চরিত্রগুলোকে মনে রাখতে কষ্ট হচ্ছিল।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: রাজপুত্র ভাইডি, রেসপেক্ট
মইনুল ভাইকে দেয়া রিপ্লাইটা পড়ে নিন।
৩৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গ্রিক মিথলজি আমার প্রিয় বিষয় , তবে নাম গুলি বেশ খটোমটো লাগে
অ্যালেসিয়া বিভ্রম এ ও নামগুলির কারনে চরিত্র মনে রাখতে একটু কষ্ট হলেও পড়তে চমৎকার লেগেছে ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: লিটন ভাই,
নামের ব্যাপারে মইনুল ভাইকে রিপ্লি দিছি
আপনার গুণীজন সিরিজটি এতদিন ধরে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেটা নিঃসন্দেহে সামুর অনন্যতা। আপনাকে রইলো একরাশ শুভেচ্ছা
৩৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১২
আবু শাকিল বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাইয়ের মন্তব্য পছন্দ হইছে ।গল্প টা আজ ও পড়া হ্ল লা।মাথা টা ঝিম মেরে আছে ।
কালকে আবার আসমু।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাকিল ভ্রাতা.......
৩৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লেখায় "এলান" শব্দটির ব্যবহার পুরো লেখার ভাবগাম্ভীর্যতাকে ম্লান করে দিচ্ছে। যে ঢঙে লেখা পুরো লেখাটি সেখানে এলান শব্দটি মানায় না।
মিথে প্লাস রইলো। +++
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: মেনি মেনি থ্যাংকস ভাই,
আমি ঐ সময়ে অ্যানাউন্স এর সঠিক বাংলা শব্দটি মাথায় আনতে পারি নাই। পরে অবশ্য এক সহব্লগারের কথায় মনে হয়েছে। আপডেটও করে দিলাম।
আপনি যে একজন মনোযোগী পাঠক সেটা জাতির সামনে পুনঃপ্রমানিত হইলো।
এ দুদিন দৌড়ের উপর আছি তাই কারো মন্তব্যে অংশ নিতে পারছ না বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
৪০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২১
আবু শাকিল বলেছেন: পুরো লেখাটা আজকে পড়লাম।এই গল্পের লেখার বিশ্লেষণ করার যোগ্যতা আমার নাই।আমি অত ভাল লেখিও না।
লেখাটা যে খুব উচ্চমানের সে ব্যাপারে সন্দেহ নাই।ব্লগে এসব উচ্চমার্গিয় লেখা খুব কম আসে।
আপনে ভাই পারবেন।আপনাকে দিয়েই ব্লগ জমবে।
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: শাকিল ভাই,
এটা আপনার বিনয়। আমি যে খুব উচ্চমানের লেখা লেখি মোটেও তা না, এটা আমার একটা এটেম্প্ট।
আপনার আন্তরিকতা নিঃসন্দেহে আমার ব্লগ জীবনের একটা প্রেরণার বাতি হয়ে থাকবে। পরবর্তিতেও সাথে থাকার প্রত্যাশা রাখলাম। ভাল থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো শাকিল ভাই।
৪১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬
জেন রসি বলেছেন: ক্ষমতার খেলা.........ক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত সবকিছুই গল্পে উঠে এসেছে। আগেই বলেছিলাম এমন প্রেক্ষাপটে গল্প লেখা অনেক কঠিন কাজ। কিন্তু এই কঠিন কাজটি আপনি খুব চমৎকার ভাবে করেছেন। গল্পের কোথাও ফ্লো হারিয়ে যায়নি। তাই পড়ে উপভোগ করা গেছে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ঠিকঠাক ধরে ফেলেছেন,
ক্ষমতার খেলা..... ক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত অনেক কিছুই সম্পর্কিত তার বেশিরভাগ উপাদান উঠে আসছে তাতে সহমত। আর এমন প্লট নিয়ে লেখতে শ্রম দিতে হয় বেশি। গল্পের প্রবাহে অবিচ্ছিন্নতা নিয়ে সন্দিহান ছিলাম। আপনি উদ্ধার করে দিলেন।
একরাশ হিমেল শুভেচ্ছাসহ কমেন্টে +
৪২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: দারুণ লিখেছেন । আমি তো ভেবেছিলাম হয়তো পরাণ কোন কাহিনী লিখছেন, শেষে এসে সেটা বলবেন ! কিন্তু একি, এতো আপনার নিজের লেখা !! সবমিলিয়ে বেশ লেগেছে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: কথন ভাই,
আপনাকে মিস করছিলাম,,,
যাক অবশেষে....... আসলেন।
লেখাটি উপভোগ করেছেন জেনে যারপরনাই খুশি হলাম।
৪৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: মিস করেছেন জেনে যারপরনাই আনন্দিত যদ্যপ মিস করার মত কেউ নয়।
আমারও মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে পৃথিবীর এমন পেঁছনে গিয়ে গল্প লিখবো যে পাঠক তব্দা খেয়ে যায় !!! হা হা
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওও
শুনেন......
