নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজও নিভৃতে আমি ভালোবাসি সেই কিশোরীকে; ঠোঁটে মৃদু হাসি আঁকা মায়াবী নয়না অপ্সরীকে।

ঘনায়মান মেঘ

নিশীথিনীর কষ্ট গুলো বুঝতে গিয়ে শেষে; জমানো সব স্বপ্ন গেছে অন্ধকারে মিশে।।

ঘনায়মান মেঘ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্না বনাম আমি

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

- শান্ত! আমি তোকেই খুঁজছিলাম।
- কেন কি হয়েছে আবির দা?
- একটা সমস্যা হয়েছে। তোকে কিছু একটা করতেই হবে।
- সমস্যা সমাধান তাও আবার আমি? মজা করার জন্য আর কাউকে পেলে না?
- আরে মজা না। শুন কেউ একজন অর্নার নামে অর্নার ছবি দিয়ে ফেক আইডি খুলেছে।
- কি বল সত্যি নাকি? এই কাজটা কে করল পরিচিত কেউ?
- আরে আমি কি জানি কে করল? জানলে ঐ হারামজাদা এতক্ষণে হাসপাতালে থাকত।
- ওকে আইডি লিংক দাও।

.
আমি আবিরদার কাছ থেকে আইডি লিংক নিয়ে চলে এলাম। রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে। একে তো মেয়েটা আমার আত্মীয় তার উপর আমি মানে মেয়েটারে লাইক করি। অর্না মেয়েটা ভারি মিষ্টি। কোন হারামজাদা কজটা করছে জানতে পারলে আবিরদার আগে আমিই ওকে হাসপাতালে পাঠাতাম। ভালই হল আবিরদা আর অর্নার কাছে নায়ক হওয়ার সুযোগ পাওয়া গেল। তবুও প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। এত মেয়ে থাকতে কেন অর্নার নাম দিয়েই, না এখন ভাবনা চিন্তা বাদ দিয়ে কাজে লাগতে হবে।

.
অতঃপর ঐ আইডিতে ডুকলাম। মাথা গরম ছিল, প্রথমে আইডি থেকে অর্নার ছবি সরিয়ে ডিএকটিভ করতে বললাম। হারামজাদা উলটো আমাকে ধমক দিল। ওকে হালকা গালাগালি করে, একটা ছোট খাটো হুমকি দিলাম। ওর ইউজার নেম এ দেখলাম রাজ লেখা। মানে আইডি প্রথমে যে নাম দিয়ে খোলা হয়েছে সেটা। এই নামটা ভুয়াও হতে পারে এবং আমি শাহরুখ খান বাদে রাজ নামের আর কাউকে চিনি না। আইডিখান হ্যাক করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু এই আইডি হ্যাক করা সম্ভব না। হারামজাদাটার মোবাইল নাম্বারের লাষ্ট দুই ডিজিট শুধু জানতে পারলাম ৬৩। আমার পরিচিত কার নাম্বারের লাস্টে ৬৩ না।

.
এরপর আমার সব গুলা আইডি দিয়ে একশন করলাম। এটা ভীষণ ঝামেলার কাজ আর এত সময় লাগে যে বিরক্তি ধরে যায়। তবুও অর্নার কথা ভেবে সব বিরক্তি কে বিসর্জন দিলাম। প্রায় ১৪ ঘন্টা পরও আইডি জীবিত। চিন্তায় পড়ে গেলাম। হিরো না হয়ে জিরো হয়ে যাব নাকি। চিন্তাটা বাদ দিয়ে আবার সব আইডি দিয়ে একশন করলাম। ৬ ঘন্টা পর আইডি গায়েব।

.
আবিরদাকে ফোন দিয়ে বললাম ডান। আইডি গায়েব। ঐ ছেলেটার নাম্বারের লাস্ট দুই ডিজিট ৬৩। আর নাম রাজ। এটা ভুয়া নামও হতে পারে। আবিরদাও একে চিনে না। আবিরদার কথা শুনে বুঝার বাকি রইল না যে আমি তার কাছে হিরো হতে পেরেছি। কিন্তু তার বোনের কাছেও কি হতে পেরেছি জানতে খুব ইচ্ছে জাগছিল। কিন্তু জানার কোন উপায় ছিল না।

.
কয়েকদিন পর হঠাৎ অর্নার সাথে দেখা। আমি অর্নাকে দেখে বুক ফুলিয়ে হাটঁতে লাগলাম। একবার ওর চোখের দিকে তাকাতেই দেখলাম আগুন ঝরছে। পাশ কাটিয়ে চলে এলাম হঠাৎ পেছন থেকে ডাক দিল। আমার হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল। খুব আনন্দও হচ্ছিল।
- তুমি নিজেকে কি ভাব?
আমি হতবাক। ধন্যবাদের বদলে তিরস্কার হবে নাকি। আমি বললাম কেন কি ভাবব?
- তুমি মানুষকে বলে বেড়াও আমি তোমাকে ভালবাসি। আমার বিয়ে তোমার সাথেই হবে?
আমার হৃদস্পন্দন দ্বিগুন হয়ে গেল। এই মেয়েটা এইসব কি বলে।
- আমি কাকে বললাম?
- কেন রাজকে বলনি?
- না তো। কোন রাজ?
- ও এখন তুমি রাজকেও চিন না। তাহলে ও তোমাকে চিনল কি করে? যত্তসব। জীবনেও আমার বিষয়ে নাক গলাতে আসবা না।
.
আমি কোনো কথা না বলেই ফিরে এলাম। যার জন্য যুদ্ধ করি সে ই বলে সন্ত্রাস। রাজ নামের ফইন্নিটা কত বড় ভন্ড বুঝতে পারছি। কিন্তু অর্নাকে বোঝাবে কে? তবে একটা কথার প্রমান পেয়ে গেলাম, সুন্দরী মেয়েদের মন ভন্ড ছেলেরাই পায়। আমি এখন অর্নার কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমান দূরত্ব বজায় রেখে চলি। কি দরকার অহেতুক অবহেলার। জানি অর্না একদিন বুঝবে, হয়তোবা দেরী হবে। আমি তার অপেক্ষায় নেই, আমি তার বুঝার অপেক্ষায় আছি। যে দিন সে তার তার ভুল বুঝতে পারবে সেদিন তার মুখটা দেখার মত হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.