নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিবাহিত ব্যাচেলরের বাংলা ব্লগ!

হাবিবউল্যাহ

এই দূর পরবাসে তারাগুনি আকাশে আকাশে কাটে নিঃসঙ্গ রাত্রিগুলো মাঝে মাঝে স্বপ্নের বেশে স্মৃতিরা এসে আমাকে করে দেয় বড়বেশী এলোমেলো!

হাবিবউল্যাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা মুভিঃ শেষ ঠিকানা....সালমানের সাইন করা করা মুভিতে শাবনুরের সাথে যেখানে অভিনয় করতে হয়েছিল অমিত কে!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪৯



যখন এই মুভিটি সিনেমা হলে দেখি।তখন মুভির অনেক খুটিনাটি দেখার সময় পাইতামনা।রেডিওতে গান শুইন্যা মাথা নষ্ট।মাথার ভিতর কাজ করত কবে মুভিটা দেখব।



কিন্তু এই মুভিটা দেখার শতচেষ্টাও সফল হচ্ছিলনা।পুরা সপ্তাহ শেষ হতে চলতেছে।দুইদিন পড়ে অভিসার থেকে নামিয়ে ফেলবে এই মুভি।

বিষুধবার রাতে বন্ধুর বাসায় থাকব বলে বোনের কাছ থেকে অনুমতি নিলাম।জসিমকে বলে রাখলাম সে যেন রাতের জন্য আমার জায়গা রাখে তার রুমে।

তাররুমের অবস্থা আর বললামনা।রাতের খাবার খেয়ে জসিমদের বাসায় থাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

কিন্তুরাস্তা বদল করে চলে গেলাম অভিসারে।১৭/১৯টাকা দিয়ে টিকেট কেটে বিশাল অভিসারে ঢুকে গেলাম মুভি দেখার অভিসার!হাহাহাহ!





অনেক মুভির ই আসল রিলিজ ডেট মনে থাকেনা আমার।এই মুভিটির ও নেই।তবে ৯৬ এর শেষের দিকে না হলেও ৯৭ এর শেষের দিকে এই মুভিটি রিলিজ হয়েছিল।



এই মুভির এমন একটি গান ও নাই যে গান আপনাকে নাড়া দিবেনা।

আমার তো এখনো সেই সময়ের মুভিগুলোর গান দিয়েই চলে যায়।৯০ এর দশকের গানে আমন ই মায়া ছিল।কি সুর ছিল সেসব গানে!



আর ভনিতা না করি।জহিরুদ্দিন পিয়ার একজন পথগায়ক।অমিত তার ছেলে।৩জনের সুখে দুঃখের মিলিয়ে ছোট্ট সংসার।



দিন আনে দিন খায় এমন সংসারের কর্তাব্যাক্তিটি একদিন হঠাৎ করেই মারা যান।

একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েন মা।ছেলেকে লেখাপড়া আর গান শিখানের দায়িত্ব নিজেই তুলে নেন।



তারপর?



কলেজ লাইফে নায়ক নায়িকার ঝগড়া।ভুলবুঝাবুঝির সুযোগ নেয় ভিলেন।

তারপরের কাহিনী অনেক সোজা।আমি বলবোনা আর।আপনারা দেখে নে্বেন।



এই মুভিটি সালমান শাহ করার কথা ছিল।কিন্তু তার অকাল প্রয়ানে এই মুভিতে অমিত হাসানকে নেয়া হয়।

অমিথাসান-শাবনুর-কাঞ্চি-রাজিব-মিশা-জহিরুদ্দিন পিয়ারের অভিনয়ে এই মুভিটি কেমন লেগেছিল সেসময় ভাষায় প্রকাশ করার মত না।এক কথায় বলতে গেলে আমার কাছে দারুন লেগেছিল।



শাবনুরকে কি সুইট লাগত তখন।মুভির শেষের দৃশ্যটা দারুন লেগেছিল।এরকম ফিনিশিং সেইকালের মুভিতে...বাহ কি দারুন।



এই মুভির কয়েকটা গান এখনো মনে মনে গাই আমি।

প্রথম গানটা,যেখানে ছোট অমিত তার বাবার সাথে রাস্তায় রাস্তায় গেয়েছিল।



যে গান গেয়ে এক ছোট্ট মেয়ের বন্ধু ও সে হয়ে গিয়েছিল।কিন্তু সে মেয়ের বাবা/ভাই সেটা সহ্য করেনাই...ধনি গরীবের ব্যাপার স্যাপার ভাই।



গানটা এরকম ছিল...আদম হইল বিশ্বপিতা

বিবি হাওয়া মাতা রে....

তারা দুজন বটবৃক্ষ

আমরা সবাই পাতারে!



