![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিশীথিনীর কষ্ট গুলো বুঝতে গিয়ে শেষে; জমানো সব স্বপ্ন গেছে অন্ধকারে মিশে।।
তখন আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি। আমাদের ক্লাসে তন্বী নামের একটি মেয়ে ছিল। তন্বী মেয়েটা ভীষণ সুন্দরী ও স্টাইলিশ ছিল। ফলে আমাদের ক্লাসের এবং অন্য ক্লাসের মিলিয়ে প্রায় ৭/৮ টা ছেলে ওকে পছন্দ করত। আমার ঘনিষ্ট ফ্রেন্ডদের মধ্যে দুইটা ফ্রেন্ডও ওকে পছন্দ করত। সজীব ও মাহিন। তো সজীব আমাকে খুব ভরসা করত। সব কথাই আমাকে বলত। তন্বীর বড় বোনের সাথে ওর কথা হত প্রতিদিন। তন্বীর বড় বোন কে সেও বোন বানিয়েছিল। তন্বীর একটা চাচাতো ভাই ছিল সাহেদ। আমাদের ক্লাসেই পড়ত। সে প্রতিদিন এসে সজীবকে তন্বীর কথা বলত। তন্বী কি করে না করে সব বলত। সাহেদ কে সজীব তার মোবাইলে গেম খেলতে দিয়ে বশীভূত করত। কিন্তু কারোরই কখনো তন্বীকে ভালবাসি বলার সাহস হত না। হয়তো যদি না করে দেয় তাই।
মাহিন কিন্তু ভীষণ চালাক ছেলে। স্মার্ট এবং স্টাইলিশ। সে মনে মনে তন্বীকে ভীষণ ভালবাসত। কাউকে বুঝতে দিত না। কিন্তু আমরা সবাই এই কথাটা জানতাম। সজীব ও মাহিন সবসয়ই একসাথে থাকত। কিন্তু তন্বীকে নিয়ে তাদের মধ্যে কখনো কোন সমস্যা হত না। কেন? এই রহস্যের খোঁজ এখনো কেউ পায় নি। আমরা সুযোগ পেলেই ওদের ক্ষ্যাপানোর চেষ্টা করতাম এবং সফল হতাম। কিন্তু মাহিন যেকোন ভাবে এর প্রতিশোধ নিয়ে ছাড়ত।
এসএসসি পরীক্ষার সময় আমাদের ক্লাসের সকল ছেলে মেয়ে আলাদা আলাদা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গাড়ি ঠিক করেছিল। আমাদের গাড়িতে আমাদের ঘনিষ্ট দশজন বন্ধু ছিল। মাহিন, সজীব ও সাহেদ আমাদের গাড়িতেই ছিল।
একদিন বিজ্ঞান গ্রুপের পরীক্ষা ছিল কিন্তু মানবিকের পরীক্ষা ছিল না। আমাদের গাড়িতে সবাই বিজ্ঞান গ্রুপের ছাত্র। তন্বীদের গাড়িতে তন্বী সহ মাত্র তিনটি মেয়েই বিজ্ঞান গ্রুপের। তাই তন্বী সাহেদকে তাদের সাথে পরীক্ষায় যেতে বলল এবং মাহিন আর সজীবকেও তাদের সাথে যেতে বলল। তন্বী আগে থেকেই জানত যে মাহিন ও সজীব তাকে পছন্দ করে। এই খবর শুনে মাহিন আর সজীব তো বেজায় খুশি। ওরা ভাব মারতে শুরু করল। আমরা বললাম বন্ধুদের থেকে ঐ মেয়েটা তোদের কাছে বড় হল। আমরা তাদের ক্ষ্যাপাতে লাগলাম কিন্তু ওরা একটু বেশিই ভাব নিল। আমাদের বিভিন্ন কথা শুনাল ফলে আমরা ভিতরে ভিতরে এর প্রতিশোধ নিতে চাইছিলাম।
পরের দিন ওরা তন্বীদের গাড়িতে করে চলে গেল আমাদের আগে। আমরা একটু পরে রওয়ানা দিলাম। পথের মাঝে আমরা দেখলাম তন্বীদের গাড়ি একটি হাসপাতালের সামনে দাড় করানো। সম্ভবত ড্রাইভার হাসপাতালে তার কোন আত্মীয়কে দেখতে গিয়েছিল। কেল্লাফতে, আমাদের আর কিছুরই প্রয়োজন ছিল না।
পরীক্ষার হলে আমরা ওদের আগেই পৌছালাম। কিছুক্ষণ পর মাহিনরা এল। আমরা এত দিন সজীবকে বেশি ক্ষ্যাপাতাম আজ সজীবকে ছেড়ে মাহিনকে শুরু করলাম। আমি বললাম দোস্ত তন্বীর কি বমি হয়েছিল। আরেকজন বলল দোস্ত ছেলে হয়েছে না মেয়ে। তুই এক দিনে বাপ হয়ে গেলি। সবাই একসাথে ক্ষ্যাপাতে লাগলাম সজীব ও বাদ গেল না। ওদেরকে কথা বলার কোন সুযোগই দিলাম না।
অতঃপর মাহিনের হাসি হাসি মুখখানা কালো হয়ে গেল। অনেকক্ষণ চুপ থাকার পর মাহিন আমাকে বলল এর প্রতিশোধ ও নেবে। আমি ভয় পেলাম এত জনকে বাদ দিয়ে আমাকে কেন বলল।
তারপর থেকে দুই দিন পর্যন্ত সজীব ও মাহিনকে কেউ খুঁজে পেল না। মনেহয় লজ্জায় আন্ডার গ্রাউন্ডে ছিল। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারলাম সে দিন মাহিন আর সজীব গাড়ির সামনের সিটে বসে যাতায়াট করেছিল ফলে তন্বীর সাথে দু একটা সাধারন কথাও ঠিকমত বলতে পারেনি। মাঝ খান থেকে তারা কিছু অপবাদ আর অপমান ফ্রী পাইলো।
২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ফ্রীতে গার্ডের দায়িত্ব পালন!
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬
ঘনায়মান মেঘ বলেছেন: কেমন অতীত? বলিলা ফেলেন।
৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০
ঘনায়মান মেঘ বলেছেন: যথার্থই কইছেন। @ভুত
৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মাত্র ৭/৮ টা ছেলে?
কোন সুন্দরী মেয়ের পিছনে যদি ১০টা অন্তত ছেলে না ঘোরে তাহলে সুন্দরীদের অপমান করা হয়
৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪
ঘনায়মান মেঘ বলেছেন: তখন ৭/৮ টাও কিন্তু কম ছিল না। আমার জানামতে ৭/৮ টা। এর সঠিক সংখ্যা আরও বেশি হবে।
৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২১
সাইলেন্ট পেইন বলেছেন: + +
৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
ঘনায়মান মেঘ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
কল্লোল পথিক বলেছেন:
ভাল লিখেছেন।
১০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪
ঘনায়মান মেঘ বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৯
বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ।
দারুন।
১২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৯
ঘনায়মান মেঘ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪
দিগন্ত জর্জ বলেছেন: বেচারাগুলা। !!! নায়িকার নামটা শুনে অতীত মনে পইড়া গেল ভাই।