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করলেই হবে না......। সংকল্পটা জায়গামত নাহলে কখনই আমার হয় না। আপনারও হবে মনে হয় না। হাঃ হাঃ
আছেন কিরাম??
৪৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৫
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি ।
আপনি কেমন আছেন ? লেখালেখি নিয়ে নিশ্চয় ডেঞ্জারাসভাবে ব্যাস্ত ??
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি তো ভাল নাই।
শীতকালীন অসুখ যেইটা সে-ই..... সমস্যা।
আর প্রজেক্টের কাজে সময় দিতে গিয়ে সামুতে সময় দেয়া হচ্ছে না। ঝামেল্লা ঝামেল্লা .....
৪৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০০
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
হুম । ব্লগে সময় দেয়া বাধ্যবাধকতা নেই কিন্তু প্রজেক্টে বাধ্যবাধকতা আছে । বাস্তবতার জন্য প্যাশনে সময় কম দিয়ে চলতে হয় যে ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আলবৎ......
তো আপনার কি পড়াশোনা শেষ? নাকি ......
৪৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৩
নিঃসঙ্গ গ্রহচারি বলেছেন: অসাধারণ!!
তবে শেষের দিকে একটা ব্যাপার--
একজন মা তার জমজ সন্তানদের আলাদাভাবে চিনতে পারলেন না! এইটা কীভাবে সম্ভব!!
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: মানসিক অবস্থাটা বিবেচনা করুন।
এছাড়া গুপ্তসংসদের অপহরণের খবর কি তিনি জানেন? এইসব মিলিয়ে.....।
তাছাড়া এটি তো গল্প......। এখানে এতো বাস্তবতা খুঁজলে কি চলে ভাইডি....
ভাল লাগাতেই সার্থকতা.......।
অনেক শুভেচ্ছা রইলো......
৪৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৩
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: দোলনা থকে কবর পর্যন্ত পড়াশোনা ! সো, জীবনের স্কুলে কোন ছুটি নেই...
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: বুঝা গেছে ব্যাপারটা। বলতে হবে না।
আপনার নতুন কবিতার আশায় বসে রইলাম।
৪৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১১
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ব্যপারটা ভুল বুঝলে কতৃপক্ষ দায়ী নহে !!!
কবিতা তো আসে না । তাদেরও নাকি বিষণ্ণতা আছে !!! হা হা
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন:
কি যে বলেন....
আমার সেরা সেরা কবিটাগুলো কিন্তু বিষন্ন সময়েই আসছিল। (অবশ্য আমার শুভাকাংখীদের মতে)
৪৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৯
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: আরে আমার বিষণ্ণতার কথা বলি নি । বলেছি কবিতার বিষণ্ণতার কথা !!!
তা ঠিক । দুঃখে থাকলে সাহিত্য বাড়ে !!!
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওহহো....
খেয়াল করে পড়িনাই। বিষয়টি আসলেই ঐরকমের।
আমার কবিতারা আসে তো অনিয়মিত। কোন সময় মাসে একটা কি দুটো। আবার কোন সময় দিনে একটা দুটো। ঐ সাবজেক্ট আসলেই কবিতাদের খেয়ালের মধ্যে আটকে আছে। কিছু করার নাই। আমি অসহায়।
গল্পরা এতো খেয়ালি নয়। তবে গল্প লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধের বিরাট দরকার........। হাঃ হাঃ
৫০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নামগুলো পরিচিত, কাহিনী ভিন্ন। ক্রিয়েটিভ চেষ্টা। তবে আরও গুছিয়ে, পরিবেশনযোগ্য করে লেখা যেত, কন্টেন্টের পাশাপাশি প্রেজেন্টেশনটাও গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ভদ্রে!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: শতভাগ সহমত।
আমার যত্নআত্তিতে কমতি ছিল। নেক্সট টাইমে এটা এড়ানোর প্রচেষ্টা থাকবে।
ধন্যবাদ.....
