![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ছোট শিশু হয়ে শুধু আদর পেতে চায়........ !
স্থান,কাল এবং পাত্র ভেদে মা ও শিশুর মধ্যে ভালোবাসা-মমতার পার্থক্য বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয় ।তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঋতুচক্র ,আবহাওয়া-জলবায়ু,কৃষ্টিকালচার,প্রথা,ধর্ম, শারিরীক গঠন,অর্থনৈতিক অবস্থা,সময়……. ইত্যাদী । তুলনামুলক ভাবে বাংলাদেশের মা-সন্তানের সম্পর্কের বন্ধনঅতি উচ্চ অটুট । এটা পারিবারিক প্রথা কে বেশ শক্ত করেছে ।পক্ষান্তরে উন্নত বিশ্বে শত শত সুযোগ সুবিধা ও আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সুযোগ সুবিধা থাকা সত্বেও পারিবারিক প্রথা অনেক দুর্বল । গরীব দেশের মানুষ হয়েও আমরা তাই সৌভাগ্যবান ।ঐ সব দেশে আত্মহত্যার পরিমান আমাদের চেয়ে অনেক বেশী ।কাজেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নত হলেই সুখী হওয়া যাই না।ধর্মীয় অনুশাসন, রীতি-নীতি,নৈতিকতা ও পারিবারিক বন্ধন একটা বড় বিষয় সুখ-শান্তির জন্য । সামান্য কিছু ব্যতিক্রম থাকবে কিন্তু সেটা প্রকৃতির বা সাধারণ নিয়ম বলা চলে না ।আধুনিকতা ও স্বাধীনতার নামে উশৃঙ্খল জীবন মানুষ কে ধোকা দিয়ে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে যায় । অবশ্যই আধুনিকতা ও স্বাধীনতা থাকবে কিন্তু দেখতে হবে সেটা নিজের জন্য ও মানব কল্যানমুলক কিনা ? ফুটানি বা বড়ামী ভাব দেখানো হুজুগ হলে তবেই সর্বনাশ । পশ্চিমারা করে আমিও করবো সেটা ভালো-মন্দ বুঝার দরকার নেই ! এমন যেন না হয় ! সমকামীতা যুক্তরাষ্ট্রে সহ অন্যান্য উন্নত রাষ্ট্রে আছে কাজেই এখন-ই আমার সমকামী হওয়া চাই-ই চায় ।অমুকে ধুমপান করে ও বারে ড্রিংস করে নারী সহ আমার আজ-ই করতে হবে । এ ধরনের চিন্তা কখন আধুনিকতা ও সভ্য-ভদ্রতার মাপকাঠি হতে পারে না ।সুর্য পুর্ব দিকে উঠে কিন্তু বিশ্বের সাত শত কোটি লোক যদি একবাক্যে বলে না সুর্য পশ্চিম দিকে উঠে বললে যেমন ভুল হবে ঠিক তেমনি পরিমানের মাধ্যমে সত্য-মিথ্যা নির্ণয় করাও ভুল । যে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মানুষের কল্যানের পরিবর্তে ক্ষতি বা ধ্বংস করে ঐ বিজ্ঞান এড়িয়ে যাওয়া অনেক ভালো । বিজ্ঞানের কল্যানের জন্য মানুষ নয় বরং মানুষের কল্যারেন জন্য বিজ্ঞান । মানুষে মানুষে হিংসা হানা হানি যুদ্ধ বিগ্রহ এই অত্যাধুনিক যুগে কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে ? স্বার্থ পর হওয়ার কারণে সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলি মারনাস্ত্রের রমরমা ব্যবসা করছে । কে মরলো বাচলো দেখার সময় নেই ।তাহলে সরলতার পরিবর্তে মানুষ কি দিন দিন জটিল কুটিল দানব হয়ে যাচ্ছে ! সর্বদা লাভ লোকসানের হিসাব বেশী করছে । বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া -প্রতিবেশীদের প্রতি দায়িত্ব -কর্তব্য ও মায়া -মমতা উঠে যাওয়াটা ভালো লক্ষন নয় । মা-বাবার সাথে অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে হাই হ্যালো বললেই কি সব সমাধান হয়ে যায় ? বেশী শিক্ষিত বা বিজ্ঞান মনস্ক হওয়ার পুর্বে ভাবুন একটু হলেও । মানুষ কি দিন দিন কি রোবট হতে হতে, তার মানবিক গুনাবলী কি----- শুন্যের কোঠায় চলে যাচ্ছে ? আমরা অবশ্যই বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সাথে থাকবো কিন্তু কোন ধান্দা-ধোকাবাজিতে পড়তে চায় না । সবার উপর মানুষ সত্য । তার উপরও সত্য হচ্ছে বিবেক । যার বিবেক বিবেচনা নাই সে হয় পাগল বা পশু বা রোবট বা জড় পদার্থ । মহাগ্রন্থ কোরানে তাই পাগলদের জন্য নামাজ-রোজা সহ কোন ইবাদত ফরজ করে নাই ।এছাড়া বিচারিক আদালতে ও পাগলদের শাস্তির বিধান নাই যতক্ষন পর্যন্ত তার জ্ঞান বিবেক ফিরে না আসে । আমরা সর্ব শ্রেষ্ট মানুষ পাগল হতে নিশ্চয় চায় না । আমরা সত্যিকারের মানুষ হতে চায় । আমরা বাঙালি বলে নিজেকে ছোট মনে না করে বরং গর্ব অনুভব করতে চাই ।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫১
গেদা (Geda) বলেছেন: আপনি পাগল বলতে কি বুঝেছেন এটা আগে পরিষ্কার হন । বিবেক বোধ যাদের নেই অর্থাৎ জ্ঞান শুন্য তারাই হচ্ছে পাগল । এখন আপনি কি পাগলের কথা বুঝেছেন জানে কে ? আপনি আরও জানেন কি মাতাল( জ্ঞান শুন্য) অবস্থাই ও ইবাদত করা যায় না । কি রেফারেন্স পেলে আপনি খুশি হবেন সেটা জানাবেন । শুধু বলবো এ মুহুর্তে আপনি ইসলামে ইবাদতের ব্যাপারে পাগলদের সম্বন্ধে কি বলা হয়েছে হাদিস-কোরআন বা অন্য কোন নির্ভরযোগ্য সুত্র থেকে জেনে নিন । আপনি প্রমান করবেন-------- “যে এটা মন গড়া ” । দয়া করে একটু ইসলামী জ্ঞানার্জনের চেষ্টা করবেন । তারপর মন্তব্য করার অনুরোধ রইলো । ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১১
আজমান আন্দালিব বলেছেন: মহাগ্রন্থ কোরানে তাই পাগলদের জন্য নামাজ-রোজা সহ কোন ইবাদত ফরজ করে নাই ।
মনগড়া কথা? মহাগ্রন্থ আল কোরআনে পাগল বিষয়ে যা বললেন তার রেফারেন্স দেন।