এই গানটা ইউটিউবে পাইনাই।

তাই লিঙ্ক দিতে পারলামনা।যদি কখনো পাই এড করে দেব এখানে।



আরেকটা গান...এবং বহুল জনপ্রিয় গান।আমি পাথরে ফুল ফুটাবো,শুধু ভালোবাসা দিয়ে।

এই গানটি কলেজের এক অনুষ্ঠানে অমিত হাসান গায়।যেখানে দেখা যায় শাবনুর তার গান শুনবেনা বলে উঠে যেতে চায়।কিন্তু যখন ই অমিত গানটা শুরু করে তখন আবার ফিরে এসে তার আসনে বসে পড়ে।

আর কল্পনার জগতে হারিয়ে যায় অমিত কে নিয়ে।

কারন কি?

কারন ছিল এই গানের কথা লিখেছিল আশা নামের একটা মেয়ে।আশা ছিল এই মুভিতে শাবনুরের ছদ্মনাম।



কিন্তু এই খবর যখন অমিত হাসান জানতে পারে মুভি তখন শেষ।তাহলে কি তাদের মিলন হয়না?

কি জানি বাবা...দেখলেই বুঝতে পারবেন।

মিলন বলতে তো শুধু এই পৃথিবীতেই মিলতে হবে তেমন কিছু না।পরবর্তি জীবনেও ভালোবাসার মানুষের সাথে মিলন হতে পারে তাইনা?



আসুন সেই গানটি দেখি যেই গানের চর্চা করলাম এতক্ষণ!







এরপরেই শাবনুর অমিতের প্রেমে পরে।কিন্তু অমিত পরেনা। কারন অমিত তখন আশার প্রেমে পাগল।

কে সেই আশা?

কোথায় তারা আশা?

যার জন্য সে তার হৃদয়ে ছোট্ট বাসা বানিয়ে রেখেছে....



আশার আগমন ঘটে এরপরে।

কাঞ্চি নিজেকে আশা নামে অমিতের কাছে প্রকাশ করে অমিতের ভালোবাসার মানুষ হয়ে পৃথিবীতে তার পাশে থাকতে।

ঠিক যেন এখনকার বডিগার্ড সিনেমার মত!



অমিত তখন নামকরা সঙ্গীত শিল্পী বাংলাদেশের।যখন আশাকে নিয়ে কিশোর মাহমুদ(মুভিতে এই নামেই ছিল অমিত) সুখের সাগরে ভাসছে..মিউজিক ভিডিও করছে তখন আসল আশা যে কি না রাগের কারনে নিজেকে অমিতের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিল তার কি অবস্থা?



তার আগে আসুন আশাকে ভালোবাসার সাগরে ডুবে যাওয়া সেই গানটি দেখি।



আশা আমার ভালোবাসা,আশা আমার ভালোবাসা





এইছিল আশা ভালোবাসার কাহিনী।বলবোনা বললেও গানের মাঝে মাঝে অনেক কিছুই বলে দিয়েছি।সিনেমাটা দেখলে আপনাদের ও ভালোলাগবে বলেই বিশ্বাস করি।

আমার ভালোলাগা ছড়িয়ে যাক আপনাদের সবার মাঝে।



ডাওনলোড করে দেখে নিতে পারেন এখান থেকে।



শেষ ঠিকানা





***যখন বের হলাম।মনটা কেমন যেন লাগছিল।মুড অফ হয়ে গিয়েছিল যেন।

তখনো কাউরে ভালোবাসিনাই।ভালোবাসার মানুষকে খুঁজে পাইনাই। ভালোবাসা কেমন হয় বাস্তবিক কোন ধারনা নাই।কিন্তু মুভিতে ভালোবাসার দৃশ্যায়ন আমার মনে আসলেই দাগ কেটেছিল।ভালোবাসার মানুষের সুখের জন্য নিজেকে নিঃশেষ করে দেওয়া...ভাবনার খোরাক জুগিয়েছিল বলতে হবে!



একটা ঘোরলাগা নিয়ে সেদিন ঘুমিয়ে গেলাম বন্ধুর বাসায়।পরেরদিন থেকে মুভির গান আমার মুখে বাজতে লাগল।বাসায় বুঝল কি না জানা নাই।ভাইগ্না ভাগ্নিদের জিজ্ঞাসাও করিনাই।



কিন্তু শাবনুরকে সেদিন আমার ভালোলেগে গেল।সুন্দর মুখশ্রীর একটা মেয়েকে যেন এর পর থেকেই আমার মন চাইতে লাগল।কিউটি একটা মেয়ে!

আবেগ জিনিষটা খুব কাজ করতে লাগল এর পর থেকে।



যেটা এরপরে একজনের খুব ভালোলেগেছিল।আমার বাংলা সিনেমা দেখার অভিজ্ঞ্তাকে আমি কাজে লাগাতে পেরেছিলাম।





ধন্যবাদ বাংলা সিনেমা।

শুভকামনা তোমার জন্য!