৫১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
" রাণী তাঁকে বললেন যে, তিনি স্বপ্নে দেখেছেন তাঁর কাছে দুই টুকরো পাথর। একটি স্বর্ণের আর অন্যটি রৌপ্যের। "
- পাথর কেন স্বর্ণের, বা রৌপ্যের হবে? কিছুটা বেঠিক শোনাচ্ছে!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৩৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রথমেই ভাল লাগছে আপনার মন্তব্য সুবিধা পেয়েছেন দেখে.....।
- পাথর কেন স্বর্ণের, বা রৌপ্যের হবে? কিছুটা বেঠিক শোনাচ্ছে!
অহহো......
তাহলে? কি হতে পারতো? এনি সাজেশন(স)?
৫২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
পাথর হতে পারে 'শিলা পাথর', 'মার্বেল পাথর', 'গ্রানাইট পাথর'
অথবা রাণীর ১ হাতে ছিল সোনার টুকরা অন্য হাতে রুপার টুকরা ...
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ব্যাপারটা পাথর বলা হয়েছে এই যাঃ
আপেক্ষিক দৃষ্টিতে দৃষ্টিকটু লাগাটাই স্বাভাবিক। ব্যাপার না। স্বপ্নে সিগনাল পেলে মানুষ মার্বেল/গ্রানাইট দেখে আমি আসলে জানি না। তবে আগুন সাপ দানব টানব দেখে। আরো দেখে মুল্যবান পাথর......
স্বর্নের কতকিছু হতে পারে আর পাথর কি দুরের কোন ব্যাপার?
স্বপ্নের মধ্যে পাথরের টুকরোই দেখা স্বাভাবিক চাঁদগাজী ভাই। আমি যেভাবে ভাবি সেটাই লিখলাম। এই আর কি.....।
৫৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭
নিমগ্ন বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেবের নিকট কেবল অসংগতিটাই চোখে পড়ল...... গল্পের প্রবাহে কি মেসেজ আসছে/ প্রেক্ষাপট/চরিত্র/টুইস্ট সেগুলো আসলো নাহ
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২
গেম চেঞ্জার বলেছেন:
৫৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫১
রমিত বলেছেন: ভাই পড়লাম পুরোটা। অদ্ভুত সুন্দর গল্প। মানসম্পন্ন লেখা, সেটা আগের কমেন্টেই বলেছি। প্রেম, সম্পদ, ক্ষমতা এইসব ঘিরে শত্রুতা-মিত্রতা, ষড়যন্ত্র, জনতাকে ধোকা, অসন্তোষ, বিপ্লব, যুগ যুগ ধরে এইসবই তো হয়ে আসছে। মিথ থেকে খুব বেশীদূর তো সরে আসতে পারিনি আমরা।
চমৎকারভাবে এক গল্পে সবকিছু নিয়ে এসেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: অনেক সময় ব্যয় করে যে পড়েছেন তার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ......
জীবনের প্রতিটি মুহুর্তের মুল্য আছে......। সেই মুল্যবান সময় ব্যয় করে ফিডব্যাক দিয়েছেন এটা আমার জন্য প্রাপ্তি......
চেষ্টা করেছিলাম জনগণের মুক্তি/স্বাধীনতা'র সাথে শাসক শ্রেণির প্রকৃত চরিত্রের সাথে গল্প জুড়ে দিয়ে কিছু একটা তুলে আনা। কতটুকু সফল তা আপনারাই ভাল বলতে পারবেন।
অনেক ধন্যবাদ রইল.... রমিত ভাই.......
(পরিশেষে সুস্থতা কামনা করছি)
৫৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৪
শায়মা বলেছেন: তৃয় পর্ব কবে আসিবেক ভাইয়ু?
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: কিসের তৃতীয় পর্ব?
৫৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫১
শায়মা বলেছেন: আলেসিয়া তৃতীয় পর্ব!!!!!!!!! বা আলেসিয়া টাইপ অন্য কোনো পর্ব!
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাহঃ আপুনীর.... দারুণ বুদ্ধি........
৫৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
শায়মা বলেছেন: হা হা সে কি আর বলতে ভাইয়ু!!!!!!!
লোকে বলে আমি বুদ্ধিমতী!!!!!!!!!!
আমি কিন্তু বলিনা।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এইটা মিছে কথা কিন্তু.........
আপনিও বলেন.........
(মনে মনে )
৫৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮
শায়মা বলেছেন: হি হি মনের কথা আবার আমি অনেক মনে চেপে রাখি কিন্তু!!!!!!!
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এটাই...............
তবে পরের গপ্পো লিখার জন্য সময় বের করতে পারছি না..........
৫৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮
শায়মা বলেছেন: আমার তো আর সময়ই হবেনা মনে হয়!!!!!!
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এই কথা মানা যায় না। পেয়েছেন কি শুনি? গত চার পাঁচ মাসে মাত্র ২টা পোস্ট!!!
