![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাহাড়গুলো জড়ো করলে যে পাহাড় হবে সাগরগুলো মিশিয়ে দিলে যে সাগর হবে - সেরকম কিছু ইচ্ছে করে । শেষ হতে না চাওয়া আকাশের মতো কিছু । [email protected]
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , আপনি সাম্প্রতিক সময়ে আপনার অনেক জনসভায় বলেছেন “মা-বোনদের ইজ্জত যারা লুটে নিয়েছিল তাদের বিচার বাংলার মাটিতে অবশ্যই হবে।” বিচার সংক্রান্ত বাক্যাংশটুকু উতসাহব্যঞ্জক । কিন্তু আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত কি এত সস্তা যে শুকরশাবক কতিপয় সেনা লম্পট ও তাদের দোসররা তা নষ্ট করার ক্ষমতা রাখে । নির্যাতিতা সেই বীরাঙ্গনরা চিরদিন আমাদের কাছে পরমশ্রদ্ধেয়। জানি আপনার এই উক্তি যৌননির্যাতন সংশ্লিষ্ট চিরায়ত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ যেখানে নির্যাতিত মেয়েটিকে মানুষ হিসেবে নয় বরং নিতান্ত যৌনলালসাপূরনকারী মাংসপিন্ড হিসাবে দেখা হয় । ধর্ষনের পর এই মাংসপিন্ডটি সেকেন্ড হ্যান্ড নিম্নমানের পন্যে পরিনত হয় । বিয়ের বাজারে তার মূল্য আর অবশিষ্ট থাকেনা । শুধু তাই নয় সামাজিকভাবে তাকে বয়কট করা হয়(যেখানে উচিত ধর্ষককে সামাজিকভাবে বয়কট করা), পারিবারিকভাবে হতে হয় লাঞ্ছনার শিকার । অশিক্ষিত ও রক্ষনশীল অনেক পরিবার তার দায়িত্ব নিতেও অস্বীকৃতি জানায় অথবা ধর্ষকের সাথে তার বিয়ে দেয়ার দাবি তুলে ধর্ষককে পুরষ্কৃত করা হয় (কোন মধ্যযুগীয় সমাজে আমরা থাকি) । তাই মেয়েটি আইনের আশ্রয় নেয়া দূরে থাক যথা সম্ভব সব কিছু চেপে রাখে আর প্রতিমূহুর্তে অপরিমেয় মানসিক অশান্তির মধ্যে জীবন অতিবাহিত করে । কারন সমাজ তাকে শিখিয়েছে ধর্ষিতার সম্মান থাকেনা । এভাবে সমাজ তাকে পরোক্ষভাবে সবকিছু চেপে রাখতে বাধ্য করে । অসমসাহসী দৃড়চেতা কিছু মেয়ে হয়তো নিতান্ত নিজের যোগ্যতায় প্রতিকূল পরিবেশে প্রতিটি পদক্ষেপে বৈরি এক সমাজের সাথে লড়াই করে বেচে থাকে । তাদের সংখ্যা নিতান্তই হাতে গোনা । এই চিত্র পুরো দক্ষিণ এশিয়ার । তাই এই অঞ্চলে ধর্ষন পরবর্তী বিচার এর সাথে মেয়েটির পুনর্বাসন সংক্রান্ত জটিলতা সমস্যাকে আরও ঘনীভূত করে । অন্যদিকে মেয়েটির পুনর্বাসন নিয়ে মাথা ব্যথা থাকেনা কারও ।তাই দেখা যায় চাঞ্চল্যকর কিছু ধর্ষন ঘটনার ক্ষেত্রে (যেখানে ভিকটিম উচ্চবিত্ত শ্রেণীর একটি মেয়ে) মেয়েটির বিচার নিয়ে গনমাধ্যম যতোটা সোচ্চার হয় মেয়েটির পুনর্বাসন নিয়ে নিয়ে ততোটা আগ্রহ থাকেনা । পত্রিকাগুলো কয়টি নির্যাতিতা মেয়ের মানসিক , পারিবারিক, সামাজিক লাঞ্ছনার খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে ? (এখানে আমি ধর্ষিত মেয়েটির নির্যাতনের ঘটনাকে নিয়ে গনমাধ্যমের রগরগে সেনসেশন তৈরি ও টি আর.পি ব্যবসার ঘোরবিরোধী ।) যেহেতু টঙ্গে চড়ে সং সেজে চিতকার না করলে আমাদের কানে কিছু পৌছায়না তাই চোখের সামনে সামাজিক নির্যাতন এর চিত্রটি আমরা এড়িয়ে চলতে পছন্দ করি । কারন তা না করলে সমাজের ভিত্তিমূলে কুঠারাঘাত করতে হয় । একটি মেয়েকে মানুষ হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হয় । যৌনতৃপ্তিদায়ক , সন্তান উতপাদক , স্থায়ী চাকর বা অর্থউপার্জনকারী বস্তুটির নিয়ন্ত্রনের অধিকার আর সমাজপতিদের থাকেনা । চলচ্চিত্রে ধর্ষনের দৃশ্য দেখে একদিকে যৌনসুড়সুড়ি আর অন্যদিকে মেয়েটির কষ্ট