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২২

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: তখনও ডিস লাইন এত ব্যাপক না। রেডিও তখনও অনেক ব্যাপক।

বাংলাদেশ বেতার ঢাকা খ। বিজ্ঞাপন তরঙ্গ। আহারে দিনই আছিল তখন। আমি আশিক, তুমি প্রিয়া। আশিক আর প্রিয়া নামের ছেলেমেয়েদের তখন হালুয়া টাইট। সবাই খেপাইতো তাগোরে। আর একই ক্লাসে যদি আশিক আর প্রিয়া নামের দুইটা ছেলে মেয়ে থাকতো তাইলে খবরই আছিল। জীবন অতিষ্ঠ তাগোর।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

হাবিবউল্যাহ বলেছেন: আহারে কি সব দিনগুলি ছিল।

আমি নতুন মুভির বদলে এখনো পুরাতন মুভি দেখেই সময় পার করে দেই(বাংলা মুভির ক্ষেত্রে!)

আশিক প্রিয়া মুভির গানগুলি যা ছিলনা!

আমাদের এলাকায় একজন ছিল আশিক নামের....দেখা হলেই জিজ্ঞেস করতাম আশিক তোমার প্রিয়ার কি খবর???

আহা!

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪

কালোপরী বলেছেন: রিভিউ চমৎকার হয়েছে পোস্টে প্লাস :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

হাবিবউল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

দারাশিকো বলেছেন: ভাল্লাগছে ভাই।
আপনে ডট ডট এর ঝামেলা থেকে বাইর হইতে পারছেন, এইজন্য ধইন্যা :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

হাবিবউল্যাহ বলেছেন: ......

এইডটের কথা কইতেছেন বস?

আপনেরেও ধইন্যা!

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬

শার্লক বলেছেন: গানের সুর ভাল ছিল ৭০ আর ৮০ দশকের। ৯০তে এসে অনেকখানি ভাটা পড়ে, আরো পরে তো অখাদ্য হয়ে ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

হাবিবউল্যাহ বলেছেন: ৭০ আর ৮০ এর গান ছিল ক্লাসিক গান।
৯০ এর গান ছিল বানিজ্যিকভাবে অধিক জনপ্রিয়।
যদিও শেষের দিকে কিছুটা ভাটা পড়ে গেছে।

তারপরের কোন গান তো আমার মনেই পরেনা।গত ১২ বছরে মনের মাঝে তুমি মুভির গান ছাড়া আর কোন মুভির গান আমার চোখে পড়েনাই!

৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

বাংলার েতীিহদ বলেছেন: ভাল লাগচে

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৪

হাবিবউল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ!

৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫১

সানড্যান্স বলেছেন: আপনার এই পোস্ট টা নোটিস করেছিলাম,কমেন্ট করলাম এখন,ভাল লাগার অনুভুতি রইল

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৫

হাবিবউল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ সানড্যান্স!
মুভির গানগুলি শুনলে জয়া আর জ্যাকুলিনরে আরো বেশী আপন মনে হইব!!!

৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১১

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: অমিত হাসানের সামনে ভালো সুযোগ ছিল, কিন্তু বাছবিচার ছাড়া মুভি করেছে বোধহয় এর পরে(খারাপ সময়টাতে), "তুমি শুধু তুমি" মুভিটাও ভালো ছিল ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩০

হাবিবউল্যাহ বলেছেন: অমিত হাসান সে সময়ে অনেক ভালো ভালো মুভি করেছিল।প্রেমের সমাধি'র মত মুভিও করেছিল।ভুলোনা আমায়,বিদ্রোহি প্রেমিক,প্রেমের অহংকার
এরপরে পাগলীর প্রেম সহ আরো কয়েকটা মুভি সে শাবনুরের সাথে করেছিল।
তুমি শুধু তুমি করেছিল এর ও পরে।

তাকে খারাপ লাগতোনা আসলে।কিন্তু তেমপ্ন ভাবে আলোচনায় আসতে পারেনি শাকিল আর রিয়াজের জন্য।

তারপরে অনেকদিন গ্যাপ।এবং খারাপ মুভির মাধ্যমে(লোকে বলে একশন হিরো চরিত্রে)আবার আগমন।যেটা না হইলে তার সম্পর্কে অনেক ভাল কিছু লেখার সুযোগ পাইতাম।

তবে সে ভাল অভিনেতা।এখনো তাকে ভালো চরিত্রে কাজে লাগানো সম্ভব।

ধন্যবাদ জাদিদ!

৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১০

ধূসরধ্রুব বলেছেন: আমি পাথরে ফুল ফুটাবো,শুধু ভালোবাসা দিয়ে।

আমার খুবই প্রিয় একটা গান :)

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩২

হাবিবউল্যাহ বলেছেন: অনেকের ই ফেভারিট।
কল্পনাশক্তির প্রচুর ইস্তেমাল হইছে এই গানে।
নাইলে কি ভালোবাসা দিয়া কেউ পাথরে ফুল ফুটাইতে চায়???



আমার কাছে সবগুলা গান ই ভালোলাগে।বাচ্চাকালের গানটা দিতে পারলে আরো ভাল কৈরা বুঝাইতে পারতাম।

৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৪

লোনলিফাইটার বলেছেন: চমৎকার পোস্ট+++

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩২

হাবিবউল্যাহ বলেছেন: ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.