মানি না। মানবো না।
৬০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫
শায়মা বলেছেন: এই বছরে একটাও হবে কিনা সন্দেহ ভাইয়ু!!!!!!!!!!!
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: তাইলে কুনো কথা না-ই
৬১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১১
শায়মা বলেছেন:
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: কান্নাকাটি না কইরা পোস্ট দেন আপুনি....................
৬২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬
শায়মা বলেছেন: পাব্বো না!!!!!!!!!!!!
আই এ্যাম মরো মরো ঝামেলায় আছি!!!!!!!!
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: পারিব না এ কথাটি বলিও না আর
কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার,
পাঁচ জনে পারে যাহা,
তুমিও পারিবে তাহা,
পার কি না পার কর যতন আবার
এক বারে না পারিলে দেখ শত বার।
পারিব না বলে মুখ করিও না ভার,
ও কথাটি মুখে যেন না শুনি তোমার,
আলস অবোধ যারা
কিছুই পারে না তারা,
তোমায় তো দেখি না ক তাদের আকার
তবে কেন পারিব না বল বার বার?
জলে না নামিলে কেহ শিখে না সাঁতার
হাঁটিতে শিখে না কেহ না খেয়ে আছাড়,
সাঁতার শিখিতে হলে
আগে তবে নাম জলে,
আছাড়ে করিয়া হেলা, হাঁট বার বার
পারিব বলিয়া সুখে হও আগুসার।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: বলো তো আপুনী.......
কোন কবির?
৬৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫
শায়মা বলেছেন: পারিব না কালীপ্রসন্ন ঘোষ পারিব না এ... - ছোটবেলায় পড়া ...
পারিব না কালীপ্রসন্ন ঘোষ পারিব না এ কথাটি বলিও না আর কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার, পাঁচ জনে পারে যাহা, তুমিও পারিবে তাহা, পার কি না পার কর যতন আবার এক...
এটা একটা ব্যাপার হলো ?? মানে বলাটা!!!!!!!
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: সার্চ দিয়া বাইর করলে কিন্তু ঝামেলা। B
আর জানা থাকলে +++++++++++++++++++++
আপু!!
অনেক দিন হলো.. কোন মৌলিক পোস্ট নাই
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: কি হলো? কই???
৬৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০
শায়মা বলেছেন: নাই!!!!!!!!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ইট সিমস.....
আপুনী আজ, বড়ই খোশ মুডে ......
এই উপলক্ষে একটা (কি খাওয়াবেন, কি রান্না করেছেন, খাওয়ান আপুনি.......... )
৬৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: গেম চেঞ্জার ,
যদিও কল্পিত তবুও একটি সত্য প্রকাশিত ।
ইতিহাস ঘুরে ঘুরে আসে ।
মানুষের ইতিহাসের শুরু থেকে আজকের দিনটির এই সময়টুকু পর্য্যন্ত একই ইতিহাস কথা কয় । কইবে আরো অনন্ত বছর ।
ভালো লাগা সবটুকুতে ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জীএস ভাই। আপনার সাথে সহমত জানাচ্ছি। ইতিহাস ঘুরে ঘুরে আসে।
৬৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬
☺ বলেছেন: গ্রিক মিথের থেকে ধার করা গপ ভালই লাগলো।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাল থাকবেন।
৬৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৬
দরবেশমুসাফির বলেছেন: আরে গেম চেঞ্জার ভাই। কিভাবে যেন ভুলে গিয়েছিলাম আপনার এই পোস্টটা পড়তে। আজ আপনার ব্লগে ঢুকে পোস্টটি দেখেই মনে পড়ে গেল। এই কয়দিন ব্লগে কে কে থাকে কিছুই খেয়াল করতাম না। মাথায় অনেক কাজ চেপে ছিল। মন্তব্য করতে এত দীর্ঘ সময় লাগায় আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
আপনার লেখায় শেক্সপিয়রের ছাপ নিয়ে উপরে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। আমারও অনেকটা তাই মনে হয়েছে। তবে পার্থক্য আপনার লেখাটি নাটক নয় বরং ছোটগল্প। নতুন এক শেক্সপিয়রের আগমন ঘটলেও তা ছোটগল্পের ক্ষেত্রেই ঘটবে বলে মনে হচ্ছে । গ্রীক মিথ জাতীয় লেখা হলেও কিছু চরিত্রের নাম ইউরোপের অন্যান্য প্রান্তের মনে হচ্ছে। তবে এটি কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নয়।
