![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভিকারুন্নিসা স্কুল এন্ড কলেজে পরিমল জয়ধর এর ধর্ষণ ঘটনায় তারা প্রথম ২ দিন কোন সংবাদ প্রকাশ করে নাই। এর পরে তারা ছাপিয়েছে ঐ ধর্ষিতা ছাত্রী যৌন উত্তেজক কাপড় পড়ে এসেছিল কোচিং এ। যত ভাবে পেড়েছে ঘটনা অন্য দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে তাতে সফল না হয়ে শেষে পরিমল জয়ধরের অপরাধ লঘু করার চেষ্টা করেছে।
এবারে ১ল বৈশাখে টিএসসিতে ঘটে যাওয়া ঘটনার ক্ষেত্রেও তারা একই কাজ করলো। প্রথম ২৪ ঘণ্টা ১ টা লাইন সংবাদও প্রকাশ করে নাই। সখন সামাজিক গণমাধ্যম ও অন্যান্য সকল পত্রিকায় ঘটনার বর্বরতা নিয়ে প্রচণ্ড সমালোচনা শুরু হলো তখন প্রথমে দায় সারা গোছের একটা সংবাদ প্রকাশ করলো। এর পরে আজকে একটা রিপোর্ট প্রকাশ করলো পুলিশের বরাত দিয়ে নিজেদের সাংবাদিক দিয়ে সরেজমিন যাচাই না করে যার শিরোনাম দিলো "নারীদের লাঞ্ছিত করার ছবি সিসি ক্যামেরায়"
রিপোর্টে লিখলো "ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অন্তত চারজনকে শনাক্ত করা গেছে, যারা ওই জায়গার মধ্যেই ঘুরছে-ফিরছে, ঠেলাঠেলি করে জটলা তৈরি করছে, মেয়েদের ঘিরে ধরছে। এই চার তরুণের প্রত্যেকের মুখে একই ধরনের চাপদাড়ি রয়েছে। "
এবারও চেষ্টা করলো ঘটনাটা শুরুতেও মৌলবাদী চরিত্র দেবার।
এই মাত্র Sandipan Basu নামক এক সাংবাদিকের ওয়ালে এই ছবি গুলো পেলাম যে ছবির মানুষ গুলোর কারো গালেই চাপ দাড়ি নাই। পুরাই ক্লিন শেভ। দৈনিক প্রথম আলো সাংবাদিকতা পেশা ও সাংবাদিকদের দিনে দিনে কত টুকু ঘৃণার পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে সেটা এই ছবি গুলো দেখলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
আজকে একই পত্রিকায় আবেগী কলাম লিখেছেন লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক। এই রকম ডাবল স্ট্যান্ডার্ড চরিত্র আর কত দেখাবে দৈনিক প্রথম আলো? হলুদ সাংবাদিকতাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে।
প্রাণ কোম্পানি মরিচের গুড়ায় ইটের গুড়া যোগ করে সেটা মসলা আমেরিকার মতো দেশে রপ্তানি করে; বোতলে পচা আমের জুস বিক্রি করে; বিডি ফুড পানের চালানে হিরোইন পাঠায় ব্রিটেনে।
কয়েকদিন পূর্বে কানাডার বিখ্যাত শীতের জ্যাকেট তৈরি কোম্পানি "কানাডা গিস" এর প্রধান বিশ্ববিখ্যাত বিজনেস ম্যাগাজিন "ফরচুন" এ একটা সাক্ষাৎকার দিয়েছে যে আমাদের কোম্পানি শেয়ার মার্কেটে যাবে না। কারণ শেয়ার মার্কেটে গেলে শেয়ার হোল্ডারদের চাপ থাকা লাভ বাড়ানোর জন্য। ফলে প্রডাকশন বাড়াতে হয়। এতে কোয়ালিটি নষ্ট হতে বাধ্য। তিনি আরো বলেছেন তারা সব সময় মার্কেট চাহিদার তুলনায় কম জ্যাকেট তৈরি করেন। তারা চান মার্কেটে চাহিদা বজায় থাকুক। যাতে করে এ বছর যে মানুষটি কিনতে পারেন নাই তারা পরের বছর আবারও আসেন। এখানে বলে রাখি এই কোম্পানির ১ টা জ্যাকেটের সর্বনিম্ন দাম ৩০০ ডলার। গড় দাম ৫০০ ডলার। অনেক জ্যাকেট আছে যেগুলোর দাম ৮০০ থেকে ১০০০ ডলার পর্যন্ত। আর একটা কথা বলি এই জ্যাকেট তারা কানাডায় তৈরি করেন। অথচ এই জ্যাকেট বাংলাদেশ কিংবা ভারতে তৈরি করলে ১০০ থেকে ২০০ ডলারে বিক্রি করতে পারেন; কিন্তু তারা তা করেন না কোয়ালিটি কমে যাওয়ার ভয়ে। অর্থাৎ কোয়ালিটিই তাদের কাছে মুখ্য।
আমি বুঝতে পারিনা কেন বাংলাদেশি কোন প্রতিষ্ঠান অনেক কষ্টে অর্জিত নিজেদের ব্রান্ডিং ইমেজ ধরে রাখতে পারে না?
বিস্তারিত এখানে Click This Link
©somewhere in net ltd.