থেকে বিমলানন্দ নেয়ার সুযোগ থাকেনা । তাই ধর্ষককে কালেভদ্রে বিচার এর কাঠগড়ায় তুলে (ধর্ষক যদি সমাজের নিম্নশ্রেণীর ক্ষমতাহীন) সমাজ তৃপ্তির ঢেকুর তোলে । কিন্তু নির্যাতিত মানুষটিকে রক্ষনশীল সমাজের বিষযন্ত্রনা থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব কার ? সমাজ কি সামনের দিনগুলোতে ও ধর্ষিতাকে এভাবে অসম্মান করবে ? মানসিকতা পরিবর্তনের কোন লক্ষন দেখতে পাইনা যখন রাষ্ঠ্রের সবচেয়ে ক্ষমতাধারী ব্যাক্তি যে নিজেও নারী হয়ে বলেন ধর্ষক নারীর ইজ্জত লুটে নিয়েছে ।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১
মুনতাসীর রোমান বলেছেন: কোন পোষ্টের জবাব ?
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
সংকেত মাহমুদ বলেছেন: ছাগুরা যদি এ পোষ্টে নষ্ট করবার লাইগা ল্যাদাইতে আসে সেজন্য অগ্রীম মাইরা দিছি ।
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯
সংকেত মাহমুদ বলেছেন: ছাগুরা যদি এ পোষ্টে নষ্ট করবার লাইগা ল্যাদাইতে আসে ( আসার সম্ভাবনা আছে) সেজন্য অগ্রীম মাইরা দিছি ।
পোষ্টে +++++++++++++
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
মুনতাসীর রোমান বলেছেন: তাই কন ।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
মুনতাসীর রোমান বলেছেন: + এর জন্য ধন্যবাদ
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২২
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আমিও সংকেত মাহমুদ এর প্রথম কমেন্ট পড়ে অবাক হয়েছিলাম....যাক পরের কমেন্ট এ তিনি কারণ উল্লেখ করেছেন।
পোস্টে প্লাস.....
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৫৩
মুনতাসীর রোমান বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
সংকেত মাহমুদ বলেছেন: ছাগুদের বিশ্বাস হয় না, ধৃত ব্যাক্তিরা অরিজিনাল আলবদর- রাজাকার ।আরে হারামজাদা ছাগুর দল- ধৃত ব্যাক্তিরা তো শুধু রাজাকার বাহিনীর একজন সাধারন সদস্যই না বরং রাজাকার-আলবদর-দোষর বাহিনীর কেন্দ্রীয় লিডার ।
+



যে নিজামী আলবদরে লিড দিছে, "অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধর "এই কথা বইলা যে মুজাহিদ গনহত্যাকারী রাজাকারদের নির্দেশ দিছে , যে গোলাম আজম তার কর্মীদের খুনী পাক হানাদার বাহিনীরে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিছে , তারা ৭১ এ নিশ্পাপ শিশু । অথচ এরা তো ছিল, গনহত্যাকারী দোষর বাহিনীর কেন্দ্রীয় লিডার ।কেননা ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধকালে রাজাকাররেরা যাদের হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে, তাদের সঙ্গে রাজাকারদের কোনো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক শত্রুতা ছিল না। লাখ লাখ মানুষকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল দলীয় ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্দিষ্ট আদর্শিক প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে। রাজাকার বাহিনী হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল এই লিডারদের রাজনৈতিক আহ্ববানেই ।
বাংলার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অধিনস্ত রাজাকারদের অস্ত্র হাতে নিতে মুজাহিদের নির্দেশঃ
১৯৭১ এর গনহত্যাকারী আলবদর বাহিনীকে একশনে উৎসাহিত করতে আলবদরের নেতা নিজামীর প্রচেষ্টার নমুনাঃ