আপনি এক মন্তব্যে বলেছেন
"চেষ্টা করেছিলাম জনগণের মুক্তি/স্বাধীনতা'র সাথে শাসক শ্রেণির প্রকৃত চরিত্রের সাথে গল্প জুড়ে দিয়ে কিছু একটা তুলে আনা। কতটুকু সফল তা আপনারাই ভাল বলতে পারবেন।"
সেক্ষেত্রে আমাকে বলতে হচ্ছে গল্পটা আবার পড়তে হবে। আর জানেনই তো যে লেখা যত গভীর ভাব বহন করে তাকেই অনেকবার করে পড়তে হয়। এপর্যন্ত, লিও তলস্তয়, ফ্রাঞ্জ কাফকা, আলবেয়ার কামুর মত লেখকদের লেখাই আমি ২ বার করে পড়েছি। সুতরাং ................ অপেক্ষায় থাকলাম।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ব্যাপার না। আপনার যখন খুশি মন্তব্য করবেন। কোনই সমস্যা নাই।
আমার ক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে ফিডব্যাক একটা বড়ো ভুমিকা পালন করে। আপনাদের ফিডব্যাক লেখার বিভিন্ন ত্রুটিবিচ্যুতি/অদক্ষতা/অসামঞ্জস্যতা তুলে ধরে। এটা পরবর্তী লেখার জন্য আরো ভাল কোন আউটপুট দেয়ার জন্য ক্ষেত্র তৈরি করে। তাই লেখা ছাইপাস যাইহোক, মন্তব্যে তা না তুলে ধরলে আমার কাছে অবিচার-ই মনে হয়।
শেক্সপিয়েরের মতো মহান লেখকের কাজের সাথে নিজের লেখাকে কেউ তুলনা করলে মনে হয় যেন, ধুলোর সাথে স্বর্ণের তুলনা। তবে অন্তরে যে একটা পুলক অনুভূত হয় না একদমই, তাও নয়।
চরিত্রগুলোর নাম নির্ধারণে যাচ্ছেতাই একটা বসিয়ে দিয়েছি গ্রিসের অর্বাচীন নাম দেখে। কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে আরও কিছু ঐতিহাসিক/সাহিত্যিক নামেের সাথেও।
রমিত ভাইয়ের মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আমি বলেছিলাম-
চেষ্টা করেছিলাম জনগণের মুক্তি/স্বাধীনতা'র সাথে শাসক শ্রেণির প্রকৃত চরিত্রের সাথে গল্প জুড়ে দিয়ে কিছু একটা তুলে আনা। কতটুকু সফল তা আপনারাই ভাল বলতে পারবেন।
এটার দিকে আপনি ছাড়া আর কেউ-ই অতোটা নজর দেয় নাই। এই ব্যাপারে কতটুকু সফল তা জানার ইচ্ছেটা রয়েই গেল। হাঃ হাঃ
(সর্বোপরি মনে রেখে আবারও যে এসেছেন সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা)
৬৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: গল্পটি পড়তে পড়তে মনে করেছিলাম কোন বিদেশী গল্পের অনুবাদ পড়ছি।
আপনি এত অসাধারণ গল্প লিখেন । মাঝে মাঝে গল্প উপহার দেয়ার অনুরোধ রইল।
ভাল থাকবেন।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: একটি গল্প লেখার পর, সেটা আর লেখকের কাছে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। চলে যায় পাঠকের কাছে। আপনারা এভাবে সমাদর করবেন তা ভাবিনি।
অত্যন্ত ভাল লাগে যখন দেখি সাদরে গ্রহণ করছেন আপনারা। সবাই অনুভূতি ব্যক্ত করে না। যারা করে তাদের নিকট লেখক সত্বা কৃতজ্ঞ থাকেন।
অনেক ধন্যবাদ বঙ্গ ভাই!!
(আপনার শেষ পোস্ট দিয়েছিলেন ৬মাস আগে। আর দিচ্ছেন না। )
৬৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
ভাইরে আইলস্যামিতে ধরছে। কবে পোস্ট দিব বুঝতে পারতেছি না।
অনেক লেখাই ড্রাফটে পড়ে আছে।
দেয়া শুরু করলে এক বছর একটানা দিয়া যামু।
তবে আপনাদের পোস্ট পড়তেই ভাল লাগতেছে। পড়তে থাকি.....
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: তারিখ করতে থাকলে শেষে দেখা যাবে কিছুই নাই।
সো.......
৭০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮
আরজু নাসরিন পনি বলেছেন: বাহব্বা...
অসাধারণ !
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: শুভকামনা!!
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩১
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমার এই লেখা পড়েই বুঝা যায়। ইচ্ছা করলেই তুমি জগৎবিখ্যাত হতে পারবে।